× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Economy will turn around from October MA Mannan
google_news print-icon

অক্টোবর থেকেই ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি: এম এ মান্নান

অক্টোবর-থেকেই-ঘুরে-দাঁড়াবে-অর্থনীতি-এম-এ-মান্নান
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ছবি: নিউজবাংলা
 ‘দীর্ঘদিন টাকাটাকে আমরা ছিপি আটকে রাখার মতো রেখেছিলাম। ছিপি যদি লুজ হয়, হঠাৎ ব্রার্স্ট হয়ে গেলে যা হয় তাই হয়েছে। অনেকে বলে, এটাকে অনেকটা বাঁধভাঙা ঢেউয়ের মতো এক লাফে ১২০ টাকায় উঠল। এটা আর্টিফিশিয়াল নয়, ন্যাচারাল। ওইটা রিয়েল প্রাইসে ছিল না। রিয়েল প্রাইসে নামা শুরু করেছে।’

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দুই বছরের করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল বাংলাদেশের অর্থনীতি। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ফের বিপদে ফেলে দিয়েছে। তার পরও বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে আমরা ভালো অবস্থায় আছি। আমাদের রপ্তানি আয় বাড়ছেই, প্রবাসীরা বেশি বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন। মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী ঠিক, তবে শিগগিরই নিম্নমুখী হবে। বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ কমলেও এখনো ছয় মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। সব মিলিয়ে অক্টোবর থেকে আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে।

মিন্টো রোডে নিজের বাসায় নিউজবাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমন আশার কথাই শুনিয়েছেন মৃদুভাষী কিন্তু দৃঢ়চেতা ‘প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী’ মানুষ এম এ মান্নান।

নিউজবাংলা: দুই বছরের বেশি সময়ের করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় কেমন চলছে বাংলাদেশের অর্থনীতি?

এম এ মান্নান: আমি সরকারে রয়েছি টানা ৯ বছর। অর্থনীতিকে মোটামুটি কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। ২০০৯-১০ সালের দিকে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক যে স্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখেছিলাম, এই দুটো পাশাপাশি ছিল, একটির সঙ্গে আরেকটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এটিই নিয়ম।
২০১৯ সালে প্রথম যখন করোনার আবির্ভাব হয় অপ্রত্যাশিতভাবে। পৃথিবীর কোনো বৈজ্ঞানিক, কেউ-ই এটা সম্পর্কে বুঝতে পারেননি চীনের উহানে যখন শুরু হয়। কোন দিকে যাচ্ছিল? কেউ বোঝেননি।

আমি মনে করেছিলাম, আমাদের দিকে মনে হয় আসবে না। পশ্চিমের দিকে চলে গেল। সিল্করুট ধরে প্রায়ই যাচ্ছিল ইউরোপ হয়ে পশ্চিমের দিকে। পরে যখন দেখলাম আবার আমাদের দিকে আসছে এবং ভালোই এসেছিল, বড় ধাক্কা বলা যায়। প্রতিবেশী বিশাল অর্থনীতির দেশ ভারতের ভয়ংকর অবস্থা শুরু হলো। যেহেতু নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমাদের দিকে অনেক আঘাত আসা শুরু করল।

অর্থনীতির ক্ষেত্রে, প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমাদের যে উঠতি সময় ছিল, এটা ভীষণভাবে ধাক্কা খেল। আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮-এর কাছাকাছি চলে গিয়েছিল, বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী, সেটা ৪-এর কাছাকাছি চলে এলো।

এখানে বলে রাখা উচিত, এই চারও কিন্তু তখন বিস্ময়কর ভালো ছিল। কারণ আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে গিয়েছিল। চীন নেতিবাচকের কাছাকাছি ছিল, অন্যান্য দেশও তাই। আইএমএফের তালিকা আমার অফিসে রয়েছে। সেই অনুযায়ী, এই অঞ্চলের ১২টি দেশের মধ্যে আমাদের অবস্থান চমৎকার ছিল।

সেই জায়গা থেকে ২০২১ সালে যখন ভাবলাম করোনা চলে গেছে, কিন্তু একুশের শেষের দিকে আবার সেকেন্ড ওয়েভ আসা শুরু করল। ২০২২ সালের শুরুতে প্রথম ভালোই উঠল। এখন আবার নামছে। শুধু আমাদের দেশে নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এটা ওঠানামা করছে।

নিউজবাংলা: করোনায় কতটা ক্ষতি হয়েছে অর্থনীতি?

এম এ মান্নান: অবশ্যই আমাদের বড় ক্ষতি করেছে। তার মাশুল এখনো দিতে হচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতির তুলনায় আমরা তো খুবই সামান্য অংশ। বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে শতকরা তুলনায় গেলে দুই শতাংশ হব না হয়তো। কিন্তু যেহেতু চলাচল, সংযুক্তি এবং আন্তসম্পর্ক অনেক বেশি, তাই ধাক্কাটা ভালোই লেগেছিল। আমরা যেখানে বিক্রি করি, ইউরোপ-আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, কারণ পূর্ব দিকে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য কম ছিল। ফলে ওই তিন জায়গায় কিন্তু ব্যাপকভাবে ধাক্কা খায়। যে কারণে আমাদের কাজ করার ওয়েজ ইকোনমি, কাজ করার সুযোগ কমে আসে। প্রবাসে আমাদের যে শ্রমিক ভাইয়েরা মাটি কামড়ে পড়েছিল, তাদের বেতন কমে আসছিল। ১০০ দিরহামের জায়গায় মালিক বলছিল এখন ৫০ দিরহাম নাও, দিতে পারছি না। তারা বাড়িতে কম টাকা পাঠাল, রেমিট্যান্স পড়ে গেল।

ইউরোপ-আমেরিকায় মাসে মাসে কাপড় বদলায়। এটা ওই দেশের ফ্যাশন। শীতে, গরমে, শরতে, বসন্তে নানা ধরনের কাপড় পরে তারা, সেটাও তাদের কমে গেল। যেহেতু ওই সময় আয় কমে যায়। আমাদের লক্ষাধিক শ্রমিক গার্মেন্টসে কাজ করে। প্রথমদিকে আমাদের এক্সপোর্টে একটা আঘাত এল। সব মিলিয়ে করোনায় অনেকটা পিছিয়ে গেলাম আমরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে গতিতে আগাচ্ছিলাম, তাতে হোঁচট খেলাম। তবে চলতি বছরের মাঝামাঝি এসে মনে হচ্ছিল আমরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছিলাম। বিশ্বের পণ্ডিতরাও তাই বলছিলেন। কিন্তু এই সময়ে আরেক দুর্ভাগ্য এসে গেল, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ।

নিউজবাংলা: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এখনো চলছে। এই যুদ্ধ আমাদের অর্থনীতিকে কতটা আঘাত করছে?

