× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Economy will turn around from October MA Mannan
google_news print-icon

অক্টোবর থেকেই ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি: এম এ মান্নান

অক্টোবর-থেকেই-ঘুরে-দাঁড়াবে-অর্থনীতি-এম-এ-মান্নান
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ছবি: নিউজবাংলা
 ‘দীর্ঘদিন টাকাটাকে আমরা ছিপি আটকে রাখার মতো রেখেছিলাম। ছিপি যদি লুজ হয়, হঠাৎ ব্রার্স্ট হয়ে গেলে যা হয় তাই হয়েছে। অনেকে বলে, এটাকে অনেকটা বাঁধভাঙা ঢেউয়ের মতো এক লাফে ১২০ টাকায় উঠল। এটা আর্টিফিশিয়াল নয়, ন্যাচারাল। ওইটা রিয়েল প্রাইসে ছিল না। রিয়েল প্রাইসে নামা শুরু করেছে।’

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দুই বছরের করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল বাংলাদেশের অর্থনীতি। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ফের বিপদে ফেলে দিয়েছে। তার পরও বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে আমরা ভালো অবস্থায় আছি। আমাদের রপ্তানি আয় বাড়ছেই, প্রবাসীরা বেশি বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন। মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী ঠিক, তবে শিগগিরই নিম্নমুখী হবে। বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ কমলেও এখনো ছয় মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। সব মিলিয়ে অক্টোবর থেকে আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে।

মিন্টো রোডে নিজের বাসায় নিউজবাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমন আশার কথাই শুনিয়েছেন মৃদুভাষী কিন্তু দৃঢ়চেতা ‘প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী’ মানুষ এম এ মান্নান।

নিউজবাংলা: দুই বছরের বেশি সময়ের করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় কেমন চলছে বাংলাদেশের অর্থনীতি?

এম এ মান্নান: আমি সরকারে রয়েছি টানা ৯ বছর। অর্থনীতিকে মোটামুটি কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। ২০০৯-১০ সালের দিকে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক যে স্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখেছিলাম, এই দুটো পাশাপাশি ছিল, একটির সঙ্গে আরেকটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এটিই নিয়ম।
২০১৯ সালে প্রথম যখন করোনার আবির্ভাব হয় অপ্রত্যাশিতভাবে। পৃথিবীর কোনো বৈজ্ঞানিক, কেউ-ই এটা সম্পর্কে বুঝতে পারেননি চীনের উহানে যখন শুরু হয়। কোন দিকে যাচ্ছিল? কেউ বোঝেননি।

আমি মনে করেছিলাম, আমাদের দিকে মনে হয় আসবে না। পশ্চিমের দিকে চলে গেল। সিল্করুট ধরে প্রায়ই যাচ্ছিল ইউরোপ হয়ে পশ্চিমের দিকে। পরে যখন দেখলাম আবার আমাদের দিকে আসছে এবং ভালোই এসেছিল, বড় ধাক্কা বলা যায়। প্রতিবেশী বিশাল অর্থনীতির দেশ ভারতের ভয়ংকর অবস্থা শুরু হলো। যেহেতু নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমাদের দিকে অনেক আঘাত আসা শুরু করল।

অর্থনীতির ক্ষেত্রে, প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমাদের যে উঠতি সময় ছিল, এটা ভীষণভাবে ধাক্কা খেল। আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮-এর কাছাকাছি চলে গিয়েছিল, বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী, সেটা ৪-এর কাছাকাছি চলে এলো।

এখানে বলে রাখা উচিত, এই চারও কিন্তু তখন বিস্ময়কর ভালো ছিল। কারণ আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে গিয়েছিল। চীন নেতিবাচকের কাছাকাছি ছিল, অন্যান্য দেশও তাই। আইএমএফের তালিকা আমার অফিসে রয়েছে। সেই অনুযায়ী, এই অঞ্চলের ১২টি দেশের মধ্যে আমাদের অবস্থান চমৎকার ছিল।

সেই জায়গা থেকে ২০২১ সালে যখন ভাবলাম করোনা চলে গেছে, কিন্তু একুশের শেষের দিকে আবার সেকেন্ড ওয়েভ আসা শুরু করল। ২০২২ সালের শুরুতে প্রথম ভালোই উঠল। এখন আবার নামছে। শুধু আমাদের দেশে নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এটা ওঠানামা করছে।

নিউজবাংলা: করোনায় কতটা ক্ষতি হয়েছে অর্থনীতি?

এম এ মান্নান: অবশ্যই আমাদের বড় ক্ষতি করেছে। তার মাশুল এখনো দিতে হচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতির তুলনায় আমরা তো খুবই সামান্য অংশ। বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে শতকরা তুলনায় গেলে দুই শতাংশ হব না হয়তো। কিন্তু যেহেতু চলাচল, সংযুক্তি এবং আন্তসম্পর্ক অনেক বেশি, তাই ধাক্কাটা ভালোই লেগেছিল। আমরা যেখানে বিক্রি করি, ইউরোপ-আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, কারণ পূর্ব দিকে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য কম ছিল। ফলে ওই তিন জায়গায় কিন্তু ব্যাপকভাবে ধাক্কা খায়। যে কারণে আমাদের কাজ করার ওয়েজ ইকোনমি, কাজ করার সুযোগ কমে আসে। প্রবাসে আমাদের যে শ্রমিক ভাইয়েরা মাটি কামড়ে পড়েছিল, তাদের বেতন কমে আসছিল। ১০০ দিরহামের জায়গায় মালিক বলছিল এখন ৫০ দিরহাম নাও, দিতে পারছি না। তারা বাড়িতে কম টাকা পাঠাল, রেমিট্যান্স পড়ে গেল।

ইউরোপ-আমেরিকায় মাসে মাসে কাপড় বদলায়। এটা ওই দেশের ফ্যাশন। শীতে, গরমে, শরতে, বসন্তে নানা ধরনের কাপড় পরে তারা, সেটাও তাদের কমে গেল। যেহেতু ওই সময় আয় কমে যায়। আমাদের লক্ষাধিক শ্রমিক গার্মেন্টসে কাজ করে। প্রথমদিকে আমাদের এক্সপোর্টে একটা আঘাত এল। সব মিলিয়ে করোনায় অনেকটা পিছিয়ে গেলাম আমরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে গতিতে আগাচ্ছিলাম, তাতে হোঁচট খেলাম। তবে চলতি বছরের মাঝামাঝি এসে মনে হচ্ছিল আমরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছিলাম। বিশ্বের পণ্ডিতরাও তাই বলছিলেন। কিন্তু এই সময়ে আরেক দুর্ভাগ্য এসে গেল, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ।

নিউজবাংলা: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এখনো চলছে। এই যুদ্ধ আমাদের অর্থনীতিকে কতটা আঘাত করছে?

