× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Napier is a multi billion dollar business
google_news print-icon

নেপিয়ার ঘাসে শতকোটির ব্যবসা

নেপিয়ার-ঘাসে-শতকোটির-ব্যবসা
নেপিয়ার ঘাসের বাণিজ্যিক চাষাবাদ প্রতিনিয়ত বিকশিত হচ্ছে বলছে উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তর। ছবি: নিউজবাংলা
উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তর বলছে, নেপিয়ার ঘাসের বাণিজ্যিক চাষাবাদ প্রতিনিয়ত বিকশিত হচ্ছে; যাকে আশ্রয় করে ২৯৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের উপজেলায় অন্তত ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। আর বছরে অর্থনৈতিক লেনদেন হয় অন্তত ১০০ কোটি টাকা।

এক সময়ের অনাবাদি কিংবা সড়কের পাশের পতিত জমিও এখন দেশীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সবই প্রয়োজনীয় হয়ে উঠছে আধুনিক বা বিজ্ঞানসম্মত চাষাবাদের কল্যাণে। এই বিষয়টি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে বগুড়ার শেরপুরে।

উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তর বলছে, নেপিয়ার ঘাসের বাণিজ্যিক চাষাবাদ প্রতিনিয়ত বিকশিত হচ্ছে; যাকে আশ্রয় করে ২৯৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের উপজেলায় অন্তত ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। আর বছরে অর্থনৈতিক লেনদেন হয় অন্তত ১০০ কোটি টাকা।

তাদের একজন হলেন বগুড়ার শেরপুরের মহিপুর এলাকায় বাসিন্দা আপেল মাহমুদ। ৭ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে নেপিয়ার ঘাস চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা ১৭ হাজার টাকা করে ইজারা নিয়ে কাঠমিস্ত্রী পেশা ছেড়ে এখন পুরোদমে খামারি হয়েছেন। ফ্রিজিয়ান জাতের পাঁচটি গরু পালনের পাশাপাশি ঘাস চাষকে আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে ব্যাখ্যা করলেন।

নিজের এলাকার মহিপুর বাজারে এক স্কুল মাঠে প্রতিদিন বেলা তিনটার দিকে ঘাসের হাট বসে; সেখানে বছরের প্রায় প্রতিদিন ঘাস বিক্রি করেন ৩৪ বছর বয়সী এই যুবক।

সম্প্রতি এই হাটে ঘাস বিক্রি করতে করতে আপেলের সঙ্গে আলাপ হয়। জানান, আট থেকে দশ বছর কাঠমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। এই কাজ করে সংসার চলে কিন্তু প্রশান্তি মেলে না। এক সময় এমন চিন্তা থেকেই পেশা বদল করেছেন। জমানো টাকা দিয়ে ২ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে শুরু করলেন ঘাস চাষ। বছর শেষে প্রায় ২ লাখ টাকার ঘাস বিক্রি করেন এই জমি থেকেই।

লাভের দিক বিবেচনায় নিয়ে এরপর আপেল মাহমুদ ফ্রিজিয়ান জাতের পাঁচটি গরু পালন শুরু করেন। গত পাঁচ বছর ধরে এভাবেই তিনি ঘাস চাষ আর গরু পালন করছেন। ঘাস চাষের জমির পরিধি বেড়ে ৭ বিঘায় এসেছে। জীবনযাপনের জন্য প্রথমে ঘাস চাষ শুরু করলেও আপেল এখন এটিকে বাণিজ্যিক রূপ দিয়েছেন; যেখানে খামারের গরুর জন্য ঘাস চাষও হচ্ছে, একই সঙ্গে অন্যদের গরুর প্রাকৃতিক খাদ্য সরবরাহ দেয়া সম্ভব হচ্ছে। আপেলের মতে, এক সঙ্গে গরু পালন আর ঘাস চাষের মধ্যে খামারিদের ব্যাপক সম্ভাবনা লুকিয়ে রয়েছে।

নেপিয়ার ঘাসে শতকোটির ব্যবসা

শুধু শেরপুর উপজেলায় গরু পালনের অন্তত ২ হাজার জন খামারি রয়েছেন। এখানে ২ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি গরু রয়েছে। শুধু উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দেয়া এই তথ্য বলছে, প্রতিদিন এই উপজেলা থেকে অন্তত দেড় লাখ লিটার দুধ উৎপাদন হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। খামারিরা এখন রেডি ফিডের চেয়ে ঘাস খাওয়ানোই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। উপজেলায় অন্তত ২ হাজার একর জমিতে এবার ঘাষ চাষের অন্যতম কারণ এটিও।

তবে ঘাষ চাষের তাৎপর্য নিয়ে বহুমুখী ব্যাখ্যা রয়েছে কৃষকদের কাছেই। মহিপুরের জামতলা গ্রামের চাষী মো. হেলাল হোসেন প্রতি বছরই ২ বিঘা জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ করেন।

