টানা ছয় দিন উত্থানের পর এক দিনের বিশ্রাম শেষে আবার পর পর তিন দিনের উত্থান দেখল পুঁজিবাজার।
গত সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ৭৪ পয়েন্টের পর চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার এক পর্যায়ে সূচক এর চেয়ে বেশি বেড়ে গিয়েও পরে কমে ৪৬ পয়েন্ট। দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার এক পর্যায়ে সূচক কিছুটা কমে গেলেও শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক প্রবণতায় শেষ হয় লেনদেন।
এই তিন দিনে বেড়েছে ১২ট পয়েন্ট। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ সূচকের অবস্থান একন ৬ হাজার ৪০৭ পয়েন্ট, যা গত ১৬ জুনের পর সর্বোচ্চ। সেদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ৪২৫ পয়েন্ট।
দিন শেষে ৬ পয়েন্ট সূচক বাড়লেও লেনদেন অনেকটাই কমেছে।
আগের দিন চলতি বছর প্রথম বছরের মতো দুই হাজার কোটি টাকার বেশি শেয়ার হাতবদল হয়েছিল। লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১০৫ কোটি ১৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
সেখোন থেকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৩৬০ কোটি টাকা কমেছে। হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ৭৪৪ কোটি ৮৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
গত ১৪ আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত টানা ছয় কর্মদিবসে পুঁজিবাজারে সূচক বাড়ে ১৬৭ পয়েন্ট। ২৪ আগস্ট ৩৫ পয়েন্ট দরপতন যে একটি সাধারণ সংশোধন ছিল, সেটি বোঝা যায় তার পর দিনই। সেদিন ৭৪ পয়েন্ট উত্থানের পাশাপাশি চলতি বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়।
রোববার সূচক এর চেয়ে কম বাড়লেও লেনদেন আরও উচ্চতায় পৌঁছে। গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর প্রথমবারের মতো লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ায় দেখা যায় উচ্ছ্বাস। এতে স্পষ্ট হয়ে উঠে দীর্ঘ সংশোধন আর অর্থনীতি নিয়ে আতঙ্ক কাটিয়ে বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠছেন।
সোমবার লেনদেন শুরু হয় সূচকের লাফ দিয়েই। শুরুতেই বেড়ে যায় ৩৫ পয়েন্ট। তবে এক পর্যায়ে ১৯ পয়েন্ট কমেও যায়। পরে সেখান থেকে আবার বেড়ে গিয়ে আগের দিনের চেয়ে ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হতে থাকে বেলা ১১ টা ৪ মিনিটে।
শেষ দিকে সূচক কমে যায় কি না এমন পরিস্থিতি তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক থেকেই শেষ হয় লেনদেন।
সূচকে পয়েন্ট যোগ হলেও দরবৃদ্ধির চেয়ে দরপতনই বেশি হয়েছে। লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে ১২৩টি দর বেড়েছে, কমেছে ১৮৮টির এবং ৭১টির লেনদেন হয়েছে আগের দরেই।
লেনদেনের বিষয়ে ট্রেজার সিকিউরিটিজের চিফ অপারেটিং অফিসার মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাইরে থেকে কিছু ফান্ড আসার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ মুভমেন্টের কারণে বাজারে একটা লিকিউডিটি তৈরি হয়েছে।
‘এখন দেখা যাচ্ছে, ফ্লোর প্রাইজ থেকে বেশ কিছুটা ওপরে রয়েছে শেয়ারের দাম। ফলে এখানে একটা প্রফিট হয়েছে। যার কারণে অনেকদিন থেকে যাদের ফান্ড আটকে ছিল সেটা রিলিজ হয়েছে। এতে করে যিনি ফার্মাসিউটিক্যালসে ছিলেন সেটা বিক্রি করে টেক্সটাইলে যাচ্ছেন। আবার যারা ৫, ৬ মাস বা একটু বেশি সময় চিন্তা করে বিনিয়োগ করছেন তারা হয়তো অনেকেই ব্যাংকের দিকে যাচ্ছেন। এভাবে বাজারে একটা মুভমেন্ট হচ্ছে। লেনদেনের পরিমাণ তা বলে দিচ্ছে।’
রাজা সেই বস্ত্র খাত
গত এক মাসের বেশি সময় ধরেই এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। মাঝে এক দুই দিন ছাড়া বেশিরভাগ দিনই বস্ত্র খাতেই বেশিরভাগ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
আগের দিন এই খাতে লেনদেন তিন শ কোটি টাকা ছাড়িয়েছিল। সেখান থেকে অবশ্য কিছুটা কমেছে। হাতবদল হয়েছে ২৯৪ কোটি ৬০ লাখর শেয়ার।
সবচেয়ে বেশি ২৮টি বা ৪৭ শতাংশের বেশি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। ১৭টির অপরিবর্তিত এবং ১৪টির লেনদেন হয়েছে দাম কমে।
তবে শতকরা হিসেবে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে জ্বালানি খাতে। এ খাতে ১২টি বা ৫২ শতাংশের বেশি কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে।
২০০ কোটি ছুঁইছুঁই লেনদেন হয়েছে বিবিধ খাতে।
৮টির দর বেড়েছে এবং ৩টি করে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত ও কিছুটা কমে।
