সিংহভাগ শেয়ারের দরপতন, অথচ সূচকের উত্থান। টানা কয়েক দিন এমন ঘটনার পর এবার পুরো উল্টো চিত্র। বাড়ল বেশির ভাগ কোম্পানির দর, কিন্তু কমে গেল সূচক।
গত ৩১ জুলাই দরপতনের বৃত্ত ভেঙে পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান হতে থাকলেও সেটি হচ্ছে গুটিকয়েক কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির কারণে।
এই দেড় মাসেরও কম সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক যোগ হয়েছে ৫৫০ পয়েন্টের আশেপাশে, অথচ বেশির ভাগ শেয়ারের দর পড়ে আছে বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইসের আশপাশে।
প্রতিদিনই ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হচ্ছে শতাধিক কোম্পানির দর। আর সেই সংখ্যাটিও বাড়ছে দিনকে দিন।
চলতি মাসে পুঁজিবাজারে এক দিনে সূচকের সবচেয়ে বেশি উত্থান হয় গত ৭ সেপ্টেম্বর। সেদিন ডিএসইএক্স সূচকে যোগ হয় ৭৬ পয়েন্ট। কিন্তু সেদিন ১৩১ কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দর হারায় ১৫৫টি।
দুই দিন সংশোধন কাটিয়ে পুঁজিবাজারে উত্থানে ফেরে তার আগের দিন। সেদিন ৩৯ পয়েন্ট সূচক বাড়ার দিন দর বাড়ে ১২৭টির, কমে ১৪৬টির।
৮ সেপ্টেম্বর সূচকে যোগ হয় ১২ পয়েন্ট, কিন্তু সেদিন ৭২ কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে হারায় ১৮৮টির দর।
চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার বেশির ভাগ শেয়ারের দরপতনের দিন সূচকও কমে ২১ পয়েন্ট। তবে ৪৫টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে ২১৯টির দরপতন বলে দেয়, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সূচকের আরও বড় পতন হতে পারত।
সেদিন ঢালাও দরপতন হলেও বেক্সিমকো গ্রুপের চারটি কোম্পানির প্রতিটির দর বেড়েছে। শুধু তা-ই নয়, চারটি কোম্পানি যেসব খাতে, সেসব খাতে একটি ছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলোর দরই বেড়েছে বেশি।
গত সপ্তাহের মতোই চলতি সপ্তাহেও প্রথম দুই দিন সূচকের পতন হলো। সোমবার সূচক কমেছে ৯ পয়েন্ট। কিন্তু এদিন ১১৫টি কোম্পানির দরপতনের বিপরীতে বেড়েছে ১২৪টির দর।
ফ্লোর প্রাইস আরোপ এবং শেয়ারের ক্রয়মূল্যে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিট গণনার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কারণে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ায়, উচ্ছ্বাস দেখা দেয় জুলাইয়ের শেষে। যে লেনদেন দিনে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছিল, সেটি ধীরে ধীরে ছাড়িয়ে যায় ২ হাজার কোটির ঘর।
কিন্তু তাতেও পুঁজিবাজারে পুরোপুরি স্বস্তি ফেরেনি। ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিমেন্ট, মিউচুয়াল ফান্ডসহ নানা খাত একেবারেই ঘুমাচ্ছে।
এই সময়ে ওষুধ ও রসায়ন খাতের যে উত্থান দেখা গিয়েছে, তার কারণ গুটিকয়েক কোম্পানির দর বাড়ছে তো বাড়ছেই। বিশেষ করে ওরিয়ন গ্রুপের তিন কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশন, ওরিয়ন ফার্মা ও বিকন ফার্মার দর ছুটছে পাগলা ঘোড়ার মতো।
জেএমআই হাসপাতাল, ইস্টার্ন হাউজিং আর বেক্সিমকো গ্রুপের তিন কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা, শাইনপুকুর সিরামিকস ছাড়া স্বল্প মূলধনি কিছু কোম্পানির দর বেড়েছে।
সূচক ৫০০ পয়েন্ট বাড়লেও বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মার মতো শক্তিশালী কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে বা কাছাকাছি অবস্থান করছে।
প্রায় সব কটি মিউচুয়াল ফান্ডও ফ্লোর প্রাইসে।
এর মধ্যে কোনো দিন গত সপ্তাহ থেকে হয় বেক্সিমকো গ্রুপ, নয়তো ওরিয়ন গ্রুপ বা কোনো দিন দুই গ্রুপের সম্মিলিত উত্থান হচ্ছে। রোববার মোট লেনদেনের ৩৭ শতাংশের বেশি হয় এই দুই গ্রুপের সাতটি কোম্পানিতে।
এসব কারণে টানা সাড়ে ৫০০ পয়েন্ট সূচক বাড়ার পরও বেশির ভাগ বিনিয়োগকারীর মধ্যে কোনো উচ্ছ্বাস নেই। বরং তারা ক্ষুব্ধ।
তবে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও মনে করেন, বাজারের এই চিত্র অস্বাভাবিক নয়। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বড় কোম্পানির দরপতনে সূচক পড়তে পারে। পুঁজিবাজার প্রতিদিনের হিসাব করার বিষয় নয়, প্রতিদিনের হিসাব দিয়ে পুঁজিবাজারকে বিচার করাও ঠিক নয়। বাজার পড়বে, উঠবে- এটাই স্বাভাবিক ঘটনা।’
কোন খাতে কত লেনদেন
আগের দিন দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাত শীর্ষে উঠে এলেও লেনদেন কমেছে। হাতবদল হয়েছে ৩২০ কোটি ১৭ লাখ টাকা, যা গতকাল ছিল ৩৩৪ কোটি ১০ লাখ টাকা।
আটটি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে তিনটির পতন ও দুটির লেনদেন হয়েছে আগের দরেই।
