তিন কর্মদিবস পর সূচক সামান্য বাড়লেও দরপতনের ধারা থেকে বের হতে পারেনি পুঁজিবাজার। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের সামান্য বৃদ্ধির পেছনে এদিন ভূমিকা রেখেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। অন্যদিকে দরপতন হয়েছে সম্প্রতি আলোচিত হয়ে উঠা ওরিয়ন গ্রুপের তিনটি কোম্পানির।
গত ৩১ জুলাই থেকে পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থানের পেছনে প্রধান ভূমিকায় থাকা অল্প কিছু কোম্পানির মধ্যে তুমুল আলোচিত ওরিয়ন গ্রুপের চারটি আর বেক্সিমকো গ্রুপের দুটি কোম্পানি।
তবে চলতি সপ্তাহ থেকে এই কোম্পানিগুলো অনেকটাই নিম্নমুখি। তাদের দর বৃদ্ধি ও লেনদেনের গতি কমার প্রভাব দেখা যাচ্ছে গোটা পুঁজিবাজারেই।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বুধবার ওরিয়ন গ্রুপের চার কোম্পানির মধ্যে ওরিয়ন ফার্মা, ওরিয়ন ইনফিউশন ও কোহিনূর কেমিক্যালস দর হারিয়েছে। দর সামান্য বেড়েছে বিকন ফার্মার।
অন্যদিকে বেক্সিমকো গ্রুপের চার কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুর সিরামিকদের। আরেক কোম্পানি আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে আগের দিনের দরে। আর বেক্সিমকো সুকুক বন্ডের দর কিছুটা কমেছে।
আগের তিন কর্মদিবসে যথাক্রমে ৪৮, ৪ ও ২১ পয়েন্ট সূচক পতনের পর এদিন বেড়েছে ৭ পয়েন্ট। তবে এই বৃদ্ধি পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক যে ভারসাম্যহীনতা ও হতাশা দেখা দিয়েছে, তা দূর করতে পারছে না।
যে পরিমাণ কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে তার দেড় গুণেরও বেশি। নতুন কোম্পানি যুক্ত হয়েছে ফ্লোর প্রাইসের তালিকায়।
৭১ কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১১৪টির দর। ১৮৬টি কোম্পানি লেনদেন হয়েছে আগের দিনের দরে, যার সিংহভাগই ফ্লোর প্রাইসে।
পুঁজিবাজারের পরিস্থিতি যে স্বাভাবিক নয়, সেটি লেনদেনেই স্পষ্ট। আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কম হওয়া লেনদেনের ২০ শতাংশই হয়েছে শীর্ষ দুই কোম্পানি বেক্সিমকো ও ওরিয়ন ফার্মায়। আর শীর্ষ ১০ কোম্পানিতেই হয়েছে মোট লেনদেনের ৪৮ শতাংশের বেশি।
দিনভর সূচকের উত্থান-পতনের চিত্র দেখা গেছে। বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে সূচকের অবস্থান সর্বোচ্চ হয়। আগের দিনের চেয়ে ৩০ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হতে দেখা যায়। বেলা ১২টার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সূচক প্রায় কাছাকাছি অবস্থানে ছিল। এরপর দরপতনে সূচক কমতে থাকে।
দুপুর ১টা ৩২ মিনিটে আগের দিনের চেয়ে ১ পয়েন্ট সূচক কমে লেনদেন হয়। তবে শেষ মুহূর্তে কিছুটা বেড়ে শেষ হয় লেনদেন। দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ৪৯৬ পয়েন্টে।
লেনদেন আগের দিনের চেয়ে ৯৬ কোটি টাকা কমে হয়েছে এক হাজার ৪৮৪ কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। মঙ্গলবার এক হাজার ৪৯৪ কোটি ৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়।
ওরিয়নের চার কোম্পানির কী চিত্র
চার কোম্পানির মধ্যে শতকরা হিসাবে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। আগের দিনের দর ছিল ১৪১ টাকা ২০ পয়সা, সেখান থেকে কমে হয়েছে ১৩৫ টাকা ৩০ পয়সা। কমেছে ৫ টাকা ৯০ পয়সা বা ৪.১৭ শতাংশ।
এই কোম্পানিটির কারণে সূচকের পতন হয় ২.৮ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২.৮০ শতাংশ দর হারিয়েছে কোহিনূর কেমিক্যালস। আগের দিন দর ছিল ৫৮৭ টাকা ৭০ পয়সা। ১৬ টাকা ৫০ পয়সা কমে হয়েছে ৫৭১ টাকা ২০ পয়সা।
এই কোম্পানিটির কারণে সূচকের পতন হয় ০.৮৫ পয়েন্ট।
