× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
So much interest in the debt scandal shares of the company
google_news print-icon

ঋণ কেলেঙ্কারিতে ডোবা কোম্পানির শেয়ারে এত আগ্রহ!

ঋণ-কেলেঙ্কারিতে-ডোবা-কোম্পানির-শেয়ারে-এত-আগ্রহ
ঋণ কেলেঙ্কারিতে ডুবে যাওয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার এখন ছুটছে পাগলা ঘোড়ার মতো।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব কোম্পানির দর বাড়ার পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এগুলোর দর বাড়ে জুয়াড়িদের কারণে। আর গুজবে কান দিয়ে কিছুটা দাম বাড়ান সাধারণ বিনিয়োগকারী।

ঋণ কেলেঙ্কারিতে ডুবে যাওয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিআইএফসি ২০১৭ সালে ১০ টাকার শেয়ারপ্রতি ৬৯ টাকা ৫৫ পয়সা লোকসান দেয়ার পর বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে দিতে পারলেই বাঁচে। একপর্যায়ে দর নেমে আসে দুই টাকার ঘরে। সেই কোম্পানির শেয়ার এখন ছুটছে পাগলা ঘোড়ার মতো।

ওই বছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি কোনো সম্পদ ছিলই না, ছিল ৬৬ টাকা ৪০ পয়সার দায়।

গত ১৪ জুলাই কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ৬ টাকা ২০ পয়সা। সেদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান ছিল ৬ হাজার ৩২৪ পয়েন্ট। সেখান থেকে ধস নেমে ফ্লোর প্রাইস ঘোষণার দিন ২৮ জুলাই সূচকের অবস্থান নামে ৫ হাজার ৯৮০ পয়েন্ট। অর্থাৎ ১০ কর্মদিবসে কমে ৩৪৪ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট।

তবে বাজারের গতির বিপরীতে গিয়ে এই সময়ে বিআইএফসির শেয়ারদর এই সময়ে বাড়ে ৫১ শতাংশের বেশি। সেদিন শেয়ারদর দাঁড়ায় ৯ টাকা ৪০ পয়সা। ১০ দিনে বাড়ে ৩ টাকা ২০ পয়সা।

ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পাশাপাশি ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিট ক্রয়মূল্যে গণনার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার আসার পর পাঁচ দিনে ৩৩১ পয়েন্ট সূচক বাড়ার পর বিআইএফসির শেয়ারদর বাড়ে আরও বেশি।

একপর্যায়ে তা ১৩ টাকা ৬০ পয়সায় উঠে যায়। অবশ্য এখন সেখান থেকে কিছুটা কমে ১২ টাকা ২০ পয়সায় নেমেছে।
২০১৭ সালের হিসাব দেয়ার পর বিআইএফসি ২০১৯ সালের আর্থিক হিসাব প্রকাশ করেছে। এই বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১২ টাকা ২০ পয়সা।

২০১৭ সালের তুলনায় লোকসান কমলেও শেয়ারপ্রতি দায়ের দিক থেকে আরও অবনতি হয়েছে। ২০১৯ সাল শেষে শেয়ারপ্রতি দায় দাঁড়ায় ৯৪ টাকা ২৭ পয়সায়।

এমন একটি কোম্পানির শেয়ারদর ১৮ কর্মদিবসে শতভাগের বেশি বেড়ে যাওয়া কোনো স্বাভাবিকতার মধ্যে পড়ে না- এটা বলাই যায়।
বিস্ময়ের বিষয় হচ্ছে, বিআইএফসির মতো ঋণ কেলেঙ্কারিতে ডুবে যাওয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় সব শেয়ারদরই একইভাবে ঊর্ধ্বগামী।

সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই বাড়ছে ইন্টার‌ন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, ফাস ফাইন্যান্স, প্রিমিয়ার লিজিং ইউনিয়ন ক্যাপিটালের দর।

ঋণ কেলেঙ্কারিতে ডুবে যাওয়া এসব কোম্পানির শেয়ারদর অস্বাভাবিকভাবে বাড়লেও দেশসেরা কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়েনি সে রকম।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব কোম্পানির দর বাড়ার পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এগুলোর দর বাড়ে জুয়াড়িদের কারণে। আর গুজবে কান দিয়ে কিছুটা দাম বাড়ায় সাধারণ বিনিয়োগকারী।