এম এ মান্নান: দুই বছরের করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিলাম আমরা, আমাদের অর্থনীতি। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ফের বিপদে ফেলে দিয়েছে। তার পরও বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে আমরা ভালো অবস্থায় আছি। আমাদের রপ্তানি আয় বাড়ছেই, প্রবাসীরা বেশি বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন। মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী ঠিক, তবে শিগগিরই নিম্নমুখী হবে। বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ কমলেও এখনো ছয় মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। সব মিলিয়ে অক্টোবর থেকে আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে।

তবে আমি বলব, এটা না যুদ্ধ, না শান্তিকর পরিস্থিতি, ঝুলে আছে। আজকালকার যুদ্ধ এতদিন চলে না। এক-দেড় মাসে শেষ হয়ে যায়। অস্ত্রের কারণে বা আলোচনার কারণে। কিন্তু এই দুইটা এখানে ব্যর্থ। রাশিয়া একটা পরাশক্তি। ইউক্রেন তারই এক অংশ ছিল একসময়। ইউক্রেন পরাশক্তি না হলেও আমাদের চেয়ে অনেক বড় শক্তি। তার পেছনে অন্য পরাশক্তি সার্বিকভাবে আছে।

কিন্তু সার্বিকভাবে ইউক্রেন শুধু যুদ্ধের ক্ষেত্র বা পানিপথের মাঠ। যুদ্ধ চলছে মোঘল ও রাজপুতের মধ্যে। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, রাশিয়ানরা পুরো চাপ দিচ্ছে না। একটা বিড়াল ইঁদুর খেলা চলছে।

যুদ্ধ শেষ হচ্ছে না কিন্তু ক্ষতি হচ্ছে। অস্ত্রের চেয়ে, মৃত্যুর চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্যে। পশ্চিমাদের যেহেতু অর্থনৈতিক শক্তি বেশি। ব্যবসা-বাণিজ্য, আর্থিক চলাফেরা তারা নিয়ন্ত্রণ করে। তারা তখন নিষেধাজ্ঞা দিল, অমুকের সঙ্গে এটা করলে আমার সঙ্গে তুমি নাই। গ্রামের খেলা হলে আমরা যেমনটা করতাম। এটা এখন বিশ্ব মানচিত্রে চলছে।

এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা তার নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়াকে দাবানোর জন্য এই অস্ত্র ব্যবহার করছে। এটা আমাদের ওপর প্রভাব ফেলে। আমাদের সাবধানে বিকিকিনি করতে হয়।

আমাদের একটা ভীষণ অভিজ্ঞতা আছে নিষেধাজ্ঞার। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কারা আমাদের সঙ্গে ছিল তা আমরা জানি। স্বাধীনতার পরে আমাদের একমাত্র উৎপাদন ছিল পাট। এটা আমাদের বন্ধু নয়, শুধু ক্রেতা কিউবার কাছে বিক্রি করতে গেলে হুঁশিয়ারি করা হলো। বলা হলো, কিউবাতে হাত দিতে গেলে পার পাবে না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর জেদ, প্রয়োজন, সাহস থেকে তিনি পাট বিক্রি করলেন।

তখন আমাদের ওপরে এল একটা আঘাত। খাদ্যপণ্যভর্তি জাহাজ অলরেডি ভারতীয় উপমহাসাগরে আছে, চট্টগ্রামে ভিড়বে, আমাদের তখন বেশ খাদ্যাভাব, ওই সময় তারা এটা পরিহার করল। এটা গড়িয়ে গড়িয়ে অনেক দূর গেছে… বলতে চাই না।

নিউজবাংলা: এ যুদ্ধের মধ্যে আমরা কোন অবস্থায় আছি?

এম এ মান্নান: একটা বিশেষ ভারসাম্যহীন অবস্থায় আমরা আছি। পশ্চিমে একটা ভারসাম্যের মধ্যে ছিল, এটা নষ্ট হয়ে গেছে। গত দুই দশকে নতুন ভারসাম্য সৃষ্টির একটা কাজ চলছে। এই ভারসাম্যটা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এক প্রান্তে এশিয়া সঙ্গে রাশিয়া, অন্য প্রান্তে ইউরোপ সঙ্গে মার্কিনিরা। নতুন ভারসাম্য সৃষ্টির কাজ চলছে, ভারসাম্য আসবে। তা ছাড়া চলতে পারে না। আমি মনে করি, আগামী পাঁচ-ছয় বছর লাগবে। ক্রিটিক্যাল মোমেন্টে আছে।

আমাদের মতো অর্থনীতির প্রধান উপজীব্য হলো খাদ্য। আমরা মাঝারি পর্যায়ে উঠছি মাত্র। ওরা অস্ত্র বা অন্যান্য ডিজিটাল জিনিস, ফিন্যান্স। এসবের মধ্যে আছে, আমরা এসবে পৌঁছায়নি। আমাদের এই মুহূর্তে অবস্থান, কাজ করব, খাব, এই পর্যায়ে আছি।

আমরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। ইমপোর্ট করতে হয় কিছুটা। ঘরে কিছু খাবার না থাকলে ভীতির মধ্যে থাকি। এ জন্যই স্টক বিল্ডআপ করতে চাই। আমাদের ইমপোর্ট করতে হয়। ইমপোর্টের প্রধান একটা কেন্দ্র রাশিয়া, ইউক্রেন। গম, সানফ্লাওয়ার অয়েল, ভুট্টা, এসব বন্ধ করে দিল। হুহু করে দাম বাড়ল সারা বিশ্বে।

এ ছাড়া ভয়ংকর ভবিষ্যদ্বাণী করল যে, চরম দুর্দিন আসবে। তবে আন্ডারগ্রাউন্ডে কিছু মানুষ ভালো ভালো কথা বলেছে। খাদ্যের নিষেধাজ্ঞা ছিল, সেটা রিলাক্সড হয়ে গেল। অঘোষিতভাবে হলেও প্রত্যাহার করল। ইউক্রেন, রাশিয়া রপ্তানি শুরু করল এবং দামটা পড়ে গেল। কিন্তু ইউক্রেন রাশিয়ার মাঠে উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে ক্ষতিটা হচ্ছে সেটা আগামী বছর আমরা ফিল করব।

নিউজবাংলা: এরই মধ্যে দেশে বন্যা হলো। বন্যায় কতটা ক্ষতি হয়েছে আমাদের?

