পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয়ার পাঁচ বছর পর জানা গেল বস্ত্র খাতের কোম্পানি নূরানী ডায়িং অ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেড যে তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে টাকা তুলেছিল, তাতে সত্য গোপন করা হয়।
২০১৭ সালে কোম্পানিটিকে ৪ কোটি ৩০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ৪৩ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সে সময় কোম্পানিটি যে নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব জমা দেয়, তাতে অনেক নয়ছয়ের প্রমাণ মিলেছে পরে।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর অর্থ আত্মসাৎ ও আর্থিক প্রতিবেদন জালিয়াতির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ এনে এখন মামলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসই ও বিএসইসির নিজস্ব তদন্তে উঠে আসে অনিয়মের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছেন কোম্পানির আইপিও ইস্যু ম্যানেজার, স্ট্যাচুটরি অডিটর ও আইপিও ফান্ড ইউটিলাইজেশন অডিটর। তাদের সবাইকেই মামলার আসামি করা হচ্ছে।
বুধবার বিএসইসির ৮৪০তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সংস্থাটির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কেবল আইপিও অনুমোদনের সময় মিথ্যা তথ্য নয়, টাকা তুলে গোপনে কোম্পানিও বন্ধ করে দিয়েছেন কোম্পানির পরিচালকরা। এ বিষয়টি জানতে পেরে এক বছর আগে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে পুনর্গঠন করে দেয় বিএসইসি। নতুন পর্ষদও এই কোম্পানিকে উৎপাদনে নিয়ে আসতে পারেনি।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কেবল নূরানী না, এমন বহু দুর্বল কোম্পানিকে টাকা তোলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে, যেগুলো সাধারণ মানুষের টাকা তুলে নিয়েছে।’
এর দায় কি তাহলে বিএসইসি নেবে না?- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা তো যাচাই-বাছাই করা উচিত। তবে সে সময় বিএসইসির এই এখতিয়ার ছিল কি না সেটি জানি না। তারা নিরীক্ষিত প্রতিবেদন দেখে অনুমোদন দিত। তবে এখন ফিজিক্যালিও যাচাই-বাছাই হয় বলে জানি।’
ভুয়া কাগজ দেখিয়ে যে টাকা তুলে মানুষের ক্ষতি হলো, তার কী হবে- এমন প্রশ্নে আবু আহমেদ বলেন, ‘কোম্পানির পাশাপাশি অডিটরের বিরুদ্ধেও মামলা হওয়া উচিত।’
নূরানী আইপিওতে শেয়ার ১০ টাকা দরে বিক্রি করলেও পরে একপর্যায়ে তা ছাড়িয়ে যায় ৩০ টাকা। আর উদ্যোক্তা পরিচালকরা আরও ৪ কোটি টাকার বেশি শেয়ার বিক্রি করেন। যদি গড়ে ২৫ টাকাতেও বিক্রি করা হয়, তাহলে তারা আয় করেছেন শতকোটি টাকা।
কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১২২ কোটি টাকার বেশি, শেয়ারসংখ্যা ১৩ কোটি ২৬ লাখ ২৫ হাজার ৩০। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ৯৩ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। বাকি ৮ কোটি ৪৬ লাখ ৯৭ হাজার ১০৮টি শেয়ারের মধ্যে সিংহভাগই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে, ৬ কোটি ৩৫ লাখের বেশি আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ২ কোটি ১১ লাখ ৮৯ হাজার ৬০৫টি।
অর্থাৎ নূরানীতে বিনিয়োগ করে ১০০ থেকে ২০০ কোটি টাকার বেশি লোকসান করেছেন সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।
আবার উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের বিও হিসাবে যে ৩০ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার আছে, সেটি যমুনা ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের কাছে জামানত হিসেবে জমা দিয়ে মার্জিন ঋণ নেয়া হয়। এই শেয়ারের বিপরীতে প্রাপ্ত মার্জিন ঋণও খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।
ফলে কোম্পানিটির মালিকপক্ষ আসলে তাদের হাতের সব শেয়ারই কার্যত বিক্রি করে দিয়েছেন। এমনকি কোম্পানিটির ওয়েবসাইটও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
এখন ১০ টাকার অভিহিত মূল্যের এই শেয়ারের দর নেমে এসেছে ৭ টাকায়।
সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করে একটি কোম্পানিকে টাকা তোলার অনুমতি দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের যে ক্ষতির মুখে ফেলা হয়েছে, তার দায় বিএসইসি নেবে কি না, এমন প্রশ্নে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম কোনো জবাব দিতে রাজি হননি। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আপনি আমার বক্তব্য নো কমেন্টস লিখে দেন।’
যা করেছে নূরানী
নূরানী ডায়িং ২০১৬ ও ২০১৭ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও প্রকাশিত প্রসপেক্টাস অনুযায়ী এবি ব্যাংকের কাছে কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদে ব্যাংক দায় যথাক্রমে ৫৭ কোটি ২০ লাখ ও ৪২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা উল্লেখ ছিল।
কিন্তু পরিদর্শক ও তদন্ত কমিটির তদন্তে দেখা যায়, ২০১৮ সালে প্রকৃত ব্যাংক দায়ের পরিমাণ ১৬৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। পরের বছর তা হবে ১৯২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ২০২০ সালে তা দাঁড়ায় ২১৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানির প্রকৃত আর্থিক অবস্থা গোপন করা হয়। যার মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারী ও প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) চাঁদা অংশগ্রহণকারীরা বিভ্রান্তিকর তথ্য পেয়ে প্রতারিত হন।
কোম্পানিটি ২০১৭ সালে আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত ৪৩ কোটি টাকা বিভিন্ন কারসাজি স্কিম বা ডিভাইসের মাধ্যমে, যেমন ব্যাংক বিবরণী জালিয়াতি, মুদারাবা টার্ম ডিপোজিট রিসিপ্টের (এমটিডিআর) নগদায়ন এবং কোনো প্রকার কাজ বা পরিষেবা ছাড়াই স্বার্থসংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে (সিস্টার কনসার্ন) ৪১ কোটি ১৪ লাখ টাকা দেয়। এতে কমিশনের আইপিও অনুমোদনের শর্তও ভঙ্গ হয়।
২০১৭ সালে আইপিও ইস্যুকালীন স্ট্যাচুটরি অডিটর হিসেবে দায়িপ্রাপ্ত অডিট ফার্ম কর্তৃক আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর এ-সংক্রান্ত ‘ক্লিন রিপোর্ট’ (আনকোয়ালিফাইড অপিনিয়ন) দেয়া হয়।
২০১৯ ও ২০২০ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী ও প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, ইস্যুয়ার কোম্পানি কর্তৃক প্রকাশিত হিসাব বিবরণীর রপ্তানি আয়, বিক্রয় ও দেনাদারের সপক্ষে বিভিন্ন প্রমাণপত্র, যেমন- পিআরসি, টিডিএস সার্টিফিকেট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি কাগজপত্র জালিয়াতি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ওই সময়ের আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয় বলে মনে করছে ডিএসই ও বিএসইসি।
এই সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত অডিটরদের মাধ্যমে ক্লিন রিপোর্ট প্রদান করে ওই আর্থিক প্রতিবেদনের নিরীক্ষা কার্যক্রম চালানো হয়। ওই সময়ে কোম্পানিটির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও তা জানানো হয়নি বিনিয়োগকারীদের।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য