খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে ১০ লাখ ৩০ হাজার টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন গম এবং ভারত থেকে ১ লাখ টন চাল, ভিয়েতনাম থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টন এবং মিয়ানমার থেকে ২ লাখ টন চাল আমদানি করব। এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ মজুত আছে আমাদের। ফলে দাম কমতির দিকে রয়েছে। সামনে আরও কমে যাবে।
‘সরকারিভাবে আমরা আরও চাল কিনব। এই অর্থবছরে ১০ লাখ টনের বেশি চাল আমদানির চিন্তাভাবনা রয়েছে। এ বছর জলবায়ু পরিস্থিতি খারাপ হলে আমন সংগ্রহ কম হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে, তবে আমাদের গম নিয়ে যে সংকট ছিল, সেটা কেটে গেছে। আমাদের বছরে ৭ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন আসবে, পাইপ লাইনে রয়েছে এক লাখ টন এবং গুদামে মজুত আছে এক লাখ ৩০ হাজার টন গম।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলাম। সেখানে ২৫ শতাংশ শুল্ক থাকার কারণে ৪৭ হাজার টনের মতো চাল এসেছে। শুল্ক আরও ১০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছি। আমরা আশা করি কিছু চাল আরও আসবে। মোটা চাল নয়, নন-বাসমতি মধ্যম মানের সরু চাল আসবে বলে আমার বিশ্বাস।’
‘চাল আমদানির ক্ষেত্রে নতুন করে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা চাল আনতে পারবেন তারা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।’
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারিভাবে ভিয়েতনাম থেকে ২ লাখ টন সিদ্ধ ও ৩০ হাজার টন আতপ মিলে মোট ২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল আনা হচ্ছে। এক লাখ টন ভারত থেকে চাল কেনা হবে। রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন গম আনার জন্য ইতোমধ্যে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন নেয়া হয়েছে। এরপর চুক্তি হয়েছে। আজকালের মধ্যে হয়তো এলসিও হয়ে যাবে। এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে আরও ২ লাখ টন চাল আনার প্রস্তাব আগামীকাল ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে যাচ্ছে।’
তিনি জানান, ভিয়েতনাম থেকে আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি টন সিদ্ধ চাল ৫২১ ডলার ও আতপ চাল ৪৯৪ ডলার করে পড়বে। আর ভারত থেকে প্রতি টন চাল আনতে খরচ হবে ৪৪৩ দশমিক ৫ ডলার।
সরকারিভাবে আরও চাল কেনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কারণ এবার প্রকৃতির অবস্থা খারাপ। আমনের ফলন কম হতে পারে। খরাকে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হলো এটা।’
যতদিন দরকার ওএমএস কার্যক্রম
বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার জন্য যতদিন প্রয়োজন ততদিন সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় খোলাবাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রি বা ওএমএস কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বছরে ৫ মাস (মার্চ থেকে এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর) চলে। যদি বাড়াতে হয় সেটা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত। ওএমএস কর্মসূচি বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য যতদিন প্রয়োজন ততদিন রাখব।’
ওএমএস কার্যক্রমের কারণে চালের দাম নিম্নমুখী বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আমরা মনিটর করছি। জরিমানা থেকে আরম্ভ করে ইতোমধ্যে মামলাও হয়েছে। কারও কারও হাইকোর্ট থেকে জামিনও নিতে হয়েছে৷ আমরা একেবারে মনিটরিংয়ের মধ্যে রাখি না, তা নয়। আমরা প্রচুর পরিমাণে মনিটর করছি, কিন্তু আপনাদের কাছে আমি যে অনুরোধ প্রতিদিনই করি, দোষীটা কে?
