তিন কর্মদিবস পর সূচক সামান্য বাড়লেও দরপতনের ধারা থেকে বের হতে পারেনি পুঁজিবাজার। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের সামান্য বৃদ্ধির পেছনে এদিন ভূমিকা রেখেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। অন্যদিকে দরপতন হয়েছে সম্প্রতি আলোচিত হয়ে উঠা ওরিয়ন গ্রুপের তিনটি কোম্পানির।
গত ৩১ জুলাই থেকে পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থানের পেছনে প্রধান ভূমিকায় থাকা অল্প কিছু কোম্পানির মধ্যে তুমুল আলোচিত ওরিয়ন গ্রুপের চারটি আর বেক্সিমকো গ্রুপের দুটি কোম্পানি।
তবে চলতি সপ্তাহ থেকে এই কোম্পানিগুলো অনেকটাই নিম্নমুখি। তাদের দর বৃদ্ধি ও লেনদেনের গতি কমার প্রভাব দেখা যাচ্ছে গোটা পুঁজিবাজারেই।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বুধবার ওরিয়ন গ্রুপের চার কোম্পানির মধ্যে ওরিয়ন ফার্মা, ওরিয়ন ইনফিউশন ও কোহিনূর কেমিক্যালস দর হারিয়েছে। দর সামান্য বেড়েছে বিকন ফার্মার।
অন্যদিকে বেক্সিমকো গ্রুপের চার কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুর সিরামিকদের। আরেক কোম্পানি আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে আগের দিনের দরে। আর বেক্সিমকো সুকুক বন্ডের দর কিছুটা কমেছে।
আগের তিন কর্মদিবসে যথাক্রমে ৪৮, ৪ ও ২১ পয়েন্ট সূচক পতনের পর এদিন বেড়েছে ৭ পয়েন্ট। তবে এই বৃদ্ধি পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক যে ভারসাম্যহীনতা ও হতাশা দেখা দিয়েছে, তা দূর করতে পারছে না।
যে পরিমাণ কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে তার দেড় গুণেরও বেশি। নতুন কোম্পানি যুক্ত হয়েছে ফ্লোর প্রাইসের তালিকায়।
৭১ কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১১৪টির দর। ১৮৬টি কোম্পানি লেনদেন হয়েছে আগের দিনের দরে, যার সিংহভাগই ফ্লোর প্রাইসে।
পুঁজিবাজারের পরিস্থিতি যে স্বাভাবিক নয়, সেটি লেনদেনেই স্পষ্ট। আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কম হওয়া লেনদেনের ২০ শতাংশই হয়েছে শীর্ষ দুই কোম্পানি বেক্সিমকো ও ওরিয়ন ফার্মায়। আর শীর্ষ ১০ কোম্পানিতেই হয়েছে মোট লেনদেনের ৪৮ শতাংশের বেশি।
দিনভর সূচকের উত্থান-পতনের চিত্র দেখা গেছে। বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে সূচকের অবস্থান সর্বোচ্চ হয়। আগের দিনের চেয়ে ৩০ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হতে দেখা যায়। বেলা ১২টার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সূচক প্রায় কাছাকাছি অবস্থানে ছিল। এরপর দরপতনে সূচক কমতে থাকে।
দুপুর ১টা ৩২ মিনিটে আগের দিনের চেয়ে ১ পয়েন্ট সূচক কমে লেনদেন হয়। তবে শেষ মুহূর্তে কিছুটা বেড়ে শেষ হয় লেনদেন। দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ৪৯৬ পয়েন্টে।
লেনদেন আগের দিনের চেয়ে ৯৬ কোটি টাকা কমে হয়েছে এক হাজার ৪৮৪ কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। মঙ্গলবার এক হাজার ৪৯৪ কোটি ৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়।
ওরিয়নের চার কোম্পানির কী চিত্র
চার কোম্পানির মধ্যে শতকরা হিসাবে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। আগের দিনের দর ছিল ১৪১ টাকা ২০ পয়সা, সেখান থেকে কমে হয়েছে ১৩৫ টাকা ৩০ পয়সা। কমেছে ৫ টাকা ৯০ পয়সা বা ৪.১৭ শতাংশ।
এই কোম্পানিটির কারণে সূচকের পতন হয় ২.৮ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২.৮০ শতাংশ দর হারিয়েছে কোহিনূর কেমিক্যালস। আগের দিন দর ছিল ৫৮৭ টাকা ৭০ পয়সা। ১৬ টাকা ৫০ পয়সা কমে হয়েছে ৫৭১ টাকা ২০ পয়সা।
এই কোম্পানিটির কারণে সূচকের পতন হয় ০.৮৫ পয়েন্ট।
