× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
The capital market returned to its normal form after overcoming the dilemma in the pharmaceutical sector
google_news print-icon

ওষুধ খাতে হুলুস্থুল, দ্বিধা কাটিয়ে স্বরূপে ফিরল পুঁজিবাজার

ওষুধ-খাতে-হুলুস্থুল-দ্বিধা-কাটিয়ে-স্বরূপে-ফিরল-পুঁজিবাজার
বেশিরভাগ শেয়ারের দর কমলেও সূচক বেড়েছে মূলত ওষুধ ও রসায়ন খাতের ওপর ভর করে। এই খাতের শেয়ারগুলোর দাম কেবল বাড়েনি, লেনদেনও হয়েছে ব্যাপক। মোট ৫৪৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে এই খাতের ৩২ কোম্পানিতে। সূচকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ করেছে, এমন ১০টি কোম্পানির মধ্যে ছয়টিই ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের। আর কেবল এই ছয়টি কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে ৪৭ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট।

ওষুধের দর অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার পর পুঁজিবাজারে এই খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আকর্ষণ দেখা গেছে।

আর এক মাস পাঁচ শ পয়েন্ট সূচক বাড়ার পরও পর দুই দিনের সংশোধনেই ঝাঁকুনি দেয়া পুঁজিবাজার সব দ্বিধা কাটিয়ে উত্থানে ফিরল এই খাতের ওপর ভর করেই।।

দুই কর্মদিবস পর লেনদেন আবার দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেল। চলতি বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন এটি। এই লেনদেনের প্রায় ২৭ শতাংশ ছিল ওষুধ ও রসায়নের।

সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবস বুধবার হাতবদল হয়েছে ২ হাজার ২০১ কোটি ৩৫ লাভ ৩৮ হাজার টাকার শেয়ার, যা আগের দিনের চেয়ে ৮৮৬ কোটি ২০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা বেশি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের উত্থান হয়েছে ৭৬ পয়েন্ট, যা এক সময় ১০২ পয়েন্ট বেড়ে গিয়েছিল। এ নিয়ে সংশোধনের দুই দিনে ৭৭ পয়েন্ট কমার পরের দুই দিনে বাড়ল ১১৬ পয়েন্ট।

সূচকের এই অবস্থান গত ৭৮ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ১২ মে সূচকের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ৫৬৫ পয়েন্ট। সেখান থেকে টানা পড়তে পড়তে গত ২৮ জুলাই তা নেমে আসে ৬ হাজার পয়েন্টের নিচে।

সেদিনই ফ্লোর প্রাইস দেয়ার ঘোষণা আসে আর এরপর দিন থেকে সূচক ক্রমেই বাড়তে থাকে। এই পাঁচ সপ্তাহে সূচক বাড়ল মোট ৫৬৭ পয়েন্ট।

সূচক বাড়লেও টানা তৃতীয় দিন কমল বেশিরভাগ শেয়ারের দর। এদিন ১৫৫টি কোম্পানির দরপতনের বিপরীতে বাড়ে ১৩১টির দর। আর ৯২টি লেনদেন হয়েছে আগের দিনের দরে, যেগুলোর বেশিরভাগ লেনদেন হয়েছে ফ্লোর প্রাইসে।

ওষুধ খাতে হুলুস্থুল, দ্বিধা কাটিয়ে স্বরূপে ফিরল পুঁজিবাজার
কেবল ওষুধ খাতের ছয়টি কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে ৪৭ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট

বেশিরভাগ শেয়ারের দর কমলেও সূচক বেড়েছে মূলত ওষুধ ও রসায়ন খাতের ওপর ভর করে। এই খাতের শেয়ারগুলোর দাম কেবল বাড়েনি, লেনদেনও হয়েছে ব্যাপক। মোট ৫৪৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে এই খাতের ৩২ কোম্পানিতে।

এই শেয়ারগুলোর মধ্যে কেবল দুটির দর কমেছে, দুটির দর ছিল অপরিবর্তিত। আর বেড়েছে বাকে ২৮টির দরই।

সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৮টিই ছিল একটি খাতের যেগুলোর প্রায় সবগুলোর দরই দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে লেনদেন শেষ করেছে।

ওষুধ খাতে হুলুস্থুল, দ্বিধা কাটিয়ে স্বরূপে ফিরল পুঁজিবাজার
বুধবার সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির আটটিই ছিল ওষুধ খাতের

সূচকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ করেছে, এমন ১০টি কোম্পানির মধ্যে ছয়টিই ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের। আর কেবল এই ছয়টি কোম্পানি সূচকে যোগ করেছে ৪৭ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট।

