সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড বা সিডিবিএল নামে যে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ার কেনাবেচার তথ্য সংরক্ষণের কাজটি করে থাকে, সেটির তথ্য কি নিরাপদ?
পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদে যে প্রশ্ন তুলেছেন, তা পুঁজিবাজার-সম্পৃক্তরা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তারা বলছেন, সিডিবিএলে যারা কাজ করেন, তারা বা তাদের স্বজন বা নির্ভরশীলরা যেন কোনোভাবেই শেয়ার কেনাবেচার তথ্য না পায়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
এটা কি সম্ভব? বা এই তথ্য জেনে নিয়ে সিডিবিএলের কর্মীরা কি কোনো শেয়ার কিনছেন- নানা জনের নানা মত। তবে সিদ্ধান্তে আসা কঠিন। তবে কোথাও যে একটি ফাঁক রয়ে গেছে, সেটি পুঁজিবাজারের স্টেকহোল্ডারদের বক্তব্যেই স্পষ্ট।
যে বিতর্ক তুলেছেন কাজী ফিরোজ রশীদ
সম্প্রতি সিডিবিএল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংসদ সদস্য ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেকহোল্ডার প্রতিষ্ঠান কাজী ফিরোজ রশীদ সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ।
গত ৩০ আগস্ট তিনি বলেন, ‘যারা কোম্পানির শেয়ার নিজেরাই কেনাবেচা করে, তাদের কাছে যদি শেয়ার রাখা হয় (সিডিবিএল বুঝিয়েছেন), অবস্থাটা কী দাঁড়াবে? শেয়ালের কাছে মুরগি যদি ধার দেন, অবস্থা তাই হয়েছে।
‘আমার কাছে কোন কোম্পানির কত শেয়ার আছে, অন্য লোক যদি জানেন তাহলে তিনি কালকে পজিশন নেবেন শেয়ারবাজারে, কোনটা কিনবেন, কোনটা বেচবেন। এ কারণে শেয়ারবাজারে উত্থান-পতন হচ্ছে।
‘সিডিবিএলে কারা আছে? তাদের শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জে কেনাবেচা হয়। এটা কোনো দেশে হতে পারে না, এটা অনৈতিক। সিডিবিএল বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে থাকা উচিত, তা না, যারা শেয়ার মার্কেটের বড় প্লেয়ার তাদের হাতেই দেয়া আছে।
এ বিষয়ে জানতে নিউজবাংলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ধরুন, আপনি সিডিবিএলের একজন ডিরেক্টর, আপনার পাঁচটা কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। আবার আপনি জানেন কোন কোম্পানির কত শেয়ার হোল্ডিং রয়েছে কার? তাহলে মার্কেটে অবস্থান নেয়া সহজ হয়ে গেল না?’
প্রত্যক্ষভাবে কার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে বিষয়ে তিনি কিছুই বলেননি। এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদে আমি যা বলেছি, সেটাই আমার বক্তব্য।’
ফিরোজ রশীদের উদ্বেগ কি অমূলক
কাজী ফিরোজ রশীদ যে উদ্বেগের কথা বলছেন, সেটি যে একেবারে অমূলক নয়, সেটি ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিওর বক্তব্যেই স্পষ্ট। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিডিবিএল শেয়ার ব্যবসায় জড়িত বিষয়টি এমন নয়। তবে সিডিবিএল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে হয়তো অনেকেই মার্কেটে পজিশন নিয়ে থাকতে পারেন।’
তবে এসব ঘটনা অতীতে ঘটেছে- এখন ঘটছে না, এমন দাবি করলেন তিনি। বলেন, ‘অতীতে অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও এখন এসব নেই বললেই চলে। সিডিবিএল এখন অনেক সুসংগঠিত প্রতিষ্ঠান।’
