× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
World Bank praises Sheikh Hasinas leadership in socio economic development
google_news print-icon

শেখ হাসিনার উন্নয়ন-নেতৃত্বের প্রশংসায় বিশ্বব্যাংক

শেখ-হাসিনার-উন্নয়ন-নেতৃত্বের-প্রশংসায়-বিশ্বব্যাংক
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন। ছবি: পিআইডি
নারীর ক্ষমতায়নসহ তাদের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন বিশ্বব্যাংকের বিদায়ী কান্ট্রি ডিরেক্টর। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নারীর উন্নয়ন বিশ্বে একটি দৃষ্টান্ত।

নারীর ক্ষমতায়নসহ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্বব্যাংক। নারীর উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি দৃষ্টান্ত বলেও মনে করে এই দাতা সংস্থা।

গণভবনে বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে এসে এসব কথা বলেন বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

মার্সি টেম্বন জানান, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তৃণমূলের উন্নয়ন দেখে তিনি অভিভূত হয়েছেন।

নারীর ক্ষমতায়নসহ তাদের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন বিশ্বব্যাংকের বিদায়ী কান্ট্রি ডিরেক্টর। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নারীর উন্নয়ন বিশ্বে একটি দৃষ্টান্ত।

নারী উন্নয়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, কাজটি সহজ ছিল না, এ জন্য তার সরকারকে অনেক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হয়েছে।

জাতির পিতা এ দেশে নারী উন্নয়নে ভিত রচনা করে গেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার দেখানো পথে তার সরকার পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সম অধিকার নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।

তিনি বলেন, নারীদের অগ্রগতির পথে বাধা দূর হওয়ায় দেশের খেলাধুলা, কর্মসংস্থানসহ সব ক্ষেত্রে নারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে।

সাক্ষাৎকালে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ায় মার্সি মিয়াং টেম্বনকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
করোনার ধাক্কা সামলাতে আরও ৩০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক
বন্যা মোকাবিলায় ৫০ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে ৪৮১২ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
The price of onion is increasing hour by hour in Chittagong

চট্টগ্রামে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম!

চট্টগ্রামে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম! ছবি: সংগৃহীত
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, ‘দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবসায়ীদের মর্জির ওপর নির্ভর করে। তারা একেক সময় একেক অজুহাতে দাম বৃদ্ধি করেন। এখন বলছেন, ভারত রপ্তানি বন্ধ করেছে বলে দাম বেড়েছে। বাজারে বর্তমানে যেসব পেঁয়াজ আছে, সেগুলো তো দুই সপ্তাহ আগে আমদানি করা। প্রশাসনের উচিত অভিযান পরিচালনা করে পেঁয়াজের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য যাচাই করা।’

চট্টগ্রামে পেঁয়াজের বাজারে আগুন। চলছে চরম নৈরাজ্য। বেপরোয়া সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে ঘণ্টায় ঘণ্টায় দাম বাড়ছে। ২৪ ঘণ্টায় কেজিতে বেড়েছে ১৩০ টাকা। দেশি ও আমদানি করা দুই ধরনের পেঁয়াজের দামই বেড়েছে।

শনিবার পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকা। আগের দিন ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা। তারপরও বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে পেঁয়াজ।

জানা গেছে, আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে ভারত। এ ঘটনার জেরে দেশের বাজারে একদিনের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

পেঁয়াজের এমন অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ভোক্তারা। তারা বলছেন, ভারত তাদের অভ্যন্তরীণ বাজার ঠিক রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা এটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে রীতিমতো নৈরাজ্য শুরু করেছে। তারা এক কেজি পেঁয়াজে ১৩০ টাকা পর্যন্ত মুনাফা করছেন।

অপরদিকে ব্যবসায়ীরা অজুহাত দিচ্ছেন, ভারত রপ্তানি বন্ধ করার কারণে বাজারে ব্যবসায়ীদের হাতে তেমন পেঁয়াজ নেই। যেহেতু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম, তাই বাজার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এজন্য পাইকাররা দেশি পেঁয়াজ ছাড়ছে না। রিয়াজুদ্দিন বাজারেও ভোরে যে দাম ছিল, সকাল ৯টায় তা কেজিতে ৭০/৮০ টাকা বেড়ে গেছে।

কাজির দেউরি বাজারের ব্যবসায়ী হাবিব মিয়া বলেন, ‘ভারত রপ্তানি বন্ধ করেছে এমন খবরের কারণে পাইকারদের কাছ থেকে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় কিনছি।’

