× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Who is this halted mizan in the capital market and what does he do?
google_news print-icon

পুঁজিবাজারে কে এই হল্টেড মিজান, তিনি কী করেন

পুঁজিবাজারে-কে-এই-হল্টেড-মিজান-তিনি-কী-করেন
ফাইল ছবি
ইংরেজিতে লেখা ‘মিজানুর রহমান’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হতো। প্রোফাইল পিকচারে ব্যবহার করা হয়েছে লাল রঙে লেখা ‘হল্টেড’। এই ‘হল্ট’ আইটেম দেয়ার বিনিময়ে টাকাও নিতেন মিজান। কখনও ১০২০ টাকা, কখনও ২ হাজার ৫৫০ টাকা, কখনও ৫ হাজার ১০০ টাকা।

ওমুক কোম্পানির শেয়ার কিনুন, হল্টেড হবে- ফেসবুকে এই ধরনের প্রলোভনে পড়ে ঠকেছেন এমন বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কম নয়। অন্যদিকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে উচ্চমূল্যে শেয়ার গছিয়ে দিয়ে একটি চক্র আয় করে বিপুল পরিমাণ।

এই বিষয়গুলো যখন এক রকম ওপেন সিক্রেটের মতো চলছে, তখন সামাজিক মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি নজর দিয়ে কয়েকজনসহ ‘হল্টেড মিজান’ নামের একজনকে শনাক্ত করেছে। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।

বুধবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তার বিষয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর মিজানের বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন আরও বড় হয়েছে। এখন তুমুল আলোচনা কে এই মিজান? কেন তিনি ‘হল্টেড মিজান’ হিসেবে পরিচিত।

তার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেল বিচিত্র তথ্য। তবে মিজান তার আসল নাম কি না, সেটি বলতে পারেন না কেউ।

ফেসবুকসহ অন্য সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের সম্ভাবনা নিয়ে প্রচার চালাতেন মিজান। দর বৃদ্ধি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতেন। প্রচার করা হতো, তিনি যেসব শেয়ার কেনার পরামর্শ দেন, সেগুলোর দাম সর্বোচ্চ সীমায় বেড়ে সার্কিট ব্রেকার স্পর্শ করে বা হল্টেড হয়ে যায়।

ইংরেজিতে লেখা ‘মিজানুর রহমান’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হতো। প্রোফাইল পিকচারে ব্যবহার করা হয়েছে লাল রঙে লেখা ‘হল্টেড’।

এসব কারণেই তার নামের সঙ্গে যোগ হয়েছে ‘হল্টেড’ বিশেষণ।

এই ‘হল্ট’ আইটেম দেয়ার বিনিময়ে টাকাও নিতেন মিজান। কখনও ১০২০ টাকা, কখনও ২ হাজার ৫৫০ টাকা আবার কখনও ৫ হাজার ১০০ টাকা।

বিশ্বাসযোগ্যতা আনতে বলা হতো, এই টাকার ১০ শতাংশ করোনাজনিত দুস্থদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।

যারা ফাঁদে পড়তেন, তারা এটা বিবেচনা করতেন না যে, যে লোক কোনো শেয়ারের দাম দ্বিগুণ হবে, কোনোটির দর ৫০ শতাংশ বাড়বে, তিনি কেন এই কয়টি টাকার জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে বেড়াবেন।

যা জানেন বিনিয়োগকারীরা

বিনিয়োগকারী মাসুম জামান বলেন, ‘ফেসবুকে অনেক সময় দেখেছি, ওই আইডিতে বলা হচ্ছে যে, আগামী সপ্তাহের জন্য আইটেম রেডি আছে, যারা নিতে চান তারা ইনবক্সে যোগাযোগ করুন। আমি কখনও কিনিনি। অনেকের কাছে শুনেছি যে, এই ধরনের আইটেম বিক্রি হয়।’

ফিদুল বিশ্বাস নামের আরেকজন বলেন, ‘এই ধরনের প্রতারকচক্র খুবই ধূর্ত হয়। কোনো কারণে একটা শেয়ারের দাম বেড়ে গেলে সেটাকেই তারা নিজেদের আইটেম বলে প্রচার করে। তারা বিনিয়োগের অর্ধেক লাভের লোভ দেখায়। এসব ফাঁদে পা দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সর্বস্বান্ত হন। অনেকে কিছু পয়সা কামাই করে, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই লোকসান গুনতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘মিজানুর রহমান নামের ওই ব্যক্তির আইটেম বিক্রির কথা জেনেছি। ব্রোকারেজ হাউসে এ রকম আলোচনা অনেক হয়। অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে যারা দীর্ঘদিন বাজারের সঙ্গে আছেন তারা সহজেই এসব ফাঁদে পা দেন না।’

সেই আইডি এখন বন্ধ

বিএসইসি বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর থেকে মিজানের নামের সেই আইডিটি ডি-অ্যাক্টিভেটেড করে দেয়া হয়। তবে সেই আইডির কিছু পোস্টের স্ক্রিনশট পাওয়া যাচ্ছে।

এতে দেখা যায় এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘বলেছিলাম বাই প্রাইম ফাইন্যান্স; গতকালও হল্ট হয়েছে। এরকম হট ও টানা হল্ট আইটেম পেতে ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।’

আরেকটি পোস্টে লেখা রয়েছে, ‘রবিবারের হল্ট আইটেম!! মার্কেট ওকে। একটি টি+২ হট অ্যান্ড হল্ট আইটেম রেডি। এটি টানা হল্টেড হবে ইনশাআল্লাহ। আইটেম পেতে টাইমলাইন দেখুন/ইনবক্স করুন।’

