× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
This time the export to China is on the verge of increasing
google_news print-icon

এবার চীনে রপ্তানি বাড়ার হাতছানি

এবার-চীনে-রপ্তানি-বাড়ার-হাতছানি
পোশাকশিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, ‘চীন সরকার নতুন করে ১ শতাংশসহ মোট ৯৮ শতাংশ পণ্যে যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে, তাতে সব ধরনের পোশাক আইটেম রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে চীনে আমাদের পোশাক রপ্তানি অনেক বাড়বে। দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে, সেটা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে চীন বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের একটা বড় বাজার হবে।’

গত অর্থবছরে রপ্তানি বাণিজ্যে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। ৫০ বিলিয়ন ডলারস ক্লাবে প্রবেশ করে ৫২ দশমিক শূন্য আট বিলিয়ন ডলারের বিদেশি মুদ্রা আয় করেছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ। বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ ভারতে রপ্তানি প্রথমবারের মতো ২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছেছে। কিন্তু বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ চীনের চিত্র ছিল হতাশাজনক।

তবে সুদিন ফিরছে বলে মনে হচ্ছে। চীনের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সব পণ্য বিনা শুল্কে প্রবেশের সুযোগ পাওয়ায় দেশটিতে রপ্তানি বাড়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই সুযোগ ঠিকঠাক মতো কাজে লাগাতে পারলে চীনও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মতো বাংলাদেশের বড় রপ্তানি বাজার হতে পারে বলে আশার কথা শুনিয়েছেন সরকারের নীতিনির্ধারক, রপ্তানিকারক ও অর্থনীতির বিশ্লেষকরা।

তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে চীন তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসা থেকে সরে এসে অন্যান্য খাতের দিকে নজর দিয়েছে। এরই মধ্যে দেশটিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সব আইটেম বিনা শুল্কে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছে। সরকারি-বেসরকারি খাত মিলে একটি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করলে চীন বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের একটা বড় বাজার হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

গত ৭ আগস্ট চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশ থেকে আরও ১ শতাংশ পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন। ১ সেপ্টেম্বর থেকে যা কার্যকর হবে।

এর আগে ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির দেয়া আগের শুল্কমুক্ত সুবিধার তালিকায় তৈরি পোশাক খাতের নিট ও ওভেনের প্রায় সব আইটেম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তবে তখন বাংলাদেশের প্রধান এ রপ্তানি পণ্যের কিছু আইটেমে চীন পুরো শুল্ক তুলে দেয়নি।

নতুন ১ শতাংশের আওতায় এবার তৈরি পোশাকের সব আইটেম বিনা শুল্কের সুবিধা পাবে। আর তালিকায় আরও থাকছে বাদাম তেল, সূর্যমুখী তেল ও কটন সিড অয়েল, পলিইথিলিন ও পলিপ্রোপিলিনের মতো রাসায়নিক ও জুতাসহ বিভিন্ন পণ্য।

এর আগে বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ পণ্যকে নিজেদের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুযোগ দেয় চীন। এ সুবিধার আওতায় তখন ৮ হাজার ২৫৬ পণ্যকে বিনা শুল্কে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে আরও ১ ভাগ পণ্যকে শুল্কমুক্ত প্রবেশের সিদ্ধান্তকে সেই সময় ‘সুসংবাদ’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। ওই সময় তিনি আভাস দিয়েছিলেন, তৈরি পোশাকের সব পণ্য এবার নতুন শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুযোগ পাওয়া পণ্যের মধ্যে থাকতে পারে।

বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় খাত তৈরি পোশাক। বিশ্বে পোশাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারকও বাংলাদেশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট রপ্তানিতে ৮২ শতাংশই ছিল তৈরি পোশাক; যা টাকার অঙ্কে ৪২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার।

চীনের আগের দেয়া ৯৭ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়েও চীনের বাজারে রপ্তানি বাড়েনি বাংলাদেশের। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশটিতে ৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল, যা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে মাত্র দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি।

অথচ গত অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে সার্বিক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের দেশগুলোসহ সব দেশেই বেশ ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।

২০২১-২২ অর্থবছরে চীনে ওভেন পোশাক রপ্তানি করে ১৩ কোটি ৮১ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। নিট পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছিল ৮ কোটি ৪২ লাখ ডলার। এ ছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে ৯ কোটি ৭৯ লাখ ডলার, হোম টেক্সটাইল থেকে ৭৪ লাখ ডলার, পাদুকা থেকে ১ কোটি ৭৭ লাখ ডলার, পাট ও পাটজাতপণ্য থেকে ১৭ কোটি ডলার এবং প্লাস্টিক দ্রব্য রপ্তানি করে ১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার এসেছে।

করোনা মহামারির পর শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা কার্যকরের পাশাপাশি নতুন করে কাঁকড়া ও কুঁচে রপ্তানি শুরুর পরও চীনে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় তেমন বাড়েনি, বরং পাঁচ বছর আগের তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চীনে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রায় ১ বিলিয়ন ( ৯৫ কোটি) ডলারের অঙ্ক স্পর্শ করেছিল। এর পর থেকে দেশটিতে রপ্তানি কমছেই।

১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরও হতাশাজনক চিত্র নিয়েই শুরু হয়েছে। এই অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে চীনে ৪ কোটি ৮১ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। গত বছরের জুলাই করেছিলেন ৪ কোটি ৯১ লাখ ২০ হাজার ডলার। তার আগের বছরে একই মাসে এই অঙ্ক ছিল ৬ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

সে কারণে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েই চলেছে। বর্তমানে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ১২ বিলিয়ন ডলারের বেশি। বাংলাদেশের মোট আমদানির প্রায় ২০ শতাংশ আসে চীন থেকে, যার বেশির ভাগই তৈরি পোশাক এবং অন্যান্য শিল্প খাতের কাঁচামাল।

