এক দিনেই ডলারের বিপরীতে টাকার ১০ শতাংশের বেশি দরপতনের পাশাপাশি পুঁজিবাজারে ক্যাপিটাল গেইনে কর আরোপ নিয়ে গুঞ্জনে যে উৎকণ্ঠা ছড়িয়েছিল, সেটির আপাত অবসান হয়েছে।
সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবস বুধবার এই দুই ইস্যুতে পুঁজিবাজারে যে দরপতন হয়, সেখান থেকে শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঘুরে দাঁড়িয়ে কিছুটা বেড়েছে সূচক।
এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে যতগুলো কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, তার চেয়ে কম সংখ্যক কোম্পানি দর হারিয়েছে। তবে এই দুটি সংখ্যার চেয়ে বেশি ছিল আগের দিনের দরেই লেনদেন হওয়া কোম্পানির সংখ্যা, যেগুলো মূলত ফ্লোর প্রাইসে বা বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন দরে হাতবদল হচ্ছে।
নানা ইস্যুতে ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স ছয় হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যাওয়ার পর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি দ্বিতীয়বারের মতো আরোপ করে ফ্লোর প্রাইস।
গত ২৮ জুন এই সিদ্ধান্ত জানানোর পরের কর্মদিবস ৩১ জুলাই থেকে সূচকের ঘুরে দাঁড়ানো শুরু। বর্তমান অবস্থান ৬ হাজার ৫১৫ পয়েন্ট যা ৮ আগস্ট ছিল আরও ৪৫ পয়েন্ট বেশি।
৩১ জুলাই থেকে ৩২ কর্মদিবসে বেড়েছে ৫৩৪ পয়েন্ট, কিন্তু তাতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস থাকার কথা, নেই তার ছিটেফোঁটাও। কারণ, সূচক যে বেড়েছে, তার প্রভাব নেই সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারে। এই সময়ে সর্বোচ্চ ৩০টি কোম্পানির শেয়ারে উত্থানের প্রভাব পড়েছে সূচকে।
এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ওরিয়ন গ্রুপের তিনটি কোম্পানি। বেক্সিমকো গ্রুপের তিনটি কোম্পানি হারিয়ে ফেলা দর ফিরে পেতে শুরু করেছে।
ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর বেশ কিছু কোম্পানি সেখান থেকে উঠে এলেও পরে আবার ফ্লোর প্রাইসে ফিরতে থাকে সেগুলো।
তালিকাভুক্ত ৩৩টি ব্যাংকের সিংহভাগ ফ্লোর প্রাইস বা আশেপাশে, ৩৬ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দুইএকটি ছাড়া সবই ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হচ্ছে। অথচ ব্যাংক খাতে গত ৫ বছর ধরেই দারুণ লভ্যাংশ আসছে। মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত ২০১৯ ও ২০ সালে ধাক্কা দিলেও পরের দুই বছর বেশ ভালো লভ্যাংশ দিয়ে আসছে।
খাদ্যখাতের সিংহভাগ কোম্পানিরও একই অবস্থা। সাধারণ বিমা খাতও ফ্লোরের আশেপাশে লেনদেন হচ্চে।
এমনকি শক্তিশালী মৌলভিত্তির কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো ও গ্রামীণ ফোনের মতো কোম্পানিও লেনদেন হচ্ছে ফ্লোরে। ওষুধ খাতে দেশসেরা কোম্পানির একটি স্কয়ার ফার্মাও ফ্লোরের আশেপাশে।
পুঁজিবাজারে দেড় মাসে পাঁচ শ কোম্পানির দর বাড়ার পরও যে আস্থার সংকট, তা যে এতটুকু কমেনি, সেটি বোঝা গেছে বুধবার।
