সিংহভাগ শেয়ারের দরপতন, অথচ সূচকের উত্থান। টানা কয়েক দিন এমন ঘটনার পর এবার পুরো উল্টো চিত্র। বাড়ল বেশির ভাগ কোম্পানির দর, কিন্তু কমে গেল সূচক।
গত ৩১ জুলাই দরপতনের বৃত্ত ভেঙে পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান হতে থাকলেও সেটি হচ্ছে গুটিকয়েক কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির কারণে।
এই দেড় মাসেরও কম সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক যোগ হয়েছে ৫৫০ পয়েন্টের আশেপাশে, অথচ বেশির ভাগ শেয়ারের দর পড়ে আছে বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইসের আশপাশে।
প্রতিদিনই ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হচ্ছে শতাধিক কোম্পানির দর। আর সেই সংখ্যাটিও বাড়ছে দিনকে দিন।
চলতি মাসে পুঁজিবাজারে এক দিনে সূচকের সবচেয়ে বেশি উত্থান হয় গত ৭ সেপ্টেম্বর। সেদিন ডিএসইএক্স সূচকে যোগ হয় ৭৬ পয়েন্ট। কিন্তু সেদিন ১৩১ কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দর হারায় ১৫৫টি।
দুই দিন সংশোধন কাটিয়ে পুঁজিবাজারে উত্থানে ফেরে তার আগের দিন। সেদিন ৩৯ পয়েন্ট সূচক বাড়ার দিন দর বাড়ে ১২৭টির, কমে ১৪৬টির।
৮ সেপ্টেম্বর সূচকে যোগ হয় ১২ পয়েন্ট, কিন্তু সেদিন ৭২ কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে হারায় ১৮৮টির দর।
চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার বেশির ভাগ শেয়ারের দরপতনের দিন সূচকও কমে ২১ পয়েন্ট। তবে ৪৫টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে ২১৯টির দরপতন বলে দেয়, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সূচকের আরও বড় পতন হতে পারত।
সেদিন ঢালাও দরপতন হলেও বেক্সিমকো গ্রুপের চারটি কোম্পানির প্রতিটির দর বেড়েছে। শুধু তা-ই নয়, চারটি কোম্পানি যেসব খাতে, সেসব খাতে একটি ছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলোর দরই বেড়েছে বেশি।
গত সপ্তাহের মতোই চলতি সপ্তাহেও প্রথম দুই দিন সূচকের পতন হলো। সোমবার সূচক কমেছে ৯ পয়েন্ট। কিন্তু এদিন ১১৫টি কোম্পানির দরপতনের বিপরীতে বেড়েছে ১২৪টির দর।
ফ্লোর প্রাইস আরোপ এবং শেয়ারের ক্রয়মূল্যে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিট গণনার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কারণে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ায়, উচ্ছ্বাস দেখা দেয় জুলাইয়ের শেষে। যে লেনদেন দিনে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছিল, সেটি ধীরে ধীরে ছাড়িয়ে যায় ২ হাজার কোটির ঘর।
কিন্তু তাতেও পুঁজিবাজারে পুরোপুরি স্বস্তি ফেরেনি। ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিমেন্ট, মিউচুয়াল ফান্ডসহ নানা খাত একেবারেই ঘুমাচ্ছে।
এই সময়ে ওষুধ ও রসায়ন খাতের যে উত্থান দেখা গিয়েছে, তার কারণ গুটিকয়েক কোম্পানির দর বাড়ছে তো বাড়ছেই। বিশেষ করে ওরিয়ন গ্রুপের তিন কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশন, ওরিয়ন ফার্মা ও বিকন ফার্মার দর ছুটছে পাগলা ঘোড়ার মতো।
জেএমআই হাসপাতাল, ইস্টার্ন হাউজিং আর বেক্সিমকো গ্রুপের তিন কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা, শাইনপুকুর সিরামিকস ছাড়া স্বল্প মূলধনি কিছু কোম্পানির দর বেড়েছে।
সূচক ৫০০ পয়েন্ট বাড়লেও বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মার মতো শক্তিশালী কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে বা কাছাকাছি অবস্থান করছে।
প্রায় সব কটি মিউচুয়াল ফান্ডও ফ্লোর প্রাইসে।
এর মধ্যে কোনো দিন গত সপ্তাহ থেকে হয় বেক্সিমকো গ্রুপ, নয়তো ওরিয়ন গ্রুপ বা কোনো দিন দুই গ্রুপের সম্মিলিত উত্থান হচ্ছে। রোববার মোট লেনদেনের ৩৭ শতাংশের বেশি হয় এই দুই গ্রুপের সাতটি কোম্পানিতে।
এসব কারণে টানা সাড়ে ৫০০ পয়েন্ট সূচক বাড়ার পরও বেশির ভাগ বিনিয়োগকারীর মধ্যে কোনো উচ্ছ্বাস নেই। বরং তারা ক্ষুব্ধ।
তবে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও মনে করেন, বাজারের এই চিত্র অস্বাভাবিক নয়। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বড় কোম্পানির দরপতনে সূচক পড়তে পারে। পুঁজিবাজার প্রতিদিনের হিসাব করার বিষয় নয়, প্রতিদিনের হিসাব দিয়ে পুঁজিবাজারকে বিচার করাও ঠিক নয়। বাজার পড়বে, উঠবে- এটাই স্বাভাবিক ঘটনা।’
কোন খাতে কত লেনদেন
আগের দিন দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাত শীর্ষে উঠে এলেও লেনদেন কমেছে। হাতবদল হয়েছে ৩২০ কোটি ১৭ লাখ টাকা, যা গতকাল ছিল ৩৩৪ কোটি ১০ লাখ টাকা।
আটটি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে তিনটির পতন ও দুটির লেনদেন হয়েছে আগের দরেই।