এম এ মান্নান: দুই বছরের করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিলাম আমরা, আমাদের অর্থনীতি। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ফের বিপদে ফেলে দিয়েছে। তার পরও বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে আমরা ভালো অবস্থায় আছি। আমাদের রপ্তানি আয় বাড়ছেই, প্রবাসীরা বেশি বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন। মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী ঠিক, তবে শিগগিরই নিম্নমুখী হবে। বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ কমলেও এখনো ছয় মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। সব মিলিয়ে অক্টোবর থেকে আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে।

তবে আমি বলব, এটা না যুদ্ধ, না শান্তিকর পরিস্থিতি, ঝুলে আছে। আজকালকার যুদ্ধ এতদিন চলে না। এক-দেড় মাসে শেষ হয়ে যায়। অস্ত্রের কারণে বা আলোচনার কারণে। কিন্তু এই দুইটা এখানে ব্যর্থ। রাশিয়া একটা পরাশক্তি। ইউক্রেন তারই এক অংশ ছিল একসময়। ইউক্রেন পরাশক্তি না হলেও আমাদের চেয়ে অনেক বড় শক্তি। তার পেছনে অন্য পরাশক্তি সার্বিকভাবে আছে।

কিন্তু সার্বিকভাবে ইউক্রেন শুধু যুদ্ধের ক্ষেত্র বা পানিপথের মাঠ। যুদ্ধ চলছে মোঘল ও রাজপুতের মধ্যে। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, রাশিয়ানরা পুরো চাপ দিচ্ছে না। একটা বিড়াল ইঁদুর খেলা চলছে।

যুদ্ধ শেষ হচ্ছে না কিন্তু ক্ষতি হচ্ছে। অস্ত্রের চেয়ে, মৃত্যুর চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্যে। পশ্চিমাদের যেহেতু অর্থনৈতিক শক্তি বেশি। ব্যবসা-বাণিজ্য, আর্থিক চলাফেরা তারা নিয়ন্ত্রণ করে। তারা তখন নিষেধাজ্ঞা দিল, অমুকের সঙ্গে এটা করলে আমার সঙ্গে তুমি নাই। গ্রামের খেলা হলে আমরা যেমনটা করতাম। এটা এখন বিশ্ব মানচিত্রে চলছে।

এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা তার নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়াকে দাবানোর জন্য এই অস্ত্র ব্যবহার করছে। এটা আমাদের ওপর প্রভাব ফেলে। আমাদের সাবধানে বিকিকিনি করতে হয়।

আমাদের একটা ভীষণ অভিজ্ঞতা আছে নিষেধাজ্ঞার। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কারা আমাদের সঙ্গে ছিল তা আমরা জানি। স্বাধীনতার পরে আমাদের একমাত্র উৎপাদন ছিল পাট। এটা আমাদের বন্ধু নয়, শুধু ক্রেতা কিউবার কাছে বিক্রি করতে গেলে হুঁশিয়ারি করা হলো। বলা হলো, কিউবাতে হাত দিতে গেলে পার পাবে না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর জেদ, প্রয়োজন, সাহস থেকে তিনি পাট বিক্রি করলেন।

তখন আমাদের ওপরে এল একটা আঘাত। খাদ্যপণ্যভর্তি জাহাজ অলরেডি ভারতীয় উপমহাসাগরে আছে, চট্টগ্রামে ভিড়বে, আমাদের তখন বেশ খাদ্যাভাব, ওই সময় তারা এটা পরিহার করল। এটা গড়িয়ে গড়িয়ে অনেক দূর গেছে… বলতে চাই না।

নিউজবাংলা: এ যুদ্ধের মধ্যে আমরা কোন অবস্থায় আছি?

এম এ মান্নান: একটা বিশেষ ভারসাম্যহীন অবস্থায় আমরা আছি। পশ্চিমে একটা ভারসাম্যের মধ্যে ছিল, এটা নষ্ট হয়ে গেছে। গত দুই দশকে নতুন ভারসাম্য সৃষ্টির একটা কাজ চলছে। এই ভারসাম্যটা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এক প্রান্তে এশিয়া সঙ্গে রাশিয়া, অন্য প্রান্তে ইউরোপ সঙ্গে মার্কিনিরা। নতুন ভারসাম্য সৃষ্টির কাজ চলছে, ভারসাম্য আসবে। তা ছাড়া চলতে পারে না। আমি মনে করি, আগামী পাঁচ-ছয় বছর লাগবে। ক্রিটিক্যাল মোমেন্টে আছে।

আমাদের মতো অর্থনীতির প্রধান উপজীব্য হলো খাদ্য। আমরা মাঝারি পর্যায়ে উঠছি মাত্র। ওরা অস্ত্র বা অন্যান্য ডিজিটাল জিনিস, ফিন্যান্স। এসবের মধ্যে আছে, আমরা এসবে পৌঁছায়নি। আমাদের এই মুহূর্তে অবস্থান, কাজ করব, খাব, এই পর্যায়ে আছি।

আমরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। ইমপোর্ট করতে হয় কিছুটা। ঘরে কিছু খাবার না থাকলে ভীতির মধ্যে থাকি। এ জন্যই স্টক বিল্ডআপ করতে চাই। আমাদের ইমপোর্ট করতে হয়। ইমপোর্টের প্রধান একটা কেন্দ্র রাশিয়া, ইউক্রেন। গম, সানফ্লাওয়ার অয়েল, ভুট্টা, এসব বন্ধ করে দিল। হুহু করে দাম বাড়ল সারা বিশ্বে।

এ ছাড়া ভয়ংকর ভবিষ্যদ্বাণী করল যে, চরম দুর্দিন আসবে। তবে আন্ডারগ্রাউন্ডে কিছু মানুষ ভালো ভালো কথা বলেছে। খাদ্যের নিষেধাজ্ঞা ছিল, সেটা রিলাক্সড হয়ে গেল। অঘোষিতভাবে হলেও প্রত্যাহার করল। ইউক্রেন, রাশিয়া রপ্তানি শুরু করল এবং দামটা পড়ে গেল। কিন্তু ইউক্রেন রাশিয়ার মাঠে উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে ক্ষতিটা হচ্ছে সেটা আগামী বছর আমরা ফিল করব।

নিউজবাংলা: এরই মধ্যে দেশে বন্যা হলো। বন্যায় কতটা ক্ষতি হয়েছে আমাদের?