তার আগের দিন ডলারের বিপরীতে ১০ টাকা ১৫ পয়সা দরপতন ঘটায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে পুঁজিবাজারে এমনিতে ছিল চাপ। তারমধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট কার্যক্রমের মাধ্যমে আয়করের ক্ষেত্রে আনা পরিবর্তন সম্পর্কিত স্পষ্টীকরণে ‘আয়কর পরিপত্র ২০২২-২০২৩’ প্রকাশ করার পর ছড়িয়ে পড়ে উদ্বেগ।
এতে বলা হয়, ‘১২.২ সরকারি সিকিউরিটিজ এবং পাবলিক কোম্পানির স্টকস ও শেয়ার হস্তান্তর হতে অর্জিত মূলধনি আয় করযোগ্য।’
বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। অনেকেই মনে করতে শুরু করেন, তালিকাভুক্ত যেকোনো স্টক বা শেয়ারের বেচাকেনা থেকে আয়ের ওপর করারোপ করা হচ্ছে।
এতে বিনিয়োগকারীরা শঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিতে থাকেন। যে কারণে শেষ ৫০ মিনিটেই সূচক পড়ে যায় ৪১ পয়েন্ট।
তবে লেনদেন শেষে বিএসইসি এবং এনবিআরের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা দেয়া হয়, যে পুঁজিবাজারে ব্যক্তির ক্যাপিটাল গেইন আগের মতোই আয়কর মুক্ত।
বৃহস্পতিবার সূচক উঠানামা করে লেনদেন আগাতে থাকলেও শেষ এক ঘণ্টায় তা বাড়ে টানা। এই সময়ে সূচক বাড়ে মোট ৪১ পয়েন্ট। তবে শেষ সময়ের সমন্বয়ে দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ৮ পয়েন্ট কমে শেষ হয় লেনদেন।
আগের দিন ৫০ পয়েন্ট সূচক কমার পরদিন ২৭ পয়েন্টের উত্থান নিঃসন্দেহে বিনিয়োগকারীদের মনের চাপ কমবে।
পুঁজিবাজার নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে মতভেদের বিষয়টিও আলোচনায় আছে। দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের প্রভাব পুঁজিবাজারে- এ নিয়ে আলোচনা আছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রভাবশালী একটি পক্ষ একটি বিশেষ গ্রুপের শেয়ারে বিনিয়োগ বাাড়তে চাইছিল, অন্য পক্ষ চাইছে, অন্য গ্রুপে বিনিয়োগ বাড়াতে। তাদের মধ্যে মতভেদের প্রভাবও আছে পুঁজিবাজারে।
ব্যক্তির পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমার লক্ষণও স্পষ্ট। ফ্লোর প্রাইসের পাশাপাশি ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা ও এক্সপোজার লিমিট গণনা পদ্ধতি শেয়ারের ক্রয়মূল্যে করার সিদ্ধান্ত আসার পর যে লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে, যা এখন এক হাজার কোটির দিকে নামছে।
২৫ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় কর্মদিবসে লেনদেন পৌনে দুই হাজার কোটির নিচে নামেনি। এর মধ্যে ৪ সেপ্টেম্বর তা দুই হাজার দুই শ কোটি টাকা ছাড়ায়। ৭ সেপ্টেম্বরও তা দুই হাজার দুই শ কোটি ছাড়ায় গত বছরের অক্টোবরের পর এত বেশি লেনদেন আর হয়নি।
কিন্তু ৮ সেপ্টেম্বর থেকে লেনদেন টানা কমছে। এর মধ্যে আজ হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ২৪২ কোটি ৭৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা যা গত ২৪ আগস্টের পর সর্বনিম্ন। সেদিন হাতবদল হয় ১ হাজার ১৩৩ কেটি ৭১ লাখ ৬২ হাজার টাকার শেয়ার। তবে পুঁজিবাজার সে সময় ঘুর দাঁড়াচ্ছিল, যে কারণে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে লেনদেন বিনিয়োগকারীদের মনের ভার দূর করছিল।
ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফ্লোর প্রাইসে অনেক শেয়ার লেনদেন হচ্ছে, মানে সেগুলো রেডি হচ্ছে, সেগুলোতে আবারও র্যালি আসবে।’
তিনি বলেন, ‘যেসব শেয়ার এখন ফ্লোরে লেনদেন হচ্ছে সেগুলোতে এর আগে র্যালি হয়েছে। সেখান থেকে প্রফিট নিয়ে আরেক ইনস্ট্রুমেন্টে ঝুঁকেছেন বিনিয়োগকারীরা। সেগুলো ফ্লোরে থাকলে যেসব ইনস্ট্রুমেন্টে এখন মুভমেন্ট আছে সেগুলো বেড়েছে কয়েকগুণ। একটা থেকে প্রফিট নিয়ে আরেকটাতে যাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।’
বৃহস্পতিবারের লেনদেন নিয়ে তিনি বলেন, 'আগের দিনে ডলারের সর্বোচ্চ দরপতন ও পরে এনবিআর আয়কর পরিপত্র নিয়ে ধোঁয়াশায় বাজার যে পরিমাণ পড়েছিল সেটা কাটিয়ে আজকের উত্থান স্বস্তিদায়ক। এবং সেই হিসেবে টার্নওভার যেটা হয়েছে সেটা খারাপ বলা যায় না, ভালোই।’
দর বৃদ্ধির শীর্ষে স্বল্প মূলধনি, দুর্বল কোম্পানি
সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এমন ১০টি কোম্পানির মধ্যে পাঁচটি স্বল্প মূলধনি। এর মধ্যে দুটিসহ মোট তিনটি কোম্পানি লোকসানি, যেগুলো থেকে অদূর ভবিষ্যতেও মুনাফায় ফিরতে পারবে কি না, তা নিয়ে আছে সংশয়।
সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ দর বেড়েছে তথ্য প্রযুক্তি খাতের বিডিকম অনলাইনের। আর লোকসানি হাক্কানি পাল্পের দর বেড়েছে প্রায় সম পরিমাণ। গত মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিক শেষে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৬ পয়সা লোকসানে থাকা কোম্পানিটি গত পাঁচ বছরে মুনাফা করতে পেরেছে একবারই।
গত দুই বছর শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা করে লভ্যাংশ দেয়া সি পার্লের অবস্থান তৃতীয় স্থানে। দর বেড়েছে ৯.৮৭ শতাংশ। চতুর্থ অবস্থানে আছে জেএমআই হসপিটাল, যার দর বেড়েছে ৯.৬৫ শতাংশ।
ঋণ কেলেঙ্কারিতে ডুবে যাওয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিআইএফসি বছর দুয়েক আগেও দুই টাকার ঘরে লেনদেন হচ্ছিল, সেটি এখন অভিহিত মূল্যকে ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে আজ বেড়েছ ৯.৪৭ শতাংশ।
এরপরের অবস্থান লোকসানি পাট কোম্পানি নর্দার্ন জুট, যার দর বেড়েছে ৮.৭৫ শতাংশ। স্বল্প মূলধনি রহিম টেক্সটাইলের দর বেড়েছে ৮.৭৪ শতাংশ।
ওষুধ খাতের কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশনের বিস্ময়কর উত্থান অব্যাহত রয়েছে। তিন মাসে পাঁচ গুণের বেশি দর বাড়া কোম্পানিটি আজ বেড়েছে ৮.৭৪ শতাংশ। জুনের শুরুতে ৮০ টাকার নিচে থাকা কোম্পানিটির দর এখন ৪৬৭ টাকা ৪০ পয়সা।
একই গ্রুপের আরেক কোম্পানি বিকন ফার্মার দর বেড়েছে ৮.৭২ শতাংশ। আগের দিন দর ছিল ২৯৫ টাকা ৮০ পয়সা। বেড়ে হয়েছে ৩২১ টাকা ৬০ পয়সা।
লোকসানের কারণে এক যুগেও লভ্যাংশ নিতে না পারা জুন স্পিনার্সের দরও বাড়ছেই। ৮.৭২ শতাংশ বেড়ে এখন তা দাঁড়িয়েছে ২২৮ টাকায়।
