সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যতগুলো কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে তার দেড় গুণ, তবুও সূচকের উত্থানে লেনদেন হয়েছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে সংশোধনে যাওয়া পুঁজিবাজারে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর যে ধস নামে, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো শুরু হয় চলতি বছরের ৩১ জুলাই।
এরপর ডলারের বিপরীতে টাকার দামের উত্থান-পতন, এনবিআরের কর পরিপত্র নিয়ে ভুল বোঝাবুঝিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কিছুটা উত্থান-পতনের পর বর্তমান সময় পর্যন্ত সূচক বেড়েছে ৬১৯ পয়েন্টের মতো।
এই সূচক বৃদ্ধির সুফল সমভাবে পড়েনি পুঁজিবাজারে। অল্প কিছু কোম্পানির দরবৃদ্ধি ও লেনদেনের আগ্রহের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এ উত্থান।
সোমবার লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৮৮টির। বিপরীতে ১৫৫টির দর কমেছে। আগের দরেই লেনদেন হয়েছে ১২৮টি, যেগুলোর প্রায়ই সবই ফ্লোর প্রাইসে অবস্থান করছে।
এর পরেও প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৬৫ পয়েন্ট। এই উত্থানেও অল্প কয়েকটি কোম্পানির প্রভাব বিদ্যমান।
আগের দিনের মতোই সূচকের বৃদ্ধিতে শীর্ষে রয়েছে ওরিয়ন গ্রুপের কোম্পানি। সর্বোচ্চ সীমার কাছাকাছি দর বাড়ার কারণে ১৬.২৮ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে গ্রুপের কোম্পানি বিকন ফার্মা।
সূচক এর চেয়ে কম বাড়ালেও লেনদেন বেশি ওয়েছে ওরিয়ন ফার্মার। ২৪০ কোটি ৫ লাখ টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে কোম্পানিটির। সঙ্গে সূচকে যোগ করেছে ৬.৮৭ পয়েন্ট।
দুটি কোম্পানি সূচক বাড়াতে অবদান রেখেছে ২৩.১৫ পয়েন্ট।
আর বিকন ফার্মার লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ২৩ লাখ টাকার বেশি।
লেনদেনে শীর্ষে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেড সূচক বাড়িয়েছে ১৩.৬৫ পয়েন্ট। গ্রুপের আরেক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মা সূচকে যোগ করেছে ৪.৯৫ পয়েন্ট। এই দুই কোম্পানি মিলে সূচক বাড়িয়েছে ১৮.৬ পয়েন্ট।
সবচেয়ে বেশি ২৭৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর। হাতবদল হয়েছে ২ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার ১৩৯টি শেয়ার।
অপরদিকে বেক্সিমকো ফার্মার ১১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২১ কোটি ৪৯ লাখ ৪০ টাকায়।
এর বাইরে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, জেএমআই হসপিটাল, শাপইনপুকুর সিরামিকস, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের লেনদেন হয়েছে ৫০ থেকে ১০০ কোটির মধ্যে।
একটি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়নি, এমন কোম্পানি ১৬টি। ১০টির নিচে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪টির; ১০ থেকে ১০০টির মধ্যে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০টির।
১০০ থেকে এক হাজারের মধ্যে শেয়ার লেনদেন হওয়া কোম্পানি ৮টি। এ ছাড়াও ৩০টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ হাজারের নিচে।
অন্যান্য শেয়ারে আগ্রহ কম থাকলেও অল্প কিছু কোম্পানির শেয়ারের ওপর ভর করেই লেনদেন আগের দিনের চেয়ে আরও কিছুটা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবারের তুলনায় ৫৭১ কোটি টাকার বেশি বেড়ে রোববার লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৮১৩ কোটি ৯২ লাখ ৬৩ হাজার টাকার। সোমবার হাতবদল হয়েছে এক হাজার ৯৮৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ১৭৫ কোটি টাকার কিছু বেশি।
পুঁজিবাজারের চলমান অবস্থায় সতর্কভাবে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘ইনডেক্স যেভাবে মুভ করছে, সেভাবে টার্নওভার যাচ্ছে, তবে এটা যেহেতু স্মুথ টার্নওভার নয়, ফলে সতর্ক অবস্থানে থেকে বুঝেশুনে বিনিয়োগ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ দিন থেকে ধরে যদি বলা হয়, তাহলে দেখা যায় যে, অনেকেই হয়তো তার হোল্ডিংস নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। যখন দেখছেন যে ১০ দিনেও ওই সব আইটেমে র্যালি আসেনি, তখন অধৈর্য হয়ে অনেকেই সেসব সেল করে যেসব আইটেমে র্যালি হচ্ছে, সেসব আইটেমে ঝুঁকেছেন। যারা আরও পাঁচ দিন আগে এসব আইটেমে এসেছেন, তারা চিন্তা না করলেও যারা শেষের পাঁচ দিনে এসেছেন তাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ মার্কেটটা এখন ফ্লাইং মার্কেট।’
