× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
The crazy horse of commodity prices has come to the bug Planning Minister
google_news print-icon

দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া বাগে এসেছে: পরিকল্পনামন্ত্রী 

দ্রব্যমূল্যের-পাগলা-ঘোড়া-বাগে-এসেছে-পরিকল্পনামন্ত্রী 
প্রতীকী ছবি
মূল্যস্ফীতি নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের জন্য ভালো সংবাদ আছে। দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া বাগে এসেছে এই মাসে। সবাই আমাদের কাছে ফোন করে জানার জন্য। গত মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল।’

দেশে বর্তমান মূল্যস্ফীতির তথ্য না জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, চলতি বছরের আগস্টে মূল্যস্ফীতি অনেক বাড়লেও সেপ্টেম্বরে তা কমে এসেছে।

তিনি আরও বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

সোমবার বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (বিআইডিএস) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

মূল্যস্ফীতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের জন্য ভালো সংবাদ আছে। দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া বাগে এসেছে এই মাসে। সবাই আমাদের কাছে ফোন করে জানার জন্য। গত মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল।

‘এই মাসে নেমেছে এবং ভালোভাবে নেমেছে। আমি যদিও অর্থনীতিবিদ নই, তবুও আমি বলছি আগামী মাসে মূল্যস্ফীতি আরও কমবে।’

মূল্যস্ফীতি কমার কারণ ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, ‘কেন কমেছে? কারণ আমাদের সরকারের কৌশলগত ব্যবস্থা। তেলের দাম বেড়েছিল, কিন্তু এখন কমেছে। কারণ এক কোটি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। সেখানে কম দমে বিক্রি হচ্ছে চাল, তেল।

‘ফলে আমরা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরাসরি আঘাত করতে পেরেছি। ফলে দাম কমে এসেছে। শুধু কমেনি; ভালো কমেছে। বিশ্ববাজারেও কমেছে। কয়েক দিনের মধ্যে আপনারা মূল্যস্ফীতির পুরোটা তথ্য পেয়ে যাবেন।’

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বড় ধরনের মূল্যস্ফীতি দেখেছে জনগণ। চলতি বছরের জুনে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয় ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। পরের মাসে সেটি কমে হয় ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ, তবে আগস্টের তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিবিএস যে জনশুমারি ও গৃহগণনা করেছে, তার প্রাথমিক ফলের ওপর শুমারি-পরবর্তী যাচাই করবে বিআইডিএস।

আগামী ১০ থেকে ১৬ অক্টোবর সারা দেশে জনশুমারি ও গৃহগণনার পরবর্তী যাচাই (পিইসি) জরিপ হবে।

রাজধানীর আগরগাঁওয়ে বিআইডিএসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। গেস্ট অফ অনার ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা সচিব মামুন-আল-রশীদ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন ও বিবিএসের মহাপরিচালক মতিউর রহমান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন। বক্তব্য দেন জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের পরিচালক দিলদার হোসেন ও পিইসি কার্যক্রমের সমন্বয়কারী ড. ইউনূস।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ট্যাবের মাধ্যমে কম্পিউটার অ্যাসিস্টেড পারসোনাল ইন্টারভিউইং (সিএপিআই) পদ্ধতিতে পিইসি করা হবে। ৯ অক্টোবর রাত ১২টা ১ মিনিটে নির্ধারিত এলাকায় থাকা সব দেশি-বিদেশি নাগরিককে গণনার আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া ছয় মাসের কম সময়ের জন্য সাময়িকভাবে বিদেশে অবস্থান করা নির্দিষ্ট এলাকার সব বাংলাদেশি নাগরিককে ফের গণনা করা হবে।

পরে নতুন তথ্যের সঙ্গে আগে পাওয়া শুমারির তথ্য মিলিয়ে দেখে বলা যাবে শুমারিতে কতটা ভুল কিংবা ত্রুটি হয়েছে। তার পরই তথ্য সমন্বয় করে জনশুমারির মূল প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও বিবিএস একটি ভালো শুমারি করেছে। এখন সেটির পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিবিএসকে আরও একটু স্বাধীনতা দেয়া উচিত।

‘ভারতে পরিসংখ্যান সংস্থা যেভাবে স্বাধীনতা ভোগ করে, বাংলাদেশে সেটি হচ্ছে না। পরিসংখ্যান ব্যুরোকে আরও হালনাগাদ তথ্য দিতে হবে।’

আরও পড়ুন:
১৭ মাস পর সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি মার্চে
অন্যায্য বাজার ও জনজীবন
মূল্যবৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া টেনে ধরবে কে?
মূল্যতালিকা প্রদর্শনসহ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ১৬ সুপারিশ
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে বিএনপির হাত আছে: যুবলীগ চেয়ারম্যান

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Why is the price of meat high in Meherpur on the eve of Eid?