চাষের কারণ জানতে চাইলে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অন্য যেকোনো ফসলের চেয়ে ঘাস চাষ লাভজনক। এক বিঘা জমিতে ঘাস চাষ করতে এখন ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়। বিপরীতে ঘাস বিক্রি হয় ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার। একই সঙ্গে ঘাস চাষে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের শঙ্কা নেই। ঝুঁকি নেই বললেই চলে। শ্রমিক খরচ কম। কম শ্রম দেয়া লাগে। চাহিদাও ভালো। সব দিক থেকেই অন্য ফসলের চেয়ে ঘাস চাষ লাভজনক।’

গাড়িদহ এলাকার আব্দুল হামিদ ১৮ বছর ধরে ৪ বিঘা জমিতে ঘাস চাষ করছেন। তিনি জানান, আগের চেয়ে নেপিয়ার ঘাসের চাহিদা বেড়েছে বহুগুণে। পতিত ধরনের জমিতে অন্য কিছু চাষাবাদ করা যায় না বলে তিনি সেখানে ঘাস চাষ করেন। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আগামীতে ঘাস চাষের পরিসর আরও বাড়ানোর লক্ষ্য তার।

শেরপুরের উলিপুরের বাসিন্দা আব্দুস সালাম ঘাসের ব্যবসা করেন। মহিপুর বাজারে কৃষকদের কাছ থেকে ঘাস কিনে খামারিদের কাছে বিক্রি করেন তিনি। এ ঘাস বিভিন্ন আকারের আটি বেঁধে বিক্রয় করা হয়। ১০ থেকে শুরু করে ৪০ টাকা দামের আটি বিক্রয় করেন ব্যবসায়ীরা।

এই ব্যবসায়ীর অবশ্য ফ্রিজিয়ান জাতের ৬টি গরু রয়েছে। জানান, শেরপুরে ঘাস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে অনেক লম্বা একটি চেইন গড়ে উঠেছে। অন্তত ২০০ মানুষ সরাসরি এই ঘাস ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন।

চাহিদার প্রেক্ষাপটে জেলাজুড়ে ঘাস চাষও বাড়ছে। বগুড়া প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, জেলাজুড়ে ঘাস চাষের চাহিদা বাড়ছে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে জেলায় ৫৭৫ একর জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ করা হয়েছে। এর আগের অর্থ বছরে ৪৪৮ একর জমিতে ঘাস চাষ করা হয়েছিল। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ১২৭ একর জমিতে ঘাস চাষ বেড়েছে।

নেপিয়ার ঘাসে শতকোটির ব্যবসা

শেরপুরের মহিপুরের আব্দুর রশিদ প্রতিদিন ১০টি গরুর জন্য ১ হাজার থেকে ১২ শ টাকার ঘাস কেনেন। ৩০০ থেকে ৪০০ কেজি ওজনের একটি গাভীকে দৈনিক ১৫ থেকে ২৫ কেজি কাঁচা ঘাস খাওয়াতে হয়।

এই খামারি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগে গরুর ফিডের দাম কম ছিল। কিন্তু এখন বেড়েছে। ফিড খাওয়ালে খরচ বেশি হয়।’ এই কারণে ঘাস কিনে খাওয়ান তিনি। ঘাসের চাহিদা আরও বাড়বে বলে মনে করেন এই প্রবীণ খামারি।

এখন গরুর ফিডের কাঁচামালও আমদানি করতে হয়। বিশ্ববাজারে অস্থিরতার কারণে দাম বেড়েছে সব পণ্যের। তবে অন্য খাবারের চেয়ে গরু-মুরগীর ফিডের দাম অনেক বেড়েছে বলে জানান খামারিরা। ফলে স্বভাবতই ঘাসের দিকে আরও বেশি করে ঝুঁকছেন তারা।

গো-খাদ্যের দামের সংকটের কারণে ঘাস চাষের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে বলে বলে মনে করেন শেরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রায়হান। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘাস হচ্ছে গো-খাদ্যের প্রাকৃতিক উপাদান। সুষম খাদ্যের সব উপাদান রয়েছে ঘাসের মধ্যে। গরু-মহিষের দুধ, মাংস উৎপাদনের উপকরণ তৈরিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে প্রাকৃতিক ঘাস। বিভিন্ন গবেষণাতেও পাওয়া গেছে, দানাদার ফিডের চেয়ে ঘাস গো-খাদ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি।’

তিনি আরও বলেন, গরু-মহিষের প্রজননের জন্য যে হরমোন দায়ী তার নাম ইস্ট্রোজেন (Estrogen) । ঘাস এই হরমোন তৈরিতে সরাসরি ভূমিকা পালন করে। ফলে গরু বা মহিষকে ঘাস খাওয়ালে তার প্রজনন ক্ষমতাও বাড়ে। এই কারণে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কৃষকদের ঘাস চাষে উদ্বুদ্ধ করছে। ঘাসের বীজ, প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দক্ষতা বাড়ানো হয়েছে। এর ফল এখন আমরা পাচ্ছি।’

এই উপজেলা থেকে প্রতি বছরে অন্তত ১০০ কোটি টাকার ঘাস উৎপাদন হচ্ছে। এসব ঘাস এই উপজেলার চাহিদা পূরণ করে অন্য উপজেলার সংকটও মেটাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রাণিসম্পদ এই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশি কোম্পানিতে বিদেশি বিনিয়োগ
ঘরে তৈরি খাবার নিয়ে উৎসব
নারী উদ্যোক্তাদের অনলাইন পণ্যমেলা
‘বিশেষ সুবিধা নয়, বাজেটে নারীর প্রতি বৈষম্যের অবসান চাই’
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্রিপেইড কার্ড চালু

