দুই দিনের দর সংশোধন শেষে পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হঠাৎ করে যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে সেটি স্পষ্ট লেনদেনে।
টানা সাত কর্মদিবস পৌনে দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে লেনদেন সোমবারই নেমে গিয়েছিল দেড় হাজার কোটির নিচে। সেটি আরও কমল মঙ্গলবার।
১৩ কর্মদিবসের মধ্যে ১২দিন সূচক বেড়ে বিনিয়োগকারীরা যখন গত ১০ মাসের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার আশায়, এমন পরিস্থিতিতে রোববার লেনদেনের অর্ধেক সময় পর্যন্ত সূচক ৭৮ পয়েন্ট বেড়েও পরে বেলা শেষে ১৮ পয়েন্ট পতন সাধারণ সংশোধন ছিল কি না এ নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
এই দরপতন শেষে দেশের বাইরে অবস্থান করা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম একটি বার্তা পাঠান যে, পুঁজিবাজারের ফ্লোর প্রাইস এখনই তোলে নেয়া হচ্ছে না। তিনি জানান, এই ফ্লোর প্রাইস নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে, যে গুজবে আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহেও দরপতন হয়েছিল।
এরপর সোমবার পতন হয় আরও বেশি। এক পর্যায়ে ৬৮ পয়েন্ট পড়ে গিয়েও পরে ৫৮ পতন হয়। সেদিন লেনদেন নেমে আসে এক হাজার ৪০০ কোটি টাকাতে, যা আগের দিন দুই হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি ছিল।
এদিনও বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ পুঁজিবাজারে বার্তা পাঠান যে, ফ্লোর প্রাইস অনির্দিষ্টকালের জন্য দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই।
অবশ্য ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী মনে করেন, এটি সাধারণ প্রফিট টেকিং। গত ৩১ জুলাই থেকে পুঁজিবাজার ক্রমাগত বাড়ছিল। এক টাকা ৫০০ পয়েন্ট বাড়ার পর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেবেন-এটাই স্বাভাবিক।
এর মধ্যে বিএসইসিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া একটি চিঠি ভাইরাল হয়। সম্প্রতি ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিট গণনাপদ্ধতি শেয়ারের ক্রয়মূল্যে করার কারণে ব্যাংকের বিনিয়োগের সুযোগ অনেক বেড়েছে। পুঁজিবাজারের পাশাপাশি ব্যাংকগুলোকে বন্ডে নিয়োগে উৎসাহ দিয়ে চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, পুঁজিবাজারের নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
গুজব নাকি প্রফিট টেকিং-এ নিয়ে যখন সমীকরণ মেলাতে ব্যস্ত বিনিয়োগকারীরা, সে সময় মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স শুরুতে বেড়ে গিয়েও বেলা ১২টা ৪১ মিনিটে আগের দিনের প্রায় সমান অবস্থানে চলে আসে আর তা দ্রুত নিচের দিকে নামছিল।
টানা তৃতীয় দিন দরপতন হয় কি না, এই শঙ্কার মধ্যে এখান থেকেই শুরু হয় ঘুরে দাঁড়ানো। পরের এক ঘণ্টায় সেখান থেকে ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে বিনিয়োগকারীদের মনের চাপ কিছুটা দূর করে পুঁজিবাজার।
শেষ মুহূর্তের সমন্বয় শেষে আগের দিনের তুলনায় সূচক বাড়ে ৩৯ পয়েন্ট, যা গত দুই দিনে কমেছিল ৭৬ পয়েন্ট। এর আগের ২৩ কর্মদিবসে বেড়েছিল ৫২৮ পয়েন্ট।
৩১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া উত্থানের মধ্যে দুই দিনের সংশোধন কিছুই না। তবে পুঁজিবাজারে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নানা ঘটনাপ্রবাহের কারণেও এই ‘বিশ্রামও’ যে বিনিয়োগকারীদের মনে চাপ তৈরি করেছে, সেটি স্পষ্ট লেনদেনেই। আগের দিন লেনদেন কমেছিল আট শ কোটি টাকারও বেশি। সেখান থেকে মঙ্গলবার কমে আরও প্রায় ৭০ কোটি টাকার বেশি।
দিন শেষে হাতবদল হয় ১ হাজার ৩১৫ কোটি ৪ লাখ ৯২ হাজার টাকার শেয়ার, যা আগের দিন ছিল এক হাজার ৪০০ কোটি ৬৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। বোরবার লেনদেন ছিল ২ হাজার ২৯৬ কোটি ৩৯ লাখ ২ হাজার টাকা।
সূচক বাড়লেও কমেছে বেশিরভাগ শেয়ারর দর। ১৪৬টির দর হারানোর বিপরীতে বেড়েছে ১২৭টির দর। ৯৪টি হাতবদল হয়েছে আগের দিনের দরে।
আগের দিন বাড়ে কেবল ৩৮টি কোম্পানির দর, বিপরীতে কমে ২৬৩টির। তার আগের দিনের দরে হাতবদল হয় ৬৮টি কোম্পানির শেয়ার।