এম এ মান্নান: হ্যাঁ, বন্যায় ভালোই ক্ষতি হয়েছে আমাদের সুনামগঞ্জ, সিলেট এবং কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষতি হলো। ফসলের অত ক্ষতি না হলেও অবকাঠামো, চলাচল, ব্যবসা-বাণিজ্যের হাটবাজার ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। এ ছাড়া আমাদের অভ্যন্তরীণ কিছু অনিশ্চয়তা আছে। আমাদের মধ্যে আন্ডারগ্রাউন্ড একটা শঙ্কা আছে, রাজনৈতিক পরিবেশ। সার্বিকভাবে উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীলতা অসম্ভব প্রয়োজন। বিশেষ করে দরিদ্র ইকোনমি ও মাঝারি ইকোনমির জন্য। আমরা যদি কাজ করার জায়গায় না যেতে পারি, কাজ করব কীভাবে, সেটা যদি বন্ধ হয়ে যায়?
এগুলো মিলে আমরা একটা দোদুল্যমান অবস্থার মধ্যে আছি। অর্থনীতি একটু ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমবে না সেপ্টেম্বরেও মনে হয়। তবে অক্টোবর নাগাদ নামা শুরু করবে। আশা করছি, সার্বিকভাবে আশা করছি, অক্টোবরের পর থেকেই আশাদের অর্থনীতি আবার ঘুরে দাাঁড়াতে শুরু করবে।

কারণ, আমাদের প্রধান উপজীব্য যেটা- চাল, এর দাম কিন্তু কমা শুরু হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে অন্যগুলো পড়বে। আমাদের দুই মাস একটু ওয়েট করতে হবে। কিন্তু এই দুই মাসই শেষ নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত ওই দুই পক্ষ (ইউক্রেন-রাশিয়া) কোনো একটা ভারসাম্য বা আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে না আসে।
তবে আমার মনে হয়, আমাদের দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের কিন্তু কারেন্টে কারেন্টে ট্রেডিংয়ে ইমব্যালেন্স থাকে। এটা কিন্তু টেক্সটবুক ইকোনমিকসের একটা ব্যাপার। কেন থাকে? কারণ, তারা ওপরের দিকে ওঠার পথে আছে। ওঠার পথে থাকলে আমদানি সাধারণত বেশি থাকে প্রয়োজনে। আরেকটা হলো প্রসেসিং। ইমিডিয়েট প্রয়োজন চাল, ডাল, তেল আর প্রসেসিং এনে তৈরি করে পাঠানো। যেমন কাপড়, কাপড়ের সবকিছু আমরা ইমপোর্ট করি। প্রসেস করে শ্রম দিয়ে অ্যাড করে পাঠাই। এই যে একটা সেক্টর, এটার অংশ কিন্তু আমরা।

আমরা মনে করি, আমরা এখন এই খাতে আছি। এটাকে বাঁচাবার শ্রেষ্ঠ উপায় হলো আমাদের রিজার্ভ। রিজার্ভটা তড়িয়ে তড়িয়ে বাড়ছিল। তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এখন একটু কমেছে, ৪৮ বিলিয়নে উঠেছিল, এখন ৩৮, ৩৭-এ নেমেছে। নামার কারণও আছে। রপ্তানির তুলনায় আমদানি একটু বেড়ে গেছে। ক্যাশের ওপরে চাপ পড়েছে। রেমিট্যান্স ফল করেছিল।

এই দুইটা এবং আমাদের ধান, চাল উৎপাদন যদিও ভালো ছিল, কিন্তু একটা-দুইটা প্রাকৃতিক কারণে আমরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম। এটা থেকে আমরা এখন উঠতে শুরু করেছি।

আমাদের অর্থনীতিতে প্রাথমিক মূলধন এখনো কৃষি। আত্মবিশ্বাস ও নিরাপত্তা হলো, ঘরে চাল আছে। এই বিষয়টা কৃষির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের যেহেতু তেল, গ্যাস নেই তাই আমাদের ক্যাশ ইনকাম কায়িক পরিশ্রম। দেশের ভেতরে কায়িক পরিশ্রম করি, গার্মেন্টস, শাকসবজি ফলাই। কৃষি হোক আর বিদেশে গিয়েও কায়িক পরিশ্রম করি, বিভিন্ন জায়গায়। এই দুইটার মধ্যে একটা ভাটা পড়ে- এটা হয়েছিল।

অক্টোবর থেকেই ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি: এম এ মান্নান
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও নিউজবাংলা প্রতিবেদক। ছবি: নিউজবাংলা

নিউজবাংলা: রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল। সেটা নেমে ৩৭ বিলিয়নে নেমে এসেছে। আপনি কী এটাকে যথেষ্ট মনে করছেন?
এম এ মান্নান: আমি মনে করি, এটা যথেষ্ট এবং সন্তোষজনক। এখন যে রিজার্ভ আছে ৩৭ বা ৩৮ বিলিয়ন, আইএমএফ বলেছে, এত ভয়ের কিছু নেই। পাঁচ-ছয় মাসের আমদানি সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। কিন্তু রিজার্ভ কিছুটা পড়েছে অস্বীকার করছি না। আরেকটা বিষয় অস্থির করে তুলেছিল। তাইওয়ানের ইস্যুটা। সেটাও মনে হয় একটু ঠাণ্ডা হয়েছে।

আমার ধারণা, অক্টোবর থেকে ওখানে যুদ্ধ ক্লিয়ার না হোক, যদি আর না বাড়ে বা ক্যাট-মাউসের খেলা চলে আমরা মোটামুটি ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে যেতে পারব। এসব দিক থেকে অক্টোবর থেকে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলে আমার বিশ্বাস।

নিউজবাংলা: এবার সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় আমনের চাষ শুরু করতে কৃষকদের দেরি হয়েছে। এতে কী খাদ্য উৎপাদনে কোনো সমস্যা হবে?

এ এ মান্নান: আমন কিন্তু বিশাল বড় অংশ। এক শতে যদি ধরি, ৬০ থেকে ৬৫ আছে বোরো, আমন ৩৫ বা ৪০ এর মধ্যে আছে। আমার মোটা দাগে যেটা মনে হয়, এটা তো আগে ছিল, বোরো তো পরে বাড়ল। গত কয়েক দিনের বৃষ্টি আশীর্বাদ, কারণ উত্তরবঙ্গ এবং বরেন্দ্র অঞ্চলে রোপণ করা হয়ে গেছে।

বৈজ্ঞানিকদের কিছু প্রজেকশন দেখেছি, তারা কিছু নিচের দিকে আশঙ্কা করছেন। হয়তো এক শর জায়গায় নব্বই বা পঁচাশি হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে একটা ভালো দিক, সরকার একটা ভালো রিজার্ভ গড়ে তুলেছে। ২০ লাখ টন খাদ্য ধরে রেখেছে হাতে। এটা মনস্তাত্ত্বিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাপারীরা (ব্যবসায়ীরা) স্টক করেছিল, এখন তারা ছাড়বে। আমদানি ওপেন করে দেয়া হয়েছে। কারবারিরা দেখছেন, কোনো ফায়দা হবে না। সরকার নিজে আমদানি শুরু করেছে, দামও পড়ছে।

এটা বলা হয় প্রোপার প্রাইসিং বা ন্যায়সঙ্গত প্রাইসে রয়েছে। সুতরাং অক্টোবর থেকে আমার দৃঢ়বিশ্বাস একটা টার্ন অ্যারাউন্ড হবে। শুধু একটাই আশঙ্কা, আমাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত গ্লোবাল সিচুয়েশন। আমাদের সরকার এটাকে খুব সাবধানে মোকাবিলা করছে।

নিউজবাংলা: সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করে এলেন। এই সফরকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন আপনি?