গত কয়েক দশক ধরে বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানিতে দাপট দেখিয়ে চলেছে চীন। কিন্তু সেদিন আর নেই; যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে সেই দাপট হারাতে বসেছে দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানিতে ২০১৫ সালে চীনের অংশ ছিল প্রায় ৩৬ শতাংশ। ২০২১ সালে তা ২৪ শতাংশে নেমে এসেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি গত কয়েক বছর ধরে বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামেরও বেড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়ানোর পর থেকেই একটু একটু করে চীনের তৈরি পোশাক রপ্তানি কমছিল। তবে চীনের উহানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর সেটি ব্যাপকভাবে কমে যায়।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, করোনার আগের বছর ২০১৯ সালে একক দেশ হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্রে ২ হাজার ৪৮৮ কোটি (২৪.৮৮ বিলিয়ন) ডলারের পোশাক রপ্তানি করে চীন। ওই বছর যুক্তরাষ্ট্রে চীনের রপ্তানি কমেছিল ৯ শতাংশ। ২০২০ সালে সেই রপ্তানি কমে ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিসটিকস রিভিউ ২০২১ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২০ সালে চীন সবচেয়ে বেশি ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে। তার আগের বছরের চেয়ে দেশটির পোশাক রপ্তানি ৭ শতাংশ কমেছে। তারপরও চীন বিশ্বের মোট পোশাক রপ্তানি ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ দখলে রেখেছিল। ২০২০ সালে ভিয়েতনাম ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। আর বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পোশাক। অথচ তার আগের বছর বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। তখন ভিয়েতনামের রপ্তানি ছিল ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার।

ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিসটিকস রিভিউ ২০২২ প্রতিবেদন এখনও প্রকাশ করেনি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা। ওই প্রতিবেদন পাওয়া গেলে ২০২১ সালের তথ্য জানা যাবে।

বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ চেম্বারের বর্তমান সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চীন সরকার নতুন করে ১ শতাংশসহ মোট ৯৮ শতাংশ পণ্যে যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে, তাতে সব ধরনের পোশাক পণ্য রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে চীনে আমাদের পোশাক রপ্তানি অনেক বাড়ানো সম্ভব। দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে, সেটা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে চীন বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের একটা বড় বাজার হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘চীন তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসা থেকে ধীরে ধীরে অন্যান্য খাতে সরিয়ে নিচ্ছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে ইউরোপ ও আমেরিকায় তাদের রপ্তানি কমে যাওয়ায় চীন এখন পোশাক খাতের দিকে নজর কম দিচ্ছে। নতুন করে তারা এ খাতে বিনিয়োগ করছে না। এই সুযোগটিই বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারে। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে পোশাক খাতে প্রচুর বিনিয়োগ হয়েছে। বিশ্ব পরিমন্ডলে আমাদের পোশাকের ভাবমূর্তি বেড়েছে। আমরা এখন কম দামি পোশাকের পাশপাশি দামি পোশাকও উৎপাদন করছি। চীন পোশাক উৎপাদন কমিয়ে দিলে দেড়শ কোটি মানুষের দেশে পোশাকের ব্যাপক চাহিদা দেখা দেবে। আমাদের সেই সুযোগটিই নিতে হবে।

দেশের অন্যতম শীর্ষ পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ইভিন্স গ্রুপের কর্ণধার আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, ‘গত বছরের জুলাইয়ে চীন বাংলাদেশকে ৯৭ শতাংশ পণ্যে যে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা দিয়েছিল, সেই সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে পারিনি মূলত করোনা মহামারির কারণে।কার্যকর করে চীন। চীনের জিরো কোভিড নীতির কারণে মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা চীনে ভ্রমণ করতে পারে না। নানা বাধাবিপত্তির কারণে এই এক বছরের বেশি সময়ে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা চীনে পণ্য রপ্তানির দিকে খুব বেশি নজর দিতে পারেনি। সে কারণেই গত অর্থবছরে সব দেশে আমাদের রপ্তানি অনেক বাড়লে চীনে বাড়েনি।’

‘এখন আরও ১ শতাংশসহ মোট ৯৮ শতাংশ পণ্যে শুল্পমুক্ত সুবিধা পাওয়ায় আমাদের সব ধরনের পোশাক চীনের বাজারে বিনা শুল্কে ঢুকতে পারবে। আমার বিশ্বাস এখন চীনে আমাদের রপ্তানি বাড়বে। আগামী দিনগুলোতেও সেটা অব্যাহত থাকবে।’

কয়েক বছর আগে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, চীন দক্ষ জনবলের অভাব এবং উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় পোশাক খাত থেকে সরে গিয়ে অন্যান্য শিল্পখাতে উৎপাদন বাড়াচ্ছে৷ বিশ্বে চীন পোশাক রপ্তানিতে প্রথম এবং রপ্তানি বাজারের ৪০ ভাগ তাদের দখলে৷ বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় হলেও মোট বাজারের মাত্র পাঁচ ভাগের কিছু বেশি বাংলাদেশের দখলে৷ বাংলাদেশ যদি চীনের বাজারের ২০ ভাগও নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে তাহলে বাংলাদেশের বছরে পোশাক রপ্তানি থেকে আয় দ্বিগুণেরও বেশি হবে৷ আর নতুন প্রায় ৫৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে৷

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জিরো কোভিড নীতির কারণে চীন বিদেশিদের ভিসা দিচ্ছিল না। একইসময় বিদেশ থেকে ফিরে চীনা ব্যবসায়ীদের ২১ দিন দীর্ঘ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়েছে। সে কারণে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশেরে ব্যবসায়ীরা দেশটিতে যেতে পারেনি। সার্বিকভাবে চীনের আমদানিও কমেছে। তাই দেশটিতে আমাদের ৯৭ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার পরও রপ্তানি বাড়েনি। এরসঙ্গে আরও ১ শতাংশ পণ্য যোগ হয়েছে। কোভিড পিরিস্তিতি স্বাভাবিক হলে, চীন সরকার সবকিছু খুলে দিলে ভারতের মতো চীনেও আমাদের রপ্তানি বাড়বে বলে আশা করছি।’

বাংলাদেশের নিট পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভারতের বাজারে আমাদের রপ্তানি যেভাবে বাড়ছে, চীনের বাজারেও আমরা যদি সেভাবে প্রবেশ করতে পারি, তাহলে আর আমাদের পেছনের দিকে তাকাতে হবে না। ইউরোপ-আমেরিকার ওপর নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারব। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পোশাক রপ্তানি থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার আয়ের যে লক্ষ্য ধরেছি আমরা, সে স্বপ্নও সফল হবে।’

