× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Padma Bank gave financial donation to the family of the deceased worker
google_news print-icon

প্রয়াত কর্মীর পরিবারকে আর্থিক অনুদান দিল পদ্মা ব্যাংক

প্রয়াত-কর্মীর-পরিবারকে-আর্থিক-অনুদান-দিল-পদ্মা-ব্যাংক
প্রয়াত তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী রহিমা আক্তারের হাতে চেক তুলে দেন পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।

পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড প্রয়াত অ্যাসিসটেন্ট অফিসার (এও) মো. তোফায়েল আহমেদের পরিবারের কাছে কর্মী তহবিল ও অন্যান্য বিভিন্ন সুবিধার চেক হস্তান্তর করেছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে পদ্মা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রয়াত তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী রহিমা আক্তারের হাতে চেক তুলে দেন পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।

এ সময় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল আহসান চৌধুরী (চলতি দায়িত্ব), উপব্যবস্থাপনা পরিচালক জাবেদ আমিন, চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার এম আহসান উল্লাহ খান উপস্থিত ছিলেন।

পদ্মা ব্যাংকের গুলশান সাউথ শাখার কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ গত ২১ হৃদযন্ত্রের ক্রীড়া বন্ধ হয়ে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। তিনি স্ত্রী ও এক ছেলে-মেয়ে রেখে গেছেন।

আরও পড়ুন:
পদ্মা ব্যাংকে মিলছে পুরোনো গাড়ি কেনার ঋণও
শোক দিবসে পদ্মা ব্যাংকের আলোচনা সভা ও দোয়া
নতুন গভর্নরের পদক্ষেপে খেলাপি ঋণ কমবে: তারেক রিয়াজ খান
পদ্মা ব্যাংক ও ফ্লোরা সিস্টেমসের চুক্তি
সিএডি-এর আধুনিকায়ন ও কেন্দ্রীয়করণ করল পদ্মা ব্যাংক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
The confidence of investors is increasing and the capital market is turning around

আস্থা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের, ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পুঁজিবাজার

আস্থা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের, ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পুঁজিবাজার ডিএসইর একটি ব্রোকারেজ হাউসে বিনিয়োগকারীরা। ফাইল ছবি
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘আগাম শেয়ার নিষ্পত্তি, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশের মাধ্যমে তারল্য সহায়তা এবং সম্ভাব্য মূলধন লাভের কর কমানোসহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কারণে বাজারে ইতিবাচক চিত্র দেখা যাচ্ছে।’

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রেখেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেঞ্চমার্ক সূচক উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘আগাম শেয়ার নিষ্পত্তি, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (আইসিবি) মাধ্যমে তারল্য সহায়তা এবং সম্ভাব্য মূলধন লাভের কর কমানোসহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কারণে বাজারে এই ইতিবাচক পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে।’

বিনিয়োগকারীদেরও সচেতনভাবে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে দেখা যাচ্ছে। তারা হয় পূর্ববর্তী বিনিয়োগ থেকে মুনাফা সুরক্ষিত করেছে বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উপার্জনের প্রতিবেদনসহ স্টকগুলোতে মূলধন পুনরায় বিনিয়োগ করেছে। এই নির্বাচনমূলক পদ্ধতি আশার সঞ্চার করায় তা সামগ্রিক বাজারের গতিতে অবদান রেখেছে।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৬ দশমিক ৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে পাঁচ হাজার ৩১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় বাজার লেনদেন ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৬০৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা হয়েছে।

আগের পাঁচ সপ্তাহে ৬১৬ পয়েন্ট হারানোর পর টানা দুই সপ্তাহে ২০২ পয়েন্ট যোগ করেছে ডিএসইএক্স।

ডিএসইর খাতভিত্তিক সূচকগুলোকেও বেশ ভালো করতে দেখা গেছে। ৩০টি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস৩০ ইনডেক্স ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে লেনদেন শেষ করেছে। একইভাবে শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী ডিএসইএস সূচক ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকায়।

বাজার কার্যকলাপের একটি প্রধান সূচক বাজার লেনদেন এই সপ্তাহে তিন হাজার ২৯ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের দু’হাজার ৮৩ কোটি টাকার লেনদেনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সে হিসাবে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৬০৬ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের গড় ৪১৬ কোটি টাকার তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেশি।

আরও পড়ুন:
নীতি সহায়তার খবরে শেয়ারবাজারে সুবাতাস বইছে
পুঁজিবাজার সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক ধারায় ফেরার ইঙ্গিত
বেক্সিমকোর শেয়ার কারসাজি: নয় বিনিয়োগকারীকে ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা
ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি খতিয়ে দেখার নির্দেশ
শেয়ার কারসাজি: সাকিবকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
No shortage of foreign exchange Import essential goods Governor

বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি নেই, প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করুন: গভর্নর

বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি নেই, প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করুন: গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ছবি: সংগৃহীত
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সরকার শিগগিরই ‌এক কোটি সুবিধাভোগী পরিবারের প্রত্যেকের জন্য বর্তমান পাঁচ কেজি থেকে বাড়িয়ে ১০ কেজি করে প্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণ করবে। আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপণ্যের সহজলভ্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ওএমএস উদ্যোগের জন্য ট্রাকের সংখ্যা বাড়াচ্ছি।’

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার কোনো ঘাটতি নেই উল্লেখ করে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ে এক সভা শেষে ড. মনসুর সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রায় কোনো ঘাটতি নেই, যে কেউ এলসি খুলতে পারবেন।’

বাজারে চাহিদা পূরণে প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে ড. মনসুর ব্যবসায়ীদের দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এলসি খুলুন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করুন এবং বাজারের চাহিদা মেটান।’

গভর্নর মুক্তবাজার অর্থনীতিতে নিজের বিশ্বাস ও আস্থা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘বাজার শক্তি বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে সহায়তা করবে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। তবে পরিস্থিতি শান্ত হতে সময় লাগবে।’

ড. মনসুর রেশনিং কর্মসূচি সম্প্রসারণসহ মূল্যস্ফীতি কমানোর লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি ঘোষণা করেন সরকার শিগগিরই ‌কে কোটি সুবিধাভোগী পরিবারের প্রত্যেকের জন্য বর্তমান পাঁচ কেজি থেকে বাড়িয়ে ১০ কেজি করে প্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণ করবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপণ্যের সহজলভ্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) উদ্যোগের জন্য ট্রাকের সংখ্যা বাড়াচ্ছি।’

ড. মনসুর বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি শেষ পর্যন্ত একটি আর্থিক ঘটনা এবং এটি অবশ্যই কার্যকর মুদ্রানীতির মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে।’

তিনি অতিরিক্ত বাজার হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্ক করেন এবং অতীতের ঘটনাবলী স্মরণ করিয়ে দেন, যেখানে কঠোর পদক্ষেপের ফলে পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছিল।

গভর্নর বলেন, ‘আমরা যদি খুব বেশি চাপ প্রয়োগ করি তবে পণ্যগুলো বাজার থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে। ১/১১-এর সময়কালে এবং সাম্প্রতিক ডিম সংকটের সময়ও আমরা তা দেখেছি। বরং এর পরিবর্তে আমরা সংলাপের মাধ্যমে চাপ দিচ্ছি, অতিরিক্ত পর্যবেক্ষণ নয়।

‘আমরা বিশ্বাস করি যে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে, এটি কেবল সময়ের প্রয়োজন।’

সরবরাহ বাড়ানোর সরকারি প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত স্বস্তি আনতে সহায়তা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আরও পড়ুন:
চাল আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহার
চালের আমদানি শুল্ক পুরো মওকুফের সুপারিশ
বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রতি জেলায় টাস্কফোর্স গঠন হয়েছে: আসিফ মাহমুদ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Food inflation rose to 1266 percent in October

অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৬৬ শতাংশ

অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৬৬ শতাংশ
বিবিএসের সবশেষ তথ্য বলছে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি ২ দশমিক ৬ ও সাধারণ পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়েছে। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি অক্টোবরে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশে নেমে এসেছে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ।

চলতি বছরের অক্টোবরে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ২ দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়ে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সে হিসাবে এক মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২ দশমিক ২৬ শতাংশ।

আর সাধারণ পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আগের মাস সেপ্টেম্বরে তা ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। বৃদ্ধির হার দশমিক ৯৫ শতাংশ।

এদিকে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে অক্টোবরে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশে নেমে এসেছে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। সে হিসাবে কমার হার দশমিক ১৪ শতাংশ।

আরও পড়ুন:
জুলাইয়ে রেকর্ড উচ্চতায় মূল্যস্ফীতি
বাজারের সঙ্গে মিলছে না সরকারের মূল্যস্ফীতির হিসাব
জুনে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০.৪২
খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশ
মার্চে মূল্যস্ফীতি ৯.৮১ শতাংশ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
A call not to withdraw money from the bank unless necessary

