ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময়হার এক দিনে ১০ টাকা কমিয়ে দেয়ার পরের দিন পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হলো।
জুলাইয়ের শেষ দিন থেকে ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজার চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এমনিতেই নানামুখী চাপে। নানা গুজব, গুঞ্জন, পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বসহ নানা ইস্যুতে শতাধিক কোম্পানির শেয়ারের দর কমতে কমতে ফ্লোর প্রাইস ছুঁয়ে গেছে।
এর মধ্যে মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমিয়ে দেয় ১০ টাকা ১৫ পয়সা। তার আগের দিন এটি ছিল ৯৬ টাকা। সেটি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৬ টাকা ১৫ পয়সা।
আর বুধবার শুরু থেকেই সূচকের ওঠানামা করতে করতে চলতে থাকা লেনদেনের শেষ সময়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিক্রয়ের চাপ দেখা দেয়।
দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩ পয়েন্ট বেশি ছিল। বেলা ১টায় তা কমে যায় ২৪ পয়েন্ট। এর পরের ৫০ মিনিটে পতন হয় আরও ২৬ পয়েন্টের বেশি।
শেষ পর্যন্ত আগের দিনের চেয়ে ৫০ পয়েন্ট হারিয়ে সূচকের অবস্থান নেমে যায় সাড়ে ছয় হাজারের নিচে, তবে লেনদেন শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে সূচক পড়ে যায় ৬৫ পয়েন্ট। শেষ মুহূর্তের সমন্বয়ের কারণে আসলে সেখান থেকে ১৫ পয়েন্ট যোগ হয়েছে।
বেড়েছে ৭২ কোম্পানির দর, কমেছে ১৭৫টির। আর ১২৪টি লেনদেন হয়েছে আগের দিনের দরে, যেগুলোর সিংহভাগই আসলে ফ্লোর প্রাইসে। ফলে কমার সুযোগ নেই।
লেনদেন নেমে এসেছে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে। গত ২৪ আগস্ট হাতবদল হয় ১ হাজার ১৩৩ কোটি ৭১ লাখ ৬২ হাজার টাকা। আর আজ হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ৩০৭ কোটি ৭৮ লাখ ১৪ হাজার টাকা।
সূচকের পতনের এই দিনে লোকসানি ও স্বল্প মূলধনী বেশ কিছু কোম্পানির রমরমা অবস্থা দেখা গেছে। অদূর ভবিষ্যতেও লভ্যাংশ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই, এমন বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারদর দিনের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে লেনদেন হতে দেখা গেছে। অন্যদিকে শক্তিশালী মৌল ভিত্তির অনেক কোম্পানির শেয়ার হাতবদল হচ্ছে ফ্লোর প্রাইসে। যেগুলো ফ্লোরের চেয়ে বেশি ছিল, তার মধ্যে অনেকগুলো দর হারিয়েছে এদিন।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টাকার এত বড় দরপতনে ক্ষতিগ্রস্ত হবে উৎপাদন খাত। আমদানি করা কাঁচামালের দাম বেড়ে যাবে ১০ শতাংশ, কিন্তু মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা দেশে পণ্যমূল্য আরও বাড়ালে চাহিদা কমে গিয়ে বিক্রিতে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এতে কোম্পানির মুনাফা কমে যাবে। এই আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ছেড়ে দিতে চাইছেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরের চিত্রের সঙ্গে মিল
পুঁজিবাজারের এই পরিস্থিতি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে দীর্ঘ দর সংশোধন শুরু হওয়ার স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে।
সোয়া এক বছরের উত্থান শেষে ওই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ সূচক ৭৮ পয়েন্ট বেড়ে গিয়েও পরে সেখান থেকে অবিশ্বাস্যভাবে ১২৪ পয়েন্ট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৫৬ পয়েন্টে নেমেছিল। সে সময় চাপে পড়েছিল পুঁজিবাজার। সেখান থেকে আর বের হয়ে আসা হয়নি। এরপরও কয়েক দিন সূচক বেড়েছিল বড় মূলধনী অল্প কিছু কোম্পানির শেয়ারদর তরতর করে বাড়ার কারণে।
দীর্ঘ সংশোধন এবং এরপর ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতনের ধাক্কা কাটিয়ে এবারও পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর মধ্যে ৪ সেপ্টেম্বর ঘটে একই ধরনের ঘটনা। ৩১ জুলাই থেকে টানা ঊর্ধ্বমুখী বাজারে সেদিনও সূচক একপর্যায়ে ৭৮ পয়েন্ট বেড়ে শেষ পর্যন্ত ১৮ পয়েন্ট পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় লেনদেন।
সেদিন থেকে পুঁজিবাজারে আবার বিভ্রান্তি শুরু হয়, তবে আগের বছরের মতোই বড় মূলধনী কয়েক কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির পাশাপাশি দর হারাচ্ছে বিপুলসংখ্যক কোম্পানি। ফলে কোনো কোনো দিন সূচক বাড়লেও বিনিয়োগকারীদের হতাশা কাটছে না।
