× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Mobile Financial Services Agreement between Sonali and One Bank
google_news print-icon

সোনালী ও ওয়ান ব্যাংকের এমএফএস বিষয়ক চুক্তি

সোনালী-ও-ওয়ান-ব্যাংকের-এমএফএস-বিষয়ক-চুক্তি
বুধবার হোটেল পূর্বাণীতে সোনালী ব্যাংকের সিইও মো. আফজাল করিম ও ওয়ান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনজুর মফিজ চুক্তিতে সই করেন। ছবি: সংগৃহীত
চুক্তির ফলে ওকে ওয়ালেট গ্রাহকরা সোনালী ব্যাংকে তাদের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তোলা ও জমা দিতে পারবেন। এ ছাড়া ওকে ওয়লেটের ডিস্ট্রিবিউটররা সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় টাকা জমা করতে পারবেন।

ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ওকে ওয়ালেটের সোনালী পেমেন্ট গেটওয়েতে অন্তর্ভুক্তি এবং সোনালী ব্যাংকের হিসাবধারীর অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ওকে ওয়ালেটের ‘লিংক অ্যাকাউন্ট সার্ভিস’ চালু হয়েছে।

এ লক্ষ্যে বুধবার রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে সোনালী ব্যাংকের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল করিম এবং ওয়ান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনজুর মফিজ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ, সঞ্চিয়া বিনতে আলী, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার সুভাষ চন্দ্র দাস, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জন সরকার, অতিরিক্ত উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম সাইফ সারোয়ার ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার পারুল দাসসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তির ফলে ওকে ওয়ালেট গ্রাহকরা সোনালী ব্যাংকে তাদের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তোলা ও জমা দিতে পারবেন। এ ছাড়া ওকে ওয়লেটের ডিস্ট্রিবিউটররা সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় টাকা জমা করতে পারবেন।

বর্তমানে চার শতাধিক প্রতিষ্ঠানের বিবিধ ফি/চার্জ সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ে-এর মাধ্যমে আদায় করা হচ্ছে। এখন থেকে ওকে ওয়ালেটের গ্রাহকরাও সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ে-এর মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি ও চার্জ পরিশোধ করতে পারবেন।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
A major step forward in diabetes control

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপ একমির

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপ একমির গত ৪ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর অভিজাত ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে হওয়া এমলিনো এক্সিমপ্লিফাই ট্রায়ালের সাফল্যের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
ডায়াবেটিস চিকিৎসায় কার্যকর ও সময়োপযোগী ওষুধ মানুষের হাতে তুলে দিতে দি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করে আসছে। এমলিনো এক্সিমপ্লিফাই ট্রায়াল সেই ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ।

বাংলাদেশে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় মাইলফলক সৃষ্টিতে ডায়াবেটিসজনিত চ্যালেঞ্জগুলোকে অতিক্রম করার বড় উদ্যোগ নিয়েছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ওষুধ কোম্পানি দি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড।

গত ৪ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর অভিজাত ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে হওয়া এমলিনো এক্সিমপ্লিফাই ট্রায়ালের সাফল্যের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।

পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য এ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদেরও জানানো হয় শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

এ আয়োজনে দেশের খ্যাতনামা ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

তারা জানান, এমলিনো বাংলাদেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ওজন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে সঙ্গে কিডনি রক্ষার কাজও করে থাকে।

ওই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ.কে আজাদ খান। বিশেষ অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন বারডেম একাডেমির পরিচালক অধ্যাপক মো. ফারুক পাঠান।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সফল এ ট্রায়ালের প্রধান গবেষক ডা. মির্জা শরিফুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রফেসর ডা. মো. হাফিজুর রহমান, প্রফেসর ডা. মো. আবদুল জলিল আনসারী ও প্রফেসর ডা. অজিত কুমার পাল।

সম্মানিত বিশেষজ্ঞ প্যানেলে ছিলেন প্রফেসর ডা. মো. ফিরোজ আমিন, ডা. শাহজাদা সেলিম, ডা. ফারিয়া আফসানা এবং ডা. এম. সাইফুদ্দিনসহ অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

