আগের বছরের তুলনায় কিছুটা কমলেও সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি রেইস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি পরিচালিত ১০টি মিউচুয়াল ফান্ড দারুণ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
ফান্ডগুলো ৬ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ফান্ডগুলোর ইউনিট মূল্যের বিবেচনায় প্রতিটির লভ্যাংশের হার দেশে যেকোনো সঞ্চয়ী হিসাবের মুনাফার হারের চেয়ে বেশি। এমনকি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলেও এত বেশি হারে মুনাফা পাওয়া যায় না।
রোববার ফান্ডগুলোর ট্রাস্টি বোর্ড গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে এই লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ, অর্থাৎ ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ১০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে ইবিএল এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড। আর সর্বনিম্ন ৬ শতাংশ অর্থাৎ ইউনিটপ্রতি ৬০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে এফবিএফআইএফ মিউচুয়াল ফান্ড।
কোম্পানিটি মোট ১০টি মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনা করে। এগুলোর মুনাফা পুঁজিবাজারের এক বছরের সার্বিক অবস্থার তুলনায় বেশ ভালো। ২০২১ সালের প্রথম কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইর সার্বিক সূচক ছিল ৬ হাজার ২১৯ পয়েন্ট, যা অর্থবছর শেষে গত ৩০ জুন ছিল ৬ হাজার ৩৭৬ পয়েন্ট।
এক বছরে বেড়েছে ২.৫২ শতাংশ। তবে তিনটি ফান্ডের ইউনিট মূল্যের বিবেচনায় বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পাবেন এর চেয়ে বেশি।
কেবল এই পরিসংখ্যানে বোঝা যাবে না, গত এক বছরে পুঁজিবাজারে কতটা কঠিন সময় গেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইসির সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ৭ হাজার ৩০০ পয়েন্ট পেরিয়ে যখন ৮ হাজারের পথে ছোটার স্বপ্ন তৈরি হয়েছিল, তখন শুরু হয় দীর্ঘ দর সংশোধন।
চলতি বছরের শুরুর দিকে বাজার আপন গতিতে ফেরার আশা তৈরি করেও শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা সিদ্ধান্ত, এরপর ইউক্রেনে রুশ হামলার পর অর্থনীতির চাপে পড়ার মধ্যে বাজারে নামে ধস।
এই পরিস্থিতিতেও রেইস পরিচালত দুটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবার লভ্যাংশ বাড়িয়েছে। দুটির লভ্যাংশ অনেকটাই কমে গেছে। বাকিগুলোর লভ্যাংশ আগের বছরের কাছাকাছিই বলা চলে।
রেইসের সব মিউচ্যুয়াল ফান্ডের গড় ইউনিটদর ৬ টাকা ১ পয়সা। এর মধ্যে গড়ে লভ্যাংশ মিলবে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।
এই ১০টি ফান্ড সম্মিলিতভাবে ২০২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা লভ্যাংশ দেবে।
এই ফান্ডের মধ্যে ছয়টি ফান্ড আয়ের চেয়ে বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। রিজার্ভ থেকে তারা এই লভ্যাংশ দেবে। বাকি ছয়টি ফান্ড তাদের আয়ের কিছু অংশ রিজার্ভে রাখবে।
যারা এই লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ইউনিট ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিনই হবে ফান্ডগুলোর রেকর্ড ডেট।
ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড
এই ফান্ডটির বর্তমান ইউনিট দর ৭ টাকা ৪০ পয়সা। ১১ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা হওয়ায় ইউনিট মূল্যের তুলনায় লভ্যাংশ হবে ১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আবার করমুক্ত হওয়ায় বিনিয়োগকারীর প্রকৃত মুনাফা আরও বেশি।
এই ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ২২ পয়সা। গত বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৯২ পয়সা আয় করে ৬০ পয়সা বা ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
গতবার আয় বেশি করলেও লভ্যাংশ কম দেয়ার কারণ তার আগের বছর ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৩৫ পয়সা লোকসান দিয়েছিল। গত বছরের আয় থেকে আগের বছরের লোকসান সমন্বয় হয়েছিল।
