সারা দেশে ডিম ও মুরগির দাম চড়ে যাওয়ার নেপথ্যে মাত্র তিন দিনের পরিবহন সংকট। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সরকারি ঘোষণার পর ভাড়া বাড়ানোর পাঁয়তারা হিসেবে পণ্য পরিবহন খাতে ছিল অঘোষিত ধর্মঘট। ফলে খামার থেকে প্রথম তিন দিন এ দুই পণ্যের সরবরাহ আসেনি।
এতে গোটা দেশে খবর ছড়িয়ে পড়ে সরবরাহ সংকট। এ সুযোগ কাজে লাগায় মধ্যস্বত্বভোগী আড়তদার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।
দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ও অনৈতিক বাড়তি মুনাফার চেষ্টায় প্রথম দফায় এই মধ্যস্বত্বভোগীরা যার যার আগের মজুত থেকেই দাম বাড়ানোর চেষ্টা করেন। অন্যদিকে খামারিরা পরিবহন সংকটে সরবরাহ দিতে না পেরে প্রথম দিকে কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়লেও বাজারে দাম বাড়ার ফায়দা পরে তারাও নিতে শুরু করেন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশে ডিম ও মুরগির সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি খামার গেটে প্রতি পিস ডিমের ক্ষেত্রে ২০-৫০ পয়সা হারে এবং লেয়ার ও ব্রয়লার মুরগির ক্ষেত্রে কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা করে বাড়াতে থাকেন খামারিরা। এভাবে খামারিরা দফায় দফায় যে হারে দাম বাড়িয়েছেন, আড়তদার, পাইকার ও খুচরা বিক্রেতারা স্থানভেদে নিজেদের লাভ বিবেচনায় আনুপাতিক হারে দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নামেন। ফলাফল বাজারে এখন এসব পণ্যের দাম নামছে না।
এ প্রসঙ্গে ফিড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আহসানুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খামার পর্যায়ে দাম বেড়েছে এটা সত্য। এই বাড়তি দামের সঙ্গে মাঠপর্যায়ে মধ্যস্বত্বভোগী যারা রয়েছে, তাদের আরও বাড়তি মুনাফার একটা অপচষ্টো তো সব সময়ই থাকে। আগে ৬ টাকায় কিনে ৯ টাকায় বিক্রি করত, এখন ৯-১০ টাকায় কিনে ১৩-১৪ টাকা বিক্রি করছে। তবে এবার দাম বাড়ার এই অপচেষ্টার পেছনে ছিল জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি।’
ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি ফজলে রহিম খান শাহরিয়ার জানান, সারা দেশে ডিম ও মুরগির দাম বৃদ্ধি উসকে দিয়েছে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর মাত্র তিন দিনের পরিবহন সংকট।
কারওয়ান বাজারের খুচরা ডিম ব্যবসায়ী বশিররুল্লাহ বলেন, ‘বাজারে কাঁচা সবজি ও মাছ-মাংসের দাম বাড়ায় মানুষ ডিম ও ব্রয়লার বেশি খাচ্ছে। ফলে চাহিদা বাড়ায় দামও বেড়েছে।’
ভোক্তার পকেট কেটে কে কতটা লাভ করছে
খামারে একটি ডিমের উৎপাদনের পেছনে খরচ পড়ে ৮ থেকে সাড়ে ৮ টাকা। খামারিরা সেই ডিমে পরিচালন খরচ যোগ করার পর আনুপাতিক হারে মুনাফা নির্ধারণ করে থাকেন। খামারসংশ্লিষ্টদের দাবি, খামার গেটে একটি ডিম এখন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখানে খামারির ডিমপ্রতি লাভ দুই থেকে আড়াই টাকা।
সেই ডিম খামার গেট থেকে আড়তদার, পাইকার ও খুচরাপর্যায়ে তিন দফা হাতবদলের পর পরিবহন খরচ যোগ হয়ে ভোক্তাপর্যায়ে স্থানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ টাকা। অর্থাৎ এই মধ্যস্বত্বভোগীরা প্রতিটি ডিম থেকে লাভ করছেন ৪ থেকে ৫ টাকা।
একইভাবে ১৩৫ টাকা আট মাস বিনিয়োগের পর খামারিরা এক কেজি ওজনের একটি ব্রয়লার থেকে লাভ করেন ১৫-২০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজিতে খামারিদের বিক্রয় মূল্য ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। হাতবদলের পর ভোক্তাপর্যায়ে সেটি বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকায়। এখানে হাতবদলে দর বৃদ্ধি ৪০-৪৫ টাকা, যা পুরোটাই যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে।
বাড়তি দামে খামারিদেরও আছে যৌক্তিকতা