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ছাড়া দেশি পেঁয়াজ তেমন একটা নেই। ভারতে বন্যার কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তাই তাদের দেশেও পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রন দেশটি রপ্তানিও বন্ধ করে দিয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের বাজারে দাম বাড়ছে।

ভোক্তারা বলছেন, ভারত মাত্র রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এ অবস্থায় দেশের বাজারে এখনই দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।

চাক্তাই–খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ আড়ত বন্ধ। তারা বলছে যে আড়তে পেঁয়াজ নেই। অথচ প্রতিটি আড়তে পেঁয়াজ আছে। তারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে।

যে গুটিকয় আড়ত বিক্রি করছে তা-ও চড়া দামে।

বর্তমানে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি। অথচ দুদিন আগেও তা বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। অপরদিকে খুচরা বাজারে একদিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়। সেই পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায়। অর্থাৎ একদিনেই কেজিতে দাম বেড়েছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের এক আড়তদার বলেন, বর্তমানে খাতুনগঞ্জে যেসব পেঁয়াজ রয়েছে সেগুলো বাজার পর্যন্ত আসতে খরচ পড়েছে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা। কিন্তু ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পরপরই প্রতি কেজিতে ৮০-৯০ টাকা মুনাফা করছেন আমদানিকারকরা।

নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজার, কাজির দেউরি বাজার, বহদ্দারহাট, চকবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি বাজারেই পেঁয়াজ বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। শনিবার প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। কোনো দোকানেই এর কমে পেঁয়াজ বিক্রি হয়নি। অনেক দোকানে পেঁয়াজই নেই।

বহদ্দারহাটে বাজার করতে আসা মামুন মিয়া বলেন, ‘বাজারে দেশি পেঁয়াজ ২৪০ টাকা কেজির নিচে নেই। আর ভারতের পেঁয়াজ ২০০ টাকা কেজি। দুদিন আগেও দেশি পেঁয়াজ কিনলাম ১২০ টাকা করে। রাতের মধ্যেই বেড়ে গেল ১২০ টাকা। এটা কেমন কথা! দেশি পেঁয়াজের কেজি ২৫০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। এভাবে হলে আমরা কীভাবে চলবো?’

চাক্তাই আড়তদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। ভারতের বাজারেও পেঁয়াজের সংকট রয়েছে। সেখানেও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত রপ্তানি বন্ধ করার ঘোষণা দেয়ায় এখানে দাম বাড়ছে।’

তিনি দাবি করেন, ‘পেঁয়াজের দাম বাড়ানো বা কমানোর ব্যাপারে আড়তদারদের কোনো হাত নেই। আমদানিকারকরা যে দামে বিক্রি করতে বলেন সেই দামেই আড়তদাররা বিক্রি করেন।’

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, ‘দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবসায়ীদের মর্জির ওপর নির্ভর করে। তারা একেক সময় একেক অজুহাতে দাম বৃদ্ধি করেন। এখন বলছেন, ভারত রপ্তানি বন্ধ করেছে বলে দাম বেড়েছে। বাজারে বর্তমানে যেসব পেঁয়াজ আছে, সেগুলো তো দুই সপ্তাহ আগে আমদানি করা। প্রশাসনের উচিত অভিযান পরিচালনা করে পেঁয়াজের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য যাচাই করা এবং সে অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেয়া।’

গত কিছুদিন ধরেই দেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থির। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের খুচরা দর সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু এ দরে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যায়নি। পরে সরকার পেঁয়াজ আমদানি উন্মুক্ত করে দিলেও পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

আরও পড়ুন:
বেনাপোলে অস্থির পেঁয়াজের বাজার
সাংবাদিক দেখে পালালেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা
পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে আজ ভোক্তা-অধিকারের অভিযান
অসময়ের বৃষ্টিতে ফরিদপুরে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি
দামে লাগাম টানতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Aamir Hosan summons me to EC

আমির হোসেন আমুকে ইসিতে তলব

আমির হোসেন আমুকে ইসিতে তলব আমির হোসেন আমু। ফাইল ছবি
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে তলব করা হয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তাকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

ঝালকাঠি-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমুকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে তলব করা হয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তাকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

শনিবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর সহস্রাধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ঝালকাঠি-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন আমু। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারহা গুল নিঝুম ওই মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। একই দিন মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা দেশবাসী ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

এদিকে নির্ধারিত সময়ের আগেই নেতা-কর্মী নিয়ে ভোটের প্রচারণার অভিযোগে ঢাকা-৮ আসনের নৌকার প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে শোকজ করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।

১০ ডিসেম্বর নির্ধারিত স্থানে সশরীরে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে এর লিখিত ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