৪ সেপ্টেম্বর এবং তারও আগে থেকে দেখা যাচ্ছে, যেদিন সূচক লাফ দিয়েছে, সেদিনও কমেছে সিংহভাগ কোম্পানির দর। আর যেদিন সূচকের পতন হয়, সেদিন তো কথাই নেই।
দুর্বল ও স্বল্প মূলধনির রমরমা
দরবৃদ্ধির ওপরের দিকে রয়েছে যেসব কোম্পানির তার বেশিরভাগই লোকসানি ও স্বল্প মূলধনি। কয়েক দিন ধরে এসব কোম্পানির দরবৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে।
ঋণ কেলেঙ্কারি ও লোকসানে ডুবে থাকা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ। ১০ শতাংশ বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৬ টাকা ৬০ পয়সায়।
২০১৯ সালে শেয়ারপ্রতি ১২৬ টাকা ৩৬ পয়সা, ২০২০ সালে ৩১ টাকা ৩০ পয়সা এবং অনিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী ২০২১ সালে ৯ টাকা ২৬ পয়সা লোকসান দিয়েছে কোম্পানিটি।
উৎপাদন বন্ধ থাকলেও টানা দর বেড়েই চলেছে জুট স্পিনার্সের। তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে শেয়ার প্রতি ৩২ টাকা ৫০ পয়সা।
মঙ্গলবার ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দর বেড়েছে। আগের দিনেও একই পরিমাণ দর বেড়েছিল। এ নিয়ে টানা চার কর্মদিবস দর বেড়ে শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ২০৯ টাকা ৭০ পয়সায়। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ১৯০ টাকা ৭০ পয়সায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর বেড়েছে লোকসানি ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানি সিভিও পেট্রো কেমিক্যালের।
কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ২৭ কোটি ৭৭ লাখ। গত দুই বছর ধরে লোকসান দিচ্ছে কোম্পানি। যদিও তার আগের দুই বছর সামান্য আয় করতে পেরেছিল।
চলতি বছরের তিন প্রান্তিকে কোম্পানির লোকসান দাঁড়িয়েছে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সা।
২০২১ সালে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ২ টাকা ৪৯ পয়সা ও ২০২০ সালে ৫১ পয়সা।
বুধবার শেয়ারটির দর ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়ে ১৭৯ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
তালিকার চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে স্বল্প মূলধনি নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং। ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬৫ টাকা ১০ পয়সা।
মাত্র ২ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকার পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির আয় বেশ ভালো ছিল। ২০২০ সালে ১১ টাকা ৩৩ পয়সা আয় করে শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
এর পরের বছরের আর কোনো হিসাব ডিএসইর ওয়েবসাইটে নেই।
পঞ্চম অবস্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের দর বাড়ছে লাগামহীনভাবে। ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানির শেয়ারদর ৩০ জুন ৮৭ টাকা ৩০ পয়সা ছিল, অথচ দুই মাসেই দর ৪০০ টাকা অতিক্রম করে। ৮ সেপ্টেম্বর দর ওঠে ৪১৯ টাকায়। এরপর তিন কর্মদিবস কমে বুধবার ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়ে লেনদেন হয়েছে ৪২৯ টাকা ৮০ পয়সা।
২ কোটি ৪০ লাখ মূলধনের কোম্পানি অ্যাম্বি ফার্মার দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ। শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৫৬২ টাকা ৫০ পয়সায়।
আরেক স্বল্প মূলধনি মন্নু অ্যাগ্রোর দর ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়ে ৫৩৫ টাকা ৮০ পয়সা জেএমআই সিরিঞ্জের দর ৫.২৫ শতাংশ বেড়ে লেনদেন হয়েছে ৪১৬ টাকা ৭০ পয়সায়।
দরবৃদ্ধির তালিকায় দশম স্থানে থাকা ওয়াটা কেমিক্যাল লেনদেন হয়েছে ২৩৫ টাকা ৮০ পয়সায়। দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
এরপরেই দর বেড়েছে অ্যারামিট স্বল্পমূলধনি অ্যারামিট লিমিটেড, সোনালী আঁশ ও ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের। কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধন ২ থেকে ৬ কোটির টাকার মধ্যে।
