× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
The price of 11 hundred rupees is five rupees
google_news print-icon

‘সোয়া ১১ টাকার’ দাম পাঁচ টাকা!

সোয়া-১১-টাকার-দাম-পাঁচ-টাকা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আটটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট তার সম্পদমূল্যের অর্ধেক বা তার চেয়ে বেশি কমে বিক্রি হচ্ছে। বেশরভাগ ফান্ড এবার যে হারে লভ্যাংশ দিয়েছে, তাতে বিনিয়োগকারীরা যে কোনো সঞ্চয়ী হিসাবের চেয়ে বেশি হারে লাভবান হতে পারবেন। তার পরেও ফান্ডগুলোতে আগ্রহ নেই বললেই চলে, যদিও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, অদক্ষ বিনিয়োগকারীরা এসব ফান্ডেই বিনিয়োগ করুক।

বিষয়টা বিস্ময়কর হলেও বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে এটি একটি নিয়মিত ঘটনা।

তালিকাভুক্ত বেশি কিছু মিউচ্যুয়াল ফান্ডই তার ইউনিটের সম্পদমূল্যের তুলনায় অর্ধেক বা তার চেয়ে বেশি কমে লেনদেন হচ্ছে। অথচ এটি সম্পদমূল্যের বেশি বা কাছাকাছি লেনদেন হওয়াই সমীচীন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের পুঁজিবাজারের চিত্র তাই।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগের দরই এখন ইউনিটমূল্যের কমে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে আটটি ফান্ডের দর সম্পদমূল্যের অর্ধেকের কম বা অর্ধেকের কাছাকাছি। তিনটি ফান্ডের দর সম্পদূল্যের তুলনায় ৪০ শতাংশের বেশি কম। আটটির দর ৩০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি কম।

২০১০ সালের মহাধসের পর মাঝে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চার বছর বাদ দিলে বাকি সময় মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর লভ্যাংশ আহামরি কিছু ছিল না। এর কারণ, পুঁজিবাজারের পতনে পর্যাপ্ত আয় না হওয়া।

তবে ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে পুঁজিবাজারে যে উত্থান দেখা দিয়েছে, তাতে তালিকাভুক্ত ও পুঁজিবাজারের বাইরের মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর আয় বাড়ে ব্যাপক হারে। সেই সঙ্গে বাড়ে লভ্যাংশ।

তবে দারুণ লভ্যাংশের পর চলতি বছর বাজার ধসের মধ্যে ফান্ডগুলো তাদের আয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারেনি। এতে ফান্ডগুলো দর হারিয়েছে অনেকটাই। ফলে গত বছর ভালো লভ্যাংশ নিয়েও বিনিয়োগকারীরা লোকসানে আছেন।

তবে গত এক বছরে বাজারে মন্দাভাবের মধ্যেও জুনে অর্থবছর সমাপ্ত বেশিরভাগ ফান্ডই তার ইউনিটমূল্যের তুলনায় এত ভালো লভ্যাংশ দিয়েছে যে, ডিভিডেন্ড ইল্ড যে কোনো সঞ্চয়ী স্কিমের চেয়ে ভালো।

বেশিরভাগ ফান্ডই এখন তার ফ্লোর প্রাইসের কাছাকাছি লেনদেন হচ্ছে। ফলে যে লভ্যাংশ পাওয়া যাবে, তা অনেকাংশেই ফ্রি হয়ে যাবে।

বিষয়টি দেখা গেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি পরিচালিত মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর ক্ষেত্রে। প্রায় সব কটি ফান্ড ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হচ্ছিল।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিও চাইছে এই ফান্ডগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করতে। বর্তমানে ১৫ হাজার কোটি টাকার ফান্ড রয়েছে পুঁজিবাজার ও বাইরে। এটি দেড় লাখ কোটি টাকায় নিতে নানা সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথাও ঘোষণা করেছে বিএসইসি।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো ভালো করতে পারে না- এমন একটি ধারণার মধ্যে চলতি বছর এগুলোর পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করলে দেখা যায়, এই ধারণা সঠিক নয়।

২০২১ সালের প্রথম কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইর সার্বিক সূচক ছিল ৬ হাজার ২১৯ পয়েন্ট, যা অর্থবছর শেষে গত ৩০ জুন ছিল ৬ হাজার ৩৭৬ পয়েন্ট। এক বছরে বেড়েছে ২.৫২ শতাংশ। তবে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটধারীরা লভ্যাংশ পেয়েছেন এর চেয়ে অনেক বেশি।