শনিবার নির্বাচনি এলাকা-১৮১ এর নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসরাত জাহান নাসরিন এই তলব আদেশ দিয়েছেন।

শোকজের চিঠিতে জানানো হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, আপনি গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এ সময় আপনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এসব এলাকায় যান এবং স্থানীয় নির্বাচনি কার্যালয় পরিদর্শন করেন। তখন বিপুল জনসমাগম ঘটে এবং আপনি নৌকার পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা চালান; যা নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য। ওই সংবাদ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি অত্র কমিটির গোচরীভূত হয় এবং সংবাদের তথ্যসমূহ বিশ্লেষণপূর্বক অত্র অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচনপূর্ব অনিয়মের সত্যতা পান। ওই মতবিনিময় সভাকে কেন্দ্র করে নির্বাচনি এলাকা-১৮১ এর বিভিন্ন স্থানে নৌকা প্রতীকের অসংখ্য পোস্টার ও ব্যানার লাগানো হয়েছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
দেশি আরও ২৯ পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিল ইসি
প্রার্থিতা ফিরে পেতে দ্বিতীয় দিনে ইসিতে ১৪১ জনের আপিল
ইসিকে ৩৩৮ থানার ওসি বদলির তালিকা দিয়েছে মন্ত্রণালয়
জাপার সঙ্গে আলোচনা করে ১৪ দলের আসন বণ্টন: আমু
প্রার্থিতা ফিরে পেতে ইসিতে চলছে আপিল

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Five women received the Begum Rokeya Medal

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন পাঁচ নারী

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন পাঁচ নারী বেগম রোকেয়া। ফাইল ছবি
জাতীয় জীবনে বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালনের স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের  বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ দেয়া হয়। 

মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়ার জন্ম এবং মৃত্যু দিনে পাঁচ গুনি নারীকে তার নামে প্রবর্তিত পদক তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয় জীবনে বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালনের স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ দেয়া হয়।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শনিবার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ পদক দেন প্রধানমন্ত্রী। পদক প্রাপ্তরা হলেন নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রথম নারী উপাচার্য খালেদা একরাম, (মরণোত্তর), নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় চিকিৎসক হালিদা হানুম আখতার, নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে নেত্রকোনার কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা (মরণোত্তর), পল্লি উন্নয়নে ঠাকুরগাঁওয়ের রনিতা বালা এবং নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে নিশাত মজুমদার।

অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।

আরও পড়ুন:
‘আমার ভোট আমি দেব’ স্লোগান আমরাই তুলেছিলাম: প্রধানমন্ত্রী
টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর
সৌদির সঙ্গে কনসেশন চুক্তি ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্র জোরদার করবে: প্রধানমন্ত্রী
ফোর্বসের শীর্ষ ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় ৪৬তম শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন বৃহস্পতিবার

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Government is working on empowering women Prime Minister

নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে মেয়েরা আর পিছিয়ে নেই। রাজনীতি থেকে খেলাধুলা সবক্ষেত্রে নারীরা সফলতার সঙ্গে কাজ করছে। সাংবাদিকতা থেকে শিল্পকলা সবখানেই নারীরা সফল। প্রশাসন, বিচারালয়, সশস্ত্র বাহিনীসহ সব জায়গায় কাজ করছেন তারা।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়ার প্রত্যাশা অনেকটাই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শনিবার বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে পাঁচ বিশিষ্ট নারী ও তাদের স্বজনদের হাতে পদক তুলে দেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন ইসলাম ধর্মের কথা বলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নারীদের কেউ আটকে রাখতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে মেয়েরা আর পিছিয়ে নেই। রাজনীতি থেকে খেলাধুলা সবক্ষেত্রে নারীরা সফলতার সঙ্গে কাজ করছে। সাংবাদিকতা থেকে শিল্পকলা সবখানেই নারীরা সফল। প্রশাসন, বিচারালয়, সশস্ত্র বাহিনীসহ সব জায়গায় কাজ করছেন তারা।’

পাকিস্তান আমলের প্রসঙ্গ টেনে সরকারপ্রধান বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে আইন ছিল জুডিশিয়াল সার্ভিসে নারীরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন। স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশে জাতির পিতা এ আইনগুলো পরিবর্তন করেন। তারপর থেকে আমাদের দেশের মেয়েরা জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগ দিতে পারছে, কিন্তু আমি সরকারের এসে দেখি আমাদের উচ্চ আদালতে কোনো নারী বিচারক নেই।

