ওরিয়ন গ্রুপের তিন কোম্পানির অবিশ্বাস্য উত্থানপর্ব শেষে এখন উল্টো চিত্র। এই গ্রুপের চারটি কোম্পানির মধ্যে একটির দর কমেছে এক দিনে যতটা কমা সম্ভব, প্রায় ততটাই। অন্য তিনটির দরও পতনের সর্বনিম্ন সীমার কাছাকাছি গিয়ে ফিরে এসেছে।
রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সূচক টেনে নামাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবক ছিল ওরিয়ন ও বেক্সিমকো কোম্পানির চার কোম্পানি।
ওরিয়ন গ্রুপের মতো অতটা না হলেও বেক্সিমকোর এই দুটি কোম্পানির দর গত এক মাসে বেড়েছিল অনেকখানিই। তবে এগুলো এই সময়ে আসলে হারিয়ে ফেলা দরের কিছুটা ফেরত পেয়েছিল মাত্র।
এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৮.৮৩ পয়েন্ট। এর মধ্যে দুই গ্রুপের ওরিয়ন ফার্মা, বিকন ফার্মা, বেক্সিমকো লিমিটেড ও বেক্সিমকো ফার্মা- এই চার কোম্পানির কারণেই কমেছে ৩৮.০৮ পয়েন্ট।
বড় দরপতন, অথচ দর বৃদ্ধি আর পতন হওয়া কোম্পানির মধ্যে সংখ্যাগত পার্থক্য খুব বেশি ছিল না। আর সংখ্যায় সবাইকে ছাড়িয়ে আবারও ফ্লোর প্রাইসে থাকা কোম্পানি। দর বেড়েছে ৯৩টি কোম্পানির, কমেছে ১১৭টির আর আগের দিনের দরে লেনদেন হয়েছে ১৬০টি, যেগুলোর সিংহভাগই হাতবদল হয় ফ্লোর প্রাইসে।
অথচ গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধি পাওয়ার তুলনায় পতন হওয়া কোম্পানির সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার পরও সূচকের উত্থান দেখা গেছে।
ওরিয়ন ও বেক্সিমকো গ্রুপের পাঁচটি কোম্পানির পাশাপাশি গত ৩১ জুলাই থেকে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই অনেকখানি বেড়েছিল, এমন বেশ কিছু কোম্পানিরও বড় দরপতন হয়েছে।
দরপতনের মধ্যেও বেড়েছে লেনদেন। হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ৮১০ কোটি ৫২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা, যা বৃহস্পতিবার ছিল ১ হাজার ৬৬৬ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
ওরিয়ন ও বেক্সিমকো গ্রুপের শেয়ারে দরপতন নিয়ে ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ট্রেন্ডি আইটেমগুলোর মধ্যে কয়েকটির বায়ারলেস হতে দেখা গেছে। যার মধ্যে দুটির বায়ার ফিরে আসলেও একটির নেই (ওরিয়ন ফার্মা)। ফলে সেটার ইম্প্যাক্ট সূচকে পড়েছে। যেটার কারণে সাইকোলজিক্যাল অ্যাটিটিউড চেঞ্জ হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে মার্কেটে যে কোনো র্যালি আসার পর এক সময় তা থামবেই। আগেও বলেছি যে, যেসব আইটেমে র্যালি হচ্ছে সেগুলো বায়ারলেস হলে একটু চিন্তা করে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
ওরিয়নের চার কোম্পানির কী অবস্থা
পুঁজিবাজারের টাকা দরপতনের মধ্যে ঘুরে দাঁড়ানো এই ৩১ জুলাই। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩৭ কর্মদিবসে সূচক বেড়েছে ৬০০ পয়েন্টেরও বেশি, কিন্তু তা অল্প কয়েকটি কোম্পানির দর অস্বাভাবিক হারে বাড়ার কারণেই। সিংহভাগ কোম্পানি সেই ফ্লোর প্রাইসেই গড়াগড়ি খাচ্ছে।
এই সময়ের মধ্যে বিস্ময় তৈরি করে ওরিয়ন ইনফিউশনের উত্থান। গত ২৮ জুলাই কোম্পানিটির দর ছিল ১০৪ টাকা ৭০ পয়সা। ৩৬ কর্মদিবস শেষে ২১ সেপ্টেম্বর দর দাঁড়ায় ৬২৬ টাকা ৫০ পয়সা। পরের দিন দর দাঁড়ায় ৫৭৫ টাকা ৬০ পয়সা।