এক বছরে টালমাটাল পুঁজিবাজারেও ফান্ডটি ২৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা লভ্যাংশ দেবে।
পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
এই ফান্ডটির ইউনিটদর ৫ টাকা ৪০ পয়সা। এটি বিনিয়োগকারীদেরকে লভ্যাংশ দেবে ৭ শতাংশ। অর্থাৎ এর ডিভিডেন্ড ইল্ড ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
এই ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ৩৪ পয়সা। অর্থাৎ যত আয় করেছে, লভ্যাংশ তার প্রায় দ্বিগুণ।
গত বছর এই ফান্ডটি ৮ দশমিক ৫ শতাংশ, অর্থাৎ ইউনিটপ্রতি ৮৫ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই বছর ইউনিটপ্রতি আয় ছিল ২ টাকা ৮ পয়সা। আগের বছর ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ২৩ পয়সার লোকসান সমন্বয় করে লভ্যাংশ ঘোষণা হয়েছিল।
এই ফান্ডটি এবার ২০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা লভ্যাংশ দেবে।
পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
ফান্ডটির ইউনিটদর বর্তমানে ৫ টাকা ৪০ পয়সা। এটিও লভ্যাংশ দেবে ৭ শতাংশ, অর্থাৎ ইউনিটপ্রতি ৭০ পয়সা। এই ফান্ডের ডিভিডেন্ড ইল্ড ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ৫৫ পয়সা। গত বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ২ টাকা ৪ পয়সা আয় করে সাড়ে ৮ শতাংশ, অর্থাৎ ইউনিটপ্রতি ৮৫ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল। তার আগের বছর ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ২৩ পয়সা লোকসান সমন্বয় করেছিল ফান্ডটি।
এই ফান্ডটি এবার ১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা লভ্যাংশ দেবে।
এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
এই ফান্ডটির বর্তমান ইউনিটমূল্য ৫ টাকা ৪০ পয়সা। ফান্ডটিও ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ৭ শতাংশ, অর্থাৎ ইউনিটপ্রতি ৭০ পয়সা। অর্থাৎ ইউনিটমূল্যের তুলনায় লভ্যাংশ বা ডিভিডেন্ড ইল্ড ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
এই ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ৩১ পয়সা মুনাফা করে এর দ্বিগুণের চেয়ে লভ্যাংশ দেবে।
গত বছর এই ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ৮০ পয়সা অর্থাৎ ৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে বছর ইউনিটপ্রতি আয় ছিল ২ টাকা ৬১ পয়সা। তার আগের বছর ইউনিটে ১ টাকা ৮০ পয়সা লোকসান সমন্বয়ের কারণে লভ্যাংশ কম হয়েছিল।
এই ফান্ডটি এবার ১৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা লভ্যাংশ দেবে।
আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
এটিরও ইউনিটদর, লভ্যাংশ এবং ইল্ড ওপরের তিনটি ফান্ডের সমান।
৫ টাকা ৪০ পয়সায় যারা ইউনিটটি কিনেছেন, তারা ৭০ পয়সা হিসেবে ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ পাবেন লভ্যাংশ হিসেবে।
এই ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ৩৫ পয়সা মুনাফা করে এর দ্বিগুণ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
গত বছর এই ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ৭৫ পয়সা অর্থাৎ সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই বছর ইউনিটপ্রতি আয় ছিল ২ টাকা ৩২ পয়সা। এই আয় থেকে তার আগের বছর ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৫৮ পয়সার লোকসান সমন্বয় হয়েছিল।
এই ফান্ডটি এবার ১২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা লভ্যাংশ দেবে।
ট্রাস্ট ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড
এই ফান্ডটির ইউনিটমূল্য বর্তমানে ৬ শতাংশ। তারা লভ্যাংশ দেবে ৭ শতাংশ, অর্থাৎ ইউনিটপ্রতি ৭০ পয়সা। এই ফান্ডের বিনিয়োগকারীরা তার বিনিয়োগের ১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে পাবেন।
ফান্ডটির এবার ইউনিটপ্রতি আয় হয়েছে ৭৯ পয়সা। অর্থাৎ এটি এবার আয়ের কিছুটা কম লভ্যাংশ দেবে। ইউনিটপ্রতি ৯ পয়সা রিজার্ভে যোগ হবে।