‘তখন আমি উদ্যোগ নিলাম, রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলেছি, আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বলেছি, উচ্চ আদালতে কোনো জজ নিয়োগ দেয়া হলে তাতে যদি কোনো নারী জজের নাম না থাকে, আমি কখনও ওই ফাইল সই করব না, রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাব না। সেই থেকে যাত্রা শুরু।’

ওই সময় একটি আফসোসের কথা উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘একটা আফসোস রয়ে গেছে আমার। খুব ইচ্ছা ছিল একজন নারীকে আমি প্রধান বিচারপতি করে যাব, কিন্তু আমাদের সমাজে এত বেশি কনজারভেটিভ, এগুলো ভাঙতে সময় লাগে। সে জন্য করতে পারিনি। এ আফসোসটা থেকে গেল।’

তিনি বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার সময় মুসলমান মেয়েরা ঘরে অবরুদ্ধ থাকত। লেখাপড়ার কোনো সুযোগ ছিল না, তবে তার স্বামী সবসময় তাকে সহযোগিতা করেছেন, তার ভাই তাকে সহযোগিতা করেছেন। তিনি নিজের প্রচেষ্টায় উর্দু, বাংলা, আরবি, ইংরেজি, শিক্ষা যেগুলো গ্রহণ করা, সেগুলো তার স্বামীর কাছ থেকে শিখেছেন। স্বামীর কাছে আক্ষরিক জ্ঞান এবং বই পড়ার শিক্ষা গ্রহণ করেন।

‘স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি (বেগম রোকেয়া) তার ভাইয়ের কাছ থেকেও একটি অনুপ্রেরণা পান। তার স্বামীর নামে একটি স্কুল তৈরি করেন। স্কুল তৈরির পরও তাকে অনেক বাধাবিপত্তি মোকাবিলা করতে হয়। কারণ, স্বামীর নামে যে স্কুল করেছিলেন, সেখানে ছাত্রী পড়ানো যেত না। তিনি নিজের বাড়ির বাইরে গিয়ে ছাত্রী সংগ্রহ করে নিয়ে আসতেন। এটা করতে গিয়ে অনেক পরিবারের বাধা এবং অনেক প্রতিবন্ধকতা এসেছে। তিনি দমে যাননি কখনও। তার সাহসী ভূমিকা সবসময় আমরা স্মরণ করি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস। ১৯৭১ সালে আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ যুদ্ধ করেছিল; বিজয় অর্জন করেছিল। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অনেক অবদান আছে।

‘তারা যেমন ট্রেনিংয়ে গেছে, তেমনি যুদ্ধক্ষেত্রেও সহযোগিতা করেছে। তারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নানা নির্যাতনের শিকার হন। অনেকে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।’

তিনি বলেন, ‘আমি চাই নারী স্বাবলম্বী হোক। নারীরা স্বাবলম্বী হলে পরিবার ও সমাজে তার অবস্থান সুদৃঢ় হয়। সব জায়গায় তার কথার মূল্যায়ন হয়। আমরা বলতে পারি, এরই মধ্যে বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন অনেকাংশে পূরণ করতে পেরেছি।’

মায়ের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বাবা বেশির ভাগ সময় জেলে ছিলেন। সংসার চালানো, দল সুসংগঠিত করাসহ সব কাজই আমার মা করেছেন।’

এর আগে প্রধানমন্ত্রী পাঁচ নারীকে বেগম রোকেয়া পদক দেন। পদকপ্রাপ্তদের ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম স্বর্ণের একটি পদক, পদকের রেপ্লিকা, প্রত্যেককে চার লাখ টাকার চেক ও সম্মাননাপত্র দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। স্বাগত বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।

আরও পড়ুন:
‘আমার ভোট আমি দেব’ স্লোগান আমরাই তুলেছিলাম: প্রধানমন্ত্রী
টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর
সৌদির সঙ্গে কনসেশন চুক্তি ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্র জোরদার করবে: প্রধানমন্ত্রী
ফোর্বসের শীর্ষ ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় ৪৬তম শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন বৃহস্পতিবার

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
It may get colder at night

রাতে বাড়তে পারে শীত

রাতে বাড়তে পারে শীত রাতে তাপমাত্রা কমার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফাইল ছবি
তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দেয়া হয়েছে।

পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, ভারতের উপমহাদেশীয় উচ্চতাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

দিনভর আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে জানানো হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণত শীত বাড়ে। সে ক্ষেত্রে রাতে শীত কিছুটা বাড়তে পারে।

ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার।

ঢাকায় শনিবার সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে সূর্য অস্ত যাবে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, রোববার ঢাকায় সূর্যোদয় ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে।

