× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Reserves are falling below 38 billion
google_news print-icon

৩৮ বিলিয়নের নিচে নামছে রিজার্ভ

৩৮-বিলিয়নের-নিচে-নামছে-রিজার্ভ
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই-আগস্ট মেয়াদের আমদানির বিল এসেছে ১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। রবি অথবা সোমবার এই দেনা পরিশোধ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন রিজার্ভ কমে ৩৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে ৩৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে বলে হিসাব বলছে।

আমদানি ব্যয় কমার পরও বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের ওপর চাপ কমছে না। ডলার বিক্রির চাপে কমেই চলেছে অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এই সূচক। দু-এক দিনের মধ্যেই রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৯ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার।

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই-আগস্ট মেয়াদের আমদানির বিল এসেছে ১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। রবি অথবা সোমবার এই দেনা পরিশোধ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন রিজার্ভ কমে ৩৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে ৩৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছাবে বলে হিসাব বলছে।

দেশের অর্থনীতির সূচকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয় এখন রিজার্ভ নিয়ে। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার রিজার্ভ তলানিতে নামার পর দেশটি মহাসংকটে পড়ার পর থেকেই বাংলাদেশেও রিজার্ভ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে মানুষের মধ্যে।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অর্থনীতির গবেষক আতিউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেছেন, ‘বর্তমান বিশ্ব পেক্ষাপটে রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলারে নামলেও কোনো সমস্যা নেই। কেননা, এই রিজার্ভ দিয়ে ছয় মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আমদানি কমছে; রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ছে। এ অবস্থায় আগামী দিনগুলোতে রিজার্ভ বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে।’

আরেক অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক মঞ্জুর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশের একশ্রেণির মানুষ রিজার্ভ নিয়ে অযথাই হা-হুতাশ করে। আমি মনে করি, আমাদের রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে যতদিন থাকবে; ততদিন উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।’

ডলারের বাজারে ‘স্থিতিশীলতা’ আনতে গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেই চলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবারও কয়েকটি ব্যাংকের কাছে ৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়েছে।

সব মিলিয়ে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের দুই মাস এক দিনে (১ জুলাই থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) রিজার্ভ থেকে ২৫৬ কোটি ৯০ লাখ (২.৫৭ বিলিয়ন) ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

অব্যাহতভাবে ডলার বিক্রির কারণেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়ার পরও রিজার্ভ কমছে বলে জানিয়েছেন সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান।

মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক রাখতে ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ৭৬৭ কোটি (৭.৬৭ বিলিয়ন) ডলার বিক্রি করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই রিজার্ভ থেকে এক অর্থবছরে এত ডলার বিক্রি করা হয়নি।

অথচ তার আগের অর্থবছরে (২০২০-২১) বাজারে ডলারের সরবরাহ বাড়ায় দর ধরে রাখতে রেকর্ড প্রায় ৮ বিলিয়ন (৮০০ কোটি) ডলার কিনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

গত ১২ জুলাই আকু মে-জুন মেয়াদের ১ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। এরপর ২০ জুলাই পর্যন্ত রিজার্ভ ৩৯ দশমিক ৮০ থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ওঠানামা করে। জুলাইয়ের শেষে তা কমে ৩৯ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।

রেমিট্যান্স বাড়ায় জুলাইয়ের শেষের দিকে রিজার্ভ বেড়ে ৩৯ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারে ওঠে। ডলার বিক্রির কারণে তা ফের নিম্নমুখী হয়।

অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গত বছরের আগস্টে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের যে মাইলফলক অতিক্রম করেছিল, তাতে বাজার থেকে ডলার কেনার অবদান ছিল বলে জানান মঞ্জুর হোসেন।

