দরপতন নিয়ে নতুন সপ্তাহ শুরু করল পুঁজিবাজার। যতগুলো কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে তার পাঁচ গুণ। ফ্লোর প্রাইসে ঠেকিয়ে রাখা গেছে আরও শতাধিক কোম্পানির শেয়ারদর।
পুঁজিবাজারে এই চিত্রের মধ্যে ব্যতিক্রম বেক্সিমকো গ্রুপ, যে গ্রুপের চারটি কোম্পানির প্রতিটির দর বেড়েছে। শুধু তাই নয়, চারটি কোম্পানি যেসব খাতে, সেসব খাতে একটি ছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলোর দরই বেড়েছে বেশি।
রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইতে বেড়েছে ৪৫টি কোম্পানির দর, বিপরীতে কমেছে ২১৯টির। ১০৯টি লেনদেন হয়েছে আগের দিনের দরে, যেগুলোর সিংহভাগের দাম কমার সুযোগই নেই। কারণ, সেগুলো ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হচ্ছে।
এতগুলো কোম্পানির দরপতনের মধ্যেও ডিএসইর সূচক কমেছে ২১ পয়েন্ট। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ করেছে যেসব কোম্পানি, তার মধ্যে চারটিই বেক্সিমকো গ্রুপের।
সব কোম্পানির মধ্যে লেনদেনে সবাইকে ছাড়িয়ে বেক্সিমকো লিমিটেড, যেটি বিবিধ খাতের একটি কোম্পানি। এই খাতের যত কোম্পনি আছে, তার মধ্যে কেবল এটির দরই বেড়েছে ৬ শতাংশের বেশি।
এই কোম্পানিটি সূচকে যোগ করেছে ৯.২৩ পয়েন্ট।
ব্যাংক খাতে একটি মাত্র কোম্পানির শেয়ারদর ৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে। সেটি হলো বেক্সিমকো গ্রুপের আইএফআইসি ব্যাংক।
এই কোম্পানিটি সূচকে যোগ করেছে ১.২৯ পয়েন্ট।
ওষুধ ও রসায়ন খাতে বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে বেক্সিমকো ফার্মার। এর চেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কেবল একটি কোম্পানির। সেটি হলো স্বল্প মূলধনি কোহিনূর কেমিক্যালস।
এই কোম্পানিটি সূচকে যোগ করেছে ৩.৯৩ পয়েন্ট।
সিরামিক খাতে বেক্সিমকো গ্রুপের শাইনপুকুর সিরামিকসের দর বেড়েছে এক দিনে যতটা বাড়া সম্ভব ততটাই, যদিও এই খাতে বাকি প্রায় সব কটির দর কমেছে।
কোম্পানিটি সূচকে যোগ করেছে ০.৯৫ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে চারটি কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে ১৫.৪০ পয়েন্ট।
কেবল সূচক বা শেয়ারদর বৃদ্ধি নয়, সর্বাধিক লেনদেন হওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যেও আছে এই চারটি। এর মধ্যে শীর্ষে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডে হাতবদল হয়েছে ২৫১ কোটি ৮৭ লাখ টাকারও বেশি। তৃতীয় অবস্থানে থাকা শাইনপুকুর সিরামিকসে লেনদেন হয়েছে ৬৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