গত কয়েক মাসে ওষুধের দর বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। এরই মধ্যে এই খাতের একটি কোম্পানি ইবনে সিনা গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছর শেষে যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছ, তাতে দেখা যায়, তাদের আয় ব্যাপকহারে বেড়েছে। তারা কোম্পানির ইতিহাসের সর্বোচ্চ, শেয়ারে ছয় টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

অন্য কোম্পানিগুলোর আয়ও একইভাবে বাড়বে বলে আশা করছেন বিনিয়োগকারীরা।

ওষুধ খাতের লেনদেন নিয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সামনে ডিভিডেন্ড আসবে। এজন্য সবাই পজিশন নিচ্ছে। আর যদি স্পেসিফিক কয়েকটা কোম্পানির কথা বলা হয়, তাহলে এভাবে বিবেচনা করা যায় যে, সানোফি বেক্সিমকো ফার্মার গর্ভে চলে আসবে। ফলে সেখানে থেকে ভালো মুনাফার প্রত্যাশা রয়েছে। এসব কারণে ফার্মা খাতে একটা মুভমেন্ট দেখা গেছে।’

দুই দিনের ঝাঁকুনি

টানা ছয় কর্মদিবস উত্থান শেষে একদিনের বিরতি শেষে আবার টানা ছয় কর্মদিবস উত্থান। এমন সুখস্মৃতি নিয়ে সপ্তাহ শুরু করা পুঁজিবাজার রোববার হঠাৎ দেয় ঝাঁকুনি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স এক পর্যায়ে ৭৮ পয়েন্ট বেড়ে গিয়েও সেখান থেকে ৯৬ পয়েন্ট কমার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরের স্মৃতি ফিরে আসে।

পুঁজিবাজার ৭ হাজার পয়েন্টের বাধা পেরিয়ে যখন ৮ হাজার পয়েন্টের দিকে ছুটবে বলে আশা করা হচ্ছিল, এমন পরিস্থিতিতে ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে সূচক বেড়ে যায় ৭৮ পয়েন্ট। সেখান থেকে অবিশ্বাস্যভাবে ১২৪ পয়েন্ট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত সূচক কমে ৫৬ পয়েন্ট। সেদিন সংশোধন শুরু হলেও বড় মূলধনি কিছু কোম্পানির হাত ধরে সূচক বাড়ছিল। তবে অক্টোবরের সেই দিন থেকে তাও কমতে তাকে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে মতভেদ, বছর শেষে বিনিয়োগ সমন্বয়সহ নানা কারণে বাজার যখন চাপে, তখন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলার পর শুরু হয় ধস।

সেদিন সূচক পতনের পর জানা যায়, ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হচ্ছে, এমন একটি গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এরপর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি থেকে বলা হয় ফ্লোর প্রাইস নিয়ে আপাতত কিছুই ভাবছে না তারা। এটি অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে।

এর পরেও সোমবার পতন হয় আরও বেশি। এক পর্যায়ে ৬৮ পয়েন্ট কমে গিয়েও বেলা শেষ করে ৫৮ পয়েন্টের পতন দিয়ে।

এই দুই দিনের প্রথম দিন লেনদেন বাড়লেও দ্বিতীয় দিন কমে যায় ৮০০ কোটি টাকারও বেশি।

ওষুধ খাতে হুলুস্থুল, দ্বিধা কাটিয়ে স্বরূপে ফিরল পুঁজিবাজার
রোব ও সোমবার সূচক যতটুকু কমেছিল, তার সমান বেড়েছে বুধবার। মঙ্গলবার বাড়ে আরও ৩৯ পয়েন্ট

তৃতীয় দিন সূচক ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩৯ পয়েন্ট যোগ করে শেষ করলেও বিনিয়োগকারীরা যে বিভ্রান্তিতে ছিল, সেটি স্পষ্ট হয়। লেনদেন আরও কমে এক হাজার তিন শ কোটির ঘরে নেমে আসে।

টানা উত্থানের পর এই সংশোধন যেমন স্বাভাবিক ঘটনা হতে পারে, তেমনি ফ্লোর প্রাইস নিয়ে গুজবের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সিদ্ধান্তও এতে ভূমিকা রাখতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পরিবর্তনের পর পুঁজিবাজার নিয়ে সংস্থাটির নীতি পরিবর্তনের বিষয়টি স্পষ্ট। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিট গণনাপদ্ধতি শেয়ারের ক্রয়মূল্যে করার বিষয়ে এক যুগের দাবি কেবল পূরণ হয়নি, পুঁজিবাজার নিয়ে রক্ষণশীল নীতির জন্য যে কর্মকর্তাকে দায়ী করা হয়, ১৯ বছর পর তার দপ্তরও বদল হয়।

