বছরের সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড গড়ার পরদিন থেকে পুঁজিবাজারের লেনদেনের চিত্র বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেই চলেছে। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে গত ২৭ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এদিন সূচক বাড়লেও বিপুলসংখ্যক কোম্পানির শেয়ারের কার্যন্ত কোনো ক্রেতা ছিল না। এর মধ্যে আছে বহুজাতিক শক্তিশালী মৌলভিত্তির কোম্পানিও, যেগুলো প্রতি বছরই আকর্ষণীয় হারে লভ্যাংশ দিয়ে থাকে।
এদিনও আরও বেশ কিছু শেয়ারের দরপতনের মধ্য দিয়ে সেগুলো ফ্লোর প্রাইসে ফিরে এসেছে। বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন দরেও ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
কিছুদিন আগে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল, এমন একটি কোম্পানির একটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে সারা দিনে, যদিও লাখ লাখ শেয়ারের বিক্রয়াদেশ ছিল।
দুটি কোম্পানির এভাবে একটি করে, দুটি কোম্পানির তিনটি করে, দুটি কোম্পানির ১০টি করে শেয়ার হাতবদল হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৬টি কোম্পানির ১০০টিরও কম শেয়ার সারা দিনে হাতবদল হয়েছে।
এর মধ্যে একটি আছে ব্যাংক খাতের বেশ শক্তিশালী কোম্পানি, একটি আছে শক্তিশালী মৌলভিত্তির বহুজাতিক কোম্পানি।
প্রকৌশল খাতে দেশের সবচেয়ে বড় কোম্পানি ওয়ালটনের শেয়ার হাতবদল হয়েছে কেবল ১৩০টি, ব্যাংক এশিয়ার ২১১টি, বহুজাতিক কোম্পানি রেকিট বেনকিজারের ৩০২টি, আরেক বহুজাতিক বার্জার পেইন্টসের ৭০৮টি, হাইডেলবার্গ সিমেন্টের ৮৭৭টি, বাটা শুর ১ হাজার ৩০৮টি, বিমা খাতের শক্তিশালী কোম্পানির একটি, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ১ হাজার ৪৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এমনকি গত অর্থবছরে ১ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা লভ্যাংশ বিতরণ করা ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির কেবল ৪৪ হাজার ৪২০টি, ৩ হাজার ৩৭৫ কোটি ৭৫ লাখ ৫৫০ টাকা লভ্যাংশ বিতরণ করা গ্রামীণফোনের কেবল ৬৯ হাজার ১৭৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
আগের কর্মদিবসে যতটুকু সূচক বেড়েছিল, বৃহস্পতিবার তার দ্বিগুণেরও বেশি পয়েন্ট সূচকে যোগ হলে লেনদেনের ৪০ শতাংশ হয়েছে ১০টি শেয়ারে।
১৬ পয়েন্ট সূচক বাড়ার দিন হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ২১৬ কোটি ৯৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে কেবল ১০টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে ৪৯৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
অন্যদিকে সবচেয়ে কম লেনদেন হওয়া ২০০টি কোম্পানি মিলিয়ে লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
এই লেনদেন আবার গত ২৭ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত ২৪ আগস্ট লেনদেন ছিল এর চেয়ে কম ১ হাজার ১৩৩ কোটি ৭১ লাখ ৬২ হাজার টাকা।
পুঁজিবাজারের সূচক বৃদ্ধির যে প্রবণতা গত ৩১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছিল, তাতে প্রধান ভূমিকায় থাকা ওরিয়ন ও বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলোর মধ্যে আগের দিন দর বেড়েছিল বেক্সিমকোর আর পতন হয়েছিল ওরিয়নগুলোর। বৃহস্পতিবার পুরো উল্টো চিত্র। দর কমেছে বেক্সিমকো কোম্পানিগুলোর আর বেড়েছে ওরিয়নগুলোর।
লেনদেনের শীর্ষে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডে হাতবদল হয়েছে ১১০ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৯৯ কোটি ১০ লাখ টাকার।
এদিকে দরপতন ও দরবৃদ্ধির পাওয়া কোম্পানির সংখ্যা প্রায় কাছাকাছি। ৮৫টি কোম্পানির দরপতনের বিপরীতে বেড়েছে ৯৪টির। আর সর্বোচ্চ ১৮৬টি আগের দরে হাতবদল হয়েছে, যার প্রায় সবই পড়ে রয়েছে ফ্লোর প্রাইসে।
পুঁজিবাজারের চিত্র নিয়ে ক্যাল সিকিউরিটিজের সিইও রাজেশ সাহা বলেন, ‘স্মার্ট ইনভেস্টররা ২৯, ৩০ তারিখে শেয়ার কিনে থাকেন। কিন্তু হাউজগুলোর বিভিন্ন পলিসি থাকে, বিধায় মার্জিন লোন বন্ধ রাখে। যার কারণে মার্কেট একটু ডিপ্রেশনে আছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার পরে কিছু টাকা মার্কেট থেকে বেরিয়ে গেছে। সেটা ইন হতে আরও অন্তত ২০দিন সময় লাগতে পারে।’
সূচক বাড়াল যারা
সবচেয়ে বেশি ৩ দশমিক ২৫ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বিকন ফার্মা। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
আইডিএলসির দর ৭ দশমিক ১৬ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট।
কোহিনূর কেমিক্যাল সূচকে যোগ করেছে ১ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৬ দশমিক ৮১ শতাংশ।