এম এ মান্নান: হ্যাঁ, বন্যায় ভালোই ক্ষতি হয়েছে আমাদের সুনামগঞ্জ, সিলেট এবং কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষতি হলো। ফসলের অত ক্ষতি না হলেও অবকাঠামো, চলাচল, ব্যবসা-বাণিজ্যের হাটবাজার ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। এ ছাড়া আমাদের অভ্যন্তরীণ কিছু অনিশ্চয়তা আছে। আমাদের মধ্যে আন্ডারগ্রাউন্ড একটা শঙ্কা আছে, রাজনৈতিক পরিবেশ। সার্বিকভাবে উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীলতা অসম্ভব প্রয়োজন। বিশেষ করে দরিদ্র ইকোনমি ও মাঝারি ইকোনমির জন্য। আমরা যদি কাজ করার জায়গায় না যেতে পারি, কাজ করব কীভাবে, সেটা যদি বন্ধ হয়ে যায়?
এগুলো মিলে আমরা একটা দোদুল্যমান অবস্থার মধ্যে আছি। অর্থনীতি একটু ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমবে না সেপ্টেম্বরেও মনে হয়। তবে অক্টোবর নাগাদ নামা শুরু করবে। আশা করছি, সার্বিকভাবে আশা করছি, অক্টোবরের পর থেকেই আশাদের অর্থনীতি আবার ঘুরে দাাঁড়াতে শুরু করবে।

কারণ, আমাদের প্রধান উপজীব্য যেটা- চাল, এর দাম কিন্তু কমা শুরু হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে অন্যগুলো পড়বে। আমাদের দুই মাস একটু ওয়েট করতে হবে। কিন্তু এই দুই মাসই শেষ নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত ওই দুই পক্ষ (ইউক্রেন-রাশিয়া) কোনো একটা ভারসাম্য বা আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে না আসে।
তবে আমার মনে হয়, আমাদের দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের কিন্তু কারেন্টে কারেন্টে ট্রেডিংয়ে ইমব্যালেন্স থাকে। এটা কিন্তু টেক্সটবুক ইকোনমিকসের একটা ব্যাপার। কেন থাকে? কারণ, তারা ওপরের দিকে ওঠার পথে আছে। ওঠার পথে থাকলে আমদানি সাধারণত বেশি থাকে প্রয়োজনে। আরেকটা হলো প্রসেসিং। ইমিডিয়েট প্রয়োজন চাল, ডাল, তেল আর প্রসেসিং এনে তৈরি করে পাঠানো। যেমন কাপড়, কাপড়ের সবকিছু আমরা ইমপোর্ট করি। প্রসেস করে শ্রম দিয়ে অ্যাড করে পাঠাই। এই যে একটা সেক্টর, এটার অংশ কিন্তু আমরা।

আমরা মনে করি, আমরা এখন এই খাতে আছি। এটাকে বাঁচাবার শ্রেষ্ঠ উপায় হলো আমাদের রিজার্ভ। রিজার্ভটা তড়িয়ে তড়িয়ে বাড়ছিল। তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এখন একটু কমেছে, ৪৮ বিলিয়নে উঠেছিল, এখন ৩৮, ৩৭-এ নেমেছে। নামার কারণও আছে। রপ্তানির তুলনায় আমদানি একটু বেড়ে গেছে। ক্যাশের ওপরে চাপ পড়েছে। রেমিট্যান্স ফল করেছিল।

এই দুইটা এবং আমাদের ধান, চাল উৎপাদন যদিও ভালো ছিল, কিন্তু একটা-দুইটা প্রাকৃতিক কারণে আমরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম। এটা থেকে আমরা এখন উঠতে শুরু করেছি।

আমাদের অর্থনীতিতে প্রাথমিক মূলধন এখনো কৃষি। আত্মবিশ্বাস ও নিরাপত্তা হলো, ঘরে চাল আছে। এই বিষয়টা কৃষির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের যেহেতু তেল, গ্যাস নেই তাই আমাদের ক্যাশ ইনকাম কায়িক পরিশ্রম। দেশের ভেতরে কায়িক পরিশ্রম করি, গার্মেন্টস, শাকসবজি ফলাই। কৃষি হোক আর বিদেশে গিয়েও কায়িক পরিশ্রম করি, বিভিন্ন জায়গায়। এই দুইটার মধ্যে একটা ভাটা পড়ে- এটা হয়েছিল।

অক্টোবর থেকেই ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি: এম এ মান্নান
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও নিউজবাংলা প্রতিবেদক। ছবি: নিউজবাংলা

নিউজবাংলা: রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল। সেটা নেমে ৩৭ বিলিয়নে নেমে এসেছে। আপনি কী এটাকে যথেষ্ট মনে করছেন?
এম এ মান্নান: আমি মনে করি, এটা যথেষ্ট এবং সন্তোষজনক। এখন যে রিজার্ভ আছে ৩৭ বা ৩৮ বিলিয়ন, আইএমএফ বলেছে, এত ভয়ের কিছু নেই। পাঁচ-ছয় মাসের আমদানি সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। কিন্তু রিজার্ভ কিছুটা পড়েছে অস্বীকার করছি না। আরেকটা বিষয় অস্থির করে তুলেছিল। তাইওয়ানের ইস্যুটা। সেটাও মনে হয় একটু ঠাণ্ডা হয়েছে।

আমার ধারণা, অক্টোবর থেকে ওখানে যুদ্ধ ক্লিয়ার না হোক, যদি আর না বাড়ে বা ক্যাট-মাউসের খেলা চলে আমরা মোটামুটি ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে যেতে পারব। এসব দিক থেকে অক্টোবর থেকে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলে আমার বিশ্বাস।

নিউজবাংলা: এবার সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় আমনের চাষ শুরু করতে কৃষকদের দেরি হয়েছে। এতে কী খাদ্য উৎপাদনে কোনো সমস্যা হবে?

এ এ মান্নান: আমন কিন্তু বিশাল বড় অংশ। এক শতে যদি ধরি, ৬০ থেকে ৬৫ আছে বোরো, আমন ৩৫ বা ৪০ এর মধ্যে আছে। আমার মোটা দাগে যেটা মনে হয়, এটা তো আগে ছিল, বোরো তো পরে বাড়ল। গত কয়েক দিনের বৃষ্টি আশীর্বাদ, কারণ উত্তরবঙ্গ এবং বরেন্দ্র অঞ্চলে রোপণ করা হয়ে গেছে।

বৈজ্ঞানিকদের কিছু প্রজেকশন দেখেছি, তারা কিছু নিচের দিকে আশঙ্কা করছেন। হয়তো এক শর জায়গায় নব্বই বা পঁচাশি হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে একটা ভালো দিক, সরকার একটা ভালো রিজার্ভ গড়ে তুলেছে। ২০ লাখ টন খাদ্য ধরে রেখেছে হাতে। এটা মনস্তাত্ত্বিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাপারীরা (ব্যবসায়ীরা) স্টক করেছিল, এখন তারা ছাড়বে। আমদানি ওপেন করে দেয়া হয়েছে। কারবারিরা দেখছেন, কোনো ফায়দা হবে না। সরকার নিজে আমদানি শুরু করেছে, দামও পড়ছে।

এটা বলা হয় প্রোপার প্রাইসিং বা ন্যায়সঙ্গত প্রাইসে রয়েছে। সুতরাং অক্টোবর থেকে আমার দৃঢ়বিশ্বাস একটা টার্ন অ্যারাউন্ড হবে। শুধু একটাই আশঙ্কা, আমাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত গ্লোবাল সিচুয়েশন। আমাদের সরকার এটাকে খুব সাবধানে মোকাবিলা করছে।

নিউজবাংলা: সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করে এলেন। এই সফরকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন আপনি?