মন্তব্য

আরও পড়ুন

গৃহিণী থেকে সফল খামারি মাসে আয় লাখ টাকা

গৃহিণী থেকে সফল খামারি মাসে আয় লাখ টাকা খামারে তিনটি পৃথক শেডে গরু, ছাগল, ভেড়া ও হাঁস-মুরগি লালন পালন করে একজন আত্মনির্ভরশীল নারী ফরিদা বেগম। ছবি : বাসস

‘দিনে তিন বেলার জায়গায় একবেলা খাইয়াও দিন কাটাইছি। আটজনের সংসারে সবার পাতে খাওন দিয়া থাকলে খাইছি। সেইসব দিনের কথা ভাবলেও কষ্ট লাগে’-ফরিদা বেগমের সেইসব কষ্টের দিনও এখন ফিকে হয়ে এসেছে।

অভাবী সেই মানুষটি আজ সফল খামারি। শূন্য থেকে শুরু করে হয়েছেন লাখপতি। কঠোর পরিশ্রম ও নিরন্তর চেষ্টায় গড়ে তুলেছেন ছোট্ট একটি গৃহপালিত পশুপাখির খামার। যে খামার ঘুরিয়েছে তার ভাগ্যের চাকা। খামার থেকে প্রতি মাসে মুনাফা করছেন এক থেকে দেড় লাখ টাকা।

জেলার সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন দেলপাড়ার বাসিন্দা আজিজ মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৩৭)। মাত্র তেরো বছর বয়সে বিয়ে করে স্বামী আজিজ মিয়ার সঙ্গে যশোর থেকে নারায়ণগঞ্জে পাড়ি জমান। এরপর একে একে চার সন্তানের মা হয়েছেন। স্বামীর চায়ের দোকানের আয়ে শ্বশুর-শ্বাশুড়িসহ পরিবারের ভরণপোষণ ছিল কষ্টসাধ্য।

আয়ের চেষ্টা করেও সফলতার ছোঁয়া পাননি। তবুও দমে যাননি। অবশেষে গৃহপালিত পশু-পাখি পালন করে হয়ে উঠেছেন একজন আত্মনির্ভরশীল নারী।

নিজস্ব জমি নেই ফরিদা বেগমের। ফতুল্লার দেলপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ির এক অংশে তিনি পরিবার নিয়ে বাস করেন। অন্য অংশে গড়ে তুলেছেন গৃহপালিত পশু-পাখির খামার। সেখানে বসেই নিজের জীবনের বাঁক ঘুরে যাওয়ার গল্প শোনালেন তিনি।

অভাবের তাড়নায় ভাগ্যের পরীক্ষা

বাসসের সঙ্গে আলাপকালে ফরিদা বেগম বলেন, ‘ঘরে দুই টাকা বাড়তি আনার জন্য অনেক কাজ করছি। কিন্তু কোন লাভ হয় নাই। পরে একদিন সিরাজগঞ্জের এক ভাই আমারে কইলো, আপনে গরু পালেন, পালতে পারলে লাভ আছে। ওনারে আমি চিনতামও না। অপরিচিত একটা মানুষরে কেমনে টাকা দেই! আমার জামাই মত দিতাছিল না।

আমার বড় মাইয়া কয়, আম্মু দেও টাকা, মনে করো এটা আমাগো ভাগ্যের খেলা। হয় হারমু, নয় জিতমু। পরে ৪০ হাজার টাকা কিস্তিতে ঋণ নিয়া সিরাজগঞ্জের খোকন ভাইরে দেই। গরু নিয়া সেই দিন রাতেই আওনের কথা আছিল। দুইদিন পাড় হলেও সে আয়ে না। চায়ের দোকানের টাকায় সংসার চলেনা। কিস্তি দিমু কেমনে? টেনশনে টেনশনে খালি কানছি। তিনদিন পর রাইতে দুইটা বাছুর নিয়ে আইসে। বাছুর পাইয়া কি যে খুশি হইছিলাম! এক মাস বারো দিন পর বাছুর গুলা বিক্রি করে ৩২ হাজার টাকা লাভ হইছিল। এটা দেইখা মাইয়ার বাপেও কয়, ‘গরুতে লাভ ভালোই হয়। সারা বছর কামাইয়াও তো এতো টাকা একসঙ্গে জমাইতে পারি না আমরা।