ঈদের আগের দিন মেহেরপুরে মাংসের দাম বেশি কেন

ঈদের আগের দিন মেহেরপুরে মাংসের দাম বেশি কেন ঈদুল ফিতরের আগের দিন বুধবার মেহেরপুরের বামন্দী কসাইখানায় মাংস কাটায় ব্যস্ত কসাই। ছবি: নিউজবাংলা
মাংসের চাহিদা বাড়ায় জেলায় বিক্রেতারা বাড়তি দামে মাংস বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা, তবে বিক্রেতাদের ভাষ্য, তারা বেশি দামে গরু কেনায় মাংসের দামও বেশি নিতে হয়েছে।

ঈদুল ফিতরের আগের দিন বুধবার দেশের অন্য অনেক এলাকার মতো গরুর মাংসের চাহিদা বেড়েছে মেহেরপুরে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলার তিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাংস ব্যবসায়ীরা মহিষ, গরু ও ছাগল জবাই করতে ব্যস্ত সময় পার করেন।

মাংসের চাহিদা বাড়ায় জেলায় বিক্রেতারা বাড়তি দামে মাংস বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা, তবে বিক্রেতাদের ভাষ্য, তারা বেশি দামে গরু কেনায় মাংসের দামও বেশি নিতে হয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিপ্রতি ছাগলের মাংস বিক্রি হয় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায়। গরুর মাংস বিক্রি হয় ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজিতে। আর মহিষের মাংস বিক্রি হতে দেখা যায় ৮০০ থেকে ৮২০ টাকা কেজি দরে।

মাংস কিনতে আসা মন্টু মিয়া বলেন, ‘ঈদের দিন মাংসের দোকানে অনেক ভিড় থাকে। তাই আমরা এক দিন আগেই মাংস কিনে রাখি, তবে মাংসের দাম অন্য সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশি। তারপরও কিনতে হবে, ঈদ বলে কথা।’

দিনমজুর জালাল উদ্দিন বলেন, ‘আগামীকাল ঈদের দিন। পরিবারের সকলকে নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করব। এ বছর ছেলে-মেয়েদের পোশাক কিনতে গিয়ে সব টাকা শেষ হইয়ি গিছে। আজ সেমাই সুজির সাথে মাংস কিনলেই চলবে।

‘বাজারে এসে দেখি প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা করে, কিন্তু মাংসের যে দাম! বাধ্য হয়ে অল্প করে গরুর মাংস কিনব। তা ছাড়া ব্রয়লার মুরগি কিনব।’

স্কুলশিক্ষক শাহনেওয়াজ বলেন, ‘আমাদের সাতজনের পরিবার। তার মধ্যে দুজনের গরুর মাংস খাওয়া নিষেধ। তাই ছাগলের মাংসও কেনা লাগবে। বাজারে এসে দেখি প্রতি কেজি ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০ টাকা করে।

‘মাংস বিক্রেতারা জানে ঈদের ছুটি হওয়ায় ভোক্তা-অধিকার কিংবা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সম্ভাবনা কম। তাই ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাংস বিক্রেতা মনিরুল বলেন, ‘আমরা ঈদ উপলক্ষে যতগুলো গাছান (জ্যান্ত) গরু কিনেছি, সব ৭২০ টাকা করে কেনা পড়েছে। তাহলে আমাদের পরিশ্রমের দামসহ হিসাব করে বিক্রি করলে ৮০০ টাকা করে বেচা উচিত, কিন্তু তা তো আর পারছি না।’

আরেক মাংস ব্যবসায়ী মঈন উদ্দিন বলেন, ‘ঈদের দুই দিন আগ থেকে শুরু করে ঈদের দিন পর্যন্ত আমার চারটা মহিষ ও ১০টা গরু লাগবে বিক্রির জন্য। সে হিসেবে আমরা এক সপ্তাহ আগ থেকে গরু, মহিষ কেনা শুরু করেছি। হঠাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে গাছান গরু আমাদের ৭২০ টাকা করে কেজি পড়তা পড়ছে।

‘তাই আমরা ৫০ টাকা লাভ হিসেবে মাংস বিক্রি করছি। আমরা ৫০ টাকা বেশি দামে মাংস বেচলেই নিউজ হয়। অথচ আমরা যে ৮০ টাকা করে বেশি দামে গরু কিনলাম, তা আর নিউজ হয় না।

বামন্দী পশুহাট ইজারাদার সিরাজ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সপ্তাহে দুই দিন পশু হাট বসে। সোম ও শুক্রবার। গত দুই হাটে প্রচুর গরু আমদানি হয়েছে। বিক্রি হয়েছে অনেক বেশি, তবে গত দুই হাট ছাগল ও গরু বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। কারণ ঢাকাসহ বাইরের অনেক বেপারি হাটে আসায় গরুর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এমনটি হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
মরা গরুর মাংস বিক্রির অপরাধে শরণখোলায় আটক ২
গাংনীতে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ
ফরিদপুরে ৫০০ টাকায় গরুর গোশত
মেহেরপুরে মৌমাছির আক্রমণে অন্তত ২৫ জন আহত
মেহেরপুরে মাদক মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার 

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Buyers are saying that the market price of new money has accumulated