এম এ মান্নান: এখানে একটা কথা আমি বলতে চাই, পছন্দ করি বা নাই করি, বাস্তববাদী হতে গেলে বলতে হবে, ভারতের অর্থনীতি, রাজনীতি, চলাফেরা নানাভাবে আমাদের অ্যাফেক্ট করে। সুতরাং ওইখানকার বিষয়ে আমাদের অ্যাফেক্ট করতে পারে।

ব্যবসা-বাণিজ্য উভয়ের জন্য লাভজনক না হলে কোনো দিন ব্যবসা হয় না। দ্বিতীয়ত, ভারতের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি বেশি, আবহমানকাল থেকেই। কখনো আমি দেখিনি যে, ঘাটতি নেই। এটা নিয়ে আমাদের অনেকের মনে একটা অস্বস্তি থাকে। মার্কিনিদের সঙ্গেও তাই, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আরও ভয়ংকর। আমরা ১০০ টাকা এক্সপোর্ট করি আর দশ টাকা ইমপোর্ট করি না। তাই বলে তো আমরা কান্নাকাটি করি না। এটাকে দেখতে হবে সার্বিক বিচারে।

সার্বিক বিচারে ভারতের যে মার্কেট, অর্থনৈতিক দৃঢ়তা বা অবস্থান আমাদের সঙ্গে তার ব্যবসার যে অ্যাডভান্টেজ সেটাকে আমরা অমান্য করতে পারব না। তার ডাইভার্সিফাইড প্রোডাক্ট এক ট্রাকে আমার বর্ডারে ঢুকে যায়, আমার একটা প্রোডাক্ট ঢুকতে পারে। যদিও আমাদের অত প্রোডাক্ট নেই। তার বাজারের গভীরতা অনেক বেশি। আমার রাজস্থান পৌঁছাতে তিন দিন লাগবে। সেই জায়গায় কলকাতা থেকে সিলেট পৌঁছাতে কয় ঘণ্টা লাগবে? এগুলো বাস্তবিক বিষয়ে বিবেচনা করা উচিত। আমি এতে ভীত, শঙ্কিত নই। বছরের শেষে হিসাব করে যেটাকে আমরা প্রবৃদ্ধি বলি, প্লাস মাইনাসে সব করি, রিজার্ভের হিসাব করি, প্রতিনিয়ত পকেটে হাত দিয়ে বাজার করা যায় না। এমনটা আমরা ব্যক্তিজীবনে করিও না।

ভারত সম্পর্কে অনেকেই এটাকে অন্য একটা রং দেয়ার চেষ্টা করে। লুটে নিয়ে গেল, আমাদের মাল বিক্রি করছে, তারা কি টাকা দেবে না? আশার কথা, সাম্প্রতিক সময় বেশ বেড়েছে। ভারত কি ডিউটি ফ্রি করে দেবে? কালকে থেকে যদি বলে ডিউটি ফ্রি করে দিলাম, আমরা পারব? কারণ আমি যে প্রোডাক্ট নিয়ে যাব, সেই প্রোডাক্ট তার চেয়ে সস্তায় সেখানে উৎপাদন হচ্ছে। সে কেন কিনবে আমারটা?

আমি মনে করি, ভারতের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও প্রসারিত হওয়া দরকার। বর্ডার হাট, ট্রানজিট পয়েন্ট, চলাফেরা, আসা-যাওয়া আরও বেশি হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি হবে। একটা হয় দৃশ্যমান ব্যবসা, অফিশিয়ালি অন্যদিকে অদৃশ্যমান ব্যবসাগুলো কি কেউ হিসাব করে দেখেছে?
আমাদের নাগরিকরা ও তাদের নাগরিকরা বর্ডারে কত লাখ, কোটি নাগরিক রয়েছেন, ব্যবসা করছেন। সেটা হিসাব করে দেখলে দেখা যাবে, কত কোটি টাকার ব্যবসা করছে! সুতরাং এটাকে প্রতিনিয়ত সমালোচনার চোখে না দেখে ইতিবাচকভাবে দেখা প্রয়োজন। আমাদেরও যেমন বিকল্প নাই, ভারতেরও বিকল্প নাই। এটা তাদের অনুধাবন করা উচিত। কারণ যদি আমাদের দেশ ১৬০ মিলিয়ন না হতো, ১০ মিলিয়ন হতাম, কী হতো আমাদের অবস্থাটা?

আমি যদি ১৬০ মিলিয়ন, বিশ্বব্যাপী একটা পরিযায়ী জাতি, সর্বত্র বিচরণ করছি। তারও তো আমার দিকে তাকাতে হবে সম্মানের চোখে। ৫ কোটি, ১০ কোটি হলে তাকাত না। কিন্তু পাঁচ কোটি, ১০ কোটি যদি আবার সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের মতো হয় সেটাও বিচার করার বিষয়। কারণ তার প্রযুক্তি, চালচলন অনেক ভালো। এটা এভাবে দেখতে হবে।

চীন, ভিয়েতনাম আদর্শিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে এককাতারে নয়। কিন্তু ব্যবসার ব্যাপারে চীনারা হংকং, ভিয়েতনাম বাদ দেন, তাইওয়ানের সঙ্গেও ব্যবসা করছে। আসা-যাওয়া করে। এই যে তাদের ব্যবসা থেকে রাজনীতি সরিয়ে ব্যবসা করা, এই মনোভাব আমাদের আনতে হবে। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও রাজনীতি মেলানো ঠিক হবে না। আমাদের এখানে এটা খুব বেশি। এটা যেন আমরা না করি এবং এভাবে চলি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফর থেকে দেখলাম, এই সফরের ৮০ ভাগই ছিল ব্যবসা-বাণিজ্যসংক্রান্ত। ভারতের সঙ্গে আমাদের অনিষ্পত্তির বড় বিষয় হলো, তিস্তা পানি, বর্ডারে দুই একটা বিষয় আছে। এটা কাছাকাছি বাস করলে যা হয়।

আর মনস্তাত্ত্বিকভাবে সবচেয়ে খারাপ যে ভারতের সীমান্তরক্ষীরা আমাদের লোকজনদের মাঝে মাঝে যে গুলি করে হত্যা করে। এটা দৃশ্য তো খুবই অন্যায়। আমাদের দেশের নাগরিকরা এটা নিয়ে চকিত। ভারতের এটা বোঝা উচিত।

