ওমুক কোম্পানির শেয়ার কিনুন, হল্টেড হবে- ফেসবুকে এই ধরনের প্রলোভনে পড়ে ঠকেছেন এমন বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কম নয়। অন্যদিকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে উচ্চমূল্যে শেয়ার গছিয়ে দিয়ে একটি চক্র আয় করে বিপুল পরিমাণ।
এই বিষয়গুলো যখন এক রকম ওপেন সিক্রেটের মতো চলছে, তখন সামাজিক মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি নজর দিয়ে কয়েকজনসহ ‘হল্টেড মিজান’ নামের একজনকে শনাক্ত করেছে। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
বুধবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তার বিষয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর মিজানের বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন আরও বড় হয়েছে। এখন তুমুল আলোচনা কে এই মিজান? কেন তিনি ‘হল্টেড মিজান’ হিসেবে পরিচিত।
তার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেল বিচিত্র তথ্য। তবে মিজান তার আসল নাম কি না, সেটি বলতে পারেন না কেউ।
ফেসবুকসহ অন্য সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের সম্ভাবনা নিয়ে প্রচার চালাতেন মিজান। দর বৃদ্ধি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতেন। প্রচার করা হতো, তিনি যেসব শেয়ার কেনার পরামর্শ দেন, সেগুলোর দাম সর্বোচ্চ সীমায় বেড়ে সার্কিট ব্রেকার স্পর্শ করে বা হল্টেড হয়ে যায়।
ইংরেজিতে লেখা ‘মিজানুর রহমান’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হতো। প্রোফাইল পিকচারে ব্যবহার করা হয়েছে লাল রঙে লেখা ‘হল্টেড’।
এসব কারণেই তার নামের সঙ্গে যোগ হয়েছে ‘হল্টেড’ বিশেষণ।
এই ‘হল্ট’ আইটেম দেয়ার বিনিময়ে টাকাও নিতেন মিজান। কখনও ১০২০ টাকা, কখনও ২ হাজার ৫৫০ টাকা আবার কখনও ৫ হাজার ১০০ টাকা।
বিশ্বাসযোগ্যতা আনতে বলা হতো, এই টাকার ১০ শতাংশ করোনাজনিত দুস্থদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।
যারা ফাঁদে পড়তেন, তারা এটা বিবেচনা করতেন না যে, যে লোক কোনো শেয়ারের দাম দ্বিগুণ হবে, কোনোটির দর ৫০ শতাংশ বাড়বে, তিনি কেন এই কয়টি টাকার জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে বেড়াবেন।
যা জানেন বিনিয়োগকারীরা
বিনিয়োগকারী মাসুম জামান বলেন, ‘ফেসবুকে অনেক সময় দেখেছি, ওই আইডিতে বলা হচ্ছে যে, আগামী সপ্তাহের জন্য আইটেম রেডি আছে, যারা নিতে চান তারা ইনবক্সে যোগাযোগ করুন। আমি কখনও কিনিনি। অনেকের কাছে শুনেছি যে, এই ধরনের আইটেম বিক্রি হয়।’
ফিদুল বিশ্বাস নামের আরেকজন বলেন, ‘এই ধরনের প্রতারকচক্র খুবই ধূর্ত হয়। কোনো কারণে একটা শেয়ারের দাম বেড়ে গেলে সেটাকেই তারা নিজেদের আইটেম বলে প্রচার করে। তারা বিনিয়োগের অর্ধেক লাভের লোভ দেখায়। এসব ফাঁদে পা দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সর্বস্বান্ত হন। অনেকে কিছু পয়সা কামাই করে, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই লোকসান গুনতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘মিজানুর রহমান নামের ওই ব্যক্তির আইটেম বিক্রির কথা জেনেছি। ব্রোকারেজ হাউসে এ রকম আলোচনা অনেক হয়। অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে যারা দীর্ঘদিন বাজারের সঙ্গে আছেন তারা সহজেই এসব ফাঁদে পা দেন না।’
সেই আইডি এখন বন্ধ
বিএসইসি বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর থেকে মিজানের নামের সেই আইডিটি ডি-অ্যাক্টিভেটেড করে দেয়া হয়। তবে সেই আইডির কিছু পোস্টের স্ক্রিনশট পাওয়া যাচ্ছে।
এতে দেখা যায় এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘বলেছিলাম বাই প্রাইম ফাইন্যান্স; গতকালও হল্ট হয়েছে। এরকম হট ও টানা হল্ট আইটেম পেতে ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।’
আরেকটি পোস্টে লেখা রয়েছে, ‘রবিবারের হল্ট আইটেম!! মার্কেট ওকে। একটি টি+২ হট অ্যান্ড হল্ট আইটেম রেডি। এটি টানা হল্টেড হবে ইনশাআল্লাহ। আইটেম পেতে টাইমলাইন দেখুন/ইনবক্স করুন।’
অন্য আরেকটি পোস্টে লেখা, ‘৫০% লাভের পরবর্তী মানি ডবল আইটেম রেডি। আগের আইটেম ইউনিয়ন ক্যাপ ২১ দিনে ৮১% বেড়েছে; টার্গেট ৫০%+ অতিক্রম করেছে। বাই রেট ছিল ৭.৯০ টাকা, বৃহঃবার ১৪.৩০ টাকা উঠেছে। এরকম হট ও টানা হল্ট ৫০% লাভের/মানি ডবল আইটেম পেতে ইনবক্সে মেসেজ দিন।’
