চলতি সপ্তাহের মধ্যে বুধবার সবচেয়ে বেশি সূচক পড়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। একই দিনে লেনদেন কমেছে হাজার কোটি টাকার বেশি।
বেশ কয়েক দিন ধরেই পুঁজিবাজারে অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ করা যাচ্ছিল। প্রতিদিনই বেশিরভাগ শেয়ারের দরপতনে লেনদেন হয়েছে, কিন্তু সূচকের পতন দেখা গেছে মঙ্গলবার ও বুধবার। তার আগের দুই দিনে সূচকে যোগ হয় ৮৫ পয়েন্ট।
মঙ্গলবার ব্যাপক দরপতনেও সূচক কমে মাত্র ৪ পয়েন্ট, তবে সেই আচরণ থেকে আজ কিছুটা বের হয়ে এসেছে পুঁজিবাজার। বেশিরভাগ শেয়ারের দরপতনের সঙ্গে সূচক কমেছে ৪৫ পয়েন্ট।
যদিও এর চেয়ে বেশি পতনের শঙ্কা ছিল। ১১টা ৭ মিনিটেও আগের দিনের চেয়ে ২৯ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হচ্ছিল, সূচকের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ৬২৫ পয়েন্ট। মাঝে একটু কমলেও পরের এক ঘণ্টাতে সূচকের অবস্থান ছিল এর কাছাকাছিই।
এর পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে দর হারাতে থাকে শেয়ারগুলো। দুপুর ১টা ৩২ মিনিটে দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে সূচক কমে যায় ৬৫ পয়েন্ট, তবে শেষ মুহূর্তের সমন্বয়ে ৪৫ পয়েন্ট কমে লেনদেন শেষ হয়েছে। সূচকের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে।
লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে যতগুলোর দর বেড়েছে, তার দ্বিগুণের বেশি দরপতন হয়েছে। ৫৮টি শেয়ারের দরবৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৫৯টির। আগের দরেই লেনদেন হয়েছে ১৫৪টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
কয়েক দিন থেকে আরেকটি প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। মোট লেনদেনের বড় অংশই থাকছে কয়েকটি কোম্পানির দখলে। বুধবারও তার ব্যতিক্রম দেখা যায়নি।
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় ওরিয়ন ফার্মার। কোম্পানির ১ কোটি ৭৪ লাখ ১০২টি শেয়ার লেনদেন হয় ২৫৭ কোটি ২৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকায়।
গ্রুপের আরেক কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশনের লেনদেন হয় ৪০ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার টাকার। কোম্পানিটির ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮৭৭টি শেয়ার লেনদেন হওয়ার দিনে দর বেড়েছে ২০ টাকা ৪০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের। যদিও এদিন কোম্পানির দর কমেছে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। ২২৯ কোটি ৬৯ লাখ ২৮ হাজার টাকায় হাতবদল হয় এক কোটি ৬৬ লাখ ৭১ হাজার ৫২৩টি শেয়ার।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার লেনদেন হয় ১০২ কোটি ২২ লাখ ৯৭ হাজার টাকার। হাতবদল হয় ৬৩ লাখ ৪১ হাজার ৪৪৫টি শেয়ার।
এসব কোম্পানির লেনদেন কমার সঙ্গে ডিএসইর মোট লেনদেন কমেছে।
মঙ্গলবার লেনদেন হয় ২ হাজার ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা, যা চলতি বছরের তো বটেই, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বরের পর সর্বোচ্চ। আর ২০১০ সালের মহাধসের পর এটি ছিল সপ্তম সর্বোচ্চ লেনদেন। অর্থাৎ এর চেয়ে আর মাত্র ছয়বার এত বেশি লেনদেন হয়েছে ডিএসইতে।
বুধবার হাতবদল হয়েছে এক হাজার ৮০৮ কোটি ১৯ লাখ ১২ হাজার টাকা। এ সংখ্যাটা আগের দিনের চেয়ে এক হাজার ২৪ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার টাকা কম।
২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর দর সংশোধনে যায় পুঁজিবাজার। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে মতভেদ শেষে অর্থবছরের সমন্বয় হয়। সবশেষ ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ধস নামে পুঁজিবাজারে।
এর মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস আরোপ এবং ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিট শেয়ারের ক্রয়মূল্য নির্ধারণের পর ৩১ জুলাই থেকে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে; ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে লেনদেন।