ইন্টার‌ন্যাশনাল লিজিং

২০১৯ সালে কোম্পানিটি ১০ টাকার শেয়ারের বিপরীতে লোকসান দিয়েছে ১২৬ টাকা ৩৬ পয়সা। পরের বছর লোকসান দাঁড়ায় ৩১ টাকা ৩০ পয়সা। ২০২১ সালের আর্থিক হিসাব এখনও প্রকাশ হয়নি। সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া ওই বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের হিসাব শেষে জানানো হয়, তিন প্রান্তিক মিলে শেয়ারপ্রতি লোকসান ৭ টাকা ৭১ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি দায় ১৫২ টাকা ৬৪ পয়সা।

গত ২০ জুলাই কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৫ টাকা। গত দুই কর্মদিবস কিছুটা কমার পরও এখন ৬ টাকা ৭০ পয়সা। বেড়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা বা ৩৪ শতাংশ। দুই দিন আগে তা ছিল আরও বেশি, ৭ টাকা ১০ পয়সা।

গত বছর কোম্পানিটির সাবেক এমডি পিকে হালদারের যোগসাজশে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আলোচনায় আসে প্রতিষ্ঠানটি।

ইউনিয়ন ক্যাপিটাল

২০১৮ সালে শেয়ারপ্রতি ৫৬ পয়সা লাভের পর ২০১৯ সালে ৬ টাকা ১৩ পয়সা লোকসান হয়। ২০২০ সালে ৩ টাকা ৮ পয়সা এবং ২০২১ সালে সর্বশেষ ৮ টাকা ৩ পয়সা লোকসান গুনেছে কোম্পানিটি।

গত ২ নভেম্বর বিভিন্ন অনিয়মের কারণে এক কোটি টাকার বেশি ঋণ প্রদানে নিষেধাজ্ঞা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে পারছে না ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেড।

স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঋণের অর্থ আদায় না করেই অবলোপন বা রাইট অফ করছে। এভাবে নানা অনিয়মের মাধ্যমে সম্পদ শেষ করে দায় পরিশোধের সক্ষমতা হারাচ্ছে আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানটি। শত কোটি টাকা আটকে রেখে ঋণ দিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত ২০ জুলাই এই কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৬ টাকা ৯০ পয়সা। এক পর্যায়ে গত রোববার উঠে যায় ৯ টাকা ৪০ পয়সায়। পরদিন কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৯ টাকায়। এই কয়দিনে বেড়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা বা ৩০ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

এই কোম্পানির শেয়ারদরে অস্বাভাবিকতা আগেও দেখা গেছে। ২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর এর শেয়ারদর ১৫ টাকা ৫০ পয়সায় উঠে গিয়েছিল। পরে আবার ৬ টাকা ৬০ পয়সায় নেমেও যায়।

ফাস ফাইন্যান্স

পি কে হালদারের ঋণে কেলেঙ্কারিতে ডুবে যাওয়া কোম্পানি এটিও।

২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ১৪ টাকা ৬১ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটি পরের বছরের আর্থিক প্রতিবেদন এখনও প্রকাশ করেনি। ওই বছরের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত আয় ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ হয়েছে প্রায় এক বছর পর।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই বছরের তিন প্রান্তিকে ফাস ফাইন্যান্সের শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৭ টাকা ২০ পয়সা। এর এই সময় পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি দায় আছে ২০ টাকা ৫৯ পয়সা।

গত ১৯ জুলাই এই কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ৪ টাকা ৯০ পয়সা। বর্তমান দর ৬ টাকা ৩০ পয়সা। বেড়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা বা ২৮ দশমিক ৬০ শতাংশ।

তবে দর আরও বেড়ে হয়েছিল ৬ টাকা ৭০ পয়সা।

গত বছর সেপ্টেম্বরেও কোম্পানিটির শেয়ারদর অস্বাভাবিকবাবে বাড়তে দেখা যায়। নানা গুজব-গুঞ্জনে এক পর্যায়ে তা ১১ টাকা ৭০ পয়সায় উঠে যায়।

ফারইস্ট ফাইন্যান্স

এই কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরের কোনো প্রান্তিকের হিসাব প্রকাশ করেনি এখনও। ২০২১ সালের চূড়ান্ত হিসাবও দেয়নি। ওই বছরের ১ নভেম্বর প্রকাশ করে সেপ্টেম্বর পর‌্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত হিসাব দিয়েছে।

এতে দেখা যায় গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা। শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য কেবল ১ টাকা ১৫ পয়সার।

গত ১৯ জুলাই কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৫ টাকা ২০ পয়সা। বর্তমান দর ৬ টাকা ৩০ পয়সা। বেড়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা বা ২১ দশমিক ১৫ শতাংশ।

