এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড গড়ার চার দিনের মাথায় পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনাবেচার গতি অর্ধেকে নেমে এসেছে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। গত এক বছরে এর চেয়ে বেশি লেনদেন কখনও হয়নি। ২০১০ সালে মহাধসের পর এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে মোট সাত কর্মদিবসে।
চার কর্মদিবস পর সোমবার এই লেনদেন দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩০০ কোটি ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
তবে লেনদেনের রেকর্ডের দিন যারা শেয়ার কিনেছেন, তারা বিক্রি করতে গিয়ে এখন গলদঘর্ম হচ্ছেন। কারণ ক্রেতা নেই। কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার ঘিরে অস্বাভাবিক হুলুস্থুলের কারণে সূচক ও লেনদেন ক্রমাগত বাড়তে থাকার যে প্রবণতা দেখা দিয়েছিল, তা এরই মধ্যে গতি হারিয়েছে।
বিশেষ করে ওরিয়ন গ্রুপের চারটি ও বেক্সিমকো গ্রুপের মোট ছয়টি কোম্পানির দুরন্ত গতি থেমে যাওয়ার পর এই চিত্র দাঁড়িয়েছে।
২০ সেপ্টেম্বর বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩৪২ কোটি টাকার বেশি আর ওরিয়ন ফার্মার ৩২৭ কোটি টাকার বেশি। চার কর্মদিবস পর সোমবার ওরিয়ন ফার্মায় লেনদেন হয়েছে ১১৫ কোটি টাকার কিছু বেশি আর বেক্সিমকো লিমিটেডে ১১৪ কোটি টাকার কিছু বেশি।
ওরিয়ন ও বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলো আগের দিনই বিনিয়োগকারীদের কাঁপন ধরিয়েছিল। সেদিন ৪৮ পয়েন্ট সূচক পতনে এই গ্রুপের ছয় কোম্পানির অবদান ছিল ৩৮ পয়েন্ট।
পরদিন কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দরপতন হয়নি। বেড়েছে সামান্য।
আগের দিন দরপতনের শীর্ষে থাকা ওরিয়ন ফার্মার দর ২ টাকা ২০ পয়সা বা ১.৬৩ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশনের দর ৪ টাকা ৬০ পয়সা বা ০.৮১ শতাংশ, বিকন ফার্মার দর ২ টাকা ৪০ পয়সা বা ০.৭৬ শতাংশ বেড়েছে। তবে কোহিনূর কেমিক্যালসের দর কমেছে ৮ টাকা ৭০ পয়সা বা ১.৪৫ শতাংশ।
আগের দিন ৫ শতাংশের বেশি দর হারানো বেক্সিমকো ফার্মার দর ১ টাকা বা ০.৫৮ শতাংশ এবং বেক্সিমকো লিমিটেডের দর ১ টাকা ২০ পয়সা বা ০.৯১ শতাংশ বেড়েছে।
দিনভর উঠানামার পর বেলা শেষে সূচক কমেছে ৪ পয়েন্ট। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক কোম্পানির দর ছিল আগের দিনের দামে, যেগুলোর প্রায় সবই আছে বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইসে। এই সংখ্যাটি ১৭৩। এদিন দরপতন হয়েছে ১৩৭টি কোম্পানির আর বেড়েছে ৬১টির।
গত ৩১ জুলাই থেকে সূচক ও লেনদেন বাড়তে থাকার মধ্যে প্রতিদিনই অনেক কোম্পানি দিনের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমায় দেখা গেলেও সেটি এখন নেমে এসেছে একটিতে।
এদিন শুধু বিডিকমের দর বেড়েছে এক দিনে যতটা বাড়া যায় ততটাই। আর জেএমআই হসপিটালের দর সেই সীমা ছুঁয়ে কয়েক পয়সা কমে লেনদেন শেষ করেছে। আর চারটি কোম্পানির দর ৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
একইভাবে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত কমেনি কোনো কোম্পানির দর। উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দেয়ার আগে ৫ কর্মদিবসে ৪৬ শতাংশ দর বেড়ে যাওয়া আজিজ পাইপের দর কমেছে ৮.৫৫ শতাংশ। ছয় বছর পর পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দেয়ার আগে লাফাতে থাকা জুট স্পিনার্সের দর কমেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭.১৬ শতাংশ।
আরও তিনটি কোম্পানির দর ৬ শতাংশের বেশি, আরও ৭টি কোম্পানির দর ৫ শতাংশের বেশি, আরও ৯টি কোম্পানির দর ৪ শতাংশের বেশি, আরও ৯টি কোম্পানির ৩ শতাংশের বেশি, ২২টি কোম্পানির দর ২ শতাংশের বেশি কমেছে।
ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দিনের শুরুর দিকে ট্রেন্ডি আইটেমগুলো একটু স্লো ছিল। যার প্রভাব সূচকে পড়েছে। তবে দুপুরের পর থেকে কিছুটা রিকোভার করতে দেখা যায়।’
তিনি যোগ করেন, ‘গতকালের বাজারের যে আচরণ ছিল, ট্রেন্ডি আইটেমগুলোর মন্থর গতির কারণে একটু প্যানিকের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই সাইড লাইনে চলে গেছেন। পর্যবেক্ষণ করছেন। হয়তবা কাল-পরশুর মধ্যে তারা আবার ফিরবেন। তাহলে আশা করা যায় যে, লেনদেন আবারও আগের অবস্থানে চলে আসবে।’
সূচক কমাল যারা
সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ১ পয়েন্ট সূচক কমেছে আইসিবির দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ২ দশমিক ০৬ শতাংশ।
আর কোনো কোম্পানির দরপতনে এক পয়েন্ট সূচক কমেনি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৮৭ পয়েন্ট কমেছে লাফার্জ হোলসিমের কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
সি পার্লের দর ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৭১ পয়েন্ট।
এ ছাড়া ইউনিক হোটেল, আইপিডিসি, ইউনিলিভার কেয়ার, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইনডেক্স অ্যাগ্রো, পেনিনসুলা ও অ্যানার্জিপ্যাক পাওয়ারের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৪ দশমিক ৮২ পয়েন্ট।
বিপরীতে কোনো কোম্পানিই এককভাবে এক পয়েন্ট সূচক বাড়াতে পারেনি।