ডায়াবেটিস চিকিৎসায় কার্যকর ও সময়োপযোগী ওষুধ মানুষের হাতে তুলে দিতে দি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করে আসছে। এমলিনো এক্সিমপ্লিফাই ট্রায়াল সেই ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ।

আরও পড়ুন:
রোজায় ডায়াবেটিস রোগীর ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
রোজায় ডায়াবেটিস রোগীর করণীয়, যা জানা দরকার
কুমিল্লায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উদযাপিত
তরুণের দেহেও বাসা বাঁধছে ডায়াবেটিস
প্রান্তিক পর্যায়ে ডায়াবেটিক সেবা পৌঁছানোর উদ্যোগ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Mujibheens new design notes are coming in June

মুজিবহীন নতুন নকশার নোট আসছে জুনের মধ্যে

মুজিবহীন নতুন নকশার নোট আসছে জুনের মধ্যে
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, নোটের নকশায় পরিবর্তন আসছে। নতুন নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের আইকনিক প্রতিকৃতি না-ও থাকতে পারে। বরং তাতে বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক বা জুলাই বিপ্লবের দেয়ালচিত্র থাকতে পারে।

বহুল আলোচিত বাংলাদেশি ২০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা ও এক হাজার টাকা মূল্যমানের নতুন নোট আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাজারে আসবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক এই তথ্য প্রকাশ করার পর আসন্ন নোটের নকশার উপাদান নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘নতুন নোট আসা নিশ্চিত। তবে নকশার সঠিক উপাদানগুলো নিশ্চিত করার সময় এখনও আসেনি।’

মুজিব থাকছে কিনা?

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো নোটের নকশায় সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। নতুন নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের আইকনিক প্রতিকৃতি আর নাও থাকতে পারে বলে ধারণা তাদের।

ধারণা করা হচ্ছে, নতুন মুদ্রায় বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক বা জুলাই বিপ্লবের দেয়ালচিত্র থাকতে পারে, যা একটি স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক মূল্যবোধকে তুলে ধরবে।

তারা বলেন, সরকার নতুন নোট মুদ্রণের অনুমোদন দিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ করার পর ছয় মাসের মধ্যে সেগুলোর প্রচলন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নকশা সংস্কার

সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত অন্তর্দৃষ্টি থেকে বোঝা যায় যে, প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো বাংলাদেশের ব্যাংক নোটের দৃশ্যমান পরিচয়কে নতুন আকার দিতে প্রস্তুত।

এটি যদি বাস্তবায়ন হয়, তবে নকশাগুলোতে শেখ মুজিবুর রহমানের স্থলে ধর্মীয় স্থান, ঐতিহ্যবাহী বাংলা মোটিফ এবং কৌতূহলের জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতির উদ্দীপক চিত্র স্থান পাবে।

এই পুনর্বিন্যাসটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গোটা সম্প্রদায় থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি পর্যায়ক্রমে বাদ দেয়ার বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ।

এই মাসে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে, আগামী বছরের জুনের মধ্যে এই নোটগুলো প্রচলনের পরিকল্পনা রয়েছে।

উত্তরাধিকারের রূপান্তর

বাংলাদেশে ২ টাকা থেকে ১০০০ টাকা মূল্যমানের প্রতিটি কাগজের নোটে বর্তমানে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি এবং নোটের উভয় পাশে তার প্রতিকৃতি রয়েছে।

এমনকি ধাতব মুদ্রাতেও তার ছবি রয়েছে। এটি তার স্থায়ী উত্তরাধিকারকে তুলে ধরে। নতুন নোট চালু করা হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক জনগণকে আশ্বস্ত করেছে যে, বাজারে বিদ্যমান সব মুদ্রার প্রচলন থাকবে।

আসন্ন নোটগুলো বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে একটি নতুন আখ্যানের সঙ্গে একত্রিত করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এটি দেশের এগিয়ে যাওয়ার যাত্রাকে তুলে ধরে।

আরও পড়ুন:
ব্যাংকগুলোকে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা
মুডি’র সিদ্ধান্তে অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতিফলন নেই: বাংলাদেশ ব্যাংক
অনলাইনে আয়কর পরিশোধে চার্জ নির্ধারণ
প্রয়োজন ছাড়া ব্যাংক থেকে টাকা না তোলার আহ্বান
ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Inflation in the country was 1138 percent in November