আরও পড়ুন:
খুদে ভক্তকে ক্রিকেট সরঞ্জাম ও জার্সি উপহার সাকিবের
‘ক্ষুদে সাকিব’ বল করলেন সাকিব আল হাসানকে
খরচ কমিয়ে টিকে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা
সুইস ব্যাংকে দুর্নীতির অর্থ রাখার সুযোগ নেই: রাষ্ট্রদূত
প্রযুক্তিতে চীনকে মোকাবিলায় ২৮ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Buyers are angry at double price of onion in one day

এক দিনে পেঁয়াজের দ্বিগুণ দামে ক্ষুব্ধ ক্রেতা

এক দিনে পেঁয়াজের দ্বিগুণ দামে ক্ষুব্ধ ক্রেতা পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধে ভারতের ঘোষণার ব্যাপক প্রভাব দেখা যায় বাংলাদেশের বাজারে। ফাইল ছবি
পেঁয়াজের আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধিতে আক্ষেপ ঝরল বনানী কাঁচাবাজারের আরেক ক্রেতা অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী আনিসের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘এক দিনে আগে যে জিনিস ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা শুধু ঘোষণায় দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া কোনোভাবেই মানা যায় না।’

রাজধানীর বনানী কাঁচাবাজারে শনিবার সকালে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে চলছিল তুমুল বাগবিতণ্ডা। ক্রেতার অভিযোগ, আগের দিন বিক্রেতা যে পেঁয়াজ বিক্রি করেছে ১৩০ টাকা কেজি দরে, তা এখন চাইছেন ২৫০ টাকা। অন্যদিকে বিক্রেতা বলছেন, আড়তে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। তাই তাদের কিছুই করার নেই।

ক্রেতা আনিস রহমানকে সাংবাদিক পরিচয় দিতেই সংবাদমাধ্যমের ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, ‘আপনারা সত্য কথা কেন তুলে ধরেন না? এইটা কোনো দেশের বাাজার পরিস্থিতি হতে পারে? এ দেশে বাজার দেখার জন্য কি সত্যি কেউ নাই?’

অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য সহনীয় রাখতে বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত, যেটি কার্যকর হয় শুক্রবার। এ নিষেধাজ্ঞার পরও মূল্য পরিশোধ হয়ে যাওয়া পেঁয়াজের চালান সীমান্ত দিয়ে ঢুকেছে বাংলাদেশে।

ভারতের ঘোষণার ব্যাপক প্রভাব দেখা যায় বাংলাদেশের বাজারে। সীমান্তবর্তী জেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শনিবার চড়া দামে বিক্রি হয় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি।

পেঁয়াজের আকস্মিক এ মূল্যবৃদ্ধিতে আক্ষেপ ঝরল বনানী কাঁচাবাজারের আরেক ক্রেতা অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী আনিসের কণ্ঠেও।

তিনি বলেন, ‘এক দিনে আগে যে জিনিস ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা শুধু ঘোষণায় দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া কোনোভাবেই মানা যায় না।

‘আমি শিউর, এসব ব্যবসায়ী নতুন করে পেঁয়াজ কেনেননি, তবে দাম ঠিকই দ্বিগুণ করে দিয়েছেন।’

মিরপুরের একটি বাজারেও শনিবার একই চিত্র দেখা যায়। দোকানদারদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় ক্রেতাদের।

অনেকেই বলেন, ভারত শুধু রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এখন দোকানে যেসব পেঁয়াজ রয়েছে তা আগেই কেনা। এমন পরিস্থিতিতে দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।

বাজারে মধ্যবয়সী আবদুল জলিল মিয়া জানান, খবর শোনার পর কিছু পেঁয়াজ কিনে রাখার জন্য বাজারে এসেছেন। ভেবেছেন ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হলে দাম বাড়তে পারে পেঁয়াজের, তবে তিনি আসার আগেই পণ্যটির দাম বেড়ে যায়।

আবদুল জলিল বলেন, ‘আমাদের চেয়ে ব্যবসায়ীরা অনেক বেশি চালাক। আমরা ভেবেছি আর তারা তার আগেই দাম বাড়িয়ে বসে আছে।’

মিরপুরের বাজারগুলোতে শনিবার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যায় ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে। অবশ্য ভারতীয় পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়।

এক দিনের ব্যবধানে কেন পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেল, এমন প্রশ্নের জবাবে বিক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা কিনে আনি আড়ত থেকে। আপনারা তাদেরকে ধরেন। আমরা ভাই ছোট ব্যবসায়ী। আমরা এগুলা বলতে পারি না।

‘আমরা কিনে আনি যে দামে তার চেয়ে ১০/২০ টাকা লাভে বিক্রি করে দিই।’

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মৌলভীবাজার, শ্যামবাজার পাইকারি আড়তগুলোতেও পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বমুখী চিত্র দেখা যায়।

কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা এক ক্রেতা জানান, দাম দেখে না কিনেই চলে যাচ্ছেন তিনি। আরেক ক্রেতা জানান, দাম বাড়তে পারে ভেবে ২০ কেজি পেঁয়াজ কেনার চিন্তা করে বাজারে এসেছেন, তবে দাম দেখে দুই কেজি কিনেই চলে যাবেন তিনি।

ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন ‘এ আর নতুন কী? আমাদের ভাগ্যই এমন। কোথা থেকে আমদানি বন্ধের ঘোষণা দিল আর সাথে সাথে আমাদের বাজারে দাম বাড়া শুরু হলো।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর বৃহৎ পাইকারি বাজারগুলোতে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়ে কেজিপ্রতি ছিল ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। এ ছাড়া নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে, তবে পুরোনো দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বাজারেই বিক্রি হয় ২০০ টাকা কেজি দরে।

কেন এক দিনের ব্যবধানে দামের এই উল্লম্ফন, তার সদুত্তর দিতে পারেননি কোনো পাইকারি ব্যবসায়ী।

শ্যামবাজারের এক পাইকারি ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘যখন অন্যরা দাম বাড়িয়েছে, তখন আমাদেরও বাড়াতে হয়েছে। সবাই দাম বাড়ালে আমার একার কী দোষ, বলেন?’