দেশে ছয়-সাত মাস ধরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চলছে। ১৭ টাকার ভুট্টা হয়ে গেছে ৩৬ টাকা, ৩০ টাকার সয়াবিন মিল হয়ে গেছে ৬৫ টাকা। আটার দামও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এগুলো দিয়ে পোল্ট্রি ফিড তৈরি হয়। এর দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে মুরগি ও ডিমের উৎপাদন খরচের ওপর।
এ ছাড়া বিদ্যুতে লোডশেডিং হচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। এতে আগের তুলনায় খরচ দুই থেকে আড়াই টাকা বাড়তি যোগ হয়েছে। এর সঙ্গে ওষুধের দাম বেড়েছে। পরিবহন খরচ ও শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। সব কিছুর দাম বাড়ায় ব্যবসার পরিচালন খরচও বেড়েছে। এর ফলে এক বছর আগে একটি ডিম উৎপাদনে যেখানে খরচ হতো ৬ টাকা, এখন তার খরচ পড়ছে ৮ থেকে সাড়ে ৮ টাকা।
অন্যদিকে এক বছর আগে এক কেজি ওজনের একটি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ ছিল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। এখন সেই একই ওজনের ব্রয়লারের উৎপাদনে খরচ পড়ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা।
দাম বাড়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (বিএবি) সভাপতি ও নাহার এগ্রো কমপ্লেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রকিবুর রহমান (টুটুল) জানান, দাম বৃদ্ধির প্রবণতা যেভাবেই ঘটুক, খামারপর্যায়ে দাম যৌক্তিকভাবেই বাড়ানো হয়েছে। দামের এই বৃদ্ধি না হলে দেশি খামারিরা এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যেত।
পাইকারি ডিম ব্যবসায়ী সাত্তার মিয়া বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ডিম সংগ্রহ করে ঢাকায় আনা হয়। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় গাড়ি ভাড়া বেড়েছে। সেতুর টোল ভাড়া বেড়েছে। সড়কে চাঁদাবাজি বেড়েছে। সব মিলিয়ে পরিবহন ব্যয় বাড়ায় ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।’
চাহিদার তুলনায় আছে ঘাটতি
করোনা-পরবর্তী সময়ে মুরগি ও ডিমের দাম অনেক কমে গিয়েছিল। ফলে প্যারেন্ট মার্কেট হোল্ডাররা মুরগির বাচ্চা উৎপাদন প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। অনেক ডিমের খামারও বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া অতিমাত্রার গরম ও সার্বিক উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ব্যয় কুলাতে না পারায় সারা দেশে এখন ছোট বেশির ভাগ খামার বন্ধ রয়েছে। এসবের প্রভাবে সারা দেশে চাহিদার তুলনায় মুরগি ও ডিমের সরবরাহ আগের চেয়ে ২০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ ‘হাউসহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেনডিচার সার্ভের’ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৬ থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ডিমের ভোগ ৭ দশমিক ২ গ্রাম থেকে ১৩ দশমিক ৫৮ গ্রাম বেড়েছে।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের উৎপাদনের তথ্য বলছে, দেশে প্রতিদিন মুরগি, হাঁস, কবুতর ও কোয়েলের প্রায় পৌনে পাঁচ কোটি ডিম উৎপাদন হয়। এর মধ্যে খামার পর্যায়ে ডিম উৎপাদন হয় প্রায় চার কোটি পিস।
পোল্ট্রি খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা দাবি করছেন, বিভিন্ন খামার বন্ধ হয়ে পড়ায় এখন সেই উৎপাদন নেমে এসেছে তিন কোটিতে।
১০ টাকায় ডিম খাওয়ার দিন শেষ
