পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগের এক্সপোজার লিমিট নিয়ে এক যুগের দাবি পূরণের পরও সপ্তাহজুড়ে দরপতন নিয়ে পুঁজিবাজারে যে হতাশা ছড়িয়েছিল, নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন সেখান থেকে উত্তরণের আশা তৈরি হয়েছে।
রোববার সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন। যতসংখ্যক শেয়ারের দর কমেছে, বেড়েছে তার দ্বিগুণসংখ্যক কোম্পানির। আবার ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর যে চিত্রটি গতবার দেখা গিয়েছিল, সেটি আবার ফিরে এলো। শতাধিক কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে আগের দিনের দরে, সেগুলোর সিংহভাগই ফ্লোর প্রাইসে। তবে এসব শেয়ারের ক্রেতা নেই বললেই চলে।
প্রতিটি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর ৩১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত পাঁচ কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক বাড়ে ৩৩১ পয়েন্ট। লেনদেন ৪৪১ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১ হাজার ২০০ কোটি ছুঁই ছুঁই হয়ে যায়।
এই সপ্তাহে আবার ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিট শেয়ারের ক্রয়মূল্যে গণনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত আসে, যা বিনিয়োগকারীদের উৎফুল্ল করে।
গত সপ্তাহের ৭ থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত পাঁচ দিনের মধ্যে এক দিন আশুরার ছুটিতে বন্ধ ছিল পুঁজিবাজার। বাকি চার কর্মদিবসের প্রতিদিনই সূচক ও লেনদেন কমেছে। পুঁজিবাজারে এক যুগের দাবি পূরণের পরও ডিএসইএক্স ১৬৩ পয়েন্ট কমে যাওয়ার পর বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস তলানিতে নেমে আসে।
এর মধ্যে পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক বিভিন্ন ফেসবুক পেজে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে বিএসইসি ফ্লোর প্রাইস তুলে দেবে। এই গুজবের ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি জানতে পারে খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এরপর বৃহস্পতিবার সংস্থাটির ফেসবুক পেজ থেকে এই গুঞ্জনের তথ্য উড়িয়ে দেয়া হয়। জানানো হয় হয়, ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়ার কোনো চিন্তা নেই।
এর মধ্যে বেশ কয়েকটি মিউচুয়াল ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করে। গত এক বছরে পুঁজিবাজার টালমাটাল থাকলেও ফান্ডগুলো মুনাফা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বেশ কয়েকটির লভ্যাংশ ইউনিটের বাজার দরের তুলনায় আকর্ষণীয়।
এই অবস্থায় নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন লেনদেন শুরুই হয় সূচক বেড়েছে। কিছুক্ষণ বেড়ে গিয়ে সেখান থেকে কিছুটা পড়ে আবার বেড়ে গিয়ে চলতে তাকে লেনদেন। তবে কোনো একটি সময়ের জন্য সূচক আগের দিনের চেয়ে কমেনি।
শেষ পর্যন্ত আগের দিনের তুলনায় সূচক বাড়ে ২৬ পয়েন্ট।
কিছুটা বেড়েছে লেনদেনও। হাতবদল হয়েছে ৬৪৪ কোটি ৪৫ লাখ ৩১ হাজার টাকা। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয় ৫৮৩ কোটি ৭৬ লাখ ৯৮ হাজার।
লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৮টির দর। ৮২টির দর কমেছে। ১৩০টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দামে।
লেনদেনের বিষয়ে মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কয়েক দিন পতনের কারণে শেয়ারের দাম একটা স্তরে নেমেছে। সে কারণে আবার শেয়ার কেনা শুরু হয়েছে, যা সূচক ও লেনদেন বাড়িয়েছে।’
গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় লেনদেনে এগিয়ে বস্ত্র খাত। এই একটি খাতেই হাতবদল হয়েছে ১১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার, যা গোটা লেনদেনের ১৮ শতাংশের বেশি। আর কোনো খাতে ১০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়নি।
দর বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও প্রধান খাতগুলোর মধ্যে বস্ত্রকেই এগিয়ে রাখতে হয়। এই খাতে চারটি কোম্পানির দরপতন এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে বেড়েছে ৩৮টির দর।
