কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে পদত্যাগ করা ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারিক আমিন ভূঁইয়া আবার পদে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করার লক্ষ্যে তিনি দায়িত্বে ফিরতে চান বলে জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে এটাও বলেছেন যে, এমডির যে ক্ষমতা সেটি যেন তিনি প্রয়োগ করতে পারেন, তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
তারিক সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম, কমিশনার শামসুদ্দিন আহমেদ ও ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমানের কাছে চিঠি লিখেছেন।
অবশ্য ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেছেন, পদত্যাগপত্র গ্রহণ হয়ে যাওয়ার পর এটি ফিরিয়ে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিএসইসির একজন কমিশনার বলেছেন, যেহেতু স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন, তাই তাদের কিছু করার নেই।
ওই চিঠিতে তিনি বলেন, ডিএসইর কর্মকর্তাদের পদোন্নতি এবং পদত্যাগের বিষয়ে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করার সুযোগ না দিয়েই পরিচালনা পর্ষদ পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে। এমনকি তিনি ৯ সপ্তাহের নোটিসে পদত্যাগ করলেও পর্ষদ মাত্র ২ সপ্তাহের মধ্যে তা কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
একে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ উল্লেখ করে তারিক আমিন বলেন, “আমি ডিএসইর সঙ্গে কাজ করতে অত্যন্ত আগ্রহী। স্বল্প সময় দায়িত্ব পালনকালে স্টক এক্সচেঞ্জকে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ‘ফিন্যান্সিয়াল হাব’ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। সেগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই।”
গত বছরের ২৫ জুলাই তিন বছরের জন্য দায়িত্ব নেয়া তারিক হঠাৎ করেই পদত্যাগ করে বসেন গত ২৩ আগস্ট। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ গত ২৭ আগস্ট এই পদত্যাগপত্র গ্রহণও করে।
বিএসইসিতে দেয়া চিঠিতে তিনি বলেন, ‘পদত্যাগের বিষয়ে আমার অবস্থান ব্যাখ্যা করার সুযোগ দেয়া হোক। দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কাজ করতে পারলে আমি খুশি হব।’
যে ঘটনায় তারিকের পদত্যাগ
সম্প্রতি ডিএসইর ৯৫ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেন এমডি তারিক আমিন। সেটি গত ২৪ আগস্ট জরুরি বৈঠক করে আটকে দেয় পরিচালনা পর্ষদ। কিন্তু পর্ষদের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে পরের দিন মঙ্গলবার সকালে পদোন্নতির ঘোষণা দেন তারিক। এরপর রাতেই ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান বরাবর ই-মেইলে পাঠান পদত্যাগপত্র।
কর্মকর্তাদের পদোন্নতির এই সিদ্ধান্ত ছিল এমডির। তার এখতিয়ারেও ছিল এই সিদ্ধান্ত। সম্প্রতি এত বেশি কর্মকর্তার একসঙ্গে পদোন্নতির ঘটনা আর ঘটেনি, তবে এর মধ্যে আরও অনেক কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হননি।
তারা মনঃক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি ডিএসইর বোর্ডও এই সিদ্ধান্ত ভালোভাবে নেয়নি। তারা এমডিকে যে ভাষায় কথা বলেছে, সেটি পছন্দ হয়নি তারিকের। পরে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
ডিএসইতে পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনার মধ্যে একটা দূরত্ব সব সময়ই চলে আসছে। ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পরও ব্যবস্থাপনার চেয়ে বেশি ক্ষমতা চর্চার প্রবণতা রয়েছে বোর্ডের মধ্যে। কর্মকর্তাদের অসহযোগিতা এবং স্ব-অধিকারে দায়িত্ব পালন করতে না পারারও অভিযোগ রয়েছে এমডিদের।
