রাষ্ট্রায়ত্ত তিন ব্যাংকের দায়িত্ব নিয়েছেন নতুন তিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)।
রোববার সকালে সোনালী ব্যাংকে মো. আফজাল করিম, রূপালী ব্যাংকে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর এবং অগ্রণী ব্যাংকে মো. মুরশেদুল কবীর এমডি ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেন।
তিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জানিয়েছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কাজের পরিধি অনেক বড়। তাই চ্যালেঞ্জও ছোট নয়। এ ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলো ঠিক করে তা মোকাবিলা করা হবে।
তারা জানান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশে প্রান্তিক পর্যায়ে আরও সক্রিয় হবে তিন ব্যাংক।
সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিম বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণে জোর দেবে সোনালী ব্যাংক। তার ভাষ্য, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ আছে। সেই সব চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করে তার সুরাহা করাই হবে মূল লক্ষ্য।’
সোনালী ব্যাংকের অবস্থা নিয়ে আফজাল বলেন, ‘এই মুহূর্তে সোনালী ব্যাংকে প্রভিশন ঘাটতি নেই। এ ক্ষেত্রে সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নিবিড়ভাবে তদারকির মাধ্যমে ব্যাংকের সার্বিক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংকের মূল কাজ আমানত গ্রহণ এবং তা বিনিয়োগ করা। সেই কাজটিই করার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া হবে।’
রূপালী ব্যাংকের নতুন এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর দায়িত্ব গ্রহণ করে বলেন, ‘রূপালী ব্যাংক ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প ঋণে পিছিয়ে আছে। যারা এখনও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি, তাদের এই বছরের মধ্যে তা পূরণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মূলধন ঘাটতি আছে। তা কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। বড় বড় ঋণ দেয়া হয়েছে অনেক, এখন এসএমই ঋণ বিতরণে জোর দেবে রূপালী ব্যাংক।’
অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মুরশেদুল কবীর বলেন, ‘খেলাপি ঋণ আদায়ে জোর দেবে অগ্রণী ব্যাংক। একটি আদর্শ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে নগর এবং গ্রামের মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠা করা হবে। গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে এই ব্যাংক।’
টাকা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য
রাষ্ট্রায়ত্ত তিন ব্যাংক থেকে যে পরিমাণ ঋণ বিতরণ করা হয়েছে, তা যথাসময়ে ফিরিয়ে আনাই হবে নতুন তিন এমডির মূল লক্ষ্য।
ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা আর ফিরিয়ে না দেয়ায় দিন দিন বাড়ছে খেলাপির অঙ্ক। নানা কৌশলে তা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ আছে, কিন্তু শতভাগ অর্থ ফিরে পাওয়া যাচ্ছে না। বড় বড় ঋণ কেলেঙ্কারিতে আটকে গেছে অর্থ।
ব্যাংকিং খাতে মোট খেলাপি ঋণ প্রায় সোয়া লাখ কোটি টাকা, যার বেশির ভাগই বিতরণ করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত কয়েকটি ব্যাংক। মূলত অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করায় বেড়েছে খেলাপি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ হিসাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫৫ হাজার ৪২৮ কোটিরও বেশি, যা বিতরণ করা ঋণের প্রায় ২২ শতাংশ। এ অর্থ আদায়কেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন নিয়োগ পাওয়া নতুন এমডিরা।
খেলাপি ঋণের পাহাড়
চলতি বছরের জুন শেষে সোনালী ব্যাংকের ঋণ ৬৮ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ১২ হাজার ১২৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
জুন শেষে অগ্রণী ব্যাংকের ঋণ ৬৮ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ১০ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।
রূপালী ব্যাংকের ঋণ ৩৭ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ৬ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১৭ দশমিক ২৬ শতাংশ।
সুশাসন প্রতিষ্ঠার চাপ
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এর মূল কারণ সুশাসনের অভাব। অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ দেয়ায় পরবর্তী সময়ে সেই অর্থ ফিরে পাওয়া যায় না।
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তদারকি বাড়ানোর দিকে জোর দেয়ার চাপ আছে, কিন্তু তারপরও ঋণের ক্ষেত্রে মানা হয় না নিয়ম-কানুন। এমন অবস্থায় নতুন এমডিদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
প্রযুক্তিগত সুরক্ষায় দরকার ব্যয় বাড়ানো
প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে আছে রাষ্ট্রায়ত্ত সব ব্যাংক। এই খাতে অর্থ বিনিয়োগে কৃচ্ছ্রতায় লঙ্ঘিত হচ্ছে গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তা।
ব্যক্তি খাতের ব্যাংকগুলো প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাইবার নিরাপত্তা ঠেকাতে এই খাতে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ প্রয়োজন।
এ খাতে বিনিয়োগসহ এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের পরিধি বৃদ্ধি, গ্রাম পর্যায়ে ই-ব্যাংকিং চালু, গ্রাহকের অর্থের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আরও মনোযোগ দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন নবনিযুক্ত এমডিরা।