কেবল এই পরিসংখ্যানে বোঝা যাবে না, গত এক বছরে পুঁজিবাজারে কতটা কঠিন সময় গেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইসির সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ৭ হাজার ৩০০ পয়েন্ট পেরিয়ে যখন ৮ হাজারের পথে ছোটার স্বপ্ন তৈরি হয়েছিল, তখন শুরু হয় দীর্ঘ দর সংশোধন।

চলতি বছরের শুরুর দিকে বাজার আপন গতিতে ফেরার আশা তৈরি করেও শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা সিদ্ধান্ত, এরপর ইউক্রেনে রুশ হামলার পর অর্থনীতির চাপে পড়ার মধ্যে বাজারে নামে ধস।

এই বাজার ধসের মধ্যেও জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে লভ্যাংশ ঘোষণা করা কোনো মিউচ্যুয়াল ফান্ডই এবার আশাহত করেনি। এমনকি বাজার দরে ৭ টাকা ২০ পয়সা, এমন ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ১ টাকা ১০ পয়সা, বাজারদর ৯ টাকা ৮০ পয়সা, এমন ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ১ টাকা ৫০ পয়সা।

কেন এমন হচ্ছে
মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগে আগ্রহ না থাকার তিনটি সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক শাকিল রিজভী। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, একটি কারণ হতে পারে বিনিয়োগকারীরা হয়ত সম্পদমূল্যের বিষয়টি আস্থা রাখছে না। তিনি বলেন, ‘আমি বিনিয়োগ করতে হলে বিবেচনায় নেব যে, এই নেট অ্যাসেট ভ্যালুর আন্ডারলাইনে কী সম্পদ আছে? সে ভালো জিনিস কিনে রেখেছে নাকি বিশ শতাংশ চলে যাবে এরকম কিছু কিনেছে।’

তিনি দ্বিতীয় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন নিয়মিতভাবে লভ্যাংশ না পাওয়া।

শাকিল রিজভী বলেন, ‘যদি এমন হতো এবার দশ শতাংশ দিয়েছে, পরেরবার ১১, তারপরে ১৫ দিচ্ছে, তাহলে আস্থা থাকত। কিন্তু দেখা যায়, এবার ১০ দিয়ে পরের বার নাই। তার পরের বার থেকে ধারাবাহিকতা থাকে না।

তবে এ বছর ফ্লোর প্রাইসের কারণে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগকারীরা অন্যবারের চেয়ে তুলনামূলক বেশি লাভবান হবেন বলে মনে করেন তিনি। বলেন, 'আমাদের দেশে ঘোষিত লভ্যাংশের পুরোটা সমন্বয় হয়, কিন্তু ফ্লোর প্রাইজের কারণে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ পুরোটা সমন্বয় হতে পারবে না। এছাড়াও ফান্ডটি যদি ভালো পারফর্ম করে এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি সুযোগ রয়েছে।'

বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ' একটা শেয়ারের এনএভি ১২ টাকা তারপরও মানুষ ৭ টাকায় কিনতে চায় না কেন? কারণ, এটার বিনিয়োগ ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। সঠিক বিনিয়োগ সম্পর্কে জানে না তাই রিস্ক নেয় না, এই আরকি।'

সম্পদের অর্ধেক দরে যেসব ফান্ড

এই তালিকার শীর্ষে আছে এফবিএফআইএফ

ফান্ডটির প্রতি ইউনিটের সম্পদমূল্য ১১ টাকা ২৭ পয়সা। লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের পরে দর দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় দাম এর ৫৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ কম।

ফান্ডটি এবার ইউনিটে ৬০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে। রেকর্ড ডেট শেষে দাম ৪০ পয়সা কমায় বিনিয়োগকারীর প্রকৃত মুনাফা হয়েছে ২০ পয়সা।

এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড

বর্তমানে ইউনিটের সম্পদমূল্য ১১ টাকা ১৭ পয়সা। বিপরীতে ইউনিট মূল্য ৫ টাকা ২০ পয়সা।

অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ইউনিট দর কম ৫৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ফান্ডটি ৭ শতাংশ বা ইউনিট প্রতি ৭০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

ফলে রেকর্ড ডেট শেষে দাম কমতে পেরেছে ৪০ পয়সা। ফলে বিনিয়োগকারী ৩০ পয়সা মুনাফা পেয়েছেন প্রতি ইউনিটে।

পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড

১০ টাকা ৮৬ পয়সা সম্পদমূল্যের বিপরীতে ফান্ডটির বাজারদর ৫ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ইউনিটের বাজারদর কম ৫৩ দশমিক ০৩ শতাংশ।

ফান্ডটি ইউনিট প্রতি ৩৪ পয়সা আয় করে ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে। রেকর্ড ডেটের পর ৪০ পয়সা দর কমেছে। ফলে বিনিয়োগকারীর লাভ হয়েছে ইউনিটপ্রতি ৩০ পয়সা।

আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড

ফান্ডটির ইউনিটমূল্য এখন ৫ টাকা ১০ পয়সা। আর সম্পদমূল্য ১০ টাকা ৮২ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের ৫২ দশমিক ৮৬ শতাংশে লেনদেন হচ্ছে একেকটি ইউনিট।

ইউনিট প্রতি ৩৫ পয়সা আয় হলেও ফান্ডটির বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। রেকর্ড ডেটের পর দাম কমেছে ৫০ পয়সা। ফলে ২০ পয়সা লাভ হয়েছে বিনিয়োগকারীর।

পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড

লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট শেষে ৫ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে প্রতি ইউনিট। বিপরীতে ইউনিট প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৮৭ পয়সায়। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় বাজারদর কম ৫২ দশমিক ১৬ শতাংশ।

জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ইউনিটপ্রতি ৭০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ফান্ডটি। রেকর্ড ডেট শেষে দর কমেছে ৪০ পয়সা। ফলে ইউনিটধারীরা ৩০ পয়সা লাভে আছেন।

‘সোয়া ১১ টাকার’ দাম পাঁচ টাকা!

ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড

লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট শেষে বুধবার প্রতি ইউনিট লেনদেন হয়েছে ৫ টাকা ৬০ পয়সায়। এর সম্পদমূল্য দ্বিগুণেরও বেশি, ১১ টাকা ৩৬ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদের চেয়ে বাজারদর কম ৫০ দশমিক ৭০ শতাংশ।

এই ফান্ডটিও এবার ইউনিটপ্রতি ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে। রেকর্ড ডেট শেষে দাম কমেছে ৩০ পয়সা। ফলে ইউনিটের বিপরীতে মুনাফা ৪০ পয়সা।

এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড

ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস ৫ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে। কিন্তু প্রতি ইউনিটের বিপরীতে সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ২০ পয়সায়।

অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ৪৮ দশমিক ২১ শতাংশ কমে লেনদেন হচ্ছে একেকটি ইউনিট।

জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ইউনিটপ্রতি ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে ফান্ডটি। এটিরও রেকর্ড ডেট ছিল মঙ্গলবার। রেকর্ড ডেট শেষে দাম কমেছে ৩০ পয়সা। ফলে ৪০ পয়সা মুনাফা হয়েছে বিনিয়োগকারীর।

এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড

ফান্ডটির ইউনিট বর্তমানে ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হচ্ছে বলে দর কমার সুযোগ নেই। ৬ টাকা ৬০ পয়সার বিপরীতে সম্পদমূল্য ১০ টাকা ৬০ পয়সা।
অর্থাৎ সম্পদমূল্যের চেয়ে ৪৭ দশমিক ১৬ শতাংশ কমে যাওয়া যাচ্ছে একেকটি ইউনিট।

এই ফান্ডটির অর্থবছর শেষ হয় মার্চে। গত মার্চে সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি এক টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে।

৪০ শতাংশের বেশি কমে যেগুলো

ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড

ফান্ডটির প্রতি ইউনিটের বিপরীতে সম্পদ রয়েছে ১১ টাকা ৬১ পয়সা। অথচ লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের আগের দিন সোমবার লেনদেন হয়েছে ৬ টাকা ৬০ পয়সায়।

অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ৪৩ দশমিক ১৫ শতাংশ কমে লেনদেন হচ্ছে একেকটি ইউনিট।

ফান্ডটি ইউনিট প্রতি ১ টাকা ২২ পয়সা আয়ের বিপরীতে লভ্যাংশ দেবে ১ টাকা ১০ পয়সা। রেকর্ড ডেট শেষে দাম কমেছে ৭০ পয়সা। ফলে ৪০ পয়সা মুনাফা পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