নভেম্বরে দেশে মূল্যস্ফীতি ১১.৩৮ শতাংশ

নভেম্বরে দেশে মূল্যস্ফীতি ১১.৩৮ শতাংশ
বিবিএস-এর তথ্য বলছে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ থেকে সামান্য বেড়ে ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ হয়েছে।

নভেম্বরে দেশে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আগের মাস অক্টোবরে তা ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এই হার গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।

এদিকে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ থেকে সামান্য বেড়ে ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ হয়েছে নভেম্বরে। শহর এবং গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হারও গত মাসে বেড়েছে।

নভেম্বরে গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং অক্টোবরে ছিল ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ।

একই সময়ে গ্রামাঞ্চলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং অক্টোবরে ছিল ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। তবে গ্রামাঞ্চলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি নভেম্বর ও অক্টোবরে অপরিবর্তিত ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ ছিল।

অন্যদিকে নভেম্বরে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

নভেম্বরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং নভেম্বরে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।

নভেম্বরে মজুরি হার সূচক ছিল ৮ দশমিক ১০ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।

আরও পড়ুন:
অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৬৬ শতাংশ
সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ
মূল্যস্ফীতি আগস্টে কমে এসেছে: বিবিএস
জুলাইয়ে রেকর্ড উচ্চতায় মূল্যস্ফীতি
বাজারের সঙ্গে মিলছে না সরকারের মূল্যস্ফীতির হিসাব

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Day long free health camp on Uber Bangladeshs 8th anniversary 

উবার বাংলাদেশের অষ্টম বার্ষিকীতে দিনব্যাপী ফ্রি হেলথ ক্যাম্প 

উবার বাংলাদেশের অষ্টম বার্ষিকীতে দিনব্যাপী ফ্রি হেলথ ক্যাম্প  উবার টপ ড্রাইভার-পার্টনারদের জন্য দিনব্যাপী ফ্রি হেলথ ক্যাম্প আয়োজন করে। ছবি: উবার
ঢাকায় ২০১৬ সালের নভেম্বরে যাত্রা শুরুর পর থেকে উবার দেশের পরিবহন খাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ধীরে ধীরে তাদের সেবার পরিধি বৃদ্ধি করে তারা মানুষের নানাবিধ প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হয়েছে।

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় রাইডশেয়ারিং অ্যাপ উবার তাদের অষ্টম বার্ষিকী উদযাপন করছে।

ঢাকায় ২০১৬ সালের নভেম্বরে যাত্রা শুরুর পর থেকে উবার দেশের পরিবহন খাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ধীরে ধীরে তাদের সেবার পরিধি বৃদ্ধি করে তারা মানুষের নানাবিধ প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হয়েছে।

উবার বাংলাদেশ গত আট বছরে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্ল্যাটফর্মটি ৭২ লাখেরও বেশি যাত্রীকে সেবা দিয়েছে এবং সাড়ে ৩ লাখ ড্রাইভার-পার্টনারের জন্য আয়ের সুযোগ তৈরি করেছে।

উবার চালকরা গত আট বছরে ১২২ কোটি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন, যা পৃথিবী থেকে চাঁদে প্রায় ৩ হাজার বার যাতায়াত করার সমান।

দেশে ২০১৬ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে উবার ১৬ কোটি ৬ লাখ ট্রিপ সম্পন্ন করেছে। এতে বোঝা যায় দেশজুড়ে উবার ব্যবহারকারীদের একটি বিপুল ও ক্রমবর্ধমান সংখ্যা রয়েছে।

একই সঙ্গে সাড়ে তিন লাখ ড্রাইভার-পার্টনার উবার প্ল্যাটফর্ম থেকে আয় করেছেন।

উবার বাংলাদেশ তাদের অষ্টম বার্ষিকী উপলক্ষে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অংশ হিসেবে ‘থ্যাংক ইউ’ ক্যাম্পেইন চালু করেছে।

