পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয়ার পাঁচ বছর পর জানা গেল বস্ত্র খাতের কোম্পানি নূরানী ডায়িং অ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেড যে তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে টাকা তুলেছিল, তাতে সত্য গোপন করা হয়।
২০১৭ সালে কোম্পানিটিকে ৪ কোটি ৩০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ৪৩ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সে সময় কোম্পানিটি যে নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব জমা দেয়, তাতে অনেক নয়ছয়ের প্রমাণ মিলেছে পরে।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর অর্থ আত্মসাৎ ও আর্থিক প্রতিবেদন জালিয়াতির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ এনে এখন মামলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসই ও বিএসইসির নিজস্ব তদন্তে উঠে আসে অনিয়মের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছেন কোম্পানির আইপিও ইস্যু ম্যানেজার, স্ট্যাচুটরি অডিটর ও আইপিও ফান্ড ইউটিলাইজেশন অডিটর। তাদের সবাইকেই মামলার আসামি করা হচ্ছে।
বুধবার বিএসইসির ৮৪০তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সংস্থাটির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কেবল আইপিও অনুমোদনের সময় মিথ্যা তথ্য নয়, টাকা তুলে গোপনে কোম্পানিও বন্ধ করে দিয়েছেন কোম্পানির পরিচালকরা। এ বিষয়টি জানতে পেরে এক বছর আগে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে পুনর্গঠন করে দেয় বিএসইসি। নতুন পর্ষদও এই কোম্পানিকে উৎপাদনে নিয়ে আসতে পারেনি।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কেবল নূরানী না, এমন বহু দুর্বল কোম্পানিকে টাকা তোলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে, যেগুলো সাধারণ মানুষের টাকা তুলে নিয়েছে।’
এর দায় কি তাহলে বিএসইসি নেবে না?- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা তো যাচাই-বাছাই করা উচিত। তবে সে সময় বিএসইসির এই এখতিয়ার ছিল কি না সেটি জানি না। তারা নিরীক্ষিত প্রতিবেদন দেখে অনুমোদন দিত। তবে এখন ফিজিক্যালিও যাচাই-বাছাই হয় বলে জানি।’
ভুয়া কাগজ দেখিয়ে যে টাকা তুলে মানুষের ক্ষতি হলো, তার কী হবে- এমন প্রশ্নে আবু আহমেদ বলেন, ‘কোম্পানির পাশাপাশি অডিটরের বিরুদ্ধেও মামলা হওয়া উচিত।’
নূরানী আইপিওতে শেয়ার ১০ টাকা দরে বিক্রি করলেও পরে একপর্যায়ে তা ছাড়িয়ে যায় ৩০ টাকা। আর উদ্যোক্তা পরিচালকরা আরও ৪ কোটি টাকার বেশি শেয়ার বিক্রি করেন। যদি গড়ে ২৫ টাকাতেও বিক্রি করা হয়, তাহলে তারা আয় করেছেন শতকোটি টাকা।
কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১২২ কোটি টাকার বেশি, শেয়ারসংখ্যা ১৩ কোটি ২৬ লাখ ২৫ হাজার ৩০। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ৯৩ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। বাকি ৮ কোটি ৪৬ লাখ ৯৭ হাজার ১০৮টি শেয়ারের মধ্যে সিংহভাগই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে, ৬ কোটি ৩৫ লাখের বেশি আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ২ কোটি ১১ লাখ ৮৯ হাজার ৬০৫টি।
অর্থাৎ নূরানীতে বিনিয়োগ করে ১০০ থেকে ২০০ কোটি টাকার বেশি লোকসান করেছেন সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।
আবার উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের বিও হিসাবে যে ৩০ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার আছে, সেটি যমুনা ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের কাছে জামানত হিসেবে জমা দিয়ে মার্জিন ঋণ নেয়া হয়। এই শেয়ারের বিপরীতে প্রাপ্ত মার্জিন ঋণও খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।
ফলে কোম্পানিটির মালিকপক্ষ আসলে তাদের হাতের সব শেয়ারই কার্যত বিক্রি করে দিয়েছেন। এমনকি কোম্পানিটির ওয়েবসাইটও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
এখন ১০ টাকার অভিহিত মূল্যের এই শেয়ারের দর নেমে এসেছে ৭ টাকায়।
সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করে একটি কোম্পানিকে টাকা তোলার অনুমতি দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের যে ক্ষতির মুখে ফেলা হয়েছে, তার দায় বিএসইসি নেবে কি না, এমন প্রশ্নে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম কোনো জবাব দিতে রাজি হননি। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আপনি আমার বক্তব্য নো কমেন্টস লিখে দেন।’
যা করেছে নূরানী
নূরানী ডায়িং ২০১৬ ও ২০১৭ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও প্রকাশিত প্রসপেক্টাস অনুযায়ী এবি ব্যাংকের কাছে কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদে ব্যাংক দায় যথাক্রমে ৫৭ কোটি ২০ লাখ ও ৪২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা উল্লেখ ছিল।
কিন্তু পরিদর্শক ও তদন্ত কমিটির তদন্তে দেখা যায়, ২০১৮ সালে প্রকৃত ব্যাংক দায়ের পরিমাণ ১৬৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। পরের বছর তা হবে ১৯২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ২০২০ সালে তা দাঁড়ায় ২১৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানির প্রকৃত আর্থিক অবস্থা গোপন করা হয়। যার মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারী ও প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) চাঁদা অংশগ্রহণকারীরা বিভ্রান্তিকর তথ্য পেয়ে প্রতারিত হন।
কোম্পানিটি ২০১৭ সালে আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত ৪৩ কোটি টাকা বিভিন্ন কারসাজি স্কিম বা ডিভাইসের মাধ্যমে, যেমন ব্যাংক বিবরণী জালিয়াতি, মুদারাবা টার্ম ডিপোজিট রিসিপ্টের (এমটিডিআর) নগদায়ন এবং কোনো প্রকার কাজ বা পরিষেবা ছাড়াই স্বার্থসংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে (সিস্টার কনসার্ন) ৪১ কোটি ১৪ লাখ টাকা দেয়। এতে কমিশনের আইপিও অনুমোদনের শর্তও ভঙ্গ হয়।
২০১৭ সালে আইপিও ইস্যুকালীন স্ট্যাচুটরি অডিটর হিসেবে দায়িপ্রাপ্ত অডিট ফার্ম কর্তৃক আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর এ-সংক্রান্ত ‘ক্লিন রিপোর্ট’ (আনকোয়ালিফাইড অপিনিয়ন) দেয়া হয়।
২০১৯ ও ২০২০ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী ও প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, ইস্যুয়ার কোম্পানি কর্তৃক প্রকাশিত হিসাব বিবরণীর রপ্তানি আয়, বিক্রয় ও দেনাদারের সপক্ষে বিভিন্ন প্রমাণপত্র, যেমন- পিআরসি, টিডিএস সার্টিফিকেট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি কাগজপত্র জালিয়াতি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ওই সময়ের আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয় বলে মনে করছে ডিএসই ও বিএসইসি।
এই সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত অডিটরদের মাধ্যমে ক্লিন রিপোর্ট প্রদান করে ওই আর্থিক প্রতিবেদনের নিরীক্ষা কার্যক্রম চালানো হয়। ওই সময়ে কোম্পানিটির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও তা জানানো হয়নি বিনিয়োগকারীদের।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য