প্রায় সব দাবি পূরণ, সেই সঙ্গে অর্থনীতি নিয়ে তৈরি হওয়া উদ্বেগ কেটে যেতে থাকার পর পুঁজিবাজারে উত্থান অব্যাহত রয়েছে। ৯ কর্মদিবসের মধ্যে এক দিন সংশোধন কাটিয়ে নতুন করে যেন প্রাণ পেয়েছে বাজার।
আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ৭৪ পয়েন্ট সূচক বৃদ্ধির দিন বছরের দ্বিতীয় সেরা লেনদেনে হাতবদল হয়েছিল ১ হাজার ৭৭৭ কোটি ৪৫ লাখ ২৭ হাজার টাকা।
নতুন সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরু হতেই বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনাবেচা শুরু হতে দেখা যায়। ২ ঘণ্টার মধ্যে ১ হাজার ৪৬১ কোটি টাকার বেশি শেয়ার হাতবদলেই বোঝা যাচ্ছিল চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি সর্বোচ্চ লেনদেন ১ হাজার ৯৭৬ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
বেলা দেড়টার আগেই আগের দিনের লেনদেন ছাড়িয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত তা চলতি বছর প্রথমবারের মতো ছাড়িয়ে যায় ২ হাজার কোটি টাকার ঘর। এরপর ছাড়িয়ে হয় ২ হাজার ১০৫ কোটি ১৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল প্রায় ১১ মাস আগে ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর, যেদিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪৯৭ কোটি ২০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।
দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক গত ১৯ জুনের পর সর্বোচ্চ অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। এই সূচক এখন ৬ হাজার ৪০১ পয়েন্ট, যা সেদিন ছিল ৬ হাজার ৪০৬ পয়েন্ট।
দিন শেষে সূচক বেড়েছে ৪৬ পয়েন্ট, যা একসময় বেড়েছিল ৮৬ পয়েন্ট। দুপুর ১২টা ১৭ মিনিটে সূচক যখন ৬ হাজার ৪৪১ পয়েন্টে ছিল এবং তা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল, তখন ধারণা করা হচ্ছিল তা সাড়ে ৬ হাজার পয়েন্ট ছাড়াবে।
তবে সে সময় লেনদেনের গতি কিছুটা কমে এবং এরপর শেয়ারগুলো কিছুটা দর হারাতে থাকার পর লেনদেন আবার বাড়ে শেষ দিকে।
বেলা শেষে বেড়েছে ২১৯টি কোম্পানির দর, কমেছে ১০২টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৬১টির।
বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে বেশি শেয়ার কিনেছেন বস্ত্র খাতে। লেনদেন ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটির বেশি। আরও তিনটি খাতে লেনদেন হয়েছে ২০০ কোটি টাকার বেশি। এগুলো হলো ওষুধ ও রসায়ন, প্রকৌশল ও বিবিধ খাত।
দেড় শ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে আর্থিক খাতে। সাধারণ ও জীবন বিমা মিলিয়ে লেনদেন হয়েছে ১৩০ কোটি টাকার বেশি। আর শতকোটি টাকার ছুঁইছুঁই লেনদেন হয়েছে ব্যাংক খাতে।
সূচক বৃদ্ধিতে কোনো একক খাতের প্রধান্য ছিল না। তবে দীর্ঘদিন পর ১২টি কোম্পানির দর দিনের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে হাতবদল হতে দেখা গেছে।
খাতভিত্তিক সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শেয়ারের দর বেড়েছে সাধারণ বিমা খাতে। দীর্ঘদিন পর ভালো দিন গেছে ব্যাংকে। প্রকৌশল এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেও দেখা গেছে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা।
ওই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে বাজার সংশোধন শুরু হলেও বড় মূলধনি কিছু কোম্পানির হাত ধরে সূচক বাড়ছিল। তবে অক্টোবরের সেই দিন থেকে তাও কমতে তাকে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে মতভেদ, বছর শেষে বিনিয়োগ সমন্বয়সহ নানা কারণে বাজার যখন চাপে, তখন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলার পর শুরু হয় ধস।
যে সূচক ৮ হাজার পয়েন্টের দিকে ছুটছিল, একপর্যায়ে তা ৬ হাজারের নিচে নেমে আসে। তবে চলতি মাস থেকেই বাজারের ঘুরে দাঁড়ানো শুরু।
ফ্লোর প্রাইস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগসীমা গণনা পদ্ধতি শেয়ারের ক্রয়মূল্যে হিসাব করাসহ নানা কারণে বিনিয়োগকারীরা এখন অনেকটাই নির্ভার। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর অর্থনীতি নিয়ে যে আতঙ্কে পুঁজিবাজারে ক্রমাগত দরপতন হচ্ছিল, তার মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুঁজিবাজার নিয়ে রক্ষণশীল নীতি পরিবর্তনের আভাস বিনিয়োগকারীদের সাহস দিচ্ছে।
ট্রেজার সিকিউরিটিজের চিফ অপারেটিং অফিসার মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে একটা ফান্ডের ইনজেকশন লক্ষ করা যাচ্ছে। আমি এটাকে বলি, মৌসুমি ফান্ড। এক্সপোর্ট-ইমপোর্টে বেশ কিছু রেস্ট্রিকশনের কারণে ওইদিকে ব্যবসার সুযোগ সংকুচিত হয়ে এসেছে। যার কারণে ব্যবসায়ীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে এসেছেন। কারণ, ব্যবসায়ীরা টাকা ফেলে রাখবেন না।’
তিনি মনে করেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের পুঁজিবাজারবান্ধব সিদ্ধান্ত, ফ্লোর প্রাইস এসব কারণেই যদি বাজার ভালো হয়ে থাকত, তাহলে সেটা আরও আগেই হতো। কিন্তু সেটা দেখা যায়নি। চলমান অর্থনৈতিক সংকটের কারণে অন্য অনেক সেক্টরে বিনিয়োগের সুযোগ কমে আসায় ফান্ডটা পুঁজিবাজারে চলে এসেছে।’
পুঁজিবাজারের এই উত্থান নিয়ে এখনই স্বপ্ন দেখতে চান না মোস্তফা। বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত ভালোই যাচ্ছে, তবে বলব না যে, বাজার ভালো। এই সপ্তাহটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি লেনদেন এই সপ্তাহের গড় লেনদেন ১৪ শ থেকে ১৫ শ কোটির মধ্যে হয়, তাহলে বলা যায় বাজার বেশ ভালোভাবে ফিরল।’
সূচক বাড়াল যারা
সবচেয়ে বেশি ৬ দশমিক ৩১ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে গ্রামীণফোন। শেয়ারটির দর শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ দর বেড়েছে।
পূবালী ব্যাংকের দর ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৩২ পয়েন্ট।
আইসিবি সূচকে যোগ করেছে ১ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংক, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, আইএফআইসি ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মা, বেক্সিমকো লিমিটেড, বসুন্ধরা পেপার ও বার্জার পেইন্টস সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২২ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ৭ পয়েন্ট সূচক কমেছে বিকন ফার্মার দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট কমেছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের কারণে। কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
আইপিডিসি ফাইন্যান্সের দর ৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ২ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট।
এ ছাড়া বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, ওয়ালটন হাইটেক, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বেক্সিমকো ফার্মা ও প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ১৫ দশমিক ১২ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
এই তালিকার সবগুলোই দর বৃদ্ধির সার্কিট ব্রেকার ছুঁয়ে লেনদেন হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দর বেড়েছে কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের। আগের দির দর ছিল ৪৩ টাকা ১০ পয়সা, সেটি এখন দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকা ৪০ পয়সায়। এক দিনেই বেড়েছে ৪ টাকা ৩০ পয়সা।
আরএসআরএম স্টিল দর বৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল। এটির দর ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়ে লেনদেন হয়েছে ২৩ টাকা ২০ পয়সায়। আগের দিনের দর ছিল ২১ টাকা ১০ পয়সা।
৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ দর বাড়া মালেক স্পিনিং রয়েছে তালিকার তৃতীয় স্থানে। সর্বশেষ শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ৪০ টাকা ১০ পয়সায়। আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইজ ছিল ৩৬ টাকা ৫০ পয়সা।
দর বৃদ্ধির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বসুন্ধরা পেপার, মেট্রো স্পিনিং, উত্তরা ফাইন্যান্স, ইস্টার্ন হাউজিং, ঢাকা ডায়িং, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস ও আমান ফিড।
প্রতিটির দরই ১০ শতাংশের কাছাকাছি বেড়েছে।
আরও দুটি কোম্পানির দর ৯ শতাংশের বেশি, দুটির দর ৭ শতাংশের বেশি, চারটির দর ৬ শতাংশের বেশি, ১০টির দর ৫ শতাংশের বেশি, ১৫টির দর ৪ শতাংশের বেশি, ২৭টির দর ৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে। ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে ৩৭টির দর।
দরপতনের শীর্ষ ১০
আগের কার্যদিবসের মতোই দরপতনের শীর্ষে রয়েছে সোনারগাঁও টেক্সটাইল। আজ শেয়ারটির দর ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ কমে লেনদেন হয়েছে ৬৪ টাকা ৭০ পয়সায়। বৃহস্পতিবার ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ দর কমে ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৭১ টাকা ৫০ পয়সা।
ঋণ কেলেঙ্কারি ও লোকসানে ডুবে থাকা ইউনিয়ন ক্যাপিটাল দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। শেয়ারটির দর ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ কমেছে। শেয়ারটির ক্লোজিং প্রাইজ দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৪০ পয়সায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে পেপার প্রোসেসিং। ৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ২৫০ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়।
এই সব কটি কোম্পানির দর গত এক সপ্তাহে ৫০ শতাংশের কাছাকাছি বেড়েছিল।
এ ছাড়া দর কমার শীর্ষ দশে ছিল যথাক্রমে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, বিকন ফার্মা, মনোস্পুল, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, কেঅ্যান্ডকিউ এবং তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য