অন্যদিকে তারিক আমিন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বোর্ডের সিদ্ধান্ত এবং আইন উপেক্ষা করে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়েছেন, বিভিন্ন বিভাগ ও পদ সৃষ্টি করেছেন।
তারিক আমিন ভূঁইয়া তার ব্যাখ্যায় জানিয়েছেন, ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইনের বলেই তিনি সব কাজ করেছেন।
পদোন্নতি নিয়ে যা যা বলেছেন তারিক আমিন
নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে দেয়া চিঠিতে তারিক আমিন বলেছেন, ২৫ জুলাই দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি ডিএসইর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছেন। শীর্ষস্থানীয়দের সঙ্গে একা ও সম্মিলিতভাবে বসেছেন। তিনি লক্ষ করেছেন যে কিছু ভালো এবং সক্ষম কর্মী থাকা সত্ত্বেও ডিএসই ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিমে নির্ধারিত উদ্দেশ্য পূরণ বা বিকাশ সাধন হয়নি।
তিনি জানান, ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা হিসেবে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জের বিকাশের জন্য কিছু মডেল ডিজাইন করেন। ‘ফাইভ-পি’ভিত্তিক ডিএসইর ‘ডিজিটাল রূপান্তর’ শীর্ষক পরিকল্পনাটি ডিএসই বোর্ডে উপস্থাপন করেন। যা ৭ সেপ্টেম্বর বোর্ডের সভায় অনুমোদন করা হয়।
তারিক লেখেন, তিনি লক্ষ্য করেছেন যে, ডিএসইতে খুব সম্ভাবনাময় কর্মী রয়েছেন যারা স্টক এক্সচেঞ্জের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব দিতে পারেন। তারপরেও তাদের পদোন্নতি, পারিশ্রমিক এবং কর্মচারীদের সুবিধার বিষয়গুলো দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষা করা হচ্ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি যে একটি উদীয়মান বাজারে পরিণত হতে এবং শেয়ারহোল্ডারদের ভ্যালু বাড়াতে আমাদের প্রতিশ্রুতিশীল কর্মীদের স্বীকৃতি দিতে হবে।’
তারিক লেখেন, সমস্যাটি বিবেচনা করে তিনি ডিএসইর (বোর্ড এবং প্রশাসন) রেগুলেশন, ২০১৩ বিশ্লেষণ করে দেখেন যে ডিমিউচুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জের এমডি এবং একজন পরিচালক হিসেবে যেকোনো স্তরে অফিসারদের পদোন্নতি দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। সেই অনুযায়ী তিনি অতিরিক্ত দায়িত্ব বরাদ্দ শুরু করেন।
তারিক ডিএসই (বোর্ড এবং প্রশাসন) রেগুলেশন, ২০১৩-এর নানা বিধান তুলে ধরে বলেন, পদোন্নতি দেয়া তার এখতিয়ারে। এই পদোন্নতি ও পারিশ্রমিকসংক্রান্ত বিষয়গুলো ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে অমীমাংসিত ছিল। এটি ডিএসইর কর্মচারীদের জন্য অত্যন্ত বঞ্চনার বিষয়। এসব নিয়ে তারা তার সঙ্গে একক ও সম্মিলিতভাবে আলোচনা করেছে।
ফেরানো ‘সম্ভব নয়’
তারিক চিঠি দিলেও তার পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করেন ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এটার কি এখন আর স্কোপ আছে? নাই। উনি নিজে নিজে পদত্যাগ করেছেন। বোর্ড সেটা অ্যাকসেপ্ট করেছে। এখন উনি চিঠি দিলেই কি হবে? আমাদের বোর্ড থেকে এটা আর বিবেচনা করার সুযোগ নাই। এখন কমিশন থেকে যদি কিছু করে সেটা তাদের মতো করে চিন্তা করবে। ’
বিএসইসির একজন কমিশনার নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেন, ‘তাকে তো কেউ রিজাইন দিতে বলেনি। তিনি নিজেই রিজাইন দিয়েছেন। বোর্ড থেকে তাকে বের করে দেয়া হলে তখন ইন্টারফেয়ার করা যেত। কিংবা তিনি কোনো অন্যায় করলে বলা যেত যে আপনি এটা করেছেন, এটার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আপনাকে যেতে দেয়া হবে না। কিন্তু তিনি তো একজন ভালো মানুষ। এটা বলার জায়গা তো নেই। তাহলে তাকে কীভাবে আটকে রাখি?’
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য