গত তিন মাসে ৫০০ শতাংশের বেশি দরবৃদ্ধি পাওয়া ওরিয়ন ইনফিউশনের দর কমেছে ১.০১ শতাংশ বা ৫ টাকা ৮০ পয়সা। আগের দিনের দর ছিল ৫৭০ টাকা ৪০ পয়সা। দিন শেষে দাঁড়িয়েছে ৫৬৪ টাকা ৬০ পয়সা।
আগের ছয় কর্মদিবসের মধ্যে পাঁচ দিন পতন হওয়া গ্রুপের আরেক কোম্পানি বিকন ফার্মার শেয়ারদর বেড়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা বা ০.৬৯ শতাংশ। আগের দিন দর ছিল ৩১৪ টাকা ৭০ পয়সা, এখন দাঁড়িয়েছে ৩১৭ টাকা ১০ পয়সা।
কোম্পানিটি সূচকে যোগ করেছে ০.৯৮ পয়েন্ট।
বেক্সিমকো গ্রুপের কী চিত্র
আগের পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে চার দিন দর পতন হওয়া গ্রুপের প্রধান কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেডের দর এদিন বেড়েছে বেড়েছে ৩.৮৪ শতাংশ বা ৫ টাকা। আগের দিন দর দাঁড়িয়েছিল ১৩০ টাকা ১০ পয়সা। বর্তমান দর ১৩৫ টাকা ১০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি এককভাবেই সূচক বাড়িয়েছে ৮.৮৮ পয়েন্ট।
বেক্সিমকো ফার্মার দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ বা ৭০ পয়সা। শেয়ারটির ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ১৭১ টাকা ১০ পয়সায় যা আগের দিন ছিল ১৭০ টাকা ৪০ পয়সা।
এই গ্রুপের আরেক কোম্পানি শাইনপুকুর সিরামিক ছিল দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। আগের দিন দর ছিল ৫২ টাকা ৩০ পয়সা, বেড়ে হয়েছে ৫৭ টাকা ২০ পয়সা, বেড়েছে ৪ টাকা ৪০ পয়সা বা ৯.৩৬ শতাংশ।
এই কোম্পানিটি সূচকে যোগ করেছে ১.৪৬ পয়েন্ট।
গ্রুপের অপর কোম্পানি আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার হাতবদল হয়েছে আগের দিনের দর ১২ টাকা ৬০ পয়সায়।
বেক্সিমকো লিমিটেডের ছাড়া বেক্সিমকো সুকুক বন্ড কিছুটা দর হারিয়েছে। আগের দিনের দর ছিল ৮৮ টাকা, ৫০ পয়সা হারিয়ে এখন দর দাঁড়িয়েছে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা।
লেনদেনের সাম্প্রতিক প্রবণতা নিয়ে শার্প সিকিউরিটিজের পরিচালক সৈয়দ গোলাম ওয়াদুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মার্কেট কনসোলিডেট করছে বা বলা যায় একই ইনডেক্সের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। এটি মার্কেটের একটি বৈশিষ্ট্য। যখন বিনিয়োগকারীরা বুঝতে চান যে, বাজারে কী ঘটছে, তখন তারা পর্যবেক্ষণে চলে যান, বিষয়টা সে রকমই।’
বিপুল সংখ্যক কোম্পানির ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা প্রফিট ওরিয়েন্টেড শেয়ারে বিনিয়োগ করছেন, ওই সব শেয়ারের যাচ্ছেন না। এগুলোর প্রতি যখন আগ্রহ কমে যাবে তখন ফ্লোরে থাকা শেয়ারে যাবে। তখন দেখা যাবে সেগুলোর দর বাড়বে।’
সূচক বাড়াল যারা
সবচেয়ে বেশি ৮ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
আইপিডিসির দর ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৪ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট।
ইউনাইটেড পাওয়ার সূচকে যোগ করেছে ২ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯৪ শতাংশ।
এর বাইরে লাফার্জা হোলসিম বাংলাদেশ, শাইনপুকুর সিরামিকস, বিকন ফার্মা, ইস্টার্ন ক্যাবলস, ইস্টার্ন হাউজিং, আরএকে সিরামিকস ও আইসিবি সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২৩ দশমিক ২৩ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৮ পয়েন্ট সূচক কমেছে ওরিয়ন ফার্মার দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট কমেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ৩ দশমিক ০৫ শতাংশ।
ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের দর ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ১ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট।