গত ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনের আওতায় উবার শীর্ষ ড্রাইভার-পার্টনার, যাত্রী ও হিরো পার্টনারদের স্বীকৃতি প্রদান ও উদযাপনের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে যাত্রাপথে চালক ও যাত্রীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য অন-ট্রিপ থ্যাংক ইউ টোকেন প্রদান।

উবার টপ ড্রাইভার-পার্টনারদের জন্য দিনব্যাপী ফ্রি হেলথ ক্যাম্প আয়োজন করেছে। পাশাপাশি শীর্ষ যাত্রীদের জন্য বিশেষ লাইফস্টাইল ভাউচার প্রদান করা হয়েছে।

এই উদ্যোগগুলো কমিউনিটির প্রতি উবারের অঙ্গীকারের প্রতিফলন। এ বিশেষ স্বীকৃতি উবারের সেবায় সবসময় এগিয়ে থাকা হিরো-পার্টনারদের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উবার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস বলেন, ‘গত আট বছরে উবার বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। উবার যাত্রীদের চালকদের সাথে সংযুক্ত করে, যারা আমাদের প্ল্যাটফর্মের মেরুদণ্ড। আমরা আমাদের কমিউনিটির জন্য সেবা উন্নত করতে ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

বছরজুড়ে উবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিআরটিএর মতো রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে একযোগে কাজ করেছে।

নিরাপদ সড়ক সপ্তাহের অংশ হিসেবে সড়ক নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য উবার একাধিক উদ্যোগ চালু করা করেছে, যা কমিউনিটির প্রতি প্রতিষ্ঠানটির গভীর দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ।

আরও পড়ুন:
সাশ্রয়ী ও নিরাপদ অটোরিকশায় চড়বেন যেভাবে
মানা বেতে যাতায়াতে বিশেষ ছাড় পাবেন উবার যাত্রীরা
নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে যৌথ উদ্যোগ বিআরটিএ ও উবারের
যেভাবে মা দিবসকে করে রাখতে পারেন স্মরণীয়
দেশে উবারের যাত্রীরা ভুলে সবচেয়ে বেশি ফেলে যান যেসব জিনিস

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Import and export stop at four land ports of Sylhet

আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, সিলেটের চার স্থলবন্দরে স্থবিরতা

আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, সিলেটের চার স্থলবন্দরে স্থবিরতা আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে চলছে স্থবিরতা। ছবি: নিউজবাংলা
ভারতীয়দের বাধার মুখে শেওলা স্থলবন্দর, জকিগঞ্জ ও চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে শুল্কায়ন জটিলতায় তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে স্থবির হয়ে আছে এসব বন্দর ও শুল্ক স্টেশন।

ভারতীয়দের বাধায় সিলেট বিভাগের তিন শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আপত্তিতে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি হচ্ছে না। ফলে স্থবির হয়ে আছে এসব বন্দর ও শুল্ক স্টেশন।

জানা যায়, ভারতের আসাম রাজ্যের শ্রীভূমিতে (করিমগঞ্জ) সনাতনী ঐক্য মঞ্চ নামের একটি সংগঠনের বিক্ষোভের মুখে গত রোববার সিলেটের বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দর ও সোমবার জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে ভারতীয়দের বিক্ষোভের কারণে গত ৩০ নভেম্বর থেকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

অন্যদিকে শুল্কায়ন জটিলতায় তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।

আমদানিকারক সূত্র জানায়, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ ও ইসকন থেকে বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গত রোববার ভারতের শ্রীভূমি জেলার সুতারকান্দি স্থলবন্দরে মিছিল নিয়ে জড়ো হয় কয়েক শ’ লোক। তারা সীমান্ত এলাকায় বিক্ষোভ করে। পরে ভারতীয় বিক্ষোভকারীরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে সুতারকান্দি (বাংলাদেশের শেওলা) স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।

সোমবার একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় ভারতের করিমগঞ্জ শুল্ক স্টেশনে। ফলে সোমবার থেকে ওই স্টেশন দিয়েও আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে পণ্য পরিমাপ সংক্রান্ত জটিলতায় গত মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ভারতের ডাউকি স্থলবন্দর (বাংলাদেশের তামাবিল) দিয়ে পাথর-চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।

