ইস্যুমূল্যের চেয়ে অর্ধেক দামে নেমে যাওয়া বসুন্ধরা পেপার মিলসের শেয়ারদর ৩০ শতাংশের মতো, ওটিসি ফেরত পেপার প্রসেসিংয়ের শেয়ারদর ৫৫ শতাংশ বাড়ার পর বিষয়টিকে অস্বাভাবিক ভেবে তদন্তের নির্দেশ এসেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পক্ষ থেকে। কিন্তু গত তিন মাসে যে কোম্পানির শেয়ারদর প্রায় ৫০০ শতাংশ বেড়েছে, সেটির পেছনে কোনো অস্বাভাবিক কিছু আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে নেই কোনো উদ্যোগ।
কেবল বিএসইসি নয়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিটিরও বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেই। তারা কোম্পানির কাছে দুবার নোটিশ দিয়ে জানতে চেয়েছে তাদের কোনো বিশেষ মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আছে কি না। কোম্পানিটির জবাব এসেছে ‘নেই’।
এটি হলো ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশন, যার দর গত ১৬ জুন ছিল ৮১ টাকা ৬০ পয়সা। আর তিন মাস পর ১৫ আগস্ট দাঁড়িয়েছে ৪৬৭ টাকা ৪০ পয়সা বা ৪৭২ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
এর মধ্যে গত এক মাসে শেয়ারদর বেড়েছে ৩২৬ টাকা ১০ পয়সা। গত ১৬ আগস্ট দর ছিল ১৪১ টাকা ৩০ পয়সা।
অর্থাৎ ৬০ কর্মদিবসে শেয়ারটির দাম হয়ে গেছে ৫৭২ দশমিক ৩০ শতাংশ, টাকায় বেড়েছে ৩৮৫ টাকা ৮০ পয়সা। সাম্প্রতিক ইতিহাসে কোনো কোম্পানির দর এতটা বাড়েনি।
সম্প্রতি দুটি কোম্পানির শেয়ারদর অনেকটা বাড়ার পর বিএসইসি তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে। এর মধ্যে বসুন্ধরা পেপারের দর সাত দিনে ৫১ টাকা থেকে ৬৬ টাকা বা ২৯ দশমিক ৪১ শতাংশ, আর ১০ দিনে পেপার প্রসেসিংয়ের দর ১৭৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২৭২ টাকা হয়েছে, বেড়েছে ৫৫ শতাংশ।
এর মধ্যে বসুন্ধরা পেপারের দর এখনও ইস্যুমূল্যের নিচে। ২০১৮ সালে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৭২ টাকায় আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন ৮০ টাকায়।
২০ কোটির কোম্পানি এখন পৌনে ৯০০ কোটির
ওরিয়ন ইনফিউশন রোগীর গায়ে পুশ করার আইভি স্যালাইন প্রস্তুত করে। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় পাঁচ বছর পর ১৯৯৪ সালে।
এর পরিশোধিত মূলধন এখন ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এর শেয়ারসংখ্যা ২ কোটি ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০।
শেয়ারদর অস্বাভাবিক হারে বাড়ার কারণে সেই কোম্পানিটি এখন ৮৭৫ কোটি ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।
কেবল এই কোম্পানিটি নয়, ওরিয়ন গ্রুপের আরও দুটি কোম্পানির শেয়ারদরেও ব্যাপক উত্থান দেখা যাচ্ছে।
এর মধ্যে বিকন ফার্মার দর গত ২৮ জুলাই ছিল ২৪০ টাকা ৬০ পয়সা, সেটি এখন বেড়ে হয়েছে ৩২১ টাকা ৬০ পয়সা। মাঝে ৩৪৫ টাকাতেও উঠেছিল।
অন্যদিকে ওরিয়ন ফার্মার দর গত ২৮ জুলাই ছিল ৭৮ টাকা ৭০ পয়সা, সেটি এখন ১১৬ টাকা ২০ পয়সা, মাঝে হয়েছিল ১৩১ টাকা ৬০ পয়সা।
বিএসইসি কী বলছে