এম এ মান্নান: এখানে একটা কথা আমি বলতে চাই, পছন্দ করি বা নাই করি, বাস্তববাদী হতে গেলে বলতে হবে, ভারতের অর্থনীতি, রাজনীতি, চলাফেরা নানাভাবে আমাদের অ্যাফেক্ট করে। সুতরাং ওইখানকার বিষয়ে আমাদের অ্যাফেক্ট করতে পারে।

ব্যবসা-বাণিজ্য উভয়ের জন্য লাভজনক না হলে কোনো দিন ব্যবসা হয় না। দ্বিতীয়ত, ভারতের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি বেশি, আবহমানকাল থেকেই। কখনো আমি দেখিনি যে, ঘাটতি নেই। এটা নিয়ে আমাদের অনেকের মনে একটা অস্বস্তি থাকে। মার্কিনিদের সঙ্গেও তাই, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আরও ভয়ংকর। আমরা ১০০ টাকা এক্সপোর্ট করি আর দশ টাকা ইমপোর্ট করি না। তাই বলে তো আমরা কান্নাকাটি করি না। এটাকে দেখতে হবে সার্বিক বিচারে।

সার্বিক বিচারে ভারতের যে মার্কেট, অর্থনৈতিক দৃঢ়তা বা অবস্থান আমাদের সঙ্গে তার ব্যবসার যে অ্যাডভান্টেজ সেটাকে আমরা অমান্য করতে পারব না। তার ডাইভার্সিফাইড প্রোডাক্ট এক ট্রাকে আমার বর্ডারে ঢুকে যায়, আমার একটা প্রোডাক্ট ঢুকতে পারে। যদিও আমাদের অত প্রোডাক্ট নেই। তার বাজারের গভীরতা অনেক বেশি। আমার রাজস্থান পৌঁছাতে তিন দিন লাগবে। সেই জায়গায় কলকাতা থেকে সিলেট পৌঁছাতে কয় ঘণ্টা লাগবে? এগুলো বাস্তবিক বিষয়ে বিবেচনা করা উচিত। আমি এতে ভীত, শঙ্কিত নই। বছরের শেষে হিসাব করে যেটাকে আমরা প্রবৃদ্ধি বলি, প্লাস মাইনাসে সব করি, রিজার্ভের হিসাব করি, প্রতিনিয়ত পকেটে হাত দিয়ে বাজার করা যায় না। এমনটা আমরা ব্যক্তিজীবনে করিও না।

ভারত সম্পর্কে অনেকেই এটাকে অন্য একটা রং দেয়ার চেষ্টা করে। লুটে নিয়ে গেল, আমাদের মাল বিক্রি করছে, তারা কি টাকা দেবে না? আশার কথা, সাম্প্রতিক সময় বেশ বেড়েছে। ভারত কি ডিউটি ফ্রি করে দেবে? কালকে থেকে যদি বলে ডিউটি ফ্রি করে দিলাম, আমরা পারব? কারণ আমি যে প্রোডাক্ট নিয়ে যাব, সেই প্রোডাক্ট তার চেয়ে সস্তায় সেখানে উৎপাদন হচ্ছে। সে কেন কিনবে আমারটা?

আমি মনে করি, ভারতের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও প্রসারিত হওয়া দরকার। বর্ডার হাট, ট্রানজিট পয়েন্ট, চলাফেরা, আসা-যাওয়া আরও বেশি হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি হবে। একটা হয় দৃশ্যমান ব্যবসা, অফিশিয়ালি অন্যদিকে অদৃশ্যমান ব্যবসাগুলো কি কেউ হিসাব করে দেখেছে?
আমাদের নাগরিকরা ও তাদের নাগরিকরা বর্ডারে কত লাখ, কোটি নাগরিক রয়েছেন, ব্যবসা করছেন। সেটা হিসাব করে দেখলে দেখা যাবে, কত কোটি টাকার ব্যবসা করছে! সুতরাং এটাকে প্রতিনিয়ত সমালোচনার চোখে না দেখে ইতিবাচকভাবে দেখা প্রয়োজন। আমাদেরও যেমন বিকল্প নাই, ভারতেরও বিকল্প নাই। এটা তাদের অনুধাবন করা উচিত। কারণ যদি আমাদের দেশ ১৬০ মিলিয়ন না হতো, ১০ মিলিয়ন হতাম, কী হতো আমাদের অবস্থাটা?

আমি যদি ১৬০ মিলিয়ন, বিশ্বব্যাপী একটা পরিযায়ী জাতি, সর্বত্র বিচরণ করছি। তারও তো আমার দিকে তাকাতে হবে সম্মানের চোখে। ৫ কোটি, ১০ কোটি হলে তাকাত না। কিন্তু পাঁচ কোটি, ১০ কোটি যদি আবার সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের মতো হয় সেটাও বিচার করার বিষয়। কারণ তার প্রযুক্তি, চালচলন অনেক ভালো। এটা এভাবে দেখতে হবে।

চীন, ভিয়েতনাম আদর্শিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে এককাতারে নয়। কিন্তু ব্যবসার ব্যাপারে চীনারা হংকং, ভিয়েতনাম বাদ দেন, তাইওয়ানের সঙ্গেও ব্যবসা করছে। আসা-যাওয়া করে। এই যে তাদের ব্যবসা থেকে রাজনীতি সরিয়ে ব্যবসা করা, এই মনোভাব আমাদের আনতে হবে। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও রাজনীতি মেলানো ঠিক হবে না। আমাদের এখানে এটা খুব বেশি। এটা যেন আমরা না করি এবং এভাবে চলি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফর থেকে দেখলাম, এই সফরের ৮০ ভাগই ছিল ব্যবসা-বাণিজ্যসংক্রান্ত। ভারতের সঙ্গে আমাদের অনিষ্পত্তির বড় বিষয় হলো, তিস্তা পানি, বর্ডারে দুই একটা বিষয় আছে। এটা কাছাকাছি বাস করলে যা হয়।

আর মনস্তাত্ত্বিকভাবে সবচেয়ে খারাপ যে ভারতের সীমান্তরক্ষীরা আমাদের লোকজনদের মাঝে মাঝে যে গুলি করে হত্যা করে। এটা দৃশ্য তো খুবই অন্যায়। আমাদের দেশের নাগরিকরা এটা নিয়ে চকিত। ভারতের এটা বোঝা উচিত।

আমি যতদূর জানি, ভারত কেন্দ্র থেকে বলেছিল, এটাকে জিরোতে নিয়ে আসবে। কিন্তু যেকোনো কারণে এটা হয়নি। আমি মনে করি, এটা সফরের বিভিন্ন কমিউনিকেশনে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্ডার কিলিং এবং তিস্তা- এই দুইটা বিষয় যদি সমাধান করি, অন্যান্য বিষয় সমাধান হয়ে যাবে।

নিউজবাংলা: ডলারের বাজারের অস্থিরতা অর্থনীতিকে বড় ধরনের চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এই অস্থিরতা কীভাবে সামাল দেয়া যায়।

