× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
A jump in the sugar market pressured the price to rise
google_news print-icon

চিনির বাজারে লাফ, দাম বাড়াতে চাপ

চিনির-বাজারে-লাফ-দাম-বাড়াতে-চাপ
চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই লাগামহীন। ফাইল ছবি
চিনির দাম বাড়ানোর জন্য ট্যারিফ কমিশনে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না এলেও ব্যবসায়ীরা বসে নেই। বাজারে চিনির সরবরাহে ঘাটতি তৈরি করে তারা বাড়িয়ে চলেছে দাম।

নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই লাগামহীন। চাল, ডাল, তেল, আটার বাইরে আলাদা করে অন্য কোনো পণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনাও কম। আর এই ফাঁকে নীরবে দাম বাড়ছে আরেক অত্যাবশ্যক পণ্য চিনির।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাসের ব্যবধানে চিনির দাম বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। ৮০ টাকা কেজির খোলা চিনি এখন ৯০ টাকা। আর ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে প্যাকেটজাত চিনি।

এ অবস্থায় অত্যাবশ্যক ৯টি পণ্যের অংশ হিসেবে চিনির দামও বেঁধে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

চিনির দাম বাড়ানোর জন্য ট্যারিফ কমিশনে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না এলেও ব্যবসায়ীরা বসে নেই। বাজারে চিনির সরবরাহে ঘাটতি তৈরি করে তারা বাড়িয়ে চলেছে দাম।

বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি আবুল হাসেম বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমিয়ে দেয়ায় সংকট সৃষ্টি হচ্ছে, দামও বাড়ছে।’

বাজারদর

রাজধানীর বৃহৎ পাইকারি বাজার মৌলভীবাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম এখন ৮৩ টাকা। দুই দিন আগে তা ছিল ৮৪ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে ৮০ টাকার মধ্যে ছিল চিনির দাম। দুই মাস আগে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয় ৭০ থেকে ৭২ টাকায়।

তবে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ৯০ টাকায় উঠে গেছে। কারওয়ান বাজারে খোলা চিনির কেজি ৯০ থেকে ৯২ টাকা। আর প্যাকেট করা প্রতি কেজি চিনির দাম ৯৫ টাকার বেশি।

অলিগলির দোকানে ইচ্ছামতো নেয়া হচ্ছে চিনির দাম। অনেক দোকানে চিনি মিলছে না।

দোকানিরা বলেন, ‘চাহিদামতো চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। যাও পাওয়া যাচ্ছে, দাম বেশি।’

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী সেলিম মিয়া বলেন, ‘এক মাসের ব্যবধানে চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা।’

মিরপুরের শেওড়াপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী খোকন আলী বলেন, ‘চিনি বিক্রি করতে গিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে ঝগড়া হয়ে যাচ্ছে। প্রায় প্রতিটি ক্রেতাই দাম বাড়ার কারণ জানতে চান।’

টিসিবির তথ্য

সরকারি বিপণন প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ, টিসিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, রাজধানীর বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি করা হচ্ছে ৮৮ থেকে ৯০ টাকা।

এক মাস আগে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৮০ থেকে ৮২ টাকা। মাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৮ ভাগ।

টিসিবি বলছে, এক বছর আগে এই সময়ে এক কেজি চিনির দাম ছিল ৭৮ থেকে ৮০ টাকা।

২০২১ সালের শুরুতে এক কেজি চিনির দাম ছিল ৬৫ টাকা। পরবর্তী সময় ৫ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ৭০ টাকা। পরে গেল ৬ এপ্রিল বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন-বিএসএফআইসি আরও ৫ টাকা দাম বাড়িয়ে করে ৭৫ টাকা।

দাম বৃদ্ধির নেপথ্যে

চিনির দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ট্যারিফ কমিশনকে জানিয়েছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