প্রশ্ন উঠেছে, বসুন্ধরার এই দর ফিরে পাওয়াকে অস্বাভাবিক হিসেবে দেখছে, ওরিয়ন ইনফিউশনের পাগলা ঘোড়ার মতো ছোটাকে কেন অস্বাভাবিক মনে করছে না বিএসইসি।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোনো সিকিউরিটিজের প্রাইস বাড়লেও ম্যানুপুলেশন বলা যাবে না, যদি না কোনো ম্যাল প্র্যাকটিস থাকে, ইনসাইডারের ট্রেডিং ইনভল্ভমেন্ট না থাকে।’
তিনি বলেন, ‘অ্যাগ্রেসিভ বাই, ইনভেস্টর কত বেশি বা এমফ্যাসিস দিয়েছে কি না, ম্যাল প্র্যাকটিস, ইনসাইডার ট্রেডিং ইনভল্ভমেন্ট- এ রকম আরও কিছু বিষয়ের ওপর ভিত্তি করেই কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়। এগুলোর একটি হলো- প্রাইস কত শতাংশ বাড়ল।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা ওরিয়ন ইনফিউশন অনেক দিন থেকে নজরে রেখেছি। তথ্য কালেক্ট করছি, কোনো ইনসাইডার ইনভল্ভমেন্ট আছে কি না। কোনো প্রাইস সেনসিটিভ ইনফরমেশন আছে কি না। কারণ এটা না আসা পর্যন্ত ইনসাইডার ট্রেড তো করতেই পারে। এখন কোনো ইনফরমেশনের ভিত্তিতে করছে, সেগুলো না জানলে তো আর বলা যায় না।
‘এসব বিষয়গুলো বিবেচনা করে কমিশন সিদ্ধান্ত নেয় যে কোনটা কমিশন নিজে তদন্ত করবে, কোনটা এক্সচেঞ্জ করবে, কোনটা পর্যবেক্ষণে রাখবে। অনেক ক্ষেত্রে এসব ডিসক্লোজ করা যায়, কনফিডেনশিয়াল একটা বিষয় আছে। সময় এলে দেখা যাবে, কমিশন কী করছে।’
এর মধ্যে গত ৩ ও ২৫ আগস্ট ওরিয়ন ইনফিউশনের পক্ষ থেকে দুটি বার্তা দেয়া হয় ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে। দুবারই স্টক এক্সচেঞ্জের জিজ্ঞাসায় তারা বলেছে, অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির বিষয়ে তারা কিছু জানে না। তবে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
‘এভাবে কোনো কোম্পানির দর বৃদ্ধি স্বাভাবিক নয়’
ওরিয়ন ইনফিউশনের বিস্ময়কর দর বৃদ্ধির বিষয়ে মাসুম জামান নামে এক বিনিয়োগকারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই মাসে কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম কীভাবে ৩০০, ৪০০ টাকা বাড়ে? কীভাবে সম্ভব? এটা মোটেও স্বাভাবিক না।’
তিনি বলেন, ‘দেখলাম যে পেপার প্রসেসিং আর বসুন্ধরার দর বৃদ্ধির বিষয়ে তদন্ত করবে বিএসইসি। কিন্তু ওরিয়ন ইনফিউশনের দর যে এই কয়দিনে বেড়ে গেল, সেটার ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা নেই, এটা কেমন হলো, তাহলে?’
ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই শেয়ারটায় ব্যাপক মানি ফ্লো দেখা গেছে। দ্রুত সময়ে এত ক্যাশ ফ্লো দেখা গেলে অনুমান করা যায় যে, এটা সাধারণ দর বৃদ্ধি না। অর্গানাইজড হয়ে এই মানি ফ্লো এসেছে। আর তাছাড়া কোনো প্রাইস সেনসিটিভ ইনফরমেশন আছে। এ ছাড়া এত দর বৃদ্ধির কোনো কারণ থাকার কথা নয়।’
অভিন্ন মত দেন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও। তিনি বলেন, ‘৮০ টাকার শেয়ার কীভাবে এত অল্প সময় ৪০০ টাকা ছাড়াতে পারে? এর কোনো যৌক্তিকতা আছে? এর পেছনে কী আছে খতিয়ে দেখা উচিত।’
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য