টানা ছয় কর্মদিবস উত্থানের পর একদিনের বিশ্রাম নিয়ে নতুন করে শক্তি দেখাল পুঁজিবাজার। সংশোধনে সূচক যতটা পড়েছিল, উত্থানে বেড়েছে তার দ্বিগুণ। সেই সঙ্গে লেনদেন বেড়ে চলতি বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে সংশোধনে যাওয়া পুঁজিবাজারে প্রায় সব দাবি পূরণ, বিশ্ব অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর আলোচনাসহ নানা কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। সক্রিয় হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও। আর দীর্ঘ প্রায় এক বছরের ঘুম কাটিয়ে জেগে উঠেছে পুঁজিবাজার।
গত সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস থেকে পুঁজিবাজারে উত্থান শুরু হয়। এর মধ্যে ছয় কর্মদিবসে সূচক বাড়ে ১৬৭ পয়েন্ট। সেই সঙ্গে গত দুই কর্মদিবসে লেনদেন দেড় হাজার কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই হয়ে যায়, যা ছিল গত সাত মাসের সর্বোচ্চ।
তবে মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইর এমডি তা আমিন ভূঁইয়ার পদত্যাগের পাশাপাশি টানা উত্থানের পর বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতায় বুধবার ডিএসইতে ঘটে দরপতন। ৩৫ পয়েন্ট সূচকের পতনের পাশাপাশি লেনদেন কমে যায় ৩৫৩ পয়েন্ট।
তবে এই পতনের পুরোটাই বলতে গেলে উসুল হয়ে গেছে বৃহস্পতিবার। এদিন সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধিতে সূচকে যোগ হয় ৭৪ পয়েন্ট। আর লেনদেন ছাড়ায় এক হাজার সাত শ কোটির ঘর, যা চলতি বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থান।
বেলা শেষে লেনদেন হয় এক হাজার ৭৭৭ কোটি ৪৫ লাখ ২৭ হাজার টাকার, যা আগের দিন ছিল এক হাজার ১৩৩ কোটি ৭১ লাখ ৬২ হাজার টাকা।
চলতি বছর সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় গত ১১ জানুয়ারি। সেদিন হাতবদল হয় ১ হাজার ৯৭৬ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
এদিন লেনদেন শুরুই হয় সূচক বেড়ে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা কেবল বাড়তেই থাকে। শেষ পর্যন্ত ২৩০টি কোম্পানির দর বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৫৮টির দর আর অপরিবর্তিত থাকে ৯১টির দর।
বেলা শেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৫৫ দশমিক ০৭ পয়েন্ট, যা গত ১২ জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ। সেদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ৩৫৫ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট।
সাধারণ ও জীবন বিমা, প্রকৌশল, বিদ্যুৎ-জ্বালানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ওষুধ ও রসায়ন, খাদ্য ও আনষঙ্গিক খাতের শেয়ারদর বেড়েছে একই সঙ্গে। এর প্রভাবেই সূচক দিয়েছে লাফ।
তবে এই উত্থানেও ব্যাংক-মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো ঘুমিয়ে আছে বলা যায়। ব্যাংক খাত জাগলে বাজার আরও অনেক দূর যাবে সন্দেহ নেই।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফ্লোর প্রাইস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগসীমা গণনা পদ্ধতি শেয়ারের ক্রয়মূল্যে হিসাব করাসহ নানা কারণে বিনিয়োগকারীরা এখন অনেকটাই নির্ভার। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর অর্থনীতি নিয়ে যে আতঙ্কে পুঁজিবাজারে ক্রমাগত দরপতন হচ্ছিল, তার মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুঁজিবাজার নিয়ে রক্ষণশীল নীতি পরিবর্তনের আভাস বিনিয়োগকারীদেরকে কিছুটা হলেও সাহস দিচ্ছে।
মাঝে একদিন বিরতি গিয়ে আগের দিনই লেনদেনের শীর্ষে ফেরা বস্ত্র খাত তার অবস্থান ধরে রেখেছে। সব মিলিয়ে ২২০ কোটি ৫০ লাখ টাকা হাতবদল হয়েছে খাতটিতে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে, যাতে হাতবদল হয়েছে ২০৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা আর্থিক খাতে লেনদেন হয়েছে ১৮২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা বিবিধ খাতে লেনদেন হয়েছে ১৬৮ কোটি ১০ লাখ টাকা, পঞ্চম স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতের ১৩৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার কিনেছেন বিনিয়োগকারীরা। বিমা খাতে হাতবদল হয়েছে ১২৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা, যার মধ্যে জীবন বিমাতেই লেনদেন হয়েছে ৯৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। চামড়া খাতে হাতবদল হয়েছে ১১৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার।