১৫০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন কমেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাতটিতে লেনদেন হয়েছে ২৮৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
দর বৃদ্ধি হয়েছে সাতটি কোম্পানির। বিপরীতে দর কমেছে ১৮টির। ছয়টির লেনদেন হয়েছে আগের দরে।
আগের দিনের মতোই তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। এ খাতেও লেনদেন কমেছে। ১১৫ কোটি ২০ লাখ টাকা লেনদেনের দিনে ২১টি কোম্পানির দর বৃদ্ধি, আটটির দর অপরিবর্তিত ও ১৩টির দরপতন হয়েছে।
পরের অবস্থানে থাকা বস্ত্র খাতের লেনদেন শতকোটির নিচে নেমে গেছে। হাতবদল হয়েছে ৯৫ কোটি ১০ লাখ। ১৮টি কোম্পানির দরপতনের বিপরীতে ৯টির বেড়েছে। ৩২টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
পঞ্চম অবস্থানে থাকা আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে লেনদেন হয়েছে ৫৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকার। এ খাতে তিনটি কোম্পানির দর কমেছে, ১৩টির বেড়েছে ও ছয়টির অপরিবর্তিত ছিল।
সূচক কমাল যারা
সবচেয়ে বেশি ২৩ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট সূচক কমেছে বেক্সিমকো ফার্মার দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ২ দশমিক ৬১ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমেছে বেক্সিমকো লিমিটেডের কারণে। শেয়ারপ্রতি দাম কমেছে ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
ওরিয়ন ফার্মার দর ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ১৪ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট।
এ ছাড়া ইউনাইটেড পাওয়ার, বিকন ফার্মা, আইসিবি, সামিট পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা, আইপিডিসি ও পাওয়ার গ্রিডের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১০৫ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১২ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে জেএমআই হসপিটাল। শেয়ারটির দর ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেড়েছে।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের দর ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১১ দশমিক ১১ পয়েন্ট।
ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স সূচকে যোগ করেছে ৬ দশমিক ১৫ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
এর বাইরে বসুন্ধরা পেপার, বার্জার পেইন্টস, সি পার্ল, ইউনিলিভার, ওয়ান ব্যাংক, এস আলম স্টিল ও আইএফআইসি ব্যাংক সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৬২ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ দর বেড়েছে জেএমআই হসপিটালের। শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১০৪ টাকা ৮০ পয়সায়। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ৯৫ টাকা ৩০ পয়সায়।
এস আলম স্টিল রয়েছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। শেয়ারের দর ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়ে লেনদেন হয়েছে ৪০ টাকা ৯০ পয়সায়।
৯ দশমিক ৭০ শতাংশ দর বেড়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিডি ওয়েল্ডিং। সর্বশেষ শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ২৯ টাকা ৪০ পয়সায়। আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইস ছিল ২৬ টাকা ৮০ পয়সা।
এ ছাড়া দর বৃদ্ধির সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছে- ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মনোস্পুল, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, প্রাইম ফাইন্যান্স, পেপার প্রসেসিং ও ফাস ফাইন্যান্স।
দরপতনের শীর্ষ ১০
এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে সোনারগাঁও টেক্সটাইল। শেয়ারদর ৯ শতাংশ কমে সর্বশেষ ৫৪ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়।
পতনের তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ দর কমে লেনদেন হয়েছে ১১৭ টাকা ৬০ পয়সায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে ইস্টার্ন হাউজিং। ৪ দশমিক ৫১ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ৮২ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়।
দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল- শাইনপুকুর সিরামিকস, ইয়াকিন পলিমার, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, শমতা লেদার, ফু-ওয়াং সিরামিক, ওয়াটা কেমিক্যাল ও বেক্সিমকো ফার্মা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য