এই উত্থান শুরুর আগের কর্মদিবস ২৮ জুলাই সূচক নেমে যায় ৬ হাজার পয়েন্টের নিচে। তা নিম্নমুখীই ছিল। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীরা ছিলেন আতঙ্কে।
পরের কর্মদিবস থেকে ৬০০ পয়েন্টের বেশি হারিয়ে ফেলা সূচক ফিরে পেলেও বিনিয়োগকারীদের মনের খেদ মেটেনি। কারণ এই উত্থানের প্রভাব পুঁজিবাজারে সমভাবে পড়েনি। অল্প কিছু কোম্পানির শেয়ারের মাত্রাতিরিক্ত দরবৃদ্ধির মধ্যেও ফ্লোর প্রাইসে গড়াগড়ি খাচ্ছে শতাধিক কোম্পানি। এর মধ্যে কিছু দুর্বল কোম্পানি থাকলেও শক্তিশালী মৌলভিত্তির কোম্পানিও আছে।
লেনদেনে বিষয়ে ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘আজকের লেনদেন কম বলব না, বরং গতকাল ক্রেজি ট্রানজেকশন হয়েছিল বলা যায়।’
তিনি বলেন, ‘গতকালের এত বড় ট্রানজেকশনের পরে আজকে যে পজ নিয়েছে বা পুল ব্যাক করেছে, তা বাজারের জন্য ভালো বলে আমি মনে করি। মার্কেট মেকাররা খুব দক্ষতার সঙ্গে বাজার পরিচালনা করছে।’
মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘গতকালের যে লেনদেন, এরপরে আজকের যে সেল প্রেসার ছিল, তা রিমার্কেবল নয়। বেশিরভাগ সিকিউরিটজের দরপতনের সঙ্গে সূচক কমেছে।’
সূচক কমাল যারা
সবচেয়ে বেশি ১০ দশমিক ১১ পয়েন্ট সূচক কমেছে বেক্সিমকোর দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ৩ দশমিক ১৪ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ২৭ পয়েন্ট কমেছে বিকন ফার্মার কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে ৪ দশমিক ২৪ শতাংশ।
লাফার্জ হোলসিমের দর ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ৪ দশমিক ২৬ পয়েন্ট।
এ ছাড়া বেক্সিমকো ফার্মা, পাওয়ার গ্রিড, কোহিনূর কেমিক্যাল, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, আরএকে সিরামিকস ও প্রাইম ব্যাংকের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৪০ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট।
সূচক বাড়াল যারা
সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ৯১ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ২ দশমিক ২২ শতাংশ।
বসুন্ধরা পেপারের দর ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট।
সি পার্ল সূচকে যোগ করেছে ৩ দশমিক ২৬ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ।
এর বাইরে ডোরিন পাওয়ার, বার্জার পেইন্টস, মীর আকতার, শাহজিবাজার পাওয়ার, জেএমআই হসপিটাল, ইনডেক্স অ্যাগ্রো ও পূবালী ব্যাংক সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২৬ দশমিক ০৫ পয়েন্ট।
কোন খাত কেমন
দরপতনের পাল্লা ভারী হওয়ায় কোনো খাতেই দরবৃদ্ধি দেখা যায়নি।
তবে আটটি বা ২৫ শতাংশের বেশি কোম্পানির দর বেড়েছে লেনদেনের শীর্ষে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে।
আগের দিনের চেয়ে ৩০০ কোটির মতো লেনদেন কমে হাতবদল হয়েছে ৪৫৬ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ২৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
বিপরীতে ১৬টি কোম্পানির দরপতন হয়েছে। আগের দরেই লেনদেন হয়েছে আরও ৭টি কোম্পানির শেয়ার।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বিবিধ খাতের লেনদেন হয়েছে ৪১৯ কোটি ৭৪ লাখ, অথচ গতকাল এটি ছিল ৫৯২ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমলেও এই দুই খাতের লেনদেন মোট লেনদেনের ৫০ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
গতকালের মতোই আর কোনো খাতের লেনদেন ১০ শতাংশ অতিক্রম করতে পারেনি। তবে এক শ কোটির বেশি লেনদেন হয়েছে আরও দুটি খাতে।
তবে দরপতনের পাল্লাই ভারী ছিল খাতটিতে। ৭টি কোম্পানির দরপতনের বিপরীতে বেড়েছে ৪টির ও ২টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে।