প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন, খাদ্য, বিবিধ খাতেও ভালো দিন গেছে। ব্যাংক খাত সকালে বাড়ার চেষ্টা করলেও পরে তা ধরে রাখতে পারেনি। আর ছোট খাতগুলোর মধ্যে দারুণ দিন গেছে কাগজে। এ খাতের ছয়টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে পাঁচটির দর, একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ দর বেড়েছে লোকসানি সোনারগাঁও টেক্সটাইলের। গত ৮ মাসে শেয়ারটির দর বেড়েছে প্রায় তিন গুণ।
গত ২৯ ডিসেম্বর শেয়ারটি লেনদেন হয়েছিল ১৯ টাকা ২০ পয়সায়। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে রোববার ৭১ টাকা ৫০ পয়সায় ঠেকেছে এর দাম।
মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস দর বৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তিন কর্মদিবস পরে দর ৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩০ টাকা ৭০ পয়সায়।
ঋণ কেলেঙ্কারি ও লোকসানে ডুবে থাকা ইউনিয়ন ক্যাপিটালের দর বেড়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
৮০ পয়সা বা ৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ দর বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৯ টাকা ৯০ পয়সায়।
দর বৃদ্ধির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে- কে অ্যান্ড কিউ লিমিটেড, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, পেপার প্রসেসিং, সোনালী পেপার, বিডি থাইফুড, ফার কেমিক্যাল ও কোহিনুর কেমিক্যাল।
দর পতনের শীর্ষ ১০
দরপতনের শীর্ষে রয়েছে ওয়াটা কেমিক্যাল লিমিটেড। শেয়ারটির দর ৬ টাকা ৯০ পয়সা বা ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ কমে সর্বশেষ ২০১ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়।
৬১৯ বারে কোম্পানির মোট ২৯ হাজার ৫৮১টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার বাজার মূল্য ৫৯ লাখ টাকা।
এস আলম কোল্ডরোল স্টিল দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। শেয়ারটির দর ১ টাকা ১০ পয়সা বা ৩ দশমিক ০৮ শতাংশ কমেছে। শেয়ারটির ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৩৪ টাকা ৬০ পয়সা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৩ দশমিক ০৮ শতাংশ কমেছে শেয়ারটি সর্বশেষ ৪৭ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়।
দর কমার শীর্ষ দশে ছিল লাফার্জ হোলসিম, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড, ডমিনেজ স্টিল ও আর.এন স্পিনিং মিলস লিমিটেড।
সূচক বাড়াল যারা
সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে সোনালী পেপার। শেয়ারটির দর ৩ দশমিক ৫ শতাংশ দর বেড়েছে।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর দর শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৫১ পয়েন্ট।
স্কয়ার ফার্মা সূচকে যোগ করেছে ২ দশমিক ০৬ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭১ শতাংশ।
এ ছাড়া ওয়ালটন হাইটেক, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ওরিয়ন ফার্মা, কহিনূর কেমিক্যালস, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, সি পার্ল বিচ ও মালেক স্পিনিং সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট।
সূচক কমাল যারা
সবচেয়ে বেশি ৩ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট সূচক কমেছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের দর পতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ৩ শতাংশ।
আর কোনো কোম্পানি সূচকে ১ পয়েন্ট কমাতে পারেনি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৩৭ পয়েন্ট কমেছে আইসিবির কারণে। কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ।
বিএসআরএমের দর শূন্য দশমিক ৮৮ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৩৭ পয়েন্ট।
এছাড়া সামিট পাওয়ার, রেকিট বেনকিজার, পদ্মা অয়েল, সিটি ব্যাংক, এস আলম স্টিল, ওয়াটা কেমিক্যাল, হাইডেলবার্গ সিমেন্টের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৬ দশমিক ০২ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য