আমি যতদূর জানি, ভারত কেন্দ্র থেকে বলেছিল, এটাকে জিরোতে নিয়ে আসবে। কিন্তু যেকোনো কারণে এটা হয়নি। আমি মনে করি, এটা সফরের বিভিন্ন কমিউনিকেশনে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্ডার কিলিং এবং তিস্তা- এই দুইটা বিষয় যদি সমাধান করি, অন্যান্য বিষয় সমাধান হয়ে যাবে।

নিউজবাংলা: ডলারের বাজারের অস্থিরতা অর্থনীতিকে বড় ধরনের চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এই অস্থিরতা কীভাবে সামাল দেয়া যায়।

এম এ মান্নান: বলা উচিত কি না জানি না। তবে আমার একান্ত নিজের মতো, এটা কিছুটা মেকানিক্যাল। দীর্ঘদিন টাকাটাকে আমরা ছিপি আটকে রাখার মতো রেখেছিলাম। ছিপি যদি লুজ হয়, হঠাৎ ব্রার্স্ট হয়ে গেলে যা হয় তাই হয়েছে। অনেকে বলে, এটাকে অনেকটা বাঁধভাঙা ঢেউয়ের মতো এক লাফে ১২০ টাকায় উঠল। এটা আর্টিফিশিয়াল নয়, ন্যাচারাল। ওইটা রিয়েল প্রাইসে ছিল না। রিয়েল প্রাইসে নামা শুরু করেছে।

এখন ১০৪ বা ১০৫-এর মধ্যে রয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, গত ১০ বছরে আমরা যদি ধীরে ধীরে করতাম তাহলে এখন এই জায়গায় থাকতাম। আমার ধারণা, এখানেই থাকবে এবং আরও স্ট্যাবল হবে। আমাদের সিচুয়েশনটা ইমপ্রুভ করবে। সুতরাং মূল্যস্ফীতি, প্রাইস লেভেল বেড়ে যাওয়া, বাণিজ্য ঘাটতি- এগুলোর সব কারণ কিন্তু টাকার একটা কৃত্রিম লেভেলে ধরে রাখার প্রচেষ্টা। যারা করেছিলেন ভালো করার জন্যই করেছিলেন। সে তর্কে যাব না। বিষয়টা মেকানিক্যাল। কারণ বাজার শেষ বিচারে তার জায়গা খুঁজে বের করবেই। যা-ই করা হোক না কেন।

নিউজবাংলা: দেশে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে। হরতাল-অবরোধ-জ্বালাও-পোড়াও নেই। অর্থনীতিতে কতটা স্বস্তি দিচ্ছে এই পরিবেশ।

এম এ মান্নান: স্থিতিশীলতার কথা আমি বলেছি। এটা শুধু মুখের কথা নয়। যারা উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ, তারা সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছেন যে, সামাজিক স্থিতিশীলতা, পরিবেশ থাকা চাই উন্নয়নের জন্য। আমরা বলতাম, মাহাথির মোহাম্মদ চমৎকার করেছেন মালয়েশিয়াকে। তার মূল শক্তি ছিল স্থিতিশীলতা। একটানা ২২, ২৩ বছর তার দল, তিনি একটা স্ট্যাবল পলিসির মাধ্যমে মালয়েশিয়ার পরিবর্তন করেছেন। কোরিয়া, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, চায়না সবার ক্ষেত্রে তাই। কিন্তু আমরা যখন ঘরে আসি, তখন এই শব্দটা (স্থিতিশীলতা) ভুলে যাই, অন্যদিকে চলে যাই।

হরতালের উৎপত্তি কোথায় থেকে বুঝতে হবে। তার জন্ম হলো- আমাদের উপমহাদেশ যখন পরাধীন ছিলাম, আমাদের নেতৃবৃন্দ যেহেতু অস্ত্র দিয়ে ব্রিটিশদের সঙ্গে পারে নাই, তারা অসহযোগ আন্দোলন একটা অস্ত্র হিসেবে নিয়ে এসেছিল। এটা মাথায় রয়ে গেছে।

তারা কার সঙ্গে অসহযোগ করেছে? ব্রিটিশদের সঙ্গে। বঙ্গবন্ধু একই অস্ত্র ব্যবহার করেছেন পাঞ্জাবিদের বিরুদ্ধে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই অস্ত্র এখন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নয়। তাই চলছে। বাংলাদেশের মানুষ হরতাল-অবরোধ চায় না; নিজের ভালো চায়। বাংলাদেশের ভালো চায়, দেশের উন্নয়ন চায়। তাই হচ্ছে। মানুষ বুঝে গেছে, কিসে ভালো হবে, তাই করছে।

নিউজবাংলা: ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দেশে জাতীয় নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে আপনার দল আওয়ামী লীগ কি আবার সরকার গঠনের রায় পাবে?

এম এ মান্নান: এখানে আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই। আমি আওয়ামী লীগ করি বা আওয়ামী লীগের নেতা বলে বলছি না, আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। গত ১২-১৩ বছরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশটাকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, তাকে ছাড়া অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভাবতেই পারে না এ দেশের মানুষ। তাই আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রী, আমাদের শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমার জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসব; সরকার গঠন করব এবং দেশের আরও উন্নয়ন করব।

নিউজবাংলা: ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।

এম এ মান্নান: আপনাকেও ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে এডিবি
ভোটের বিকল্প মারামারি নয়: পরিকল্পনামন্ত্রী
মন্দের ভালো হিসেবে আ.লীগার হয়েছি: মান্নান

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
3 bank officials in jail on charges of irregularities of Tk 10 crores

দশ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

দশ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে ছবি: নিউজবাংলা
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট অডিট টিম কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসে। দিনভর অডিট করে তারা ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম পান। এ বিষয়ে ওই শাখার তিন কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ সেদিন রাতেই তাদের তিনজনকে আটক করে।

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখায় প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে শাখা ম্যানেজারসহ ৩ কর্মকর্তাকে আটকের পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগর। এদিন দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করে সাঁথিয়া থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের জিআরও এএসআই মাহবুবুর রহমান জানান, বিকেলে সাঁথিয়া থানা থেকে এনে তাদের আদালতে তোলা হয়। এ সময় কেউ তাদের জন্য জামিন আবেদন করেননি। ফলে আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আটককৃতরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ব্যবস্থাপক (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) সুজানগর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হারুন বিন সালাম, সিনিয়র অফিসার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার বাসিন্দা আবু জাফর এবং ক্যাশিয়ার বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত চক্রবর্তী।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট অডিট টিম কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসে। দিনভর অডিট করে তারা ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম পান। এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানায় ওই শাখার ম্যানেজার (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) হারুন বিন সালাম, ক্যাশ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী ও সিনিয়র অফিসার আবু জাফরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দিলে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে তাদের তিনজনকে আটক করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অডিটে অনিয়ম ধরা পড়লে তাদের আটক করে সাঁথিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আজ (শুক্রবার) দুপুরে জিডির ভিত্তিতে আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে দুদক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

