× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
The capital market could not handle the record decline of the rupee
google_news print-icon

টাকার রেকর্ড দরপতনের ধাক্কা পুঁজিবাজারে

টাকার-রেকর্ড-দরপতনের-ধাক্কা-পুঁজিবাজারে
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে একটি ব্রোকারেজ হাউসে এক বিনিয়োগকারী। ফাইল ছবি
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টাকার বড় দরপতনে ক্ষতিগ্রস্ত হবে উৎপাদন খাত। আমদানি করা কাঁচামালের দাম বেড়ে যাবে ১০ শতাংশ, কিন্তু মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা দেশে পণ্যমূল্য আরও বাড়ালে চাহিদা কমে গিয়ে বিক্রিতে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এতে কোম্পানির মুনাফা কমে যাবে। এই আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ছেড়ে দিতে চাইছেন।

ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময়হার এক দিনে ১০ টাকা কমিয়ে দেয়ার পরের দিন পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হলো।

জুলাইয়ের শেষ দিন থেকে ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজার চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এমনিতেই নানামুখী চাপে। নানা গুজব, গুঞ্জন, পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বসহ নানা ইস্যুতে শতাধিক কোম্পানির শেয়ারের দর কমতে কমতে ফ্লোর প্রাইস ছুঁয়ে গেছে।

এর মধ্যে মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমিয়ে দেয় ১০ টাকা ১৫ পয়সা। তার আগের দিন এটি ছিল ৯৬ টাকা। সেটি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৬ টাকা ১৫ পয়সা।

আর বুধবার শুরু থেকেই সূচকের ওঠানামা করতে করতে চলতে থাকা লেনদেনের শেষ সময়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিক্রয়ের চাপ দেখা দেয়।

দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩ পয়েন্ট বেশি ছিল। বেলা ১টায় তা কমে যায় ২৪ পয়েন্ট। এর পরের ৫০ মিনিটে পতন হয় আরও ২৬ পয়েন্টের বেশি।

শেষ পর্যন্ত আগের দিনের চেয়ে ৫০ পয়েন্ট হারিয়ে সূচকের অবস্থান নেমে যায় সাড়ে ছয় হাজারের নিচে, তবে লেনদেন শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে সূচক পড়ে যায় ৬৫ পয়েন্ট। শেষ মুহূর্তের সমন্বয়ের কারণে আসলে সেখান থেকে ১৫ পয়েন্ট যোগ হয়েছে।

বেড়েছে ৭২ কোম্পানির দর, কমেছে ১৭৫টির। আর ১২৪টি লেনদেন হয়েছে আগের দিনের দরে, যেগুলোর সিংহভাগই আসলে ফ্লোর প্রাইসে। ফলে কমার সুযোগ নেই।

লেনদেন নেমে এসেছে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে। গত ২৪ আগস্ট হাতবদল হয় ১ হাজার ১৩৩ কোটি ৭১ লাখ ৬২ হাজার টাকা। আর আজ হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ৩০৭ কোটি ৭৮ লাখ ১৪ হাজার টাকা।

টাকার রেকর্ড দরপতনের ধাক্কা পুঁজিবাজারে
বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

সূচকের পতনের এই দিনে লোকসানি ও স্বল্প মূলধনী বেশ কিছু কোম্পানির রমরমা অবস্থা দেখা গেছে। অদূর ভবিষ্যতেও লভ্যাংশ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই, এমন বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারদর দিনের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে লেনদেন হতে দেখা গেছে। অন্যদিকে শক্তিশালী মৌল ভিত্তির অনেক কোম্পানির শেয়ার হাতবদল হচ্ছে ফ্লোর প্রাইসে। যেগুলো ফ্লোরের চেয়ে বেশি ছিল, তার মধ্যে অনেকগুলো দর হারিয়েছে এদিন।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টাকার এত বড় দরপতনে ক্ষতিগ্রস্ত হবে উৎপাদন খাত। আমদানি করা কাঁচামালের দাম বেড়ে যাবে ১০ শতাংশ, কিন্তু মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা দেশে পণ্যমূল্য আরও বাড়ালে চাহিদা কমে গিয়ে বিক্রিতে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এতে কোম্পানির মুনাফা কমে যাবে। এই আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ছেড়ে দিতে চাইছেন।