এম এ মান্নান: বলা উচিত কি না জানি না। তবে আমার একান্ত নিজের মতো, এটা কিছুটা মেকানিক্যাল। দীর্ঘদিন টাকাটাকে আমরা ছিপি আটকে রাখার মতো রেখেছিলাম। ছিপি যদি লুজ হয়, হঠাৎ ব্রার্স্ট হয়ে গেলে যা হয় তাই হয়েছে। অনেকে বলে, এটাকে অনেকটা বাঁধভাঙা ঢেউয়ের মতো এক লাফে ১২০ টাকায় উঠল। এটা আর্টিফিশিয়াল নয়, ন্যাচারাল। ওইটা রিয়েল প্রাইসে ছিল না। রিয়েল প্রাইসে নামা শুরু করেছে।

এখন ১০৪ বা ১০৫-এর মধ্যে রয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, গত ১০ বছরে আমরা যদি ধীরে ধীরে করতাম তাহলে এখন এই জায়গায় থাকতাম। আমার ধারণা, এখানেই থাকবে এবং আরও স্ট্যাবল হবে। আমাদের সিচুয়েশনটা ইমপ্রুভ করবে। সুতরাং মূল্যস্ফীতি, প্রাইস লেভেল বেড়ে যাওয়া, বাণিজ্য ঘাটতি- এগুলোর সব কারণ কিন্তু টাকার একটা কৃত্রিম লেভেলে ধরে রাখার প্রচেষ্টা। যারা করেছিলেন ভালো করার জন্যই করেছিলেন। সে তর্কে যাব না। বিষয়টা মেকানিক্যাল। কারণ বাজার শেষ বিচারে তার জায়গা খুঁজে বের করবেই। যা-ই করা হোক না কেন।

নিউজবাংলা: দেশে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে। হরতাল-অবরোধ-জ্বালাও-পোড়াও নেই। অর্থনীতিতে কতটা স্বস্তি দিচ্ছে এই পরিবেশ।

এম এ মান্নান: স্থিতিশীলতার কথা আমি বলেছি। এটা শুধু মুখের কথা নয়। যারা উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ, তারা সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছেন যে, সামাজিক স্থিতিশীলতা, পরিবেশ থাকা চাই উন্নয়নের জন্য। আমরা বলতাম, মাহাথির মোহাম্মদ চমৎকার করেছেন মালয়েশিয়াকে। তার মূল শক্তি ছিল স্থিতিশীলতা। একটানা ২২, ২৩ বছর তার দল, তিনি একটা স্ট্যাবল পলিসির মাধ্যমে মালয়েশিয়ার পরিবর্তন করেছেন। কোরিয়া, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, চায়না সবার ক্ষেত্রে তাই। কিন্তু আমরা যখন ঘরে আসি, তখন এই শব্দটা (স্থিতিশীলতা) ভুলে যাই, অন্যদিকে চলে যাই।

হরতালের উৎপত্তি কোথায় থেকে বুঝতে হবে। তার জন্ম হলো- আমাদের উপমহাদেশ যখন পরাধীন ছিলাম, আমাদের নেতৃবৃন্দ যেহেতু অস্ত্র দিয়ে ব্রিটিশদের সঙ্গে পারে নাই, তারা অসহযোগ আন্দোলন একটা অস্ত্র হিসেবে নিয়ে এসেছিল। এটা মাথায় রয়ে গেছে।

তারা কার সঙ্গে অসহযোগ করেছে? ব্রিটিশদের সঙ্গে। বঙ্গবন্ধু একই অস্ত্র ব্যবহার করেছেন পাঞ্জাবিদের বিরুদ্ধে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই অস্ত্র এখন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নয়। তাই চলছে। বাংলাদেশের মানুষ হরতাল-অবরোধ চায় না; নিজের ভালো চায়। বাংলাদেশের ভালো চায়, দেশের উন্নয়ন চায়। তাই হচ্ছে। মানুষ বুঝে গেছে, কিসে ভালো হবে, তাই করছে।

নিউজবাংলা: ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দেশে জাতীয় নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে আপনার দল আওয়ামী লীগ কি আবার সরকার গঠনের রায় পাবে?

এম এ মান্নান: এখানে আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই। আমি আওয়ামী লীগ করি বা আওয়ামী লীগের নেতা বলে বলছি না, আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। গত ১২-১৩ বছরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশটাকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, তাকে ছাড়া অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভাবতেই পারে না এ দেশের মানুষ। তাই আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রী, আমাদের শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমার জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসব; সরকার গঠন করব এবং দেশের আরও উন্নয়ন করব।

নিউজবাংলা: ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।

এম এ মান্নান: আপনাকেও ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে এডিবি
ভোটের বিকল্প মারামারি নয়: পরিকল্পনামন্ত্রী
মন্দের ভালো হিসেবে আ.লীগার হয়েছি: মান্নান

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
From now on the dollar will be market based Governor

এখন থেকে ডলারের দাম হবে বাজারভিত্তিক: গভর্নর

জুনের মধ্যে আইএমএফের ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়
এখন থেকে ডলারের দাম হবে বাজারভিত্তিক: গভর্নর

বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে উল্লেখ করে ডলার-টাকার বিনিময় হার এখন থেকে বাজারনির্ভরভাবে নির্ধারণের সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দুবাই থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।

এ সিদ্ধান্তের ফলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে বাংলাদেশ আগামী জুন মাসের মধ্যে ১৩৩ কোটি ডলারের ঋণ কিস্তি পাবে বলেও জানান তিনি।

ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করা নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের দর-কষাকষি চলছিল। মূলত সে কারণে আইএমএফ ঋণের কিস্তি ছাড় করছিল না। এর মধ্যে গতকাল জানা যায়, বাংলাদেশ ডলারের বিনিময় আরও নমনীয় করতে রাজি হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে চলমান ৪৭০ কোটি ডলারে ঋণের দুটি কিস্তি একসঙ্গে ছাড় করতে রাজি হয়েছে আইএমএফ।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, গত ৯ মাসে রিজার্ভ থেকে কোনো ডলার বিক্রি করা হয়নি, তবুও বিনিময় হার স্থিতিশীল রয়েছে এবং তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না। এ অবস্থায় বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে ব্যাংকারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, বাজারভিত্তিক করায় হঠাৎ করে ডলারের রেট অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। দীর্ঘদিন ধরে ডলারের রেট ১২২ টাকার আশপাশে রয়েছে এবং তা সেখানেই থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ডলারের রেট দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা-সরবরাহ অনুযায়ী নির্ধারিত হবে, বাইরের দেশের নির্দেশে নয়। বর্তমানে বাজারে ডলারের সরবরাহও পর্যাপ্ত রয়েছে।

তবে, তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দুবাইভিত্তিক কিছু সিন্ডিকেট বাজারে অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করতে পারে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্ক থাকবে এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে। কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, ড. মো. হাবিবুর রহমান, কবির আহমেদ, উপদেষ্টা আহসান উল্লাহ এবং নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।

এদিকে গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চলতি বছরের জুনের মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির জন্য নির্ধারিত ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার একত্রে ছাড় করবে।

বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে সকল বিষয় সতর্কতার সাথে পর্যালোচনা করে উভয়পক্ষ রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, মুদ্রা বিনিময় হারসহ অন্যান্য সংস্কার কাঠামো বিষয়ে সম্মত হয়েছে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনা এবং বিনিময় হার ব্যবস্থায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বিষয়ে অধিকতর পর্যালোচনার লক্ষ্যে চতুর্থ রিভিউ সম্পন্ন হওয়ার পর উভয় রিভিউয়ের জন্য নির্ধারিত কিস্তির অর্থ একত্রে ছাড় করা হবে বলে বিগত তৃতীয় রিভিউয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের এপ্রিলে ঢাকায় অনুষ্ঠিত চতুর্থ রিভিউয়ের সময় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ব্যাংক-ফান্ড সভায় এবিষয়ে আলোচনা চলমান ছিল।

এ ছাড়া বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি, এআইআইবি, জাপান এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে আরও প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা জুন মাসের মধ্যে পাবে বলে বাংলাদেশ প্রত্যাশা করছে। উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে এ অর্থ পাওয়া গেলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও শক্তিশালী হবে। ফলে মুদ্রার বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয় যে, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাজেট সহায়তা গ্রহণের ক্ষেত্রে যেসকল সংস্কার কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে তা সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব বিবেচনায় পরিকল্পিত এবং জাতীয় স্বার্থে গৃহীত। এ সকল সংস্কার কর্মসূচির ক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগীদের কার্যক্রম শুধুমাত্র কারিগরি সহায়তা প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The United States and China agree to reduce tariffs

শুল্ক কমাতে একমত যুক্তরাষ্ট্র ও চীন

শুল্ক কমাতে একমত যুক্তরাষ্ট্র ও চীন

বাণিজ্যযুদ্ধের তীব্রতা কমিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। পরস্পরের ওপর আরোপ করা পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য শুল্ক ৯০ দিনের জন্য ব্যাপক পরিসরে কমাতে একমত হয়েছে দুই দেশ। গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতিকে হুমকির মুখে ফেলে দেওয়া বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা কমাতেই এই চুক্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর বিবিসির।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপের আগে চীনের ওপর মার্কিন শুল্ক ছিল ২০ শতাংশ। পরে নতুন শুল্ক যখন ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন তখন তিনি বলেছিলেন তিন মাস সবার জন্য বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্ক হার প্রযোজ্য হবে।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় দুপক্ষের মধ্যে আলোচনার পর এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, গঠনমূলক ও দৃঢ় আলোচনার পর উভয় দেশ ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত করতে রাজি হয়েছে। এর আওতায় দেশ দুটি পারস্পরিক শুল্ক ১১৫ শতাংশ কমাবে।

চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত বর্তমান ১৪৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনবে। অন্যদিকে চীন মার্কিন পণ্যের ওপর আরোপ করা ১২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনবে। উভয় দেশের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, আগামী ১৪ মে থেকে শুল্কের এই কাঁটছাট কার্যকর হবে।

যুক্তরাষ্ট্র-চীন বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে স্কট বেসেন্ট বলেন, আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে এসেছি যে, আমাদের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। দুই পক্ষের প্রতিনিধিদলই একমত হয়েছে যে তারা বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে চায় না। মার্কিন অর্থমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশই নিজেদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে পেরেছে। আমাদের লক্ষ্য ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যের পথে অগ্রসর হওয়া এবং এটি তারই সূচনা।

প্রথম দফায় শুল্ক আরোপের ফলে বিশ্ববাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল এবং বৈশ্বিক মন্দার শঙ্কাও জোরালো হয়েছিল। তবে এবার এই চুক্তির ঘোষণায় বিশ্ব শেয়ারবাজারে তাৎক্ষণিক ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

শুল্ক কমানোর চুক্তির ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্ববাজারে চাঙাভাব দেখা দেখা গেছে। হংকংয়ের প্রধান সূচক ৩ শতাংশ বেড়ে গেছে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ স্টক ফিউচারের উত্থান হয়েছে। এছাড়া বাড়তি শুল্ক স্থগিতের খবরে চীনা মুদ্রা ইউয়ানের দর বেড়ে ছয় মাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইউরোপীয় শেয়ারবাজারগুলোও উচ্চমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু করে এবং মার্কিন বাজারগুলোও ২ থেকে ৩ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে, এই সময়সীমার মধ্যে চীনের উচিত হবে ফেন্টানিল নামক ভয়াবহ মাদকের অবৈধ রপ্তানি বন্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া। এ বিষয়ে চীনের সদিচ্ছা দেখে ওয়াশিংটন আশাবাদ প্রকাশ করেছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিলের প্রবেশ ঠেকাতে চীন পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে না এমন অভিযোগ তুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে চীনা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
NBR will form special units to prevent money smuggling

টাকা পাচার ঠেকাতে বিশেষ ইউনিট গঠন করবে এনবিআর

টাকা পাচার ঠেকাতে বিশেষ ইউনিট গঠন করবে এনবিআর
টাকার পাচার রোধে এনবিআর তিনটি উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছে। প্রথমত, আমদানি-রপ্তানিতে মিথ্যা ঘোষণা ও ট্রান্সফার প্রাইসিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাচার ঠেকাতে দক্ষ কর্মকর্তাদের দিয়ে বিশেষায়িত একটি ইউনিট গঠন করা যেতে পারে। এই ইউনিটের সদস্যরা প্রতারণা হয় বা হতে পারে- এমন বিল অব এন্ট্রিগুলো তদারকি ও তদন্ত করবেন। এই ইউনিট গঠন হলে একদিকে টাকা পাচার বন্ধের পাশাপাশি এনবিআরের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির সক্ষমতা বাড়বে।

টাকা পাচার ঠেকাতে বিশেষ ইউনিট গঠন করতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। মূলত বাণিজ্যের আড়ালে যে বিদেশে টাকা পাচার হয়, তা প্রতিরোধ করতেই এমন উদ্যোগ। দুই প্রক্রিয়ায় টাকা পাচার হয় বলে মনে করে এনবিআর। এগুলো হলো-আমদানি-রপ্তানিতে মিথ্যা ঘোষণা এবং ট্রান্সফার প্রাইসিং। এসব কারণে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব লোকসান হয় বলে মনে করে এনবিআর।

সম্প্রতি এনবিআর মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি রাজস্ব কৌশল নামে ১০ বছরের একটি পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। সেখানে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।

গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনটিগ্রিটির (জিএফআই) উদ্ধৃতি দিয়ে এনবিআরের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাণিজ্যের আড়ালে (মিথ্যা ঘোষণা) ৭০ শতাংশ অর্থ পাচার হয়ে থাকে।

টাকার পাচার রোধে এনবিআর তিনটি উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছে। প্রথমত, আমদানি-রপ্তানিতে মিথ্যা ঘোষণা ও ট্রান্সফার প্রাইসিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাচার ঠেকাতে দক্ষ কর্মকর্তাদের দিয়ে বিশেষায়িত একটি ইউনিট গঠন করা যেতে পারে। এই ইউনিটের সদস্যরা প্রতারণা হয় বা হতে পারে- এমন বিল অব এন্ট্রিগুলো তদারকি ও তদন্ত করবেন। এই ইউনিট গঠন হলে একদিকে টাকা পাচার বন্ধের পাশাপাশি এনবিআরের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির সক্ষমতা বাড়বে।

