ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতনের সময় পুঁজিবাজারে ক্রমাগত দরপতন হলেও এখন পুরো বিপরীত চিত্র।
টাকা শক্তিশালী হয়ে উঠতে থাকার পর বাড়ছে শেয়ারের দর, সেই সঙ্গে গতি ফিরতে শুরু করেছে লেনদেনেও।
আগের সপ্তাহে তিন কর্মদিবসেই সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন সূচকে আরও যোগ হলো পয়েন্ট।
সূচক খুব একটা লাফ দিয়েছে এমন নয়, তবে দরপতনের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেলা শেষে ১৮ পয়েন্ট বেড়ে বিনিয়োগকারীদের স্বস্তি আরও বাড়িয়েছে।
পুঁজিবাজারে ধসের কারণে জুলাইয়ের শেষে দ্বিতীয়বারের মতো সব শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগসীমা গণনা নিয়ে এক যুগের দাবি পূরণ হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়ে দেয়, শেয়ারের ক্রয়মূল্যকেই বাজারমূল্য ধরে হিসাব হবে এই বিনিয়োগসীমা।
এরপরও ৭ থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত পাঁচ কর্মদিবসে ১৬৩ পয়েন্টের পতন হয় ডলারের বিপরীতে টাকার ক্রমাগত দরপতন ইস্যুতে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দর ৯৫ টাকায় স্থির করলেও খোলাবাজারে চাহিদা বাড়ার কারণে তা ১২০ টাকা হয়ে যায়।
গত সপ্তাহ থেকে ডলার তেজ হারাতে শুরু করে। এখন তা ১১০ টাকার নিচে নেমে ১০০ টাকার দিকে ছুঁটছে। আর গত সপ্তাহ থেকে পুঁজিবাজারও ভালো হতে শুরু করে।
গত সপ্তাহে দুটি সরকারি ছুটির কারণে লেনদেন হয় তিন দিন। এই তিন দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ৯২ পয়েন্ট। আর লেনদেন ৫৮৩ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয় ১ হাজার ১৫৯ কোটি টাকায়।
রোববার সেখান থেকে লেনদেন অবশ্য কিছুটা কম হয়েছে। দিন শেষে হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ৫৭ কোটি ৭৬ লাখ ২ হাজার টাকা। বেশির ভাগ শেয়ারের দর অবশ্য কমেছে। ১৪৩টির দরপতনের বিপরীতে বেড়েছে ১৩৬টির দর। ১০২টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে আগের দিনের সমান দামে।
সকালে সূচক বেড়ে লেনদেন শুরু হলেও একপর্যায়ে তা কিছুটা কমে যায়। তবে শেষ বেলায় আবার ক্রয়চাপে বাজার ইতিবাচক হিসেবে শেষ হয়।
বেশির ভাগ কোম্পানি দর হারালেও সূচক বাড়ার কারণ বহুজাতিক বড় মূলধনি কয়েকটি কোম্পানির পাশাপাশি দেশি বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি। আর ফ্লোর প্রাইসের কারণে দর হারানো কোম্পানিগুলো সূচকে খুব একটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি।
লেনদেনের বিষয়ে ট্রেজার সিকিউরিটিজের চিফ অপারেটিং অফিসার মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মার্কেটে পড়েছিল সেখান থেকে উঠছে। এটার একটা কারণ হতে পারে ফ্লোর প্রাইস, যা মানুষের মনোবল বাড়িয়েছে যে, এর নিচে দর নামতে পারবে না। এ ছাড়াও সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের পুঁজিবাজারবান্ধব মনোভাব হয়তো কিছুটা আস্থা ফেরাতে পেরেছে। তা না হলে চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে হয়তো আরও খারাপ হতে পারত বাজার।’
লেনদেনে সেরা বস্ত্র, আগ্রহ বেক্সিমকোতেও
গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বস্ত্র খাতে বিনিয়োগকারীদের যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে, সেটি দেখা গেল আবার। দর বাড়ার সঙ্গে লেনদেনও শীর্ষে রয়েছে খাতটি।
আর একক কোম্পানি হিসেবে আগ্রহের শীর্ষে রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। শেয়ার সংখ্যা ও টাকার অঙ্কে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে কোম্পানির।
বস্ত্র খাতে লেনদেন হয়েছে ১৯৯ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার। দর বেড়েছে ২৩টি কোম্পানির। অন্যদিকে ১৬টি বা ২৭ শতাংশের বেশি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দরে। আর দর কমে লেনদেন হয়েছে ২০টির, অর্থাৎ ৩৩ দশমিক ৯০ শতাংশ কোম্পানির।
একক কোম্পানি হিসেবে ৪ হাজার ৬৫৩ বারে বেক্সিমকোর মোট ৭৯ লাখ ৮১ হাজার ২৮৭টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণ ৯৫ কোটি ৯১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। শেয়ারটির সর্বশেষ দর ছিল ১২০ টাকা ২০ পয়সা, যা আগের দিনের চেয়ে ৫০ পয়সা কম।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বিবিধ খাতে। ১৮২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা লেনদেনের দিনে খাতটিতে দরবৃদ্ধির চেয়ে দরপতনই বেশি হয়েছে। ৭টি বা ৫০ শতাংশ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে বেড়েছে ৫টি বা ৩৫ শতাংশ কোম্পানির। আর দুটি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে আগের দরেই।