এর বাইরে ওরিয়ন ফার্মা, ইস্টার্ন হাউজিং, সোনালী পেপার, বসুন্ধরা পেপার, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও ইসলামী ব্যাংক সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৯২ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ৩ দশমিক ২৫ পয়েন্ট সূচক কমেছে বেক্সিমকো লিমিটেডের দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ১ দশমিক ৪১ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ দশমিক ২৫ পয়েন্ট কমেছে আইপিডিসির কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
ইউনাইটেড পাওয়ারের দর শূন্য দশমিক ৫১ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ১ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট।
এ ছাড়া বেক্সিমকো ফার্মা, শাইনপুকুর সিরামিকস, আল আরফাহ ব্যাংক, সাইফ পাওয়ার, আরএকে সিরামিকস, বিডি কম ও এনার্জি পাওয়ার জেনারেশনের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১১ দশমিক ২৪ পয়েন্ট।
শীর্ষ ৫ খাত যেমন
ছোট চারটি খাতে দরবৃদ্ধি দেখা গেছে। এগুলোর মধ্যে সেবা ও আবাসন, কাগজ ও মুদ্রণ এবং ট্যানারি খাতে ৫০ শতাংশ এবং পাট খাতে ২টি বা ৬৬ শতাংশ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে।
প্রযুক্তি খাতে ৭২ শতাংশ দরপতন হলেও সংখ্যার দিক থেকে বেশি দরপতন হয়েছে প্রকৌশল খাতে, ১৩টি কোম্পানির দরপতন দেখা গেছে।
বস্ত্র, আর্থিক খাত, ব্যাংক, বিমা, ওষুধ ও রসায়ন খাতে দরপতনের চেয়ে অপরিবর্তিত দরে লেনদেন হওয়া কোম্পানির সংখ্যাই বেশি ছিল।
লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বিবিধ খাত। ২০০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বা ১৭.৮১ শতাংশ লেনদেনের বিপরীতে খাতটির ৬টি কোম্পানির দরপতন হয়েছে। ৪টির দর বেড়েছে, ৩টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয়েছে ১৬৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা বা ১৪.৮৮ শতাংশ। এদিন ১৪টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬টির দরপতন ও ৯টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতে। ১৩৫ কোটি ১০ লাখ টাকা লেনদেনের বিপরীতে ১৪টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি, ১৩টির দরপতন ও ১৫টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে।
আর কোনো খাতের লেনদেন শত কোটির ঘরে পৌঁছায়নি।
এর পরে সেবা ও আবাসন খাতে লেনদেন হয়েছে ৮৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ২টি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধি ও দরপতন হয়েছে।
পঞ্চম অবস্থানে থাকা প্রযুক্তি খাতে ৮৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়। খাতের ৩টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৮টির দর।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
১০ শতাংশ করে নগদ ও বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণার দিন মনোস্পুলের শেয়ার লেনদেনে কোনো সার্কিট ব্রেকার ছিল না। অর্থাৎ কোম্পানির শেয়ারদর যত খুশি বাড়তে বা কমতে পারতো। লভ্যাংশ ঘোষণার খবরে বৃহস্পতিবার কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১৯.২৩ শতাংশ বা ৩৭ টাকা ১০ পয়সা।
সর্বশেষ শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে ২৩০ টাকায়। আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইস ছিল ১৯২ টাকা ৯০ পয়সা।
ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ। শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১৬ টাকা ৬০ পয়সায়। আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইস ছিল ১০৮ টাকা ২০ পয়সা।
৭ দশমিক ৪১ শতাংশ দর বেড়ে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩০৪ টাকা ১০ পয়সায়, আগের দিনের সর্বশেষ দর ছিল ২৮৩ টাকা ১০ পয়সা।
এ ছাড়াও দরবৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে আইডিএলসি, কোহিনূর কেমিক্যাল, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স, কেয়া কসমেটিকস, কে অ্যান্ড কিউ লিমিটেড ও আমান ফিড।
দর পতনের শীর্ষ ১০
পতনের তালিকার শীর্ষে রয়েছে বিডিকম। ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৬১ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়। আগের দিনে লেনদেন হয় ৬৬ টাকা ১০ পয়সায়।
পতনের তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স। ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ দর কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৬ টাকা ৬০ পয়সায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে আইপিডিসি। ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ৬৬ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়।
দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল- মুন্নু অ্যাগ্রো, লাভেলো আইসক্রিম, এনার্জি পাওয়ার জেনারেশন, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, লুবরেফ বাংলাদেশ, ইস্টার্ন ক্যাবলস ও মীর আকতার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য