প্রয়োজন ছাড়া ব্যাংক থেকে টাকা না তোলার আহ্বান

প্রয়োজন ছাড়া ব্যাংক থেকে টাকা না তোলার আহ্বান
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘অনেক গ্রাহক একসঙ্গে টাকা তুলতে যাওয়ায় কয়েকটি ব্যাংক তাদের টাকা দিতে পারছে না। জমাকৃত টাকা নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না। সবাই তাদের আমানত করা টাকা ফেরত পাবেন। সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে।’

গ্রাহকদের আমানত নিরাপদ উল্লেখ করে প্রয়োজন ছাড়া ব্যাংক থেকে টাকা না তোলার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বানের কথা জানিয়েছেন।

ব্যাংকিং খাতে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সব গ্রাহক একসঙ্গে টাকা তুলতে গেলে বিশ্বের কোনো ব্যাংকের পক্ষেই তা দেয়া সম্ভব নয়।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে অনেক গ্রাহক টাকা তুলতে যাওয়ায় কয়েকটি ব্যাংক তাদের টাকা দিতে পারছে না। জমাকৃত টাকা নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না। সবাই তাদের আমানত করা টাকা ফেরত পাবেন। সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে।’

গত আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের অধীনে থাকা ব্যাংকগুলোসহ ১১টি ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়।

এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে তারল্য সহায়তা দিতো। কিন্তু তা স্থগিত করায় অনেক ব্যাংক এখন গ্রাহকদের নগদ টাকা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।

ব্যাংক খাত সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্সের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে মুখপাত্র বলেন, ব্যাংকিং সংস্কার নিয়ে একটি টাস্কফোর্স কাজ করছে। জনবলের দক্ষতা বাড়াতে আরেকটি টাস্কফোর্স কাজ করছে। তৃতীয় টাস্কফোর্স পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে কাজ করছে। টাস্কফোর্সে বিভিন্ন দেশ থেকে আইনজীবী ও পরামর্শক নিয়োগের কাজ চলছে।

বর্তমান গভর্নরের মেয়াদে তিন দফায় নীতি সুদহার বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার বাড়িয়েছে বলেই এখন মূল্যস্ফীতি কমেছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে নয় দশমিক ৯২ শতাংশ, যা আগস্টে ছিল ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আগামী ছয় মাস এই পতনের ধারা অব্যাহত থাকলে তা ছয় শতাংশে নেমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
ইন্টারনেট না থাকলেও ব্যাংক চালু রাখতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক
কেন্দ্রীয় ব্যাংক একদিনে ধার দিলো ২৫ হাজার কোটি টাকা
ক্রেডিট কার্ড ও ঋণের কিস্তি পরিশোধে জরিমানা নয়
সাংবাদিকদের বর্জনের মধ্যে অনলাইনে মুদ্রানীতি প্রকাশ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
ঋণমুক্ত হওয়ার পথ সহজ করল বাংলাদেশ ব্যাংক

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
LPG price reduced by 7 paise per kg

এলপিজির দাম কেজিতে কমেছে ৭ পয়সা

এলপিজির দাম কেজিতে কমেছে ৭ পয়সা
বিইআরসির কর্মকর্তারা জানান, দেশের এলপিজি অপারেটররা সাধারণত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে পণ্য আমদানি করে থাকে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম উঠা-নামা না করায় স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম অপরিবর্তিতই থাকছে।

তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নভেম্বর মাসেও প্রায় একই রয়েছে। কেজিতে কমেছে ৭ পয়সা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে এই নতুন দাম কার্যকর হয়েছে।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) হিসাবে, নভেম্বর মাসে প্রতি কেজি এলপিজির দাম ১২১ টাকা ৩২ পয়সা থেকে কমে ১২১ টাকা ২৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিইআরসি নতুন দাম ঘোষণা করে বলেছে, ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছে এক টাকা।

একজন খুচরা গ্রাহক এখন ১২ কেজির সিলিন্ডার এক হাজার ৪৫৫ টাকায় (ভ্যাটসহ) কিনতে পারবেন, যা আগে ছিল এক হাজার ৪৫৬ টাকা।

মঙ্গলবার ঢাকায় নিজস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসি জানায়, অন্যান্য আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম সাড়ে পাঁচ কেজি থেকে কমিয়ে ৪৫ কেজি পর্যন্ত একই হারে কমবে।

বিইআরসির কর্মকর্তারা জানান, দেশের এলপিজি অপারেটররা সাধারণত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে তাদের পণ্য আমদানি করে থাকে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম উঠা-নামা না করায় স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম অপরিবর্তিতই থাকছে।

বিইআরসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অটো গ্যাসের (মোটরযানে ব্যবহৃত এলপিজি) দাম আগের ৬৬ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে কমে ৬৬ টাকা ৮১ পয়সা (ভ্যাটসহ) হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত করা স্থানীয় এলপিজির দাম একই থাকবে। এর মার্কেট শেয়ার ৫ শতাংশের কম।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় বাজারে এলপিজি ১২ কেজি সিলিন্ডারের সর্বোচ্চ দাম ছিল এক হাজার ৪৯৮ টাকা।

আরও পড়ুন:
এলপিজি: ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম বাড়ল ৮ টাকা
এলপিজির দাম আরও বাড়ল
১২ কেজির সিলিন্ডারে ২৯ টাকা বাড়ল এলপিজির দাম
এলপিজি: ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম বাড়ল ২৩ টাকা
এলপিজি: ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম বাড়ল ১৮ টাকা  

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
S Alam Group properties to be auctioned

এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি নিলামে

এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি নিলামে
এস আলম গ্রুপের কাছে পাওনা এক হাজার ৮৫০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য জনতা ব্যাংক গ্রুপটির অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন লিমিটেডের জামানত সম্পত্তি নিলাম করার ঘোষণা দিয়েছে। ২০ নভেম্বর এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।

বকেয়া ঋণের টাকা আদায়ে এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি নিলামে তুলছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। এস আলম গ্রুপের কাছে পাওনা এক হাজার ৮৫০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য জনতা ব্যাংক গ্রুপটির অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন লিমিটেডের জামানত সম্পত্তি নিলাম করার ঘোষণা দিয়েছে।

গত ১ নভেম্বর জনতা ব্যাংক পত্রিকায় নিলাম সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ২০ নভেম্বর নিলামের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তথ্য অনুযায়ী, এই ঋণের বিপরীতে বন্ধক রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম ও গাজীপুরে এস আলম গ্রুপের ১৮৬০ শতাংশ জমি, যার বাজারমূল্য সর্বোচ্চ ৩৫৮ কোটি টাকা। এই দাম পাওনা টাকার এক পঞ্চমাংশেরও কম। ফলে এই সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করেও খেলাপি ঋণ পুরোপুরি আদায় করা সম্ভব নয়।

বকেয়া বাকি টাকা আদায়ে আরও আইনি পদক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে। অর্থঋণ আদালত আইনের ১২(৩) ধারা অনুযায়ী, ব্যাংক মামলা করার আগেই জামানতের সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা আদায় সম্ভব।

দেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) ২০২১ সালের এক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকা না মেনে ঋণসীমা অতিক্রম করে অতিরিক্ত ঋণ নিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালে সাধারণ বিমা ভবনে অবস্থিত জনতা ব্যাংকের চট্টগ্রাম করপোরেট শাখা থেকে গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন প্রাথমিকভাবে ৬৫০ কোটি টাকা ঋণ নেয়। এই ঋণ ২০২১ সাল পর্যন্ত সুদ-আসলে মোট এক হাজার ৭০ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় পৌঁছেছে।

এর মধ্যে ৬১৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা পিএডি (পেমেন্ট এগেইনস্ট ডকুমেন্ট), ২২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা এলটিআর (ট্রাস্ট রিসিপ্ট) ঋণ এবং ২২৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা সিসি হাইপো ঋণ। সুদ-আসল মিলিয়ে ঋণের পরিমাণ ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৫০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
টাকা না পেয়ে সিলেটে ন্যাশনাল ব্যাংকে গ্রাহকদের তালা
এস আলম পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Helal Ahmed is the new chairman of BASIC Bank

বেসিক ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান হেলাল আহমেদ

বেসিক ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান হেলাল আহমেদ হেলাল আহমেদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
পূবালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হেলাল আহমেদ চৌধুরীকে তার যোগদানের তারিখ থেকে তিন বছর মেয়াদে বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হেলাল আহমেদ চৌধুরীকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আগামী তিন বছর তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

গত ৩১ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপ-সচিব আফছানা বিলকিসের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেয়া হয়।

সোমবার প্রকাশ করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, হেলাল আহমেদ চৌধুরীকে তার যোগদানের তারিখ থেকে তিন বছর মেয়াদে বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১-এর বিধান অনুসারে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে ৯ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাসেমকে অপসারণ ক‌রে‌ সরকার। যিনি ২০২০ সালে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন:
দুই মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব
আট জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক
পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হলেন নিয়ামত উল্লাহ
পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ
তিন দেশের রাষ্ট্রদূতের নিয়োগ বাতিল

মন্তব্য

p
উপরে