জনতা ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড

এই ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি সম্পদ আছে ১০ টাকা ৭০ পয়সা। কিন্তু বাজার দর ৬ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ইউনিট মূল্য কম ৪২ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে। রেকর্ড ডেট শেষে কমতে পেরেছে ৩০ পয়সা। ফলে বিনিয়োগকারীর মুনাফা হলো ৪০ পয়সা।
এলআর গ্লোবাল ওয়ান ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড

এই ফান্ডটির প্রতি ইউনিটের বিপরীতে সম্পদ রয়েছে ১১ টাকা ৯ পয়সার। কিন্তু বাজারদর ৬ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের ৪১ দশমিক ৩৮ শতাংশ কমে পাওয়া পাচ্ছে।

এই ফান্ডটির অর্থবছর শেষ হবে সেপ্টেম্বরে। গত সেপ্টেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত নয় মাসে ইউনিটপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১২ পয়সার কিছু বেশি। যদিও এই সময়ে বাজারে ব্যাপক দরপতন হয়েছে।

ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস ৬ টাকা ৪০ পয়সা। ফলে আর ১০ পয়সা দর কমতে পারবে।


৩০ শতাংশের বেশি কমে যেগুলো

এনসিসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড

ফান্ডটির বর্তমান বাজারমূল্য ৭ টাকা ১০ পয়সার বিপরীতে সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৩১ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ৩৭ দশমিক ২২ শতাংশ কমে পাওয়া যাচ্ছে।

এই ফান্ডটির অর্থবছর শেষ হয় ডিসেম্বরে। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত পুঁজিবাজারে দরপতনের মধ্যেও ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি সাড়ে ৬ পয়সার বেশি আয় করেছে।

এই ফান্ডটি গত ডিসেম্বরে ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে।

ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস ৬ টাকা ৮০ পয়সা।

‘সোয়া ১১ টাকার’ দাম পাঁচ টাকা!

গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড

সোমবার রেকর্ড ডেটের কারণে লেনদেন বন্ধ ছিল। সেদিন ইউনিট দর ছিল ৭ টাকা ১০ পয়সা। এর ফ্লোর প্রাইস ৬ টাকা ৯০ পয়সায় নেমে এসেছে মঙ্গলবার।

ফান্ডটি এবার ইউনিট প্রতি ৭২ পয়সা আয়ের বিপরীতে লভ্যাংশ দেবে ৭০ পয়সা। ফলে বিনিয়োগকারীর মুনাফা হয়েছে ইউনিটপ্রতি ৫০ পয়সা।
ফান্ডটির বর্তমান সম্পদমূল্য ১০ টাকা ৭৯ পয়সা। বর্তমান বাজারদর এর সম্পদমূল্যের চেয়ে ৩৬ দশমিক ০৫ শতাংশ কম।

আইএফআইএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড

ফান্ডটির প্রতি ইউনিটের সম্পদমূল্য ৯ টাকা ৯৬ পয়সা অথচ কেনা যাচ্ছে ৬ টাকা ৪০ পয়সায়, অর্থাৎ ৩৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ কমে।
গত অর্থবছরের জন্য আয়ের প্রায় সমান লভ্যাংশ দেবে ফান্ডটি। ৩৯ পয়সা আয় হলেও এক পয়সা বাড়িয়ে ৪০ পয়সা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে ফান্ডের ট্রাস্টি।

সোমবার ছিল রেকর্ড ডেট। তার আগে যাদের পোর্টফোলিওতে এই ফান্ড ছিল তারা অন্তত ২০ পয়সা মুনাফা করতে পেরেছেন। কারণ, সমন্বয়ের পরে দর কমতে পেরেছে ২০ পয়সা।

ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফাইন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড

ফান্ডটির অর্থবছর শেষ হয় সেপ্টেম্বরে। জুন পর্যন্ত ফান্ডটির কোনো আয় নেই, কোনো লোকসানও নেই। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি দেড় টাকা লভ্যাংশ দিয়েছিল।

ফান্ডটির বর্তমান দর ৭ টাকা ৫০ পয়সা আর সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৫৩ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদের চেয়ে বাজারদর কম ৩৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

ফান্ডটির ইউনিটের ফ্লোর প্রাইস ৭ টাকা ৩০ পয়সা হওয়ায় আর ২০ পয়সা দর কমতে পারবে।

ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড

এটির ইউনিটদর ৬ টাকা ৯০ পয়সা। আর এর সম্পদ মূল্য ১১ টাকা ২ পয়সা।

অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমে লেনদেন হচ্ছে একেকটি ইউনিট।