তিনি জানান, পুরো বাজার যে নিয়মে চলছে তারাও সেই নিয়মেই দাম বাড়িয়েছেন, তবে সেই নিয়মটা কী, তা জানতে চাইলে বলেন, ‘চাহিদা বাড়লে দাম বাড়বে, আবার সরবরাহ কম থাকলে, দাম বাড়বে। এটাই নিয়ম।’

বাজারের এমন পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শ্যামবাজার পাইকারি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মাজেদ নিউজবাংলাকে জানান, তাদের কথায় কর্ণপাত করেন না ব্যবসায়ীরা।

তিনি বলেন ‘এখানে আমাদের কী করার আছে বলেন? সরকার তাদেরকে ধরুক। আমরা চাই না কিছু অসৎ ব্যবসায়ীর জন্য আমাদের সবাইকে কথা শুনতে হোক।’

সরকারকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করেন কি না, এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সবসময় আমরা তা করতে পারি না। আমরা কিছু করলে ব্যবসায়ীরা বলে সে সরকারের দালাল’।

তিনি জানান, শনিবার সকালে ম্যাজিস্টেট এসে দোকানদারকে ১১০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য করেছেন। অন্য কোনো বছরই এমন সময় পেঁয়াজের দাম বাড়ার নজির নেই। শীত শুরু হওয়ায় দেশের যেসব জায়গায় পেঁয়াজের আবাদ হয়, সেসব জায়গা থেকে পেঁয়াজ উঠাতে শুরু করেছেন কৃষকরা।

অবশ্য আবদুল মাজেদ জানান, ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ আসা শুরু হবে। তখন দাম অনেকটাই কমে আসবে।

দাম বাড়াকে ইতিবাচক দিক হিসেবে উল্লেখ করে ব্যবসায়ী এ নেতা বলেন, ‘কৃষকরা এবার পেঁয়াজ চাষ করে লাভের মুখ দেখবেন। যেখানে ৩০ টাকা কেজি পেতে কষ্ট হয়, সেখানে আজকে ১০০ টাকা কেজি জমিতেই বিক্রি হচ্ছে। এটা কল্পনাও করতে পারেনি চাষিরা।’

আরও পড়ুন:
অসময়ের বৃষ্টিতে ফরিদপুরে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি
দামে লাগাম টানতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের
চট্টগ্রামে দাম কমছে আলু-পেঁয়াজের
চার দিনে এল ভারতীয় ১১১০ টন আলু, ৪১১২ টন পেঁয়াজ
টাঙ্গাইলের বাজারে বেড়েই চলেছে আলু-পেঁয়াজের দাম

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
After evening the head teacher went to the house of the examinees

সন্ধ্যার পর পরীক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি যান প্রধান শিক্ষক

সন্ধ্যার পর পরীক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি যান প্রধান শিক্ষক পাত্রখোলা চা বাগানের বিভিন্ন এলাকায় শনিবার সন্ধ্যায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বাড়ি গিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করেন প্রধান শিক্ষক মো. খুরশেদ আলী। ছবি: নিউজবাংলা
মো. খুরশেদ আলী বলেন, ‘পরীক্ষার্থীসহ অন্য শিক্ষার্থীদের ক্লোজ মনিটরিং এ নিয়ে আসা, তারা যাতে সন্ধ্যার পরে অহেতুক বাসার বাইরে না থাকে, আড্ডা না দেয়, খারাপ সঙ্গে জড়িয়ে না যায়, কিশোর গ্যাং সৃষ্টি না করে, অসামাজিক কার্যকলাপে সম্পৃক্ত না থাকে সেই লক্ষ্যেই এ উদ্যোগটি হাতে নিয়েছি।’

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ভাণ্ডারীগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশেদ আলী।

প্রধান শিক্ষক হিসেবে স্কুলের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে অত্যন্ত স্বচ্ছতা, সততা, আন্তরিকতা, কর্মদক্ষতা ও দৃঢ়তার মাধ্যমে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বেশ আস্থা অর্জন করেছেন। পরিশ্রম করে যাচ্ছেন শিক্ষার মানোন্নয়নে।

পাত্রখোলা চা বাগানের বিভিন্ন এলাকায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত উপজেলার ভাণ্ডারীগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করেন প্রধান শিক্ষক মো. খুরশেদ আলী।

তার আগে আরও কয়েকটি গ্রামে শিক্ষার্থীদের বাড়ি গিয়ে দেখা করেন তিনি। ওই সময় প্রধান শিক্ষক অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষার বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।

মূলত শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যার পর যথাসময়ে বাসায় প্রবেশ করেছে কি না, বাড়িতে পড়াশোনা করছে কি না ও সার্বিক প্রস্তুতির খোঁজখবর নেন খুরশেদ আলী। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কিছু পরামর্শ ও নির্দেশনাও প্রদান করেন তিনি। এ ছাড়াও স্কুলের সময়ে কোনো শিক্ষার্থী স্কুলে না আসলে সেই ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়িতে চলে যান এই প্রধান শিক্ষক।

এ বিষয়ে অভিভাবকরা জানান, প্রধান শিক্ষক এতটাই শিক্ষাবান্ধব যে তিনি অনেকগুলো ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করে সন্তানদের পড়াশোনায় সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। যা শিক্ষার সার্বিক মানোন্নয়নেও অনেক বড় ভূমিকা রাখছে।

তারা জানান, এমন কার্যক্রমে সন্তানরা পড়াশোনায় আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে। গত বছরও তিনি অনেক শিক্ষার্থীর বাড়িতে ‘সান্ধ্যকালীন হোম ভিজিট’ করেছিলেন।

শিক্ষার্থীরা জানায়, সান্ধ্যকালীন হোম ভিজিট খুব ভালো লেগেছে তাদের।

এ বিষয়ে কথা হয় প্রধান শিক্ষক মো. খুরশেদ আলীর সঙ্গে।

তিনি বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষা সন্নিকটে। পরীক্ষার্থীসহ অন্য শিক্ষার্থীদেরকে ক্লোজ মনিটরিং এ নিয়ে আসা, তারা যাতে সন্ধ্যার পরে অহেতুক বাসার বাইরে না থাকে, আড্ডা না দেয়, খারাপ সঙ্গে জড়িয়ে না পরে, কিশোর গ্যাং সৃষ্টি না করে, অসামাজিক কার্যকলাপে সম্পৃক্ত না থাকে সেই লক্ষ্যেই এ উদ্যোগটি হাতে নিয়েছি।

‘আমাদের শিক্ষার্থীরা বইমুখী হলে, পড়াশোনায় মনোযোগ দিলে, সামগ্রিক অর্থে শিক্ষাজীবনে তাদের সাফল্য ও উন্নতি হবে এবং জীবনে তারা অনেক ওপরে উঠতে পারবে।’