গত তিন মাসে ৫০০ শতাংশের বেশি দরবৃদ্ধি পাওয়া ওরিয়ন ইনফিউশনের দর কমেছে ১.০১ শতাংশ বা ৫ টাকা ৮০ পয়সা। আগের দিনের দর ছিল ৫৭০ টাকা ৪০ পয়সা। দিন শেষে দাঁড়িয়েছে ৫৬৪ টাকা ৬০ পয়সা।
আগের ছয় কর্মদিবসের মধ্যে পাঁচ দিন পতন হওয়া গ্রুপের আরেক কোম্পানি বিকন ফার্মার শেয়ারদর বেড়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা বা ০.৬৯ শতাংশ। আগের দিন দর ছিল ৩১৪ টাকা ৭০ পয়সা, এখন দাঁড়িয়েছে ৩১৭ টাকা ১০ পয়সা।
কোম্পানিটি সূচকে যোগ করেছে ০.৯৮ পয়েন্ট।
বেক্সিমকো গ্রুপের কী চিত্র
আগের পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে চার দিন দর পতন হওয়া গ্রুপের প্রধান কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডের দর এদিন বেড়েছে বেড়েছে ৩.৮৪ শতাংশ বা ৫ টাকা। আগের দিন দর দাঁড়িয়েছিল ১৩০ টাকা ১০ পয়সা। বর্তমান দর ১৩৫ টাকা ১০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি এককভাবেই সূচক বাড়িয়েছে ৮.৮৮ পয়েন্ট।
বেক্সিমকো ফার্মার দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ বা ৭০ পয়সা। শেয়ারটির ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ১৭১ টাকা ১০ পয়সায় যা আগের দিন ছিল ১৭০ টাকা ৪০ পয়সা।
এই গ্রুপের আরেক কোম্পানি শাইনপুকুর সিরামিক ছিল দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। আগের দিন দর ছিল ৫২ টাকা ৩০ পয়সা, বেড়ে হয়েছে ৫৭ টাকা ২০ পয়সা, বেড়েছে ৪ টাকা ৪০ পয়সা বা ৯.৩৬ শতাংশ।
এই কোম্পানিটি সূচকে যোগ করেছে ১.৪৬ পয়েন্ট।
গ্রুপের অপর কোম্পানি আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার হাতবদল হয়েছে আগের দিনের দর ১২ টাকা ৬০ পয়সায়।
বেক্সিমকো লিমিটেডের ছাড়া বেক্সিমকো সুকুক বন্ড কিছুটা দর হারিয়েছে। আগের দিনের দর ছিল ৮৮ টাকা, ৫০ পয়সা হারিয়ে এখন দর দাঁড়িয়েছে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা।
লেনদেনের সাম্প্রতিক প্রবণতা নিয়ে শার্প সিকিউরিটিজের পরিচালক সৈয়দ গোলাম ওয়াদুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মার্কেট কনসোলিডেট করছে বা বলা যায় একই ইনডেক্সের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। এটি মার্কেটের একটি বৈশিষ্ট্য। যখন বিনিয়োগকারীরা বুঝতে চান যে, বাজারে কী ঘটছে, তখন তারা পর্যবেক্ষণে চলে যান, বিষয়টা সে রকমই।’
বিপুল সংখ্যক কোম্পানির ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা প্রফিট ওরিয়েন্টেড শেয়ারে বিনিয়োগ করছেন, ওই সব শেয়ারের যাচ্ছেন না। এগুলোর প্রতি যখন আগ্রহ কমে যাবে তখন ফ্লোরে থাকা শেয়ারে যাবে। তখন দেখা যাবে সেগুলোর দর বাড়বে।’
সূচক বাড়াল যারা
সবচেয়ে বেশি ৮ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
আইপিডিসির দর ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৪ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট।
ইউনাইটেড পাওয়ার সূচকে যোগ করেছে ২ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯৪ শতাংশ।
এর বাইরে লাফার্জা হোলসিম বাংলাদেশ, শাইনপুকুর সিরামিকস, বিকন ফার্মা, ইস্টার্ন ক্যাবলস, ইস্টার্ন হাউজিং, আরএকে সিরামিকস ও আইসিবি সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২৩ দশমিক ২৩ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৮ পয়েন্ট সূচক কমেছে ওরিয়ন ফার্মার দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট কমেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ৩ দশমিক ০৫ শতাংশ।
ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের দর ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ১ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট।