ফিড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহসানুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লোকসান দিয়ে কেউ ব্যবসা করবে না। সব কিছুর দামই যেখানে বেড়েছে, সেখানে খামারিরা করোনা-পরবর্তী দীর্ঘদিন লোকসান করছিল। এখন পরিস্থিতির কারণে তারা দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। একটা ক্রাইসিস পিরিয়ডে মধ্যস্বত্বভোগীরাও হয়তো কিছুটা বাড়তি লাভের চেষ্টা করছে। তাই বলে কি লোকেরা কিনছে না? চাহিদা আছে বলেই তো কিনছে, আবার বাড়তি খরচের পাশাপাশি ঘাটতি থাকার কারণেই তো দাম বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘প্যারেন্ট হোল্ডাররা যখন ৫ টাকায় মুরগির বাচ্চা বিক্রি করেন, লোকসান দেন, তখন তো সরকার ২০ টাকা লাভ করে দিতে পারে না। যেটা বাড়ছে, সেটা বাড়তি চাহিদা এবং সরবরাহে ঘাটতি কারণেই। কিন্তু এটাকে নিয়ে খুব বেশি মাতামাতি হচ্ছে। সবারই মনে রাখা দরকার, ৮ টাকায় ডিম খাওয়ার দিন আর নেই। ৯০ টাকার ডলার এখন অফিশিয়ালি হয়েছে ১১৪-১১৫ টাকা। ডলারের এই বাড়তি দামের কারণে এ খাতে ফিড আমদানি খরচ সরাসরি ৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে। ডিজেলের কারণে দেড় থেকে দুই টাকা খরচ বেড়ে গেছে। এর সঙ্গে বাড়তি ডেলিভারি খরচ দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে পোল্ট্রি খাতটি একটি বিপজ্জনক অবস্থায় আছে।’
ডিম আমদানির মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা
খুচরা এক হালি ডিমের দাম এখন ৫৫-৬০ টাকা। স্থানভেদে এখনও প্রতি ডজন ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ। যারা মাছ-মাংস ও কাঁচাবাজারের অসহনীয় দামে ভরসা করত এই ডিমের ওপর, তাদের কাছে এখন সেই ডিমও ধরাছোঁয়ার বাইরে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবার ডিম আমদানির পথ উন্মুক্ত করে দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডিমের দাম এত বাড়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। কিছু ব্যবসায়ী ডিমের বাজারকে অস্থির করে তুলেছেন। এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ভারত থেকে ডিম আমদানির বিষয়ে সক্রিয় চিন্তাভাবনা করছে।’
তবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন খামারিরা। এ প্রসঙ্গে ফিড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহসানুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ডিমের দাম বাড়ছে, সেটি ঠিক হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে মুরগির দাম অনেকটা কমে আসছে। কিন্তু খরচ অনেক বাড়ছে। সেটিও সরকারকে বিবেচনায় নিতে হবে। তাই বলে ডিম আমদানি? এটা কোনোভাবেই দেশীয় শিল্পের জন্য সুখকর হতে পারে না।’
ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি ফজলে রহিম খান শাহরিয়ার বলেন, ‘সরকার এখনও সেই সিদ্ধান্ত নেয়নি। শুধু পরিকল্পনায় আছে। আমার বিশ্বাস, বাস্তবে সেটির প্রতিফলন ঘটবে না, দেশীয় শিল্পের স্বার্থেই।’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি এবং আটটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের চীন সফরের তৃতীয় দিন শুক্রবার দুই দেশের মধ্যে এ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও স্মারকগুলো স্বাক্ষর হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের কালজয়ী সাহিত্য ও শিল্পকর্মের অনুবাদ ও সৃজন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও খবর আদান-প্রদান, গণমাধ্যম, ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিময় সহযোগিতা। এর পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ বিষয়ে সহযোগিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে।
এগুলো হলো বিনিয়োগ আলোচনা শুরু করা, চীনের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু, মোংলা বন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ, একটি রোবট ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ এবং একটি কার্ডিয়াক সার্জারি গাড়ি অনুদান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের উত্থাপিত বিষয়গুলো চীন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট এ কথা জানান।
