অলটেক্স ফেব্রিক্স নামে আসলে কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই। অথচ সেই প্রতিষ্ঠানকে কিনে নিতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি একটি কোম্পানি নতুন শেয়ার ইস্যু করতে চেয়েছিল।
তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্দেশে ডিএসইর তদন্তে ধরা পড়ে গেছে সেই কারসাজির চেষ্টা। তাই তারা এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে।
বস্ত্র খাতের কোম্পানি অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ বছর কয়েক আগে ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জকে জানায়, তারা সহযোগী কোম্পানি অলটেক্স ফেব্রিক্স লিমিটেডকে কিনে নেবে। এ জন্য অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের নতুন শেয়ার ইস্যুর আবেদন করে। তবে বিএসইসি সেই আবেদনে সাড়া না দিয়ে উল্টো কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজকে।
বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমাদের আরও তথ্য দরকার। সেই তথ্যগুলো পেলে আমরা পুরো সিদ্ধান্তটা নিতে পারব। আমরা সেই তথ্যগুলো চেয়ে পাঠিয়েছি।’
এ বিষয়ে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের কোম্পানি সচিব জিয়াউল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে এই বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’
বিএসইসি থেকে জানানো হয়, অলটেক্সের আবেদন পেয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এর একটি দলকে তদন্তে পাঠায় বিএসইসি।
তবে সশরীরে যাচাইবাছাই করতে কারখানায় যাওয়ার পর তাদেরকে সহযোগিতা করা হয়নি। এমনকি কক্ষ তালাবদ্ধ করে বাধাও দেয়া হয়েছে।
বিএসইসি থেকে পাঠানো একটি চিঠিতে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের কাছে তদন্তে বাধা দেয়ার কারণও জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যেসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি, সেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ডিএসইর তদন্ত দলকে সহযোগিতা করা হয়নি। কারখানায় তদন্তে গিয়ে প্রথমে তালাবদ্ধ দেখতে পায় তদন্ত দল। অনুরোধ করা হলেও তালা খুলে দেয়া হয়নি।
তদন্ত দলের প্রতিবেদনে যা আছে
ডিএসইর তদন্ত দলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, অলটেক্স ফেব্রিক্স লিমিটেড এবং অলটেক্স ডাইং, ফিনিশিং অ্যান্ড প্রিন্টিং মিলস লিমিটেড একই জায়গায় অবস্থিত বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। কিন্তু কারখানার কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে এর কোনো সত্যতা মেলেনি।
প্রধান কার্যালয়ের কর্মচারী এবং কারখানার কর্মচারীদের বক্তব্যের মধ্যে অমিলও পেয়েছে তদন্ত দল। অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড তাদের কারখানা হুয়াক্সিন টেক্সটাইল লিমিটেডের কাছে ভাড়া দিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য দেয়নি। এছাড়া অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড হিসাব রাখার ক্ষেত্রে অনেক নয়-ছয় করেছে। যার ফলে তদন্ত দলের মতে কোম্পানির ইপিএস কৃত্রিমভাবে বেশি দেখাচ্ছে।
তদন্ত দল সরজমিনে গিয়ে দেখতে পেয়েছে কোম্পানির ভবন এবং যন্ত্রের অবস্থা ভালো না। এ ছাড়া তদন্ত দল অলটেক্স ফেব্রিক্সের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি।
লোকসানি কোম্পানির হঠাৎ ভেলকি
১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ একটি দুর্বল কোম্পানি হিসেবে পরিচিত। ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার পর প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ লোকসানের কারণে বিনিয়োগকারীরা কোনো লভ্যাংশ পায়নি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে থাকা তথ্য বলছে ২০১৭ সালে শেয়ার প্রতি ২ টাকা ১৩ পয়সা, পরের বছর শেয়ার প্রতি ৭ টাকা ৯৭ পয়সা, ২০১৯ সালে ৬ টাকা ৯ পয়সা, পরের বছর ৫ টাকা ৪৭ পয়সা এবং ২০২১ সালে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৫ টাকা ৮ পয়সা।
তবে ২০২১-২২ অর্থবছরে হঠাৎ যেন ভেলকি লেগেছে কোম্পানির আয়ে। এই অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২৪ পয়সা লোকসান দেয়ার পর দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১ টাকা ৩৬ পয়সা মুনাফা দেখায় তারা। তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা হয় শেয়ার প্রতি আরও ৩ পয়সা। সব মিলিয়ে তিন প্রান্তিক শেষে ১৫ পয়সা মুনাফা দেখিয়েছে কোম্পানিটি।
এর মধ্যে দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক হিসাব প্রকাশের দিন চমক হিসেবে এক শতাংশ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানিটি।
এই ঘোষণার পর শেয়ারদরে যেন আগুন লাগে। অন্তর্বর্তী লভ্যাংশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় গত ৩১ জানুয়ারি, যা পরের দিন ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জকে জানানো হয় আনুষ্ঠানিকভাবে।
সেদিন শেয়ার দর ছিল ১৭ টাকা ১০ পয়সা। ১০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণার প্রভাবে এখান থেকে কয়েক দিনে লাফ দিয়ে শেয়ারদর উঠে যায় ২৯ টাকা ৭০ পয়সায়।
এরপর সেখান থেকে কিছুটা কমলেও শেয়ারদর এখন ২৪ টাকা ৬০ পয়সা।
এই অন্তর্বর্তী লভ্যাংশের কারণে টানা ছয় বছর ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে থাকা এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে।
অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন ৫৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ এর শেয়ার সংখ্যা ৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮ হাজারটি। এর মধ্যে ৪০ দশমিক ৭৪ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৪৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।
টানা লোকসানের কারণে এর রিজার্ভ শূন্য হয়ে আরও ২৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা দায় তৈরি হয়েছে।
তারপরও প্রায় প্রতি বছরই নানা সময় কোম্পানিটির শেয়ারদর অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে।
গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ১২ টাকা ৯০ পয়সা আর দুই বছরে সর্বনিম্ন মূল্য ৭ টাকা ৪০ পয়সা।
এই শেয়ারদর নানা সময় বাড়ে নানা খবরে। এর মধ্যে ২০১৯ সালে যখন অলটেক্স ফেব্রিক্স অধিগ্রহণের কথা জানানো হয়, তখন এক দফা লাফ দিয়ে পরে আবার কমে। এরপর আবার মূল্য সংবেদনশীল তথ্য হিসেবে আসে চামড়া খাতে বিনিয়োগের কথা। তবে তার অগ্রগতি কী, সে বিষয়ে আর কোনো তথ্য আসেনি।
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আফসার উদ্দিন আহমেদ এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। এর পরিচালনা পর্ষদে আছেন তার স্ত্রী এবং সন্তানরাও।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য