‘মিলগেট, পাইকারি এবং খুচরা, আপনারা যদি তিনটা জায়গায় যান, তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে। একটা খুচরা মার্কেটে দেখেন যে, একদম তার ছাদ পর্যন্ত ঠেকিয়ে চাল আছে৷ ধরলে বলে যে মিলের সিন্ডিকেট। মধ্যস্বত্বের কথা কেউ বলে না। আপনারা বাবু বাজারে কেউ যান না, পাইকারি বাজারে যান না৷ অতএব আপনাদের আমি বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করছি, তিনটা জায়গাতে গিয়ে আপনারা যদি একটু ধরিয়ে দেন, আমরা অ্যাকশন নিতে পারি কি না পারি সেটা দেখেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি মানুষ কষ্টে আছে। সরকার কাজ করছে। আমাদের সর্বত্র মনিটরিং আছে। জেলা প্রশাসন, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও মনিটরিং করছেন।’
বিগত বোরো মৌসুমে ১১ লাখ ২১ হাজার ৯১০ টন সিদ্ধ চাল চাল সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আতপ চাল ৫০ হাজারের জায়গায় ৫৫ হাজার ২০৮ টন আমরা সংগ্রহ করেছি। খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যতটুকু বেশি পেরেছি আমরা কিনেছি, কিন্তু ৬ লাখ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আমরা ২ লাখ ৬৮ হাজার ২৪৮ টন কিনতে পেরেছি।
‘ধানটাও আমরা নিরাপত্তা মজুতের জন্য কিনে থাকি। ধানটা রাখা হয় এ জন্য যে, বাজারে যদি ধানের দাম কমে যায়, কৃষকরা যেন বিপদে না পড়ে। সরকার যদি ধানের বাজারে থাকে, তাহলে সিন্ডিকেট করে কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে ধান কিনতে পারবে না, তবে আমাদের রেটের চেয়েও কৃষকরা বাজারে বেশি দাম পেয়েছে। এ জন্য ধানটা আমরা শতভাগ কিনতে পারিনি।’
চালের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হবে—বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ট্যারিফ কমিশন আলাপ-আলোচনা করে যদি মনে করে ঠিক আছে, আমরা এটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।’
আরও পড়ুন:দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে বিগত বছরগুলোর প্রতিকূলতা কাটিয়ে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। চলতি বছর ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। যার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি হিসাব বছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’২০২৩-মার্চ’২০২৪) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ওয়ালটন হাই-টেকের মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা বা ২০৫ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা ব্যাপক বৃদ্ধিসহ আর্থিক প্রায় সব সূচকেই উন্নতি হয়েছে।
ওয়ালটন হাই-টেকের চলতি হিসাব বছরের জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ের প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
রোববার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৩৮তম সভায় আলোচ্য সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২০২৪ হিসাব বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬২.৩৪ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৪৯.৯১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২০৫ শতাংশ।
এদিকে চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২০২৪) ওয়ালটনের মুনাফা হয়েছে ৪২১.৯৮ কোটি টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৩৫.৫৫ কোটি টাকা।
বিক্রয় বৃদ্ধির পাশাপাশি কস্ট অব গুড্স সোল্ড উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির মোট মুনাফার শতকরা হার পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সূচকেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেকের। তাছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাপক হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস), শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস)।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে (জুলাই’২০২৩-মার্চ’২০২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.১৭ টাকা; যা আগের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিলো ৮.২৫ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির এনএভিপিএস পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত দাঁড়িয়েছে ২৫৮.২২ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৫৯.৬৮ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২২.৮৮ টাকা।
চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ ও শতকরা হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। প্রথম নয় মাসে বিক্রয়ের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে ৬.১৪ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিলো ১৪.৭৯ শতাংশ।
এ ছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় গত অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটি ৩৯২.৭৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলো। সেই ক্ষতি চলতি বছরের আলোচ্য সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়ে মাত্র ৪১.৬০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
এদিকে জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬৩.০৭ কোটি টাকা, যা পূর্বের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিল ৬০৪.৭৯ কোটি টাকা।
এছাড়া, শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২০২৪) কোম্পানির মুনাফা আরো দৃঢ় অবস্থানে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওয়ালটন ম্যানেজমেন্ট। প্রেস রিলিজ
শীর্ষস্থানীয় রাইড শেয়ারিং অ্যাপ উবারের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড ইনডেক্স-এর অষ্টম সংস্করণ প্রকাশ হয়েছে রোববার।
উবার ব্যবহারকারীরা কোন জিনিসগুলো গাড়িতে সবচেয়ে বেশি ফেলে রেখে গেছেন এবং দিনের কোন সময়ে, সপ্তাহের কোন দিনে ও বছরের কোন সময়ে হারানো জিনিস রিপোর্ট করেছেন, এসব তথ্যের একটি স্ন্যাপশট হলো এ ইনডেক্স।
গত এক বছরের মে ও জুন মাসে বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি জিনিসপত্র ভুলে ফেলে রেখে গেছেন। বেশির ভাগ জিনিসপত্র ফেলে রেখে আসার ঘটনাটি ঘটেছে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে।
গত বছর বাংলাদেশজুড়ে যাত্রীদের ভুলে যাওয়া জিনিসের তালিকায় প্রথম দুটি স্থানে ছিল পোশাক ও ছাতা। তালিকায় এর পরেই ছিল ওয়ালেট, বালিশ ও হেডফোন।
বাংলাদেশিরা উবারে এ রকম সাধারণ জিনিসপত্র যেমন ভুলে ফেলে রেখে গেছেন, স্পিকারের মতো অপ্রত্যাশিত জিনিসও তেমনি ভুলে রেখে গেছেন।
উবার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস কামাল লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড ইনডেক্স সম্পর্কে বলেন, ‘যাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য উবারের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ট্রিপের সময় যাত্রীদের ফেলে যাওয়া জিনিস নিরাপদে তাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়াও এর অন্তর্ভুক্ত। হারানো জিনিস খুঁজে পেতে উবারের কিছু ইন-অ্যাপ অপশন আছে।
‘এ ব্যাপারে যাত্রীদের জানানোর জন্য লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড ইনডেক্স একটি চমৎকার শিক্ষণীয় উপায়। যাত্রীদের আমরা জানাতে চাই যে, রাইডের সময় তারা কিছু ভুলে ফেলে গেলে তাদের সাহায্য করার জন্য আমরা প্রস্তুত।’
ফেলে যাওয়া জিনিস উদ্ধারের উপায়
গাড়িতে ফেলে যাওয়া কোনো জিনিস উদ্ধারের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো চালককে কল করা। কীভাবে করবেন জেনে নিন।
১. ‘ইয়োর ট্রিপস’ অপশনে ট্যাপ করুন এবং যে ট্রিপে আপনার জিনিসটি হারিয়ে গেছে, তা সিলেক্ট করুন
২. নিচে স্ক্রল করে ‘ফাইন্ড লস্ট আইটেম’ অপশনে ট্যাপ করুন
৩. ‘কনটাক্ট ড্রাইভার অ্যাবাউট আ লস্ট আইটেম’ অপশনে ট্যাপ করুন
৪. স্ক্রল করে নিচে নামুন এবং আপনার সঙ্গে যোগযোগ করা যাবে এমন একটি ফোন নম্বর লিখুন। সাবমিট অপশনে ট্যাপ করুন
৫. যদি নিজের ফোন হারিয়ে যায়, তাহলে আপনার বন্ধুর ফোন নম্বর ব্যবহার করুন (এর জন্য আপনাকে কম্পিউটার বা বন্ধুর ফোন থেকে নিজের অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে হবে)
৬. আপনার ফোন বেজে উঠবে এবং আপনার চালকের মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আপনাকে সরাসরি যুক্ত করে দেয়া হবে
৭. যদি চালক ফোন ধরেন এবং নিশ্চিত করেন যে আপনার জিনিসটি পাওয়া গেছে, সেটি ফিরিয়ে নিতে উভয়ের জন্য সুবিধাজনক একটি সময় ও স্থান নির্বাচন করুন
৮. যদি চালকের সাথে যোগাযোগ করতে না পারেন, আপনার হারানো জিনিসটির বিস্তারিত বর্ণনা এবং আপনার সঙ্গে যোগাযোগের উপায় জানিয়ে চালককে একটি ভয়ে সমেইল পাঠিয়ে রাখুন
উবারে কিছু হারিয়ে ফেললে সহজে কীভাবে তা ফিরে পেতে পারেন, এই ভিডিও থেকে তা দেখে নিন।
উবার যাত্রীরা যেসব জিনিস সবচেয়ে বেশি ভুলে ফেলে রেখে গেছেন, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পোশাক। এরপরই রয়েছে ছাতা, ওয়ালেট, নেক-পিলো, হেডফোন ও স্পিকার।
যে শহরগুলোতে যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি জিনিস হারিয়েছেন, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা। এরপরের স্থানগুলো যথাক্রমে চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল।
বছরের যে দিনগুলোতে যাত্রীরা সবচেয়ে বেশিসংখ্যক জিনিস ভুলে রেখে গেছেন তার মধ্যে রয়েছে ১৩ মে, ২০২৩। এ ছাড়া ৯ জুন এবং ১৬ জুন, ২০২৩ বেশি ভুল করেছেন যাত্রীরা।
সপ্তাহের শুক্র, শনি ও রোববার সবচেয়ে বেশি জিনিস হারিয়েছে।
দিনের যে সময়ে যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি জিনিস ফেলে রেখে যান, তার সময় রাত আটটা। এরপরই সন্ধ্যা সাতটা ও রাত ৯টায় বেশি জিনিস ফেলে রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন:কমানোর পরের দিনই বাড়ল স্বর্ণের দাম। ভালো মান বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৬২৯ টাকা। এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৭ টাকা।
রোববার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৫১৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৪২০ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল দেশের বাজারে রেকর্ড স্বর্ণের দাম বাড়ায় বাজুস। ওই সময় ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়ানো হয়। তাতে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। এটিই সোনার সর্বোচ্চ দাম ছিল। পরে শনিবার ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম কমে ৮৪০ টাকা। এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১২৮ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪ হাজার ৯৬ কোটি টাকা।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্যমতে, এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে বৈধপথে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১ কোটি ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার এসেছে।
এর আগে মার্চ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে এসেছে ২১০ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
ই-ক্লাবের (ইসি) উদ্যোগে ঈদ রি-ইউনিয়ন ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে রাজধানীর রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের ওয়াটার ফল কনভেনশন সেন্টারে।
ইসি সভাপতি প্রফেসর মুহাম্মদ শাহ আলম চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধান অতিথি ই-ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা শাহরিয়ার খান বলেন, ‘ই-ক্লাব পরিবার এখন অনেক বড়। ক্লাবের পরিধি বাড়িয়ে পৃথিবীর কয়েকটি দেশে চ্যাপ্টার ওপেন হয়েছে।
‘বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় চ্যাপ্টার ওপেন প্রক্রিয়াধীন। ভিন্নতা, প্রসার, গল্পের শুরু যেখানেই, নেটওয়ার্ক বাস্কেটসহ বিভিন্ন প্রোগ্রামের যাত্রা শুরু হয়েছে।’
ঈদ রি-ইউনিয়ন ও বাংলা নববর্ষের উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবারের (মুড়ি-মুরকি, বাতাসা, ফুচকা, ঝালমুড়ি) আয়োজন করা হয়। মেহেদীর রঙে হাত রাঙান অনেক নারী সদস্য।
ইসির সহসভাপতি সজিবুল আল রাজীব, মো. জসিম উদ্দিন, গভর্নিং বোডির চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, ফাউন্ডার মেম্বার আবুল হাশেমসহ অনেক সদস্য তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকরা তাদের প্রকল্পের বিষয়ে মূল বিষয়গুলো অংশগ্রহণকারীদের সামনে তুলে ধরেন।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর মুহাম্মদ শাহ আলম চৌধুরী বলেন, ‘ই-ক্লাব পরিবারের সকল সদস্য অত্যন্ত আন্তরিক। তাদের সহযোগিতা নিয়ে ই-ক্লাব এগিয়ে যাবে।’
আয়োজনের আহ্বায়ক লায়ন ফাহমিদা অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানান। ক্লাব সদস্যদের অংশগ্রহণে ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হয়।
ইসির অফিস সেক্রেটারি জিসান প্রোগ্রামটি উপস্থাপন করেন। ডিনার ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে এটি শেষ হয়।
আরও পড়ুন:পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই-রাহাজানিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অপরাধে দেশে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ গ্রেপ্তার হয়। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ও রিজভী সাহেবরা গ্রেপ্তারের যে হিসাব দিচ্ছেন, তাতে মনে হচ্ছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত, পুলিশের খাতায় অপরাধীদেরও বিএনপি তাদের কর্মী বলে দাবি করছে।’
শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে চিটাগাং উইমেন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত ১৪তম আন্তর্জাতিক উইমেন এসএমই এক্সপো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির কোনো নেতা কিংবা কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা দেয়া হয় না। তাদের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো হয়েছে সেগুলো গাড়ি পোড়ানো, পুলিশ এবং জনগণের ওপর হামলাসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মামলা। এসব মামলায় তারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা বিচারাধীন।’
সরকার চোরাবালিতে দাঁড়িয়ে আছে- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, ‘এটা গত ১৫ বছর ধরে শুনতে পাচ্ছি। তবে চোরাবালিটা এত শক্ত যে তাদেরকে আরও বহু বছর অপেক্ষা করতে হবে।’
বিএনপি নেতারা দলটা টিকিয়ে রাখার জন্য গতানুগতিক কিছু কর্মসূচি পালন করে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গাড়ি যখন বসে যায় তখন সেটির ব্যাটারি মাঝে-মধ্যে স্টার্টে রাখতে হয়। বিএনপিও পুরনো গাড়ির মতো বসে গেছে।’
এর আগে এসএমই এক্সপো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামর সন্তান ড. হাছান নিয়মিত এই আয়োজনের জন্য চিটাগাং উইমেন চেম্বারের প্রশংসা করেন।
চেম্বারের সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, শামীমা হারুন লুবনা এমপি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন:কিশোরগঞ্জের আলোচিত পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া টাকার পরিমাণ রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। শনিবার দানবাক্স খুলে ২৭ বস্তা টাকা পাওয়ার পর গণনা শুরু হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত গণনায় ৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়ার ঘটনা দীর্ঘদিনের। তবে এর আগে ২০২৩ সালে পাওয়া গিয়েছিল রেকর্ড পরিমাণ অর্থ। ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর তিন মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলার পর ২৩টি বস্তায় ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।
ঐতিহাসিক এই মসজিদের দানবাক্সে একসঙ্গে এতো টাকা পাওয়াটা তখন ছিল নতুন রেকর্ড। এবার সেই রেকর্ডও ছাড়িয়ে গেছে। তবে টাকার সুনির্দিষ্ট অংকটা জানতে আরও বেশকিছু সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কেননা গণনা শেষ হতে রাত ১০টা বাজতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ।
সন্ধ্যা সাড়ে টার দিকে রুপালী ব্যাংকের এজিএম রফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা শহরের ঐতিহাসিক মসজিদটিতে ৯টি দানবাক্স রয়েছে। এগুলো প্রতি তিন মাস পরপর খোলা হয়। পবিত্র রমজানের কারণে এবার খোলা হয়েছে চার মাস ১০ দিন পর।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার ৯টি দানবাক্স খুলে ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।
টাকা গণনার কাজে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছাড়াও মাদ্রাসার ১১২ ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ কর্মী, মসজিদ কমিটির ৩৪ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।
দানবাক্সগুলো খোলার পর গণনা দেখতে মসজিদের আশপাশে ভিড় করেছেন উৎসুক মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকে এসেছেন দূর-দুরান্ত থেকে।
মসজিদটিতে নিয়মিত টাকা ছাড়াও অলঙ্কার, হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।
জেলা শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে পাগলা মসজিদটি গড়ে ওঠে। সম্প্রসারণের পর মসজিদের আওতাভুক্ত জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে তিন একর ৮৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য