করোনা মহামারির কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরজুড়ে আমদানি বেশ কমে গিয়েছিল। কিন্তু প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে উল্লম্ফন দেখা যায়। সে কারণে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়ে যায়। সে পরিস্থিতিতে ডলারের দর ধরে রাখতে ওই অর্থবছরে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার কিনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কিন্তু আগস্ট থেকে দেখা যায় উল্টো চিত্র। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে আমদানি ব্যয়। রপ্তানি বাড়লেও কমতে থাকে রেমিট্যান্স। রিজার্ভও কমতে থাকে। বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়; বাড়তে থাকে দাম। বাজার স্থিতিশীল রাখতে আগস্ট থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক, চলে পুরো অর্থবছর।

সেই ধারাবাহিকতায় চাহিদা মেটাতে নতুন অর্থবছরেও (২০২২-২৩) ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় বিক্রি হয়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই একই জায়গায় ‘স্থির’ ছিল ডলার। এর পর থেকেই বাড়তে থাকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রার দর।

এই হিসাবে আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে এক বছরে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েছে ১২ শতাংশের বেশি।

তবে চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সপ্রবাহ ফের বাড়তে শুরু করেছে। একই সঙ্গে আমদানি ব্যয়ও কমা শুরু করেছে। এর পরও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

তবে আশার কথা শুনিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বলেছেন, সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে ডলারের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

গত ২৭ আগস্ট বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত ‘নবম বার্ষিক ব্যাংকিং কনফারেন্স’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গভর্নর বলেন, ‘মহামারি করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে বাংলাদেশ। গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর পরই আমি সব ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনা জানার চেষ্টা করেছি। এখন যে সমস্যা (ডলার সংকট) দেশে বিরাজ করছে, এটি বেশি দিন থাকবে না। সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।’

দেশের অর্থনীতি নিয়ে নানা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে আশা জাগাচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। জুলাই মাসের পর আগস্টেও ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। সদ্যসমাপ্ত আগস্ট মাসে প্রায় ২০৪ কোটি (২.০৪ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছেন তারা।

এই অঙ্ক গত বছরের আগস্টের চেয়ে ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। গত বছরের আগস্টে ১৮১ কোটি ডলার এসেছিল।

আর চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) রেমিট্যান্স বেড়েছে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। গত বছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে এসেছিল ৩৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার। এই বছরের একই সময়ে এসেছে ৪১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২০৯ কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার (প্রায় ২.১ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল গত ১৪ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে বেশি ছিল ১২ শতাংশ।

বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ বর্তমানে আকুর সদস্য। এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পরপর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।

মার্চ-এপ্রিল মেয়াদে আকুর ২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধ করে বাংলাদেশ। তার আগে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মেয়াদে পরিশোধ করা হয়েছিল ২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা মজুত থাকতে হয়।

আমদানি কমছেই

অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় ছিল অস্বাভাবিক আমদানি বৃদ্ধি। সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নানামুখী পদক্ষেপের ফলে সেই আমদানি বেশ নিম্নমুখী হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক শনিবার আমদানির সর্বশেষ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, সদ্য শেষ হওয়া আগস্ট মাসে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানির জন্য ৫ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলারের এলসি (ঋণপত্র) খুলেছেন দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। এই অঙ্ক আগের মাস জুলাইয়ের চেয়ে ৫ শতাংশ কম। জুলাই মাসে ৬ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল।

৩৮ বিলিয়নের নিচে নামছে রিজার্ভ

গত ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে এলসি খোলা হয়েছিল ৮ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার। মে মাসে এলসি খোলার অঙ্ক ছিল ৭ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। এপ্রিল মাসে খোলা হয়েছিল ৮ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলারের এলসি।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি এলসি খোলা হয়েছিল মার্চ মাসে; ৯ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার। এরপরই আমদানি ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরতে সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকও একটার পর একটা পদক্ষেপ নেয়।

ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারি মাসে এলসি খোলার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৭ দশমিক ২২ বিলিয়ন ও ৮ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার।