আরও পড়ুন:
ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ কোন বন্দর থেকে কত দূরে
বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি এখন গভীর নিম্নচাপ
নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর উত্তাল
নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত, বন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত
বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি কোন বন্দর থেকে কত দূরে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Cheating in Primary Recruitment Exam Detention 87 Expulsion 93

প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় নানা কৌশলে প্রতারণা: আটক ৮৭, বহিষ্কার ৯৩

প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় নানা কৌশলে প্রতারণা: আটক ৮৭, বহিষ্কার ৯৩ ফাইল ছবি
শুক্রবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩-এর প্রথম পর্বের পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ৩৭ জনকে আটক করা হয়েছে গাইবান্ধা জেলায়। এ ছাড়া দিনাজপুরে ১৮, লালমনিরহাটে ১৩, কুড়িগ্রামে ১২, ঠাকুরগাঁওয়ে ৭ ও ঝালকাঠিতে একজনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর মিলেছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল ব্যবহারসহ বিভিন্ন অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে দেশের ছয় জেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে মোট ৮৭ জনকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে। ওই ৮৭ জনসহ মোট ৯৩ জনকে কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শুক্রবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩-এর প্রথম পর্বের পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ৩৭ জনকে আটক করা হয়েছে গাইবান্ধা জেলায়। এ ছাড়া দিনাজপুরে ১৮, লালমনিরহাটে ১৩, কুড়িগ্রামে ১২, ঠাকুরগাঁওয়ে ৭ ও ঝালকাঠিতে একজনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর মিলেছে।

গাইবান্ধায় ৩৭ জনের নামে মামলা

গাইবান্ধায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে জালিয়াতির অভিযোগে আটক পরীক্ষার্থীসহ ৩৭ জনের নামে মামলা হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা চলাকালে জেলার বিভিন্ন কেন্দ্র ও স্থান থেকে তাদের আটক করে র‍্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের সদস্যরা।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৩২ জন এই নিয়োগ পরীক্ষার পরীক্ষার্থী এবং পাঁচজন বহিরাগত বলে জানান র‍্যাব-১৩ রংপুর বিভাগের অধিনায়ক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) দেওয়ান মওদুদ আহমেদ মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রথম ধাপের গাইবান্ধার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নকলমুক্ত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা নেয়া হয়েছে। তারা বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল ব্যবহার করে অসদুপায়ে পরীক্ষা দেয়ার সময় ৩৭ জনকে আটক করে এবং কেন্দ্র থেকেই ৩৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়।’

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-১৩ রংপুর বিভাগের অধিনায়ক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম জানান, অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে থেকে ৩২ জন পরীক্ষার্থী ও এই চক্রের হোতা মারুফ, মুন্না, সোহেল, নজরুল ও সোহাগসহ মোট ৩৭ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে ২২টি মাস্টার কার্ড, ১৯টি ব্লুটুথ ডিভাইস, ১৬টি মোবাইল, স্ট্যাম্প ও ব্যাংক চেক উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, ‘আটককৃত পরীক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং মোবাইলের মাধ্যমে সুকৌশলে পরীক্ষা দিয়ে আসছিলেন। চক্রের এই পাঁচ হোতা বিভিন্ন পরীক্ষার্থীকে ১৪ থেকে ১৮ লাখ টাকায় চাকরি দেয়ার শর্তে অংশগ্রহণ করায়। এর মধ্যে এই চক্রের সোহেল নামে এক সদস্য ডিভাইস সংগ্রহ ও বিতরণ করতেন, নজরুল পরীক্ষার্থী সংগ্রহ করতেন এবং মারুফ ও মুন্না বেইরে থেকে প্রশ্নপত্র সমাধান করে পরীক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করতেন।

‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। পাশাপাশি আটককৃতদের নামে মামলা করে গাইবান্ধা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গাইবান্ধার সাত উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে প্রায় ৭০০টি শূন্য পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থী ৩০ হাজার ৮৮ জন। এর মধ্যে উপস্থিত ২২ হাজার ৮১৩ জন পরীক্ষার্থী জেলার সদর, পলাশবাড়ি ও ফুলছড়িসহ তিন উপজেলার মোট ৪৭টি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার লিখিত (বহু নির্বাচনি) প্রথম ধাপের পরীক্ষায় অংশ নেন।

দিনাজপুরে আটক ১৮ পরীক্ষার্থী

দিনাজপুরের ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ ১৮ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর তাদের বহিষ্কার করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ নিয়োগ পরীক্ষার ৮টি কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানান দিনাজপুর কোতয়ালী থানার ওসি ফরিদ হোসেন।

