লেনদেন ক্রমেই বাড়তে থাকা পুঁজিবাজারে আবার ছন্দপতনের শঙ্কা। দুই দিন আগে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার কোটি টাকা ছুঁইছুঁই। পরদিন সেখান থেকে কমে যায় ১ হাজার কোটির বেশি। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে তা আরও কমে ১ হাজার ৬০০ কোটির ঘরে নেমেছে।
গত ৩১ জুলাই থেকে পুঁজিবাজারে যে উত্থান শুরু হয়, তাতে বিনিয়োগকারীরা সন্তুষ্ট হতে পারতেন যদি এর সুফল পুঁজিবাজারে সমভাবে পড়ত। কিন্তু এই সময়ে অল্প কিছু শেয়ারের দর উড়তে থাকার মধ্যে বেশির ভাগ সিকিউরিটিজের দরপতন ঘটতে থাকে। এর মধ্যে হঠাৎ লেনদেন নিম্নমুখী নামতে থাকার কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি।
মঙ্গলবার লেনদেন হয় ২ হাজার ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা, যা চলতি বছরের তো বটেই, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বরের পর সর্বোচ্চ। আর ২০১০ সালের মহাধসের পর এটি ছিল সপ্তম সর্বোচ্চ লেনদেন। অর্থাৎ এর চেয়ে আর মাত্র ছয়বার এত বেশি লেনদেন হয়েছে ডিএসইতে।
সেখান থেকে ১ হাজার ২৪ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার টাকা কমে বুধবার হাতবদল হয় ১ হাজার ৮০৮ কোটি ১৯ লাখ ১২ হাজার টাকা।
শেষ কর্মদিবসে সেটি আরও ১৪২ কোটি ৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা কমেছে। হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ৬৬৬ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
এদিন দরপতন হওয়া কোম্পানির তুলনায় দর বৃদ্ধি হওয়া কোম্পানির সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। তবে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শেয়ার লেনদেন হয়েছে আগের দিনের দরে, যেগুলোর সিংহভাগই লেনদেন হয়েছে ফ্লোর প্রাইসে।
এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ সূচক ডিএসইএক্সে কিছু পয়েন্ট অবশ্য যোগ হয়েছে, যদিও একসময় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল।
বেলা ১০টা ৫৭ মিনিটে দিনের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছায় সূচক। আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৪১ পয়েন্ট বেড়ে সূচক দাঁড়ায় ৬ হাজার ৫৯২ পয়েন্টে। তবে পরের আধা ঘণ্টায় ব্যাপক দরপতনে ৪৬ পয়েন্ট কমে যায়। পরে দুই দফায় উত্থানের চেষ্টা করে আগের অবস্থানে ফিরতে পারেনি সূচক। শেষ মুহূর্তের সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে সূচকে ১২ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন শেষ হয়।
দিনভর লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩১টির, কমেছে ৭৮টির ও আর আগের দরেই লেনদেন হয়েছে ১৬৬টি কোম্পানির।
লেনদেনের বিষয়ে ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘লেনদেনের ক্ষেত্রে সন্দেহজনক কিছুই দেখা যায়নি। লেনদেন যা হয়েছে ভালোই। মার্কেট যে ধরনের পজ নিচ্ছে বা সমন্বয়সাধন হচ্ছে তা পুনরায় মুভ করার জন্য ভালো প্রস্তুতি বলা যেতে পারে।’
তিনি যোগ করেন, ‘যেসব শেয়ারের দাম অতিমূল্যায়িত হয়েছিল, সেগুলোতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কম। সেগুলো এখনও বায়ার আছে, যদি বায়ারলেস হয়ে যায়, তাহলে অতি সতর্ক হতে হবে।’
সূচকে সবচেয়ে প্রভাব যেসব কোম্পানির
সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ১৯ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ১ দশমিক ১৩ শতাংশ।
সি পার্লের দর ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ০২ পয়েন্ট।
আর কোনো কোম্পানির দরবৃদ্ধিতে সূচকে ১ পয়েন্ট যোগ হয়নি।
ইউনিটক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ৮৫ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ।
এর বাইরে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ইস্টার্ন হাউজিং, ওরিয়ন ফার্মা, বসুন্ধরা পেপার, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও ইনডেক্স অ্যাগ্রো সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৭০ পয়েন্ট সূচক কমেছে বিকন ফার্মার দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ দশমিক ০৭ পয়েন্ট কমেছে বেক্সিমকো লিমিটেডের কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ১ দশমিক ১৮ শতাংশ।
কোহিনূর কেমিক্যালের দর ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ১ দশমিক ০১ পয়েন্ট।
এ ছাড়া লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, ওরিয়ন ইনফিউশন, বেক্সিমকো ফার্মা, আইএফআইসি ব্যাংক, আইসিবি, বার্জার পেইন্টস ও পূবালী ব্যাংকের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৮ দশমিক ১৫ পয়েন্ট।
লেনদেনে সেরা ওরিয়ন-বেক্সিমকো
লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে ওরিয়ন ফার্মা ও বেক্সিমকো লিমিটেড। ওরিয়ন ফার্মার এক কোটি ২৯ লাখ ৪১ হাজার ২৪৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১৯৫ কোটি ৪০ লাখ ৩২ হাজার টাকায়।
বেক্সিমকো লিমিটেডের লেনদেন হয়েছে ১৫২ কোটি ২৭ লাখ ২৩ হাজার টাকা। হাতবদল হয়েছে এক কোটি ১২ লাখ ৬২ হাজার ৪৪২টি শেয়ার।
আর কোনো কোম্পানির লেনদেন এক শ কোটি টাকা ছুঁতে পারেনি।
তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের। ৫৪ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬৫টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯২ কোটি ২৯ লাখ ১২ হাজার টাকায়।
জেএমআই হসপিটালের লেনদেন হয়েছে ৫৬ কোটি ৩২ লাখ ৯২ হাজার টাকার।
শীর্ষ দশের বাকি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৩০ থেকে ৫০ কোটির মধ্যেই।
এ তালিকায় ছিল শাহজিবাজার পাওয়ার, একমি ল্যাব, ইউনিক হোটেল, লাফার্জ হোলসিম, বসুন্ধরা পেপার ও ইস্টার্ন হাউজিং।
কোন খাত কেমন
সংখ্যায় প্রকৌশল খাতে সবচেয়ে বেশি দরবৃদ্ধি হলেও জ্বালানি ও প্রযুক্তি খাতে দরবৃদ্ধির হার বেশি ছিল।
জ্বালানি খাতে ১৯টি বা ৮২.৬১ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। বিপরীতে ২টি করে কোম্পানির দরপতন ও অপরিবর্তিত ছিল।
প্রকৌশল খাতে ২৪টি বা ৫৭.১৪ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়ে লেনদেন হয়েছে। দর কমেছে ৮টির ও আগের দরে লেনদেন হয়েছে ১০টি কোম্পানির শেয়ার।
প্রযুক্তি খাতে ১০টি বা ৯০ শতাংশের বেশি কোম্পানির দরবৃদ্ধি দেখা গেছে। দর কমেছে মাত্র একটির।
ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৩টি কোম্পানিরই দর বেড়েছে।
এ ছাড়াও দরবৃদ্ধি হয়েছে জীবন বিমা, কাগজ ও মুদ্রণ, সেবা ও আবাসন, সিরামিকস, বিবিধ ও ট্যানারি খাতে।
তালিকাভুক্ত ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩১টির লেনদেন হয়েছে এবং সবগুলোর দরই অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ সেগুলো ফ্লোর প্রাইসেই লেনদেন হয়েছে।
আগের দিনের চেয়ে আরও কমলেও শীর্ষে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। হাতবদল হয়েছে ৩৭৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ২৩ দশমিক ২৬ শতাংশ।
১৫টি কোম্পানির দরপতন হয়েছে। আগের দরেই লেনদেন হয়েছে ৯টির। আর দরপতনে লেনদেন হয়েছে ১৫টি বা ৫০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বিবিধ খাতের লেনদেন হয়েছে ৩৪৩ কোটি ২০ লাখ।
দুই খাতেই আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে। তবে দুই খাতের লেনদেন মোট লেনদেনের ৪৪ দশমিক ৩০ শতাংশ।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৫৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে জ্বালানি খাতে।
এর পরেই ১১৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা প্রকৌশল খাতে এবং প্রযুক্তি খাতে ১১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
আর কোনো খাতের লেনদেন একশ কোটি ছুঁতে পারেনি।
এর পরে লেনদেনের ওপরের দিকে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ, বস্ত্র, জীবন বিমা, কাগজ ও মুদ্রণ, সেবা ও আবাসন, সিমেন্ট, খাদ্য, সিরামিকস ইত্যাদি।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
প্রায় ২০টির মতো কোম্পানির দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ ও এর আশেপাশে। তিনটির দর বেড়েছে পুরোপুরি ১০ শতাংশ।
দরবৃদ্ধির শীর্ষে অবস্থান করছে অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন। চলতি বছরের ৯ মাসেই কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৩৪ পয়সা।
১০ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪০ টাকা ৭০ পয়সায়। আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৩৭ টাকা।
একই সমান দর বেড়ে পেনিনসুলা চিটাগংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৯ টাকা ৬০ পয়সায়, আগের দিনের সর্বশেষ দর ছিল ৩৬ টাকা।
একই সমান দর বেড়ে ৭২ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে তৃতীয় স্থানে থাকা এডিএন টেলিকমের। আগের দিন দর ছিল ৬৬ টাকা।
এ ছাড়াও দরবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষ দশে রয়েছে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, লুবরেফ বাংলাদেশ, ইনডেক্স অ্যাগ্রো, আজিজ পাইপস, ফাইন ফুডস, ইস্টার্ন হাউজিং ও এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন।
দর পতনের শীর্ষ ১০
পতনের তালিকার শীর্ষে রয়েছে জুট স্পিনার্স। পুঞ্জিভূত লোকসান ও অপারেশনে না থাকার পরেও লাফিয়ে লাফিয়ে দর বাড়ার পরে দর কমছে শেয়ারের।
বৃহস্পতিবার ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২২৩ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়।
পতনের তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে কোহিনূর কেমিক্যাল। ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ দর কমে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৪৫ টাকা ৪০ পয়সায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে লোকসানি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং। ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ৬ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়।
দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল- ওরিয়ন ইনফিউশন, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, সন্ধানী ইন্স্যুরেন্স, বিকন ফার্মা,, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, সিলভা ফার্মা ও নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য