একই সঙ্গে এলসি নিষ্পত্তির (সেটেলমেন্ট) পরিমাণও কমছে। আগস্ট মাসে ৭ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে। আগের মাস জুলাইয়ে নিষ্পত্তি হয়েছিল ৭ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলারের এলসি। জুনে নিষ্পত্তি হয় ৭ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারের এলসি।

মে মাসে ৭ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়। এপ্রিলে হয় ৬ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলারের।

আগের তিন মাস মার্চ, ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারিতে হয় যথাক্রমে ৭ দশমিক ৬৭, ৬ দশমিক ৫৬ এবং ৬ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলারের এলসি।

জুলাই মাসের রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। তাতে দেখা যায়, এই মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ; যা গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি।

আরও পড়ুন:
ডলার বিক্রির চাপেই কমছে রিজার্ভ
তিন মাসের রিজার্ভই যথেষ্ট: প্রধানমন্ত্রী
পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে ডলার, ব্যাংকেই ১০৭ টাকা
শুধু বাংলাদেশ নয়, সব দেশেই কমছে রিজার্ভ
রিজার্ভ থেকে ১৮ দিনেই ৬৮ কোটি ডলার বিক্রি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Cashier of Agrani Bank disappeared with Tk 75 lakh from the vault

ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও অগ্রণী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার

ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও অগ্রণী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর বাজার শাখায় এই অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত দীপংকর ঘোষ ওই শাখার অফিসার (ক্যাশ) হিসেবে কর্মরত। তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামের বলাই ঘোষের ছেলে।

চাঁদপুরে অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন ব্যাংকটির ক্যাশিয়ার। মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর বাজার শাখায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ব্যাংকটির ওই শাখার ব্যবস্থাপক ইউসুফ মিয়া সোমবার বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় মামলা করেছেন।

অভিযুক্ত দীপংকর ঘোষ ছেংগারচর বাজার শাখার অফিসার (ক্যাশ) হিসেবে কর্মরত। তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামের বলাই ঘোষের ছেলে।

দীপংকর ঘোষ ২০১৯ সালে অগ্রণী ব্যাংকের মতলব উত্তর থানার ছেংগারচর বাজার শাখায় যোগদান করেন। তিনি ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজের পাশে একটি ভাড়া বাসায় একাকী থাকতেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার দীপংকর ঘোষ কর্মস্থলে না এলে তার মোবাইল ফোনে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক কল করেন। ফোনে দীপংকর ঘোষ বলেন, ‘বাবা অসুস্থ, আসতে দেরি হবে।’

ব্যাংক থেকে পরে আবারও দীপংকর ঘোষের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এক পর্যায়ে তার প্রকৃত অবস্থান জানার জন্য দীপংকরের স্ত্রী আঁখি সাহার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী দুপুর ১২টার সময় অফিসের উদ্দেশে ঢাকার বাসা ত্যাগ করেছেন।’

তবে বিকেল হয়ে গেলেও দীপংকর ব্যাংকে না যাওয়ায় ব্যাংকের ভল্ট খোলা সম্ভব হয়নি। পরে তার কার্যকলাপে সন্দেহ হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক।

দীপংকর ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা এবং ব্যাংকের ভল্টে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ যথাযথ আছে কি না তা যাচাইয়ের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে ৩০ আগস্ট মতলব উত্তর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

১ সেপ্টেম্বর জিডির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও থানা পুলিশের উপস্থিতিতে মিস্ত্রি দিয়ে ভল্ট খোলা হয়। পরে গণনা করে ভল্টে ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮ টাকা ৭১ পয়সা পাওয়া যায়। তবে ক্যাশে এক কোটি দুই লাখ ৯৯ হাজার ৬৮ টাকা ৭১ পয়সা থাকার কথা ছিল। অর্থাৎ গণনার সময় ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা কম পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি লিমিটেড ছেংগারচর বাজার শাখা ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় মামলা করেছি। ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে অডিট করে গেছেন। থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।’

