সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড বা সিডিবিএল নামে যে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ার কেনাবেচার তথ্য সংরক্ষণের কাজটি করে থাকে, সেটির তথ্য কি নিরাপদ?
পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদে যে প্রশ্ন তুলেছেন, তা পুঁজিবাজার-সম্পৃক্তরা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তারা বলছেন, সিডিবিএলে যারা কাজ করেন, তারা বা তাদের স্বজন বা নির্ভরশীলরা যেন কোনোভাবেই শেয়ার কেনাবেচার তথ্য না পায়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
এটা কি সম্ভব? বা এই তথ্য জেনে নিয়ে সিডিবিএলের কর্মীরা কি কোনো শেয়ার কিনছেন- নানা জনের নানা মত। তবে সিদ্ধান্তে আসা কঠিন। তবে কোথাও যে একটি ফাঁক রয়ে গেছে, সেটি পুঁজিবাজারের স্টেকহোল্ডারদের বক্তব্যেই স্পষ্ট।
যে বিতর্ক তুলেছেন কাজী ফিরোজ রশীদ
সম্প্রতি সিডিবিএল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংসদ সদস্য ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেকহোল্ডার প্রতিষ্ঠান কাজী ফিরোজ রশীদ সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ।
গত ৩০ আগস্ট তিনি বলেন, ‘যারা কোম্পানির শেয়ার নিজেরাই কেনাবেচা করে, তাদের কাছে যদি শেয়ার রাখা হয় (সিডিবিএল বুঝিয়েছেন), অবস্থাটা কী দাঁড়াবে? শেয়ালের কাছে মুরগি যদি ধার দেন, অবস্থা তাই হয়েছে।
‘আমার কাছে কোন কোম্পানির কত শেয়ার আছে, অন্য লোক যদি জানেন তাহলে তিনি কালকে পজিশন নেবেন শেয়ারবাজারে, কোনটা কিনবেন, কোনটা বেচবেন। এ কারণে শেয়ারবাজারে উত্থান-পতন হচ্ছে।
‘সিডিবিএলে কারা আছে? তাদের শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জে কেনাবেচা হয়। এটা কোনো দেশে হতে পারে না, এটা অনৈতিক। সিডিবিএল বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে থাকা উচিত, তা না, যারা শেয়ার মার্কেটের বড় প্লেয়ার তাদের হাতেই দেয়া আছে।
এ বিষয়ে জানতে নিউজবাংলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ধরুন, আপনি সিডিবিএলের একজন ডিরেক্টর, আপনার পাঁচটা কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। আবার আপনি জানেন কোন কোম্পানির কত শেয়ার হোল্ডিং রয়েছে কার? তাহলে মার্কেটে অবস্থান নেয়া সহজ হয়ে গেল না?’
প্রত্যক্ষভাবে কার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে বিষয়ে তিনি কিছুই বলেননি। এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদে আমি যা বলেছি, সেটাই আমার বক্তব্য।’
ফিরোজ রশীদের উদ্বেগ কি অমূলক
কাজী ফিরোজ রশীদ যে উদ্বেগের কথা বলছেন, সেটি যে একেবারে অমূলক নয়, সেটি ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিওর বক্তব্যেই স্পষ্ট। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিডিবিএল শেয়ার ব্যবসায় জড়িত বিষয়টি এমন নয়। তবে সিডিবিএল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে হয়তো অনেকেই মার্কেটে পজিশন নিয়ে থাকতে পারেন।’
তবে এসব ঘটনা অতীতে ঘটেছে- এখন ঘটছে না, এমন দাবি করলেন তিনি। বলেন, ‘অতীতে অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও এখন এসব নেই বললেই চলে। সিডিবিএল এখন অনেক সুসংগঠিত প্রতিষ্ঠান।’
