কোম্পানি থেকে অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাৎ, চেয়ারম্যান প্রাণনাশের হুমকি ও পদত্যাগে বাধ্য করে বেআইনিভাবে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগের মতো অভিযোগ উঠেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক ও তার ছেলের বিরুদ্ধে।
কোম্পানির পদত্যাগী চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান এসব অভিযোগ উল্লেখ করে কোম্পানি ও নিজের প্রাণ রক্ষায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তিনি যার দিকে আঙ্গুল তুলেছেন, তিনি হলেন ঋণ জালিয়াতি করে ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া পি কে হালদারের সহযোগী সিদ্দিকুর রহমান এবং তার ছেলে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়াজ রহমান সাকিব।
বিএসইসির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, কমিশন এ বিষয়ে অনুসন্ধান করছে। তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য যেকোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জানতে চাইলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, ‘বিস্তারিত না জেনে আমার কমেন্ট করা ঠিক হবে না।’
চিঠিতে যে অভিযোগ
চিঠিতে আনিসুর রহমান জানান, সিদ্দিকুর রহমান কোম্পানির এমডি ছিলেন। বিদেশে পালিয়েও তিনি কোম্পানি পরিচালনার চেষ্টা করছেন।
পি কে হালদারের সহযোগী হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন সিদ্দিকুরের বিরুদ্ধে মামলা করলে তিনি লুকিয়ে ভারত হয়ে পর্তুগালে চলে যান।
তিনি দেশত্যাগের পর কোম্পানির পরিচালক হিসেবে আনিসুর রহমান হাল ধরেন। তিনি চেয়ারম্যান পদে সব ব্যাংক ও অফিসে সিগনেটরি হিসেবে কাজ করতে থাকেন।
চিঠিতে বলা হয়, সিদ্দিক কোম্পানি থেকে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা নিয়ে গেছেন। আরও নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। সিমটেক্স পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হওয়ায় অবৈধভাবে টাকা নেয়ায় বারণ করলে বাধ সেধেছেন সিদ্দিকুরের ছেলে নিয়াজ রহমান সাকিব যিনি এখন কোম্পানির এমডি।
বিএসইসিকে দেয়া চিঠিতে আনিসুর রহমান বলেন, ‘সাকিবও সিদ্দিকুরের সঙ্গে বিদেশে থাকত। সে হঠাৎ দেশের এসে আমাকে হুমকি দিয়ে পরিচালক ও চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলে। আমি পদত্যাগ না করায় আমাকে জীবনের হুমকি দিয়েছে। আমি আইন অনুযায়ী আপনার আশ্রয় চাই।’
আনিসুরের দাবি, আরজেএসসির নথি এবং আদালতের আদেশ অনুযায়ী তিনি এখনও সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারহোল্ডার পরিচালক এবং চেয়ারম্যান।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সম্প্রতি এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার এবং ফাস ফাইন্যান্সের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কয়েকটি মামলা করে।
বর্তমানে ভারতের কারাগারে থাকা পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থাকে (ইন্টারপোল) চিঠি দিয়েছে দুদক।
সিদ্দিকুর রহমানকেও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে ১১টি মামলা করা হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট তার সব শেয়ার ও অ্যাকাউন্ট জব্দ করে।
আনিসুর রহমান বলেন, ‘সিদ্দিকুরের নির্দেশে তার ছেলে দেশে ফিরে হঠাৎ করেই চলতি বছরের ১৭ আগস্ট কোনো সরকারি আদেশ ছাড়াই মেজর জেনারেল (অব.) সরোয়ার হোসেনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন।
‘আমাকে পরিচালক পদ থেকে বাদ দিতে হলে বিএসইসির মতামত ও অনুমতি নেয়া প্রয়োজন। তা তারা নেয়নি।’
তিনি জানান, গত ২৯ আগস্ট লে. কর্নেল শামসকে নিয়ে তার স্ত্রী সারোয়ারের মিরপুর ডিওএইচএসের বাসায় গেলে এ বিষয়ে আলোচনা করতে চাননি। ৩১ আগস্ট কারখানায় যেতে বলেন। সেখানে গেলে তার সঙ্গে দেখা না করে শ্রমিকদের লেলিয়ে দেন।
ঘটনার পরপরই সাকিবদের তাদের বিরুদ্ধে সাভার ও পল্লবী থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
কোম্পানিকে বাঁচাতে বিএসইসির হস্তক্ষেপ কামনা করে আনিসুর বলেন, ‘আরজেএসসি ও কোর্ট থেকে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার নথিভুক্তির কাজ বন্ধ রাখতে ও আমাকে পদে বহাল রাখতে সাহায্য চেয়ে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানা ঢাকার সাভারে।
কোম্পানির আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। গত দুই বছর যথাক্রমে ৫ ও ৪ শতাংশ বা শেয়ার প্রতি ৫০ ও ৪০ পয়সা করে নগদ লভ্যাংশ পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
কোম্পানির শেয়ারদর বর্তমানে ১৭ টাকা ৬০ পয়সা। গত এক বছরে ১৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ২৪ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত উঠানামা করেছে।
গত মার্চে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের হিসাব অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬৯ পয়সা। জুনে অর্থবছর শেষ করা কোম্পানিটি এখনও লভ্যাংশ সংক্রান্ত সভা করার সিদ্ধান্ত জানায়নি।
গত অর্থবছরের আর্থিক হিসাব অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৮২ পয়সা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য