মতলব উত্তর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সানোয়ার হোসেন জানান, ব্যাংকের ক্যাশিয়ার দীপংকর ঘোষ ও অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ও থানার ওসি আরও জানান, অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে চার সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। বর্তমানে থানা ও ব্যাংকের উদ্যোগে ঘটনাটির তদন্ত চলছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Salman Rahman is freed from IFIC Banks new board

সালমান রহমানমুক্ত আইএফআইসি ব্যাংকে নতুন পর্ষদ

সালমান রহমানমুক্ত আইএফআইসি ব্যাংকে নতুন পর্ষদ সালমান এফ রহমান। ফাইল ছবি
আইএফআইসি ব্যাংকের আগের পরিচালনা পর্ষদ বুধবার ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন ছয় সদস্যের পর্ষদের নেতৃত্বে রয়েছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক এমডি মেহমুদ হোসেন।

দেশের সমালোচিত ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক সালমান এফ রহমানকে সরিয়ে দেয়া হলো আইএফআইসি ব্যাংক থেকে। তার সময়ের পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান ফজলুর রহমান ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন।

আইএফআইসি ব্যাংকের আগের পরিচালনা পর্ষদ বুধবার ভেঙে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়টি জানিয়েছে।

সালমানকে সরিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদও গঠন করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নতুন পর্ষদে চারজন স্বতন্ত্র পরিচালক ও দুজন প্রতিনিধি পরিচালক নিয়োগ করা হয়েছে। আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষা, ব্যাংক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করাসহ জনস্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নতুন ছয় সদস্যের পর্ষদের নেতৃত্বে রয়েছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক এমডি মেহমুদ হোসেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশে এমনটি উল্লেখ করা হয়েছে।

নতুন পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হয়েছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মেহমুদ হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবতাদুল ইসলাম ও চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট কাজী মাহবুব কাশেম।

আর ব্যাংকটিতে ৩২ দশমিক ৭৫ শতাংশ সরকারি শেয়ার থাকায় সরকারের দু’জন প্রতিনিধি পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা ও যুগ্ম সচিব মুহাম্মাদ মনজুরুল হককে সরকার মনোনীত প্রতিনিধি পরিচালক করা হয়েছে।

২০১৫ সাল থেকে আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন সালমান এফ রহমান। তার ছেলে সায়ান রহমানও ব্যাংকটির পরিচালক ও ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে সরকার পরিবর্তনের পরপরই তিনি বাদ পড়েন।

ব্যাংকটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সালমান এফ রহমান নামে-বেনামে ও কৌশলে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বন্ড ও সুকুক ছেড়ে টাকা তুলেছেন ব্যাংক ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে।

আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যন্ত প্রভাবশালী এই উপদেষ্টা নিজে জাতীয় সংসদ সদস্যও হয়েছিলেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। কয়েক দিন পর পুলিশ তাকে রাজধানী ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আরও পড়ুন:
সালমান এফ রহমান ও পরিবারের হিসাব জব্দের নির্দেশ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
A record of 2 lakh 11 thousand crores in defaulted loans

খেলাপি ঋণে রেকর্ড, ছাড়াল ২ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা

খেলাপি ঋণে রেকর্ড, ছাড়াল ২ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে দেশের ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। সবশেষ এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৯ হাজার কোটি টাকার বেশি।

দেশের ব্যাংক খাতের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে খেলাপি ঋণ। এই ফোঁড়ার ব্যথা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। নামে-বেনামে ঋণ প্রদান আর ফেরত না দেয়ার সংস্কৃতি ভোগাচ্ছে পুরো ব্যাংক খাতকে। অবশ্য সব ব্যাংকের ক্ষেত্রে বাস্তবতা এটি নয়। তবে পুরো খাতের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে খেলাপি ঋণ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে দেশের ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। এটা দেশের সব ব্যাংকের প্রদেয় ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। অর্থাৎ দেশের ৬৪টি ব্যাংক মিলে যত ঋণ দিয়েছে তার সাড়ে ১২ ভাগের বেশি খেলাপি হয়ে পড়েছে।