প্রতি ইউনিটের বিপরীতে লভ্যাংশ ঘোষণা হয়েছে ৭০ পয়সায়। রেকর্ড ডেট শেষে কমেছে ৪০ পয়সা। বিনিয়োগকারীর লাভ ৩০ পয়সা।

আইসিবি থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড

ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস ৬ টাকা ৫০ পয়সা, লেনদেন হচ্ছে এই দরেই। অথচ ইউনিটপ্রতি সম্পদ আছে ৯ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় বাজার মূল্য কম ৩৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

রেকর্ড ডেট শেষে দাম কমতে পেরেছে ২০ পয়সা। তবে লভ্যাংশ এসেছে ৫০ পয়সা। যারা রেকর্ড ডেটের আগে ফান্ডটি কিনেছেন তারা ইউনিটে ৩০ পয়সা লাভ পেয়েছেন।

ভ্যানগার্ড রূপালী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড

ফান্ডটির দর ফ্লোর প্রাইস ৭ টাকা ৪০ পয়সায় অবস্থান করছে। বিপরীতে প্রতি ইউনিটের সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৬১ পয়সায়। অর্থাৎ সম্পদের চেয়ে বাজারদর কম ৩০ দশমিক ২৫ শতাংশ।

এই ফান্ডটির অর্থবছর শেষ হয় ডিসেম্বরে। চলতি বছরের অর্ধবার্ষিকে ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ১২ পয়সা লোকসান দিয়েছে। গত বছর একই সময় মুনাফা ছিল ১ টাকা ৩৪ পয়সা।

ওই বছর ইউনিটপ্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ দিয়েছিল ফান্ডটি।

‘সোয়া ১১ টাকার’ দাম পাঁচ টাকা!

ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড

সম্পদ মূল্য ১০ টাকা ৬১ পয়সার বিপরীতে সোমবার লেনদেন হয়েছে ফ্লোর প্রাইস ৭ টাকা ৪০ পয়সায়।

অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ৩০ দশমিক ২৫ শতাংশ কমে লেনদেন হচ্ছে একেকটি ইউনিট।

জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ইউনিট প্রতি ৬০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে ফান্ডটি। এটিরও রেকর্ড ডেট ছিল মঙ্গলবার। যেহেতু ফ্লোর প্রাইসে আছে, তাই দাম কমতে পারেনি।

২০ শতাংশের বেশি কমে যেগুলো

আইসিবি এমপ্লয়ি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড

ফান্ডটির বাজার মূল্য ৭ টাকা ১০ পয়সা। রেকর্ড ডেট শেষে ১০ পয়সা কমে এটি ফ্লোর প্রাইসেই আছে।

ফান্ডটি জুনে সমাপ্ত অর্থবছর শেষে ইউনিটপ্রতি ৫০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা হয়েছে। রেকর্ড ডেট শেষে ১০ পয়সা দর কমায় বিনিয়োগকারীর মুনাফা হয়েছে ৪০ পয়সা।

এই ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য ১০ টাকা ১০ পয়সা। এই হিসেবে বাজারদর কম ২৯ দশমিক ৭০ শতাংশ।

এআইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড

এই ফান্ডটির ইউনিট প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ১৬ পয়সায়। অথচ সম্পদ মূল্যের চেয়ে প্রায় তিন টাকা কম মূল্যে ৭ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে পুঁজিবাজারে। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ইউনিট দর কম ২৮ দশমিক ১৪ শতাংশ।

ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস ৭ টাকা ৩০ পয়সা। এর অর্থবছর শেষ হয় মার্চে। চলতি বছর মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত বাজার ধসের মধ্যেও তারা ইউনিটপ্রতি সাড়ে ৮ পয়সা মুনাফা করেছে। গত মার্চ শেষে ইউনিটপ্রতি এক টাকা মুনাফা দিয়েছে ফান্ডটি।

রিলায়েন্স ওয়ান মিউচ্যুয়াল ফান্ড

লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট শেষে দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৮০ পয়সা। তবে সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮৪ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদের চেয়ে ইউনিট দর কম ২৭ দশমিক ২২ শতাংশ।

জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ১ পয়সা আয়ের বিপরীতে ১ টাকা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। রেকর্ড ডেটের পরে দর সমন্বয়েও বিনিয়োগকারীর মুনাফা ইউনিটপ্রতি ৮০ পয়সা।

‘সোয়া ১১ টাকার’ দাম পাঁচ টাকা!