গত বছরের সেপ্টেম্বরের চিত্রের সঙ্গে মিল

পুঁজিবাজারের এই পরিস্থিতি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে দীর্ঘ দর সংশোধন শুরু হওয়ার স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে।

সোয়া এক বছরের উত্থান শেষে ওই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ সূচক ৭৮ পয়েন্ট বেড়ে গিয়েও পরে সেখান থেকে অবিশ্বাস্যভাবে ১২৪ পয়েন্ট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৫৬ পয়েন্টে নেমেছিল। সে সময় চাপে পড়েছিল পুঁজিবাজার। সেখান থেকে আর বের হয়ে আসা হয়নি। এরপরও কয়েক দিন সূচক বেড়েছিল বড় মূলধনী অল্প কিছু কোম্পানির শেয়ারদর তরতর করে বাড়ার কারণে।

দীর্ঘ সংশোধন এবং এরপর ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতনের ধাক্কা কাটিয়ে এবারও পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর মধ্যে ৪ সেপ্টেম্বর ঘটে একই ধরনের ঘটনা। ৩১ জুলাই থেকে টানা ঊর্ধ্বমুখী বাজারে সেদিনও সূচক একপর্যায়ে ৭৮ পয়েন্ট বেড়ে শেষ পর্যন্ত ১৮ পয়েন্ট পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় লেনদেন।

সেদিন থেকে পুঁজিবাজারে আবার বিভ্রান্তি শুরু হয়, তবে আগের বছরের মতোই বড় মূলধনী কয়েক কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির পাশাপাশি দর হারাচ্ছে বিপুলসংখ্যক কোম্পানি। ফলে কোনো কোনো দিন সূচক বাড়লেও বিনিয়োগকারীদের হতাশা কাটছে না।

৪ সেপ্টেম্বর এবং তারও আগে থেকে দেখা যাচ্ছে, যেদিন সূচক লাফ দিয়েছে, সেদিনও কমেছে সিংহভাগ কোম্পানির দর। আর যেদিন সূচকের পতন হয়, সেদিন তো কথাই নেই।

দুর্বল ও স্বল্প মূলধনির রমরমা

দরবৃদ্ধির ওপরের দিকে রয়েছে যেসব কোম্পানির তার বেশিরভাগই লোকসানি ও স্বল্প মূলধনি। কয়েক দিন ধরে এসব কোম্পানির দরবৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে।

ঋণ কেলেঙ্কারি ও লোকসানে ডুবে থাকা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ। ১০ শতাংশ বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৬ টাকা ৬০ পয়সায়।

২০১৯ সালে শেয়ারপ্রতি ১২৬ টাকা ৩৬ পয়সা, ২০২০ সালে ৩১ টাকা ৩০ পয়সা এবং অনিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী ২০২১ সালে ৯ টাকা ২৬ পয়সা লোকসান দিয়েছে কোম্পানিটি।

উৎপাদন বন্ধ থাকলেও টানা দর বেড়েই চলেছে জুট স্পিনার্সের। তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে শেয়ার প্রতি ৩২ টাকা ৫০ পয়সা।

মঙ্গলবার ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দর বেড়েছে। আগের দিনেও একই পরিমাণ দর বেড়েছিল। এ নিয়ে টানা চার কর্মদিবস দর বেড়ে শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ২০৯ টাকা ৭০ পয়সায়। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ১৯০ টাকা ৭০ পয়সায়।

তৃতীয় সর্বোচ্চ দর বেড়েছে লোকসানি ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানি সিভিও পেট্রো কেমিক্যালের।

কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ২৭ কোটি ৭৭ লাখ। গত দুই বছর ধরে লোকসান দিচ্ছে কোম্পানি। যদিও তার আগের দুই বছর সামান্য আয় করতে পেরেছিল।