এ ছাড়া প্রকৌশল খাতে ১০৭ কোটি ৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১৮টির বৃদ্ধি ও ৯টি কোম্পানির শেয়ার অপরিবর্তিত দরে লেনদেন হওয়ায় দর পতনের হার কমেছে। দর কমে লেনদেন হয়েছে ১৫টি বা ৩৫ দশমিক ৭১ শতাংশ কোম্পানির।
আর কোনো খাতের লেনদেন একশ কোটি স্পর্শ করতে পারেনি। তবে লেনদেনে ওপরের দিকে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন, খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক, তথ্যপ্রযুক্তি, সিমেন্ট ইত্যাদি।
সূচক বাড়াল যারা
সবচেয়ে বেশি ৩ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ। শেয়ারটির দর ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ দর বেড়েছে।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর দর শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ২৮ পয়েন্ট।
বিকন ফার্মা সূচকে যোগ করেছে ১ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ২ দশমিক ২৪ শতাংশ।
এ ছাড়া তিতাস গ্যাস, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, রহিমা ফুড, ওরিয়ন ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা ও কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট।
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট সূচক কমেছে ইউনাইটেড পাওয়ারের দর পতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশ।
আর কোনো কোম্পানি সূচক ১ পয়েন্ট কমাতে পারেনি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৭৬ পয়েন্ট কমেছে বেক্সিমকো ফার্মার কারণে। কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।
আইসিবির দর শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৭৫ পয়েন্ট।
এ ছাড়া ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বেক্সিমকো, সোনালী পেপার, স্কয়ার টেক্সটাইল, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল ও ডেসকোর দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৬ দশমিক ২ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ দর বেড়েছে মুন্নু ফেব্রিকসের। তিন কর্মদিবস বাড়ল শেয়ারটির দর। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৫ টাকায়। রোববার সর্বশেষ হাতবদল হয়েছে ২৭ টাকা ৫০ পয়সায়।
মেট্রো স্পিনিং দর বৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এক দিন কমার পরে আবারও দর বাড়ল শেয়ারটির। ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৮ টাকা ৩০ পয়সায়।
ঋণ কেলেঙ্কারি ও লোকসানে ডুবে থাকা ইউনিয়ন ক্যাপিটালের দর বেড়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
৯ দশমিক ২ শতাংশ দর বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১১ টাকা ৫০ পয়সায়।
এ ছাড়া দর বৃদ্ধির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে রহিমা ফুড, ওরিয়ন ফার্মা, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ, বিডি ল্যাম্পস, অ্যাগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি (প্রাণ) ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
দর পতনের শীর্ষ ১০
এই তালিকার শীর্ষে ঝিল লোকসানি বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি। শেয়ারটির দর ৬ টাকা ৭২ শতাংশ কমে ১১ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়।
বিডি থাই ফুড দর পতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল। শেয়ারটির দর ১ টাকা ৬০ পয়সা বা ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ কমেছে। শেয়ারটির ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ৬০ পয়সায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। ১ টাকা ৮০ পয়সা বা ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ কমে শেয়ারটি সর্বশেষ ৫৫ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়।
শীর্ষ দশে বাকি কোম্পানিগুলো ছিল সোনারগাঁও টেক্সটাইল, হা-ওয়েল টেক্সটাইল, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম টেক্সটাইল, আমান ফিড ও ফার কেমিক্যাল।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য