আরও পড়ুন:
পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Farooq Ahmed is the Chairperson of RDRS Board of Trustees

আরডিআরএস ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন হলেন ফারুক আহমেদ

আরডিআরএস ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন হলেন ফারুক আহমেদ ফারুক আহমেদ
ফারুক আহমেদ ২০২০ সালের ১৬ মার্চ থেকে আরডিআরএস-এর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশ-এর ট্রাস্টি বোর্ডের নতুন চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন ফারুক আহমেদ।

ট্রাস্টি বোর্ডের ৬৬তম সভায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফারুক আহমেদ ২৭ এপ্রিল থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত ফারুক আহমেদের উন্নয়ন খাতে রয়েছে বিস্তৃত অভিজ্ঞতা।

তিনি এক সময় ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন এবং ঢাকায় বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জেনেভাভিত্তিক গ্যাভি, দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (এঅঠও)-এর বোর্ড সদস্য ছিলেন, এছাড়া তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ফারুক আহমেদ সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি (এসএমসি) এন্টারপ্রাইজের পরিচালনা পরিষদের একজন সদস্য। তিনি বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ ওয়ার্কিং গ্রুপেরও একজন সদস্য।

ফারুক আহমেদ ২০২০ সালের ১৬ মার্চ থেকে আরডিআরএস-এর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

আরডিআরএস বিশ্বাস করে, ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে সংস্থাটি দেশজুড়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রাখতে এবং এ সম্পর্কিত কার্যক্রমকে বেগবান করতে সক্ষম হবে। প্রেস রিলিজ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
137th Port Day celebration in a festive atmosphere

উৎসবমুখর পরিবেশে ১৩৭তম বন্দর দিবস উদযাপন

উৎসবমুখর পরিবেশে ১৩৭তম বন্দর দিবস উদযাপন চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারের সারি। ফাইল ছবি
পতাকা উত্তোলনকালে চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থানরত সব জলযান ও জাহাজ থেকে একনাগাড়ে এক মিনিট হুইসেল বাজানো হয়। এরপর বন্দর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহায়েল উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে বন্দর দিবসের কেক কাটেন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

উৎসবমুখর পরিবেশে বৃহস্পতিবার উদযাপন করা হয়েছে ১৩৭তম বন্দর দিবস।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বন্দর ভবন চত্বরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন করেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।

ওই সময় বোর্ড সদস্য (প্রকৌশল) কমোডর মোহাম্মদ মাহবুবুবর রহমানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পতাকা উত্তোলনকালে চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থানরত সব জলযান ও জাহাজ থেকে একনাগাড়ে এক মিনিট হুইসেল বাজানো হয়। এরপর বন্দর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহায়েল উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে বন্দর দিবসের কেক কাটেন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ, বন্দরের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার ও অন্যান্য সংগঠনের নেতারা।

কর্ণফুলীর মোহনায় ১৩৬ বছর আগে ২৫ এপ্রিল প্রতিষ্ঠা হয়েছিল দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর। ইংরেজ শাসনামলের প্রথম দিকে ইংরেজ ও দেশীয় ব্যবসায়ীরা বার্ষিক এক টাকা সালামির বিনিময়ে নিজ ব্যয়ে কর্ণফুলী নদীতে জেটি নির্মাণ করেন। পরে ১৮৬০ সালে প্রথম দুটি অস্থায়ী জেটি নির্মাণ করা হয়। ১৮৭৭ সালে চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার গঠিত হয়।

১৮৮৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে দুটি মুরিং নির্মাণ হয়। একই বছরের ২৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার কার্যকর হয়। এরপর ১৮৯৯ থেকে ১৯১০ সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার এবং আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে যুক্তভাবে চারটি স্থায়ী জেটি নির্মাণ করে। ১৯১০ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে রেলওয়ের সংযোগ সাধন হয়।

১৯২৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরকে মেজর পোর্ট ঘোষণা করা হয়। সেই থেকেই চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রেখে আসছে।

আরও পড়ুন:
বাংলাবান্ধায় আবারও তিন দিন বন্ধ পণ্য ও যাত্রী পারাপার
চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক
বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় বন্ধ পচনশীল পণ্য আমদানি
পটিয়ায় দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত, আহত চার
বাংলাবান্ধা দিয়ে পণ্য ও যাত্রী পারাপার তিন দিন বন্ধ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Gold prices fell for the third consecutive day

টানা তৃতীয় দিনের মতো কমেছে স্বর্ণের দাম

টানা তৃতীয় দিনের মতো কমেছে স্বর্ণের দাম
বৃহস্পতিবার ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরিতে কমেছে ৬৩০ টাকা। সে হিসাবে ভালো মানের স্বর্ণের ভরি দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা। আগের দিন বুধবার তা ছিল এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা।

দেশের বাজারে টানা তৃতীয় দিনের মতো কমেছে স্বর্ণের দাম। ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরিতে কমেছে ৬৩০ টাকা। সে হিসাবে স্বর্ণের ভরি দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা। আগের দিন বুধবার তা ছিল এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।

স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মি‌নিট থেকে স্বর্ণের নতুন নির্ধারিত দাম কার্যকর হবে।

বাজুস এর আগে চলতি এপ্রিল মাসের ৬, ৮ ও ১৮ তারিখ তিন দফা স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। এর ম‌ধ্যে ভালো মানের স্বর্ণের ভরিতে ৬ এপ্রিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল দুই হাজার ৬৫ টাকা বাড়ানো হয়। মাঝে ২০ এপ্রিল ভরিতে ৮৪০ টাকা দাম কমানোর পরদিন ২১ এপ্রিল আবার ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।

এবার শুরু হয় দাম কমানোর পালা। সবশেষ দাম বাড়ানোর দু’দিন পর ২৩ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে তিন হাজার ১৩৮ টাকা ও ২৪ এপ্রিল দু’হাজার ৯৯ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় বাজুস। আর বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ টানা তিন দিনে স্বর্ণের দাম ভ‌রি‌তে ক‌মেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।

সোনার দামে এমন উত্থান-পতনের কারণ জানতে চাইলে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখন নতুন পদ্ধতি বা পলিসি অনুসরণ করে গোল্ডের দাম নির্ধারণ করি। সেটি হচ্ছে বিশ্ব স্বীকৃত ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল পলিসি।

‘এতদিন আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে গোল্ডের দাম নির্ধারণ করতাম। সেক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে যখন স্বর্ণের দাম কমত তখন আমরা কমাতাম। আর যখন বাড়ত তখন বাড়াতাম।’