সাধারণত আমদানিকালে তুলনামূলক বেশি দাম দেখিয়ে অর্থ দেশের বাইরে পাচার করা হয়। মূলত মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে এভাবে টাকা পাচার করা হয়। দুই বছর আগে এনবিআর পাচার টাকা ফেরত আনার সুযোগ দিলেও কেউ তা নেননি।

এনবিআরের দ্বিতীয় সুপারিশ হলো, বিদেশি কূটনীতিক মিশনে রাজস্ব খাতের কর্মকর্তাদের জন্য এটাশে পদ সৃষ্টি করা। এনবিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাণিজ্যের আড়ালে মিথ্যা ঘোষণা এবং ট্রান্সফার প্রাইসিং ইস্যুটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। যেসব দেশ থেকে পণ্য আসে, সেখানে পণ্যের মূল্য কত, তা জানা সম্ভব হয় না। আবার নানাভাবে বিভিন্ন দেশে টাকা পাচার হয়। এনবিআর বলছে, বিভিন্ন দূতাবাসে, বিশেষ করে বাংলাদেশে বড় বাণিজ্য অংশীদার দেশগুলোতে রাজস্ব খাতে কর্মকর্তাদের জন্য এটাশে পদ সৃষ্টির সুপারিশ করেছে এনবিআর। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জাপান, ভারতের মতো দেশ এমন পদ সৃষ্টি করেছে বলে এনবিআরের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এনবিআরের তৃতীয় সুপারিশ হলো, পাচার টাকা ফেরত আনতে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। যেমন দক্ষ জনবল নিয়োগ দেওয়া; যেসব দেশে পাচার হয়, সেখানে তদারকি ও পর্যবেক্ষণ বৃদ্ধি; আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করা। এসব করা হলে পাচার টাকা চিহ্নিত করে ফেরত আনা সহজ হবে। এ ছাড়া টাকা পাচারে সহায়তাকারীদের শাস্তির আওতায় আনার কথাও বলেছে এনবিআর।

এনবিআরের একজন কর্মকর্তা বলেন, টাকা পাচারের কারণে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারায় সরকার। টাকা পাচার বন্ধ করতে পারলে অর্থনীতি আরও চাঙা হবে। এ ছাড়া সরকারের রাজস্ব আদায়ও বাড়বে।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে। বর্তমান বাজারদরে এর পরিমাণ ২৮ লাখ কোটি টাকা। এই হিসাবে প্রতিবছর গড়ে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, আর্থিক খাতের রাঘববোয়াল (ক্রীড়নক), আমলা ও মধ্যস্বত্বভোগীরা এই পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন। গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনটিগ্রিটি রিপোর্টস (জিএফআইআরএস) এবং কিছু নির্দিষ্ট পূর্বানুমানের ভিত্তিতে টাকা পাচারের হিসাব করেছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি।

দেশ থেকে কারা, কীভাবে, কোথায় টাকা পাচার হয়েছে- সেই চিত্র তুলে ধরে শ্বেতপত্রে বলা হয়, টাকা পাচারের জন্য দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, আর্থিক খাতের ক্রীড়নক, আমলাদের মধ্যে এক ধরনের অনৈতিক চক্র গড়ে ওঠে। ঘুষ-দুর্নীতি, আর্থিক অপরাধ, মিথ্যা ঘোষণার আড়ালে বাণিজ্য, ব্যাংক থেকে চুরি করা টাকা, খেলাপি ঋণের অর্থ, রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রকল্পের খরচ বাড়িয়ে দেখানো, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, কর ফাঁকি- এসব কর্মকাণ্ডের অর্থ পাচার করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, হংকং, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারতসহ করের অভয়ারণ্য নামে পরিচিত ছোট ছোট দেশে বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার হয়েছে। মূলত বাড়ি কিনে এবং ব্যবসায় বিনিয়োগ করে টাকা পাচার করা হয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Signature of Memorandum of Understanding and agreement between Dhaka Bejing

ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ৯ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ৯ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের কালজয়ী সাহিত্য ও শিল্পকর্মের অনুবাদ ও সৃজন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও খবর আদান-প্রদান, গণমাধ্যম, ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিময় সহযোগিতা। এর পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ বিষয়ে সহযোগিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে।

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি এবং আটটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের চীন সফরের তৃতীয় দিন শুক্রবার দুই দেশের মধ্যে এ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও স্মারকগুলো স্বাক্ষর হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের কালজয়ী সাহিত্য ও শিল্পকর্মের অনুবাদ ও সৃজন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও খবর আদান-প্রদান, গণমাধ্যম, ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিময় সহযোগিতা। এর পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ বিষয়ে সহযোগিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে।

এগুলো হলো বিনিয়োগ আলোচনা শুরু করা, চীনের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু, মোংলা বন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ, একটি রোবট ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ এবং একটি কার্ডিয়াক সার্জারি গাড়ি অনুদান।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে তুলসি গ্যাবার্ডের বক্তব্যের প্রতিবাদ সরকারের
ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর
ভারতের অভ্যন্তরে ‌খাসিয়াদের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
ইরান থেকে জ্বালানি তেল আমদানি বাড়াবে চীন
ভারতে বিমানের ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ, যাত্রীরা অক্ষত

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Positive response to reduce loan interest rates assured Chinas water resources management
ইউএনবিকে প্রেস সচিব

ঋণের সুদহার কমাতে ইতিবাচক সাড়া চীনের, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার আশ্বাস

ঋণের সুদহার কমাতে ইতিবাচক সাড়া চীনের, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং। কোলাজ: নিউজবাংলা
ড. ইউনূসের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের বৈঠককে অত্যন্ত সফল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি বিষয় উত্থাপন করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশকে দেওয়া চীনা ঋণের সুদের হার কমানো ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় দেশটির সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়টি ছিল।’

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের উত্থাপিত বিষয়গুলো চীন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং।

স্থানীয় সময় শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট এ কথা জানান।

ড. ইউনূসের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের বৈঠককে অত্যন্ত সফল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি বিষয় উত্থাপন করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশকে দেওয়া চীনা ঋণের সুদের হার কমানো ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় দেশটির সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়টি ছিল।’

তিনি বলেন, ‘বৈঠকে আলোচনা অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ, গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে।’

প্রেস সচিব বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার এটি ছিল প্রথম দ্বিপক্ষীয় বিদেশ সফর। এখন পর্যন্ত এটি একটি বড় সফলতা।’

প্রেসিডেন্ট শির বক্তব্যের বরাতে শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও কারখানা স্থাপনে চীন তার দেশের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবে।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট শি ফুজিয়ান প্রদেশের গভর্নর থাকাকালীন দুইবার বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে তিনি পড়াশোনা করেছেন। সে কথাও উল্লেখ করেছেন চীনের রাষ্ট্রপ্রধান।