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, ‘সিডিবিএল একটা প্রতিষ্ঠান, সেটা তো আর ব্যবসা করে না। উনি কোনো পরিচালকের কথা বোঝাতে চেয়েছেন হয়তো। তার পরও সিডিবিএল থেকে সরাসরি এসব তথ্য নিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ নেই।’
কাজী ফিরোজ রশীদের দাবি অনুযায়ী সিডিবিএলকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে রাখার কোনো যৌক্তিকতাও নেই বলে মনে করেন তিনি।
শাকিল রিজভী বলেন, ‘কোনো দেশের সিডিবিএলের মতো প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে থাকে না। এটা একটা আলাদা প্রতিষ্ঠান। তবে এর পরিচালনা পর্ষদে কারা থাকবেন সেটা নিয়ে আলোচনা থাকলে হতে পারে, কিন্তু কাঠামোগতভাবে সিডিবিএল একটি আলাদা প্রতিষ্ঠান। এটা ঠিকই আছে।’
বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ‘তিনি যেটা বোঝাতে চেয়েছেন তা হলো, সিডিবিএলে যে তথ্য রয়েছে তা আসলে ঝুঁকিতে রয়েছে। সিডিবিএলের স্টাফ বরাবরই করাপ্ট। ডিএসই, বিএসইসি থেকে যে ডেটা বের হয় সেটা কারেন্ট ডেটা, আর সিডিবিএল থেকে যেটা বের হয় তা হলো- কার কী হোল্ডিংস আছে সেটা। এতে করে বাজারের বড় প্লেয়াররা টাকা দিয়ে শেয়ার কিনে পজিশন নিয়ে নেয়।
‘তবে সিডিবিএলের পরিচালকরা শেয়ার ব্যবসা করেন, এই কথা পুরোপুরি ঠিক না। এমন কোনো লোক সেখানে নেই। এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। উনি হয়তো বলতে চেয়েছেন, সিডিবিএলের ডেটা বের হয়ে যায়, সেটা নিয়ে অন্যরা ব্যবসা করেন। তবে সিডিবিএলের পরিচালকরা ওইখান থেকে ডেটা নিয়ে ব্যবসা করেন এটা ঠিক না।’
এ বিষয়ে কথা বলতে গত বুধবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় সিডিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শুভ্র কান্তি চৌধুরীর সঙ্গে। সে সময় তিনি দেশের বাইরে আছেন, কথা বলা সম্ভব নয় বলে জানান।
রোববার ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সিডিবিএল কী করে
২০০০ সালের ২০ আগস্ট ১৯৯৪ কোম্পানি আইনে পাবলিক লিমিটেড হিসাবে ব্যবসা শুরু করে সিডিবিএল। শেয়ার কেনাবেচার মাধ্যমে মালিকানা পরিবর্তন হয়, সেটা তাৎক্ষণিক পরিবর্তন করাই সিডিবিএলের প্রধান কাজ।
ধরা যাক, কেউ গ্রামীণফোনের ৫০০টি শেয়ার কিনবেন, এবং যখনই তিনি ৫০০টি শেয়ারের জন্য টাকা পরিশোধ করবেন, সঙ্গে সঙ্গে ওই ৫০০টি শেয়ারের মালিক হবেন তিনি।
যখন কোনো কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করা হয় তা মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে সিডিবিএল জানিয়ে দেয়। কারও শেয়ার কেউ যেন নিয়ে যেতে না পারে না বা হারিয়ে না যায় তার দেখাশোনা করা এই সিডিবিএলের কাজ। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীর শেয়ারের নিরাপদ রাখাই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কাজ।
সিডিবিএল সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক সিস্টেমে কোম্পানির শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ইত্যাদির হিসাব দেখভাল করে। যার ফলে শেয়ার সার্টিফিকেট চুরি হওয়া, পুড়ে যাওয়া, হারিয়ে ফেলা, লুটপাট হওয়ার মতো আশঙ্কা থেকে মুক্ত।
পেশাদার একজন সিইও এর কার্যক্রম পরিচালনা করেন। স্টক এক্সচেঞ্জ, কয়েকটি ব্যাংক, আইসিবি, কিছু বড় কোম্পানি সিডিবিএলের মালিকানায় রয়েছে। প্রতি বছর তারা একটি চার্জ নিয়ে থাকে, যেটাকে বলা হয় বিও মেইনটেন্যান্স ফি।
আরও পড়ুন:তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য