গত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ৪২ টাাক ১০ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটি গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে লোকসান দিয়েছে ৩৬ টাকা ৫০ পয়সা। শেয়ার প্রতি কোনো সম্পদ নেই, উল্টো দায় তৈরি হয়েছে ৪২৬ টাকার।
এর উত্থানের কারণ কোম্পানির উৎপাদন আবার শুরুর ঘোষণা। এদিন কোম্পানিটি ঘোষণা দিয়েছে, তারা পরীক্ষামূলক উৎপাদনে সফল হওয়ার পর পুরোপুরি উৎপাদনে যাচ্ছে।
স্বল্প মূলধনি কে অ্যান্ড হক, আজিজ পাইপ, অ্যামবি ফার্মা, রংপুর ফাউন্ড্রি, সোনালী আঁশ, জিকিউ বলপেন, মুন্নু অ্যাগ্রো, সমতা লেদার, ওয়াটা কেমিক্যালসের মতো স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বেড়েছে অনেকটাই।
পতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৫.৫৩ শতাংশ দর হারিয়েছে আর্থিক খাতের কোম্পানি বে লিজিং। কোম্পানিটি গত ডিসেম্বরে অর্থবছর সমাপ্তের ৯ মাস পর যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তা তৈরি করেছে বিস্ময়। তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৭৫ পয়সা মুনাফা দেখানো কোম্পানিটি চূড়ান্ত যে হিসাব প্রকাশ করেছে, তাতে শেয়ার প্রতি ৯৯ পয়সা লোকসান দেখিয়েছে। তবে তারা ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে।
শীর্ষ দশে আর্থিক খাতের আরও চারটি কোম্পানি দেখা গেছে। এর মধ্যে আইপিডিসির দর ৩.২০ শতাংশ আইডিএলসির দর ২.৮৪ শতাংশ, প্রাইম ফাইন্যান্সের দর ২.৩৬ ও ইসলামিক ফাইন্যান্সের দর ২.৩৪ শতাংশ কমতে দেখা গেছে।
এই তালিকায় বস্ত্র খাতের তিনটি কোম্পানি দেখা গেছে। এর মধ্যে সিমটেক্সের দর ৫.৬২ শতাংশ, ঢাকা ডায়িংয়ের দর ৩.৬০ শতাংশ, ফারইস্ট নিটিংয়ের দর ২.৪৫ শতাংশ কমতে দেখা গেছে।
শীর্ষ দশের অন্য দুটি কোম্পানি হলো জেমিনি সি ফুড, যার দর ২.৬৫ এবং বিডি ওয়েল্ডিংয়ের দর ২.৫৫ শতাংশ কমেছে।
সূচক বাড়াল যারা
সবচেয়ে বেশি ১৩.০৪ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বিকন ফার্মা। জেএমআই সিরিঞ্জের দর বৃদ্ধিতে সূচবে যোগ হয়েছে ২.৮ পয়েন্ট, সি পার্ল যোগ করেছে ২.০৩ পয়েন্ট।
এছাড়া বেক্সিমকো লিমিটের ১.৯২ পয়েন্ট, ইউনাইটেড পাওয়ার ১.৭৮ পয়েন্ট, ওরিয়ন ইনফিউশন ১.৬৮ পয়েন্ট, পূবালী ব্যাংক ১.৩৫ পয়েন্ট, ডেল্টা লাইফ ১.২৭ পয়েন্ট, জেএমআই সিরিঞ্জ ১.১২ পয়েন্ট, ইসলামী ব্যাংক ১.০৬ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি যোগ করেছে ২৮.০৫ পয়েন্ট।
বিপরীতে সূচক টেনে ধরার চেষ্টায় ছিল যেসব কোম্পানি, তার মধ্যে শীর্ষ দশের কোম্পানিগুলোর কারণে কমেছে ৯ পয়েন্ট।
এর মধ্যে আইপিডিসি ১.৭৯ পয়েন্ট, আইডিএলসি ১.৩৬ পয়েন্ট, সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি ১.০৫ পয়েন্ট, ইবিএল ০.৯৪ পয়েন্ট, আইএফআইসি ব্যাংক ও স্কয়ার ফার্মা ০.৭৮ পয়েন্ট করে, জিপিএইচ ইস্পাত ০.৭৬ পয়েন্ট, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ০.৭৪ পয়েন্ট, পাওয়ারগ্রিড ০.৪৭ পয়েন্ট এবং বিএসআরএম লিমিটেড ০.৪৬ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য