এ ছাড়া সোনালী পেপার, সাইফ পাওয়ার, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, বার্জার পেইন্টস, কোহিনূর কেমিক্যাল, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ও সি পার্লের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১২ দশমিক ১১ পয়েন্ট।
শীর্ষ ৫ খাত যেমন
বিবিধ খাতে ৭টি বা ৫০ শতাংশ ও সিরামিকস খাতে ৩টি বা ৬০ শতাংশ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। আর কোনো খাতে দরবৃদ্ধি দেখা যায়নি।
বিপরীতে বেশি দরপতন দেখা গেছে প্রকৌশল ও ফার্মা খাতে। জ্বালানি, প্রযুক্তি, বস্ত্র, খাদ্য খাতে উল্লেখযোগ্য হারে দরপতন হয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বিবিধ খাত। ২৮৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা বা ২০.৫৩ শতাংশ লেনদেনের বিপরীতে খাতটির ৩টি কোম্পানির দরপতন হয়েছে। ৪টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয়েছে ২৩০ কোটি ৩০ লাখ টাকা বা ১৬.৫১ শতাংশ। এদিন ৬টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৫টির দরপতন ও ৯টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতে। ১৪০ কোটি টাকা লেনদেনের বিপরীতে ১১টি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধি, ১৮টির দরপতন ও ১৩টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে।
আর কোনো খাতের লেনদেন শত কোটির ঘরে পৌঁছায়নি।
এর পরে কাগজ ও মুদ্রণ খাতে লেনদেন হয়েছে ৯৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ৪টির দরপতনের বিপরীতে একটি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধি ও অপরিবর্তিত ছিল।
পঞ্চম অবস্থানে থাকা জ্বালানি খাতে ৯২ কোটি ৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয়। খাতের ৭টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১১টির দর ও অপরিবর্তিত ছিল ৫টির।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
দরবৃদ্ধির শীর্ষে অবস্থান করছে ইস্টার্ন ক্যাবলস। ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০১ টাকায়। আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইস ছিল ১৮২ টাকা ৫০ পয়সা।
৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ দর বেড়ে শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৭ টাকা ২০ পয়সায়, আগের দিনের সর্বশেষ দর ছিল ৫২ টাকা ৩০ পয়সা।
৯ দশমিক ০৯ শতাংশ দর বেড়ে ৬৯ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে তৃতীয় স্থানে থাকা আইপিডিসির শেয়ার। আগের দিন দর ছিল ৬৩ টাকা ৮০ পয়সা।
এ ছাড়াও দরবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষ দশে ছিল জুট স্পিনার্স, বেঙ্গল উইন্ডসোর, ফু-ওয়াং সিরামিকস, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, ইস্টার্ন হাউজিং, লাভেলো আইসক্রিম ও অ্যাটলাস বাংলাদেশ।
দর পতনের শীর্ষ ১০
পতনের তালিকার শীর্ষে ছিল দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স। ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩৯ টাকায় লেনদেন হয়।
পতনের তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে পেপার প্রোসেসিং। ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ দর কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩৬ টাকা ৮০ পয়সায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে পেনিনসুলা চিটাগং। ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ৩৮ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়।
দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল- ইন্দোবাংলা ফার্মা, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড, কেয়া কসমেটিকস, ওরিয়ন ফার্মা, মনোস্পুল, ফাইন ফুডস ও ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য