এসএমইএল এফবিএসএল গ্রোথ ফান্ড

লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট শেষে দুই দিনে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি দর কমেছে ১ টাকা ৪০ পয়সা।

বর্তমান দর ফ্লোর প্রাইস ৮ টাকা ৪০ পয়সায়। বিপরীতে প্রতি ইউনিটে সম্পদমূল্য আছে ১১ টাকা ৫১ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদের চেয়ে বাজার দর কম ২৭ দশমিক ০১ শতাংশ।

গত অর্থবছরের জন্য ১ টাকা ৫০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ফান্ডটি। দর সমন্বয়ের পর বিনিয়োগকারীর অবশ্য মুনাফা থাকেনি। কেবল ১০ পয়সা থাকবে।

গ্রামীণ টু

এই ফান্ডটির দরও সম্পদমূল্যের অনেক কমে কেনার সুযোগ রয়েছে। লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের পর ইউনিট দর হয়েছে ১৫ টাকা ২০ পয়সায়, অথচ সম্পদমূল্য ২০ টাকা ৬৭ পয়সা।

অর্থাৎ সম্পদমূল্যের চেয়ে ২৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ কম দামে পাওয়া যাচ্ছে।

আয়ের চেয়ে বেশি লভ্যাংশ প্র্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফান্ডের ট্রাস্টি। ১ টাকা ৩৪ পয়সা আয়ের বিপরীতে লভ্যাংশ দেবে ১ টাকা ৫০ পয়সা।

ফ্লোর প্রাইসে নামার পর ফান্ডের ইউনিট দর হারিয়েছে ৯০ পয়সা। ফলে ৬০ পয়সা লাভে বিনিয়োগকারী।

প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড

৭ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হওয়া ফান্ডটির সম্পদমূল্য ১০ টাকা ৪৫ পয়সা। ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস বাজারমূল্যের সমান। ফলে রেকর্ড ডেট শেষে দাম কমতে পারেনি। অর্থাৎ সম্পদের চেয়ে দাম কম ২৬ দশমিক ৩১ শতাংশ।

জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে আয়ের সমান অর্থাৎ ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে ফান্ডটি। সোমবার ছিল ফান্ডটির রেকর্ড ডেট। অর্থাৎ দর সংশোধনের সুযোগ না থাকায় পুরো লভ্যাংশ খাতায় যোগ হয়েছে বিনিয়োগকারীর হিসাবে।

‘সোয়া ১১ টাকার’ দাম পাঁচ টাকা!

আইসিবি সোনালী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড

ফান্ডটি ৭ টাকা ৮০ পয়সা অর্থাৎ ফ্লোর প্রাইসেই লেনদেন হচ্ছে। তবে সম্পদমূল্য ১০ টাকা ৫০ পয়সা।

অর্থাৎ সম্পদমূল্যের চেয়ে বাজারদর কম ২৫ দশমিক ৭১ শতাংশ।

জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ফান্ডটির বিনিয়োগকারীরা ৫০ পয়সা লভ্যাংশ পাবেন। রেকর্ড ডেটের পর এর দাম কমতে পারেনি। ফলে লভ্যাংশের পুরোটাই ঘরে তুলতে পেরেছেন বিনিয়োগকারীরা।

এসএমইএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ড

১০ টাকা ৮৭ পয়সার সম্পদ থাকলেও ইউনিটের বাজার মূল্য ৮ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদের তুলনায় ইউনিটদর কম ২১ দশমিক ৮০ শতাংশ।

এই ফান্ডেরও রেকর্ড ডেট ছিল রোববার। ৫২ পয়সা আয়ের বিপরীতে লভ্যাংশ দেবে ৬০ পয়সা। ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হওয়ায় এটির দর কমতে পারেনি। ফলে লভ্যাংশ কম দিলেও পুরোটাই মুনাফা হয়েছে বিনিয়োগকারীর।

সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড

সম্পদমূল্যের চেয়ে আড়াই টাকার বেশি কমে লেনদেন হচ্ছে ফান্ডটির প্রতি ইউনিট। বর্তমানে ফান্ডটির সম্পদমূল্য প্রতি ইউনিটে ১২ টাকা ৬৭ পয়সা। ফ্লোর প্রাইস ১০ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে পুঁজিবাজারে। ফলে এর চেয়ে দর কমার সুযোগ নেই।