ড. ইউনূসের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের বৈঠককে অত্যন্ত সফল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি বিষয় উত্থাপন করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশকে দেওয়া চীনা ঋণের সুদের হার কমানো ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় দেশটির সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়টি ছিল।’
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে আলোচনা অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ, গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে।’
প্রেস সচিব বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার এটি ছিল প্রথম দ্বিপক্ষীয় বিদেশ সফর। এখন পর্যন্ত এটি একটি বড় সফলতা।’
প্রেসিডেন্ট শির বক্তব্যের বরাতে শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও কারখানা স্থাপনে চীন তার দেশের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবে।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট শি ফুজিয়ান প্রদেশের গভর্নর থাকাকালীন দুইবার বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে তিনি পড়াশোনা করেছেন। সে কথাও উল্লেখ করেছেন চীনের রাষ্ট্রপ্রধান।
প্রেসিডেন্ট শির উদ্বৃতি দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, তিনি বাংলাদেশি আম ও কাঁঠাল খেয়েছেন। এগুলো সুস্বাদু। আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশ আগামী মৌসুমে এ দুটি ফল চীনে প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি করবে।
চীনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধান উপদেষ্টা চীনের পিপলস গ্রেট হলে করা বৈঠকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
তারা দুই দেশের সম্পর্ককে জোরদার করা ও ঢাকা-বেইজিংয়ের পারস্পরিক ও কৌশলগত স্বার্থকে এক নতুন উচ্চতায় নেওয়ার উপায় নিয়েও আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সি৩২ ইলেকট্রিক বাইক এনেছে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড রিভো। অত্যাধুনিক ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ার সম্পূর্ণ গ্রাফিন ব্যাটারি পরিচালিত এই ইলেকট্রিক বাইকের উদ্বোধন ঘোষণা করেন রিভো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ভেন নি।
ফিচার
সি৩২-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য শক্তিশালী ১৮০০ ওয়াট মোটর, যা ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। বাইকটির ইকো মোডে গতি ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং একবার চার্জে এটি ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে।
অন্যদিকে স্পোর্ট মোডে সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং এক চার্জে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে।
সি৩২ ইলেকট্রিক বাইকে উন্নত ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ার গ্রাফিন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে, যা পাঁচ শতাধিক চার্জিং সাইকেল সাপোর্ট করে এবং প্রতিটি পূর্ণ চার্জে মাত্র ২.০৮ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে।
ব্যাটারিটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে ১০.৬ ঘণ্টা সময় নেয়, যা রাতে চার্জ দিয়ে দিনব্যাপী ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।
নিরাপত্তা এবং আরামকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে রিভো সি৩২। এতে রয়েছে সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনে ড্রাম ব্রেক সিস্টেম, যা সর্বোচ্চ স্টপিং পাওয়ার নিশ্চিত করে।
ফ্রন্ট ও রিয়ার হাইড্রোলিক সাসপেনশন থাকার ফলে রাইডাররা মসৃণ ও আরামদায়ক রাইড উপভোগ করতে পারেন। এমনকি অপ্রশস্ত বা অসমান রাস্তাতেও।
রাতে নিরাপদ যাত্রার জন্য সি৩২-এ রয়েছে পূর্ণ এলইডি লাইটিং সিস্টেম, যার মধ্যে এলইডি হেডলাইট, টেইললাইট এবং টার্ন সিগন্যাল অন্তর্ভুক্ত।