আরও পড়ুন:
বিনা নির্বাচনে ঢাবি শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে ফের নীলদল
লেকার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে যোগদান শাহপরীর দ্বীপের হেলাল উদ্দিনের
শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, যাতায়াত সমস্যায় চবি শিক্ষকরাও
স্ত্রীর অভিযোগে শিক্ষককে ক্লাস-প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে সরাল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
মাদারীপুরে মাদ্রাসার ৪ ছাত্রকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Unsettled onion market in Benapole

বেনাপোলে অস্থির পেঁয়াজের বাজার

বেনাপোলে অস্থির পেঁয়াজের বাজার দোকানে স্তূপ করে রাখা পেঁয়াজের বস্তা। ফাইল ছবি
বেনাপোল বাজারের পাইকারি বিক্রেতা সুরুজ মিয়া বলেন, ‘আমরা পেঁয়াজ যেভাবে কিনে থাকি, সেভাবেই বিক্রি করে থাকি। গত সপ্তাহেও পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার নিচে ছিল। ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় সে পেঁয়াজ আজ বিক্রি করছি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা দরে।’

ভারত সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় বাংলাদেশে পণ্যটির বাজার আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অন্যতম প্রধান স্থলবন্দর যশোরের বেনাপোলসহ শার্শা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে শনিবার সকালে ঘুরে দেখা যায়, দুই দিন আগে যে পেঁয়াজের কেজি ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, মাত্র এক দিনের ব্যবধানে আজ সে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে।

বেনাপোল বাজারের পাইকারি বিক্রেতা সুরুজ মিয়া বলেন, ‘আমরা পেঁয়াজ যেভাবে কিনে থাকি, সেভাবেই বিক্রি করে থাকি। গত সপ্তাহেও পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার নিচে ছিল। ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় সে পেঁয়াজ আজ বিক্রি করছি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা দরে।’

দেশে যথেষ্ট পেঁয়াজ থাকলেও কিছু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দেশের বাজার অস্থিতিশীল করে রেখেছে বলে জানান তিনি।

বেনাপোল কাস্টমস জানায়, গত সপ্তাহে প্রতি টন পেঁয়াজের এলসি মূল্য ছিল ৮০০ ডলার। সর্বশেষ ৫৯ টনসহ গত মাসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ভারত সরকার সে দেশে সংকট দেখিয়ে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়, যা শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়।

আরও পড়ুন:
লেনদেন ও সূচকে হতাশার মাঝে শেষ দিনে আশা
কক্সবাজার রুট চালুর পরদিনই রেললাইনের নাট-বল্টু উধাও
হিমেল হাওয়ায় কমলগঞ্জে জমেনি শীতপোশাকের ব্যবসা
ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেনযাত্রা শুরু কাল
পাঁচ টাকায় ব্যাগভর্তি বাজার

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Two time MP Maqbul Hossain has no source of income
হলফনামা

আয়ের উৎস নেই দুইবারের এমপি মকবুল হোসেনের

আয়ের উৎস নেই দুইবারের এমপি মকবুল হোসেনের মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
হলফনামা অনুযায়ী, বর্তমানে মকবুল হোসেনের বার্ষিক কোনো আয় নেই। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তার ও তার স্ত্রীর জমাকৃত কোনো টাকা কিংবা বন্ড ও সঞ্চয়পত্র নেই।

মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের দুইবারের সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে পাননি মকবুল, তবে সেবার তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি।

২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মকবুল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে করে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৯৬ ও ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে হন বিজয়ী।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন মকবুল, তবে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে তার ডাকে সাড়া না দেয়ায় এবারও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাইয়েও পেয়েছেন মনোনয়নপত্রের বৈধতা।

আগামী নির্বাচন উপলক্ষে দেয়া হলফনামা অনুযায়ী, এ প্রার্থীর আয়ের কোনো উৎস নেই। তার মালিকানাধীন কোনো বাড়ি, গাড়ি, এমনকি কৃষিজমিও নেই। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি আছে নামমাত্র।

নির্বাচনের হলফনামায় তার বার্ষিক আয়, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের যে বিবরণী পাওয়া গেছে, তা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্যই মিলেছে।

হলফনামা অনুযায়ী, যৌথ মালিকানার তিন কাঠা জমি ছাড়া মকবুল হোসেনের আর কোনো স্থাবর সম্পদ নেই।

২০১৩ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দেয়া হলফনামায় মকবুল এবং তার স্ত্রীর কোনো স্থাবর সম্পত্তি ছিল না। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় ছিল দুই লাখ ২১ হাজার টাকা। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে শূন্যের কোঠায়।

হলফনামা অনুযায়ী, বর্তমানে মকবুল হোসেনের বার্ষিক কোনো আয় নেই। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তার ও তার স্ত্রীর জমাকৃত কোনো টাকা কিংবা বন্ড ও সঞ্চয়পত্র নেই।

বতর্মানে মকবুল ও স্ত্রীর নগদ টাকা রয়েছে যথাক্রমে তিন লাখ ও ৫০ হাজার। তার গৃহস্থালি সামগ্রীর মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

মকবুলের স্বর্ণ রয়েছে ৪০ ভরি। তার স্ত্রীর স্বর্ণ রয়েছে ১০ ভরি।

২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে মকবুলের বার্ষিক আয় ছিল দুই লাখ ২১ হাজার টাকা। আয়ের খাত ছিল ব্যবসা। নগদ ছিল ৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। সে সময় তার ৪০ ভরি স্বর্ণ ছিল এবং গৃহস্থালি সামগ্রী ছিল ৫০ হাজার টাকার।

ওই বছর তার স্ত্রীর নামে কোনো স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ছিল না। ছিল না কোনো স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা।

হলফনামা অনুযায়ী, মকবুল হোসেনের বর্তমান স্থাবর সম্পদ বলতে যৌথ মালিকানার তিন কাঠা জমি এবং যৌথ মালিকানার পাকা দোতলা বাড়ি ছাড়া আর কিছু নেই। অবশ্য দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার কোনো স্থাবর সম্পদ ছিল না।

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া

দুইবারের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেনের এমন হলফনামা দেয়ার কথা শুনে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীই বিরূপ মন্তব্য করেছেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী সালাউদ্দিন বলেন, ‘এখন গণমাধ্যমের মাধ্যমে হলফনামা সমন্ধে জানতে পারছি। আগে এগুলো নিয়ে কারোর মাথাব‍্যথা ছিল না। এখন বুঝতে পারছি সংসদ সদস‍্য নির্বাচনে হলফনামায় তথ‍্য দেয়ার ক্ষেত্রে নেতারা যত মিথ‍্যা তথ‍্য দিয়ে থাকেন।

‘এটা আসলে ঠিক না। যারা তথ‍্য চুরি করে হলফনামা দিতে পারে, তারা জনগণকে আর কীইবা দিতে পারে?’