গরু বিক্রির লাভের টাকা ফরিদার চোখে জ্বালিয়ে দেয় আশার আলো। দেখেন খামার করার স্বপ্ন। তিনি বলেন, ৩২ হাজার টাকাসহ কিছু টাকা ঋণ নিয়া আমার জামাইরে পাঠাইলাম সিরাজগঞ্জ। তারে বললাম গরুর লগে আমার জন্য ২টা ছাগলও আইনো। কিন্তু সে প্রথমে রাজি হয় নাই। পরে সেখান থেকে ৭৬ হাজার টাকা দিয়ে একটা বাছুরসহ দুধের গাভি আনে। আর ৯ হাজার টাকা দিয়ে ৪ টা ছোট ছাগলও আনে। এগুলো থেকে বাচ্চা হয়। আবার আমাগো এলাকার একটা খামার থেকে ৫টা ছাগল কিনছিলাম ১৭ হাজার টাকা দিয়া। ছাগল একেবারে ৩টা করেও বাচ্চা দেয়। এক বছরের মধ্যে ছোট বড় মিলাইয়া আমার ৮০টা ছাগল হইছিল। ছাগল প্রতিটা সাইজ অনুযায়ী ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকায় বেঁচছি। বছরখানেক বাদে আমারে এক দালালে জানাইলো, ভেড়া পালতে তেমন খরচ নাই, অসুখও কম হয়। সেসময় গরু বেচছিলাম একটা। সেই টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকায় ভেড়া কিনছি। ৩০ হাজার টাকা দিয়ে রূপগঞ্জের গাউসিয়া থেকে ১৪ টা ভেড়া আনি। এখন পর্যন্ত ২ লাখ টাকার ভেড়া বেঁচছি। এখন আমার খামারে ৪৫ টা ভেড়া আছে।

ফরিদা বলেন, ‘আমি কোন জায়গা ফালায় রাখি না। ময়মনসিংহের এক লোকরে বলছি, ভাইরে আমারে কয়টা দেশি মুরগি আইনা দিস। এখন আমার খামারে বাচ্চাসহ ৫০ টার মতো মুরগি আছে। চিনা হাঁস আছে ৬ টা। কয়েকদিন আগেই ৪৫ টা হাঁস বেঁচছি। এখন আবার ডিম দিয়া বসাইছি । শখ কইরা আমি কয়েকটা কবুতরও পালি। এগুলার জন্যই আজকে কয়টা টাকার মুখ দেখছি। আমার ছাগল, ভেড়া, গরুর দুধ কোথাও গিয়া তেমন বেচন লাগে না। সবাই আমার খামার চিনে। খামার থিকাই সব বেচা হইয়া যায়।’

পশুপাখির সেবায় দিন-রাত

খামারে তিনটি পৃথক শেডে গরু, ছাগল, ভেড়া ও হাঁস-মুরগি লালন পালন করেন ফরিদা। খামারের প্রথম শেডে রয়েছে ৫টি গাভিসহ ৪টি বাছুর। দ্বিতীয় শেডে রাখা হয়েছে ৫০-৬০টি ছাগল ও ভেড়া। অন্য পাশের এক শেডে দেশি মুরগি ও হাঁস রয়েছে অর্ধ শতাধিক। এই শেডেই একটি মাচা তৈরি করে রাখা হয়েছে। ফরিদা বেগম জানান, প্রাণীদের দেখাশোনার জন্যে তিনি মাচার উপরে বিছানা পেতে রাতে সেখানেই ঘুমান।

শখ করে গরু ছাগলের নানা নাম দিয়েছেন ফরিদা। সুন্দরী, লালবানু, কালন, রানি, রাজা এমন অনেক নামে এসব প্রাণীদের পরিচয় করিয়ে দেন তিনি

নিজের গৃহপালিত প্রাণীগুলো তার সন্তান সমতুল্য জানিয়ে এই খামারি বলেন, ২০১৯ সালে গরু পালন দিয়া শুরু করি। ৬ বছর ধইরা এগুলারে আমি পালি। এগুলা আমার সন্তানের চেয়ে কোন অংশে কম নাহ। অনেক কষ্ট করছি শুরুতে। আমার ছোট বাচ্চা নিয়া ঘাসও কাটছি। রাতে এগুলোর যেন কোনো সমস্যা না হয় এজন্য এনেই ঘুমাই। এই বাসায় ছয়টা ঘর আছে। থাকার জায়গার কোন অভাব নাই। কিন্তু রাতে গরু ছাগলের বাচ্চা হলে কিংবা অন্য সমস্যা হলে যেন আমি সঙ্গে সঙ্গে তাদের কাছে যাইতে পারি এজন্যই এই ব্যবস্থা।

খামারিদের কাছে প্রেরণার উৎস ফরিদা

কারো কথায় পিছু না হটে, হাল না ছেড়ে খামারিদের কাজ শুরু করে কেবল এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন ফরিদা।

তিনি বলেন, ছয় শতাংশের অর্ধেকটা বাড়ি, বাকিটা খামার। এখানে আমি ১০ হাজার টাকা ভাড়া দেই। ভাড়াসহ প্রতি মাসে খামারে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। খরচ বাদ দিয়া আমার এক থেকে দেড় লাখ টাকা লাভ থাকে। দুইটা সিএনজি কিনছি। আমার কোন জমি নাই, কিচ্ছু ছিল না। আমি শূন্য হাতে শুরু করছিলাম। আমি যদি পারি, অন্যরাও পারব। কারো খারাপ কথায় কান দেওয়া যাইবো না, কঠোর পরিশ্রম করা লাগব খালি।