প্রকৌশল খাতে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৮১ কোটি ৯০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।
দরবৃদ্ধির চেয়ে দরপতন বেশি খাতটিতে। ১৭টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ২টির অপরিবর্তিত ও ২৩টির লেনদেন হয়েছে দর কমে।
দেড় শ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। ৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৫টির এবং ১৭টির অপরিবর্তিত রয়েছে।
এ ছাড়া ১০০ কোটি টাকা লেনদেন ছাড়িয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, খাদ্য এবং জ্বালানি খাতে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ১টি ছাড়া বাকি ২১টি কোম্পানি দরপতন হয়েছে।
আর খাদ্যে ৪৭ ও জ্বালানি খাতে ৫২ শতাংশের বেশি কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে।
সূচক বাড়াল যারা
সবচেয়ে বেশি ৪ দশমিক ২৫ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে গ্রামীণফোন। শেয়ারটির ১ দশমিক ৫২ শতাংশ দর বেড়েছে।
বিকন ফার্মার দর ১ দশমিক ৯১ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ২১ পয়েন্ট।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ সূচকে যোগ করেছে ১ দশমিক ১২ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ।
এ ছাড়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, পূবালী ব্যাংক, পাওয়ার গ্রিড, বেক্সিমকো লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলনও আইএফআইসি ব্যাংক সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১০ দশমিক শূন্য ৯৫ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ০.৭৫ পয়েন্ট সূচক কমেছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের কারণে। শেয়ারটির দরপতন হয়েছে ১.২২ শতাংশ।
এর পরেই ০.৭৫ পয়েন্ট সূচক কমেছে স্কয়ার ফার্মার দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে শূন্য দশমিক ৫২ শতাংশ।
আইসিবির দর ১.২৩ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৬৯ পয়েন্ট।
এছাড়া ওরিয়ন ফার্মা, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, আইডিএলসি, লঙ্কাবাংলা, তিতাস গ্যাস, ইউনাইটেড পাওয়ার ও ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৪ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০
দর বাড়ার শীর্ষে রয়েছে জিবিবি পাওয়ার লিমিটেড। শেয়ারটির দর ২ টাকা বা ৯.৭১ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ ২২ টাকা ৬০ পয়সা দরে লেনদেন হয়।
২ হাজার ৪৪৯ বারে কোম্পানির ৫৬ লাখ ৮৪ হাজার ৩৬০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আজ কোম্পানিটির দর বেড়েছে ২ টাকা বা ৯.৪৮ শতাংশ। শেয়ারটি সর্বশেষ ২৩ টাকা ১০ পয়সা দরে লেনদেন হয়।
অ্যাপেক্স ফুডস লিমিটেড তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির ৮.৭৪ শতাংশ বেড়েছে। ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ২৩৩ টাকা ৮০ পয়সা।
এ ছাড়া তালিকায় নাম লিখিয়েছে- আমান ফিড, ওরিয়ন ইনফিউশন, ন্যাশনাল টি, ইয়াকিন পলিমার, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি এবং গোল্ডেনসন।
দরপতনের শীর্ষ ১০
দরপতনের শীর্ষে রয়েছে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। শেয়ারটির দর ৩ টাকা ৭০ পয়সা বা ৬.৩৭ শতাংশ কমেছে।
সোমবার কোম্পানিটি সর্বশেষ ৫৪ টাকা ৪০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। এদিন কোম্পানিটি ১ হাজার ১০৮ বারে ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৬২৫টি শেয়ার লেনদেন করেছে। যার বাজার মূল্য ৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
উত্তরা ফাইন্যান্স এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। দর ১ টাকা ৯০ পয়সা বা ৪.৮২ শতাংশ কমে ৩৭ টাকা ৫০ পয়সা দরে লেনদেন হয়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালসের। ৪.৪০ শতাংশ দর কমে দর দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৯০ পয়সা।
এর পরেই ছিল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স। ২ টাকা ৬০ পয়সা বা ৪.২৭ শতাংশ কমে শেয়ারটি ৫৮ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়।
তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলো হচ্ছে- হাক্কানি পাল্প, ওরিয়ন ফার্মা, ওয়াটা কেমিক্যাল, বে-লিজিং, প্রিমিয়ার লিজিং ও ফনিক্স ফাইন্যান্স।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য