জমেছে নতুন টাকার বাজার, দাম বেশি বলছেন ক্রেতারা

জমেছে নতুন টাকার বাজার, দাম বেশি বলছেন ক্রেতারা ঈদের আগে রাজধানীর গুলিস্তানে জোরেশোরে চলছে নতুন টাকা বেচাকেনা। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রতিবারের মতো এবারও রাজধানীতে জমে উঠেছে নতুন টাকার ব্যবসা, তবে অন্যবারের চেয়ে এবার নতুন টাকা কিনতে দাম বেশি দিতে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ক্রেতারা।

ঈদ উৎসবে দীর্ঘ ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে সালামিতে নতুন টাকা দেন অনেকে। এ কারণে বিশেষ দিনটির আগে চাহিদা বাড়ে ঝকঝকে টাকার।

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রতিবারের মতো এবারও রাজধানীতে জমে উঠেছে নতুন টাকার ব্যবসা, তবে অন্যবারের চেয়ে এবার নতুন টাকা কিনতে দাম বেশি দিতে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ক্রেতারা।

নতুন টাকার হাট যেখানে

রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে, গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের সামনে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শাঁখারীবাজার মোড়, বাংলাবাজার মোড়সহ বেশ কিছু এলাকায় নতুন নোটের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।

গুলিস্তান স্পোর্টস মার্কেটের সামনে সারি সারি ছোট টেবিল আর টুল নিয়ে মাথার ওপর ছাতা দিয়ে বসেছেন অর্ধশতাধিক বিক্রেতা। এসব দোকানে দুই টাকার নোট থেকে শুরু করে ৫০০ টাকার নতুন নোট বিক্রি হচ্ছে। তাদের ঘিরে রেখেছেন রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতারা।

কোন নোটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নতুন নোটের হাট বসলেও বিক্রয়মূল্য প্রায় একই। এসব দোকানে বান্ডেল আকারে সাজিয়ে রাখা হয় নতুন নোট।

প্রতিটি বান্ডেল হাজার টাকার সমান। সাধারণ সময়ে হাজার টাকা সমমূল্যের এসব বান্ডেল বিক্রি হয় ২০০ টাকা বেশি দরে, তবে ঈদের সময়ে তা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। নোটের চাহিদা অনুযায়ী দাম কম-বেশি হয়।

এ বছর ঈদে ১০ ও ২০ টাকার নতুন নোটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি বলে জানান বিক্রেতারা। এরপর ৫ ও ২ টাকার নোট বেশি বিক্রি হচ্ছে, তবে সচ্ছল ক্রেতারা বেশি পরিমাণে ৫০ ও ১০০ টাকার নোট কিনছেন।

টাকার বাজারে দুই টাকার নোট ৬০০ টাকার বান্ডেল বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। পাঁচ টাকার বান্ডেল বিক্রি হচ্ছে হাজারে ৩৫০ টাকা বেশিতে। আবার ১০ টাকার এক বান্ডেল নোট বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৩০০ টাকায়।

২০ টাকার বান্ডেল বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২৫০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকায়।

জমেছে নতুন টাকার বাজার, দাম বেশি বলছেন ক্রেতারা

বিক্রেতা ও ক্রেতাদের ভাষ্য

৫০ টাকার নোট এক বান্ডেল নিতে হলে বাড়তি দিতে হচ্ছে ২০০ টাকা। এ ক্ষেত্রে ১০০ টাকার বান্ডেলের চাহিদা কম থাকায় সেটা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১৫০ কিংবা ২০০ টাকায়। চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকায় ১০ টাকার নোটের দামও বেশি।

গুলিস্তানে নতুন টাকার ব্যবসায়ী জামাল হোসেন জানান, ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করছেন তিনি। নতুন নোটের মধ্যে ১০ টাকার নোটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এর পরপরই বেশি চলে ২০ টাকার নোট, তবে ৫০০ কিংবা এক হাজার টাকার নোট এখানে চলে না।

এ বাজারেই নতুন টাকার ব্যবসা করেন ফারুক মিয়া। তিনি জানান, ঈদ সামনে রেখে প্রতিবারের মতো এবারও ক্রেতাদের সমাগম অনেক বেশি। বরাবরের মতো এবারও ১০ টাকার নোটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি, কিন্তু এবার টাকার দাম একটু বেশি হওয়ায় আগের মতো বেচাবিক্রি নেই।

রাজধানীর সদরঘাট এলাকায় ঝুট কাপড়ের ব্যবসা করেন মুন্সীগঞ্জের বাসিন্দা মনির হোসেন। তিনিও গুলিস্তানে নতুন টাকা কিনতে আসেন। প্রতি বছরই ঈদে বাড়ি ফেরার সময় নতুন নোট কেনেন তিনি।

জানতে চাইলে মনির হোসেন বলেন, ‘বিগত বছরের তুলনায় প্রতি বান্ডেলে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দাম রাখা হচ্ছে।’

নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছেলে-মেয়ে ও প্রতিবেশীদের জন্য নতুন টাকা সংগ্রহ করেছি। ১০, ২০ ও ৫০ টাকার বান্ডেল কিনেছি। ঈদ উপলক্ষে নতুন টাকার দাম কিছুটা বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইউছুব ওসমানের অভিযোগ, ‘এ বছর প্রতি বান্ডেলের দাম ২০ থেকে ৫০ টাকা বাড়তি নেয়া হচ্ছে। ভাগনে, ভাতিজি ও ছোট ভাইদের ঈদ সালামি দেব। সে কারণে পাঁচ হাজার টাকা কিনতে এসেছিলাম, কিন্তু গতবারের চেয়ে এবার দাম চড়া। কোনো দামাদামিরও সুযোগ নেই।’

জমেছে নতুন টাকার বাজার, দাম বেশি বলছেন ক্রেতারা

নতুন টাকার কদর কেন

ক্রেতারা জানান, ঈদ উপলক্ষে পরিবারের ছোট-বড় সবাই ও আত্মীয়স্বজনকে সালামি দেয়ার জন্য নতুন টাকা নিতে এসেছেন তারা। পুরাতন ১০০ টাকার নোটের পরিবর্তে যদি ১০ টাকার দুটি নতুন নোট দেয়া হয়, ওই ১০০ টাকার চেয়ে নতুন নোট পেয়ে হাজার গুণ বেশি খুশি হয়ে শিশুরা মুখে একটা চওড়া হাসি দেয়। শুধু শিশুরাই নয়, নতুন কড়কড়ে নোট পেতে বড়দেরও ভালো লাগে। এ ছাড়াও অনেকে সহকর্মী, অনেকে আবার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ঈদ উপহার হিসেবে দেয়ার জন্য নতুন টাকা সংগ্রহ করেন।

বিক্রেতারা বলছেন, সালামি দেয়ার কারণে ঈদ এলেই কদর বাড়ে টাকার নতুন নোটের। আবার অনেকে জাকাত, ফিতরা দিতেও নতুন টাকার ব্যবহার করে থাকেন। সারা বছর যে পরিমাণ নতুন টাকা বিক্রি হয়, তার অর্ধেকই বিক্রি হয় দুই ঈদে। এ জন্য তারা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

গুলিস্তানে নতুন টাকা কিনতে আসা আবদুল আলিম জানান, তার বাড়ি রংপুর জেলায়। বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরই মধ্যে শেষ করছেন কেনাকাটা। এখন তিনি গুলিস্তান এসেছেন কিছু নতুন নোট সংগ্রহ করার জন্য, যাতে এগুলো তিনি ঈদ বকশিস হিসেবে বাড়ির ছোটদের দিতে পারেন।

ব্যাংক ছেড়ে ফুটপাতে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যাংকের লাইনে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট হয়। অফিস সময়ের পরে ঝামেলামুক্তভাবে নতুন টাকা নিতেই এখানে এসেছি। যদিও এখানেও ভিড় কম না, তবে ব্যাংকের তুলনায় সময় কম নষ্ট হয়।’ আবদুল আলিমের মতো যারা সময় বাঁচাতে চান, তারাই গুলিস্তানসহ রাজধানীর ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ টাকার দোকানে ভিড় জমান।

শরীয়তপুরের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমগীর ব্যবসার কাজে ঢাকায় এসেছেন। কাজ শেষে নতুন নোট সংগ্রহ করতে এসেছেন গুলিস্তানে।

তিনি বলেন, ‘বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সবাইকে খুশি করতে হবে। বিশেষ করে ছোট ভাই-বোন বা আত্মীয়স্বজনকে ঈদের দিন নতুন টাকা সালামি দিতে হয়। ঈদের দিন তাদের খুশি করার জন্য তেমন বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় না।

‘তাদের একটাই চাওয়া। সেটা হলো বোনাস। তাও যেই সেই টাকা দিলে নিবে না, তাদের দিতে হবে নতুন টাকা। নতুন টাকা হাতে পেলেই তারা মহা খুশি। এ জন্য এই নতুন টাকার কেনার জন্য এখানে এসেছি।’

৩০ বছরের বেশি সময় ধরে টাকার ব্যবসা করা ষাটোর্ধ্ব মোহাম্মদ জহিরুল মিয়া দোকান সাজিয়ে বসেছেন শাঁখারীবাজার মোড়ে। তিনি জানান, ঈদে সদরঘাট দিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় অনেকেই নতুন টাকা নিয়ে যাচ্ছেন। আবার পুরান ঢাকার আশপাশের লোকজনও নিচ্ছেন। নতুন টাকায় ঈদ সালামি তো অনেক দিনের রেওয়াজ।

গুলিস্তানের টাকার বাজারে বাবার অনুপস্থিতিতে দোকান সামলাচ্ছেন আরিফ হোসেন নামের এক যুবক। তিনি জানান, ঈদে এ ব্যবসা বেশ ভালো হয়, তবে এ বছর টাকার দাম কিছুটা বেশি। এ জন্য বিক্রি আগের তুলনায় কম।