কোম্পানিটি রোববার একপর্যায়ে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ৫৩২ টাকা ৫০ পয়সার কাছাকাছি চলে এসেছিল। তবে ৫৩৪ টাকা পর্যন্ত নামার পর আবার ঘুরে দাঁড়ায়। দিনের একেবারে শেষ দিকে হঠাৎ বেড়ে দাম দাঁড়ায় ৫৬৫ টাকা ৭০ পয়সা। কমেছে ৯ টাকা ৯০ পয়সা বা ১.৭২ শতাংশ।
এদিন দরপতনের সর্বোচ্চ সীমায় ছিল ওরিয়ন ফার্মা।
কোম্পানিটির দর গত ২৮ জুলাই ছিল ৭৮ টাকা ৭০ পয়সা। ৩৭ কর্মদিবস পর ২২ সেপ্টেম্বর দাঁড়ায় ১৪৯ টাকা ৬০ পয়সা, সেদিন সর্বোচ্চ দর ছিল ১৫৬ টাকা ৫০ পয়সা।
এটির পতনের সর্বোচ্চ সীমা ছিল ৯.৯৬ শতাংশ। নামতে পারত ১৩৪ টাকা ৭০ পয়সা পর্যন্ত। এই দরেই হাতবদল হয়েছে বিপুলসংখ্যক শেয়ার। পরের দিন শেষ করে ১৩৫ টাকা ১০ পয়সায়।
এই দরপতনের কারণে ডিএসইএক্স থেকে হারিয়ে গেছে ৮.০২ পয়েন্ট।
এদিন সূচক সবচেয়ে বেশি কমিয়েছে একই গ্রুপের আরেক কোম্পানি বিকন ফার্মা। কোম্পানিটির ৬.২৩ শতাংশ দরপতনে সূচক কমেছে ১১.৪২ পয়েন্ট।
গত ২৮ জুলাই কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ২৪০ টাকা ৬০ পয়সা। ২০ সেপ্টেম্বর উঠে যায় ৩৯৩ টাকায়। সেদিনই অবশ্য দিন শেষ করে ৩৬১ টাকায়। গত বৃহস্পতিবার দর দাঁড়ায় ৩৩৫ টাকা ৬০ পয়সায়।
এদিন দর নামতে পারত ৩০৬ টাকা ৩০ পয়সা পর্যন্ত। নেমেছিল ৩১০ টাকা পর্যন্ত। তবে দিন শেষ করে ৩১৪ টাকা ৭০ পয়সায়। পতন হয় ৬.২৩ শতাংশ।
অস্বাভাবিক হারে লাফাতে থাকা কোহিনূর কেমিক্যালসের দরপতন হয়েছে ৭.০৫ শতাংশ, যে কারণে সূচক কমেছে ২.৭৫ পয়েন্ট।
গত ২৮ জুলাই কোম্পানিটির দর ছিল ৩৭৯ টাকা ৯০ পয়সা। ২১ সেপ্টেম্বর দর উঠে ৭৫৭ টাকা ৪০ পয়সা পর্যন্ত। তবে দিন শেষ করে দর হারিয়ে। গত বৃহস্পতিবার দর ছিল ৬৪৫ টাকা ৪০ পয়সা। ৪৫ টাকা ৫০ পয়সা কমে এখন দাঁড়িয়েছে ৫৯৯ টাকা ৯০ পয়সা।
বেক্সিমকো গ্রুপের কত পতন
এদিন সূচকের পতনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রভাবক ছিল বেক্সিমকো ফার্মা। ১০.০২ পয়েন্ট সূচক কমেছে কোম্পানিটির শেয়ারের ৫.২৫ শতাংশ দরপতনে।
কোম্পানিটির শেয়ারদর গত ২৮ জুলাই ছিল ১৪৬ টাকা। গত ১১ সেপ্টেম্বর উঠে ১৯১ টাকা ৩০ পয়সা। গত বৃহস্পতিবার সেখান থেকে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ১৮০ টাকা ৮০ পয়সা।
রোববার দর দাঁড়ায় ১৭১ টাকা ৩০ পয়সায়। কমেছে ৯ টাকা ৫০ পয়সা।
বেক্সিমকো লিমিটেডের গত ২৮ জুলাই ছিল ১১৪ টাকা ২০ পয়সা। সম্প্রতি দর ১৪৬ টাকা ছাড়িয়ে গেলেও গত বৃহস্পতিবার স্থির হয় ১৩৪ টাকা ৫০ পয়সায়। ২ টাকা ৮০ পয়সা কমে দর দাঁড়িয়েছে ১৩১ টাকা ৭০ পয়সায়।
এই কোম্পানিটির কারণে সূচক কমেছে ৫.৮ পয়েন্ট।
অবশ্য এই দুটি কোম্পানির দর গত বছরের নভেম্বর থেকে অনেকটাই কমে গিয়েছিল। এর মধ্যে বেক্সিমকো লিমিটের ১৯০ টাকার ঘর থেকে নেমে আসে ১১০ টাকার ঘরে, আর বেক্সিমকো ফার্মার দর ২৫৫ টাকা থেকে নেমে আসে দেড় শ টাকার নিচে।
গ্রুপের আরও দুই কোম্পানি শাইনপুকুর সিরামিকস ও আইএফআইসি ব্যাংকের দর খুব একটা পাল্টায়নি এদিন।
সূচকে আরও প্রভাব যেসব কোম্পানির
ওরিয়ন ও বেক্সিমকোর চার কোম্পানির বাইরে ইউনাইটেড পাওয়ারের ২.১ শতাংশ দরপতনে সূচক কমেছে ৭.৬৮ পয়েন্ট।
এই কোম্পানিটির দর গত ২৮ জুলাই থেকে খুব একটা বেড়েছে এমন নয়।
রাষ্ট্রায়ত্ত শিপিং করপোরেশনের শেয়ারদর ৬.৪৫ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ৩.৯৩ পয়েন্ট।
গত ২৮ জুলাই কোম্পানিটির শেয়ারদর দাঁড়ায় ১০৫ টাকা ৭০ পয়সায়। ২২ সেপ্টেম্বর দর দাঁড়ায় ১৬৮ টাকা ৯০ পয়সা। সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ১৫৮ টাকা।