তবে দর বেড়েছিল আরও বেশি, ৬ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত।

গত বছরের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্তও কোম্পাটির দর অস্বাভাবিকহারে বাড়তে দেখা যায়। সে সময় দর উঠে ১০ টাকা ৭০ পয়সা পর্যন্ত। গত ২২ মে নেমে আসে ৪ টাকা ৭০ পয়সায়।

ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেড

২০২১ সালের আর্থিক হিসাব ও চলতি অর্থবছরের দুই প্রান্তিকের হিসাব একসঙ্গে প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। এতে দেখা যায় গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের এর শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৮ টাকা ৪৭ পয়সা। আর গত জুন শেষে দুই প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ১২ পয়সা।

কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি কোনো সম্পদ নেই, উল্টো দায় আছে ১৮ টাকা ৪৪ পয়সার।

এই কোম্পানির শেয়ারদর গত ২০ জুলাই ছিল ৫ টাকা। বর্তমান দর ৬ টাকা। অর্থাৎ এক মাসেরও কম সময়ে বেড়েছে এক টাকা বা ২০ শতাংশ।

গত বছরের সেপ্টেম্বরেও একবার শেয়ারদর অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে তা উঠে যায় ৯ টাকা ৯০ পয়সায়।

প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স

এই কোম্পানিটি ২০২০ সালে শেয়ার প্রতি ৯৩ টাকা লোকসান দেয়ার পর ২০২১ সালের আর্থিক হিসাব এখনও প্রকাশ করেনি।

গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকের হিসাব অনুযায়ী কোম্পানিটি ওই বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ৬ টাকা ৩৩ পয়সা লোকসান দিয়েছে। তখন প্রতি শেয়ারের বিপরীতে সম্পদ ছিল ৯ টাকা ৮১ পয়সার।

গত ১৯ জুলাই এই কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ৬ টাকা ৪০ পয়সা। বর্তমান দর ৭ টাকা ৭০ পয়সা। এই কয়দিনে বেড়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা বা ১৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

সোমবার দর ৮ টাকা ১০ পয়সাতেও উঠেছিল, পরে সেখান থেকে কমে ৪০ পয়সা।

এই কোম্পানির দর বাড়া শুরু হয় গত ২২ মে। সেদিন হাতবদল হয় ৬ টাকা ১০ পয়সা দরে।

গত বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে এই কোম্পানিটির শেয়ারদরে এবারের চেয়ে বেশি উল্লম্ফন দেখা যায়। সে সময় দর ৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়ে যায় ১৪ টাকা ৬০ পয়সায়। সেখান থেকে পরে নেমে আসে ৬ টাকায়।

‘এর কারণ জুয়া’

যেসব কোম্পানির অদূর ভবিষ্যতে মুনাফায় ফেরা বা লভ্যাংশ দেয়ার ন্যূনতম সম্ভাবনা নেই, সেসব কোম্পানির শেয়ারদরে এভাবে লাফ দেয়ার পেছনে জুয়াড়িয়াদের প্রত্যক্ষ হাত রয়েছে বলে মনে করেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এই অধ্যাপক বলেন, ‘এসব কোম্পানি তো আর রাতারাতি ভালো হয়ে যায় না। কিন্তু তারপরও এগুলোর দাম বাড়ে, এর কারণ হলো জুয়া খেলা। জুয়াড়িরা এসব শেয়ারের দাম টেনে তোলে। আর গুজবে কান দিয়ে অনেকেই এই শেয়ার কেনেন।’

তিনি বলেন, ‘দেশে যদি ২০ লাখ বিনিয়োগকারী থাকেন, এর মধ্যে ৫০ থেকে ৭০ হাজার হবে যারা প্রকৃত বিনিয়োগকারী। তারা দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করেন। বাকিরা ওমুক ভাই, তমুক ভাইকে ফলো করে শেয়ার কেনেন।

‘এসব গুজব এবং জুয়াড়িদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হয়তো তিন বারের মধ্যে একবার উইন করেছে, তাই বেশি টাকা বানানোর আশায় সেই পথই বারবার অনুসরণ করে। এতে জুয়াড়িরা লাভবান হয়, কিন্তু তারা কোনো আয় করতে পারেন না।’

আরও পড়ুন:
বিনিয়োগে যাচ্ছে স্টক ডিলাররা
ফ্লোর প্রাইসে প্রথম ‘বড় পতন’
তেলের মূল্যবৃদ্ধির চাপ সামলে নিল পুঁজিবাজার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Signature of Memorandum of Understanding and agreement between Dhaka Bejing

ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ৯ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ৯ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের কালজয়ী সাহিত্য ও শিল্পকর্মের অনুবাদ ও সৃজন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও খবর আদান-প্রদান, গণমাধ্যম, ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিময় সহযোগিতা। এর পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ বিষয়ে সহযোগিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে।

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি এবং আটটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের চীন সফরের তৃতীয় দিন শুক্রবার দুই দেশের মধ্যে এ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও স্মারকগুলো স্বাক্ষর হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের কালজয়ী সাহিত্য ও শিল্পকর্মের অনুবাদ ও সৃজন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও খবর আদান-প্রদান, গণমাধ্যম, ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিময় সহযোগিতা। এর পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ বিষয়ে সহযোগিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে।

এগুলো হলো বিনিয়োগ আলোচনা শুরু করা, চীনের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু, মোংলা বন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ, একটি রোবট ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ এবং একটি কার্ডিয়াক সার্জারি গাড়ি অনুদান।

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে তুলসি গ্যাবার্ডের বক্তব্যের প্রতিবাদ সরকারের
ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর
ভারতের অভ্যন্তরে ‌খাসিয়াদের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
ইরান থেকে জ্বালানি তেল আমদানি বাড়াবে চীন
ভারতে বিমানের ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ, যাত্রীরা অক্ষত

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Positive response to reduce loan interest rates assured Chinas water resources management
ইউএনবিকে প্রেস সচিব

ঋণের সুদহার কমাতে ইতিবাচক সাড়া চীনের, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার আশ্বাস

ঋণের সুদহার কমাতে ইতিবাচক সাড়া চীনের, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং। কোলাজ: নিউজবাংলা
ড. ইউনূসের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের বৈঠককে অত্যন্ত সফল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি বিষয় উত্থাপন করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশকে দেওয়া চীনা ঋণের সুদের হার কমানো ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় দেশটির সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়টি ছিল।’

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের উত্থাপিত বিষয়গুলো চীন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং।

স্থানীয় সময় শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট এ কথা জানান।

ড. ইউনূসের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের বৈঠককে অত্যন্ত সফল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি বিষয় উত্থাপন করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশকে দেওয়া চীনা ঋণের সুদের হার কমানো ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় দেশটির সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়টি ছিল।’

তিনি বলেন, ‘বৈঠকে আলোচনা অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ, গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে।’

প্রেস সচিব বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার এটি ছিল প্রথম দ্বিপক্ষীয় বিদেশ সফর। এখন পর্যন্ত এটি একটি বড় সফলতা।’

প্রেসিডেন্ট শির বক্তব্যের বরাতে শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও কারখানা স্থাপনে চীন তার দেশের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবে।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট শি ফুজিয়ান প্রদেশের গভর্নর থাকাকালীন দুইবার বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে তিনি পড়াশোনা করেছেন। সে কথাও উল্লেখ করেছেন চীনের রাষ্ট্রপ্রধান।

প্রেসিডেন্ট শির উদ্বৃতি দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, তিনি বাংলাদেশি আম ও কাঁঠাল খেয়েছেন। এগুলো সুস্বাদু। আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশ আগামী মৌসুমে এ দুটি ফল চীনে প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি করবে।

চীনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধান উপদেষ্টা চীনের পিপলস গ্রেট হলে করা বৈঠকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

তারা দুই দেশের সম্পর্ককে জোরদার করা ও ঢাকা-বেইজিংয়ের পারস্পরিক ও কৌশলগত স্বার্থকে এক নতুন উচ্চতায় নেওয়ার উপায় নিয়েও আলোচনা করেন।

আরও পড়ুন:
২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ
সমৃদ্ধ এশিয়া গড়তে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরির আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা প্রধান উপদেষ্টার
স্টারলিংকের ইন্টারনেট বাণিজ্যিকভাবে চালু করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Rivo brings C12 electric bikes with state of the art technology in the country market

দেশের বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সি৩২ ইলেকট্রিক বাইক আনল রিভো

দেশের বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সি৩২ ইলেকট্রিক বাইক আনল রিভো সি৩২-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য শক্তিশালী ১৮০০ ওয়াট মোটর, যা ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। ছবি: রিভো
সি৩২-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য শক্তিশালী ১৮০০ ওয়াট মোটর, যা ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। বাইকটির ইকো মোডে গতি ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং একবার চার্জে এটি ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে।