এর মধ্যে মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বন্ড ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ এক্সপোজার লিমিটের বাইরে রাখার অনুরোধ করে। এর মধ্যে বন্ডে বিনিয়োগ এক্সপোজারের বাইরে থাকবে বলে বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুইবায়াত-উল ইসলামও জানান।

তবে বিএসইসিকে দেয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক চিঠিতে সরাসরি না বললেও বোঝানো হয় যে, বন্ডে বিনিয়োগ ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিটের মধ্যেই থাকবে।

এই বিষয়টি নিয়েও একটি গুঞ্জন ছিল। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক সেই চিঠিতে ব্যাংকগুলোকে আরও বেশি বিনিয়োগে উৎসাহ দেয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করে। পাশাপাশি এটাও বলে যে, পুঁজিবাজার নিয়ে সব ধরনের নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

সূচকের পাশাপাশি লেনদেন বাড়ার বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী বলেন, ‘দুই দিনে যা প্রফিট টেকিং হওয়ার ছিল তা হয়ে গেছে। শেয়ারদর আবার ফ্লোর প্রাইসের কাছাকাছি চলে এসেছে, অনেকগুলো সেই দরেই ট্রেড হচ্ছে। ফলে এখন বাজার আবার উঠবে, এটাই স্বাভাবিক।’

কোন খাত কেমন করল

সর্বোচ্চ লেনদেনের পাশাপাশি দরবৃদ্ধিতেও শীর্ষে ওষুধ ও রসায়ন খাত। মোট লেনদেনের ২৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ লেনদেনের দিনে দরবৃদ্ধি হয়েছে ২৬টি বা ৮৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ কোম্পানির।

বিপরীতে দর কমেছে ৩টির ও ২টির লেনদেন হয়েছে আগের দরেই।

২৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা লেনদেন করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বিবিধ খাত। সমান দরবৃদ্ধি ও পতন দেখা গেছে এ খাতে। ৫টি করে কোম্পানির দরবৃদ্ধি ও পতনের বিপরীতে ৪টির লেনদেন হয়েছে আগের দরেই।

দর পতনের পাল্লাই ভারী ছিল তৃতীয় স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতের। লেনদেন হয়েছে ২২৪ কোটি ৭০ লাখ। বিপরীতে ২০টি কোম্পানির দরপতন, ১৫টির দরবৃদ্ধি ও ৭টির দর অপরিবর্তিত ছিল।

চতুর্থ স্থানে থাকা বস্ত্র খাতে লেনদেন হয়েছে ১৯০ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এ খাতে অপরিবর্তিত দরে লেনদেন হয়েছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কোম্পানির। ২৭টি কোম্পানির দরপতনের বিপরীতে ২১টির দর অপরিবর্তিত ছিল। আর বেড়েছে ১১টি কোম্পানির শেয়ারদর।

পঞ্চম অবস্থানে থাকা সিমেন্ট খাতে কোনো দরপতন হয়নি। লেনদেন হয়েছে ১১২ কোটি ৯০ লাখ টাকা বা ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। ৫টির দরবৃদ্ধি ও ২টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে।

এর বাইরে ১০০ কোটি ছাড়িয়েছে ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা জ্বালানি খাতে। ১০৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা বা ৫ শতাংশ লেনদেনের বিপরীতে দর বেড়েছে ১৪টি ও কমেছে ৯টি কোম্পানির দর।

বাকি খাতের লেনদেন ৫ শতাংশের নিচে ছিল। আর উল্লেখযোগ্য দর বৃদ্ধি পেয়েছে খাদ্য, ব্যাক ও সাধারণ বিমা খাতে। এর মধ্যে খাদ্যে ২৫, ব্যাংক ৩৯ ও সাধারণ বিমা খাতে ২৬ শতাংশের বেশি কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে।

বেশি লেনদেন ওরিয়ন ফার্মার

একক কোম্পানি হিসেবে সবচেয়ে বেশি লেনদেন করেছে ওরিয়ন ফার্মা। কোম্পানির এক কোটি ৯৮ লাখ ৮৩ হাজার ৮৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২৩০ কোটি ১৪ লাখ ১৫ হাজার টাকায়।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। দিনভর এক কোটি ২২ লাখ ৪১ হাজার ৫৮৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৫১ কোটি ৩২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।

তৃতীয় কোম্পানি হিসেবে লেনদেন ১০০ কোটি ছুঁয়েছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ। কোম্পানির এক কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ১১৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১০৭ কোটি ৯৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা।