শাহজিবাজার পাওয়ারের দর ৭.৬৪ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ৩.২৭ পয়েন্ট।
জুলাইয়ের শেষ দিন থেকে জ্বালানি খাতের এই একটি কোম্পানির দরই অনেকখানি বেড়েছে। ২৯ জুলাই দর ছিল ৬৬ টাকা ১০ পয়সা। ২২ জুলাই ছিল ১০০ টাকা ৮০ পয়সা।
সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ৯৩ টাকা ১০ পয়সায়।
জেএমআই হসপিটালের দর কমেছে ৮.২১ শতাংশ, যার কারণে সূচক কমেছে ৩.২ পয়েন্ট।
কোম্পানিটির শেয়ারদর গত ২৮ জুলাই ছিল ৬৮ টাকা ৪০ পয়সা। গত সপ্তাহে দাম বেড়ে হয়েছে ১৩৮ টাকা ৯০ পয়সা। বৃহস্পতিবার দর দাঁড়ায় ১৩১ টাকা ৫০ পয়সা। ১০ টাকা ৮০ পয়সা হারিয়ে এখন দর ১২০ টাকা ৭০ পয়সা।
সূচক পতনে ভূমিকা রাখা দশম কোম্পানি বসুন্ধরা পেপার মিলসের দর কমেছে ৭.১২ শতাংশ, যে কারণে সূচক কমেছে ২.৬৩ পয়েন্ট।
গত ২৮ জুলাই কোম্পানিটির দর ছিল ৪৮ টাকা ৮০ পয়সা। গত বৃহস্পতিবার দাঁড়ায় ৮৯ টাকা ৯০ পয়সায়, যদিও দর উঠে ৯৩ টাকা পর্যন্ত।
একদিনে ৬ টাকা ৪০ পয়সা কমে দর দাঁড়িয়েছে ৮৩ টাকা ৫০ পয়সা।
লেনদেনে সেরা ওরিয়ন-বেক্সিমকো
দরপতন হলেও লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে ওরিয়ন ফার্মা ও বেক্সিমকো লিমিটেড।
ওরিয়ন ফার্মার এক কোটি ২৭ লাখ ১১ হাজার ৩২০টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১৭৯ কোটি ১৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকায়।
বেক্সিমকো লিমিটেডের লেনদেন হয়েছে ১১৪ কোটি ৫৯ লাখ ১ হাজার টাকা। হাতবদল হয়েছে এক কোটি ১৪ লাখ ৫৯ হাজার ১০টি শেয়ার।
আর কোনো কোম্পানির লেনদেন এক শ কোটি টাকা ছুঁতে পারেনি।
তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের। এক কোটি ২০ লাখ ৬৩ হাজার ৫০২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৭ কোটি ৬৫ লাখ ২১ হাজার টাকায়।
চুতুর্থ স্থানে আছে দর হারানো বিডিকম, যার লেনদেন হয়েছে ৮৪ কোটি ৪৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকার। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের লেনদেন হয়েছে ৬২ কোটি ৭ লাখ ৮ হাজার টাকার শেয়ার।
জেএমআই হসপিটালের ৫৮ কোটি ও ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ৫৭ কোটির ওপরে লেনদেন হয়েছে।
শাহজিবাজার পাওয়ার, বিবিএস ও ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিংয়ের লেনদেন হয়েছে ৩০ থেকে ৫০ কোটির মধ্যেই।
কোন খাত কেমন
ব্যাপক দরপতনের কারণে বেশিরভাগ খাতেই দরপতন হয়েছে, বিপরীতে দরবৃদ্ধি দেখা গেছে দুই-একটিতে।
কোম্পানির সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি দরবৃদ্ধি হয়েছে প্রকৌশল খাতে। ২৬টি বা ৬১.৯০ শতাংশ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে।
শতভাগ দরবৃদ্ধির বেশি হয়েছে ছোট খাত ভ্রমণ ও অবকাশ এবং পাটে।
২৩টি কোম্পানির দর বেড়েছে বস্ত্র খাতের। বিপরীতে ৩১টির দর অপরিবর্তিত থেকে লেনদেন হয়েছে, কমেছে ৪টির দর।
এ ছাড়াও সেবা ও আবাসন খাতে ৭৫ শতাংশ, কাগজ ও মুদ্রণ খাতে ৬৬ শতাংশ, সিরামিকস ৬০ শতাংশ, জীবন বিমা খাতে ২৫ শতাংশ, জ্বালানি ও খাদ্য খাতে ২১ শতাংশ করে কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে।
তালিকাভুক্ত ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩০টির লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে একটির দরবৃদ্ধি ও সবগুলোর দরই ফ্লোর প্রাইসেই অপরিবর্তিত হয়েছে।