আওয়ামী লীগের কর্মী বিপুল হোসেন বলেন, ‘সাবেক এমপি মকবুল হোসেনের আয়ের উৎস নেই, এটা কেমন কথা! তাহলে উনি চলেন কীভাবে?

‘আর তার কোনো ব‍্যাংকে টাকা নেই, এটা ঠিক। টাকা যদি ছেলেদের অ্যাকাউন্টে থাকে, তাহলে তার অ্যাকাউন্টে থাকবে কীভাবে?’

আরও পড়ুন:
ডিএমপির ৩৩টিসহ সারা দেশের ৩৩৮ থানার ওসি বদলি
প্রার্থিতা ফেরাতে তৃতীয় দিনে ১৫৫ জনের আপিল
শোকজের জবাব দিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
নন-ক্যাডার থেকে ৮৩ জনকে নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রাশিয়া সবকিছু করবে: রাষ্ট্রদূত

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Mumtaz gave the details of wealth in the affidavit

হলফনামায় সম্পদের যে বিবরণ দিলেন মমতাজ

হলফনামায় সম্পদের যে বিবরণ দিলেন মমতাজ গ্রাফিক্স: নিউজবাংলা
নিজের পেশা ‘কণ্ঠশিল্পী’ উল্লেখ করলেও পেশা থেকে গত পাঁচ বছরে কোনো আয় দেখাননি মমতাজ। এ ছাড়া এই পাঁচ বছরে তার ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ কমেছে। বাড়েনি নগদ অর্থের পরিমাণও, তবে ঋণের পরিমাণ কমেছে।

মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম হলফনামায় পেশায় নিজেকে কণ্ঠশিল্পী ও ব্যবসায়ী উল্লেখ্য করেছেন। কিন্তু পেশা থেকে কোনো আয়ের কথা উল্লেখ করেননি তিনি। অথচ গত পাঁচ বছরে মমতাজ বেগমের আয় বেড়েছে ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা এবং অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া এই সময়ের মধ্যে ভারতের আদালতে দুটি প্রতারণার মামলা হয়েছে এ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে।

কণ্ঠশিল্পী এ সংসদ সদস্যের ২০১৮ ও ২০২৩ সালের হলফনামা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বর্তমানে মমতাজ বেগমের বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান, বাসাভাড়া, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত ও কৃষিসহ অন্যান্য খাত থেকে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৪৯ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৮ টাকা। আর ২০১৮ সালে বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছিল ৩৮ লাখ ৮৪ হাজার ২৭৬ টাকা; তার মধ্যে গান গেয়ে আয় করেছিলেন ৭ লাখ টাকা। সেই হিসেবে গত পাঁচ বছরে মমতাজ বেগমের আয় বেড়েছে ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা এবং অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১৬ লাখ টাকা।

তবে এই পাঁচ বছরে তার ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ কমেছে। বাড়েনি নগদ অর্থের পরিমাণও, তবে ঋণের পরিমাণ কমেছে।

অপরদিকে ২০১৪ সালের হলফনামায় মমতাজ বেগম ব্যবসা, ব্যাংক আমানত, সঞ্চয়পত্র, কৃষি ও পেশাসহ অন্যান্য খাত থেকে বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন ৭৯ লাখ ২৬ হাজার ৮৩৪ টাকা। তবে ওই হলফনামায় বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট বা দোকানসহ এইসব খাত থেকে কোনো আয় ছিল না তার।

এ ছাড়া সংসদ সদস্য হিসেবে ভাতা ও আনুসঙ্গিক পারিতোষিক বাবদ বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ১৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে মমতাজ বেগমের হাতে নগদ ৫ লাখ এবং স্বামীর কাছেও নগদ ৫ লাখ টাকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। মধু উজালা কোল্ড স্টোরেজে ৩ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার, ৪৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, নিজ নামে ২৮ লাখ টাকা, ৪৬ লাখ ২০ হাজার এবং ১ কোটি ৩ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের তিনটি দামি গাড়ি রয়েছে। পাশাপাশি নির্ভরশীল ব্যক্তি অর্থাৎ তিন সন্তানের নামে মধু উজালা কোল্ড স্টোরেজে ৬৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে।

২০১৮ সালের হলফনামায় তার কাছে নগদার্থের পরিমাণ ছিল ৫ লাখ এবং স্বামীর কাছে ছিল ২ লাখ টাকা এবং ২০১৪ সালের হলফনামায় মমতাজ বেগমের নগদার্থের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। তবে স্বামীর নামে কোনো টাকা ছিল না।

২০২৩ সালের হলফনামায় মমতাজ বেগমের নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ২১৮ টাকা এবং স্বামীর নামে জমা অর্থের পরিমাণ ১৮ লাখ টাকা। অপরদিকে ২০১৮ সালের হলফনামায় মমতাজ বেগমের নামে ছিল ৮৬ লাখ ৯৯ হাজার ১৯৭ টাকা এবং ২০১৪ সালের হলফনামায় ছিল ৩০ লাখ টাকা।

২০২৩ সালের হলফনামায় মমতাজ বেগমের নামে কৃষিজমির পরিমাণ ছিল ৯০০ শতাংশ। যার অর্জনকালীন মূল্য ছিল ৪৪ লাখ ২ হাজার ৭৩৪ টাকা এবং অকৃষিজমির পরিমাণ ছিল ৫০০ শতাংশ যার অর্জনকালীন মূল্য ছিল ৬৫ লাখ ৬৬ হাজার ৭৭০ টাকা। এ ছাড়াও ঢাকার মাহাখালীতে ৫ তলা একটি বাড়ি আছে যার মূল্য ৬ কোটি ৯৯ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা এবং সিংগাইরের জয়মন্টপ এলাকায় ২ তলা একটি বাড়ি আছে যার মূল্য ৫৭ লাখ ৫ হাজার ৪৪০ টাকা। তবে ২০১৪ সালের হলফনামায় মমতাজ বেগমের নামে কোনো বাড়ি ছিল না। কিন্তু মমতাজ বেগমের নামে একটি কোল্ড স্টোরেজ ছিল যার মূল্য ছিল ৯০ লাখ টাকা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমতাজ বেগমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। রমমতাজ বেগম তিনবার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে একবার সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত হন তিনি। এবার দিয়ে টানা তিনবার তিনি নৌকার টিকিট পেলেন।