লেনদেনের পঞ্চম স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মায় হাতবদল হয়েছে ৪৫ কোটি ১২ লাখ টাকা।
শীর্ষ বিশে থাকা ব্যাংক খাতের একমাত্র কোম্পানি হিসেবে আইএফআইসির শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১৮ কোটি ৭২ লাখ টাকার। লেনদেনের তালিকায় কোম্পানিটির অবস্থান ষোড়শ।
সব মিলিয়ে এই চারটি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ৩৮২ কোটি ৪৪ লাখ ১২ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ২২.৬০ শতাংশ।
দর হারালেও ওরিয়ন গ্রুপে তুমুল আগ্রহ
গত তিন মাসে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ওরিয়ন গ্রুপের তিনটি কোম্পানির। তবে নানা আলোচনার পর এদিন তিনটি কোম্পানিই দর হারালেও লেনদেনের দিকে এই খাতের প্রাধান্য দেখা গেছে।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মায় হাতবদল হয়েছে ২০১ কোটি ২৫ লাখ টাকার।
টানা বাড়তে থাকা কোম্পানিটির শেয়ারদর কিছুটা কমলেও দিনের শুরুতে দিয়েছিল লাফ। আগের দিন ১২৫টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন শেষ করা কোম্পানিটির দর এক পর্যায়ে ১৩১ টাকা ৬০ পয়সায় উঠে যায়। পরে অবশ্য কমতে কমতে ১২০ টাকা ৩০ পয়সায় নামে। শেষ পর্যন্ত ১২৩ টাকা ৩০ পয়সায় শেষ করে লেনদেন।
তিন মাসেরও কম সময়ে ৭৯ টাকা থেকে ৪১৯ টাকায় উঠে যাওয়া ওরিয়ন ইনফিউশন এদিন দর হারিয়েছে ২.৭২ শতাংশ। তবে শীর্ষ লেনদেনের তালিকায় এই কোম্পানিটির অবস্থান ছির ষষ্ঠ স্থানে।
শুরুতে অবশ্য দর বেড়ে ৪৩৭ টাকা ৯০ পয়সায় উঠে গিয়েছিল। পরে নেমে আসে ৩৮২ টাকা ৮০ পয়সায়। দিন শেষ করে ৪০৭ টাকা ৬০ পয়সায়।
এই গ্রুপের আরেক কোম্পানি বিকন ফার্মার বড় দরপতন হয়েছে। বৃহস্পতিবার দর ছিল ৩২৭ টাকা ৯০ পয়সা। সেখান থেকে কমে গেছে ২৬ টাকা। শতকরা হিসেবে কমেছে ৭.৯৩ শতাংশ।
ওরিয়ন গ্রুপের তিনটি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে মোট ২৫৮ কোটি ৬৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৫.২৯ শতাংশ।
অর্থাৎ বেক্সিমকো ও ওরিয়ন গ্রুপে লেনদেন হয়েছে মোট ৬৪০ কোটি ৫৯ লাখ ২৮ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৩৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
‘এটা কারসাজি’
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সূচকের উত্থানের পেছনে গুটি কয়েক কোম্পানির ভূমিকার মধ্যে ঢালাও দরপতন নিয়ে হতাশ বিনিয়োগকারীরা।
মাসুম জামান নামে এক বিনিয়োগকারী বলেন, ‘বাজারে এত টার্নওভার, এগুলোতে এমনি এমনি হচ্ছে না। মানুষকে দেখাচ্ছে যে, মার্কেট এখন ভালো। সবগুলারই তো দাম কমছে, কিন্তু এমন হওয়ার কথা ছিল কি?’
ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নির্দিষ্ট কয়েকটা শেয়ারের ওপর ভর করে টার্নওভারটা চলছে। এক্ষেত্রে অনেকেই মনে করছেন যে, তার ইনস্ট্রুমেন্ট হোল্ড করে সময় নষ্ট হচ্ছে। এই ধারণা থেকে তারা যেসকল ইনস্ট্রুমেন্টের ভলিউম, টার্নওভার বেশি, সেগুলোতে আসছেন, পারচেজ করছেন। এইভাবে তখন অন্যান্য স্টকগুলোর ওপরে একটা সেল প্রেসার আসছে। এ কারণে গেইনারের চেয়ে লুজারের সংখ্যা বেশি।’
তিনি বলেন, ‘এর কারণ হলো- একদিন, দুইদিন, তিনদিন দেখার পরে মানুষ অস্থির হতেই পারে। তারা তখন মনে করেন, অমুক স্টক চালু আছে, তাহলে সেটাতেই যাই। এই ধরনের বিনিয়োগকারী যারা, তারা হাতের স্টকটা বিক্রি করেই নতুন আরেকটা কিনবে। তখন দেখা যাচ্ছে, যেসব আইটেম একটু স্লো সেগুলোতে সেল প্রেসার আসছে। দর হারাচ্ছে।’
নাম প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে ডিএসইর এক ব্রোকার বলেন, ‘বর্তমান বাজারের যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে এতে সাধারণের টাকা না, কারণ সাধারণের টাকা দিয়ে এভাবে র্যালি সম্ভব না। এটা নির্দিষ্ট শ্রেণি বা গোষ্ঠী দ্বারা অর্গানাইজড ওয়েতে করানো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘একেক সময় একেক সেক্টরে র্যালি তৈরি করা হচ্ছে। এভাবে মানুষের মনে এই ধারণা বদ্ধমূল করা হচ্ছে যে, একেক সময় একেকটা খাত পারফর্ম করবে। এতে করে নির্ধারিত আইটেম মানুষকে খাওয়ানো সহজ হবে। আর সেটাই করা হচ্ছে। এভাবে করলে মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে।’
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ দর বেড়েছে আরেএসআরএম স্টিলের। সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ২৩ টাকা ১০ পয়সায়। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ২১ টাকায়।
শাইনপুকুর সিরামিকস রয়েছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। শেয়ারের দর ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়ে লেনদেন হয়েছে ৫০ টাকা ৩০ পয়সায়।
৭ দশমিক ৬২ শতাংশ দর বেড়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইয়াকিন পলিমার। সর্বশেষ শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ২৫ টাকা ৪০ পয়সায়। আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইস ছিল ২৩ টাকা ৬০ পয়সা।
এ ছাড়া দর বৃদ্ধির সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছে- কোহিনূর কেমিক্যাল, সি পার্ল, বেক্সিমকো, আইডিএলসি, এসিআই ফর্মূলেশনস, ইস্টার্ন হাউজিং ও ইট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন।
দর পতনের শীর্ষ ১০
এই তালিকার শীর্ষে ছিল বিকন ফার্মা। শেয়ারদর ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ কমে সর্বশেষ ৩০১ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়।
পতনের তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স। ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ দর কমে লেনদেন হয়েছে ৬৪ টাকা ৭০ পয়সায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্স। ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ১২ টাকায় হাতবদল হয়।
দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল- ফাস ফাইন্যান্স, পেপার প্রসেসিং, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, ইন্দোবাংলা ফার্মা, সিলভা ফার্মা, ইবনে সিনা ফার্মা ও আইপিডিসি।
কোন খাত কেমন করল
শীর্ষে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। লেনদেন হয়েছে ৪৪১ কোটি ৪০ লাখ বা ২১ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
দরবৃদ্ধি হয়েছে ৭টি কোম্পানির। বিপরীতে দর কমেছে ১৯টির। পাঁচটির লেনদেন হয়েছে আগের দরে।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিবিধ খাত। ৩৩৪ কোটি ১০ লাখ টাকা লেনদেনের দিনে এ খাতেও দরপতন হয়েছে বেশি। ৮৯টির দর পতনের বিপরীতে বেড়েছে দুটির ও অপরিবর্তিত ছিল চারটির।
১৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা লেনদেন করে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে প্রকৌশল খাত। ৯টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে ৫টির দর অপরিবর্তিত ছিল এবং ২৮টির দরপতন হয়েছে।
পরের অবস্থানে থাকা বস্ত্র খাতে লেনদেন হয়েছে ১২৫ কোটি ৯৪ লাখ। ৪১টি কোম্পানির দরপতনের বিপরীতে ১টির বেড়েছে। ১৬টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
পঞ্চম অবস্থানে থাকা সিরামিক খাতে লেনদেন হয়েছে ৮০ কোটি ৬০ লাখ টাকার। এ খাতে ৩টি কোম্পানির দর কমেছে। আর একটি করে কোম্পানির দর বৃদ্ধি ও অপরিবর্তিত ছিল।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য