আমার দুইটা বাছুর থেকে যখন আমি লাভ করেছিলাম, তখন থেকেই আমার ইচ্ছে জাগছিল আমি একটা বড় ফার্ম দিবো। আমার ইচ্ছা, আমি ১০ কাঠা জায়গা কিনে বিশাল বড় ফার্ম দিবো। জমি নাই দেইখা, ফার্মটা বড় করতে পারি না। ব্যাংক থেকে বড় ঋণ পাইতেও জায়গা দেখান লাগে।

জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মান্নান মিয়া বাসসকে বলেন, আমরা সকল শ্রেণির খামারিদের প্রশিক্ষণসহ সার্বিক সহায়তার ব্যবস্থা করে থাকি । আর নারী খামারিদের

সর্বোচ্চ সহায়তা করা হয়। কিন্তু সকলে সফল হতে পারেনা। খামারি ফরিদা বেগম অন্যান্য খামারিদের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

সূত্র: বাসস

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Fakhrul unveiled the mural on the completion of three years of ESDO

ইএসডিও’র তিনযুগ পূর্তিতে ম্যুরাল উন্মোচন করলেন ফখরুল

ইএসডিও’র তিনযুগ পূর্তিতে ম্যুরাল উন্মোচন করলেন ফখরুল
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্থাটির সাবেক চেয়ারম্যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ইএসডিও’র তিন যুগ পূর্তি উৎসবে দেশের আলোকিত মানুষদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশের সঙ্গে আমি পূর্ণ-একাত্মতা প্রকাশ করছি।’

ঠাকুরগাঁওয়ের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ইকো-সোশাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-ইএসডিও’র তিনযুগ পূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়েছে শুক্রবার।

‘তৃণমূল মানুষের সাথে: তৃণমূল মানুষের পাশে’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইএসডিও’র তিন যুগ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির প্রথম দিনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিন যুগের ম্যুরাল উন্মোচন করেন বিএনপি মহাসচিব ও ‘ইকো-সোশাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সাবেক চেয়ারম্যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর আগে শুক্রবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় ও ইএসডিও’র নিজস্ব পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাইদুর রহমান।

এরপর সংস্থার কর্মী সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ড. মুহাম্মদ শহীদ উজ জামান।

কর্মী সমাবেশে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংস্থার সাবেক চেয়ারম্যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সরাসরি উপস্থিত হতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘ইএসডিও’র তিন যুগ পূর্তি উৎসবে দেশের আলোকিত মানুষদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশের সঙ্গে আমি পূর্ণ-একাত্মতা প্রকাশ করছি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম সরকারের পাশাপাশি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় ইএসডিও’র নির্বাহী পরিচালকসহ সব উন্নয়ন কর্মীকে শুভেচ্ছা জানান।

উল্লেখ্য, বিএনপি মহাসচিবের হয়ে ম্যুরালের পর্দা উন্মোচন করেন জেলার বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মির্জা ফয়সাল আমীন।

এরপর ‘অনুভবে ঠাকুরগাঁও’ শীর্ষক তরুণ শিল্পীদের চিত্র প্রদর্শনী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।

সন্ধ্যায় ইএসডিও’র তিন যুগ পূর্তিতে ‘ধন্যবাদ জ্ঞাপন’ অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বিএআরসি’র চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ, সরকারের উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক মো: ইউনুছ আলীসহ দেশবরেণ্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা-রাতে রংপুরের বিশিষ্ট শিল্পীদের পরিবেশনায় ‘ঐতিহ্যবাহী ভাওয়াইয়া উৎসব’র মধ্যদিয়ে শেষ হবে প্রথম দিনের অনুষ্ঠান।

আরও পড়ুন:
সিএমএইচ থেকে বাসায় ফিরেছেন মির্জা ফখরুল
সরকার শিগগিরই নির্বাচন আয়োজন করবে, আশা বিএনপির
রাজনৈতিক দল নিয়ে মন্তব্য প্রত্যাহারে উপদেষ্টা নাহিদকে ফখরুলের আহ্বান
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধৈর্য্য ধরতে বলেছেন তারেক রহমান
বেগম রোকেয়া নারী জাগরণের পথিকৃৎ: ফখরুল

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
BNPs new cultural platform is Bangladesh first

বিএনপির নতুন সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ‘সবার আগে বাংলাদেশ’

বিএনপির নতুন সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ‘সবার আগে বাংলাদেশ’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা দিয়ে বলেন, “এবার বিজয় দিবসে আমরা নতুন প্রত্যাশা নিয়ে নতুনভাবে বাংলাদেশের জনগণ ও নতুন প্রজন্মের কাছে হাজির হব। ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’-এর আয়োজনে হবে কনসার্ট।”

দেশীয় সংস্কৃতির প্রচারের লক্ষ্যে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সূচনা করেছে বিএনপি।

রাজধানীর গুলশান-১ এ উদয় টাওয়ারে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এই প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা দিয়েছেন।

‘সবার আগে বাংলাদেশ’-এর আহ্বায়ক এ্যানী বলেন, এই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাধ্যমে দেশের মানুষ ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর নতুন পরিবেশে নতুনভাবে বিজয়ের মাস উদযাপনের সুযোগ পাবে।

তিনি বলেন, “গত ১৬-১৭ বছরে ফ্যাসিবাদী শাসনামলে আমরা নিজেদের মতো করে বিজয় দিবস পালন ও উদযাপন করতে পারিনি। এবার বিজয় দিবসে আমরা নতুন প্রত্যাশা নিয়ে, নতুনভাবে বাংলাদেশের জনগণ ও নতুন প্রজন্মের কাছে হাজির হব। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।

“বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ ১৬ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে ব্যাপক কর্মসূচি ও কার্যক্রম প্রণয়ন করেছে।”

এই কনসার্টে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও ব্যান্ডদলের মধ্যে- সৈয়দ আব্দুল হাদী, খুরশীদ আলম, বেবী নাজনীন, মনির খান, কনক চাঁপা, দিলশাদ নাহার কনা, ইমরান মাহমুদুল, প্রীতম, জেফার, মৌসুমী, নগর বাউল (জেমস), ডিফারেন্ট টাচ, অর্ক, সোলস, শিরোনামহীন, আর্টসেল, এভয়েডরাফা এবং সোনার বাংলা সার্কাস অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ সংগঠনটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এসএম জিলানি ও যুবদল সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
As Sunnah Foundation will provide housing facilities to 700 students of Zabir

জবির ৭০০ শিক্ষার্থীকে আবাসন সুবিধা দেবে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন

জবির ৭০০ শিক্ষার্থীকে আবাসন সুবিধা দেবে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও দেশের অন্যতম গ্রহণযোগ্য ফিলানথ্রপিক প্রতিষ্ঠান আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও মানসম্মত আবাসনের সুযোগ পাবেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আবাসন সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও দেশের অন্যতম গ্রহণযোগ্য ফিলানথ্রপিক প্রতিষ্ঠান আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও মানসম্মত আবাসনের সুযোগ পাবেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষে জেনারেল সেক্রেটারি মো. সাব্বির আহম্মদ মঙ্গলবার এই স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

সমঝোতা অনুযায়ী, কেরানীগঞ্জের বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রজেক্ট এলাকায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন প্রাথমিকভাবে ৭০০ শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা করবে। পর্যায়ক্রমে এই সংখ্যা পাঁচ হাজারে উন্নীত করা হবে। ছেলে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্যও আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

প্রকল্পটি ২০২৫ সালের এপ্রিলে চালু হবে বলে জানানো হয়েছে।

আবাসন সুবিধার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নৈতিকতার বিকাশে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হবে। এই প্রকল্পের আওতায় একটি অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, যেখানে ১০০টি কম্পিউটার থাকবে। শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে আইইএলটিএস প্রস্তুতিমূলক প্রশিক্ষণ। প্রথম বছর প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ব্র্যান্ড স্কোর ৭ অর্জনের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এছাড়াও থাকবে সফট স্কিল, নেতৃত্বগুণ এবং পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।

আরও পড়ুন:
জবি শিক্ষার্থীদের সংযম প্রদর্শনের নির্দেশনা
শিক্ষককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ
জবির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর
কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যাম্পাস হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
জবি শিক্ষার্থীদের সব দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি উপদেষ্টা নাহিদের

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Rikta Bangladesh in BBCs list of 100 influential women

বিবিসির ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় বাংলাদেশের রিক্তা

বিবিসির ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় বাংলাদেশের রিক্তা রিক্তা আক্তার বানু। ছবি: সংগৃহীত
পেশায় নার্স রিক্তা আক্তার বানু বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করে প্রতিবন্ধীদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখায় প্রশংসিত হয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির ২০২৪ সালের বিশ্বের ১০০ অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী নারীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের একমাত্র নারী রিক্তা আক্তার বানু। পেশায় নার্স হলেও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করে প্রতিবন্ধীদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখায় প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার বিশ্বের ১০০ অনুপ্রেরণা জাগানো ও প্রভাবশালী নারীর তালিকা প্রকাশ করে বিবিসি।

পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ১০০ নারীকে বেছে নেয়া হয়েছে। বিভাগগুলো হলো- জলবায়ুকর্মী, সংস্কৃতি ও শিক্ষা, বিনোদন ও ক্রীড়া, রাজনীতি ও অ্যাডভোকেসি এবং বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি। এর মধ্যে বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি বিভাগে নির্বাচিত হয়েছেন রিক্তা আক্তার বানু।

বিবিসি বলেছে, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় বাস করেন নার্স রিক্তা আক্তার বানু। সেখানে অটিস্টিক বা প্রতিবন্ধী শিশুকে অভিশাপ হিসেবে দেখা হয়।

অটিস্টিক এবং সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত কন্যা সন্তানকে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে না পেরে নিজের জমি বিক্রি করে তিনি একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। স্কুলের নাম ‘রিক্তা আক্তার বানু লার্নিং ডিজেবিলিটি স্কুল’।

বর্তমানে ৩০০ শিক্ষার্থী ভর্তি রয়েছে সেখানে। এটি প্রতিবন্ধিতার প্রতি সমাজের মনোভাব পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। স্কুলটি প্রাথমিকভাবে অটিস্টিক বা শেখার প্রতিবন্ধকতা থাকা শিশুদের জন্য নির্মিত হলেও এখন এটি বিভিন্ন ধরনের বুদ্ধিমত্তা ও শারীরিক প্রতিবন্ধিতা থাকা শিশুদের জন্যও সেবা দিয়ে থাকে।