সবচেয়ে বেশি শূন্য দশমিক ৯৯ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে জেএমআই হসপিটাল। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের দর ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮৬ পয়েন্ট।
বেক্সিমকো লিমিটেড সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ৭২ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯১ শতাংশ।
এর বাইরে শাহজিবাজার পাওয়ার, বার্জার পেইন্টস, বিকন ফার্মা, সাইফ পাওয়ার, ওরিয়ন ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা ও বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট।
শীর্ষ ৫ খাত যেমন
শুধুমাত্র সেবা ও আবাসন খাতে ৭৫ শতাংশ কোম্পানির দরবৃদ্ধি দেখা গেছে। যদিও এ খাতের মোট কোম্পানির সংখ্যা তিন। যার মধ্যে দুটির দর বেড়েছে ও একটির কমেছে।
বাকি আর কোনো খাতেই দরবৃদ্ধি দেখা যায়নি।
লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বিবিধ খাত। ২৫৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বা ২১.১৪ শতাংশ লেনদেনের বিপরীতে খাতটির ৫টি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধি ও দরপতন হয়েছে। আর ৩টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয়েছে ১৯৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা বা ১৬.১৭ শতাংশ। এদিন ৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৪টির দরপতন ও ৯টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতে। মোট লেনদেনের ১১.৫৭ শতাংশ বা ১৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা লেনদেন হয়। খাতের ২৮টি কোম্পানির দরপতনের বিপরীতে বেড়েছে ৪টির দর ও অপরিবর্তিত ছিল ১০টির।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা জ্বালানি খাতে দরপতন হয়েছে ১৭টি কোম্পানির, বেড়েছে ৪টির দাম। আর আগের দিনের দামে লেনদেন হয়েছে ২টি কোম্পানির শেয়ার।
মোট লেনদেনের ৮.৩৭ শতাংশ বা ১০২ কোটি ২৮ লাখ টাকা লেনদেন হয় খাতটিতে।
আর কোনো খাতের লেনদেন এক শ কোটি স্পর্শ করেনি।
পঞ্চম অবস্থানে থাকা বস্ত্র খাতে লেনদেন হয়েছে ৮০ কোটি ৪২ লাখ। ৪টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২১টির। আর দাম অপরিবর্তিত থেকে লেনদেন হয়েছে ৩৩টি কোম্পানির শেয়ার।
এ ছাড়াও ভ্রমণ, প্রযুক্তি, সেবা ও আবাসন খাতে পঞ্চাশ কোটির ওপরে লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনে সেরা ওরিয়ন-বেক্সিমকো
আগের দিন দরপতনের পরে আজ দরবৃদ্ধির সঙ্গে লেনদেনে শীর্ষ অবস্থান ধরে ওরিয়ন ফার্মা ও বেক্সিমকো লিমিটেড।
ওরিয়ন ফার্মার ৮৪ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১১৫ কোটি ১২ লাখ ১ হাজার টাকায়।
বেক্সিমকো লিমিটেডের লেনদেন হয়েছে ১১৪ কোটি ৬৮ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। হাতবদল হয়েছে ৮৬ লাখ ২১ হাজার ৪টি শেয়ার।
আর কোনো কোম্পানির লেনদেন এক শ কোটি টাকা ছুঁতে পারেনি।
তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের। ৪২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৮ কোটি ৬৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকায়।
জেএমআই হসপিটালের লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ৬ লাখ ৭২ হাজার টাকার।
এ ছাড়া শীর্ষ দশের মধ্যে থাকা ইস্টার্ন হাউজিং, ইউনিক হোটেল, শাহজিবাজার পাওয়ার, কপারটেক, শাইনপুকুর সিরামিকস ও সি পার্লের লেনদেন হয়েছে ২০ থেকে ৪০ কোটির মধ্যেই।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
দরবৃদ্ধির শীর্ষে অবস্থান করছে বিডিকম। ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৪ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৫৯ টাকা।
৯ দশমিক ৬১ শতাংশ দর বেড়ে জেএমআই হসপিটালের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩২ টাকা ৩০ পয়সায়, আগের দিনের সর্বশেষ দর ছিল ১২০ টাকা ৭০ পয়সা।
৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ দর বেড়ে ৬১ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে তৃতীয় স্থানে থাকা ফাইন ফুডসের শেয়ার। আগের দিন দর ছিল ৫৬ টাকা ৯০ পয়সা।
দরবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষ দশে ছিল ইয়াকিন পলিমার, শাহজিবাজার পাওয়ার, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, এডিএন টেলিকম, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, সাইফ পাওয়ার ও শাইনপুকুর সিরামিকস।
দর পতনের শীর্ষ ১০
পতনের তালিকার শীর্ষে ছিল আজিজ পাইপস। ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ দর কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২৮ টাকা ৩০ পয়সায়।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে জুট স্পিনার্স। ৭ দশমিক ১৬ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ২২০ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়।
দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল- নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং, পেনিনসুলা চিটাগং, সি পার্ল, পেপার প্রোসেসিং, মোজাফ্ফর স্পিনিং, অ্যাসোসিয়েটে অক্সিজেন, ইনডেক্স অ্যাগ্রো এবং এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য