৪০ থেকে ৮০ কোটি টাকার মধ্যে লেনদেন হয়েছে শীর্ষে দশটি কোম্পানির। এ তালিকায় ছিল নাহি অ্যালুমিনিয়াম, জেএমআই হসপিটাল, বেক্সিমকো ফার্মা, ইস্টার্ন হাউজিং, একমি ল্যাব, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও মালেক স্পিনিং।

সূচক বাড়াল যারা

সবচেয়ে বেশি ১৬ দশমিক ১৪ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বিকন ফার্মা। শেয়ারটির দর ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ দর বেড়েছে।

বেক্সিমকো ফার্মার দর ৭ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১৬ দশমিক ০১ পয়েন্ট।

লাফার্জ হোলসিম সূচকে যোগ করেছে ৯ দশমিক ১৬ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৭১ শতাংশ।

এর বাইরে বেক্সিমকো লিমিটেড, ওরিয়ন ফার্মা, পাওয়ার গ্রিড, এমজেএল বাংলাদেশ, একমি ল্যাব, কোহিনূর কেমিক্যাল ও ইবনে সিনা ফার্মা সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট।

বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ৪ দশমিক ৮২ পয়েন্ট সূচক কমেছে আইসিবির দর পতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ২ দশমিক ২ শতাংশ।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট কমেছে ইউনাইটেড পাওয়ারের কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৯২ শতাংশ।

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলের দর ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ৩ দশমিক ১৪ পয়েন্ট।

এ ছাড়া রেনাটা, ইস্টার্ন হাউজিং, আরএকে সিরামিকস, স্কয়ার ফার্মা, বার্জার পেইন্টস, এফবিএফআইএফ ও ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দরপতনে সূচক কমেছে।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ২০ দশমিক ২ পয়েন্ট।

দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০

সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ দর বেড়েছে ওরিয়ন ফার্মার। শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১১৭ টাকা ১০ পয়সায়। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ১০৬ টাকা ৫০ পয়সায়।

এসিআই ফর্মুলা রয়েছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। বুধবার শেয়ারের দর ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়ে লেনদেন হয়েছে ১৯১ টাকা ৬০ পয়সায়।

৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ দর বেড়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে অ্যাডভেন্ট ফার্মা। সর্বশেষ শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ৩১ টাকায়। আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইস ছিল ২৮ টাকা ৫০ পয়সা।

এ ছাড়া দর বৃদ্ধির সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছে- ওরিয়ন ইনফিউশন, বিকন ফার্মা, ইবনে সিনা ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, কোহিনূর কেমিক্যাল ও বিডি ওয়েলডিং ইলেক্ট্রোডস লিমিটেড।

দর পতনের শীর্ষ ১০

এই তালিকার শীর্ষে ছিল ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড। ফান্ডটির প্রতি ইউনিটের দর ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ কমে সর্বশেষ ৬ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়।

পতনের তালিকায় পরের স্থানে রয়েছে আরেক মিউচ্যুয়াল ফান্ড। আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচ্যুয়ালের দর ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ কমে লেনদেন হয়েছে ৫ টাকা ১০ পয়সায়।

তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে ইস্টার্ন হাউজিং। ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ৮৫ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়।

দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল-

এফবিএফআইএফ, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল, এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল, সোনারগাঁও টেক্সটাইল ও গ্রামীণ ওয়ান: স্কিম টু মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

তবে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের এই দরপতন হয়েছে তাদের লভ্যাংশ সংক্রান্ত সমন্বয়ে। ফান্ডগুলো গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার রেকর্ড ডেট ছিল মঙ্গলবার।

এই ফান্ডগুলো ইউনিটপ্রতি সর্বনিম্ন ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ দেড় টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কিন্তু ফ্লোর প্রাইসের জন্য দর এত বেশি কমতে পারেনি। এই হিসেবে বিনিয়াগকারীরা ইউনিটপ্রতি ২০ পয়সা থেকে ৬০ পয়সা মুনাফা পেয়েছেন প্রথম দিনই।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
With the beginning of the transaction starting in the first hour of the capital market

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market With the fall of transactions in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।

এই সম‌য়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯‌টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২‌টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, ‌সেখা‌নে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

চট্টগ্রা‌মে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩‌টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬‌টির, কমেছে ৪৪‌টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market Most companies have decreased major collapse in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।

২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।

৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Transaction in Dhaka is going on in Chittagong

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।

এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।

সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।

দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

মন্তব্য

p
উপরে