আরও পড়ুন:রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে অর্থবছরের শেষ দিন আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের সব ব্যাংকের শাখাগুলোতে ব্যাংকিং লেনদেন চলবে।
সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সমকালকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৩০ জুন সকাল ১০টা পর্যন্ত ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান। তিনি বলেন, গত অর্থবছরের চেয়ে এবার বেশি রাজস্ব আদায় হওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে।
সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে নারী কেলেং্কারীসহ দুর্নীতি, অর্থপাচার, শেয়ার কারসাজি ও যৌন হয়রানিসহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন ব্যাংকের এক গ্রাহক
গতকাল বুধবার (২৫ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এসব অভিযোগ তুলে লিখিত আবেদন জমা দেন শিমুল সর্দার নামে এক গ্রাহক। একই অভিযোগে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং আর্থিক খাত বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার কাছেও চিঠি পাঠিয়েছেন।
দুদকে দেওয়া ১০ পাতার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আলমগীর কবির দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ— তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নামে-বেনামে ঋণ দিয়েছেন, চলতি ঋণের সুদ মওকুফ করেছেন এবং অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে একক সিদ্ধান্তে ঋণ অনুমোদন করেছেন। এসব কর্মকাণ্ডের ফলে বর্তমানে সাউথইস্ট ব্যাংকের হাজার কোটি টাকার আমানত ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর কবির ব্যাংকটির অর্থ সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনায় একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেছিলেন। ব্যাংকের প্রতিটি বড় সিদ্ধান্ত—যেমন নতুন শাখা খোলা, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, বুথ বসানো, সফটওয়্যার কেনা ইত্যাদিতে তার একক নিয়ন্ত্রণ ছিল। এসব কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশই ছিল তার আত্মীয়স্বজন বা ঘনিষ্ঠজনদের মালিকানাধীন।
সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির গুরুতর অভিযোগও তুলেছেন অভিযোগকারী। অভিযোগে বলা হয়, আলমগীর কবির একাধিক নারী কর্মকর্তাকে নিজের অফিসে ডেকে নিয়ে তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানি করেছেন। এসব ঘটনার কিছু প্রমাণ ইতোমধ্যে ভুক্তভোগীদের কাছে রয়েছে এবং তারা আইনগত পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। এছাড়া তিনি নিজের পছন্দের কিছু নারীকে ব্যাংকের অধীনস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘গ্রিন স্কুল’ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড’-এ চাকরি দিয়েছেন বলেও অভিযোগে জানান।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, শেয়ার কারসাজির অভিযোগে আলমগীর কবিরকে ইতোমধ্যে ১২ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তার নেতৃত্বে সাউথইস্ট ব্যাংকের ২৩২ কোটি টাকা বে লিজিংয়ে বিনিয়োগ করা হয়, যা বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৪-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড বর্তমানে আর্থিকভাবে এতটাই দুর্বল যে, প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকের পাওনা ফেরত দিতে পারছে না।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বে লিজিংয়ের পুঞ্জীভূত লোকসান দাঁড়ায় ১৭২ কোটি টাকায়। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান চেয়ারম্যান সুরাইয়া বেগম—যিনি আলমগীর কবিরের স্ত্রী—তাঁর মাধ্যমে ব্যাংকটির সঙ্গে বে লিজিংয়ের লেনদেন ‘ব্যাংকসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে লেনদেন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়। এতে করে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ২৭ (১-খ) ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, আলমগীর কবির ব্যাংকের ফাউন্ডেশন ও শিক্ষা বিভাগের তহবিল থেকেও অর্থ তুলে এনে বে লিজিংয়ে সরবরাহ করেছেন। ব্যাংকের মেয়াদি আমানত ও কলমানির অর্থ আটকে আছে ওই প্রতিষ্ঠানটিতে। বারবার চিঠি পাঠিয়েও কোনো অর্থ ফেরত পায়নি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। শুধু মূলধন নয়, প্রতিষ্ঠানটি সুদও পরিশোধ করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর ২৯ তম বার্ষিক সাধারন সভা ২৪ জুন ২০২৫ইং তারিখে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২০২৪ইং সালের নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদন এবং ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জনাব মোস্তফা কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীর পরিচালক মিসেস বিউটি আক্তার, ব্যারিষ্টার হাসান রাজিব প্রধান, জনাব মনজুর মো: সাইফুল আজম এফসিএমএ, মিসেস তাহমিনা বিনতে মোস্তফা, জনাব তায়েফ বিন ইউসুফ, মিসেস তানজিমা বিনতে মোস্তফা, জনাব ওয়াশিকুর রহমান, জনাব তানভীর আহমেদ মোস্তফা , মিসেস সামিরা রহমান, মিসেস তাসনিম বিনতে মোস্তফা, জনাব মোঃ বেলায়েত হোসেন ভূইয়া, জনাব মোহাম্মদ সাইদ আহমেদ রাজা এবং মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সানা উল্লাহ, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা শেখ বিল্লাল হোসেন এফসিএ, কোম্পানীর অডিটর এ.কে.এম. আমিনুল হক এফসিএ, সিনিয়র পার্টনার মেসার্স এ.হক এন্ড কোং চাটার্ড একাউন্টেন্টস এবং আবদুর রহিম মিয়া, এফসিএ, পার্টনার মেসার্স ইসলাম জাহিদ এন্ড কোং, চাটার্ড একাউন্টেন্টস, মোঃ ফিরোজুল ইসলাম সিনিয়র এক্সিঃ ভাইস প্রেসিডেন্ট (অর্থ ও হিসাব) ও কোম্পানী সচিব মো: মাসুদ রানা এবং কোম্পানীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার সভায় সংযুক্ত ছিলেন।