মধ্যম মূলধনের ই-জেনারেশনের দর ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়ে ৫৩ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক ছাড়াও দরবৃদ্ধি তালিকায় রয়েছে বাটা সুজ, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, স্বল্প মূলধনি বঙ্গজ লিমিটেড, বিকন ফার্মা, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল এবং স্বল্প মূলধনি ও লোকসানি কোম্পানি জি কিউ বলপেন।
সূচকে ধাক্কা যাদের কারণে
সূচকের পতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল গত কয়েক দিনে ধরে বাড়তে থাকা বেক্মিমকো লিমিটেড। শেয়ারটির দর সকালে বাড়লেও বিকালে পতন হয়। বড় মূলধনি কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৩.২৩ শতাংশ। এ কারণে সূচক কমেছে ৬.৬৯ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬.৫৬ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট। কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৩.৫৯ পয়েন্ট।
বেক্সিমকো গ্রুপের আরেক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মার দর কমেছে ৩.০৯ শতাংশ। সূচক কমেছে ৪.৯৬ পয়েন্ট।
এছাড়া ইউনাইটেড পাওয়ারের দরপতনে ৩.৯৫ পয়েন্ট, কোহিনুর কেমিক্যাণের দরপতনে ১.৫৩ পয়েন্ট, আইসিবির ও ইসলামী ব্যাংকের দরপতনে দরপতনে ১.২৬ পয়েন্ট করে, ওরিয়ন ফার্মা ও স্কয়ার টেক্সটাইলের দরপতনে ১.২৩ পয়েন্ট করে এবং আরএকে সিরামিকসের দরপতনে ১.১৭ পয়েন্ট সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে ১০টি কোম্পানির কারণে সূচক কমেছে ৩০.৮৪ পয়েন্ট।
বিপরীতে যেসব কোম্পানি সূচকে পয়েন্ট যোগ করতে পেরেছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩.২ পয়েন্ট যোগ করেছে বিকন ফার্মা। কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২.৪৬ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১.৭৪ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি, যেটির শেয়ারদর বেড়েছে ২.৩৮ শতাংশ। ওরিয়ন ইনফিউশনের দর ৮.৭৩ শতাংশ বাড়ায় সূচকে ১.৩৭ পয়েন্ট, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের দর ১.৫৫ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১.২৬ পয়েন্ট।
অন্য কোনো কোম্পানি এক পয়েন্ট সূচক বাড়াতে পারেনি। জেএমআই সিরিঞ্জ ০.৯০ পয়েন্ট, সিভিও পেট্রো কেমিক্যালস ০.৮৪ পয়েন্ট, বাটা শু ০.৭৫ পয়েন্ট, ডেল্টা লাইফ ০.৫৫ পয়েন্ট, ই জেনারেশন ০.৪৫ পয়েন্ট ও সি পার্ল হোটেল ০.৩৮ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে।
এই ১০টি কোম্পানি সম্মিলিতভাবে সূচকে যোগ করেছে ১১.৪৪ পয়েন্ট।
দর পতনের শীর্ষ ১০
এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স। শেয়ারদর ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ কমে সর্বশেষ ৮৬ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়।
পতনের তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স। ৬ দশমিক ০২ শতাংশ দর কমে লেনদেন হয়েছে ৪৬ টাকা ৬০ পয়সায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে এস আলম স্টিল । ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ৩৮ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়।
দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল- শাইনপুকুর সিরামিকস, ইন্দোবাংলা ফার্মা, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, বসুন্ধরা পেপার মিল, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, কোহিনূর কেমিক্যাল, ও স্কয়ার টেক্সটাইল।
লেনদেনে সেরা ওরিয়ন-বেক্সিমকো
একক কোম্পানির হিসেবে ধারাবাহিকভাবে বেক্সিমকো ও ওরিয়ন ফার্মা শীর্ষে অবস্থান করছে।
বুধবার ওরিয়ন ফার্মার এক কোটি ৬ লাখ ৭ হাজার ১৩৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১২৫ কোটি ৯০ লাখ ৭৪ হাজার টাকায়।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের। কোম্পানির মোট ৮৬ লাখ ৩৪ হাজার ৭৫১টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫৫ কোটি ৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে জেএমআই হসপিটালের। লেনদেন হয়েছে ৫২ লাখ ১০ হাজার ৪১৭টি শেয়ার।
আর কোনো কোম্পানির লেনদেন ৫০ কোটি ছুঁতে পারেনি।
টাকার অংকে লেনদেনের শীর্ষে দশে রয়েছে- লাফার্জা হোলসিম, মালেক স্পিনিং, শাইনপুকুর সিরামিকস, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, ওরিয়ন ইনফিউশন, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য