অন্য আরেকটি পোস্টে লেখা, ‘৫০% লাভের পরবর্তী মানি ডবল আইটেম রেডি। আগের আইটেম ইউনিয়ন ক্যাপ ২১ দিনে ৮১% বেড়েছে; টার্গেট ৫০%+ অতিক্রম করেছে। বাই রেট ছিল ৭.৯০ টাকা, বৃহঃবার ১৪.৩০ টাকা উঠেছে। এরকম হট ও টানা হল্ট ৫০% লাভের/মানি ডবল আইটেম পেতে ইনবক্সে মেসেজ দিন।’

আইটেমের বদলে টাকা

আরেকটি পোস্টে লেখা ছিল, ‘গ্রেট অফার: লেটেস্ট টানা হল্টেড হট আইটেম পেতে আইটেমের নিউজ কালেকশন, এনালাইসিস ও বিবিধ ফি বাবদ টি+২/সাপ্তাহিক প্রতি হট আইটেম এর জন্য মাত্র ১,০২০ টাকা; ৫০% লাভের প্রতি আইটেমের জন্য ২৫৫০ টাকা, মানি ডবল প্রতি আইটেমের জন্য ৫১০০ টাকা বিকাশ করুন। ১০% করোনাজনিত দুঃস্থদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।’

প্রলুব্ধ করার জন্য সেই পোস্টে আরও লেখা হয়, ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে এক লাখ লাভ করতে ১ হাজার টাকা ব্যয় করার মানসিকতা না থাকলে শেয়ার ব্যবসা করা যাবে না।

এতে লেখা হয়, ‘হট আইটেমের নিউজ নগদ টাকা দিয়ে নিতে হবে।’

পুঁজিবাজারে কে এই হল্টেড মিজান, তিনি কী করেন
মিজানুর ও তার সহযোগীরা ফেসবুকে এভাবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রলুব্ধ করতেন

বিএসইসি কী বলছে

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি (মিজান) বিভিন্ন শেয়ারের দাম কোথায় যাবে, কোনটা বাড়বে, কোনটা হল্টেড হবে, এসব তথ্য প্রচার করতেন। আর এসব তথ্য প্রদান বা আইটেম বিক্রির মাধ্যমে টাকা নিতেন।’

তিনি আসলে কে- এমন প্রশ্নে রেজাউল বলেন, ‘ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর বাইরে গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে। এ বিষয়ে কাজ করছে বুয়েট থেকে পাস করা একজন আইটি এক্সপার্ট এবং একজন সোশ্যাল মিডিয়া স্পেশালিস্ট।

‘ওই ব্যক্তির মোবাইল নম্বর ও ইমেইল আইডি পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে তিনটি বিও অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া গেছে। যার মধ্যে দুটি সচল। আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’

বুধবার বিএসইসির জানায়, মিজানুর ছাড়াও একই চক্রের আশরাফুল ইসলাম, আয়মান নাহিয়ান কল্লোল ও শরীফুল ইসলাম নামে তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের শাস্তির আওতায় আনতে গঠন করা হয়েছে ২ সদস্যের কমিটি।

তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন সহকারী পরিচালক কামাল হোসেন ও এইচ এম সালেহ সাদমান। তাদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে মিজানুর রহমানসহ সামাজিক মাধ্যমে গুজব রটনাকারীদের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গুজব ছড়িয়ে মিজানুর ও তার সহযোগীরা কী পরিমাণ লাভবান হয়েছেন, সেটাও বের করা হবে।

বিএসইসি পুঁজিবাজারে আস্থা ফেরাতে গত কয়েক মাস ধরে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে দেন দরবার করে নানা সুযোগ সুবিধা আদায় করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে মতভেদ দূর হয়েছে। ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিট শেয়ারের ক্রয়মূল্যে হিসাব করতে বিনিয়োগকারীদের এক যুগের দাবি পূরণ হয়েছে।

এসব ঘটনায় গত বছরের সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঝিমুনিতে যাওয়া পুঁজিবাজা প্রাণসঞ্চার হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে হারিয়ে ফেলা দেড় হাজার সূচকের মধ্যে এক মাসে ৫২৮ পয়েন্ট এরই মধ্যে ফিরে এসেছে। যে লেনদেন চার শ কোটির ঘরে নেমে এসেছেন, সেটি এখন নিয়মিত হচ্ছে দুই হাজার কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই।

এই অবস্থায় বিএসইসি এবার গুজব ঠেকাতে আটঘাট বেঁধে নেমেছে।

গত ১৭ মে ফেসবুকে পুঁজিবাজার নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে মাহবুবুর রহমান নামের একজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। বিএসইসির সাধারণ ডায়েরির ভিত্তিতে তাকে ধরা হয়।

ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে পুঁজিবাজার নিয়ে গুজব রটনাকারীদের চিহ্নিত করতে ‘সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং সেল’ও গঠন করা হয়েছে।

বিএসইসির মার্কেট সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের (এমএসআইডি) কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধানে এই সেলের কার্যক্রম চলছে।

এ ক্ষেত্রে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির সহায়তাও নিচ্ছে বিএসইসি। তাদের অভিযোগে গুজব রটনাকারী ৩১টি ফেসবুক আইডি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে কারসাজি, ‘হল্টেড মিজান’ শনাক্ত
পুঁজিবাজারে উত্থানের এক মাস, বছরের ক্ষতি পূরণ হবে কি?

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
In the first hour of the capital market the rise in the index has risen to most companies

পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থান, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থান, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।

দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।

প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The government will form a committee to find a long term financing way from the capital market

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।

তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।

সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
With the beginning of the transaction starting in the first hour of the capital market

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market With the fall of transactions in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।

এই সম‌য়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯‌টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২‌টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, ‌সেখা‌নে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

চট্টগ্রা‌মে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩‌টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬‌টির, কমেছে ৪৪‌টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে