পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগের এক্সপোজার লিমিট নিয়ে এক যুগের দাবি পূরণের পরও সপ্তাহজুড়ে দরপতন নিয়ে পুঁজিবাজারে যে হতাশা ছড়িয়েছিল, নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন সেখান থেকে উত্তরণের আশা তৈরি হয়েছে।
রোববার সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন। যতসংখ্যক শেয়ারের দর কমেছে, বেড়েছে তার দ্বিগুণসংখ্যক কোম্পানির। আবার ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর যে চিত্রটি গতবার দেখা গিয়েছিল, সেটি আবার ফিরে এলো। শতাধিক কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে আগের দিনের দরে, সেগুলোর সিংহভাগই ফ্লোর প্রাইসে। তবে এসব শেয়ারের ক্রেতা নেই বললেই চলে।
প্রতিটি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর ৩১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত পাঁচ কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক বাড়ে ৩৩১ পয়েন্ট। লেনদেন ৪৪১ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১ হাজার ২০০ কোটি ছুঁই ছুঁই হয়ে যায়।
এই সপ্তাহে আবার ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিট শেয়ারের ক্রয়মূল্যে গণনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত আসে, যা বিনিয়োগকারীদের উৎফুল্ল করে।
গত সপ্তাহের ৭ থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত পাঁচ দিনের মধ্যে এক দিন আশুরার ছুটিতে বন্ধ ছিল পুঁজিবাজার। বাকি চার কর্মদিবসের প্রতিদিনই সূচক ও লেনদেন কমেছে। পুঁজিবাজারে এক যুগের দাবি পূরণের পরও ডিএসইএক্স ১৬৩ পয়েন্ট কমে যাওয়ার পর বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস তলানিতে নেমে আসে।
এর মধ্যে পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক বিভিন্ন ফেসবুক পেজে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে বিএসইসি ফ্লোর প্রাইস তুলে দেবে। এই গুজবের ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি জানতে পারে খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এরপর বৃহস্পতিবার সংস্থাটির ফেসবুক পেজ থেকে এই গুঞ্জনের তথ্য উড়িয়ে দেয়া হয়। জানানো হয় হয়, ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়ার কোনো চিন্তা নেই।
এর মধ্যে বেশ কয়েকটি মিউচুয়াল ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করে। গত এক বছরে পুঁজিবাজার টালমাটাল থাকলেও ফান্ডগুলো মুনাফা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বেশ কয়েকটির লভ্যাংশ ইউনিটের বাজার দরের তুলনায় আকর্ষণীয়।
এই অবস্থায় নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন লেনদেন শুরুই হয় সূচক বেড়েছে। কিছুক্ষণ বেড়ে গিয়ে সেখান থেকে কিছুটা পড়ে আবার বেড়ে গিয়ে চলতে তাকে লেনদেন। তবে কোনো একটি সময়ের জন্য সূচক আগের দিনের চেয়ে কমেনি।
শেষ পর্যন্ত আগের দিনের তুলনায় সূচক বাড়ে ২৬ পয়েন্ট।
কিছুটা বেড়েছে লেনদেনও। হাতবদল হয়েছে ৬৪৪ কোটি ৪৫ লাখ ৩১ হাজার টাকা। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয় ৫৮৩ কোটি ৭৬ লাখ ৯৮ হাজার।
লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৮টির দর। ৮২টির দর কমেছে। ১৩০টির লেনদেন হয়েছে অপরিবর্তিত দামে।
লেনদেনের বিষয়ে মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কয়েক দিন পতনের কারণে শেয়ারের দাম একটা স্তরে নেমেছে। সে কারণে আবার শেয়ার কেনা শুরু হয়েছে, যা সূচক ও লেনদেন বাড়িয়েছে।’
গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় লেনদেনে এগিয়ে বস্ত্র খাত। এই একটি খাতেই হাতবদল হয়েছে ১১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার, যা গোটা লেনদেনের ১৮ শতাংশের বেশি। আর কোনো খাতে ১০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়নি।
দর বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও প্রধান খাতগুলোর মধ্যে বস্ত্রকেই এগিয়ে রাখতে হয়। এই খাতে চারটি কোম্পানির দরপতন এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে বেড়েছে ৩৮টির দর।
প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন, খাদ্য, বিবিধ খাতেও ভালো দিন গেছে। ব্যাংক খাত সকালে বাড়ার চেষ্টা করলেও পরে তা ধরে রাখতে পারেনি। আর ছোট খাতগুলোর মধ্যে দারুণ দিন গেছে কাগজে। এ খাতের ছয়টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে পাঁচটির দর, একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ দর বেড়েছে লোকসানি সোনারগাঁও টেক্সটাইলের। গত ৮ মাসে শেয়ারটির দর বেড়েছে প্রায় তিন গুণ।
গত ২৯ ডিসেম্বর শেয়ারটি লেনদেন হয়েছিল ১৯ টাকা ২০ পয়সায়। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে রোববার ৭১ টাকা ৫০ পয়সায় ঠেকেছে এর দাম।
মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস দর বৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তিন কর্মদিবস পরে দর ৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩০ টাকা ৭০ পয়সায়।
ঋণ কেলেঙ্কারি ও লোকসানে ডুবে থাকা ইউনিয়ন ক্যাপিটালের দর বেড়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
৮০ পয়সা বা ৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ দর বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৯ টাকা ৯০ পয়সায়।
দর বৃদ্ধির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে- কে অ্যান্ড কিউ লিমিটেড, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, পেপার প্রসেসিং, সোনালী পেপার, বিডি থাইফুড, ফার কেমিক্যাল ও কোহিনুর কেমিক্যাল।
দর পতনের শীর্ষ ১০
দরপতনের শীর্ষে রয়েছে ওয়াটা কেমিক্যাল লিমিটেড। শেয়ারটির দর ৬ টাকা ৯০ পয়সা বা ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ কমে সর্বশেষ ২০১ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়।
৬১৯ বারে কোম্পানির মোট ২৯ হাজার ৫৮১টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার বাজার মূল্য ৫৯ লাখ টাকা।
এস আলম কোল্ডরোল স্টিল দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। শেয়ারটির দর ১ টাকা ১০ পয়সা বা ৩ দশমিক ০৮ শতাংশ কমেছে। শেয়ারটির ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৩৪ টাকা ৬০ পয়সা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ দর হারিয়েছে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৩ দশমিক ০৮ শতাংশ কমেছে শেয়ারটি সর্বশেষ ৪৭ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়।
দর কমার শীর্ষ দশে ছিল লাফার্জ হোলসিম, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড, ডমিনেজ স্টিল ও আর.এন স্পিনিং মিলস লিমিটেড।
সূচক বাড়াল যারা
সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে সোনালী পেপার। শেয়ারটির দর ৩ দশমিক ৫ শতাংশ দর বেড়েছে।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর দর শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ২ দশমিক ৫১ পয়েন্ট।
স্কয়ার ফার্মা সূচকে যোগ করেছে ২ দশমিক ০৬ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭১ শতাংশ।
এ ছাড়া ওয়ালটন হাইটেক, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ওরিয়ন ফার্মা, কহিনূর কেমিক্যালস, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, সি পার্ল বিচ ও মালেক স্পিনিং সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট।
সূচক কমাল যারা
সবচেয়ে বেশি ৩ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট সূচক কমেছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের দর পতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ৩ শতাংশ।
আর কোনো কোম্পানি সূচকে ১ পয়েন্ট কমাতে পারেনি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৩৭ পয়েন্ট কমেছে আইসিবির কারণে। কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ।
বিএসআরএমের দর শূন্য দশমিক ৮৮ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৩৭ পয়েন্ট।
এছাড়া সামিট পাওয়ার, রেকিট বেনকিজার, পদ্মা অয়েল, সিটি ব্যাংক, এস আলম স্টিল, ওয়াটা কেমিক্যাল, হাইডেলবার্গ সিমেন্টের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৬ দশমিক ০২ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য