আগের দিনের চেয়ে লেনদেন আরও কমলেও শীর্ষে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। হাতবদল হয়েছে ৩২০ কোটি ৮০ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ২৩ শতাংশ।
১৯টি কোম্পানির দরপতন হয়েছে। আগের দরেই লেনদেন হয়েছে ৯টির, দরবৃদ্ধি হয়েছে ২টির।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বিবিধ খাতের লেনদেন হয়েছে ২৬৬ কোটি ৯৬ লাখ। ৩টি কোম্পানির দরবৃ্দ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৭টির ও ৩টির অপরিবর্তিত ছিল।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ২০৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতে।
এর পরেই ১৫৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা প্রযুক্তি এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
জ্বালানি খাতে ১৩৯ কোটি ৮০ লাখ ও বস্ত্র খাতে ১২৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
বাকি খাতের লেনদেন এক শ কোটির নিচে ছিল।
এর পরে লেনদেনের ওপরের দিকে ছিল সেবা ও আবাসন, কাগজ ও মুদ্রণ, খাদ্য ইত্যাদি খাত।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
শীর্ষ দশের প্রায় সবগুলো কোম্পানির দরই বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ ও এর আশেপাশে।
দরবৃদ্ধির শীর্ষে অবস্থান করছে সি পার্ল। ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩৭ টাকা ৬০ পয়সায়। আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইস ছিল ১২৫ টাকা ২০ পয়সা।
৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দর বেড়ে মনোস্পুলের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০৩ টাকা ৯০ পয়সায়, আগের দিনের সর্বশেষ দর ছিল ১৮৫ টাকা ৪০ পয়সা।
৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ দর বেড়ে ২১ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে তৃতীয় স্থানে থাকা ফারইস্ট নিটিংয়ের শেয়ার। আগের দিন দর ছিল ১৯ টাকা ৩০ পয়সা।
এ ছাড়াও দরবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষ দশে রয়েছে অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, অ্যাপেক্স ফুডস, নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং, পেপার প্রোসেসিং, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স ও ইন্ট্রাকো রি –ফুয়েলিং স্টেশন।
দর পতনের শীর্ষ ১০
পতনের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। রোববার ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৩৫ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়।
পতনের তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে জেএমআই হসপিটাল। ৮ দশমিক ২১ শতাংশ দর কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২০ টাকা ৭০ পয়সায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে শাহজিবাজার পাওয়ার। ৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ৯৩ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়।
দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল- বিডি থাইফুড, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, বসুন্ধরা পেপার, কোহিনূর কেমিক্যাল, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, মীর আকতার ও বিকন ফার্মা।
আরও পড়ুন:
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য