সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যতগুলো কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে তার দেড় গুণ, তবুও সূচকের উত্থানে লেনদেন হয়েছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে সংশোধনে যাওয়া পুঁজিবাজারে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর যে ধস নামে, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো শুরু হয় চলতি বছরের ৩১ জুলাই।
এরপর ডলারের বিপরীতে টাকার দামের উত্থান-পতন, এনবিআরের কর পরিপত্র নিয়ে ভুল বোঝাবুঝিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কিছুটা উত্থান-পতনের পর বর্তমান সময় পর্যন্ত সূচক বেড়েছে ৬১৯ পয়েন্টের মতো।
এই সূচক বৃদ্ধির সুফল সমভাবে পড়েনি পুঁজিবাজারে। অল্প কিছু কোম্পানির দরবৃদ্ধি ও লেনদেনের আগ্রহের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এ উত্থান।
সোমবার লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৮৮টির। বিপরীতে ১৫৫টির দর কমেছে। আগের দরেই লেনদেন হয়েছে ১২৮টি, যেগুলোর প্রায়ই সবই ফ্লোর প্রাইসে অবস্থান করছে।
এর পরেও প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৬৫ পয়েন্ট। এই উত্থানেও অল্প কয়েকটি কোম্পানির প্রভাব বিদ্যমান।
আগের দিনের মতোই সূচকের বৃদ্ধিতে শীর্ষে রয়েছে ওরিয়ন গ্রুপের কোম্পানি। সর্বোচ্চ সীমার কাছাকাছি দর বাড়ার কারণে ১৬.২৮ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে গ্রুপের কোম্পানি বিকন ফার্মা।
সূচক এর চেয়ে কম বাড়ালেও লেনদেন বেশি ওয়েছে ওরিয়ন ফার্মার। ২৪০ কোটি ৫ লাখ টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে কোম্পানিটির। সঙ্গে সূচকে যোগ করেছে ৬.৮৭ পয়েন্ট।
দুটি কোম্পানি সূচক বাড়াতে অবদান রেখেছে ২৩.১৫ পয়েন্ট।
আর বিকন ফার্মার লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ২৩ লাখ টাকার বেশি।
লেনদেনে শীর্ষে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেড সূচক বাড়িয়েছে ১৩.৬৫ পয়েন্ট। গ্রুপের আরেক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মা সূচকে যোগ করেছে ৪.৯৫ পয়েন্ট। এই দুই কোম্পানি মিলে সূচক বাড়িয়েছে ১৮.৬ পয়েন্ট।
সবচেয়ে বেশি ২৭৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর। হাতবদল হয়েছে ২ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার ১৩৯টি শেয়ার।
অপরদিকে বেক্সিমকো ফার্মার ১১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২১ কোটি ৪৯ লাখ ৪০ টাকায়।
এর বাইরে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, জেএমআই হসপিটাল, শাপইনপুকুর সিরামিকস, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের লেনদেন হয়েছে ৫০ থেকে ১০০ কোটির মধ্যে।
একটি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়নি, এমন কোম্পানি ১৬টি। ১০টির নিচে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪টির; ১০ থেকে ১০০টির মধ্যে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০টির।
১০০ থেকে এক হাজারের মধ্যে শেয়ার লেনদেন হওয়া কোম্পানি ৮টি। এ ছাড়াও ৩০টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ হাজারের নিচে।
অন্যান্য শেয়ারে আগ্রহ কম থাকলেও অল্প কিছু কোম্পানির শেয়ারের ওপর ভর করেই লেনদেন আগের দিনের চেয়ে আরও কিছুটা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবারের তুলনায় ৫৭১ কোটি টাকার বেশি বেড়ে রোববার লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৮১৩ কোটি ৯২ লাখ ৬৩ হাজার টাকার। সোমবার হাতবদল হয়েছে এক হাজার ৯৮৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ১৭৫ কোটি টাকার কিছু বেশি।
পুঁজিবাজারের চলমান অবস্থায় সতর্কভাবে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘ইনডেক্স যেভাবে মুভ করছে, সেভাবে টার্নওভার যাচ্ছে, তবে এটা যেহেতু স্মুথ টার্নওভার নয়, ফলে সতর্ক অবস্থানে থেকে বুঝেশুনে বিনিয়োগ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ দিন থেকে ধরে যদি বলা হয়, তাহলে দেখা যায় যে, অনেকেই হয়তো তার হোল্ডিংস নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। যখন দেখছেন যে ১০ দিনেও ওই সব আইটেমে র্যালি আসেনি, তখন অধৈর্য হয়ে অনেকেই সেসব সেল করে যেসব আইটেমে র্যালি হচ্ছে, সেসব আইটেমে ঝুঁকেছেন। যারা আরও পাঁচ দিন আগে এসব আইটেমে এসেছেন, তারা চিন্তা না করলেও যারা শেষের পাঁচ দিনে এসেছেন তাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ মার্কেটটা এখন ফ্লাইং মার্কেট।’
বাজারের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘মার্কেট মেকার যারা, তারা খুব সুন্দরভাবে মার্কেটটাকে তৈরি করেছেন। সূচক যেভাবে বাড়ানোর বাড়ছে, আবার যেখানে পজ দিতে হবে, সেখানে দেয়া হচ্ছে।’
কোন খাত কেমন
ব্যাপক দরপতনে কোনো খাতেই খুব বেশি উত্থান দেখা যায়নি, তবে সার্বিকভাবে সবচেয়ে ভালো দিন গেছে বিবিধ খাতে। এই খাতে ১৪টি কোম্পনির মধ্যে দর বেড়েছে ৮টির। বাকি তিনটি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধি ও অপরিবর্তিত ছিল।
প্রকৌশল খাতে ১৫টির দরবৃদ্ধি, ১০টির দর অপরিবর্তিত ও ১৭টির দরপতন হয়েছে।
ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯টির; অপরিবর্তিত ছিল ৮টির।
জ্বালানি খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৮টির, কমেছে ১৩টির। আর আগের দরেই লেনদেন হয়েছে দুটির।
এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৬টির, কমেছে ৪টির, বাকি একটির দর অপরিবর্তিত ছিল।
বাকি সব খাতে অল্পসংখ্যক কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে বেশিরভাগের। আর মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে ১০টির লেনদেন হয়নি। বাকি ২৬টির মধ্যে ২৫টির দর স্থির রয়েছে, যেগুলোর সবই ফ্লোর প্রাইসে। বিপরীতে একটির দর কমেছে।
লেনদেনে ওষুধ ও রসায়ন খাতকে টপকে শীর্ষে চলে এসেছে বিবিধ খাত। হাতবদল হয় ৪৭৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে হাতবদল হয়েছে ৪০৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা প্রকৌশল খাতে হাতবদল হয়েছে ১৭৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা বস্ত্র খাতে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তালিকার পঞ্চম অবস্থানে উঠে এসেছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাত। তিনটি কোম্পানির সবগুলোর দর বাড়ার দিনে লেনদেন হয়েছে ৯৬ কোটি ৯০ লাখ টাকার। বাকি খাতের লেনদেন ছিল ৫ শতাংশের নিচে।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০টির মধ্যে চারটিই লোকসানি কোম্পানি। শীর্ষে রয়েছে লোকসানি মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ। ২০২০ সালে ৩ টাকা ৬২ পয়সা লোকসানের পরে ২০২১ সালের প্রথম ৯ মাসেই ১ টাকা ২১ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে কোম্পানি।
১০ শতাংশ দর বেড়ে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৭ টাকা ৪০ পয়সায়। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ৩৪ টাকায়।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। শেয়ারটি সর্বশেষ হাতবদল হয়েছে ১৫৪ টাকা ২০ পয়সায়। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ১৪০ টাকা ২০ পয়সায়।
একই পরিমাণ দর বেড়েছে তৃতীয় স্থানে থাকা অ্যাটলাস বাংলাদেশের। ২০২১ সালে ৩ টাকা ৯ পয়সা লোকসান গুনেছে কোম্পানিটি। শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ১১৪ টাকা ৬০ পয়সা।
এ ছাড়াও দর বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে ন্যাশনাল টিউব, ওরিয়ন ফার্মা, ইস্টার্ন হাউজিং, লোকসানি আজিজ পাইপস, রংপুর ডেইরি, বিডিকম অনলাইন ও লোকসানি বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি।
দরপতনের শীর্ষে ১০
এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে সোনারগাঁও টেক্সটাইল। তাদের শেয়ারদর ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ কমে সর্বশেষ ৫৪ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়।
পতনের তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি। ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ দর কমে লেনদেন হয়েছে ২৭৬ টাকা ২০ পয়সায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স। ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ৬০ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়।
দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো সোনালী আঁশ, হাক্কানি পাল্প, অ্যাম্বি ফার্মা, এস আলম স্টিল, নিটল ইন্স্যুরেন্স, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও রহিম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য