১৫০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন কমেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাতটিতে লেনদেন হয়েছে ২৮৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
দর বৃদ্ধি হয়েছে সাতটি কোম্পানির। বিপরীতে দর কমেছে ১৮টির। ছয়টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে।
আগের দিনের মতোই তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। এ খাতেও লেনদেন কমেছে। ১১৫ কোটি ২০ লাখ টাকা লেনদেনের দিনে ২১টি কোম্পানির দর বৃদ্ধি, আটটির দর অপরিবর্তিত ও ১৩টির দরপতন হয়েছে।
পরের অবস্থানে থাকা বস্ত্র খাতের লেনদেন শতকোটির নিচে নেমে গেছে। হাতবদল হয়েছে ৯৫ কোটি ১০ লাখ। ১৮টি কোম্পানির দরপতনের বিপরীতে ৯টির বেড়েছে। ৩২টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
পঞ্চম অবস্থানে থাকা আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে লেনদেন হয়েছে ৫৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকার। এ খাতে তিনটি কোম্পানির দর কমেছে, ১৩টির বেড়েছে ও ছয়টির অপরিবর্তিত ছিল।
সূচক কমাল যারা
সবচেয়ে বেশি ২৩ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট সূচক কমেছে বেক্সিমকো ফার্মার দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ২ দশমিক ৬১ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমেছে বেক্সিমকো লিমিটেডের কারণে। শেয়ারপ্রতি দাম কমেছে ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
ওরিয়ন ফার্মার দর ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ১৪ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট।
এ ছাড়া ইউনাইটেড পাওয়ার, বিকন ফার্মা, আইসিবি, সামিট পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা, আইপিডিসি ও পাওয়ার গ্রিডের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১০৫ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১২ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে জেএমআই হসপিটাল। শেয়ারটির দর ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেড়েছে।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের দর ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১১ দশমিক ১১ পয়েন্ট।
ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স সূচকে যোগ করেছে ৬ দশমিক ১৫ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
এর বাইরে বসুন্ধরা পেপার, বার্জার পেইন্টস, সি পার্ল, ইউনিলিভার, ওয়ান ব্যাংক, এস আলম স্টিল ও আইএফআইসি ব্যাংক সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৬২ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ দর বেড়েছে জেএমআই হসপিটালের। শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১০৪ টাকা ৮০ পয়সায়। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ৯৫ টাকা ৩০ পয়সায়।
এস আলম স্টিল রয়েছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। শেয়ারের দর ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়ে লেনদেন হয়েছে ৪০ টাকা ৯০ পয়সায়।
৯ দশমিক ৭০ শতাংশ দর বেড়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিডি ওয়েল্ডিং। সর্বশেষ শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ২৯ টাকা ৪০ পয়সায়। আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইস ছিল ২৬ টাকা ৮০ পয়সা।
এ ছাড়া দর বৃদ্ধির সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছে- ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মনোস্পুল, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, প্রাইম ফাইন্যান্স, পেপার প্রসেসিং ও ফাস ফাইন্যান্স।
দরপতনের শীর্ষ ১০
এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে সোনারগাঁও টেক্সটাইল। শেয়ারদর ৯ শতাংশ কমে সর্বশেষ ৫৪ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়।
পতনের তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ দর কমে লেনদেন হয়েছে ১১৭ টাকা ৬০ পয়সায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে ইস্টার্ন হাউজিং। ৪ দশমিক ৫১ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ৮২ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়।
দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল- শাইনপুকুর সিরামিকস, ইয়াকিন পলিমার, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, শমতা লেদার, ফু-ওয়াং সিরামিক, ওয়াটা কেমিক্যাল ও বেক্সিমকো ফার্মা।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য