এই বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তামাবিল ও শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে যে পাথর আমদানি করা হয় তা সরাসরি খনি থেকে ট্রাকে লোড করা হয়। ফলে পাথরের সঙ্গে মাটি ও বালি মিশ্রিত থাকে। আগে শুল্কায়নের পূর্বে বন্দর কর্তৃপক্ষ মাটি ও বালির ওজন বাদ দিয়ে পাথরের ওজন নির্ণয় করত। কিন্তু বর্তমানে স্থলবন্দরের নতুন কর্মকর্তারা মাটি ও বালির ওজন ছাড় না দেয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।

ওয়েট স্কেলে কড়াকড়ি ওজন নির্ণয়ের কারণে কয়লা-পাথর আমদানি থেকে বিরত রয়েছেন জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, এ অবস্থায় আমদানি অব্যাহত রাখলে পাথরবাহী প্রতি ট্রাকে ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হবে। বিষয়টি নিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বললেও কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না বলে জানান তারা।

আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, সিলেটের চার স্থলবন্দরে স্থবিরতা

তামাবিল কয়লা, পাথর ও চুনাপাথর আমদানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস উদ্দিন লিপু বলেন, ‘ওজন জটিলতায় আমরা পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছি। লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেও পাথর আমদানি করতে গিয়ে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

‘আমদানি বন্ধ থাকায় ওপারে ভারতে কয়লা-পাথরবাহী শত শত ট্রাক লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখন রপ্তানিকারকরা আমাদের কাছে পণ্যবাহী ট্রাকের ক্ষতিপূরণ দাবি করছে।’

তামাবিল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা তানভির হোসেন বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। ব্যবসায়ীরা পাথর আমদানি বন্ধ রাখায় এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’

তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় কয়লা-পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। আমরা কয়লা-পাথর ব্যবসায়ীদের সমস্যার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’

এদিকে ভারতীয়দের বাধায় অন্য সীমান্ত দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে সিলেট পাথর আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আতিক হোসেন বলেন, ‘ইসকন ইস্যুতে ভারতের সুতারকান্দি ও করিমগঞ্জ বর্ডার দিয়ে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ভারতীয় লোকজনের বাধার মুখে ভারত থেকে বাংলাদেশে কিংবা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকতে পারছে না।’

তিনি জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারতের সুতারকান্দিতে পাথরসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী অন্তত দুশ’ ট্রাক এবং এপারে শেওলা শুল্ক স্টেশনে অর্ধশতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে। এছাড়া সিলেটের জকিগঞ্জের ওপারে ভারতের করিমগঞ্জে আটকা পড়েছে ফল ও কাঁচামাল বোঝাই অর্ধশতাধিক ট্রাক। পণ্য খালাস না হওয়ায় ট্রাকে ফলসহ কাঁচামাল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, বর্ডারে পণ্য আটকা পড়ায় ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রতিদিনই আমদানিকারকদের ব্যাংক ঋণের সুদ গুনতে হচ্ছে। এছাড়া পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ থাকায় লোড-আনালোড এবং স্থানীয় পাথরভাঙার কলগুলোর হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।

বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এই বন্দর দিয়ে মূলত কয়লা ও পাথর আমদানি হয়। আর রপ্তানি হয় ভোগ্যপণ্য, সিমেন্টসহ কিছু পণ্য। তবে ভারত সীমান্তে সমস্যার কারণে তিনদিন ধরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।’

এদিকে জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আরিফ উদ্দিন বলেন, ‘এই স্টেশন দিয়ে মূলত কমলাসহ কিছু ফলমূল আমদানি হয়। তবে সোমবার থেকে কোনো পণ্য আমদানি হয়নি।’

আরও পড়ুন:
সিলেট সীমান্তে সোয়া কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
সিলেটে চোরাচালান বহাল, কেবল সিন্ডিকেটের হাতবদল

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Chevron to invest in new offshore gas exploration