আরও পড়ুন:
আয়ের উৎস নেই দুইবারের এমপি মকবুল হোসেনের

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Naogaon residents are fed up with the noise of miking brick breaking machine

মাইকিং ইট ভাঙার মেশিনের শব্দে অতিষ্ঠ নওগাঁবাসী

মাইকিং ইট ভাঙার মেশিনের শব্দে অতিষ্ঠ নওগাঁবাসী প্রতীকী ছবি/সংগৃহীত
নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কন্সালটেন্ট (ইএনটি) তারেক হোসেন বলেন, ‘শব্দদূষণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আগে সাধারণত ৫০ বছর বয়সের ব্যক্তির মধ্যে যে সমস্যাগুলো দেখা দিত তা এখন ৪০ বছর বয়সেই দেখা দিচ্ছে।’

শব্দদূষণের মাত্রা নওগাঁয় প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে শব্দদূষণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, অতিরিক্ত শব্দদূষণ শিশুসহ সব বয়সের মানুষের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত শব্দে মস্তিষ্কে বিরক্তির কারণ ঘটে। ফলে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টি হয়, কর্মক্ষমতা কমে যায়, মেজাজ খিটমিটে হয়ে যায়।

এ ছাড়া ব্যক্তির বিশ্লেষণ ক্ষমতা কমে যায়, মানুষ যখন ধীরে ধীরে বার্ধক্যে পোঁছে যায় তখন পরিলক্ষিত হয় শব্দদূষণের প্রভাব।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় প্রতিদিন শহরবাসীর যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মাইকের উচ্চ শব্দে এমন কিছু ঘোষণা, যেমন ‘সুখবর সুখবর উন্নত জাতের একটি মহিষ জবাই করা হইবে, মহিষটির দাম … টাকা। প্রতি কেজি মাংস ... টাকা’, ‘সম্মানিত রোগী ভাইদের জন্য সুখবর, এখন থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ঢাকা থেকে আগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ নিয়মিত রোগী দেখিবেন’, ‘ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের জন্য সুখবর। অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা কোচিং দেয়া হইতেছে।’

এর সঙ্গে আছে বিভিন্ন জনসভার মাইক। নওগাঁ শহরবাসীরা জানান, বিষয়টি তাদের জন্য অসহনীয় পর্যায় পৌঁছে গেছে। এর পর আসে ইট ও পাথর ভাঙা মেশিন ও কাঠের আসবাবপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত যন্ত্র ও টাইলস কাটার মেশিনের বিকট কান ফাটানো শব্দ।

হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে গিয়েও দেখা যায় একই চিত্র। এ সব স্থানে মাইকিং বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও মানছে না কেউ।

স্থানীয়রা জানান, নওগাঁ শহরের মধ্যে ভারী যানবাহন না চললেও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের ইলেক্ট্রনিক হর্ন আর উচ্চ শব্দের সাইলেন্সর লাগানো বাইকের শব্দের কারণে অতিষ্ঠ নওগাঁবাসী।

সাধারণের প্রশ্ন, এ সব নিয়ন্ত্রণের কি কেউ নেই? এর উত্তর আছে। গেজেট বলছে কঠোর আইন আছে।

নওগাঁ কেন্দ্রীয় মুসলিম গোরস্তান সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট সমাজকর্মী জিয়াউর রহমান বাবলু বলেন, ‘প্রতিদিন মাইকের শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। এরা স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, সরকারি অফিস আদালত কিছুই মানে না। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব যে কে পালন করবে তাও বুঝি না। বিষয়টি দিন দিন অত্যাচারের পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে।’

এ বিষয়ে কথা হয় নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নওগাঁ জিলা স্কুল ও নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাধিক অভিভাবকদের সঙ্গে।

তারা জানান, অভিভাবকরা ছেলে-মেয়েদের স্কুলে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করেন। স্কুলের সামনে দিয়ে একটির পর একটি মাইক উচ্চ শব্দে প্রচার করতে করতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা প্রতিবেদকের কাছে জানতে চান এর কি কোনো প্রতিকার নাই?

নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কায়েশ উদ্দীন বলেন, ‘মাইকের উচ্চ শব্দসহ যত্রতত্র পাথর ভাঙা ও ইট ভাঙা চলছেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবি জানান তিনি।

২০০৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

বিধিমালায় যা বলা আছে

নীরব এলাকায় দিনে ৫০ রাতে ৪০, আবাসিক এলাকায় দিনে ৫৫ রাতে ৪৫, মিশ্র এলাকায় দিনে ৬০ রাতে ৫০, বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে ৭০ রাতে ৬০, শিল্প এলাকায় দিনে ৭৫ রাতে ৭০ ডেসিবল মানমাত্রার সাউন্ডে মাইকে প্রচার করা যাবে।

তবে এই বিধি রাষ্ট্রীয় কোনো দিবসের (স্বাধীনতা, ২১ ফেব্রুয়ারি, বিজয় দিবস, জাতীয় দিবস) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। এ ছাড়া মৃত্যু সংবাদ, কোনো ব্যক্তি নিখোঁজ থাকলে, গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হারিয়ে গেলে, সরকারি বা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রচারকালে এ বিধি প্রযোজ্য হবে না।

বিধিমালায় আরও বলা হয়েছে, শব্দের মানমাত্রা অতিক্রমকারী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নীরব এলাকা ব্যতীত অন্য এলাকায় ব্যবহারের জন্য পূর্বেই কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রে আবাসিক এলাকার শেষ সীমানা হতে ৫০০ মিটারের মধ্যে ইট বা পাথর ভাঙা মেশিন ব্যবহার করা যাবে না। সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত অন্য যন্ত্রপাতি চালানো যাবে না।