বাণিজ্যসচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে দাম বৃদ্ধির নেপথ্য কারণও উল্লেখ করা হয়। বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়া, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং শুল্ক সুবিধা না থাকায় চিনির দাম পুনর্নির্ধারণের দাবি তাদের।

চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনভুক্ত চিনি পরিশোধনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো অপরিশোধিত চিনি আমদানি করে নিজস্ব কারখানায় পরিশোধন করে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করে আসছে।

‘বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে দেশের চিনি পরিশোধনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো দেরিতে মূল্য পরিশোধের সুবিধা নিয়ে ঋণপত্র খোলার পর মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের বিপরীতে অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে বিপুল লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।

‘ঋণপত্র বা এলসি খোলার সময় এক ডলারের বিনিময়মূল্য ৮৩ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে ছিল। কিন্তু দেরিতে মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বর্তমানে এক ডলারে ১১৫ টাকা পর্যন্ত বিনিময়মূল্য নিচ্ছে।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আগে আমদানি শুল্ক ছিল টনপ্রতি ২২ হাজার থেকে ২৩ হাজার টাকার মধ্যে। এখন প্রতি টন চিনির বিপরীতে ২৮ হাজার থেকে ২৯ হাজার টাকা শুল্ক গুনতে হচ্ছে। ফলে প্রতি টন চিনির (পরিশোধনের পর) মিল গেটে দাম পড়ছে এক লাখ থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা। সে হিসাবে মিল গেটে মণপ্রতি দাম পড়ছে ৩ হাজার ৭০৩ থেকে ৩ হাজার ৮৮৮ টাকা। কিন্তু বর্তমানে মিল গেটে প্রতি টন চিনি ৭৮ হাজার ৩০০ থেকে ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। সে হিসাবে মণপ্রতি দাম পড়ছে ২ হাজার ৯০০ থেকে ২ হাজার ৯২০ টাকা।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের বাজারে চিনির দাম বাড়িয়ে বিক্রি না করলে লোকসান বেড়ে কারখানাগুলো দেউলিয়া হবে। লোকসানের পরিমাণ কমাতে পরিশোধিত চিনি অভ্যন্তরীণ বাজারে উৎপাদন খরচ মূল্যে বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই।

সংস্থাটি চিঠিতে চিনির মূল্যবৃদ্ধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত রেটে ঋণপত্র খোলায় ডলারের দাম নির্ধারণ, বিদেশি মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোতে ডলার সরবরাহ এবং আমদানি শুল্ক মওকুফ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে অবহিত করাসহ দ্রুত দিকনির্দেশনা দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

চিনির দাম বেঁধে দিচ্ছে সরকার

ট্যারিফ কমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, অত্যাবশ্যক ৯টি পণ্যের মূল্য বেঁধে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই তালিকার মধ্যে চিনিও রয়েছে। চিনির দামও নির্ধারণ করা হবে।

চিনির আমদানি মূল্য, উৎপাদন ব্যয়, ডলার মূল্য ও শুল্ক হার পর্যালোচনা করে দাম নির্ধারণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানকে চিঠিও দেয়া হয়েছে।

অত্যাবশ্যক পণ্য বিপণন আইন অনুযায়ী এই পণ্যের দাম বেঁধে দেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা এতদিন করেনি ট্যারিফ কমিশন।

দেশে চিনি উৎপাদিত হয় মাত্র এক লাখ টন। অভ্যন্তরীণ চাহিদার বাকিটা মেটাতে প্রতি বছর চিনি আমদানি করা হয় প্রায় ২২ লাখ টন। এই আমদানি নির্ভরতার কারণে বিশ্ববাজারে দামের ওঠা-নামা এবং ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার প্রবণতায় বাড়ছে দাম।

আরও পড়ুন:
দাম বাড়ানোর পর বাড়ছে সয়াবিনের সরবরাহ
চাহিদা বাড়ছে ভাঙা ডিমের
বাড়তি দরে কিনতে নারাজ, দাম কমেছে ডিম-মুরগির
ম্যাজিস্ট্রেট দেখেই হালিতে ডিমের দাম কমল ৬ টাকা
ঘরে বসে সস্তায় বাজারের সুযোগ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
While vegetables remained stable prices of all types of meat rose