অর্থাৎ ফান্ডটির সম্পদমূল্যের তুলনায় ইউনিট দর কম ২০ দশমিক ২৮ শতাংশ।

ফান্ডটি জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ইউনিটপ্রতি ৮০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ সেপ্টেম্বর।

আইসিবি অগ্রণী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড

ফান্ডটির সর্বশেষ দর ৯ টাকা ২০ পয়সা। একেকটির বিপরীতে সম্পদমূল্য ১১ টাকা ৫৩ পয়সা।

অর্থাৎ এই ফান্ডটির বাজারদর এর সম্পদমূল্যের চেয়ে ২০ দশমিক ২০ শতাংশ কম।

জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটির আয় হয়েছে ১ টাকা ২৮ পয়সা। সেখান থেকে ৯০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ফ্লোর প্রাইস ৯ টাকা ২০ পয়সা হওয়ায় রেকর্ড ডেটের আগের দর ৯ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ২০ পয়সা কমতে পেরেছে। ফলে ৭০ পয়সা মুনাফা হয়েছে বিনিয়োগকারীর।

১০ শতাংশের বেশি কম

আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড

প্রতি ইউনিটে ১১ টাকা ৮ পয়সার সম্পদের বিপরীতে বাজারমূল্য ৮ টাকা ৯০ পয়সা। অর্থাৎ এই ফান্ডটির বাজারদর এর সম্পদমূল্যের চেয়ে ১৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ কম।

সোমবার রেকর্ড ডেটের কারণে লেনদেন বন্ধ ছিল। তার আগে যারা ইউনিট কিনেছিল তারা লভ্যাংশ পাবেন ৬০ পয়সা করে।

এর ফ্লোর প্রাইস ৮ টাকা ৭০ পয়সা। দর সংশোধন হয়েছে ২০ পয়সা। বিনিয়োগকারীর লাভ হয়েছে ৪০ পয়সা।

এসএমইএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড

ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য ১০ টাকা ৭৯ পয়সা হলেও বর্তমান বাজার দর ৯ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদের চেয়ে বাজার দর কম ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ৫০ পয়সা। রেকর্ড ডেটের আগে দর বর্তমান দরেই ছিল। দর কমতে না পারায় লভ্যাংশের পুরোটাই মুনাফা হয়েছে।

এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড

ফান্ডটির ইউনিট প্রতি সম্পদ মূল্য ১০ টাকা ৯৭ পয়সায়। পুঁজিবাজারে লেনদেন হচ্ছে ৯ টাকা ৭০ পয়সায়, ফ্লোর প্রাইসও তাই।

অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ কমে লেনদেন হচ্ছে ইউনিট।

জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটি ইউনিট প্রতি ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে। ফ্লোর প্রাইসে থাকায় দাম কমতে পারেনি।

‘সোয়া ১১ টাকার’ দাম পাঁচ টাকা!
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে কেবল তিনটির ইউনিট মূল্য এর সম্পদমূল্যের চেয়ে বেশি

তিনটি ফান্ডের সম্পদের চেয়ে ইউনিটদর বেশি

ফার্স্ট প্রাইম ফাইনান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড

আইসিবি পরিচালিত এই ফান্ডটির ইউনিট প্রতি সম্পদূমূল্যের চেয়ে বাজারদর বরাবর বেশি থাকে।

বর্তমানে ইউনিটপ্রতি সম্পদ আছে ১৪ টাকা ৬৫ পয়সার। কিন্তু বাজার দর ১৭ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ইউনিট দর বেশি ১৬ দশমিক ৭২ শতাংশ।

ডিসেম্বরে অর্থবছর সমাপ্ত হবে এই ফান্ডটির। এর ফ্লোর প্রাইস ১৭ টাকা। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত পড়তি বাজারেও ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ২১ পয়সা মুনাফা করেছে।

সিএপিএম আইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড

এই ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য ১২ টাকা ৩১ পয়সার বিপরীতে লেনদেন হচ্ছে ১৪ টাকা ২০ পয়সা, যা ইউনিটটির ফ্লোর প্রাইসও।

এই ফান্ডটির সম্পদমূল্যের তুলনায় ইউনিটদর বেশি ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

ফান্ডটি জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ইউনিটপ্রতি ৮০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে। রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ সেপ্টেম্বর।

ফিনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড

এর বর্তমান ইউনিটদর ১০ টাকা ৬০ পয়সা। ফ্লোর প্রাইসও একই। ফান্ডটির সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৮ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদমূল্যের তুলনায় ইউনিট দর বেশি ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