বাজারের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘মার্কেট মেকার যারা, তারা খুব সুন্দরভাবে মার্কেটটাকে তৈরি করেছেন। সূচক যেভাবে বাড়ানোর বাড়ছে, আবার যেখানে পজ দিতে হবে, সেখানে দেয়া হচ্ছে।’
কোন খাত কেমন
ব্যাপক দরপতনে কোনো খাতেই খুব বেশি উত্থান দেখা যায়নি, তবে সার্বিকভাবে সবচেয়ে ভালো দিন গেছে বিবিধ খাতে। এই খাতে ১৪টি কোম্পনির মধ্যে দর বেড়েছে ৮টির। বাকি তিনটি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধি ও অপরিবর্তিত ছিল।
প্রকৌশল খাতে ১৫টির দরবৃদ্ধি, ১০টির দর অপরিবর্তিত ও ১৭টির দরপতন হয়েছে।
ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯টির; অপরিবর্তিত ছিল ৮টির।
জ্বালানি খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৮টির, কমেছে ১৩টির। আর আগের দরেই লেনদেন হয়েছে দুটির।
এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৬টির, কমেছে ৪টির, বাকি একটির দর অপরিবর্তিত ছিল।
বাকি সব খাতে অল্পসংখ্যক কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে বেশিরভাগের। আর মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে ১০টির লেনদেন হয়নি। বাকি ২৬টির মধ্যে ২৫টির দর স্থির রয়েছে, যেগুলোর সবই ফ্লোর প্রাইসে। বিপরীতে একটির দর কমেছে।
লেনদেনে ওষুধ ও রসায়ন খাতকে টপকে শীর্ষে চলে এসেছে বিবিধ খাত। হাতবদল হয় ৪৭৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে হাতবদল হয়েছে ৪০৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা প্রকৌশল খাতে হাতবদল হয়েছে ১৭৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা বস্ত্র খাতে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তালিকার পঞ্চম অবস্থানে উঠে এসেছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাত। তিনটি কোম্পানির সবগুলোর দর বাড়ার দিনে লেনদেন হয়েছে ৯৬ কোটি ৯০ লাখ টাকার। বাকি খাতের লেনদেন ছিল ৫ শতাংশের নিচে।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০টির মধ্যে চারটিই লোকসানি কোম্পানি। শীর্ষে রয়েছে লোকসানি মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ। ২০২০ সালে ৩ টাকা ৬২ পয়সা লোকসানের পরে ২০২১ সালের প্রথম ৯ মাসেই ১ টাকা ২১ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে কোম্পানি।
১০ শতাংশ দর বেড়ে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৭ টাকা ৪০ পয়সায়। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ৩৪ টাকায়।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। শেয়ারটি সর্বশেষ হাতবদল হয়েছে ১৫৪ টাকা ২০ পয়সায়। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ১৪০ টাকা ২০ পয়সায়।
একই পরিমাণ দর বেড়েছে তৃতীয় স্থানে থাকা অ্যাটলাস বাংলাদেশের। ২০২১ সালে ৩ টাকা ৯ পয়সা লোকসান গুনেছে কোম্পানিটি। শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ১১৪ টাকা ৬০ পয়সা।
এ ছাড়াও দর বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে ন্যাশনাল টিউব, ওরিয়ন ফার্মা, ইস্টার্ন হাউজিং, লোকসানি আজিজ পাইপস, রংপুর ডেইরি, বিডিকম অনলাইন ও লোকসানি বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি।
দরপতনের শীর্ষে ১০
এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে সোনারগাঁও টেক্সটাইল। তাদের শেয়ারদর ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ কমে সর্বশেষ ৫৪ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়।
পতনের তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি। ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ দর কমে লেনদেন হয়েছে ২৭৬ টাকা ২০ পয়সায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স। ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ৬০ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়।
দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো সোনালী আঁশ, হাক্কানি পাল্প, অ্যাম্বি ফার্মা, এস আলম স্টিল, নিটল ইন্স্যুরেন্স, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও রহিম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য