রিভো সি৩২ শুধু শক্তিশালী পারফরম্যান্সই দেয় না, এটি ডিজাইনেও বেশ কার্যকর। ১৪০ কেজি ওজনের মজবুত অথচ হালকা ফ্রেম এবং সামনে ও পিছনে ৯০/৮০-১২'' ভ্যাকুয়াম টায়ার যুক্ত বাইকটি দুর্দান্ত গ্রিপ এবং স্থিতিশীলতা প্রদান করে।
২০৫ এমএম পর্যন্ত গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স থাকায় এটি যেকোনো ধরনের রাস্তার জন্য উপযোগী। সিট বাকেটে ২৪ লিটার স্টোরেজ স্পেস রয়েছে, যা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র বহনের জন্য আদর্শ।
ব্যবহারকারীবান্ধব ডিজাইন এবং আরামের সমন্বয়ে এটি শহরের যাতায়াতকারী এবং দূরপাল্লার রাইডারদের জন্য একটি পারফেক্ট পছন্দ।
এখন থেকে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যে বাংলাদেশের সব শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে।
সি৩২ যাতায়াতকে সহজ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব করতে উন্নত প্রযুক্তি, শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করছে, যা প্রতিদিনের যাত্রীদের পাশাপাশি পরিবেশ সচেতন রাইডারদের জন্য আদর্শ হতে পারে।
আরও পড়ুন:আলু রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। এ স্থলবন্দর দিয়ে নতুন করে আরও ১০৫ টন আলু গিয়েছে নেপালে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার ৫৫৪ টন আলু নেপালে রপ্তানি করা হলো।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন জানান, বুধবার বিকেলে স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচটি ট্রাকে ১০৫ টন আলু নেপালে গেছে।
তিনি জানান, আলুগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এগুলো রপ্তানি করছে থিংকস টু সাপ্লাই ও ফাস্ট ডেলিভারি নামে দুটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে থিংকস টু সাপ্লাই ৪২ ও ফাস্ট ডেলিভারি ৬৩ টন রপ্তানি করে। এ ছাড়াও বন্দরটি দিয়ে হুসেন এন্টারপ্রাইজ, ক্রসেস এগ্রো, সুফলা মাল্টি প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং লোয়েড বন্ড লজিস্টিক নামের কয়েকটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানও নেপালে আলু রপ্তানি করছে।
উজ্জ্বল হোসেন বলেন, রপ্তানিকারকরা প্রয়োজনীয় নথিসহ অনলাইনে আবেদন করলে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের ল্যাবে পরীক্ষা করার পর ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। রপ্তানিকৃত আলুগুলো স্টারিজ এবং লেডিও রোজেটা জাতের।
বাজারে নতুন আসা স্মার্টফোন ‘অপো এ৫ প্রো’ রেকর্ড গড়া পারফরম্যান্স করেছে বলে জানিয়েছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি অপো।
কোম্পানিটি শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগের জেনারেশনের ডিভাইসের তুলনায় নতুন স্মার্টফোনটি ৪৫০ শতাংশ বেশি বিক্রয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা বাংলাদেশের বাজারে অপোর ধারাবাহিক সফলতার নির্দেশক। তাৎপর্যপূর্ণ এ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের বাজারে অপোর ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি এবং ব্রান্ডটির প্রতি গ্রাহকদের গভীর আস্থা ও আনুগত্যের প্রতিফলন।
অপো প্রতিনিয়ত স্মার্টফোন প্রযুক্তির অভিনব উদ্ভাবনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোম্পানিটির ‘অপো এ৫ প্রো’ ডিভাইসের ক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। ফোনটি নিত্যদিনের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণে ভোক্তাদের আধুনিক ও উন্নত সব ফিচার ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছে।
কোম্পানির কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া
বিজ্ঞপ্তিতে অপো এ৫ প্রোর বিক্রয় নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা ও একাধিক গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেছে অপো।