নতুন উপকূলীয় গ্যাস অনুসন্ধানে বিনিয়োগ করবে শেভরন

নতুন উপকূলীয় গ্যাস অনুসন্ধানে বিনিয়োগ করবে শেভরন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মঙ্গলবার যমুনায় বহুজাতিক কোম্পানি শেভরনের কর্মকর্তারা সাক্ষাৎ করেন। ছবি: পিআইডি
শেভরনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ক্যাসুলো বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক কার্যক্রম এবং ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে গ্যাসের বাড়তি চাহিদা শেভরনকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নতুন খনন কার্যক্রমে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করেছে। আমরা নতুন উপকূলীয় গ্যাস অনুসন্ধানে বিনিয়োগ করব।’

বাংলাদেশে নতুন গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমে বিনিয়োগ করতে চায় শেভরন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানিটি বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রয়াসে এই বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে।

কোম্পানিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ক্যাসুলোর নেতৃত্বে শেভরনের কর্মকর্তারা সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।

শেভরনের কর্মকর্তারা বলেন, বিগত শেখ হাসিনা সরকার গত দুই বছরে কোম্পানিটিকে অর্থ প্রদান বন্ধ করার পর অন্তর্বর্তী সরকার কয়েক মিলিয়ন ডলারের বকেয়া পরিশোধ শুরু করেছে।

‘আমরা নতুন উপকূলীয় গ্যাস অনুসন্ধানে বিনিয়োগ করব। আর নতুন গ্যাসের মজুদ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাড়িয়ে তুলবে।’

ফ্রাঙ্ক ক্যাসুলো বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক কার্যক্রম এবং ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে গ্যাসের বাড়তি চাহিদা শেভরনকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নতুন খনন কার্যক্রমে বিনিয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ করেছে।’

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নতুন গ্যাসের মজুদ অন্বেষণে শেভরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধির মধ্যে স্থানীয় কোম্পানিগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে।

‘আমরা এখন ব্যবসার জন্য প্রস্তুত। আমরা দেশে আরও সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই। প্রধান বহুজাতিক কোম্পানি ইতোমধ্যে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।’

এ সময় দেশে ভালো বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার যেসব সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে তার একটি সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।

অধ্যাপক ইউনূস স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য শেভরনের সামাজিক দায়বদ্ধতার কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘সরকার আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে শেভরনের বকেয়া পরিশোধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই শেভরন ও পেট্রোবাংলা ছয় মাসের ঋণ পরিশোধের চুক্তিতে পৌঁছেছে।’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Government plans to reduce operating expenses

পরিচালন ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা সরকারের

পরিচালন ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা সরকারের গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগো। ফাইল ছবি
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক নথি অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সরকারি ব্যয়ের ৫৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ হবে পরিচালন ব্যয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন বৈশ্বিক ও দেশীয় চ্যালেঞ্জের কারণে যেসব পরিচালন ব্যয় বেড়েছিল, আগামী বছরগুলোতে তা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক নথি অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সরকারি ব্যয়ের ৫৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ হবে পরিচালন ব্যয়।

চলতি অর্থবছরে মোট সরকারি ব্যয়ের ৫৯ শতাংশ পরিচালন ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।

পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও মজুরি, পণ্য ও সেবা ক্রয়, ভর্তুকি ও স্থানান্তর পেমেন্ট, দেশীয় ও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ এবং ‘খাদ্য হিসাব পরিচালনা’ সংক্রান্ত ব্যয়।

নথি অনুসারে, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ২০১৯ সালের পরিচালন ব্যয় ৫৫.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে ৬২.৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বর্ধিত ব্যয়ের মূল চালিকাশক্তি

ক্রমবর্ধমান ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতায় সুদ পরিশোধ ক্রমাগত বেড়েছে।

নথিতে বলা হয়, সামাজিক কল্যাণ ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পদক্ষেপের ওপর জোর দিয়ে ২০১৯ সালে মোট সরকারি ব্যয়ের ভর্তুকি এবং স্থানান্তর সংক্রান্ত ব্যয় ২.৯ শতাংশ থেকে ২০২৪ সালে বেড়ে প্রায় ৪ শতাংশ হয়েছে।

