বিপুল সংখ্যক কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে গড়াগড়ি খাওয়ার মধ্যে আরও দরপতন হলো পুঁজিবাজারে। প্রতি দিনই নতুন নতুন কোম্পানি নামছে ফ্লোরে।
পুঁজিবাজার নিয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রধান দাবিগুলো পূরণ এবং অর্থনীতি নিয়ে আতঙ্ক কমে আসার মধ্যে পুঁজিবাজারের এই চিত্র ক্রমেই হতাশ করছে বিনিয়োগকারীদের।
রোববার ৪৮, পরের দিন ৪ পয়েন্টের পর মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ সূচক কমল আরও ২১ পয়েন্ট। লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বাড়লেও ৬০টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৩৬টির দর। আর আগের দিনের দরে হাতবদল হয়েছে ১৭৪টির দর, যেগুলোর প্রায় সবগুলো ফ্লোর প্রাইসে রয়েছে। ফ্লোরের আশেপাশে আছে আরও বিপুল সংখ্যক কোম্পানির শেয়ার।
গত ৩১ জুলাই থেকে পুঁজিবাজারের সূচক ও লেনদেন ঘুরে দাঁড়ানোর পর এই প্রথমবারের মতো টানা তিন কর্মদিবস বাড়ল সূচক।
এই প্রায় দুই মাস সূচক বাড়তে থাকলেও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের উচ্ছ্বাস কিন্তু ফেরেনি। এর কারণ, সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারগুলো দর হারাতে হারাতে ফ্লোরের দিকে ছুটতে থাকলেও সূচক বেড়েছে অল্প কয়েকটি কোম্পানির দর অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকার কারণে। লেনদেনেও সিংহভাগও হয় অল্প কয়েকটি কোম্পানিতে।
আজ হাতবদল হওয়া ৩৭০টি কোম্পানিতে সম্মিলিতভাবে যে লেনদেন হয়েছে তার ২৬ শতাংশ হয়েছে কেবল পাঁচটি কোম্পানিতে। আর শীর্ষে থাকা দুটি কোম্পানিতেই হাতবদল হয়েছে মোট লেনদেনের ১৫ শতাংশের বেশি।
এদিন দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় গত এক মাস ধরে তুমুল আলোচিত ওরিয়ন ও বেক্সিমকো গ্রুপের কোনো কোম্পানিকে দেখা যায়নি। বিপুল সংখ্যক কোম্পানির দর হারানোর মধ্যেও চারটি কোম্পানির দর বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি, একটির দর ৮ শতাংশের বেশি, দুটির ৭ শতাংশের বেশি।
এদিন সকালের শুরুতে চিত্রটি ছিল বেশ আশা জাগানিয়া। সকাল সাড়ে দশটার দিকেও সূচকের অবস্থান আগের দিনের চেয়ে ২৯ পয়েন্ট বেশি ছিল। সে সময় বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়ছিল। এরপর থেকে ধীরে ধীরে দরপতনের পাল্লা ভারি হতে থাকে, কমতে থাকে সূচক।
দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে সূচকের সর্বোচ্চ পতন দেখা যায়। দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ৫২ পয়েন্ট কমে লেনদেন হচ্ছিল তখন। তবে সেখান থেকে কিছুটা উদ্ধার হয় সূচক। বেলা মেষে ডিএসইএক্সের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৮৯ পয়েন্টে। সাত কর্মদিবস পর সূচকের অবস্থান সাড়ে ছয় হাজারের নিচে নামল।
বাজার নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন।
তিনি বলেন, ‘দুই তিন পতনের পর আজকে আরও বেশি পড়ল। যদি এখান থেকে আগামীকাল ঘুরে না দাঁড়ায় তাহলে আরও বড় কারেকশনের আশঙ্কা রয়েছে। আগেও এমনটা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মার্কেট মেকাররা যেভাবে চাচ্ছেন বাজার পরিচালনা করছেন বা বিভিন্ন টুলস অ্যাপ্লাই করে দেখছেন। সম্প্রতি অনেক প্রতিষ্ঠান মার্কেট মেকার লাইসেন্সের জন্য আবদেন করছে। তারা নিজেদের মতো করে মার্কেট মেকিংয়ের চেষ্টা করছে বা নিজেদের সক্ষমতা যাচাই করছে বলে আমার ধারণা।’
সূচক কমাল যারা
সবচেয়ে বেশি ৪ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট সূচক কমেছে বিকন ফার্মার দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট কমেছে বেক্সিমকো লিমিটেডের কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ২ দশমিক ১১ শতাংশ।
ইউনাইটেড পাওয়ারের দর ১ দশমিক ৩১ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ৩ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট।
এ ছাড়া লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, বেক্সিমকো ফার্মা, আইসিবি, শাহজিবাজার পাওয়ার, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, বার্জার পেইন্টস ও পাওয়ার গ্রিডের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ২৩ দশমিক ১৭ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ২ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৫২ পয়েন্ট।