নির্দিষ্ট মানমাত্রার অতিরিক্ত শব্দদূষণের সৃষ্টি হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অভিযোগ জানানো যাবে। সে ক্ষেত্রে নির্ধারিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে ব্যক্তিকে কারাদণ্ডসহ জরিমানা করা হবে।

উপজেলায় এই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা তৎকর্তৃক ক্ষমতা প্রাপ্ত কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা বলেন, ‘শব্দদূষণ অবশ্যই একটি বড় ধরনের সমস্যা। অভিযোগের ভিত্তিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কন্সালটেন্ট (ইএনটি) তারেক হোসেন বলেন, ‘শব্দদূষণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আগে সাধারণত ৫০ বছর বয়সের ব্যক্তির মধ্যে যে সমস্যাগুলো দেখা দিত তা এখন ৪০ বছর বয়সেই দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে পথচারী, ট্র্যাফিক পুলিশ, টাইলস শ্রমিকসহ উচ্চ শব্দযুক্ত মেশিন ও মাইকের শব্দে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।’

নওগাঁ সদর ট্র্যাফিক পুলিশের ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) বিকর্ণ কুমার চৌধুরী বলেন, ‘নওগাঁ শহরের কোনো ভারী যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হয় না। এর কারণে এখন পর্যন্ত শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইনে কোনো মামলা হয়নি। তবে মাইকসহ অন্য শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা ট্র্যাফিক পুলিশের এখতিয়ারের বাইরে।’

আরও পড়ুন:
সহনীয় মাত্রার চেয়ে খুলনায় শব্দের তীব্রতা প্রায় দ্বিগুণ
হর্নবিরোধী অভিযানে দুই নীতি নিয়ে তোপের মুখে ম্যাজিস্ট্রেট
শব্দদূষণের সবচেয়ে বড় শিকার কারা
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে রাজপথে জবি শিক্ষার্থীরা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
How is Khadija after her release from prison?

কারামুক্তির পর কেমন আছেন খাদিজা

কারামুক্তির পর কেমন আছেন খাদিজা খাদিজাতুল কুবরা। ছবি: নিউজবাংলা
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মেজবাহ-উল-আজম সওদাগর বলেন, ‘খাদিজা সবগুলো পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। তার বাকি থাকা মিডটার্ম পরীক্ষাগুলো নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কোর্স শিক্ষকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাকে শিক্ষকরা যেকোনো প্রয়োজনে সহযোগিতা করছেন।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বিনা বিচারে প্রায় ১৫ মাস কারাগারে আটক থাকার পর চলতি বছরের ২০ নভেম্বর মুক্তি পান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী খাদিজাতুল কুবরা।

কারামুক্ত হলেও নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকটা কষ্টেই দিন পার করছেন তিনি। এখনও ঠিক হয়নি মানসিক অবস্থাও, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে নিয়মিত হয়েছেন তিনি। স্বাভাবিক শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করতে শিক্ষকরাও দিয়েছেন পাশে থাকার আশ্বাস।

খাদিজার পরিবারের সদস্যরা জানান, দীর্ঘদিন কারাভোগের ফলে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন খাদিজা। কারাগারে থাকা অবস্থাতেই কিডনিতে পাথরসহ মেরুদণ্ডের সমস্যায় ভুগছেন তিনি। কারামুক্তির পর দফায় দফায় ডাক্তার দেখানোর পর চিকিৎসা চললেও এখনও শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। তবে খাদিজাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ করে তুলতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা।

তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে উন্নত চিকিৎসাসহ মানসিকভাবে শক্ত করে তোলার প্রয়াস চালাচ্ছেন তারা।

এ বিষয়ে খাদিজার বড় বোন সিরাজুম মুনিরা বলেন, ‘খাদিজার কিডনিতে পাথর হয়েছে। সে শারীরিকভাবে এখনও অনেক অসুস্থ। আমরা ডাক্তার দেখিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা চালাচ্ছি। মানসিকভাবেও সাপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করছি।’

খাদিজার সহপাঠী ও বন্ধুরা জানান, কারামুক্তির দিনই সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় বসেছিলেন খাদিজা। এর পর দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের সব পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার তার তাত্ত্বিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। পড়াশোনাসহ সব বিষয়েই খাদিজাকে সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার সহপাঠীরা।

স্বাভাবিক পরিবেশ গড়ে তুলে খাদিজাকে মানসিকভাবে শক্ত করে তুলতেও সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।

খাদিজার বান্ধবি নাসরিন নাইমা বলেন, ‘খাদিজা এখন দ্বিতীয় বর্ষের সঙ্গে পরীক্ষা দিচ্ছে আর আমরা তৃতীয় বর্ষে আছি। আমাদের সব বন্ধুরাই তাকে সহযোগিতা করছে। পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য বই, শিটগুলো সংগ্রহ করে দিচ্ছি। আমরা তাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট দেয়ারও চেষ্টা করছি।’

এদিকে বিভাগের শিক্ষকদের পক্ষ থেকেও খাদিজাকে সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।

অ্যাকাডেমিক বিভিন্ন সমস্যাসহ যেকোনো প্রয়োজনে খাদিজার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তারা। খাদিজার স্বাভাবিক শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে বিভাগের পক্ষ থেকে কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানান শিক্ষকরা।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মেজবাহ-উল-আজম সওদাগর বলেন, ‘খাদিজা সবগুলো পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। তার বাকি থাকা মিডটার্ম পরীক্ষাগুলো নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কোর্স শিক্ষকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাকে শিক্ষকরা যেকোনো প্রয়োজনে সহযোগিতা করছেন।’

অনলাইনে সরকার বিরোধী বক্তব্য প্রচার ও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় আলাদা দুটি মামলা করে পুলিশ।

২০২২ সালের মে মাসে পুলিশ দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। সেই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। একই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা পুলিশ। এর পর থেকে কারাগারে ছিলেন খাদিজা।

দীর্ঘ ১৫ মাস কারাভোগের পর ২০ নভেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান খাদিজা।

আরও পড়ুন:
জামিনে কারামুক্ত জবি শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা
জবির সেই খাদিজার জামিন, মুক্তিতে নেই বাধা
জবি শিক্ষার্থী খাদিজার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি অ্যামনেস্টির
খাদিজাকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহ্বান অ্যামনেস্টির
জবি ছাত্রী খাদিজার মুক্তির দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ

মন্তব্য

p
উপরে