জমেছে নতুন টাকার বাজার, দাম বেশি বলছেন ক্রেতারা

ব্যাংকের নতুন টাকা খোলা বাজারে কীভাবে

ঈদের খুশিকে কয়েক গুণ বাড়িতে দিতে এবার ১০৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকার নতুন নোট বাজারে ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাজারে নতুন টাকা ছাড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ৩১ মার্চ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের নির্ধারিত শাখা থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করছেন গ্রাহকরা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের ৮০টি শাখা থেকে ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার এক বান্ডেল করে একজন গ্রাহক আঙুলের ছাপ দিয়ে একবারই মোট ১৮ হাজার ৫০০ টাকা বিনিময় করতে পারবেন, তবে গুলিস্তান বা অন্যান্য খোলা বাজারে কোনো কিছুই জমা না দিয়ে বাড়তি টাকা দিয়ে ক্রেতারা যেকোনো পরিমাণ নতুন টাকা কিনতে পারছেন।

সাধারণত বছরে দুই ঈদে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে প্রতিবার ২৫ থেকে ৩৩ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়া হয়। এবার প্রতিটি শাখাকে দৈনিক কমপক্ষে ৯০ জনকে নতুন টাকা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ হিসাবে একটি শাখা দৈনিক কমপক্ষে ১৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকার নতুন নোট বিতরণ করবে। আর এক দিনে ৮০টি শাখার মাধ্যমে বিতরণ হবে ১৩ কোটি ৩২ লাখ টাকার নতুন নোট।

গ্রাহকদের দাবি, চাহিদার তুলনায় ব্যাংকগুলোতে সরবরাহ করা টাকা ছিল কম। ব্যাংকগুলোতে নতুন টাকা না পাওয়া গেলেও বাড়তি দামে খোলাবাজারে পাওয়া যাচ্ছে।

ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গ্রাহকদের চাহিদার তুলনায় টাকা দেয়া যায়নি। আরও বেশি টাকার চাহিদা ছিল। ব্যাংক থেকে টাকা না পেয়ে এখন গুলিস্তান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বসা দোকানিদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা দিয়ে নতুন নোট সংগ্রহ করছেন অনেকে।

বিপুল চাহিদার খোলা বাজারে এত টাকা আসে কীভাবে এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ সবাই। পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চাইলে বেশির ভাগ বিক্রেতা এড়িয়ে যান।

বেশ কয়েকজন বিক্রেতা জানান, নতুন টাকা সংগ্রহের জন্য ব্যাংকগুলোয় তাঁদের ঢুকতে দেয়া হয় না। ফলে ব্যাংক থেকে সরাসরি নতুন নোট কিনতে পারেন না তারা। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাধ্যমে তারা নতুন নোট সংগ্রহ করেন। কয়েক হাত ঘুরে এ নোটগুলো বিক্রেতাদের হাতে আসে। এ কারণে নতুন নোটের দামও বেড়ে যায়।

কথার ফাঁকে গুলিস্তানের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর নামের এক টাকা ব্যবসায়ী নিউজবাংলাকে জানান, ব্যাংকের কর্মচারী ও বিভিন্ন ব্যাংকারদের মাধ্যমে ডিল করে টাকা সংগ্রহ করেন তারা। বেশ কয়েকজন এবার গতবারের চেয়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন। এ জন্য খোলা বাজারে ব্যবসায়ীদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

আরেক ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম বলেন, এ বছর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দেরি করে টাকা এসেছে। সেখান থেকেও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে টাকা আসে। বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারী দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এবার শুরু থেকে বেচাকেনা তেমন হয়নি। আবার অনেকেই আছেন ব্যাংকারদের আত্মীয়স্বজন। তারা তাদের মাধ্যমে সংগ্রহ করেন।

আরও পড়ুন:
পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ‘চায়ের রাজধানী’
বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ হাজার বাহন পার, টোল উঠেছে সোয়া ৩ কোটি
সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়
এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির চাপ, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় জটলা
চাঁদ দেখা কমিটি বসছে সন্ধ্যায়

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The price of gold increased by Tk 3499 in two days

স্বর্ণের দাম দু’দিনের ব্যবধানে ভরিতে বেড়েছে ৩,৪৯৯ টাকা

স্বর্ণের দাম দু’দিনের ব্যবধানে ভরিতে বেড়েছে ৩,৪৯৯ টাকা
সবশেষ বৃদ্ধির পর ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা ও সনাতন ৮০ হাজার ১৯০ টাকা।

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম তিন হাজার ৪৯৯ টাকা বাড়িয়ে প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের বাজারে দাম বৃদ্ধির দ্রুততম গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৈশ্বিক এই প্রবণতার ধারাবাহিকতায় সোমবার বিকেল ৪টা থেকে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাজুস।

এর আগে শ‌নিবার (৬ এপ্রিল) স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। সেদিন ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর দু’দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম ভরিতে ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হলো।

সবশেষ বৃদ্ধির পর ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এখন ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা বা প্রতি গ্রামের দাম ১০ হাজার ৮০ টাকা; ২১ ক্যারেট ১ লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ হাজার ১৯০ টাকা।