চলতি বছরের তিন প্রান্তিকে কোম্পানির লোকসান দাঁড়িয়েছে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৭৫ পয়সা।

২০২১ সালে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ২ টাকা ৪৯ পয়সা ও ২০২০ সালে ৫১ পয়সা।

বুধবার শেয়ারটির দর ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়ে ১৭৯ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।

তালিকার চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে স্বল্প মূলধনি নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং। ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ দর বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬৫ টাকা ১০ পয়সা।

মাত্র ২ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকার পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির আয় বেশ ভালো ছিল। ২০২০ সালে ১১ টাকা ৩৩ পয়সা আয় করে শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

এর পরের বছরের আর কোনো হিসাব ডিএসইর ওয়েবসাইটে নেই।

পঞ্চম অবস্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের দর বাড়ছে লাগামহীনভাবে। ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানির শেয়ারদর ৩০ জুন ৮৭ টাকা ৩০ পয়সা ছিল, অথচ দুই মাসেই দর ৪০০ টাকা অতিক্রম করে। ৮ সেপ্টেম্বর দর ওঠে ৪১৯ টাকায়। এরপর তিন কর্মদিবস কমে বুধবার ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়ে লেনদেন হয়েছে ৪২৯ টাকা ৮০ পয়সা।

২ কোটি ৪০ লাখ মূলধনের কোম্পানি অ্যাম্বি ফার্মার দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ। শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৫৬২ টাকা ৫০ পয়সায়।

আরেক স্বল্প মূলধনি মন্নু অ্যাগ্রোর দর ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়ে ৫৩৫ টাকা ৮০ পয়সা জেএমআই সিরিঞ্জের দর ৫.২৫ শতাংশ বেড়ে লেনদেন হয়েছে ৪১৬ টাকা ৭০ পয়সায়।

দরবৃদ্ধির তালিকায় দশম স্থানে থাকা ওয়াটা কেমিক্যাল লেনদেন হয়েছে ২৩৫ টাকা ৮০ পয়সায়। দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

এরপরেই দর বেড়েছে অ্যারামিট স্বল্পমূলধনি অ্যারামিট লিমিটেড, সোনালী আঁশ ও ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের। কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধন ২ থেকে ৬ কোটির টাকার মধ্যে।

মধ্যম মূলধনের ই-জেনারেশনের দর ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়ে ৫৩ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক ছাড়াও দরবৃদ্ধি তালিকায় রয়েছে বাটা সুজ, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, স্বল্প মূলধনি বঙ্গজ লিমিটেড, বিকন ফার্মা, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল এবং স্বল্প মূলধনি ও লোকসানি কোম্পানি জি কিউ বলপেন।

সূচকে ধাক্কা যাদের কারণে

সূচকের পতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল গত কয়েক দিনে ধরে বাড়তে থাকা বেক্মিমকো লিমিটেড। শেয়ারটির দর সকালে বাড়লেও বিকালে পতন হয়। বড় মূলধনি কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৩.২৩ শতাংশ। এ কারণে সূচক কমেছে ৬.৬৯ পয়েন্ট।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬.৫৬ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট। কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৩.৫৯ পয়েন্ট।

বেক্সিমকো গ্রুপের আরেক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মার দর কমেছে ৩.০৯ শতাংশ। সূচক কমেছে ৪.৯৬ পয়েন্ট।

এছাড়া ইউনাইটেড পাওয়ারের দরপতনে ৩.৯৫ পয়েন্ট, কোহিনুর কেমিক্যাণের দরপতনে ১.৫৩ পয়েন্ট, আইসিবির ও ইসলামী ব্যাংকের দরপতনে দরপতনে ১.২৬ পয়েন্ট করে, ওরিয়ন ফার্মা ও স্কয়ার টেক্সটাইলের দরপতনে ১.২৩ পয়েন্ট করে এবং আরএকে সিরামিকসের দরপতনে ১.১৭ পয়েন্ট সূচক কমেছে।