তিরি আরও বলেন, ‘এখন আমরা আমাদের স্বর্ণের সবচেয়ে বড় বাজার তাঁতীবাজারের বুলিয়ান মার্কেট ফলো করে দর নির্ধারণ করি। এই বাজারে স্বর্ণের দাম ঘণ্টায় ঘণ্টায় উঠা-নামা করে। সেটা অনুসরণ করে আমরা নতুন দর নির্ধারণ করে থাকি। সেক্ষেত্রে দিনে দু’বারও গোল্ডের দাম বাড়ানো-কমানো হতে পারে।’

আরও পড়ুন:
দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১১৯৬৩৮ টাকা
মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০টি স্বর্ণের বারসহ আটক ২
স্বর্ণের দাম দু’দিনের ব্যবধানে ভরিতে বেড়েছে ৩,৪৯৯ টাকা
বাড়া-কমার খেলায় স্বর্ণের ভরি রেকর্ড ১,১৪,০৭৪ টাকা
কমলো স্বর্ণের দাম

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The manipulation of a few traders behind the instability in the capital market

পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে গুটিকয়েক ট্রেডারের কারসাজি

পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে গুটিকয়েক ট্রেডারের কারসাজি ফাইল ছবি
শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক সময়ের টানা পতন ঠেকাতে আবারও শেয়ারের মূল্যসীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর এক দিনে ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। দেশের পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বিএসইর আদেশে জানানো হয়েছে।

কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাতে সমগ্র বিশ্ব যখন টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে পতিত হয়, ঠিক সেই সময় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে টেনে তুলতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বিশ্বের দরবারে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যায়।

যদিও একটি শ্রেণি বাজারে নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে বরাবরই সক্রিয় ছিল। তবে দূরদর্শী নেতৃত্বগুণে বিনিয়োগকারীদের অর্থের সুরক্ষা দিতে বারবার বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হতে দেননি অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে অস্বাভাবিক আচরণ করছে পুঁজিবাজার। নিয়ন্ত্রক সংস্থাও এ পরিস্থিতি সামাল দিতে এরই মধ্যে অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করে বাজারকে স্থিতিশীল করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এমনকি পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে গতকাল ফ্লোর প্রাইসমুক্ত সব শেয়ারে একদিনের দর কমার নিম্নসীমা (সার্কিট ব্রেকার) ৩ শতাংশে বেঁধে দিয়েছে সংস্থাটি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএসইসির সময়োপযোগী এমন পদক্ষেপ বাজারকে আবারও টেনে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে সন্দেহভাজন বেশকিছু লেনদেন পরিলক্ষিত হয়েছে বাজারে। এতে বিশেষ একটি শ্রেণি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বাজারকে ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করছে। কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসও এতে জড়িত রয়েছে। বাজারে অবাঞ্ছিত বিক্রির আদেশ দিয়ে তারা অস্থিরতা তৈরি করছে। তাছাড়া বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে বাজারে একটা শ্রেণি স্বার্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। ফলে বেশ কিছুদিন ধরে বাজার কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করছে।

এ বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে বেশ কিছু ট্রেডার নিজেদের মধ্যে যোগশাজসের মাধ্যমে প্রথমে কম দরে শেয়ার বিক্রি করত। পরে তাদের দেখাদেখি সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যখন প্যানিক হয়ে শেয়ার বিক্রি করত তখন তারা আবার কম দরে শেয়ারগুলো কিনে নিত। এভাবে তারা নিজেদের মধ্যে শেয়ার লেনদেন করে প্যানিক সৃষ্টির মাধ্যমে ভালো শেয়ারগুলোর দাম কমাত। এই কাজে তাদের বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসও সহযোগিতা করত।’

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শেয়ারের দর কমার কথা নয়। গুটি কয়েক অসাধু ট্রেডারের কারসাজিতে বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে বড় বড় ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আল-আমিন বলেন, ‘এক শ্রেণির অসাধু বিনিয়োগকারী চাচ্ছেন বর্তমান কমিশন বিদায় হয়ে নতুন কেউ দায়িত্বে আসুক, যাতে তারা নতুন করে আরও সুযোগ নিতে পারেন। তারাই বিভিন্ন দুর্বল শেয়ারে কারসাজি করে সুবিধা নিচ্ছেন।

‘ফোর্সড সেলের মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার তারা কম দরে কিনে নিচ্ছেন। কমিশনের উচিত হবে কারসাজিকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা, যাতে তারা বারবার বাজারকে ম্যানিপুলেট করার সাহস না পায়।’

এদিকে শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক সময়ের টানা পতন ঠেকাতে আবারও শেয়ারের মূল্যসীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বিএসইসি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে।

ওই আদেশে বলা হয়, এখন থেকে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর এক দিনে ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। বর্তমানে দরভেদে কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত দরপতন হতে পারে।

দেশের পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে আদেশে জানানো হয়েছে। সার্কিট ব্রেকারের এ সিদ্ধান্ত বুধবার থেকে কার্যকর করতে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আজকের এই সার্কিট ব্রেকার আরোপ বাজারে কারসাজি রোধ করবে। এটি সন্দেহভাজন লেনদেন বন্ধ করবে। আর এ সিদ্ধান্তের ফলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি সক্রিয় হবে বলে আশা করছি।’

তিনি বলেন, ‘অনেক ভালো শেয়ার বর্তমানে আন্ডারভ্যালুতে আছে। এখানে তারা বিনিয়োগ করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।’

সার্কিট ব্রেকার বাজারের দরপতন ফেরাতে ব্যর্থ হলে আবারও ফ্লোর প্রাইস দেয়ার কোনো সিদ্ধান্ত আছে কি না জানতে চাইলে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আশা করছি, আমাদের বাজারে আর কখনও ফ্লোর প্রাইস দিতে হবে না। শিগগিরই বাজার একটা স্থিতিশীল অবস্থানে ফিরবে।’

আরও পড়ুন:
শেয়ারের দাম দিনে ৩ শতাংশের বেশি কমবে না
ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে পুঁজিবাজার

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The price of gold in the country has dropped another round to 114151 rupees

দেশে স্বর্ণের দাম আরেক দফা কমে ভরি ১১৪১৫১ টাকা

দেশে স্বর্ণের দাম আরেক দফা কমে ভরি ১১৪১৫১ টাকা
বাজুস মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়ে ওই দিন থেকে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করে। সে হিসাবে দু’দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো ৫ হাজার ২৭৭ টাকা।

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম একদিনের ব্যবধানে আরেক দফা কমেছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিতে দু’হাজার ১৩৯ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বলা হয়েছে,

স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নতুন নির্ধারিত দাম বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট থেকে কার্যকর হবে।

বাজুস এর আগের দিন মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়ে ওই দিন থেকে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করে। সে হিসাবে দুদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো ৫ হাজার ২৭৭ টাকা।

নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ১৩৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৯৫ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের ভরি ১ হাজার ৭১৪ টাকা কমিয়ে ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৩৭৭ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা।