বিবিসির এ বছরের ১০০ অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী নারীর মধ্যে রয়েছেন- নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস, ধর্ষণ থেকে বেঁচে যাওয়া গিসেল পেলিকট, অভিনেত্রী শ্যারন স্টোন, অলিম্পিক ক্রীড়াবিদ রেবেকা আন্দ্রাদে ও অ্যালিসন ফেলিক্স, গায়িকা রে, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নাদিয়া মুরাদ, ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট ট্রেসি এমিন, জলবায়ু প্রচারক আদেনিকে ওলাদোসু এবং লেখক ক্রিস্টিনা রিভেরা গারজা।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা, লেবানন, ইউক্রেন ও সুদানের প্রাণঘাতী সংঘাত এবং মানবিক সংকট থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী রেকর্ডসংখ্যক নির্বাচন-পরবর্তী সামাজিক বিভাজনের সাক্ষী হওয়া পর্যন্ত নিত্যনতুন উপায়ে দৃঢ়তার পরিচয় দিতে হয়েছে নারীদের।

বিবিসির এই ১০০ নারী এ বছর নারীদের ওপর যে চাপ পড়েছে তা স্বীকার করেছেন। তারা তাদের দৃঢ়তার মাধ্যমে পরিবর্তনের জন্য কাজ করেছেন। কারণ বিশ্ব পরিবর্তিত হচ্ছে।

এই নারীদের অনেকেই জলবায়ুর জরুরি অবস্থার প্রভাব নিয়েও সচেতন। তাই এখানে জলবায়ুর অগ্রদূতদের তুলে ধরা হয়েছে যারা তাদের সম্প্রদায়কে এর প্রভাব মোকাবিলা করতে সহায়তা করছেন।

আরও পড়ুন:
বিশ্বের প্রভাবশালী মুসলিমদের তালিকায় ড. ইউনূস
টাইমের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় নাহিদ ইসলাম
টাইমের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় জাহিদ মালেক

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Inauguration of Pope Francis Yunus Three Zero Club in Rome

রোমে ‘পোপ ফ্রান্সিস-ইউনূস থ্রি-জিরো ক্লাব’ উদ্বোধন

রোমে ‘পোপ ফ্রান্সিস-ইউনূস থ্রি-জিরো ক্লাব’ উদ্বোধন
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘এই অসাধারণ উদ্যোগটি মহামান্য পোপ ফ্রান্সিসের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এবং একটি রূপান্তরমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের জন্য আমার নিজের আকাঙ্ক্ষা মূর্ত করে।’

ক্যাথলিক চার্চের আধ্যাত্মিক নেতা পোপ ফ্রান্সিস ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোমে যৌথভাবে ‘পোপ ফ্রান্সিস-ইউনূস থ্রি-জিরো ক্লাব’ উদ্বোধন করেছেন।

মানবতার জন্য একটি রূপান্তরমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গড়ার সূচনা প্রয়াস হিসেবে এই ক্লাব উদ্বোধন করা হয়েছে।

উন্নত উদ্ভাবনী ধারণার বিকাশ এবং বাস্তব ও টেকসই সমাধানের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ‘ত্রি-জিরো ক্লাব’ রোমের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যুবকদের জন্য আশার আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে।

রোমের ভিকার জেনারেলের (পোপের পর সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা) কার্ডিনাল বাল্ডো রেইনা’র কাছে এক চিঠিতে অধ্যাপক ইউনুস বলেছেন, তিনি এই উদ্যোগে ‘গভীরভাবে সম্মানিত’ হয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং শনিবার জানায়, ড. ইউনূস এ উপলক্ষে কার্ডিনাল রেইনাকে তার ‘আন্তরিক অভিনন্দন’ জানিয়েছেন।

২০০৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী ড. ইউনূস শনিবার বলেছেন, ‘এই অসাধারণ উদ্যোগটি মহামান্য পোপ ফ্রান্সিসের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এবং একটি রূপান্তরমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের জন্য আমার নিজের আকাঙ্ক্ষা মূর্ত করে।’

‘এই উদ্যোগটি কেবল শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্য অর্জনের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়; বরং সহমর্মিতা, ন্যায়পরায়ণতা ও স্থায়িত্বের ভিত্তিতে একটি নতুন সভ্যতার উত্থানকে উৎসাহিত করার আকাঙ্ক্ষাও লালন করে।’

তিনি বলেন, “একটি সভ্যতা যেখানে কাউকে পিছিয়ে রাখা হবে না, বরং যেখানে প্রতিটি ব্যক্তি তার ভাগ্যের নায়কও হতে পারবে, একই মানব পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হতে পেরে গর্বিত বোধ করবে, যেমনটি মহামান্য পোপ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জোর দিয়েছেন।

“পোপ তার এনসাইক্লিক্যাল ‘ফ্রাতেল্লি তুত্তি’তে লিখেছেন- আসুন, আমরা স্বপ্ন দেখি। তাহলে একটি একক মানব পরিবার হিসেবে, একই রক্ত-মাংসের মানুষ ও পরিব্রাজক হিসেবে, আমাদের সবার অভিন্ন আবাস একই ধরিত্রীর অপত্য হিসেবে, প্রত্যেকেই যার যার প্রতীতি ও প্রত্যয়ের উৎকর্ষ নিয়ে আমরা প্রত্যেক ভ্রাত্রা ও ভগ্নি নিজ নিজ কণ্ঠস্বর উচ্চকিত করতে পারব।”