সব মিলিয়ে ১০টি কোম্পানির কারণে সূচক কমেছে ৩০.৮৪ পয়েন্ট।

বিপরীতে যেসব কোম্পানি সূচকে পয়েন্ট যোগ করতে পেরেছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩.২ পয়েন্ট যোগ করেছে বিকন ফার্মা। কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২.৪৬ পয়েন্ট।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১.৭৪ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি, যেটির শেয়ারদর বেড়েছে ২.৩৮ শতাংশ। ওরিয়ন ইনফিউশনের দর ৮.৭৩ শতাংশ বাড়ায় সূচকে ১.৩৭ পয়েন্ট, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের দর ১.৫৫ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১.২৬ পয়েন্ট।

অন্য কোনো কোম্পানি এক পয়েন্ট সূচক বাড়াতে পারেনি। জেএমআই সিরিঞ্জ ০.৯০ পয়েন্ট, সিভিও পেট্রো কেমিক্যালস ০.৮৪ পয়েন্ট, বাটা শু ০.৭৫ পয়েন্ট, ডেল্টা লাইফ ০.৫৫ পয়েন্ট, ই জেনারেশন ০.৪৫ পয়েন্ট ও সি পার্ল হোটেল ০.৩৮ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে।

এই ১০টি কোম্পানি সম্মিলিতভাবে সূচকে যোগ করেছে ১১.৪৪ পয়েন্ট।

দর পতনের শীর্ষ ১০

এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স। শেয়ারদর ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ কমে সর্বশেষ ৮৬ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়।

পতনের তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স। ৬ দশমিক ০২ শতাংশ দর কমে লেনদেন হয়েছে ৪৬ টাকা ৬০ পয়সায়।

তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে এস আলম স্টিল । ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ৩৮ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়।

দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল- শাইনপুকুর সিরামিকস, ইন্দোবাংলা ফার্মা, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, বসুন্ধরা পেপার মিল, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, কোহিনূর কেমিক্যাল, ও স্কয়ার টেক্সটাইল।

লেনদেনে সেরা ওরিয়ন-বেক্সিমকো

একক কোম্পানির হিসেবে ধারাবাহিকভাবে বেক্সিমকো ও ওরিয়ন ফার্মা শীর্ষে অবস্থান করছে।

বুধবার ওরিয়ন ফার্মার এক কোটি ৬ লাখ ৭ হাজার ১৩৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১২৫ কোটি ৯০ লাখ ৭৪ হাজার টাকায়।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের। কোম্পানির মোট ৮৬ লাখ ৩৪ হাজার ৭৫১টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫৫ কোটি ৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে জেএমআই হসপিটালের। লেনদেন হয়েছে ৫২ লাখ ১০ হাজার ৪১৭টি শেয়ার।

আর কোনো কোম্পানির লেনদেন ৫০ কোটি ছুঁতে পারেনি।

টাকার অংকে লেনদেনের শীর্ষে দশে রয়েছে- লাফার্জা হোলসিম, মালেক স্পিনিং, শাইনপুকুর সিরামিকস, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, ওরিয়ন ইনফিউশন, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

আরও পড়ুন:
উত্থান পর্বেও ‘অস্বাভাবিক আচরণে’ পুঁজিবাজারে হতাশা
১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে এপেক্স ট্যানারি
ঢালাও পতনের দিন বেক্সিমকো গ্রুপের রমরমা
কারসাজি সন্দেহে পেপার প্রসেসিং নিয়ে তদন্তের নির্দেশ
বেক্সিমকো ও ওরিয়ন গ্রুপে তুমুল আগ্রহ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
With the beginning of the transaction starting in the first hour of the capital market

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market With the fall of transactions in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।

এই সম‌য়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯‌টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২‌টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, ‌সেখা‌নে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

চট্টগ্রা‌মে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩‌টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬‌টির, কমেছে ৪৪‌টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market Most companies have decreased major collapse in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।

২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।

৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Transaction in Dhaka is going on in Chittagong

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।

এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।

সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।

দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

মন্তব্য

p
উপরে