অবশ্য স্বর্ণালঙ্কার কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের এর চেয়ে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সে সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় নূন্যতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৫৮ টাকা।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার ভরি ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা আছে।

আরও পড়ুন:
কমানোর পর দিনই বাড়ল স্বর্ণের দাম
স্বর্ণের দাম এবার কমেছে, তবে নামমাত্র
দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১১৯৬৩৮ টাকা
স্বর্ণের দাম দু’দিনের ব্যবধানে ভরিতে বেড়েছে ৩,৪৯৯ টাকা
বাড়া-কমার খেলায় স্বর্ণের ভরি রেকর্ড ১,১৪,০৭৪ টাকা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Infinix Inbook Y2 Plus An affordable powerhouse for everyday use

ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস: নিত্যদিনের ব্যবহারের জন্য সাশ্রয়ী পাওয়ারহাউজ

ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস: নিত্যদিনের ব্যবহারের জন্য সাশ্রয়ী পাওয়ারহাউজ ইনবুক ওয়াইটু প্লাস নামের ল্যাপটপটি দিচ্ছে চমৎকার ডিজাইন, শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও সাশ্রয়ী দামের প্রতিশ্রুতি। কোলাজ: নিউজবাংলা
ল্যাপটপটির বর্তমান বাজারমূল্য ৫৮ হাজার ৯৯০ টাকা। অনুমোদিত ইনফিনিক্স রিটেইলার থেকে ল্যাপটপটি কেনা যাচ্ছে।

বাংলাদেশের বাজারে গত বছর প্রথমবারের মতো ল্যাপটপ নিয়ে আসে ট্রেন্ডি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। ইনবুক ওয়াইটু প্লাস নামের ল্যাপটপটি দিচ্ছে চমৎকার ডিজাইন, শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও সাশ্রয়ী দামের প্রতিশ্রুতি। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রযুক্তিপ্রেমী শিক্ষার্থী ও এক্সিকিউটিভদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে এ ল্যাপটপ।

দেখে নেওয়া যাক কী আছে ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস ল্যাপটপটিতে। এর ফিচার, পারফরম্যান্স ও ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাই বা কেমন।

ডিজাইন ও গঠন

স্লিক ও হালকা ডিজাইনের ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস সহজেই সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। শিক্ষার্থী ও ব্যস্ত এক্সিকিউটিভদের জন্য এ ল্যাপটপ যথার্থ। এর পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক মেটালিক ডিজাইন স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে দেয় প্রিমিয়াম অনুভূতি। স্লিক প্রোফাইল ও প্রাণবন্ত ডিসপ্লের সঙ্গে যুক্ত সরু বেজেল ল্যাপটপটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। ফলে বাজারের একই ধরনের দামি ল্যাপটপের সমকক্ষ হয়ে ওঠে ওয়াইটু প্লাস।

তা ছাড়া এর মসৃণ এজি গ্লাস টাচ প্যানেলের কারণে সিল্কি-স্মুথ ও স্থায়ী টাচের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। ১.৫ মিলিমিটার কি ট্র্যাভেল এবং ব্যাকলাইটিংযুক্ত রেসপনসিভ কি-বোর্ড টাইপিংকে করে তোলে সহজ ও আরামদায়ক। তাই কম আলোতেও টাইপ করতে কোনো সমস্যা হয় না।

পারফরম্যান্স ও প্রোডাক্টিভিটি

১১তম প্রজন্মের কোর আই৫ প্রসেসর ও ৮ জিবি র‍্যাম রয়েছে ইনফিনিক্স ওয়াইটু প্লাসে। স্টোরেজের প্রয়োজন মেটাতে এতে আছে ৫১২ জিবি এনভিএমই পিসিআইই এসএসডি। প্রোডাক্টিভিটি সফটওয়্যার, ওয়েব ব্রাউজ করা কিংবা কনটেন্ট স্ট্রিম করাসহ সব ধরনের উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন অ্যাপ্লিকেশন চালানো যায় খুব সহজেই। এর ইন্টিগ্রেটেড ইন্টেল ইউএইচডি গ্রাফিকস সাধারণ গেমিং ও মাল্টিমিডিয়া এডিটিংয়ের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যময় গ্রাফিকস পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। উইন্ডোজ ১১ পরিচালিত ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাসের অপারেটিং সিস্টেম সবার পরিচিত ও ব্যবহার করা সহজ।

ডিসপ্লে ও মাল্টিমিডিয়া অভিজ্ঞতা

উজ্জ্বল রং ও ওয়াইড অ্যাঙ্গেলের সঙ্গে স্পষ্ট ও পরিষ্কার ভিজ্যুয়াল দেয় ১৫.৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি আইপিএস ডিসপ্লেযুক্ত ইনবুক ওয়াইটু প্লাস। ৮৫ শতাংশ স্ক্রিন-টু-বডি রেশিওর সঙ্গে চমৎকার মাল্টিমিডিয়া অভিজ্ঞতার জন্য ডিসপ্লেটি দারুণ। কাজেই আপনার প্রিয় নেটফ্লিক্স সিরিজ দেখা কিংবা ফটো এডিট করা— সবই হবে স্বাচ্ছন্দ্যে।

ল্যাপটপটিতে আছে ডুয়েল এলইডি ফ্ল্যাশ ও এআই নয়েজ ক্যান্সেলেশন প্রযুক্তিযুক্ত ১ হাজার ৮০ পিক্সেলের ফুল এইচডি+ ক্যামেরা। এর ফলে ভিডিও কলের অভিজ্ঞতা হবে আরও উন্নত।

ব্যাটারি লাইফ ও চার্জিং

ইনবুক ওয়াইটু প্লাসের ৫০ ওয়াট-আওয়ার ব্যাটারি ক্যাপাসিটি কোনো চার্জ ছাড়াই প্রতিদিনের কাজে আট ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। পাশাপাশি এর ৪৫ ওয়াট টাইপ-সি পোর্টযুক্ত চার্জারে ডিভাইসটি দ্রুত ও সহজেই চার্জ করা যায়। ফলে ভারী চার্জার বহনের প্রয়োজন হয় না।

দাম

ল্যাপটপটির বর্তমান বাজারমূল্য ৫৮ হাজার ৯৯০ টাকা। অনুমোদিত ইনফিনিক্স রিটেইলার থেকে ল্যাপটপটি কেনা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:
২ বছরের সফটওয়্যার আপডেটসহ দেশজুড়ে মিলছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ
ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি নিয়ে দেশের বাজারে ইনফিনিক্সের নোট ৪০ সিরিজ
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ম্যাগনেটিক চার্জিং প্রযুক্তি আনল ইনফিনিক্স
যে তিন কারণে আলাদা ইনফিনিক্স ল্যাপটপ
বাজারে এলো ইনফিনিক্সের গেমিং স্মার্টফোন হট ৪০ প্রো

মন্তব্য

p
উপরে