১৩ মাস যেতে না যেতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারিক আমিন ভূঁইয়ার পদত্যাগের পর জানা গেল তার আগের আরও দুই এমডির পরিণতিও একই হয়েছে।
কেন এমডিরা বারবার পদত্যাগ করেন- এমন প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেয়ার কেউ নেই, তবে ফিসফিসানি আছে কোটারি স্বার্থের খেলা নিয়ে।
৯৫ কর্মকর্তার পদোন্নতি আটকে দেয়া নিয়ে পর্ষদের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে গত মঙ্গলবার হঠাৎ করেই দায়িত্ব ছেড়ে দেন তারিক আমিন, যার মেয়াদ ছিল আরও ২৩ মাস। যদিও এর আগে পর্ষদের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে পদোন্নতির আদেশে সই করে যান তিনি।
কর্মকর্তাদের পদোন্নতির এই সিদ্ধান্ত ছিল এমডির। তার এখতিয়ারেও ছিল এই সিদ্ধান্ত। সম্প্রতি এত বেশি কর্মকর্তার একসঙ্গে পদোন্নতির ঘটনা আর ঘটেনি, তবে এর মধ্যে আরও অনেক কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হননি।
তারা মনঃক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি ডিএসইর বোর্ডও এই সিদ্ধান্ত ভালোভাবে নেয়নি। তারা এমডিকে যে ভাষায় কথা বলেছে, সেটি পছন্দ হয়নি তারিকের। পরে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
তারিকের এই পদত্যাগের পর ডিএসইর বোর্ডের সঙ্গে তার মনোমালিন্যের বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করে জানা গেল, এ নিয়ে পরপর তিনজন এমডি তিন বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেছেন।
পর্ষদের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে গত বছরের ২১ অক্টোবর পদত্যাগ করেন তারিকের আগে এমডির দায়িত্ব পালন করা কাজী ছানাউল হক।
এক্সচেঞ্জটির ডিমিউচুয়ালাইজেশন তথা মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা আলাদা হওয়ার পরে গেলেন এই দুজন।
এর আগে ২০১২ সালের ২৮ মে পদত্যাগ করেন তৎকালীন ডিএসইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন।
এমডির পদত্যাগের মধ্য দিয়ে একটি বিষয়ে জোরেশোরে আলোচনা চলছে। তা হলো ডিএসইর এমডির পদে কেউই পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারেন না কেন?
ডিএসইতে পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনার মধ্যে একটা দূরত্ব সব সময়ই চলে আসছে। ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পরও ব্যবস্থাপনার চেয়ে বেশি ক্ষমতা চর্চার প্রবণতা রয়েছে বোর্ডের মধ্যে। কর্মকর্তাদের অসহযোগিতা এবং স্ব-অধিকারে দায়িত্ব পালন করতে না পারারও অভিযোগ রয়েছে এমডিদের।
অন্যদিকে তারিক আমিন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বোর্ডের সিদ্ধান্ত এবং আইন উপেক্ষা করে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়েছেন, বিভিন্ন বিভাগ ও পদ সৃষ্টি করেছেন।
তারিক আমিন ভূঁইয়া তার ব্যাখ্যায় জানিয়েছেন, ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইনের বলেই তিনি সব কাজ করেছেন।
সম্প্রতি ডিএসইর ৯৫ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হলে জরুরি বৈঠক করে সোমবার তা আটকে দেয় পরিচালনা পর্ষদ। কিন্তু পর্ষদের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে মঙ্গলবার সকালে পদোন্নতির ঘোষণা দেন তারিক। আর রাতেই ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান বরাবর ই-মেইলে পাঠান পদত্যাগপত্র।
ইউনুসুর বলেন, ‘পদত্যাগপত্রে তারেক আমিন ভূঁইয়া উল্লেখ করেছেন যে, ১৩ মাস দায়িত্ব পালনকালে তিনি অনেক কাজ করেছেন। নানা সমস্যার কারণে পরিকল্পনা অনুযায়ী অনেক কাজ করতে পারেননি। তাই উনার মনে হয়েছে, তার এ পদে না থাকা ভালো, তাই তিনি পদত্যাগ করেছেন।’
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিএসইর পর্ষদ সভায় তারিকের পদত্যাগপত্র গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। এখন সংস্থাটিকে নতুন এমডি বাছাই করতে হবে। আপাতত ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব পালন করছেন প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সাইফুর রহমান মজুমদার।
কী বলছেন সাবেকরা
ডিএসইর সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এর জন্য সব সময় পরিচালনা পর্ষদকে দায়ী করা হতো যে, তারা ডিমিউচুয়ালাইজড না হওয়ার কারণে তাদের মধ্যে স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব বা একগুঁয়েমি ছিল। অভিযোগ ছিল অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তার, ব্যক্তিগতভাবে প্রভাব বিস্তার করার।
‘তখন বোর্ডে স্বতন্ত্র পরিচালক ছিলেন না। যেহেতু স্টক এক্সচেঞ্জের নিজস্ব পরিচালনা পর্ষদ, মালিকানা তাদের। এ জন্য তাদের দায়ী করা হতো যে, তারা সঠিক দায়িত্ব পালন করেন না। কাজেই এমডি তার মেয়াদকাল পূর্ণ করতে পারত না। এ জন্য সরকার মনে করেছেন স্টক এক্সচেঞ্জকে ডিমিউচুয়ালাইজড করা দরকার, কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো ডিমিউচুয়ালাইজড হওয়ার পরও এমডিদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ও অবস্থান, মেয়াদকাল পূর্ণ করার ব্যাপারটাও প্রশ্নবোধক থেকেই গেছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিমিউচুয়ালাইজড হওয়ার পর মাজেদুর রহমান ও স্বপন কুমার বালা ছাড়া বাকি দুজনের মেয়াদকাল পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি। ছানাউল হক মাস কয়েকের জন্য ছিলেন। সর্বশেষ তারিক আমিন ভূঁইয়া সবচেয়ে বিতর্কিত এবং প্রশ্নবোধকভাবেই বিদায় নিলেন।
‘ব্যক্তিগতভাবে তিনি সৎ, জ্ঞানী, প্রযুক্তি বিষয়ে ভালো জ্ঞান রাখেন। সেদিক থেকে তাকে নেয়া হয়।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক সাবেক পরিচালক বলেন, ‘তারিক আমিন ভূঁইয়ার বোর্ডকে অবজ্ঞা করা, কথা না শোনা বা বোর্ডকে ছোট করে দেখার প্রবণতা বা আরও অধিকতর ক্ষমতা তার সঙ্গে থাকা—এ চিন্তাটা মাথায় থাকাই তার জন্য কাল হয়েছে।
‘শুরু থেকেই তিনি বোর্ডের থেকে দূরে থাকেন। ব্যক্তিগতভাবে সৎ ও করিৎকর্মা মানুষ হওয়ার পরও নিজের উপস্থাপন প্রক্রিয়ার মধ্যে আসলে কিছু সমস্যা দিনে দিনে দেখা দেয়।’
তিনি এও জানান, ১০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়ে তারিকের সঙ্গে পর্ষদের দ্বন্দ্ব ছিল। তারিক মনে করতেন, অর্ধেক টাকায় এটা সম্ভব, কিন্তু পর্ষদ বেশি খরচে আগ্রহী ছিল।
তিনি বলেন, ‘ডিএসইর প্রযুক্তির কাঠামোর উন্নয়নের জন্য আইটি থেকে একটি বড় প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। পর্ষদে সেটি উপস্থাপন করার পর সমর্থন দেন বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র পরিচালক। এর ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
‘তারিক আমিন ভূঁইয়া দাবি করেন, এটা অর্ধেকের কম টাকায় করা সম্ভব। তিনি সেটি বোর্ডে উপস্থাপন করেন। এ নিয়েই ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা পর্ষদের একটি অংশের সঙ্গে প্রথম থেকেই উনার এক ধরনের দূরত্ব তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত এই দূরত্ব আর ঘুচল না।’
আরও একটি কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এমডির প্রভিশনারি পিরিয়ড শেষে তার যে পূর্ণ নিয়োগ হচ্ছিল না, এটাও পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে এমডির আরও মনোমালিন্যের কারণ।’
ডিএসইর সাবেক এমডি মাজেদুর রহমান বলেন, ‘অনেক বছর ধরে প্রমোশনগুলো আটকে আছে, এটা ঠিক না। এটা বোর্ডের এখতিয়ার না।’
তিনি বলেন, ‘শুনেছি, ম্যানেজমেন্ট এবং বোর্ডের মধ্যে একটু কনফ্লিক্ট সব সময়ই ছিল। মাসিক অনুষ্ঠানগুলোতে দেখেছি বোর্ডের কেউ যদি বসে থেকে দাঁড়ি-কমা ঠিক করেন এবং ম্যানেজমেন্টের কেউ সেখানে ক্যাপাসিটি তৈরি করার জন্য হেল্প না করেন, তাহলে ম্যানেজমেন্ট দিন দিন দুর্বল হতে থাকে। এখানে বড় ধরনের একটা বিষয় ছিল মনে হয়।’
ডিএসইর সাবেক এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘ম্যানেজমেন্টের পুরো টিমের মধ্যেই ম্যাচিউরিটির অনেক অভাব রয়েছে। অনেক সময় এমন হয়ে থাকে এমডিকে মানতে চায় না। এ রকমটা দেখেছি যে, উনি তো চলে যাবেন তিন বছর পরে। থাকব আমরাই। যা করব আমাদের কথাই শুনতে হবে। এই ধরনের অ্যাটিটিউড একটা এক্সচেঞ্জের জন্য অনভিপ্রেত।’
তারিক আমিনের ব্যাখ্যা
এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তাদের পদন্নোতি দেয়ার এখতিয়ার এমডির হাতে রয়েছে বলে জানান পদত্যাগী এমডি তারিক আমিন ভূঁইয়া। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এমডির যে অথরিটি, বোর্ড মনে করছে সেটা নাই। অথচ ডিমিউচুয়ালাইজেশনের আইনে স্পষ্টভাবে বলা আছে, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ হেড ফুললি রেসপন্সিবল, হ্যাড ফুল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অথরিটি ফর ফিন্যানশিয়াল, এইচআর অ্যান্ড জেনারেল ম্যানেজমেন্ট। কন্ট্রোল অ্যান্ড ডাইরেক্টিং স্টাফ, প্রমোশন এসবই এমডির এখতিয়ারের মধ্যে। এমনকি অর্গানোগ্রামও, কিন্তু উনারা মনে করছেন যে, ডিজিএমকে জিএম বানাতে পারি না। জিএমকে সিনিয়র জিএম বানাতে পারি না। এইচআরের ফুল অথরিটি রয়েছে এমডির। শুধু জিএমের রিক্রুটমেন্টের ক্ষেত্রে অনুমোদন নিতে হবে, দ্যাটস ফাইন।’
তিনি বলেন, ‘তারা এখন বলছেন, আপনি অর্গানোগ্রাম কেন চেঞ্জ করেছেন? ভালো কথা, গেজেটেড অর্গানোগ্রাম বইয়ে দেয়াই আছে, ওইখানে প্রপোজড লেখা আছে, দ্যাট ইজ দি ইনিশিয়াল অর্গানোগ্রাম। আমি আসার আগ পর্যন্ত এই অর্গানোগ্রাম আজ পর্যন্ত চেঞ্জ হয়নি।
‘ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের অবজেক্টিভে এক জায়গায় বলা আছে, এইচআর অবজেক্টিভ, টেকনোলজি অবজেক্টিভ, গভর্ন্যান্স অবজেক্টিভ, কমার্শিয়াল অবজেক্টিভ রয়েছে। এর মধ্যে এইচআরের অবজেক্টিভে বলা আছে, উই হ্যাভ টু এনশিওর অপটিমাম অর্গানোগ্রাম স্ট্রাকচার। অপটিমাম স্ট্রাকচার সবসময় অপটিমাম করতে হবে। আমার যাকে যেখানে লাগবে, যদি নতুন ডিভিশন করতে পারি, ডিভিশন করব, কোনো ডিভিশনকে ভাঙতে হলে ভাঙব, এটা তো একেকজন এমডি একেকভাবে করবে।’
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এমডির পদত্যাগের বিষয়ে জেনেছি। তাদের বোর্ড মিটিং করে তারা কিছু জানালে সে অনুযায়ী কাজ করা হবে।’
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য