আটককৃতরা হলেন- বিরল উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মো. আজহারুল ইসলামের ছেলে ৩২ বছর বয়সী মো. কামরুজ্জামান, একই উপজেলার রানীপুর গ্রামের আবুল কাদেরের স্ত্রী ২৬ বছর বয়সী রাহেনা খাতুন; বীরগঞ্জ উপজেলার এলেঙ্গা গ্রামের প্রদীপ রায়ের স্ত্রী ৩৩ বছর বয়সী শেফালী রায়, একই উপজেলার পশ্চিম কালাপুকুর গ্রামের তাশদিকুল আলমের ছেলে ৩০ বছর বয়সী মো. মনিরুজ্জামান, কগিরপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে ৩১ বছর বয়সী জামিল বাদশা ও বনগাঁও গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে ২৮ বছর বয়সী মো. রাকিব; দিনাজপুর সদর উপজেলার মুরাদপর গ্রামের বেলাল হোসেনের স্ত্রী ২৮ বছর বয়সী মুসলিমা খাতুন, একই উপজেলার দাইনুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে ২৮ বছর বয়সী শরিফুল আলম, ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল সালামের মেয়ে ২৮ বছর বয়সী উম্মে সালমা ও খানপুর গ্রামের সুলতান মাহমুদের মেয়ে ২৯ বছর বয়সী নাসরিন জাহান; চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিণ আলোকদিঘী গ্রামের ২৭ বছর বয়সী কবিতা রানী রায়, একই উপজেলার দক্ষিণ আলোকদিঘী গ্রামের যতিশ চন্দ্র রায়ের ছেলে ৩৪ বছর বয়সী সবজ চন্দ্র রায়; হাকিমপুর উপজেলার মাধবপাড়ার গোলাম বিকরিয়ার স্ত্রী ২৬ বছর বয়সী জাকিয়া ফেরদৌস; বিরামপুর উপজেলার দক্ষিণ দায়োরপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে ৩২ বছর বয়সী মহিদুল ইসলাম; নবাবগঞ্জ উপজেলার মতিহারা গ্রামের আবু তালেব সরকারের মেয়ে ৩১ বছর বয়সী তানিয়া মোশতাবী; বোচাগঞ্জ উপজেলার শহিদপাড়ার আব্দুল গফুর মোল্যার ছেলে ২৯ বছর বয়সী সায়েম মোল্যা তন্ময়; ফরিদপুর জেলার নগরবান্দা থানার দফা গ্রামের ফারুক মাতব্বরের মেয়ে ২০ বছর বয়সী উর্মিলা আক্তার এবং ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বকুয়া গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে ২৭ বছর বয়সী সুজন আলী।

ওসি ফরিদ হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্রে কর্মকর্তারা ১৮ জনকে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগে আটক করেন। পরে তাদেরকে পুলিশে কাছে সোপর্দ করেন তারা।

‘আটককৃত ১৮ জনের মধ্যে ৯ জন নারী ও ৯ জন পুরুষ রয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

লালমনিরহাটে বহিষ্কার ১৬, ১৩ জনের নামে মামলা

লালমনিরহাটের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় একই অভিযোগে ১৬ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। এদের মধ্যে অপরাধ বিবেচনা করে ১৩ জনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয় যাদের নামে পরে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি তিনজনকে কেন্দ্র থেকে সরাসরি বহিষ্কার করা হয়।

লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার চৌধুরী বলেন, ‘জেলায় মোট ১৬ হাজার ৩২৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২ হাজার ৪২৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে পরীক্ষা চলাকালে ইলেকট্রনিক ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে জালিয়াতি করার কারণে ১৬ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে অপরাধ বিবেচনায় ১৩ জনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

ওই ১৩ জন পরীক্ষার্থীকে আসামি করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস মামলা করেছে বলে জানান তিনি।

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘আটককৃতদের মধ্যে ১০ জন নারী ও তিনজন পুরুষ রয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা তাদের আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আটক আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।’

কুড়িগ্রামে বহিষ্কার ১৫, পুলিশে দেয়া হয়েছে ১২ জনকে

কুড়িগ্রামে নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ ধরা পড়ে মোট ১৫ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছেন। এদের মধ্যে ১২ জনকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নবেজ উদ্দিন সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার এ কুড়িগ্রামের ৪৫টি কেন্দ্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় মোট ২৬ হাজার ৮০৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়ার কথা থাকলেও পরীক্ষায় অংশ নেন ২০ হাজার ৭১ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ৬ হাজার ৭৩৪ জন।