এ ছাড়া সোনালী পেপার, সাইফ পাওয়ার, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, বার্জার পেইন্টস, কোহিনূর কেমিক্যাল, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ও সি পার্লের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১২ দশমিক ১১ পয়েন্ট।
শীর্ষ ৫ খাত যেমন
বিবিধ খাতে ৭টি বা ৫০ শতাংশ ও সিরামিকস খাতে ৩টি বা ৬০ শতাংশ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। আর কোনো খাতে দরবৃদ্ধি দেখা যায়নি।
বিপরীতে বেশি দরপতন দেখা গেছে প্রকৌশল ও ফার্মা খাতে। জ্বালানি, প্রযুক্তি, বস্ত্র, খাদ্য খাতে উল্লেখযোগ্য হারে দরপতন হয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বিবিধ খাত। ২৮৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা বা ২০.৫৩ শতাংশ লেনদেনের বিপরীতে খাতটির ৩টি কোম্পানির দরপতন হয়েছে। ৪টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয়েছে ২৩০ কোটি ৩০ লাখ টাকা বা ১৬.৫১ শতাংশ। এদিন ৬টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৫টির দরপতন ও ৯টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতে। ১৪০ কোটি টাকা লেনদেনের বিপরীতে ১১টি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধি, ১৮টির দরপতন ও ১৩টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে।
আর কোনো খাতের লেনদেন শত কোটির ঘরে পৌঁছায়নি।
এর পরে কাগজ ও মুদ্রণ খাতে লেনদেন হয়েছে ৯৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ৪টির দরপতনের বিপরীতে একটি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধি ও অপরিবর্তিত ছিল।
পঞ্চম অবস্থানে থাকা জ্বালানি খাতে ৯২ কোটি ৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয়। খাতের ৭টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১১টির দর ও অপরিবর্তিত ছিল ৫টির।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
দরবৃদ্ধির শীর্ষে অবস্থান করছে ইস্টার্ন ক্যাবলস। ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০১ টাকায়। আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইস ছিল ১৮২ টাকা ৫০ পয়সা।
৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ দর বেড়ে শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৭ টাকা ২০ পয়সায়, আগের দিনের সর্বশেষ দর ছিল ৫২ টাকা ৩০ পয়সা।
৯ দশমিক ০৯ শতাংশ দর বেড়ে ৬৯ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে তৃতীয় স্থানে থাকা আইপিডিসির শেয়ার। আগের দিন দর ছিল ৬৩ টাকা ৮০ পয়সা।
এ ছাড়াও দরবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষ দশে ছিল জুট স্পিনার্স, বেঙ্গল উইন্ডসোর, ফু-ওয়াং সিরামিকস, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, ইস্টার্ন হাউজিং, লাভেলো আইসক্রিম ও অ্যাটলাস বাংলাদেশ।
দর পতনের শীর্ষ ১০
পতনের তালিকার শীর্ষে ছিল দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স। ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩৯ টাকায় লেনদেন হয়।
পতনের তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে পেপার প্রোসেসিং। ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ দর কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩৬ টাকা ৮০ পয়সায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে পেনিনসুলা চিটাগং। ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ৩৮ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়।
দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল- ইন্দোবাংলা ফার্মা, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড, কেয়া কসমেটিকস, ওরিয়ন ফার্মা, মনোস্পুল, ফাইন ফুডস ও ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য