স্বর্ণের দাম নির্ধারণে উল্লেখযোগ্য সমন্বয় দেখা গেলেও রুপার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এর মধ্যে ২২ ক্যারেট রুপার ভরি ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬০০ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। সে অনুযায়ী, প্রতি আউন্স (৩১ দশমিক ১০৩ গ্রাম) স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩২৯ ডলার।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির জন্য মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নীতিগত সুদের হার কমানোর প্রত্যাশাকে দায়ী করা হয়েছে। আর সে কারণে স্বর্ণে বিনিয়োগের পরিমাণ দ্রুত বেড়েছে।

বৈশ্বিক আর্থিক বাজার এবং পণ্যের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক বাংলাদেশে স্বর্ণের মূল্য নির্ধারণের কৌশলকেও প্রভাবিত করে।

আরও পড়ুন:
বাড়া-কমার খেলায় স্বর্ণের ভরি রেকর্ড ১,১৪,০৭৪ টাকা
কমলো স্বর্ণের দাম
দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১,১২,৯০৮ টাকা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Fish and meat prices have increased with slight relief in vegetables

মাছ-মাংসের দাম বেড়েছে, সামান্য স্বস্তি সবজিতে

মাছ-মাংসের দাম বেড়েছে, সামান্য স্বস্তি সবজিতে
কারওয়ান বাজারের কসাই আবু বকর জানান, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস বা ছাগলের মাংস যথাক্রমে ১০০০ ও ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ঈদ সামনে রেখে ঢাকার কাঁচাবাজারে চাল, ভোজ্যতেল, চিনি, গম ও আটার দাম অপরিবর্তিত থাকলেও গরু ও মুরগির মাংস এবং মাছের দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।

ঈদে ঘরমুখো মানুষ রাজধানী ছাড়তে শুরু করায় চাহিদা কমে গেছে শাকসবজি, পেঁয়াজ ও ফলমূলসহ স্থানীয় মৌসুমি ফলের। তাই তরমুজ, আনারস ও আমদানি করা ফলের দাম কিছুটা কমেছে। খবর ইউএনবির

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী, মালিবাগ, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার গরুর মাংস, মুরগি ও মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে।

এসব পণ্যের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, ঈদ সামনে রেখে মাংসের দাম বেড়েছে। এছাড়া বাজারে মাছের সরবরাহ কমে যাওয়ায় মাছের দামও বেড়েছে।

কারওয়ান বাজারের কসাই আবু বকর জানান, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস বা ছাগলের মাংস যথাক্রমে ১০০০ ও ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার পরিদর্শন করেছেন, তাই হঠাৎ করে দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

তবে গত ঈদের চেয়ে এবার পশুর সরবরাহ কিছুটা কমে যাওয়ায় মাংস ব্যবসায়ীদের মুনাফা কমেছে বলে জানান তিনি।

শুক্রবার কারওয়ান বাজারের বাইরে মান ভেদে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে এবং সপ্তাহের অন্যান্য দিনের চেয়ে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে। মান ভেদে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১৮০ টাকায়, যা কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে।

দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগিরও। গত সপ্তাহে ছিল ২২০ টাকা তা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায়। এছাড়া সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে।

একইভাবে প্রতি কেজি কক মুরগি ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, মুরগির খাবার ও ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম বাড়ায় মুরগির দাম বেড়ে গিয়েছে।

এদিকে চাহিদা কমে যাওয়ায় শুক্রবার প্রায় সব সবজির দাম কমলেও ঢেঁড়স, সজিনা, মটরশুঁটি ও করলার মতো নতুন সবজি কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর দামের কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। মৌসুম শেষ হওয়ায় বেড়েছে টমেটোর দাম। ভালো মানের টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।

বেগুনসহ অন্যান্য সবজি ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাউ, চালকুমড়া ও ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মান ভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৬০ টাকা, রসুন ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, আদা ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের দাম কিছুটা কমিয়ে প্রতি ডজন বাদামি ডিম ১৩০ টাকা, হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৭০ টাকা এবং গৃহপালিত মুরগির ডিম প্রতি হালি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে ব্যাপকভাবে কমে গেছে তরমুজের দাম। সবচেয়ে ভালো মানের তরমুজ প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকার এবং মানের ভিত্তিতে প্রতি পিস আনারস ২০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পেয়ারা ৫০ থেকে ৭০ টাকা, পাকা পেঁপে যা রমজানের প্রথম সপ্তাহে ২০০ টাকা বা তার বেশি দরে বিক্রি হচ্ছিল, তা ১০০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আপেল, মাল্টা, কমলা ও নাশপাতি ২৬০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চলতি রমজানের প্রথম ২ সপ্তাহে এই ফলগুলো ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো।

এ সপ্তাহে কাঁচাবাজারের অন্যান্য পণ্যের দামে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The price of chicken increased by 20 rupees in a week
নওগাঁর মাংসের বাজার

সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ টাকা বাড়ল মুরগির দাম

সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ টাকা বাড়ল মুরগির দাম নওগাঁয় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। ছবি: নিউজবাংলা
মুরগি কিনকে আসা মোসলেমা বেগম নামের গৃহিণী বলেন, ‘কয়েক দিন আগে ব্রয়লার মুরগি ছিল ১৭৫ টাকা কেজি। বর্তমানে কিনতে হলো ২০৫ টাকা কেজি। দাম বেশি উপায় নাই। কাকে কী বলব, আর কে শুনবে কার কথা! কখন কোন জিনিসের দাম বাড়ছে বলা মুশকিল। গরীব মানুষ ব্রয়লার মুরগি খাই। এখন তার দামও বাড়ল।’

নওগাঁয় মাংসের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা।

রমজানের ঈদকে সামনে রেখে মাংসের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়তে হয়েছে কম ও মধ্যম আয়ের মানুষের। দাম বাড়ায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে তর্ক-বিতর্ক বাড়ছে। বেচাকেনাও অনেকটা কমেছে।

মাংসের দাম বাড়ায় ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন ভোক্তারা।

নওগাঁ পৌর মুরগির বাজার সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ আগে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৭৫ টাকা। কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা।

কোথাও আবার ২১০ থেকে ২১৫ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বিবি-৩ জাতের মুরগি ২৬০ টাকা, লাল মুরগি ৩০০ টাকা, পাকিস্তানি ৩৪০ টাকা, লেয়ার ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, তবে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি মুরগি ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা।

অন্যদিকে গরুর মাংসের দাম ৬৬৫ টাকা থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যে মাংস ৬৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সেখানে ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম চর্বি ও ঝিল থাকছে। এতে ক্রেতার সঙ্গে ব্যবসায়ীদের তর্কও বাড়ছে, তবে ভালো মাংস কিনতে হলে ক্রেতাকে গুনতে হবে ৭৫০ টাকা।

সামনের ঈদকে কেন্দ্র করে মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকটা নাভিশ্বাস ঠেকছে। এতে ভোক্তাদের মাঝেও ক্ষোভ বাড়ছে। যে পরিমাণ মুরগি কেনার জন্য ক্রেতারা বাজারে গিয়েছেন, দাম বাড়তির কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।

শহরের উকিল পাড়ার ভ্যানচালক আবু বক্কর বলেন, ‘গরুর মাংস তো খাওয়ার সৌভাগ্য আর হয় না। মুরগির দামও বেড়েই চলেছে। এখন মাংস খাওয়াই মনে হয় কপালে জুটবে না।’

মুরগি কিনকে আসা মোসলেমা বেগম নামের গৃহিণী বলেন, ‘নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষগুলো যে কত কষ্টে আছে তা বলে বোঝানো যাবে না। কয়েক দিন আগে ব্রয়লার মুরগি ছিল ১৭৫ টাকা কেজি। বর্তমানে কিনতে হলো ২০৫ টাকা কেজি। দাম বেশি উপায় নাই।

‘কাকে কী বলব, আর কে শুনবে কার কথা! কখন কোন জিনিসের দাম বাড়ছে বলা মুশকিল। গরীব মানুষ ব্রয়লার মুরগি খাই। এখন তার দামও বাড়ল।’

মুরগি ব্যবসায়ী আতোয়ার হোসেন বলেন, ‘কয়েক দিনের ব্যবধানের মুরগির দাম বেড়েছে। সরকার যে দাম বেঁধে দিয়েছে সে দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের বেশি দামে কিনে, বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে দাম বাড়ায় বিক্রির পরিমাণ কিছুটা কমেছে। ক্রেতাদের সঙ্গে বাড়তি কথা বলতে হচ্ছে।’

সামছুর রহমান নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণ নাই। কঠোর না হলে এভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।’

নওগাঁ জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বাজার সহনীয় পর্যায়ে রাখতে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তদারকি করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা মুরগি যে দামে কিনছে তার রশিদও দেখাচ্ছে। খামার নির্মাণে মুরগির দাম বাড়ানো হয়েছে, তবে খামার এবং ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে।’

বিষয়টি দেখবেন বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
দুই জেলায় টিফিনের টাকায় শিক্ষার্থীদের ঈদ উপহার
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে ব্যবহার হবে ড্রোন: হাইওয়ে পুলিশ
ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কিনে চড়ামূল্যে বিক্রি করতেন তারা
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বাসে ডাকাতি, পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত
ঈদ সামনে রেখে গণপরিবহনের ভাড়ায় নৈরাজ্য: যাত্রী কল্যাণ সমিতি                                

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
1650 tons of Indian onions are being released in Sirajganj

সিরাজগঞ্জে খালাস হচ্ছে ভারতীয় ১৬৫০ টন পেঁয়াজ

সিরাজগঞ্জে খালাস হচ্ছে ভারতীয় ১৬৫০ টন পেঁয়াজ ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের টিসিবি ডিলারদের মাধ্যমে ৪০ টাকা কেজি দরে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হবে এ পেঁয়াজ। ছবি: নিউজবাংলা
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভারতের সঙ্গে আমদানির চুক্তিকৃত ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের প্রথম চালান এটি।

ভারত থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানিকৃত ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) এক হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ সিরাজগঞ্জ এসে পৌঁছেছে।