ক্যাল সিকিউরিটিজের সিইও রাজেশ সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল ছয় দিনের উত্থানের পরে কিছুটা প্রফিট টেকিং হয়েছিল এবং ডিএসইর এমডির পদত্যাগের বিষয়টি মানসিকভাবে বিনিয়োগকারীদের দুর্বল করেছিল। এ ছাড়া আর কিছু না। তবে এটা দেশের মানুষের জন্য কনসার্নের কিছু না হলেও বারবার ডিএসইর এমডির পদত্যাগের বিষয়টি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মাঝে নেতিবাচক ধারণার জন্ম দেয়। যা পুঁজিবাজারের জন্য মোটেও ভালো নয়।’
সূচক বাড়াল যারা
সবচেয়ে বেশি ৬ দশমিক ৭২ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার। শেয়ারটির দর ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ দর বেড়েছে।
আইপিডিসি ফাইন্যান্সের দর ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৪ দশমিক ২৩ পয়েন্ট।
ওরিয়ন ফার্মা সূচকে যোগ করেছে ৩ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ।
এ ছাড়া ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, আইডএলসি, আইসিবি, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, বিকন ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা ও জিপিএইচ ইস্পাত সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ১৩ পয়েন্ট সূচক কমেছে ওয়ালটন হাইটেকের দর পতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ।
আর কোনো কোম্পানি এককভাবে এক পয়েন্ট সূচক কমাতে পারেনি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৫৬ পয়েন্ট কমেছে বেক্সিমকো গ্রিন সুকুকের কারণে। বন্ডটির ইউনিট দর কমেছে ১ দশমিক ১৪ শতাংশ।
ম্যারিকো বাংলাদেশের দর শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৪৭ পয়েন্ট।
এ ছাড়া শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, এসিআই, মেঘনা পেট্রলিয়াম, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও যমুনা অয়েলের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৩ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ বা ২০ টাকা দর বেড়েছে ওরিয়ন ইনফিউশনের। গতকাল শেয়ারটির ক্লোজিং প্রাইজ ছিল ২০০ টাকা, সেটি আজ দাঁড়িয়েছে ২২০ টাকায়।
ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স দর বৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এটির দর বেড়েছে ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৪ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ৪৯ টাকা ৫০ পয়সায়। আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৪৫ টাকা।
৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ দর বাড়া ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স রয়েছে তালিকার তৃতীয় স্থানে। সর্বশেষ শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ১৫৫ টাকা ৩০ পয়সায়। আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইজ ছিল ১৪১ টাকা ২০ পয়সা।
দর বৃদ্ধির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জিকিউ বলপেন, ইস্টার্ন হাউজিং, হাক্কানি পাল্প, মেট্রো স্পিনিং, আরএসআরএম স্টিল ও ফনিক্স ফাইন্যান্স।
দর পতনের শীর্ষ ১০
দরপতনের শীর্ষে রয়েছে সোনারগাঁও টেক্সটাইল। শেয়ারটির দর ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ কমে সর্বশেষ ৭১ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়।
সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস দর পতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। শেয়ারটির দর ৫০ পয়সা বা ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ কমেছে। শেয়ারটির ক্লোজিং প্রাইজ দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ১০ পয়সায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে এমারেল্ড অয়েল। ১ টাকা ২০ পয়সা বা ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ৩৬ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়।
দর কমার শীর্ষ দশে ছিল এস আলম স্টিল, সাফকো স্পিনিং, দুলামিয়া কটন, বিডি থাই ফুড, ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড, তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ ও আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
আরও পড়ুন:তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য