গত অর্থবছরের জন্য ফান্ডটি আয়ের সমান ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে। যার রেকর্ড ডেট ছিল সোমবার। রেকর্ড ডেটের আগেও বর্তমান দরেই লেনদেন হয়েছে। ফলে যারা ইউনিট ধরে রেখেছিলেন, তারা তারা লভ্যাংশের পুরোটাই তুলে নিতে পেরেছেন।

আরও পড়ুন:
ভিন্নধর্মী হবে সন্ধানীর নতুন মিউচুয়াল ফান্ড
দুটি মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমোদন দিল বিএসইসি
সেপ্টেম্বরে চালু হচ্ছে এটিবি, ইটিএফ
৮ টাকার মিউচুয়াল ফান্ডে এক টাকা লভ্যাংশ
আরেকটি মিউচুয়াল ফান্ড আনছে গ্রামীণ ব্যাংক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Transaction in Dhaka is going on in Chittagong

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।

এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।

সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।

দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

মন্তব্য

পতনে পর্যদুস্ত পুঁজিবাজার

পতনে পর্যদুস্ত পুঁজিবাজার

পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।

লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।

ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।

ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।

৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।

অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।

চট্টগ্রামেও বড় পতন

.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।

লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।

সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।

এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু
পুঁজিবাজারে উত্থানের জোয়ারেও কমেনি মন্দ শেয়ারের দৌরাত্ম্য
পুঁজিবাজার: শেষ কর্মদিবসে উত্থানে শুরু লেনদেন
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The index has dropped again in the capital market of Dhaka Chittagong

আবারও সূচক কমল ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, বেড়েছে লেনদেন

আবারও সূচক কমল ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, বেড়েছে লেনদেন
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।

সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।

তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: শেষ কর্মদিবসে উত্থানে শুরু লেনদেন
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে
শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে
ডিএসইতে সূচকের উত্থানে শুরু দ্বিতীয় কর্মদিবসের লেনদেন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market In the first hour of the rise in Dhaka the fall in Chittagong

পুঁজিবাজার: প্রথম ঘণ্টায় ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন

পুঁজিবাজার: প্রথম ঘণ্টায় ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন ডিএসই ও সিএসইর লোগো। কোলাজ: ইউএনবি
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।

লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।

লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে
শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে
ডিএসইতে সূচকের উত্থানে শুরু দ্বিতীয় কর্মদিবসের লেনদেন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে উত্থান দিয়ে শুরু লেনদেন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market More than 1 crore transactions in two hours

পুঁজিবাজার: দুই ঘণ্টায় ৩০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন

পুঁজিবাজার: দুই ঘণ্টায় ৩০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন প্রতীকী ছবি
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।

টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।

সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।

আরও পড়ুন:
সপ্তাহের লেনদেন শুরু ঢাকার উত্থানে, পতন চট্টগ্রামে
পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু
পুঁজিবাজারে উত্থানের জোয়ারেও কমেনি মন্দ শেয়ারের দৌরাত্ম্য
পুঁজিবাজার: শেষ কর্মদিবসে উত্থানে শুরু লেনদেন
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Week transaction began in Chittagong to fall in Dhaka

সপ্তাহের লেনদেন শুরু ঢাকার উত্থানে, পতন চট্টগ্রামে

সপ্তাহের লেনদেন শুরু ঢাকার উত্থানে, পতন চট্টগ্রামে ডিএসই ও সিএসইর লোগোর মাঝে সূচকের উত্থানের গ্রাফিক্স। ছবি: ইউএনবি
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।

অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু
পুঁজিবাজারে উত্থানের জোয়ারেও কমেনি মন্দ শেয়ারের দৌরাত্ম্য
পুঁজিবাজার: শেষ কর্মদিবসে উত্থানে শুরু লেনদেন
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market Starting the week with rise

পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু

পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু প্রতীকী ছবি
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।

গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

আরও পড়ুন:
ডিএসইতে সূচকের উত্থানে শুরু দ্বিতীয় কর্মদিবসের লেনদেন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে উত্থান দিয়ে শুরু লেনদেন
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার পুঁজিবাজারে সব সূচকের পতন
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান, চট্টগ্রামে বড় পতন
উত্থানের ধারা বজায় রেখে পুঁজিবাজারে লেনদেন

মন্তব্য

p
উপরে