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, ‘সিডিবিএল একটা প্রতিষ্ঠান, সেটা তো আর ব্যবসা করে না। উনি কোনো পরিচালকের কথা বোঝাতে চেয়েছেন হয়তো। তার পরও সিডিবিএল থেকে সরাসরি এসব তথ্য নিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ নেই।’
কাজী ফিরোজ রশীদের দাবি অনুযায়ী সিডিবিএলকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে রাখার কোনো যৌক্তিকতাও নেই বলে মনে করেন তিনি।
শাকিল রিজভী বলেন, ‘কোনো দেশের সিডিবিএলের মতো প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে থাকে না। এটা একটা আলাদা প্রতিষ্ঠান। তবে এর পরিচালনা পর্ষদে কারা থাকবেন সেটা নিয়ে আলোচনা থাকলে হতে পারে, কিন্তু কাঠামোগতভাবে সিডিবিএল একটি আলাদা প্রতিষ্ঠান। এটা ঠিকই আছে।’
বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ‘তিনি যেটা বোঝাতে চেয়েছেন তা হলো, সিডিবিএলে যে তথ্য রয়েছে তা আসলে ঝুঁকিতে রয়েছে। সিডিবিএলের স্টাফ বরাবরই করাপ্ট। ডিএসই, বিএসইসি থেকে যে ডেটা বের হয় সেটা কারেন্ট ডেটা, আর সিডিবিএল থেকে যেটা বের হয় তা হলো- কার কী হোল্ডিংস আছে সেটা। এতে করে বাজারের বড় প্লেয়াররা টাকা দিয়ে শেয়ার কিনে পজিশন নিয়ে নেয়।
‘তবে সিডিবিএলের পরিচালকরা শেয়ার ব্যবসা করেন, এই কথা পুরোপুরি ঠিক না। এমন কোনো লোক সেখানে নেই। এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। উনি হয়তো বলতে চেয়েছেন, সিডিবিএলের ডেটা বের হয়ে যায়, সেটা নিয়ে অন্যরা ব্যবসা করেন। তবে সিডিবিএলের পরিচালকরা ওইখান থেকে ডেটা নিয়ে ব্যবসা করেন এটা ঠিক না।’
এ বিষয়ে কথা বলতে গত বুধবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় সিডিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শুভ্র কান্তি চৌধুরীর সঙ্গে। সে সময় তিনি দেশের বাইরে আছেন, কথা বলা সম্ভব নয় বলে জানান।
রোববার ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সিডিবিএল কী করে
২০০০ সালের ২০ আগস্ট ১৯৯৪ কোম্পানি আইনে পাবলিক লিমিটেড হিসাবে ব্যবসা শুরু করে সিডিবিএল। শেয়ার কেনাবেচার মাধ্যমে মালিকানা পরিবর্তন হয়, সেটা তাৎক্ষণিক পরিবর্তন করাই সিডিবিএলের প্রধান কাজ।
ধরা যাক, কেউ গ্রামীণফোনের ৫০০টি শেয়ার কিনবেন, এবং যখনই তিনি ৫০০টি শেয়ারের জন্য টাকা পরিশোধ করবেন, সঙ্গে সঙ্গে ওই ৫০০টি শেয়ারের মালিক হবেন তিনি।
যখন কোনো কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করা হয় তা মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে সিডিবিএল জানিয়ে দেয়। কারও শেয়ার কেউ যেন নিয়ে যেতে না পারে না বা হারিয়ে না যায় তার দেখাশোনা করা এই সিডিবিএলের কাজ। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীর শেয়ারের নিরাপদ রাখাই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কাজ।
সিডিবিএল সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক সিস্টেমে কোম্পানির শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ইত্যাদির হিসাব দেখভাল করে। যার ফলে শেয়ার সার্টিফিকেট চুরি হওয়া, পুড়ে যাওয়া, হারিয়ে ফেলা, লুটপাট হওয়ার মতো আশঙ্কা থেকে মুক্ত।
পেশাদার একজন সিইও এর কার্যক্রম পরিচালনা করেন। স্টক এক্সচেঞ্জ, কয়েকটি ব্যাংক, আইসিবি, কিছু বড় কোম্পানি সিডিবিএলের মালিকানায় রয়েছে। প্রতি বছর তারা একটি চার্জ নিয়ে থাকে, যেটাকে বলা হয় বিও মেইনটেন্যান্স ফি।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য