গত বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ২ টাকা ২৪ পয়সা আয় করে ৯ শতাংশ, অর্থাৎ ৯০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল। আগের বছর ইউনিটপ্রতি ১ টাাক ৩৭ পয়সা লোকসান সমন্বয় করে সেই লভ্যাংশ ঘোষণা হয়েছিল।
এই ফান্ডটি এবার ২১ কোটি ২৫ লাখ টাকা লভ্যাংশ দেবে।
এফবিএফআইএফ
এই ফান্ডের মুনাফার হার এবার সবচেয়ে কম; ইউনিটপ্রতি ৬০ পয়সা বা ৬ শতাংশ। তবে ইউনিটমূল্য বিবেচনায় নিলে তা যথেষ্ট আকর্ষণীয়।
বর্তমানে একেকটি ইউনিটি বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা ২০ পয়সায়। অর্থাৎ এর ডিভিডেন্ড ইল্ড ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
এই ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ৬৯ পয়সা। এর মধ্যে ৯ পয়সা রেখে দিয়ে বাকিটা লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করা হবে।
গত বছর এই ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৯৩ পয়সা আয় করে ৪০ পয়সা অর্থাৎ ৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। তার আগের বছর ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৫৫ পয়সার লোকসান সমন্বয় হয়েছে গত বছর।
এই ফান্ডটি এবার ৪৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা লভ্যাংশ দেবে।
এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
এই ফান্ডটির বর্তমান ইউনিটমূল্য ৬ টাকা ২০ পয়সা। ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ৭ শতাংশ, অর্থাৎ ইউনিটপ্রতি ৭০ পয়সা। অর্থাৎ ইউনিটমূল্যের তুলনায় লভ্যাংশ বা ডিভিডেন্ড ইল্ড ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ।
এই ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি মুনাফা করেছে ৭১ পয়সা। এর মধ্যে কেবল ১ পয়সা রাখা হবে রিজার্ভে।
গত বছর এই ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ২ টাকা আয় করে ৭৫ পয়সা অর্থাৎ সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। তার আগের বছর ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ২৮ পয়সার লোকসান সমন্বয় হয়েছে গত বছর।
এই ফান্ডটি এবার ১০ কোটি ৩ লাখ টাকা লভ্যাংশ দেবে।
ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড
এই ফান্ডটির বর্তমান ইউনিটমূল্য ৬ টাকা ৩০ পয়সা। ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ৭ শতাংশ, অর্থাৎ ইউনিটপ্রতি ৭০ পয়সা। অর্থাৎ ইউনিটমূল্যের তুলনায় লভ্যাংশ বা ডিভিডেন্ড ইল্ড ১১ দশমিক ১১ শতাংশ।
এই ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি ২৪ পয়সা আয় করে এর তিন গুণ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
গত বছর এই ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ২ টাকা ৫৪ পয়সা আয় করে ১ টাকা ৩০ পয়সা অর্থাৎ ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সেই আয় থেকে তার আগের বছরের ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ২৬ পয়সা লোকসান সমন্বয় করা হয়েছিল।
এই ফান্ডটি এবার ২০ কোটি ২৯ লাখ টাকা লভ্যাংশ দেবে।
ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড
এই ফান্ডটির মুনাফা অনেকটাই কমে গেছে। ৭ টাকা ৪০ পয়সা ইউনিট দর ফান্ডটির। এবার লভ্যাংশ দেবে সাড়ে ৬ শতাংশ হারে ইউনিটপ্রতি ৬৫ পয়সা।
ইউনিটদরের তুলনায় লভ্যাংশ কম এলেও বিনিয়োগকারীর ডিভিডেন্ড ইল্ড এফডিআরের সুদহারের তুলনায় বেশ ভালো। বিনিয়োগের ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ পাওয়া যাবে লভ্যাংশ হিসেবে।
ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি সবচেয়ে কম ১৯ পয়সা মুনাফা করেছে।
গত বছর এই ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি ২ টাকা ৬১ পয়সা মুনাফা করে ১ টাকা ৩০ পয়সা অর্থাৎ ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সেই মুনাফা থেকে তার আগের বছর ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৩৫ পয়সা লোকসান সমন্বয় করেছিল ফান্ডটি।
এই ফান্ডটি এবার ৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা লভ্যাংশ দেবে।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য