লেনদেন নিয়ে ট্রেজার সিকিউরিটিজের চিফ অপারেটিং অফিসার মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত দুই দিন খুব বড় পতন ছিল এমন নয়। বরং যা পড়েছে তা খুবই স্বাভাবিক ছিল। কয়েকদিন উত্থানের পরে প্রফিট টেকিং হয়েছিল। টার্নওভার একদিক থেকে ভালো বলা যায়। কারণ খুব বেশি সেল প্রেসার ছিল না।’
সূচক বাড়াল যারা
সবচেয়ে বেশি ১৩ দশমিক ৮১ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বিকন ফার্মা। শেয়ারটির দর ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ দর বেড়েছে।
ওরিয়ন ফার্মার দর ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৫ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট।
লাফার্জ হোলসিম সূচকে যোগ করেছে ৪ দশমিক ৭১ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ২ দশমিক ০৯ শতাংশ।
এর বাইরে বেক্সিমকো ফার্মা, বসুন্ধরা পেপার মিল, বাংলাদেশ সাবেমেরিন ক্যাবল, কোহিনূর কেমিক্যাল, আরএকে সিরামিকস, রেনাটা ও বেক্সিমকো সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৮২ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ৪ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট সূচক কমেছে গ্রামীণফোনের দর পতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে শূন্য দশমিক ৪৯ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৬২ পয়েন্ট কমেছে ইউনাইটেড পাওয়ারের কারণে। শেয়ার প্রতি দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ।
আইপিডিসির দর ২ দশমিক ৩২ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ১ দশমিক ৪১ পয়েন্ট।
এ ছাড়া ডেল্টা লাইফ, পাওয়ার গ্রিড, আইসিবি, আইডিএলসি, ইউনিলিভার, ন্যাশনাল টি ও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১৪ দশমিক ৭২ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ দর বেড়েছে সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজের। শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৭৪ টাকা ৮০ পয়সায়। আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ৬৮ টাকায়।
বসুন্ধরা পেপার রয়েছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। কোম্পানির মুনাফা আগের চেয়ে কমলেও বেশ কয়েকদিন থেকে দর বাড়তে দেখা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার শেয়ারের দর ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৩ টাকা ১০ পয়সায়।
৯ দশমিক ৯০ শতাংশ দর বেড়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। সর্বশেষ শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ১০৬ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৯৬ টাকা ৯০ পয়সা।
দর বৃদ্ধির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে সি পার্ল, আরএসআরএম স্টিল, বিকন ফার্মা, ওরিয়ন ইনফিউশন, হাক্কানি পাল্প, কৌহিনূর কেমিক্যাল ও বিডি ওয়েলডিং।
দর পতনের শীর্ষ ১০
এই তালিকার শীর্ষে ছিল ফিনিক্স ফাইন্যান্স। শেয়ারটির দর ১০ দশমিক ১০ শতাংশ কমে সর্বশেষ ১৬ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়।
ঋণ কেলেঙ্কারি ও লোকসানে ডুবে থাকা ইউনিয়ন ক্যাপিটাল দর পতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল। শেয়ারটির দর ৭ দশমিক ০১ শতাংশ কমে লেনদেন হয়েছে ১০ টাকা ৬০ পয়সায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে ন্যাশনাল টি কোম্পানি। ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ৭২৫ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়।
দর কমার শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল- এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড, ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইএফআইএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড-১, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স করপোরেশন ও হা-ওয়েল টেক্সটাইল।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য