শঙ্কার বিষয় হলো, খেলাপি হয়ে পড়া এসব ঋণের অর্থ ফেরত আসার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। অর্থনীতিবিদরা বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও খেলাপির সংস্কৃতি থেকে ব্যাংক খাত বেরিয়ে আসতে পারছে না। তাদের ধারণা, খেলাপি হয়ে পড়া ঋণের অর্থের বড় অংশই দেশের বাইরে পাচার হয়ে গেছে।

সদ্য পদত্যাগ করা আওয়ামী লীগ সরকারের নানামুখী ব্যর্থতার মধ্যে অন্যতম এই ব্যাংকের খেলাপি ঋণ। একের পর এক ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়া আর ঋণ জালিয়াতি বন্ধ করতে না পারার ব্যর্থতা আওয়ামী লীগ সরকারের বড় দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, গত ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক খাত থেকে লোপাট হয়েছে প্রায় ৯২ হাজার কোটি টাকা। আর সেই অর্থ ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না সংস্থাটির গবেষকরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি।

তিন মাস আগে মার্চ প্রান্তিকে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিলো ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে খেলাপি ঋণ ছিলো এক লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি। অর্থাৎ চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৯ হাজার কোটি টাকার বেশি। আর এই সময়টাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন আবদুর রউফ তালুকদার।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।

জানা গেছে, এসব খেলাপি ঋণ নিয়ে যারা দেশের বাইরে অর্থ পাচার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে তাদের সম্পদের খোঁজে কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইতোমধ্যে পাচারের অর্থ পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন দেশকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট- বিএফআইইউ। পাশাপাশি এসব ঋণখেলাপির দেশের ভেতরের সম্পদ জব্দে জোর চেষ্টা চলছে বলেও জানা গেছে। এসব অর্থ আত্মসাৎকারীরর বিদেশে থাকা সম্পদ ফিরিয়ে আনতে সরকারও জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

বিএফআইইউ থেকে জানা গেছে, আর্থিক খাতের বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান এস আলম, সামিট, বসুন্ধরা, বেক্সিমকো, ওরিয়নসহ অনেক গ্রুপের তথ্য চেয়ে একাধিক দেশে চিঠি দেয়া হয়েছে। আর সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ‍যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশে।

তৎকালীন সরকারের সুনজরে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রভাব খাটিয়ে অর্থ পাচারের পুরো চিত্র বের করতে চেষ্টা চলছে বলেও জানা গেছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গণমাধ্যমে দেয়া নিজের বক্তব্যে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নামে-বেনামে কত টাকা পাচার করেছে তা হিসাব করা হচ্ছে।

এরই মধ্যে দেশের অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র তৈরি করতে কমিটি করে দিয়েছে সরকার। ওই কমিটি দেশের ব্যাংক খাতের পুরো চিত্র জাতির সামনে তুলে ধরবে বলে জানিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে খেলাপি ঋণের পুরো চিত্র উঠে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
14 billion Tk defaulter detained at Ansarul Airport

১৪ শ’ কোটি টাকার ঋণখেলাপি আনসারুল বিমানবন্দরে আটক

১৪ শ’ কোটি টাকার ঋণখেলাপি আনসারুল বিমানবন্দরে আটক আনছারুল আলম চোধুরী। ছবি: সংগৃহীত
ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আনছারুল আলম চৌধুরী সকাল সাড়ে ৮টায় ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে দুবাই যাওয়ার জন্য শাহ আমানত বিমানবন্দরে আসেন। খেলাপি ঋণ থাকায় পুলিশ তাকে আটক করে। তিনি এস আলম গ্রুপের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।