মেঘনা ব্যাংক পিএলসি’র ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ২৩ জুন ২০২৫, সোমবার রাজধানীর মহাথালীতে অবস্থিত ম্যাডোনা টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের সম্মানিত চেয়ারপার্সন মিসেস উজমা চৌধুরী।
বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান জনাব তানভীর আহমেদ, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মো. আলী আক্তার রেজভী, এফসিএ এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ মামুনুল হক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক জনাব রজব আলী, জনাব এম. নজরুল ইসলাম এবং জনাব হাবিবুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব কাজী আহ্সান খলিল এবং ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি সচিব জনাব সজিব কুমার সাহা, এফসিএ এবং ব্যাংকের সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ।
সভায় ব্যাংক নিজেদের পরিষেবা বৃদ্ধি, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি প্রচারণা, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
সম্প্রতি সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি. বরিশাল জেলায় অবস্থিত বিভিন্ন স্কুল থেকে আগত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকদের নিয়ে লিড ব্যাংক হিসেবে ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা এর নির্দেশনায় “স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স-২০২৫” আয়োজন করেছে।
উক্ত কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ইমতিয়াজ আহমেদ মাসুম, নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব), বাংলাদেশ ব্যাংক, বরিশাল এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আবিদুর রহমান চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব), সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি., জনাব মোঃ আলী হোসেন, অতিরিক্ত পরিচালক, ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা, জনাব মোঃ হারুনুর রশিদ, জেলা শিক্ষা অফিসার, বরিশাল এবং সম্মানিত অতিথি জনাব মোঃ মাহাবুব-উল আলম, উপপরিচালক, ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা।
উক্ত কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন সাউথইস্ট ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোহাম্মদ রাশেদুল আমিন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের মধ্য হতে উক্ত কনফারেন্সে জাহানারা ইসরাইল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বরিশাল থেকে রাবিয়া কামাল (দশম শ্রেণী) এবং বরিশাল জেলা স্কুল, বরিশাল থেকে মোঃ হাসনাইন বিন কবির (দশম শ্রেণী) বক্তব্য রাখেন।
উক্ত কনফারেন্সে বরিশাল জেলার ৪৫ টি তফসিলী ব্যাংকের ৪৫ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বরিশাল জেলার বিভিন্ন স্কুল থেকে ১৮০ জন শিক্ষার্থী ও ৪৫ জন শিক্ষক এবং অতিথি সহ সর্বমোট ৩৫০ জন অংশগ্রহণ করেন। কনফারেন্সে বক্তারা শৈশব থেকেই সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও দায়িত্বশীল অর্থ ব্যবস্থাপনার অভ্যাস গড়ে তোলা ও আধুনিক ব্যাংকিং প্রযুক্তির সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের পরিচিত করানোর লক্ষ্যে স্কুল ব্যাংকিং এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়াও স্কুল ব্যাংকিং এর উপর নির্মিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী, র্যালী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিক্ষার্থীদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কনফারেন্সের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
১৬ জুন, ২০২৫ তারিখে ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. এর নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৪০তম সভা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, গুলশান-১, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মুঃ ফরীদ উদ্দীন আহমদ। সভায় পর্ষদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মোঃ হুমায়ুন কবীর, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম জাহীদ, জনাব মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সর্বজনাব শফিউদ্দিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ ইকবাল কার্যপোলক্ষ্যে সভায় যোগদান করেন। সভায় ব্যাংকের ব্যবসা বাণিজ্য, আমানত ও রেমিট্যান্স সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ আদায়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।
জনতা ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান ১৫ জুন রোববার জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজ ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত ২৫ (পঁচিশ) দিন ব্যাপী ফাউন্ডেশন কোর্স ফর অফিসার্স (ব্যাচ ০৫/২০২৫) শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন করেন। উক্ত প্রশিক্ষণ কোর্সে জনতা ব্যাংকের ৫০ জন সিনিয়র অফিসার অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজের ডিজিএম-স্টাফ কলেজ ইনচার্জসহ অন্যান্য নির্বাহী ও অনুষদ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য