আইটেমের বদলে টাকা
আরেকটি পোস্টে লেখা ছিল, ‘গ্রেট অফার: লেটেস্ট টানা হল্টেড হট আইটেম পেতে আইটেমের নিউজ কালেকশন, এনালাইসিস ও বিবিধ ফি বাবদ টি+২/সাপ্তাহিক প্রতি হট আইটেম এর জন্য মাত্র ১,০২০ টাকা; ৫০% লাভের প্রতি আইটেমের জন্য ২৫৫০ টাকা, মানি ডবল প্রতি আইটেমের জন্য ৫১০০ টাকা বিকাশ করুন। ১০% করোনাজনিত দুঃস্থদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।’
প্রলুব্ধ করার জন্য সেই পোস্টে আরও লেখা হয়, ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে এক লাখ লাভ করতে ১ হাজার টাকা ব্যয় করার মানসিকতা না থাকলে শেয়ার ব্যবসা করা যাবে না।
এতে লেখা হয়, ‘হট আইটেমের নিউজ নগদ টাকা দিয়ে নিতে হবে।’
বিএসইসি কী বলছে
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি (মিজান) বিভিন্ন শেয়ারের দাম কোথায় যাবে, কোনটা বাড়বে, কোনটা হল্টেড হবে, এসব তথ্য প্রচার করতেন। আর এসব তথ্য প্রদান বা আইটেম বিক্রির মাধ্যমে টাকা নিতেন।’
তিনি আসলে কে- এমন প্রশ্নে রেজাউল বলেন, ‘ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর বাইরে গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে। এ বিষয়ে কাজ করছে বুয়েট থেকে পাস করা একজন আইটি এক্সপার্ট এবং একজন সোশ্যাল মিডিয়া স্পেশালিস্ট।
‘ওই ব্যক্তির মোবাইল নম্বর ও ইমেইল আইডি পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে তিনটি বিও অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া গেছে। যার মধ্যে দুটি সচল। আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’
বুধবার বিএসইসির জানায়, মিজানুর ছাড়াও একই চক্রের আশরাফুল ইসলাম, আয়মান নাহিয়ান কল্লোল ও শরীফুল ইসলাম নামে তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের শাস্তির আওতায় আনতে গঠন করা হয়েছে ২ সদস্যের কমিটি।
তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন সহকারী পরিচালক কামাল হোসেন ও এইচ এম সালেহ সাদমান। তাদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে মিজানুর রহমানসহ সামাজিক মাধ্যমে গুজব রটনাকারীদের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গুজব ছড়িয়ে মিজানুর ও তার সহযোগীরা কী পরিমাণ লাভবান হয়েছেন, সেটাও বের করা হবে।
বিএসইসি পুঁজিবাজারে আস্থা ফেরাতে গত কয়েক মাস ধরে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে দেন দরবার করে নানা সুযোগ সুবিধা আদায় করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে মতভেদ দূর হয়েছে। ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিট শেয়ারের ক্রয়মূল্যে হিসাব করতে বিনিয়োগকারীদের এক যুগের দাবি পূরণ হয়েছে।
এসব ঘটনায় গত বছরের সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঝিমুনিতে যাওয়া পুঁজিবাজা প্রাণসঞ্চার হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে হারিয়ে ফেলা দেড় হাজার সূচকের মধ্যে এক মাসে ৫২৮ পয়েন্ট এরই মধ্যে ফিরে এসেছে। যে লেনদেন চার শ কোটির ঘরে নেমে এসেছেন, সেটি এখন নিয়মিত হচ্ছে দুই হাজার কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই।
এই অবস্থায় বিএসইসি এবার গুজব ঠেকাতে আটঘাট বেঁধে নেমেছে।
গত ১৭ মে ফেসবুকে পুঁজিবাজার নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে মাহবুবুর রহমান নামের একজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। বিএসইসির সাধারণ ডায়েরির ভিত্তিতে তাকে ধরা হয়।
ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে পুঁজিবাজার নিয়ে গুজব রটনাকারীদের চিহ্নিত করতে ‘সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং সেল’ও গঠন করা হয়েছে।
বিএসইসির মার্কেট সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের (এমএসআইডি) কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধানে এই সেলের কার্যক্রম চলছে।
এ ক্ষেত্রে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির সহায়তাও নিচ্ছে বিএসইসি। তাদের অভিযোগে গুজব রটনাকারী ৩১টি ফেসবুক আইডি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য