অধ্যাপক ইউনুস বলেন, ‘সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি পোপ ফ্রান্সিসের অবিচল অঙ্গীকার এবং সামাজিক ব্যবসার শক্তিতে আমার বিশ্বাসের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ত্রি-জিরো ক্লাব তরুণ মনকে এমন সব প্রকল্প কল্পনা করতে এবং বাস্তবায়ন করতে উৎসাহিত করে যা অর্থবহ পরিবর্তন আনবে।

‘এই তরুণ নেতাদের সৃজনশীলতা ও উদ্যমী মনোভাব সযত্নে বিকশিত করে তাদের অধিকতর ন্যায়পরায়ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণের স্থপতি হওয়ার জন্য আমরা ক্ষমতায়ন করছি।’

পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি ‘গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা’ জ্ঞাপন করে অধ্যাপক ইউনূস সবাইকে একযোগে এই রূপান্তরকামী অভিযাত্রা শুরুর আহ্বান জানান এবং আগামী প্রজন্মকে এমন একটি সভ্যতা গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করেন যা প্রতিটি ব্যক্তির মর্যাদা সমুন্নত করবে এবং এবং আমাদের গ্রহের পবিত্রতা অক্ষুণ্ন রাখবে।

সবশেষ হিসাব অনুযায়ী সারা বিশ্বে বর্তমানে নতুন সভ্যতার জন্য অধ্যাপক ইউনূসের দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা অনুপ্রাণিত কমপক্ষে চার হাজার ছয়শ’ থ্রি-জিরো ক্লাব রয়েছে। এর অধিকাংশই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে।

আরও পড়ুন:
ভবিষ্যতের বাংলাদেশ কেমন চান, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা 
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিনের গুরুত্বপূর্ণ অর্জন উপস্থাপন
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার
মানব সভ্যতা রক্ষায় কপ সম্মেলনে ‘থ্রি জিরো’ ধারণা উপস্থাপন প্রধান উপদেষ্টার 
ঋণ সুবিধা মানুষের অধিকার: প্রধান উপদেষ্টা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
BMMDPs two agricultural schemes to increase climate resilience

জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধিতে বিএমএমডিপির দুই কৃষিবীমা

জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধিতে বিএমএমডিপির দুই কৃষিবীমা
প্রান্তিক কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র বীমা খাতে চালু করা উদয় তহবিলটি জলবায়ু-সচেতন মাইক্রোইন্স্যুরেন্স পণ্যে উদ্ভাবনের জন্য আর্থিক সহায়তা দেবে। আর অভয় তহবিলটি পুনঃবীমাকারীদের সক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

দেশের প্রান্তিক কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্রবীমা খাতে নতুন দুটি কৃষিবীমা চালু করেছে বাংলাদেশ মাইক্রোইন্স্যুরেন্স মার্কেট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (বিএমএমডিপি)। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের অর্থায়নে এবং সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশ-এর বাস্তবায়নে প্রকল্পটি ক্লাইমেট মাইক্রোইন্স্যুরেন্স ইনোভেশন ফান্ড-উদয় এবং ক্লাইমেট রিস্ক রেজিলিয়েন্স ফান্ড-অভয় নামে দুটি রূপান্তরমূলক উদ্যোগ চালু করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উদয় তহবিলটি জলবায়ু-সচেতন মাইক্রোইন্স্যুরেন্স পণ্যে উদ্ভাবনের জন্য আর্থিক সহায়তা দেবে। আর অভয় তহবিলটি পুনঃবীমাকারীদের সক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বিএমএমডিপির টিম লিডার পারভেজ মোহাম্মদ আশেক বলেন, ‘এই তহবিলগুলো জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় আর্থিক সহনশীলতা বাড়াতে প্রয়োজন। এর মাধ্যমে কৃষক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জলবায়ু ঝুঁকির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য নিরসনে ভূমিকা রাখবে।’

ঢাকায় সুইস দূতাবাসের ডেপুটি হেড অফ মিশন কোরিনি হেঙ্কোজ পিগনানি বলেন, ‘জলবায়ু ঝুঁকি, স্বাস্থ্য সংকট এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে ক্ষুদ্রঋণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশে জলবায়ু-সহনশীল কৃষি মাইক্রোইন্স্যুরেন্সের উদ্ভাবনী সম্ভাবনা’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়। এতে সুইস দূতাবাস, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ব্লু মার্বেল মাইক্রোইন্স্যুরেন্স ইনকরপোরেশন, এমপাওয়ার সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেড এবং কেএম দাস্তুর অ্যান্ড কোং লিমিটেডের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

আলোচনায় বিশেষজ্ঞ বক্তারা জলবায়ু সহনশীলতা তৈরিতে উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও অংশীদারত্বের গুরুত্ব আরোপ করেন।

মন্তব্য

p
উপরে