সি পার্ল সূচকে যোগ করেছে ১ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
এর বাইরে সাইফ পাওয়ার, মীর আকতার হোসেন লিমিটেড, ইনডেক্স অ্যাগ্রো, সোনালী পেপার, কেয়া কসমেটিকস, আইপিডিসি ও এডিএন টেলিকম সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১২ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট।
শীর্ষ ৫ খাত যেমন
প্রযুক্তি খাতে ৮টি বা ৭২.৭৩ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৩টি বা শতভাগ, কাগজ ও মুদ্রণ খাতে ৩টি বা ৫০ শতাংশ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। আর কোনো খাতে দরবৃদ্ধি দেখা যায়নি।
লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বিবিধ খাত। ২৩২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বা ১৭.০৩ শতাংশ লেনদেনের বিপরীতে খাতটির ৯টি কোম্পানির দরপতন হয়েছে। ৪টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে। মাত্র একটির দর বেড়েছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয়েছে ২২৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা বা ১৬.৩৮ শতাংশ। এদিন ৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৩টির দরপতন ও ৯টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
আরও তিন খাতে ১০০ কোটির বেশি লেনদেন হলেও তা মোট লেনদেনের ১০ শতাংশের নিচে ছিল।
তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে সেবা ও আবাসন খাতে। ১৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা লেনদেনের বিপরীতে ২টি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধি ও দরপতন হয়েছে।
এর পরে রয়েছে দিনের সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধি পাওয়া প্রযুক্তি খাত। লেনদেন হয়েছে ১৩০ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ৮টির দরবৃদ্ধি ও ৩টির দরপতন হয়েছে।
পঞ্চম অবস্থানে থাকা প্রকৌশল খাতে ১২২ কোটি ৪০ লাখ টাকা লেনদেন হয়। খাতের ৭টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২৪টির দর ও অপরিবর্তিত ছিল ১১টির।
আর কোনো খাতের লেনদেন একশ কোটি স্পর্শ করেনি।
জ্বালানি, বস্ত্র, ভ্রমণ খাতেন লেনদেন হয়েছে পঞ্চাশ থেকে ৯০ কোটির মধ্যে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
শীর্ষ দশের প্রায় সবগুলো কোম্পানির দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা ও এর আশেপাশে।
দরবৃদ্ধির শীর্ষে অবস্থান করছে এডিএন টেলিকম। ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮১ টাকা ২০ পয়সায়। আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৭৪ টাকা ৫০ পয়সা।
৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ দর বেড়ে ইনডেক্স অ্যাগ্রোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪১ টাকা ২০ পয়সায়, আগের দিনের সর্বশেষ দর ছিল ১২৮ টাকা ৯০ পয়সা।
৯ দশমিক ২৭ শতাংশ দর বেড়ে ১৪০ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে তৃতীয় স্থানে থাকা আজিজ পাইপসের শেয়ার। আগের দিন দর ছিল ১২৮ টাকা ৩০ পয়সা।
এই তালিকায় আরও ছিল মীর আকতার হোসেন লিমিটেড, ইস্টার্ন হাউজিং, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, কেয়া কসমেটিকস, লাভেলো আইসক্রিম, ন্যাশনাল হাউজিং ও সাইফ পাওয়ার।
দর পতনের শীর্ষ ১০
এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে দেখা গেছে লোকসানি জুট স্পিনার্সকে। রোববার ৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২০৪ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়।
পতনের তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স। ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ দর কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৬ টাকা ৯০ পয়সায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে মুন্নু অ্যাগ্রো। ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ৫৫৫ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়।
দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল- সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, শাহজিবাজার পাওয়ার, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, জেমিনি সি ফুড, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, মালেক স্পিনিং ও বিকন ফার্মা।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য