ঠাকুরগাঁওয়ে আটক ৭ পরীক্ষার্থী

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কেন্দ্রে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যাবহার ও অবৈধভাবে ওএমআর শিট নিয়ে প্রবেশের অভিযোগে মোট সাত পরীক্ষার্থী আটক হয়েছেন। এদের মধ্যে চার যুবক ডিভাইস ব্যবহার করার অভিযোগে এবং তিন নারী পরীক্ষার্থী ওএমআর শিট নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের অভিযোগে আটক হন। ধরা পড়ার পর ওই সাতজনকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার করে পুলিশে দেয়া হয়।

আটককৃত চার যুবক হলেন- রাণীশংকৈল উপজেলার বাজে বকশা গ্রামের পঞ্চানন চন্দ্রের ছেলে টংকনাথ বর্মণ; তিনি পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে আটক হন। একই উপজেলার আলশিয়া গ্রামের মো. হুমায়ুনের ছেলে সোহানুর রহমান; তিনি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে আটক হন। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আলোকসিপি গ্রামের হাসান আলীর ছেলে আনোয়ার খালিদ সরকারি কলেজ কেন্দ্র থেকে আটক হন। পীরগঞ্জ উপজেলার পাটুয়া পাড়া গ্রামের আজিম উদ্দীনের ছেলে ওমর ফারুক। তিনি কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে আটক হন।

তিন নারী পরীক্ষার্থী হলেন- পীরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের সামিরুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. আর্জিনা; তিনি আর কে স্টেট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে আটক হন। এ ছাড়া বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারি গ্রামের আনিসুর রহমানের স্ত্রী হাসনা হেনা এবং সদর উপজেলার রুহিয়া মধুপুর গ্রামের আজহারুলের স্ত্রী রোড ডিগ্রি কলেজ থেকে আটক হন।

এসব তথ্য নিশ্চিৎ করে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি ফিরোজ কবির জানান, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় চারজন ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার ও অবৈধভাবে ওএমআর শিট নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ ও ব্যবহার করার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ আটককৃতদের পুলিশে সোপর্দ করে। এ বিষয়ে আইনগত পক্রিয়া চলমান রয়েছে।

ঝালকাঠিতে প্রক্সি দিতে এসে ধরা যুবক

অন্যের হয়ে সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিতে এসে ঝালকাঠিতে আটক হয়েছেন এক পরীক্ষার্থী। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩-এর প্রথম পর্বের জেলা পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা চলাকালে অবৈধ ইলেকট্রনিক ডিভাইসহ তাকে আটক করা হয়।

আটককৃত ওই যুবকের নাম অভি চন্দ্র দাস। ২২ বছর বয়সী অভির বাড়ি ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নে। সেখানকার গোবিন্দ ধবল গ্রামের অরুণ চন্দ্র দাসের ছেলে তিনি।

রাজাপুর উপজেলায় গালুয়া ইউনিয়নের কানুদাসকাঠি গ্রামের গণি হাওলাদারের ছেলে ইব্রাহীম নামের মুল পরীক্ষার্থীর পক্ষে প্রক্সি দিতে আসেন তিনি। শুক্রবার ঝালকাঠি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ডিভাইসে যান্ত্রিক ত্রুটি কল্যাণে তিনি ধরা পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ দিন সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এক ঘণ্টার পরীক্ষার ৩০ মিনিট অতিবাহিত হওয়ার পর অভির কানে বসানো ইলেট্রনিক ডিভাইসটিতে টিট টিট আওয়াজ দিতে থাকে। বিষয়টি হল পরিদর্শকের নজরে এলে তিনি অভিকে আসন থেকে উঠিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শক মো. আব্দুল করিমের কাছে নিয়ে যান। সেখানে থাকা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসান মোহাম্মদ সোয়াইব এবং কেন্দ্রের সুপারইন্টেনডেন্ট অধ্যক্ষ জিন্নাত রেহানা ফেসদৌসী ওই পরীক্ষার্থীর কাগজপত্র যাচাই করে তার প্রক্সির বিষয়টি নিশ্চিত হন।

এ ঘটনায় প্রকৃত পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং দুপরে অভিকে সদর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রীয়া চলছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জড়িতদের তথ্য বের করা হবে।’

নিউজবাংলার গাইবান্ধা, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও ও ঝালকাঠি প্রতিনিধির পাঠানো তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার: দিনাজপুরে ১৮ পরীক্ষার্থী আটক
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ: প্রথম গ্রুপের পরীক্ষা সম্পন্ন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
A joint statement of 1000 people demanding recognition of the 1971 genocide

একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতির দাবিতে ১ হাজার জনের যৌথ বিবৃতি

একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতির দাবিতে ১ হাজার জনের যৌথ বিবৃতি
‘আমরা একাত্তর' সংগঠনের পক্ষ থেকে শুক্রবার বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বাক্ষরিত এ বিবৃতি দেয়া হয়।

জাতিসংঘ জেনোসাইড স্মরণ দিবস উপলক্ষে একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতির দাবিতে দেশের বিভিন্ন পেশা ও স্তরের ১ হাজার জন যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।

‘আমরা একাত্তর' সংগঠনের পক্ষ থেকে শুক্রবার বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বাক্ষরিত এ বিবৃতি দেয়া হয়।

বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘ স্বীকৃতির দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়। খবর বাসসের

এতে বলা হয়, প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী সংঘটিত নৃশংস-ভয়াবহ-বীভৎস জেনোসাইডসমূহ স্মরণ করে কোটি কোটি নিহত-বিপন্ন ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে। আমরা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে জাতিসংঘের জেনোসাইড স্মরণ দিবসের সাথে সংহতি ও একাত্মতা ঘোষণা করছি। একই সঙ্গে আমরা এই তিক্ততম সত্যের কথা উচ্চারণ করছি যে, ১৯৭১ সনে বাংলাদেশে পাকিস্তানি শাসকবর্গ মানব ইতিহাসের অত্যন্ত বর্বর যে জেনোসাইড সংঘটিত করেছে, ত্রিশ লক্ষ লোক যে জেনোসাইডে নিহত হয়েছে, কোটি লোক শরণার্থী হয়েছে, নির্যাতিত-অবমানিত-দু:স্থ হয়েছে, অসংখ্য নারী যৌন-অত্যাচারিত হয়েছে। জাতিসংঘ এখনও এমন হিংস্রতম জেনোসাইডের স্বীকৃতি দেয়নি। যে কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জেনোসাইড এখনও চলছে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন ড. বিনায়ক সেন, ড.এম এম আকাশ, নাট্যজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ম হামিদ, প্রাবন্ধিক ও লেখক মফিদুল হক, স্থপতি মসিহ উদ্দিন শাকের, চলচ্চিত্র নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল, প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা মানজারে হাসিন মুরাদ, নাট্যজন শংকর সাঁওজাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ হিলাল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃণাল সরকার, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন (প্রাক্তন উপাচার্য), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিক উল্লাহ খান, সাবেক সচিব বেগম আখতারী মমতাজ, অধ্যাপক শেখ জিন্নাত আলী, অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরী, অধ্যাপক আব্দুল গনি, উপাচার্য অধ্যাপক ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, কবি শুভেন্দু ইমাম, কবি তুষার, সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মনজু, দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক কাজী রফিক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মনজুরুল আহসান বুলবুল, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, আসিফ মুনীর, সাংবাদিক ও সেক্টরস কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবিব, বিভূরঞ্জন সরকার, সাংবাদিক প্রণব সাহা, ইসরাফিল শাহীন, প্রভাস আমিন, রাশেদ চৌধুরী, কাজী নাজমুল আলম তাপস, মুন্নী সাহা, প্রচ্ছদ শিল্পী ধ্রুব এষ, মানবাধিকার কর্মী অ্যারোমা দত্ত এমপি, শহীদ সন্তান জাহিদ রেজা নূর, শহীদ সন্তান জেনোসাইড গবেষক ড. তৌহিদ রেজা নূর, শহীদ সন্তান ও প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার দত্ত, ডা. অঞ্জনা দত্ত, কর অ্যাডভোকেট জাহিদুল বারী, অধ্যাপক সুমিতা নাহা, ব্যারিস্টার আরশ আলী, অধ্যাপক দুলেন্দ্রনাথ ভৌমিক, অ্যাডভোকেট মায়া ভৌমিক, চিত্রকর জাহিদ মোস্তফা, মানিক দে, বিপুল শাহ, চিত্রশিল্পী অশোক কর্মকার, চিত্রশিল্পী কিরীটি রঞ্জন বিশ্বাস, রেজাউল হক লিটন, সঙ্গীতশিল্পী মঞ্জুয়ারা, চলচ্চিত্র শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী, শাহনাজ খুশি, বৃন্দাবন দাস প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি দিল আইএজিএস
গণহত্যা দিবস: রাত সাড়ে ১০টায় দেশজুড়ে ব্ল্যাকআউট
বিলীন হচ্ছে গণকবর

মন্তব্য

p
উপরে