প্রেসিডেন্ট শির উদ্বৃতি দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, তিনি বাংলাদেশি আম ও কাঁঠাল খেয়েছেন। এগুলো সুস্বাদু। আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশ আগামী মৌসুমে এ দুটি ফল চীনে প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি করবে।

চীনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধান উপদেষ্টা চীনের পিপলস গ্রেট হলে করা বৈঠকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

তারা দুই দেশের সম্পর্ককে জোরদার করা ও ঢাকা-বেইজিংয়ের পারস্পরিক ও কৌশলগত স্বার্থকে এক নতুন উচ্চতায় নেওয়ার উপায় নিয়েও আলোচনা করেন।

আরও পড়ুন:
২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ
সমৃদ্ধ এশিয়া গড়তে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরির আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা প্রধান উপদেষ্টার
স্টারলিংকের ইন্টারনেট বাণিজ্যিকভাবে চালু করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Rivo brings C12 electric bikes with state of the art technology in the country market

দেশের বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সি৩২ ইলেকট্রিক বাইক আনল রিভো

দেশের বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সি৩২ ইলেকট্রিক বাইক আনল রিভো সি৩২-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য শক্তিশালী ১৮০০ ওয়াট মোটর, যা ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। ছবি: রিভো
সি৩২-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য শক্তিশালী ১৮০০ ওয়াট মোটর, যা ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। বাইকটির ইকো মোডে গতি ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং একবার চার্জে এটি ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে।

বাংলাদেশের বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সি৩২ ইলেকট্রিক বাইক এনেছে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড রিভো। অত্যাধুনিক ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ার সম্পূর্ণ গ্রাফিন ব্যাটারি পরিচালিত এই ইলেকট্রিক বাইকের উদ্বোধন ঘোষণা করেন রিভো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ভেন নি।

ফিচার

সি৩২-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য শক্তিশালী ১৮০০ ওয়াট মোটর, যা ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। বাইকটির ইকো মোডে গতি ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং একবার চার্জে এটি ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে।

অন্যদিকে স্পোর্ট মোডে সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং এক চার্জে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে।

সি৩২ ইলেকট্রিক বাইকে উন্নত ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ার গ্রাফিন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে, যা পাঁচ শতাধিক চার্জিং সাইকেল সাপোর্ট করে এবং প্রতিটি পূর্ণ চার্জে মাত্র ২.০৮ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে।

ব্যাটারিটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে ১০.৬ ঘণ্টা সময় নেয়, যা রাতে চার্জ দিয়ে দিনব্যাপী ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।

নিরাপত্তা এবং আরামকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে রিভো সি৩২। এতে রয়েছে সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনে ড্রাম ব্রেক সিস্টেম, যা সর্বোচ্চ স্টপিং পাওয়ার নিশ্চিত করে।

ফ্রন্ট ও রিয়ার হাইড্রোলিক সাসপেনশন থাকার ফলে রাইডাররা মসৃণ ও আরামদায়ক রাইড উপভোগ করতে পারেন। এমনকি অপ্রশস্ত বা অসমান রাস্তাতেও।

রাতে নিরাপদ যাত্রার জন্য সি৩২-এ রয়েছে পূর্ণ এলইডি লাইটিং সিস্টেম, যার মধ্যে এলইডি হেডলাইট, টেইললাইট এবং টার্ন সিগন্যাল অন্তর্ভুক্ত।

রিভো সি৩২ শুধু শক্তিশালী পারফরম্যান্সই দেয় না, এটি ডিজাইনেও বেশ কার্যকর। ১৪০ কেজি ওজনের মজবুত অথচ হালকা ফ্রেম এবং সামনে ও পিছনে ৯০/৮০-১২'' ভ্যাকুয়াম টায়ার যুক্ত বাইকটি দুর্দান্ত গ্রিপ এবং স্থিতিশীলতা প্রদান করে।

২০৫ এমএম পর্যন্ত গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স থাকায় এটি যেকোনো ধরনের রাস্তার জন্য উপযোগী। সিট বাকেটে ২৪ লিটার স্টোরেজ স্পেস রয়েছে, যা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র বহনের জন্য আদর্শ।

ব্যবহারকারীবান্ধব ডিজাইন এবং আরামের সমন্বয়ে এটি শহরের যাতায়াতকারী এবং দূরপাল্লার রাইডারদের জন্য একটি পারফেক্ট পছন্দ।

এখন থেকে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যে বাংলাদেশের সব শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে।

সি৩২ যাতায়াতকে সহজ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব করতে উন্নত প্রযুক্তি, শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করছে, যা প্রতিদিনের যাত্রীদের পাশাপাশি পরিবেশ সচেতন রাইডারদের জন্য আদর্শ হতে পারে।

আরও পড়ুন:
মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলবে
পদ্মা সেতুতে বাইক এখনই নয়
‘মোগো ওপর দিয়া বাস চালাইয়া যাউক’
হানিফ ফ্লাইওভারে বাইক দুর্ঘটনায় তিতুমীর কলেজের ছাত্রী নিহত
মাস্টার চাবি বানিয়ে ৫০০ বাইক চুরি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Three tonnes of potatoes went to Nepal through Banglabandha

বাংলাবান্ধা দিয়ে নেপালে গেল আরও ১০৫ টন আলু

বাংলাবান্ধা দিয়ে নেপালে গেল আরও ১০৫ টন আলু আলুবোঝাই ট্রাক। ছবি: বাসস
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন জানান, বুধবার বিকেলে স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচটি ট্রাকে ১০৫ টন আলু নেপালে গেছে।

আলু রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। এ স্থলবন্দর দিয়ে নতুন করে আরও ১০৫ টন আলু গিয়েছে নেপালে।

এ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার ৫৫৪ টন আলু নেপালে রপ্তানি করা হলো।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন জানান, বুধবার বিকেলে স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচটি ট্রাকে ১০৫ টন আলু নেপালে গেছে।

তিনি জানান, আলুগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এগুলো রপ্তানি করছে থিংকস টু সাপ্লাই ও ফাস্ট ডেলিভারি নামে দুটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে থিংকস টু সাপ্লাই ৪২ ও ফাস্ট ডেলিভারি ৬৩ টন রপ্তানি করে। এ ছাড়াও বন্দরটি দিয়ে হুসেন এন্টারপ্রাইজ, ক্রসেস এগ্রো, সুফলা মাল্টি প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং লোয়েড বন্ড লজিস্টিক নামের কয়েকটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানও নেপালে আলু রপ্তানি করছে।

উজ্জ্বল হোসেন বলেন, রপ্তানিকারকরা প্রয়োজনীয় নথিসহ অনলাইনে আবেদন করলে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের ল্যাবে পরীক্ষা করার পর ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। রপ্তানিকৃত আলুগুলো স্টারিজ এবং লেডিও রোজেটা জাতের।

আরও পড়ুন:
গজারিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি, আলু পরিবহন বন্ধ
নেপালে সড়ক দুর্ঘটনায় আটজন নিহত
নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ঢাকা-দিল্লি-কাঠমাণ্ডু চুক্তি সই
নেপালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৩
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু

মন্তব্য

p
উপরে