ডিভাইসটির প্রথম দিনের বিক্রয়ের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে অপো বাংলাদেশ অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, ‘এ সফলতা অপোর প্রতি বাংলাদেশি গ্রাহকদের আস্থা ও আগ্রহের বিষয়টিই সফলভাবে চিত্রিত করছে। তাদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো অভিনব পণ্য উদ্ভাবন ও সেবা প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
একটি বেসরকারি প্রকৌশল কোম্পানিতে চাকরিরত তারেক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ অপোর নতুন ডিভাইস নিয়ে তার অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, ‘অপো এ৫ প্রোর ওয়াটারপ্রুফ, ডাস্টপ্রুফ এবং শকপ্রুফ ফিচার আমার সবচেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
‘আমি এ রকম একটি টেকসই ও সহনশীল স্মার্টফোনের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছিলাম এবং আমার অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। স্মার্টফোনটি কিনতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত।’
আরেক গ্রাহক শারমিন আক্তার বলেন, “ঈদের আগে আমি একটি মোবাইল কেনার কথা ভাবছিলাম। এ ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের দারুণ ডিজাইন ও উন্নত ফিচারগুলো আমার অগ্রাধিকারে ছিল।
“আমার মতে, বাজারের একই ঘরনার ফোনগুলোর মধ্যে এ বিষয়গুলোতে ‘অপো এ৫ প্রো’ই সেরা। ফোনটি পছন্দ করতে পেরে মনে হচ্ছে আমি সঠিক মোবাইলটিই বেছে নিয়েছি।”
নতুন ডিভাইসের ফিচার
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘অপো এ৫ প্রো’ বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন, যেটি আইপি৬৬, আইপি৬৮ এবং আইপি৬৯ রেটিং অর্জন করেছে। ডিভাইসটি পানি, ধুলা ও যেকোনো ধরনের শক থেকে সুরক্ষিত। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মোবাইলটির অনন্য স্থায়িত্ব।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মোবাইলটিতে সংযুক্ত আছে মিলিটারি গ্রেডের ইমপ্যাক্ট রেজিস্ট্যান্স প্রযুক্তি। পাশাপাশি ডিভাইসের মাদারবোর্ড থার্মাল কনডাকটিভিটি বৃদ্ধি করে এবং আগের জেনারেশনের স্মার্টফোনের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি সক্ষমতা প্রদান করে। মোবাইলটি এক হাজার বেন্ডিং টেস্টও উতরে গেছে। অর্থাৎ প্রতিদিনের যেকোনো পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে এটি ব্যবহার উপযোগী।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্মার্টফোনটি নান্দনিক ফটোগ্রাফির জন্য অনন্য। এতে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই সংবলিত উন্নত ফিচার। ডিভাইসটিতে এআই ইরেজার ২.০ ব্যবহার করে সহজেই ছবিতে থেকে অপ্রয়োজনীয় বস্তু মুছে ফেলা যায়। এআই রিফ্লেকশন রিমুভার ব্যবহার করে অযাচিত রিফ্লেকশন সরিয়ে দেওয়া যায়।
এ ছাড়া এআই আনব্লার ফিচার ব্লারি বা অস্পষ্ট ছবিকে আরও স্পষ্ট করে তুলতে সাহায্য করে।
দাম
অপো জানায়, দেশজুড়ে রিটেইল স্টোর এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে স্মার্টফোনটি ২৩ হাজার ৯৯০ টাকায় ৮জিবি+২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে।
বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে অপোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোতে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে ভারত ও পাকিস্তান থেকে চালবোঝাই আরও দুটি জাহাজ।
এক দিনের ব্যবধানে দুটি জাহাজ বন্দরে পৌঁছায়।
এবার এসেছে ৪৮ হাজার ৭৫০ টন আতপ ও সিদ্ধ চাল। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে আসে ২৬ হাজার ২৫০ টন এবং ভারত থেকে আসে ২২ হাজার ৫০০ টন চাল।
চট্টগ্রাম বন্দরের সাইলো জেটি ও কাফকো-সংলগ্ন জেটিতে এই দুই জাহাজ নোঙর করে বলে শনিবার দুপুরে নিশ্চিত করেন খাদ্য অধিদপ্তরের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা।
পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজটি শুক্রবার চট্টগ্রাম সাইলো জেটিতে বার্থিং করেছে জানিয়ে তিনি জানান, জাহাজ এমভি মারিয়ম গত ১১ মার্চ ২৬ হাজার ২৫০ টন আতপ চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে।
অন্যদিকে ১২ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে ভারতের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিম। জাহাজটি শুক্রবার কাফকো সংলগ্ন জেটিতে বার্থ করে।
এ জাহাজ থেকে ২২ হাজার ৫০০ টন বাসমতি নয় এমন সিদ্ধ চাল আনা হয়েছে।
পাকিস্তানের জাহাজ এমভি মারিয়মে আসা চালের নমুনা সংগ্রহ শেষে ভৌত বিশ্লেষণ সম্পন্ন হয়েছে মন্তব্য করে জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা জানান, এ চালের খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ভারত থেকে আসা জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিমের চালগুলোর নমুনা সংগ্রহ করা শেষ হয়েছে।
এর আগে বুধবার ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা ৩৮ হাজার ৮৮০ টন চাল বাংলাদেশে এসে পৌঁছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে ১৭ হাজার ৮০০ টন আতপ চাল এবং আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ২১ হাজার ৮০ টন সিদ্ধ চাল কেনা হয়েছে।
গত ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে আরও ৬ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানি করা হয়।
আরও পড়ুন:জনপ্রিয় বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অপো’ পবিত্র রমজান মাসে গ্রাহকদের জন্য বিশেষ ‘ঈদ মেগা গিফট ক্যাম্পেইন’ ঘোষণা করেছে।
১৩ মার্চ থেকে শুরু হয়ে সারা দেশে অপোর আউটলেটগুলোতে বিশেষ এ ক্যাম্পেইন চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত।
ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ক্রেতারা তাদের চাহিদা উপযোগী দারুণ সব ডিল ও অফার উপভোগ করতে পারবেন।
এ বছর অপো ভোক্তাদের জন্য ‘মেগা’ লটারি অফার ঘোষণা করেছে। এতে অংশ নিয়ে ক্রেতারা ১ লাখ টাকা সমমূল্যের গৃহস্থালি উপকরণ (হোম অ্যাপ্লায়েন্স), অপো প্যাড, অপো ওয়াচ অথবা ‘বাই ১, গেট ওয়ান ১’, ডিল উপভোগ করতে পারবেন।
এ ছাড়াও অপো সব ক্রেতার জন্যই বিশেষ ও নিশ্চিত উপহারের ঘোষণা দিয়েছে, যাতে করে সবাই এ আনন্দের ভাগিদার হতে পারেন। নির্দিষ্ট কিছু মডেলের স্মার্টেফোন কিনেও গ্রাহকরা উপহারের ভাগিদার হতে পারবেন। যেমন- ‘রেনো১২এফ’-এর সঙ্গে বিশেষ হুডি, ‘রেনো১৩এফ’-এর সঙ্গে বিশেষ ব্যাগ এবং নতুন বাজারে আসা ‘এ৫ প্রো’র সঙ্গে ‘অপো সুপার শিল্ড কার্ড’ পাবেন তারা।
অপো বাংলাদেশ, অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “আমাদের গ্রাহকদের সেরা সেবা দিতে অর্থাৎ কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধিতে অপো প্রতিনিয়ত অভিনবভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্টফোন উপভোগের মাধ্যমে এই ঈদে তারা অসাধারণ সব পুরস্কার জিতে নিতে পারবেন। ‘এ৫ প্রো’র উন্মোচন এবং মেগা গিফট ক্যাম্পেইনের এই ঘোষণা ভোক্তাদের রমজান উদযাপনে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে। অপোভক্তদের সঙ্গে এই বিশেষ উপলক্ষ যুক্ত করতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
একটি অনলাইন লটারির মাধ্যমে মেগা গিফট লটারির বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে এবং তা অপো এ৩এক্স, এ৬০, রেনো সিরিজ এবং নতুন লঞ্চ হওয়া অপো এ৫ প্রোসহ বিভিন্ন ডিভাইসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
এ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ক্রেতাদের নিকটস্থ অপো আউটলেট পরিদর্শনের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
আকর্ষণীয় ঈদ অফার ও অন্যান্য তথ্য পাওয়া যাবে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh এবং ওয়েবসাইটে website https://www.oppo.com/bd/।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য