দুবাই পালানোর সময় এক হাজার ৪০০ কোটি টাকার ঋণখেলাপি আনছারুল আলম চোধুরী নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। তিনি চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আনছার ট্রেডিংয়ের মালিক।

সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে পতেঙ্গা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সোলতানা ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন শাখার ওসি মো. তাহইয়াতুল ইসলাম।

আটক ব্যক্তি চট্টগ্রামের উপজেলার কোয়েপাড়া এয়াকুব আলী চৌধুরী বাড়ির মফিজুল আলম চৌধুরীর ছেলে।

ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আনছারুল আলম চৌধুরী সকাল সাড়ে ৮টায় ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে দুবাই যাওয়ার জন্য শাহ আমানত বিমানবন্দরে আসেন। খেলাপি ঋণ থাকায় পুলিশ তাকে আটক করে। তিনি এস আলম গ্রুপের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আনছারুল আলম চৌধুরীর নামে ইসলামী ব্যাংকে এক হাজার ৩০ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। এছাড়া জনতা ব্যাংক থেকে ৩৪০ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে এই দুই ব্যাংকেই তিনি মোট এক হাজার ৩৭০ কোটি টাকার ঋণখেলাপি।

আরও পড়ুন:
ওসমানী বিমানবন্দর থেকে আওয়ামী লীগের দুই নেতা আটক
যশোর জেলা ছাত্রলীগ সম্পাদক ভারতে পালানোর সময় বেনাপোলে আটক
কক্সবাজারের সাবেক এমপি বদি চট্টগ্রামে আটক
সীমান্তে রাসিক কাউন্সিলর, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাসহ আটক চার
হাছান মাহমুদ ঢাকায় বিমানবন্দরে আটক

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
FSIBs new board removes S Alams influence

এস আলমের প্রভাবমুক্ত করে এফএসআইবিতে নতুন পর্ষদ

এস আলমের প্রভাবমুক্ত করে এফএসআইবিতে নতুন পর্ষদ
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক (এফএসআইবি) এস আলম গ্রুপের দখলমুক্ত করার পর নতুন পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মান্নানকে।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক (এফএসআইবি) এস আলম গ্রুপের দখলমুক্ত করার পর নতুন পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রোববার বেসরকারি খাতের ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একইসঙ্গে পাঁচজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়ে পরিচালনা পর্ষদের নতুন বোর্ড গঠন করে দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে এস আলম গ্রুপের দখলে থাকা আরও একটি ব্যাংক মুক্ত হয়েছে।

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুল মান্নানকে এফএসআইবি চেয়ারম্যান করা হয়েছে।

বাকি চার স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক আজিজুর রহমান, উত্তরা ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল কুদ্দুস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষক সাইফুল আলম ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট রাগিব আহসান।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়। সবশেষ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করে দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আরও পড়ুন:
এবার এস আলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হলো সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক
ইসলামী ব্যাংকে পর্ষদ ভেঙে পাঁচ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ
ভেঙে দেয়া হচ্ছে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ: গভর্নর

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Chittagong Port Authoritys ban on transactions with 9 banks

৯ ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা

৯ ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা চট্টগ্রাম বন্দর ভবন। ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স
ইউএনবির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত প্রায় ১৫ দিন ধরে শিপিং এজেন্টগুলো ৯টি বেসরকারি ব্যাংকের পে-অর্ডার নেয়া বন্ধ রেখেছিল। এবার ব্যাংকগুলোর পে–অর্ডার, চেক ও ব্যাংক গ্যারান্টি সেবা বন্ধের নির্দেশনা জারি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এস আলম গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছয়টিসহ ৯টি বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএনবি।

বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞায় এসব ব্যাংকের পে-অর্ডার, চেক ও ব্যাংক গ্যারান্টি না নেয়ার কথা জানানো হয়েছে।

বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুস শাকুরের সই করা একটি অফিস আদেশ বৃহস্পতিবার সংস্থাটির সব বিভাগের কাছে পাঠানো হয়। এ নির্দেশনার ফলে বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে সেবা নিতে কিংবা টেন্ডারসহ আনুষঙ্গিক কাজে কেউ ব্যাংকগুলোর চেক বা পে-অর্ডার দিতে পারবেন না।

ইউএনবির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত প্রায় ১৫ দিন ধরে শিপিং এজেন্টগুলো ৯টি বেসরকারি ব্যাংকের পে-অর্ডার নেয়া বন্ধ রেখেছিল। এবার ব্যাংকগুলোর পে–অর্ডার, চেক ও ব্যাংক গ্যারান্টি সেবা বন্ধের নির্দেশনা জারি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

ব্যাংকগুলো হলো ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।

এর মধ্যে প্রথম ছয়টি ব্যাংক আলোচিত এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন।

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক এসব ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘সাধারণত দরপত্র দাখিলের সময় টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে জামানত হিসেবে পে–অর্ডার নেয়া হয়। আবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির জন্য ব্যাংক গ্যারান্টি নেয়া হয়।

‘এসব পে-অর্ডার কিংবা ব্যাংক গ্যারান্টি নগদায়নের ক্ষেত্রে যাতে বন্দর কোনো সমস্যায় না পড়ে, সে জন্য সতর্কতাবশত এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
ইসলামী ব্যাংকে পর্ষদ ভেঙে পাঁচ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ
ফুটে ওঠে ব্যাংকখেকো ম খা আলমগীর ও বাবুল চিশতীর অপকর্মের চিত্র
ভেঙে দেয়া হচ্ছে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ: গভর্নর
ম খা আলমগীর ও বাবুল চিশতীকে আড়াল করতে ‘ছলচাতুরি’
আন্দোলনের মুখে সোনালী ব্যাংক চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Order to seize accounts of Salman F Rahman and family

সালমান এফ রহমান ও পরিবারের হিসাব জব্দের নির্দেশ

সালমান এফ রহমান ও পরিবারের হিসাব জব্দের নির্দেশ বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সালমান এফ রহমান। ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স
ইউএনবির খবরে বলা হয়, ব্যাংকগুলোতে চিঠি পাঠিয়ে প্রাথমিকভাবে ৩০ দিনের জন্য সালমান ও পরিবারের ব্যক্তিগত হিসাবের লেনদেন স্থগিত করার নির্দেশ দেয় বিএফআইইউ।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সালমান এফ রহমান, তার স্ত্রী ও ছেলের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে ইউএনবি।

বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, ব্যাংকগুলোতে চিঠি পাঠিয়ে প্রাথমিকভাবে ৩০ দিনের জন্য এসব ব্যক্তিগত হিসাবের লেনদেন স্থগিত করার নির্দেশ দেয় বিএফআইইউ।

এ ছাড়াও চিঠি পাঠানোর পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে এসব হিসাবের হালনাগাদ তথ্য জানানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ইউএনবির খবরে উল্লেখ করা হয়, গত ১৩ আগস্ট গ্রেপ্তার হন বাংলাদেশের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

সালমান এফ রহমানের বেক্সিমকো গ্রুপে যেসব ব্যাংকের বিপুল অর্থ গেছে, তার একটি জনতা ব্যাংক।

সম্প্রতি ঋণ অনিয়মের কারণে আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালক পদ হারান সালমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান।

আরও পড়ুন:
ইসলামী ব্যাংকে পর্ষদ ভেঙে পাঁচ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ
ফুটে ওঠে ব্যাংকখেকো ম খা আলমগীর ও বাবুল চিশতীর অপকর্মের চিত্র
ভেঙে দেয়া হচ্ছে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ: গভর্নর
ম খা আলমগীর ও বাবুল চিশতীকে আড়াল করতে ‘ছলচাতুরি’
আন্দোলনের মুখে সোনালী ব্যাংক চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

মন্তব্য

p
উপরে