২০১৯ অর্থবছর থেকে ২০২৩ অর্থবছর পর্যন্ত পরিচালন ব্যয় গড়ে জিডিপির ৭ দশমিক ৬ শতাংশ বজায় ছিল।

২০২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এ অঙ্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৬ শতাংশে।

দেশীয় সুদের হারের ঊর্ধ্বগতি এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বিনিময় হারের অস্থিরতা থেকে এটি বেড়েছে এবং এটি একই সঙ্গে সুদ পরিশোধ ব্যয়ও বাড়িয়েছে।

এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সরকার কৌশলগত সমন্বয় ও আর্থিক শৃঙ্খলার মাধ্যমে মধ্যমেয়াদে পরিচালন ব্যয় জিডিপির ৮.৩ শতাংশে স্থিতিশীল রাখার প্রত্যাশা করছে।

২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে খাদ্য ভর্তুকি ১৪.১ শতাংশ বেড়েছে। এটিও পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধির একটি কারণ।

বেতন ও পণ্য ব্যয় ব্যবস্থাপনা

বেতন ও ভাতা সংক্রান্ত খাতে ২০১৯ সালে জিডিপির ১.৮ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে ১.৪ শতাংশ কমে গেছে, তবে তা বেতন কমানোর কারণে নয়, বরং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণেই হয়েছে।

২০২৫ সালে বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় জিডিপির ১ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা ২০১৯ সালের ১ দশমিক ৮ শতাংশের চেয়ে কম।

নথিতে বলা হয়, দক্ষ সরকারি সেবা প্রদান নিশ্চিত করার পাশাপাশি বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় বাড়াতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

কোভিড-১৯ মহামারির বছরগুলোতে আরও গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে সম্পদের পুনর্বিন্যাস এবং ২০২২ সাল থেকে গৃহীত সাশ্রয়ী নীতির কারণে পণ্য ও সেবার ওপর ব্যয় ২০২১ সালের মোট ব্যয়ের ৭.৩ শতাংশ ছিল। ২০২৩ সালে সেখান থেকে কমে দাঁড়ায় ৫.৯ শতাংশে।

২০২৪ অর্থবছরের সংশোধিত প্রাক্কলনে দেখা যায়, এ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা খাতে ব্যয় ছিল মোট ব্যয়ের ৬ দশমিক ১ শতাংশ।

মধ্যমেয়াদে পণ্য ও সেবা খাতে ব্যয় ৬ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে বলে প্রাক্কলন করেছে অর্থ বিভাগ।

ভর্তুকি যৌক্তিকীকরণ এবং সামাজিক সমর্থন জোরদার করা

সরকার ভর্তুকি বরাদ্দগুলো যুক্তিসঙ্গতভাবে নির্ধারণের জন্য একটি কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ জনগণের জন্য জীবনযাত্রা সহায়তা কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।

ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয় ব্যয়ের মধ্যে কৃষি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে রয়েছে।

জ্বালানি খাতে ধীরে ধীরে ভর্তুকি কমানো হবে। নিয়মতান্ত্রিক মূল্য সমন্বয় এবং ফর্মুলাভিত্তিক জ্বালানি মূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের মাধ্যমে এটি করা হবে।

প্রবৃদ্ধি ও স্থায়িত্ব বাড়ানো

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সরকার রপ্তানি বহুমুখীকরণ, রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি, কৃষি উন্নয়ন এবং তৈরি পোশাক খাতে সবুজ প্রযুক্তি গ্রহণের জন্য আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের পরিকল্পনা করেছে।

হাইব্রিড প্রযুক্তি, বৈদ্যুতিক যানবাহন এবং আইসিটি পরিষেবা রপ্তানির ওপরও জোর দেয়া হচ্ছে।

দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি কৃষি ও রপ্তানিতে বিশেষ মনোযোগ দেয়া হবে বলে নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘুদের তুলনামূলক বেশি নিরাপত্তা দিচ্ছে: জরিপ
সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমার সময় বাড়ল
সরকারি প্রাথমিকে ৬ হাজার ৫৩১ শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করে অধ্যাদেশ
দুদক পুনর্গঠনের কাজ প্রায় শেষ: প্রধান উপদেষ্টা

মন্তব্য

p
উপরে