সবজি স্থিতিশীল থাকলেও সব ধরনের মাংসের দাম বেড়েছে

সবজি স্থিতিশীল থাকলেও সব ধরনের মাংসের দাম বেড়েছে
গরুর মাংস ৩০, খাসির মাংস ৫০ ও ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। সবজির বাজার স্থিতিশীল থাকলেও ঢেঁড়স, সজনে, লম্বা শিম ও করলার মতো নতুন সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। 

রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে গরু ও মুরগিসহ অন্যান্য মাংসের দাম চড়া থাকলেও স্থিতিশীল রয়েছে সবজির দাম।

শুক্রবার মহাখালী, কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগরসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় গরুর মাংস ও মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। সূত্র: ইউএনবি

পবিত্র রমজানা মাসে সাপ্তাহিক ছুটির দিনটিতে গরুর মাংস মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে।

মানভেদে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হয়ে আসছিল ১০৫০ থেকে ১১৫০ টাকায়। তা কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে।

ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে তা ছিল ২২০ টাকা কেজি।

দাম বেড়েছে সোনালি মুরগিরও। তা বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি দরে।

একইভাবে প্রতি কেজি মোরগের দাম ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, মুরগির খাদ্য ও ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম বাড়ায় মাংসের দাম বেড়েছে।

বাজারে প্রায় সব সবজির দামই স্থিতিশীল রয়েছে। তবে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঢেঁড়স, সজনে, লম্বা শিম ও করলার মতো নতুন সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে।

সজনে ছাড়া বাকি সবজি ৬০ থেকে ১০০ টাকায কেজি বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার মান ভেদে প্রতি কেজি সজনে বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়।

বেগুনসহ অন্যান্য সবজি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ও ফুলকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মান ভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, রসুন ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা এবং আদা ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতি ডজন বাদামি ডিম ১৪৫ টাকা, হাঁসের ডিমের হালি ৭০ টাকা এবং ঘরে পালন করা মুরগির ডিম হালিপ্রতি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া চলতি সপ্তাহে অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
TCB will import 50 thousand tons of onions from India
মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রস্তাব অনুমোদন

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে টিসিবি

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে টিসিবি
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে পেঁয়াজ আমদানি সংক্রান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর তা আমদানি করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি)।

বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়। সূত্র: ইউএনবি

তবে বৈঠকে পেঁয়াজের দাম প্রকাশ করা হয়নি। কারণ প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আবারও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে আসবে।

প্রস্তাব অনুযায়ী, ভারতের ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের কাছ থেকে জিটুজি (সরকার বনাম সরকার) ভিত্তিতে এসব পেঁয়াজ আমদানি করবে টিসিবি।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব সাংবাদিকদের জানান, ক্রয় প্রস্তাবটি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে আসার পর পেঁয়াজের দাম প্রকাশ করা হতে পারে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Import of 1000 tons of potatoes from India in four shipments

ভারত থেকে চার চালানে ১০০০ টন আলু আমদানি

ভারত থেকে চার চালানে ১০০০ টন আলু আমদানি বেনাপোল বন্দর ইয়ার্ডে ভারত থেকে আমদানি করা আলু বোঝাই ট্রাক। ছবি: নিউজবাংলা
বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বুধবার সকালে বলেন, ‘ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ১৩ ও ১৪ মার্চ ২০০ টন করে এবং ১৯ মার্চ ৩০০ ও ২৪ মার্চ রাতে ৩০০ টন আলু আমদানি করা হয়।’

রমজানে চাহিদা বাড়ায় ভারত থেকে আমদানি করা আলুর আরেকটি চালান বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে এসেছে।

বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ১৩ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ৩২টি ট্রাকে এক হাজার টন আলু নিয়ে আসা হয়েছে বেনাপোলে।

আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস। আলুর চালান বন্দর থেকে খালাস নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছে ট্রান্সমেরিন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ১৩ ও ১৪ মার্চ ২০০ টন করে এবং ১৯ মার্চ ৩০০ ও ২৪ মার্চ রাতে ৩০০ টন আলু আমদানি করা হয়।’

ট্রান্সমেরিন লজিস্টিক লিমিটেড সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘চারটি চালানে ভারতীয় ৩২টি ট্রাকে এক হাজার টন আলু আমদানি করা হয়। প্রতি টন আলুর আমদানি খরচ পড়েছে ১৯৪ ডলার।’

এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘আমদানি করা আলুর তিনটি চালানের ৭০০ টন ইতোমধ্যে বন্দর থেকে খালাস করা হয়েছে। শেষ চালানের ৩০০ টন বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় আছে।

‘আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খালাসের অনুমতি চাইলে দ্রুত ছাড়করণে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।’

এর আগে গত বছরের ২ ডিসেম্বর ভারত থেকে তিনটি ট্রাকে ৭৪ টন আলু আমদানি করা হয়। এরপর চলতি মাসে চারটি চালানে আরও এক হাজার টন আলু আমদানি করা হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Selling beef in Mymensingh city for 550 kg

ময়মনসিংহ সিটিতে গরুর মাংস বিক্রি ৫৫০ টাকা কেজিতে

ময়মনসিংহ সিটিতে গরুর মাংস বিক্রি ৫৫০ টাকা কেজিতে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে ৫৫০ টাকায়। ছবি: নিউজবাংলা
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী বলেন, ভর্তুকি মূল্যে প্রত্যেকের কাছে এক কেজি করে গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। প্রথম দিন লোকজন সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে মাংস কিনে নিয়েছে।

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি শুরু করেছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক)। বাজারের তুলনায় গরুর মাংস কেজিতে ২০০ টাকা কমে ৫৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

নগরীর টাউনহল মাঠে সোমবার বেলা ১১টার দিকে গরুর মাংস বিক্রি শুরু হয়।

নগরীর স্টেশনরোড থেকে মাংস নিতে এসেছেন ভ্যানচালক ফাইজুল মিয়া।

তিনি বলেন, ‘বাজারে এক কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখানে ২০০ টাকা কম হওয়ায় কিনতে এসেছি। রমজান মাসে নিশ্চই সিটি করপোরেশনের এটি মহৎ উদ্যোগ।’

শহরের গাঙ্গিনাড়পাড় এলাকা থেকে আসা জাহানারা খাতুন বলেন, ‘স্বামী না থাকায় প্রতিদিন গাঙ্গিনাড়পাড়ে তরিতরকারি বিক্রি করি। সময় যত যাচ্ছে, সব পণ্যসহ মাংসের দামও বাড়ছে। দাম বেশির কারণে মাংস কিনে খেতে পারি না। এখানে দাম কম হওয়ায় এক কেজি কিনে নিয়েছি।’

অটোরিকশা চালক লিটন মিয়া বলেন, ‘যাত্রী নিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে টাউনহল মোড়ে যাচ্ছিলাম। মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে কম দামে মাংস কিনছে দেখতে পেয়ে যাত্রী নামিয়ে এসে আমিও মাংস কিনেছি।’

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী বলেন, ভর্তুকি মূল্যে প্রত্যেকের কাছে এক কেজি করে গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। প্রথম দিন লোকজন সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে মাংস কিনে নিয়েছে।

পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও মঙ্গলবার মাংস বিক্রির এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
১২০ কেজি হরিণের মাংসসহ পাচারকারী আটক
রোজায় কম দামে দুধ, ডিম, মাংস মিলবে রাজধানীর যেসব জায়গায়
রোজায় কম দামে দুধ, ডিম, মাংস বেচবে সরকার
কুড়ানো মাংস বেচে চাল কিনবেন জয়নাল
গন্ধহীন ভেড়ার মাংস উৎপাদনে সাফল্য

