অলটেক্স ফেব্রিক্স নামে আসলে কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই। অথচ সেই প্রতিষ্ঠানকে কিনে নিতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি একটি কোম্পানি নতুন শেয়ার ইস্যু করতে চেয়েছিল।
তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্দেশে ডিএসইর তদন্তে ধরা পড়ে গেছে সেই কারসাজির চেষ্টা। তাই তারা এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে।
বস্ত্র খাতের কোম্পানি অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ বছর কয়েক আগে ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জকে জানায়, তারা সহযোগী কোম্পানি অলটেক্স ফেব্রিক্স লিমিটেডকে কিনে নেবে। এ জন্য অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের নতুন শেয়ার ইস্যুর আবেদন করে। তবে বিএসইসি সেই আবেদনে সাড়া না দিয়ে উল্টো কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজকে।
বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমাদের আরও তথ্য দরকার। সেই তথ্যগুলো পেলে আমরা পুরো সিদ্ধান্তটা নিতে পারব। আমরা সেই তথ্যগুলো চেয়ে পাঠিয়েছি।’
এ বিষয়ে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের কোম্পানি সচিব জিয়াউল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে এই বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’
বিএসইসি থেকে জানানো হয়, অলটেক্সের আবেদন পেয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এর একটি দলকে তদন্তে পাঠায় বিএসইসি।
তবে সশরীরে যাচাইবাছাই করতে কারখানায় যাওয়ার পর তাদেরকে সহযোগিতা করা হয়নি। এমনকি কক্ষ তালাবদ্ধ করে বাধাও দেয়া হয়েছে।
বিএসইসি থেকে পাঠানো একটি চিঠিতে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের কাছে তদন্তে বাধা দেয়ার কারণও জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যেসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি, সেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ডিএসইর তদন্ত দলকে সহযোগিতা করা হয়নি। কারখানায় তদন্তে গিয়ে প্রথমে তালাবদ্ধ দেখতে পায় তদন্ত দল। অনুরোধ করা হলেও তালা খুলে দেয়া হয়নি।
তদন্ত দলের প্রতিবেদনে যা আছে
ডিএসইর তদন্ত দলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, অলটেক্স ফেব্রিক্স লিমিটেড এবং অলটেক্স ডাইং, ফিনিশিং অ্যান্ড প্রিন্টিং মিলস লিমিটেড একই জায়গায় অবস্থিত বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। কিন্তু কারখানার কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে এর কোনো সত্যতা মেলেনি।
প্রধান কার্যালয়ের কর্মচারী এবং কারখানার কর্মচারীদের বক্তব্যের মধ্যে অমিলও পেয়েছে তদন্ত দল। অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড তাদের কারখানা হুয়াক্সিন টেক্সটাইল লিমিটেডের কাছে ভাড়া দিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য দেয়নি। এছাড়া অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড হিসাব রাখার ক্ষেত্রে অনেক নয়-ছয় করেছে। যার ফলে তদন্ত দলের মতে কোম্পানির ইপিএস কৃত্রিমভাবে বেশি দেখাচ্ছে।
তদন্ত দল সরজমিনে গিয়ে দেখতে পেয়েছে কোম্পানির ভবন এবং যন্ত্রের অবস্থা ভালো না। এ ছাড়া তদন্ত দল অলটেক্স ফেব্রিক্সের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি।
লোকসানি কোম্পানির হঠাৎ ভেলকি
১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ একটি দুর্বল কোম্পানি হিসেবে পরিচিত। ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার পর প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ লোকসানের কারণে বিনিয়োগকারীরা কোনো লভ্যাংশ পায়নি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে থাকা তথ্য বলছে ২০১৭ সালে শেয়ার প্রতি ২ টাকা ১৩ পয়সা, পরের বছর শেয়ার প্রতি ৭ টাকা ৯৭ পয়সা, ২০১৯ সালে ৬ টাকা ৯ পয়সা, পরের বছর ৫ টাকা ৪৭ পয়সা এবং ২০২১ সালে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৫ টাকা ৮ পয়সা।
তবে ২০২১-২২ অর্থবছরে হঠাৎ যেন ভেলকি লেগেছে কোম্পানির আয়ে। এই অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২৪ পয়সা লোকসান দেয়ার পর দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১ টাকা ৩৬ পয়সা মুনাফা দেখায় তারা। তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা হয় শেয়ার প্রতি আরও ৩ পয়সা। সব মিলিয়ে তিন প্রান্তিক শেষে ১৫ পয়সা মুনাফা দেখিয়েছে কোম্পানিটি।
এর মধ্যে দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক হিসাব প্রকাশের দিন চমক হিসেবে এক শতাংশ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানিটি।
এই ঘোষণার পর শেয়ারদরে যেন আগুন লাগে। অন্তর্বর্তী লভ্যাংশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় গত ৩১ জানুয়ারি, যা পরের দিন ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জকে জানানো হয় আনুষ্ঠানিকভাবে।
সেদিন শেয়ার দর ছিল ১৭ টাকা ১০ পয়সা। ১০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণার প্রভাবে এখান থেকে কয়েক দিনে লাফ দিয়ে শেয়ারদর উঠে যায় ২৯ টাকা ৭০ পয়সায়।
এরপর সেখান থেকে কিছুটা কমলেও শেয়ারদর এখন ২৪ টাকা ৬০ পয়সা।
এই অন্তর্বর্তী লভ্যাংশের কারণে টানা ছয় বছর ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে থাকা এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে।
অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন ৫৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ এর শেয়ার সংখ্যা ৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮ হাজারটি। এর মধ্যে ৪০ দশমিক ৭৪ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৪৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।
টানা লোকসানের কারণে এর রিজার্ভ শূন্য হয়ে আরও ২৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা দায় তৈরি হয়েছে।
তারপরও প্রায় প্রতি বছরই নানা সময় কোম্পানিটির শেয়ারদর অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে।
গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ১২ টাকা ৯০ পয়সা আর দুই বছরে সর্বনিম্ন মূল্য ৭ টাকা ৪০ পয়সা।
এই শেয়ারদর নানা সময় বাড়ে নানা খবরে। এর মধ্যে ২০১৯ সালে যখন অলটেক্স ফেব্রিক্স অধিগ্রহণের কথা জানানো হয়, তখন এক দফা লাফ দিয়ে পরে আবার কমে। এরপর আবার মূল্য সংবেদনশীল তথ্য হিসেবে আসে চামড়া খাতে বিনিয়োগের কথা। তবে তার অগ্রগতি কী, সে বিষয়ে আর কোনো তথ্য আসেনি।
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আফসার উদ্দিন আহমেদ এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। এর পরিচালনা পর্ষদে আছেন তার স্ত্রী এবং সন্তানরাও।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য