প্রকৌশল খাত টপকে তৃতীয় অবস্থানে চলে এসেছে জ্বালানি খাত। ১২৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা লেনদেনের দিনে আটটি কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। বিপরীতে ১০টির দরপতন ও পাঁচটি কোম্পানির দর অপরিবর্তিত ছিল।
পরের স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতে ৬টি কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৬টির। আগের দরে লেনদেন হয়েছে ১০টির।
দিনভর হাতবদল হয়েছে ১১৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
বস্ত্র খাতের লেনদেন অর্ধেকে নেমে এসেছে। গতকাল ১৪৭ কোটি ১০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল, সেটা আজকে দাঁড়িয়েছে ৭৫ কোটি ৬০ লাখ টাকায়, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
খাতের ৩টি কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে ২১টির ও অপরিবর্তিত ছিল ৩৫টির।
আইটি খাতে লেনদেন হয়েছে ৭৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা বা ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ।
এ ছাড়া দুটি খাতে ৩ শতাংশের বেশি, পাঁচটি খাতে ২ শতাংশের বেশি, তিনটি খাতে ১ শতাংশের বেশি লেনদেন হয়েছে। এক শতাংশের নিচে লেনদেন হয়েছে পাঁচ খাতে।
এ ছাড়া আইটি, ভ্রমণ ও অবকাশ, কাগজ ও মুদ্রণ, জীবন বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা, ট্যানারি খাতে অল্প কিছু কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। তবে সব খাতেই দরপতনই বেশি ছিল।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
দরবৃদ্ধির শীর্ষে অবস্থান করছে ইনডেক্স অ্যাগ্রো। ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২৫ টাকা ৬০ পয়সায়। আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইস ছিল ১১৪ টাকা ২০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর বেড়েছে মীর আকতার হোসেন লিমিটেডের। ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়েছে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬০ টাকা ৯০ পয়সায়, আগের দিনের সর্বশেষ দর ছিল ৫৫ টাকা ৪০ পয়সা।
তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে সি পার্ল। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানি শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৭ পয়সা লোকসানে রয়েছে।
বুধবার ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ দর বেড়ে প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১৪ টাকা ২০ পয়সায়। আগের দিন দর ছিল ১০৩ টাকা ৯০ পয়সা।
এ ছাড়া দরবৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে বসুন্ধরা পেপার, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, বিডিকম, ডোরিন পাওয়ার, আরএসআরএম স্টিল, এডিএন টেলিকম ও ইন্দো-বাংলা ফার্মা।
দর পতনের শীর্ষ ১০
পতনের তালিকার শীর্ষে রয়েছে জুট স্পিনার্স। পুঞ্জিভূত লোকসান ও অপারেশনে না থাকার পরেও লাফিয়ে লাফিয়ে দর বাড়তে দেখা গেছে কোম্পানিটির শেয়ারের।
বুধবার ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৪৩ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়।
পতনের তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে আরেক লোকসানি কোম্পানি বিডি ওয়েলডিং। ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ দর কমে লেনদেন হয়েছে ২৭ টাকা ৯০ পয়সায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে ন্যাশনাল টি। বিশাল লোকসান থাকার পরে কোম্পানির শেয়ার বেড়েছিল, বুধবার ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ৬৪৩ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়।
দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল- ইস্টার্ন ক্যাবলস, নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, অ্যাটলাস বাংলাদেশ, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, সোনালী আঁশ, আজিজ পাইপস ও কোহিনূর কেমিক্যালস।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য