টানা ছয় কর্মদিবস উত্থানের পর দরপতন দেখল পুঁজিবাজার। সূচকের পাশাপাশি অনেকটাই কমল লেনদেন।
জ্বালানি সাশ্রয়ে লোডশেডিংয়ের পর এবার অফিস সূচি পরিবর্তনের প্রথম দিন বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইতে সাধারণ সূচক কমেছে ৩৫ পয়েন্ট, লেনদেনও কমেছে সাড়ে তিন শ কোটি টাকার বেশি।
টানা উত্থানের পর স্বাভাবিক দর সংশোধন যেমন হতে পারে, তেমনি আগের রাতে ডিএসইর নেতৃত্ব নিয়ে যে মতবিরোধের প্রকাশও একটি কারণ হতে পারে।
গত রাতে আচমকা দায়িত্ব ছেড়ে দেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারিক আমিন ভূঁইয়ার পদত্যাগের খবর আসে। পরে জানা যায়, বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া ১২৭ জনকে পদোন্নতি দেয়া নিয়ে পর্ষদের সঙ্গে মতের মিল না হওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত তার।
গত সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস থেকে পুঁজিবাজারে উত্থান শুরু হয়। এর মধ্যে ছয় কর্মদিবসে সূচক বাড়ে ১৬৭ পয়েন্ট। সেই সঙ্গে গত দুই কর্মদিবসে লেনদেন দেড় হাজার কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই হয়ে যায়, যা ছিল গত সাত মাসের সর্বোচ্চ।
ফ্লোর প্রাইস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগসীমা গণনা পদ্ধতি শেয়ারের ক্রয়মূল্যে হিসাব করাসহ নানা কারণে বিনিয়োগকারীরা এখন অনেকটাই নির্ভার। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর অর্থনীতি নিয়ে যে আতঙ্কে পুঁজিবাজারে ক্রমাগত দরপতন হচ্ছিল, তার মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুঁজিবাজার নিয়ে রক্ষণশীল নীতি পরিবর্তনের আভাস বিনিয়োগকারীদেরকে কিছুটা হলেও সাহস দিচ্ছে।
এর আগে গত জুলাইয়ে যখন সূচি তৈরি করে লোডশেডিংয়ের ঘোষণা আসে, সেদিন পুঁজিবাজারে সূচকের পতন জয় ৮৭ পয়েন্ট। এক দিনেই দর হারায় সাড়ে তিন শর বেশি কোম্পানি।
সোমবার মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারি অফিস সূচি হবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ব্যাংকে লেনদেন চলবে ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত আর পরের দুই ঘণ্টা ব্যাংকের অন্যান্য কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
এই সিদ্ধান্ত জানানোর পর দিন সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার শুরুই হয় শেয়ারের দর ও সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে। শুরু থেকেই লেনদেনের গতি ছিল ভালো। সেদিনও সূচক ও লেনদেনের উত্থানে এটা প্রকাশ পায় যে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক কেটেছে। এতদিন নিষ্ক্রিয়রাও শেয়ার কেনা শুরু করেছে।
অফিস সূচির পাশাপাশি ডিএসই ও সিএসইতে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরু হয় সূচক বেড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বেড়ে যায় ১১ পয়েন্ট। বেলা ১১টা পর্যন্তও সূচক আগের দিনের সমানতালেই ছিল। বেলা ১২টাতেও যে কোনো দিকে যেতে পারে, এমন একটি অবস্থা ছিল। তবে সেখান থেকে সূচক ক্রমাগত কমতে থাকে। এক পর্যায়ে আগের দিনের চেয়ে ৪০ পয়েন্ট সূচক পড়ে যায় ১ টা ৪৫ মিনিটে। ১ টা ৫০ মিনিটে শেষ মুহূর্তের সমন্বয়ে সেখান থেকে কিছুটা বাড়ে।
সূচকের পতনের দিন লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১৩৩ কোটি ৭১ লাখ ৬২ হাজার টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় ৩৫৩ কোটি টাকা কম। মঙ্গলবার হাতবদল হয় ১ হাজার ৪৮৭ কোটি ৪৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার শেয়ার।
লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দর বেড়েছে ৭১টির, কমেছে ২১৫টির এবং আগের দরেই লেনদেন হয়েছে ৯৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
বুধবারের লেনদেনের বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, ‘বাজার পতনের পেছনে দুটি বিষয় কাজ করেছে। প্রথমত ডিএসইর এমডির পদত্যাগ বিনিয়োগকারীদের চিন্তিত করেছে। আর ছয় দিনের উত্থানের পরে কিছুটা প্রফিট টেকিং হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একটা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বৈরথ দেখা দিলে প্রতিষ্ঠান বা তার কার্যক্রমে এর প্রভাব পড়বে সেটাই স্বাভাবিক।’
সূচক কমাল যারা
সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ০৪ পয়েন্ট সূচক কমেছে বেক্সিমকো লিমিটেডের দর পতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ৩ দশমিক ০৯ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৬১ পয়েন্ট কমেছে বিকন ফার্মার কারণে। কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের দর ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ২ দশমিক ৭০ পয়েন্ট।
এ ছাড়া অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, জিপিএইচ ইস্পাত, তিতাস গ্যাস, বেক্সিমকো ফার্মা, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, আইসিবি এবং ওরিয়ন ফার্মার দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ২২ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট।
বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ৩ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স। শেয়ারটির দর ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ দর বেড়েছে।
সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টের দর ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ০৫ পয়েন্ট।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ৯৪ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ১ দশমিক ২১ শতাংশ।
ম্যাকসন্স স্পিনিং, ফারইস্ট নিটিং, প্রাইম ফাইন্যান্স, ইস্টার্ন হাউজিং, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল ও মেট্রো স্পিনিং সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ দর বেড়েছে ঋণ কেলেঙ্কারি ও লোকসানে ডুবে থাকা ইউনিয়ন ক্যাপিটালের।
২০ জুলাই লাগাতার দর বৃদ্ধি ঘটছে। ওই দিন ৬ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হওয়া শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১৩ টাকা ২০ পয়সায়।
মেট্রো স্পিনিং দর বৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এক দিন কমে পর পর দুই দর বাড়ল শেয়ারটির। ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ বা ৩ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৫ টাকা ৩০ পয়সায়।
৮ দশমিক ৮০ শতাংশ দর বাড়া প্রাইম ফাইন্যান্স রয়েছে তালিকার তৃতীয় স্থানে। সর্বশেষ শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ১৩ টাকা ৬০ পয়সায়।
আগের দিনে ক্লোজিং প্রাইস ছিল ১২ টাকা ৫০ পয়সা।
এ ছাড়া দর বৃদ্ধির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, ফারইস্ট নিটিং, অ্যাপেক্স ফুডস ও অ্যাপেক্স স্পিনিং।
দর পতনের শীর্ষ ১০
দরপতনের শীর্ষে রয়েছে জুট স্পিনার্স। শেয়ারটির দর ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ কমে সর্বশেষ ১৭২ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়।
সমতা লেদার দর পতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। শেয়ারটির দর ৩ টাকা ৯০ পয়সা বা ৫ শতাংশ কমেছে। শেয়ারটির ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ৭৪ টাকা ১০ পয়সায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে আইসিবি এমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড। ৪০ পয়সা বা ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ৮ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়।
এ ছাড়া দর কমার শীর্ষ দশে রয়েছে ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, একমি পেস্টিসাইডস, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি, কে অ্যান্ড কিউ লিমিটেড, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, শুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য