ভারত থেকে পেঁয়াজবাহী একটি ট্রেন রোববার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে ছেড়ে সিরাজগঞ্জ বাজার রেল ইয়ার্ডে সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় এসে পৌঁছায়।

সিরাজগঞ্জ বাজার রেল ইয়ার্ডে সকাল ৯টার দিকে দেখা যায়, ট্রেন থেকে খালাস করা হচ্ছে ভারত থেকে আমদানি করা টিসিবির পেঁয়াজ। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের টিসিবি ডিলারদের মাধ্যমে ৪০ টাকা কেজি দরে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হবে এ পেঁয়াজ।

৪২টি ওয়াগনে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা হয়ে সিরাজগঞ্জ বাজার রেল ইয়ার্ডে পৌঁছায় পেঁয়াজবাহী ট্রেনটি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভারতের সঙ্গে আমদানির চুক্তিকৃত ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের প্রথম চালান এটি।

টিসিবির যুগ্ম পরিচালক বগুড়া অঞ্চলের প্রতাপ কুমার জানান, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের এক হাজার ৬৫০ টনের প্রথম চালানটি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের টিসিবি ডিলারদের নিকট হস্তান্তর করা হচ্ছে।
সোমবার ঢাকার ১০০টি ডিলারের কাছে এক হাজার টন পেঁয়াজ হস্তান্তর হবে এবং বাকি ৬৫০ টন পেঁয়াজ চট্টগ্রাম ও গাজিপুরের ডিলারদের কাছে পর্যায়ক্রমে হস্তান্তর হবে।

হস্তান্তর করা এ পেঁয়াজ খোলা বাজারে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করল ভারত
‘কালো সোনা’য় ফরিদপুরের কৃষকদের দিনবদল
ভারত থেকে আরও ৩০০ টন আলু আমদানি
ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে দুই-এক দিনের মধ্যে
রাতের আঁধারে চুরি হচ্ছে খেতের পেঁয়াজ, কৃষকের মাথায় হাত

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Marcel bought a fridge and got a fountain for 10 lakhs

মার্সেল ফ্রিজ কিনে ঝর্না পেলেন ১০ লাখ টাকা

মার্সেল ফ্রিজ কিনে ঝর্না পেলেন ১০ লাখ টাকা মার্সেল ফ্রিজ কিনে পাওয়া ১০ লাখ টাকার চেক গ্রহণ করছেন ঝর্না বেগম। ছবি: নিউজবাংলা
ঝর্না বেগম বলেন, ‘একটি ফ্রিজ কিনে এত টাকা একসঙ্গে পাওয়া যায়, কল্পনাই করিনি কখনও। প্রথম ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ দেখে বিশ্বাস হয়নি। মার্সেল হেড অফিস থেকে ফোন করে জানানোর পর বিশ্বাস হয়। মার্সেল আরও জনপ্রিয় হোক এটিই আমার প্রত্যাশা।’

মার্সেল ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার প্রতাপপুরের গৃহিণী ঝর্না বেগম।

উপজেলার সেনবাগ সেবারহাট এলাকায় শের-ই বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে শনিবার ঝর্নার হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশব্যাপী চলছে জনপ্রিয় দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। দেশের যেকোনো শোরুম থেকে মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার বা এসি, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্যান কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক। একই সঙ্গে আছে লাখ টাকার নিশ্চিত উপহার।

মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান ও মামনুন হাসান ইমন ঝর্নার হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন। দাগনভূঞা উপজেলার প্রতাপপুরে বসবাস ঝর্নার।

ঝর্না বেগম বলেন, ‘একটি ফ্রিজ কিনে এত টাকা একসঙ্গে পাওয়া যায়, কল্পনাই করিনি কখনও। প্রথম ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ দেখে বিশ্বাস হয়নি। মার্সেল হেড অফিস থেকে ফোন করে জানানোর পর বিশ্বাস হয়। মার্সেল আরও জনপ্রিয় হোক এটিই আমার প্রত্যাশা।’

মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর আমিন খান বলেন, ‘দেশের সহজ-সরল মানুষ বিদেশি পণ্য ভেবে নন-ব্র্যান্ড প্রোডাক্ট কিনে প্রতারিত হন। এতে তারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হন, আবার দেশের টাকা বিদেশে চলে যায়।

‘দেশে এখন আন্তর্জাতিক মানের ইলেকট্রনিকস ও প্রযুক্তিপণ্য তৈরি হচ্ছে। তাই সবার উচিত দেশের পণ্য কেনা। এতে সমৃদ্ধশালী হবে দেশ ও আমাদের অর্থনীতি।’

চলচ্চিত্র অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন বলেন, ‘ক্রেতাদের আস্থায় দেশের জনপ্রিয় ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে মার্সেল। আমাদেরই ভাই, বোন, সন্তান কিংবা আত্মীয়স্বজন কাজ করছেন এই দেশি প্রতিষ্ঠানে। এভাবেই দেশের মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে চলেছে মার্সেল।’

আরও পড়ুন:
মার্সেল ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ শুরু

মন্তব্য

p
উপরে