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The prices of goods are increasing due to high profits of traders rather than extortion Home Minister

চাঁদাবাজির চেয়ে ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফায় পণ্যের দাম বাড়ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

চাঁদাবাজির চেয়ে ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফায় পণ্যের দাম বাড়ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান শনিবার মিরপুরে বাংলাদেশ পুলিশ স্টাফ কলেজে এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: নিউজবাংলা
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি রোধে পুলিশ-র‍্যাব কঠোর অবস্থানে রয়েছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে যে জিনিস ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সেটাই অল্প কিছু দূরে নিয়ে ৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। চাঁদাবাজির চেয়ে ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফার চিন্তা-ভাবনা পণ্যের দামে বেশি প্রভাব ফেলে।’

সড়ক-মহাসড়কে ট্রাকে চাঁদাবাজির চেয়েও ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

শনিবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ পুলিশ স্টাফ কলেজে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন সাইবার সিকিউরিটি কোর্স উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি রোধে পুলিশ-র‍্যাব কঠোর অবস্থানে রয়েছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে যে জিনিস ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সেটাই অল্প কিছু দূরে নিয়ে ৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। চাঁদাবাজির চেয়ে ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফার চিন্তা-ভাবনা পণ্যের দামে বেশি প্রভাব ফেলে।

‘যশোর থেকে পণ্য নিয়ে ঢাকায় আসতে একটি ট্রাকের কত টাকা চাঁদা দিতে হয় হয় সেই হিসাব ধরে আমরা পরিসংখ্যান করেছি। চাঁদাবাজির চেয়ে অধিকতর মুনাফার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঢাকায় বাড়ে। চাঁদাবাজি রোধে পুলিশের স্পেশাল ড্রাইভ চলছে।’

তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজি বন্ধে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে ইতোমধ্যে ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে সব মহাসড়ককে ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।’

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াও ভোক্তা অধিকারসহ বিভিন্ন ফোর্স এখানে কাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে যখনই আসে তখনই তারা অর্পিত দায়িত্ব পালন করে। যারা অধিক মুনাফা করছে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পাড়া-মহল্লায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু হলে অধিক মুনাফা রোধ করা সম্ভব হবে।’

রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সিলিন্ডার কিংবা গ্যাস সংযোগ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন থাকা দরকার। ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা অনুযায়ী অগ্নিকাণ্ড রোধে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংযোজন করলে ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারব।

‘রাজধানীর পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন সরিয়ে দেয়ার জন্য জায়গা দিয়েছি। তারপরও তারা গোপনে আবারও চলে আসে। আইন ভঙ্গ করে, রাজউকের অনুমোদন না নিয়ে যত্রতত্র সিলিন্ডার ব্যবহার না করার জন্য সবার প্রতি নির্দেশনা দেয়া আছে। নাশকতার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।

সভাপতিত্ব করেন পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর (অতিরিক্ত আইজিপি) ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম।

আরও পড়ুন:
বিদেশি চাপ আমাদের জন্য কোনো ব্যাপার নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পরাজয় নিশ্চিত জেনে ভোটে আসেনি বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নৈতিক দায়িত্ব পালন করুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-আইজিপির শ্রদ্ধা
বিজয় মিছিলে নির্বাচন বিরোধী কর্মকাণ্ড করা যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
India suspends onion export indefinitely

পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করল ভারত

পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করল ভারত
ভারত থেকে মার্চের শেষে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ তৈরি হবে- এমন ভাবনায় দেশের বাজারে কিছুটা স্বস্তি এসেছিল। দামও অনেকটা কমে আসে। তবে প্রতিবেশী দেশটি পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করার খবরে দেশের বাজারে আবারও অস্থিরতা সৃষ্টির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পেঁয়াজ রপ্তানিতে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়িয়েছে ভারত। শনিবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারত থেকে মার্চের শেষে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ তৈরি হবে- এমন ভাবনায় দেশের বাজারে কিছুটা স্বস্তি এসেছিল। দামও অনেকটা কমে আসে। তবে প্রতিবেশী দেশটি পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করার খবরে দেশের বাজারে আবারও অস্থিরতা সৃষ্টির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত বছরের ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। শনিবারের বিবৃতিতে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত রপ্তানিতে এই স্থগিতাদেশ অব্যাহত থাকবে।

ভারতে লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।

প্রসঙ্গত, ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পেঁয়াজ রপ্তানিকারী দেশ। বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, নেপাল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভারতীয় পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশেও রপ্তানি হয় ভারতীয় পেঁয়াজ।

ডিসেম্বরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর থেকে দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দামে ধস নামে। আর দেশটি থেকে পেঁয়াজ আমদানিকারী দেশগুলোর বাজারে দাম বাড়তে থাকে হু হু করে।

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। রাজ্যটিতে গত ডিসেম্বরে প্রতি ১০০ কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল চার হাজার পাঁচশ রুপি, যা এখন কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার দুশ রুপি।

বাংলাদেশের বাজারে বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে। কয়েক দিন আগে এই দর ১২০ টাকা ছুঁয়েছিল।

ভারতের কৃষিপণ্য রপ্তানি সংক্রান্ত সরকারি সংস্থা হর্টিকালচার এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের (হেপা) প্রেসিডেন্ট অজিত শাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি অস্বাভাবিক নয়। প্রতি বছরই মার্চ-এপ্রিল মাসে (আন্তর্জাতিক) বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দেয়। এতদিন ভারতীয় পেঁয়াজ এই ঘাটতি সামাল দিতো। সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে এ বছরের তিন মাসে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ পৌঁছায়নি, সেজন্যই এ ঘাটতি।’

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে কমছে পেঁয়াজের দাম
বাংলাদেশে সীমিত আকারে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত
ভারত থেকে দেড় লাখ টন পেঁয়াজ চিনি কিনতে চায় সরকার
বেনাপোলে পেঁয়াজের দামে আগুন কেন
পেঁয়াজের দাম বাড়ছেই

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The price of beef and chicken has increased and the price of vegetables has decreased

গরু-মুরগির দাম বেড়েছে, কিছুটা কমেছে সবজির

গরু-মুরগির দাম বেড়েছে, কিছুটা কমেছে সবজির ফাইল ছবি
ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজি। যা আগে বিক্রি হয়েছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগির দাম বেড়ে ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর কাঁচাবাজারে গরুর মাংস, মুরগি ও ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও সবজি, আলু ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে।

শুক্রবার কারওয়ান বাজার, মহাখালী, রামপুরা, মালিবাগসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। খবর ইউএনবির

রাজধানীতে গরুর মাংস ও মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। শুক্রবার প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। গত সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় ৫০ টাকা বেড়েছে। খাসির মাংস প্রতি কেজি ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকায়।

ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজি। যা আগে বিক্রি হয়েছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগির দাম বেড়ে ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

একইভাবে প্রতি কেজি কক মুরগি ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, মুরগির খাবার ও ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম বাড়ায় মাংসের দামও বেড়েছে।

প্রায় সবজির দাম কমলেও নতুন আসা মৌসুমি সবজির দাম যেমন সজনে ডাটা, শিম, করলার দাম বেশি। যা মান ভেদে ১০০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বেগুনসহ অন্যান্য সবজি প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং লাউ, চালকুমড়া ও ফুলকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মান ভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, রসুন ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা এবং আদা ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের দাম প্রতি ডজন ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে এক ডজন বাদামি ডিম ১৪৫ টাকা, হাঁসের ডিম প্রতি হালি (৪টি) ৭০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ৮০ টাকা (চারটি) দরে বিক্রি হচ্ছে। এ সপ্তাহে রান্নার অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে