× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
The dollar heats up in the rod market as well
google_news print-icon

ডলারের উত্তাপ রডের বাজারেও

ডলারের-উত্তাপ-রডের-বাজারেও-
কিছুদিন আগে এক টন রডের দাম ছিল ৮৬ থেকে ৮৭ হাজার টাকা। বাজারভেদে বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৯৩ থেকে ৯৫ হাজার টাকায়। ফাইল ছবি
মিলমালিকরা বলছেন, আগে প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে রডের কাঁচামাল স্ক্র্যাপের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা হতো। ডলার সংকটের কারণে সেটি ১১০ টাকায় পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে করে কাঁচামালের আমদানি ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে।

ডলার সংকটের কারণে নির্মাণসামগ্রীর অন্যতম উপকরণ রডের বাজার আবার গরম হয়ে উঠেছে। কিছুদিন আগে এক টন রডের দাম ছিল ৮৬ থেকে ৮৭ হাজার টাকা। বাজারভেদে বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৯৩ থেকে ৯৫ হাজার টাকায়।

সংশ্লিষ্টরা ব্যবসায়ীরা বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হলে এবং দেশে ডলারের দাম সহনীয় না হলে রডের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে।

রডের বাজারে অস্থিরতা চলছে এক বছর ধরে। ডলার সংকট তাকে আরেক দফা উসকে দিয়েছে।

রডের প্রধান কাঁচামাল আমদানিনির্ভর, যে কারণে ডলার দামি হলে রডের বাজারে সরাসরি প্রভাব পড়ে।

এক বছরে রডের দাম বেড়েছে ৬৫ শতাংশ। সাম্প্রতিক সময়ে এত বেশি রডের দাম আর কখনই বাড়েনি।

নির্মাণের বড় একটি অংশ ব্যয় হয় রডের পেছনে। সে জন্য পণ্যটির দাম বাড়লে এই শিল্পে খরচ বেড়ে যায়।

ঠিকাদার ব্যবসায়ীরা বলেছেন, কৃচ্ছ্রসাধনের জন্য সরকারি অনেক বড় প্রকল্পের কাজ স্থগিত করে দেয়ায় রডের চাহিদা এখন কিছুটা কমে গেছে। তবে সামনে শুষ্ক মৌসুম আসছে। তখন এর চাহিদা বাড়বে।

রাজধানীর নতুন বাজার এলাকার রডের ডিলার আশরাফউদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোরবানি ঈদের আগে যে দামে রড বিক্রি হতো, এখন তার চেয়ে ১০ শতাংশ দাম বেড়েছে। বেশি টাকা দিয়ে মিলমালিকদের কাছ থেকে রড কিনতে হচ্ছে। ফলে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে।’

রডের প্রধান কাঁচামাল পুরোনো লোহালক্কড় বা স্ক্র্যাপ আমদানি করে বিলেট তৈরি করে সেটি রি-রোলিং মিলে গলিয়ে রড তৈরি করা হয়। ৮০ শতাংশ স্ক্র্যাপ আমদানি করা হয়। বাকি ৩০ শতাংশ সংগ্রহ করা হয় অভ্যন্তরীণভাবে। ভাঙারি ব্যবসায়ী ও পুরাতন জাহাজ কেটে তা থেকে স্ক্র্যাপ সংগ্রহ করা হয়।

দেশে রি-রোলিং মিলের সংখ্যা ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১৩০টি। এর মধ্যে বড় আকারের ৫০টি। বাকিগুলো ছোট ও মাঝারি।

মিলমালিকদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে বার্ষিক রডের চাহিদা ৫৫ থেকে ৬০ লাখ টন। এর মধ্যে সরকারি উন্নয়নকাজে ব্যবহার হয় ৬০ শতাংশ। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ বেসরকারি খাতে।

মিলমালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগে প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে কাঁচামাল স্ক্র্যাপের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা হতো। ডলার সংকটের কারণে সেটি ১১০ টাকায় পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে করে কাঁচামালের আমদানি ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। ডলার দুষ্প্রাপ্যতার কারণে নতুন এলসি খুলতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ডলারের উত্তাপ রডের বাজারেও
মিলমালিকদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে বার্ষিক রডের চাহিদা ৫৫ থেকে ৬০ লাখ টন। ফাইল ছবি

যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ স্টিল মিলস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাসাদুল আলম মাসুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ডলার সংকট, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, লোডশেডিং ও গ্যাস সরবরাহসহ নানামুখী সমস্যার কারণে অস্বস্তিতে আছি আমরা। পরিস্থিতি অনুকূল না হলে রডের বাজার সহসাই সহনীয় হচ্ছে না।’

করোনা-পরবর্তী আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন স্ক্র্যাপের দাম ৪০০ থেকে ৪৫০ ডলারে ঠেকে। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫০ ডলারে।

মাসাদুল আলম জানান, বিশ্ববাজারে যখন কাঁচামালের দাম কম ছিল, ডলার সংকটের কারণে এলসি করা যায়নি। নতুন এলসিতে কাঁচামাল আনলে খরচ আরও বাড়বে।

দেশে রডের প্রধান কাঁচামাল স্ক্র্যাপ আমদানি করা হয় মূলত ইউরোপ ও রাশিয়া থেকে। ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার সাম্প্রতিক হামলার ফলে ওই সব দেশ থেকে কাঁচামাল আনতে পারছে না বাংলাদেশ।

কিছু কাঁচামাল চীন থেকে আনা হতো। পরিবেশ দূষণ বন্ধে সম্প্রতি কাঁচামাল উৎপাদন বন্ধ করে দেয় চীন। এ ছাড়া রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ যেসব দেশ থেকে কাঁচামাল আনত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপও সেসব দেশ থেকে নিচ্ছে। ফলে কাঁচামাল সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

রডের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কথা স্বীকার করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির (বিএসিআই) সভাপতি প্রকৌশলী সফিকুল হক তালুকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ যেসব দেশ থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করে, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সেসব দেশে থেকে আনতে পারছে না। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ডলার সংকট। এসব কারণে রডের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে।’

আরও পড়ুন:
চাহিদা বাড়ছে ভাঙা ডিমের
সাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ
ঘরে বসে সস্তায় বাজারের সুযোগ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
TCB will import 50 thousand tons of onions from India
মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রস্তাব অনুমোদন

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে টিসিবি

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে টিসিবি
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে পেঁয়াজ আমদানি সংক্রান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর তা আমদানি করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি)।

বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়। সূত্র: ইউএনবি

তবে বৈঠকে পেঁয়াজের দাম প্রকাশ করা হয়নি। কারণ প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আবারও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে আসবে।

প্রস্তাব অনুযায়ী, ভারতের ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের কাছ থেকে জিটুজি (সরকার বনাম সরকার) ভিত্তিতে এসব পেঁয়াজ আমদানি করবে টিসিবি।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব সাংবাদিকদের জানান, ক্রয় প্রস্তাবটি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে আসার পর পেঁয়াজের দাম প্রকাশ করা হতে পারে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Import of 1000 tons of potatoes from India in four shipments

ভারত থেকে চার চালানে ১০০০ টন আলু আমদানি

ভারত থেকে চার চালানে ১০০০ টন আলু আমদানি বেনাপোল বন্দর ইয়ার্ডে ভারত থেকে আমদানি করা আলু বোঝাই ট্রাক। ছবি: নিউজবাংলা
বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বুধবার সকালে বলেন, ‘ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ১৩ ও ১৪ মার্চ ২০০ টন করে এবং ১৯ মার্চ ৩০০ ও ২৪ মার্চ রাতে ৩০০ টন আলু আমদানি করা হয়।’

রমজানে চাহিদা বাড়ায় ভারত থেকে আমদানি করা আলুর আরেকটি চালান বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে এসেছে।

বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ১৩ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ৩২টি ট্রাকে এক হাজার টন আলু নিয়ে আসা হয়েছে বেনাপোলে।

আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস। আলুর চালান বন্দর থেকে খালাস নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছে ট্রান্সমেরিন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ১৩ ও ১৪ মার্চ ২০০ টন করে এবং ১৯ মার্চ ৩০০ ও ২৪ মার্চ রাতে ৩০০ টন আলু আমদানি করা হয়।’

ট্রান্সমেরিন লজিস্টিক লিমিটেড সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘চারটি চালানে ভারতীয় ৩২টি ট্রাকে এক হাজার টন আলু আমদানি করা হয়। প্রতি টন আলুর আমদানি খরচ পড়েছে ১৯৪ ডলার।’

এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘আমদানি করা আলুর তিনটি চালানের ৭০০ টন ইতোমধ্যে বন্দর থেকে খালাস করা হয়েছে। শেষ চালানের ৩০০ টন বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় আছে।

‘আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খালাসের অনুমতি চাইলে দ্রুত ছাড়করণে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।’

এর আগে গত বছরের ২ ডিসেম্বর ভারত থেকে তিনটি ট্রাকে ৭৪ টন আলু আমদানি করা হয়। এরপর চলতি মাসে চারটি চালানে আরও এক হাজার টন আলু আমদানি করা হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Selling beef in Mymensingh city for 550 kg

ময়মনসিংহ সিটিতে গরুর মাংস বিক্রি ৫৫০ টাকা কেজিতে

ময়মনসিংহ সিটিতে গরুর মাংস বিক্রি ৫৫০ টাকা কেজিতে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে ৫৫০ টাকায়। ছবি: নিউজবাংলা
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী বলেন, ভর্তুকি মূল্যে প্রত্যেকের কাছে এক কেজি করে গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। প্রথম দিন লোকজন সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে মাংস কিনে নিয়েছে।

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি শুরু করেছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক)। বাজারের তুলনায় গরুর মাংস কেজিতে ২০০ টাকা কমে ৫৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

নগরীর টাউনহল মাঠে সোমবার বেলা ১১টার দিকে গরুর মাংস বিক্রি শুরু হয়।

নগরীর স্টেশনরোড থেকে মাংস নিতে এসেছেন ভ্যানচালক ফাইজুল মিয়া।

তিনি বলেন, ‘বাজারে এক কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখানে ২০০ টাকা কম হওয়ায় কিনতে এসেছি। রমজান মাসে নিশ্চই সিটি করপোরেশনের এটি মহৎ উদ্যোগ।’

শহরের গাঙ্গিনাড়পাড় এলাকা থেকে আসা জাহানারা খাতুন বলেন, ‘স্বামী না থাকায় প্রতিদিন গাঙ্গিনাড়পাড়ে তরিতরকারি বিক্রি করি। সময় যত যাচ্ছে, সব পণ্যসহ মাংসের দামও বাড়ছে। দাম বেশির কারণে মাংস কিনে খেতে পারি না। এখানে দাম কম হওয়ায় এক কেজি কিনে নিয়েছি।’

অটোরিকশা চালক লিটন মিয়া বলেন, ‘যাত্রী নিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে টাউনহল মোড়ে যাচ্ছিলাম। মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে কম দামে মাংস কিনছে দেখতে পেয়ে যাত্রী নামিয়ে এসে আমিও মাংস কিনেছি।’

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী বলেন, ভর্তুকি মূল্যে প্রত্যেকের কাছে এক কেজি করে গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। প্রথম দিন লোকজন সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে মাংস কিনে নিয়েছে।

পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও মঙ্গলবার মাংস বিক্রির এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
১২০ কেজি হরিণের মাংসসহ পাচারকারী আটক
রোজায় কম দামে দুধ, ডিম, মাংস মিলবে রাজধানীর যেসব জায়গায়
রোজায় কম দামে দুধ, ডিম, মাংস বেচবে সরকার
কুড়ানো মাংস বেচে চাল কিনবেন জয়নাল
গন্ধহীন ভেড়ার মাংস উৎপাদনে সাফল্য

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The prices of goods are increasing due to high profits of traders rather than extortion Home Minister

চাঁদাবাজির চেয়ে ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফায় পণ্যের দাম বাড়ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

চাঁদাবাজির চেয়ে ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফায় পণ্যের দাম বাড়ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান শনিবার মিরপুরে বাংলাদেশ পুলিশ স্টাফ কলেজে এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: নিউজবাংলা
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি রোধে পুলিশ-র‍্যাব কঠোর অবস্থানে রয়েছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে যে জিনিস ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সেটাই অল্প কিছু দূরে নিয়ে ৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। চাঁদাবাজির চেয়ে ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফার চিন্তা-ভাবনা পণ্যের দামে বেশি প্রভাব ফেলে।’

সড়ক-মহাসড়কে ট্রাকে চাঁদাবাজির চেয়েও ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

শনিবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ পুলিশ স্টাফ কলেজে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন সাইবার সিকিউরিটি কোর্স উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি রোধে পুলিশ-র‍্যাব কঠোর অবস্থানে রয়েছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে যে জিনিস ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সেটাই অল্প কিছু দূরে নিয়ে ৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। চাঁদাবাজির চেয়ে ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফার চিন্তা-ভাবনা পণ্যের দামে বেশি প্রভাব ফেলে।

‘যশোর থেকে পণ্য নিয়ে ঢাকায় আসতে একটি ট্রাকের কত টাকা চাঁদা দিতে হয় হয় সেই হিসাব ধরে আমরা পরিসংখ্যান করেছি। চাঁদাবাজির চেয়ে অধিকতর মুনাফার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঢাকায় বাড়ে। চাঁদাবাজি রোধে পুলিশের স্পেশাল ড্রাইভ চলছে।’

তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজি বন্ধে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে ইতোমধ্যে ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে সব মহাসড়ককে ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।’

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াও ভোক্তা অধিকারসহ বিভিন্ন ফোর্স এখানে কাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে যখনই আসে তখনই তারা অর্পিত দায়িত্ব পালন করে। যারা অধিক মুনাফা করছে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পাড়া-মহল্লায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু হলে অধিক মুনাফা রোধ করা সম্ভব হবে।’

রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সিলিন্ডার কিংবা গ্যাস সংযোগ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন থাকা দরকার। ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা অনুযায়ী অগ্নিকাণ্ড রোধে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংযোজন করলে ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারব।

‘রাজধানীর পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন সরিয়ে দেয়ার জন্য জায়গা দিয়েছি। তারপরও তারা গোপনে আবারও চলে আসে। আইন ভঙ্গ করে, রাজউকের অনুমোদন না নিয়ে যত্রতত্র সিলিন্ডার ব্যবহার না করার জন্য সবার প্রতি নির্দেশনা দেয়া আছে। নাশকতার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।

সভাপতিত্ব করেন পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর (অতিরিক্ত আইজিপি) ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম।

আরও পড়ুন:
বিদেশি চাপ আমাদের জন্য কোনো ব্যাপার নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পরাজয় নিশ্চিত জেনে ভোটে আসেনি বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নৈতিক দায়িত্ব পালন করুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-আইজিপির শ্রদ্ধা
বিজয় মিছিলে নির্বাচন বিরোধী কর্মকাণ্ড করা যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
India suspends onion export indefinitely

পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করল ভারত

পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করল ভারত
ভারত থেকে মার্চের শেষে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ তৈরি হবে- এমন ভাবনায় দেশের বাজারে কিছুটা স্বস্তি এসেছিল। দামও অনেকটা কমে আসে। তবে প্রতিবেশী দেশটি পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করার খবরে দেশের বাজারে আবারও অস্থিরতা সৃষ্টির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পেঁয়াজ রপ্তানিতে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়িয়েছে ভারত। শনিবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারত থেকে মার্চের শেষে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ তৈরি হবে- এমন ভাবনায় দেশের বাজারে কিছুটা স্বস্তি এসেছিল। দামও অনেকটা কমে আসে। তবে প্রতিবেশী দেশটি পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত করার খবরে দেশের বাজারে আবারও অস্থিরতা সৃষ্টির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত বছরের ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। শনিবারের বিবৃতিতে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত রপ্তানিতে এই স্থগিতাদেশ অব্যাহত থাকবে।

ভারতে লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।

প্রসঙ্গত, ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পেঁয়াজ রপ্তানিকারী দেশ। বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, নেপাল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভারতীয় পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশেও রপ্তানি হয় ভারতীয় পেঁয়াজ।

ডিসেম্বরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর থেকে দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দামে ধস নামে। আর দেশটি থেকে পেঁয়াজ আমদানিকারী দেশগুলোর বাজারে দাম বাড়তে থাকে হু হু করে।

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। রাজ্যটিতে গত ডিসেম্বরে প্রতি ১০০ কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল চার হাজার পাঁচশ রুপি, যা এখন কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার দুশ রুপি।

বাংলাদেশের বাজারে বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে। কয়েক দিন আগে এই দর ১২০ টাকা ছুঁয়েছিল।

ভারতের কৃষিপণ্য রপ্তানি সংক্রান্ত সরকারি সংস্থা হর্টিকালচার এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের (হেপা) প্রেসিডেন্ট অজিত শাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি অস্বাভাবিক নয়। প্রতি বছরই মার্চ-এপ্রিল মাসে (আন্তর্জাতিক) বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দেয়। এতদিন ভারতীয় পেঁয়াজ এই ঘাটতি সামাল দিতো। সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে এ বছরের তিন মাসে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ পৌঁছায়নি, সেজন্যই এ ঘাটতি।’

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে কমছে পেঁয়াজের দাম
বাংলাদেশে সীমিত আকারে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত
ভারত থেকে দেড় লাখ টন পেঁয়াজ চিনি কিনতে চায় সরকার
বেনাপোলে পেঁয়াজের দামে আগুন কেন
পেঁয়াজের দাম বাড়ছেই

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The price of beef and chicken has increased and the price of vegetables has decreased

গরু-মুরগির দাম বেড়েছে, কিছুটা কমেছে সবজির

গরু-মুরগির দাম বেড়েছে, কিছুটা কমেছে সবজির ফাইল ছবি
ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজি। যা আগে বিক্রি হয়েছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগির দাম বেড়ে ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর কাঁচাবাজারে গরুর মাংস, মুরগি ও ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও সবজি, আলু ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে।

শুক্রবার কারওয়ান বাজার, মহাখালী, রামপুরা, মালিবাগসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। খবর ইউএনবির

রাজধানীতে গরুর মাংস ও মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। শুক্রবার প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। গত সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় ৫০ টাকা বেড়েছে। খাসির মাংস প্রতি কেজি ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকায়।

ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজি। যা আগে বিক্রি হয়েছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগির দাম বেড়ে ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

একইভাবে প্রতি কেজি কক মুরগি ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, মুরগির খাবার ও ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম বাড়ায় মাংসের দামও বেড়েছে।

প্রায় সবজির দাম কমলেও নতুন আসা মৌসুমি সবজির দাম যেমন সজনে ডাটা, শিম, করলার দাম বেশি। যা মান ভেদে ১০০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বেগুনসহ অন্যান্য সবজি প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং লাউ, চালকুমড়া ও ফুলকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মান ভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, রসুন ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা এবং আদা ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের দাম প্রতি ডজন ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে এক ডজন বাদামি ডিম ১৪৫ টাকা, হাঁসের ডিম প্রতি হালি (৪টি) ৭০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ৮০ টাকা (চারটি) দরে বিক্রি হচ্ছে। এ সপ্তাহে রান্নার অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Ready Rajshahi Silkpara waiting for buyers

প্রস্তুত রাজশাহীর সিল্কপাড়া, ক্রেতার জন্য অপেক্ষা

প্রস্তুত রাজশাহীর সিল্কপাড়া, ক্রেতার জন্য অপেক্ষা বিক্রেতারা ১৫ রোজার পর থেকে বাড়তি চাপ আশা করছেন। ছবি: নিউজবাংলা
সপুরা সিল্ক মিলস লিমিটেডের ম্যানেজার সাইদুর রহমান বলেন, ‘এবার আমরা তিন হাজার থেকে শুরু করে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত শাড়ি বানিয়েছি। পাঞ্জাবি আমাদের এখানে আছে ৪৫০০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে, শার্ট ২৫০০ থেকে ৪ হাজার, থ্রিপিস ৬৫০ টাকা থেকে ৪০ হাজার।’

ঈদকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজশাহীর সিল্ক শ্রমিকরা। এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে শো রুমগুলো। সেই সঙ্গে কারখানাগুলোতে চলছে দিন রাত ব্যস্ততা, তবে এখনও এখানকার শিল্কপাড়া সেভাবে জমে না উঠলেও ক্রেতারা আসছেন এবং পছন্দের পণ্যটি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

বিক্রেতারা বলছেন, ১৫ রোজার পর থেকে বাড়তি চাপ আশা করছেন তারা। এবারে ভালো ব্যবসার আশা করছেন সিল্ক ব্যবসায়ীরা। রোজার শেষ পর্যন্ত এখানে ৫০ কোটি টাকা ব্যবসার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রমজানের কদিন আগে থেকেই ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে রাজশাহী নগরীর সিল্ক কারখাগুলোতে কারিগররা ব্যস্ততম সময় শুরু করেন।

সপুরা সিল্কে গিয়ে দেখা গেল, কারিগররা কেউ রেশমের গুটি থেকে সূতা তৈরি করছেন, কেউ কাপড় তৈরিতে ব্যস্ত আবার কেউ কাঠের ফ্রেমে বেঁধে শাড়ি, ওড়না, পাঞ্জাবি ইত্যাদিতে বাহারি রঙের কারুকার্য জুড়ে দিয়ে তৈরি করছেন নান্দনিক নকশা।

উষা সিল্কের শো রুমে গিয়ে দেখা মিলল, থরে থরে সাজানো সিল্ক পণ্য।

সিল্কের শ্রমিকরা জানান, সারা বছরজুড়েই তাদের হাতে কাজ থাকে, তবে অন্য সময়ের চেয়ে এ রমজান মাসের ব্যস্ততাটা অন্যরকম। এখন শুধু কাজ আর কাজ। রাজশাহীর সপুরা সিল্ক, উষা সিল্ক, আমানা সিল্ক, রাজশাহী সিল্কসহ সব প্রতিষ্ঠানেই এখন ক্রেতার জন্য অপেক্ষা চলছে।

তারা বলছেন, এবার সিল্কের শাড়ি ও পাঞ্জাবির দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। এর পাশাপাশি থ্রিপিস ও অন্য সামগ্রী কিনছেন তারা।

রাজশাহী সপুরা সিল্কে শাড়ি কিনতে গিয়েছিলেন নাহিদা আখতার।

তিনি বলেন, ‘সিল্কের প্রতি ঝোঁক আগে থেকেই। ঈদ আসলে আগ্রহ বাড়ে আরও বেশি। এবারে কিছু নতুন ডিজাইন এসেছে। প্রথমে বাচ্চাদের কাপড় কিনব। পরে নিজের পছন্দ করে শাড়ি নেব।’

নওরিন আরা বললেন, তিনি সিল্কের শাড়ি কিনবেন ঈদে। যেসব শাড়ি দেখছেন সেগুলো ভালোই লাগছে তার। দাম নিয়েও কোনো অভিযোগ নেই নওরিনের।

তিনি বলেন, ‘সব কিছুরই দাম বেড়েছে এ কারণে কাপড়ের দাম কিছুটা বাড়বে এটা ধরে নিয়েই বাজারে এসেছি।’

রাজশাহী সিল্ক ফ্যাশনের ম্যানেজার সেলিম রেজা বলেন, ‘রমজান এখন শুরু। আমার প্রস্তুতি রেখেছি। আশা করছি অন্য বছরের চাইতে এবার বেশ ভালো ব্যবসা করব। কিছু ক্রেতা এখন সন্ধ্যায় আসছে, তবে ১৫ রমজানের পর থেকে হয়ত ভালোভাবে ক্রেতারা আসবে।’

সপুরা সিল্ক মিলস লিমিটেডের ম্যানেজার সাইদুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবারের চাইতে এবার আমরা আরও বেশ ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। রমজানের শুরুতে এবার ছুটিও গেছে। ফলে ওই কয়েকদিন বেশ ভালো ব্যবসা হয়েছে। মানুষের ভিড়ও ছিল।’

তিনি বলেন, ‘এবার আমরা তিন হাজার থেকে শুরু করে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত শাড়ি বানিয়েছি। পাঞ্জাবি আমাদের এখানে আছে ৪৫০০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে, শার্ট ২৫০০ থেকে ৪ হাজার, থ্রিপিস ৬৫০ টাকা থেকে ৪০ হাজার। আমরা সকাল থেকে রাত ১০টা-১১টা পর্যন্ত খোলা রাখি। এবারের দাম আগের মতোই রাখা হয়েছে।’

রাজশাহী সিল্ক মালিক সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলী বলেন, ‘রমজান কেবল শুরু। এখনই বলা যাচ্ছে না কেমন বেচাকেনা হবে, তবে আমরা আশাবাদী ভালোই হবে। এবার আমরা আশা করছি অন্তত ৫০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে।’

আরও পড়ুন:
ফুটপাতে জমে উঠেছে ঈদকেন্দ্রিক কেনাকাটা
শপিং মলে অনিয়ম পেলে মার্কেট কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
রমজানে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে চান ব্যবসায়ীরা
কেমন চলছে নিউ মার্কেটের ঈদ কেনাকাটা
ফুটপাত থেকে শপিংমলে গভীর রাতেও কেনাকাটা

মন্তব্য

p
উপরে