বাংলাদেশের বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সি৩২ ইলেকট্রিক বাইক এনেছে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড রিভো। অত্যাধুনিক ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ার সম্পূর্ণ গ্রাফিন ব্যাটারি পরিচালিত এই ইলেকট্রিক বাইকের উদ্বোধন ঘোষণা করেন রিভো বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ভেন নি।

ফিচার

সি৩২-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য শক্তিশালী ১৮০০ ওয়াট মোটর, যা ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। বাইকটির ইকো মোডে গতি ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং একবার চার্জে এটি ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে।

অন্যদিকে স্পোর্ট মোডে সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং এক চার্জে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে।

সি৩২ ইলেকট্রিক বাইকে উন্নত ৭২ ভোল্ট ২৬ অ্যাম্পিয়ার গ্রাফিন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে, যা পাঁচ শতাধিক চার্জিং সাইকেল সাপোর্ট করে এবং প্রতিটি পূর্ণ চার্জে মাত্র ২.০৮ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে।

ব্যাটারিটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে ১০.৬ ঘণ্টা সময় নেয়, যা রাতে চার্জ দিয়ে দিনব্যাপী ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।

নিরাপত্তা এবং আরামকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে রিভো সি৩২। এতে রয়েছে সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনে ড্রাম ব্রেক সিস্টেম, যা সর্বোচ্চ স্টপিং পাওয়ার নিশ্চিত করে।

ফ্রন্ট ও রিয়ার হাইড্রোলিক সাসপেনশন থাকার ফলে রাইডাররা মসৃণ ও আরামদায়ক রাইড উপভোগ করতে পারেন। এমনকি অপ্রশস্ত বা অসমান রাস্তাতেও।

রাতে নিরাপদ যাত্রার জন্য সি৩২-এ রয়েছে পূর্ণ এলইডি লাইটিং সিস্টেম, যার মধ্যে এলইডি হেডলাইট, টেইললাইট এবং টার্ন সিগন্যাল অন্তর্ভুক্ত।

রিভো সি৩২ শুধু শক্তিশালী পারফরম্যান্সই দেয় না, এটি ডিজাইনেও বেশ কার্যকর। ১৪০ কেজি ওজনের মজবুত অথচ হালকা ফ্রেম এবং সামনে ও পিছনে ৯০/৮০-১২'' ভ্যাকুয়াম টায়ার যুক্ত বাইকটি দুর্দান্ত গ্রিপ এবং স্থিতিশীলতা প্রদান করে।

২০৫ এমএম পর্যন্ত গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স থাকায় এটি যেকোনো ধরনের রাস্তার জন্য উপযোগী। সিট বাকেটে ২৪ লিটার স্টোরেজ স্পেস রয়েছে, যা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র বহনের জন্য আদর্শ।

ব্যবহারকারীবান্ধব ডিজাইন এবং আরামের সমন্বয়ে এটি শহরের যাতায়াতকারী এবং দূরপাল্লার রাইডারদের জন্য একটি পারফেক্ট পছন্দ।

এখন থেকে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যে বাংলাদেশের সব শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে।

সি৩২ যাতায়াতকে সহজ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব করতে উন্নত প্রযুক্তি, শক্তিশালী পারফরম্যান্স নিশ্চিত করছে, যা প্রতিদিনের যাত্রীদের পাশাপাশি পরিবেশ সচেতন রাইডারদের জন্য আদর্শ হতে পারে।

আরও পড়ুন:
মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলবে
পদ্মা সেতুতে বাইক এখনই নয়
‘মোগো ওপর দিয়া বাস চালাইয়া যাউক’
হানিফ ফ্লাইওভারে বাইক দুর্ঘটনায় তিতুমীর কলেজের ছাত্রী নিহত
মাস্টার চাবি বানিয়ে ৫০০ বাইক চুরি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Three tonnes of potatoes went to Nepal through Banglabandha

বাংলাবান্ধা দিয়ে নেপালে গেল আরও ১০৫ টন আলু

বাংলাবান্ধা দিয়ে নেপালে গেল আরও ১০৫ টন আলু আলুবোঝাই ট্রাক। ছবি: বাসস
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন জানান, বুধবার বিকেলে স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচটি ট্রাকে ১০৫ টন আলু নেপালে গেছে।

আলু রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। এ স্থলবন্দর দিয়ে নতুন করে আরও ১০৫ টন আলু গিয়েছে নেপালে।

এ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার ৫৫৪ টন আলু নেপালে রপ্তানি করা হলো।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন জানান, বুধবার বিকেলে স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচটি ট্রাকে ১০৫ টন আলু নেপালে গেছে।

তিনি জানান, আলুগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এগুলো রপ্তানি করছে থিংকস টু সাপ্লাই ও ফাস্ট ডেলিভারি নামে দুটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে থিংকস টু সাপ্লাই ৪২ ও ফাস্ট ডেলিভারি ৬৩ টন রপ্তানি করে। এ ছাড়াও বন্দরটি দিয়ে হুসেন এন্টারপ্রাইজ, ক্রসেস এগ্রো, সুফলা মাল্টি প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং লোয়েড বন্ড লজিস্টিক নামের কয়েকটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানও নেপালে আলু রপ্তানি করছে।

উজ্জ্বল হোসেন বলেন, রপ্তানিকারকরা প্রয়োজনীয় নথিসহ অনলাইনে আবেদন করলে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের ল্যাবে পরীক্ষা করার পর ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। রপ্তানিকৃত আলুগুলো স্টারিজ এবং লেডিও রোজেটা জাতের।

আরও পড়ুন:
গজারিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি, আলু পরিবহন বন্ধ
নেপালে সড়ক দুর্ঘটনায় আটজন নিহত
নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ঢাকা-দিল্লি-কাঠমাণ্ডু চুক্তি সই
নেপালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৩
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
AA 3 Pro Sales of Sale of A Apo

‌‘এ৫ প্রো’ বিক্রিতে রেকর্ডের কথা জানাল অপো

‌‘এ৫ প্রো’ বিক্রিতে রেকর্ডের কথা জানাল অপো ‘অপো এ৫ প্রো’ বিক্রয় প্রবৃদ্ধির পোস্টার। ছবি: অপো
ডিভাইসটির প্রথম দিনের বিক্রয়ের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে অপো বাংলাদেশ অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, ‘এ সফলতা অপোর প্রতি বাংলাদেশি গ্রাহকদের আস্থা ও আগ্রহের বিষয়টিই সফলভাবে চিত্রিত করছে। তাদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো অভিনব পণ্য উদ্ভাবন ও সেবা প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

বাজারে নতুন আসা স্মার্টফোন ‘অপো এ৫ প্রো’ রেকর্ড গড়া পারফরম্যান্স করেছে বলে জানিয়েছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি অপো।

কোম্পানিটি শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগের জেনারেশনের ডিভাইসের তুলনায় নতুন স্মার্টফোনটি ৪৫০ শতাংশ বেশি বিক্রয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা বাংলাদেশের বাজারে অপোর ধারাবাহিক সফলতার নির্দেশক। তাৎপর্যপূর্ণ এ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের বাজারে অপোর ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি এবং ব্রান্ডটির প্রতি গ্রাহকদের গভীর আস্থা ও আনুগত্যের প্রতিফলন।

অপো প্রতিনিয়ত স্মার্টফোন প্রযুক্তির অভিনব উদ্ভাবনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোম্পানিটির ‘অপো এ৫ প্রো’ ডিভাইসের ক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। ফোনটি নিত্যদিনের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণে ভোক্তাদের আধুনিক ও উন্নত সব ফিচার ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছে।

কোম্পানির কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া

বিজ্ঞপ্তিতে অপো এ৫ প্রোর বিক্রয় নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা ও একাধিক গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেছে অপো।

ডিভাইসটির প্রথম দিনের বিক্রয়ের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে অপো বাংলাদেশ অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, ‘এ সফলতা অপোর প্রতি বাংলাদেশি গ্রাহকদের আস্থা ও আগ্রহের বিষয়টিই সফলভাবে চিত্রিত করছে। তাদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো অভিনব পণ্য উদ্ভাবন ও সেবা প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

একটি বেসরকারি প্রকৌশল কোম্পানিতে চাকরিরত তারেক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ অপোর নতুন ডিভাইস নিয়ে তার অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, ‘অপো এ৫ প্রোর ওয়াটারপ্রুফ, ডাস্টপ্রুফ এবং শকপ্রুফ ফিচার আমার সবচেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

‌‘আমি এ রকম একটি টেকসই ও সহনশীল স্মার্টফোনের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছিলাম এবং আমার অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। স্মার্টফোনটি কিনতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত।’

আরেক গ্রাহক শারমিন আক্তার বলেন, “ঈদের আগে আমি একটি মোবাইল কেনার কথা ভাবছিলাম। এ ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের দারুণ ডিজাইন ও উন্নত ফিচারগুলো আমার অগ্রাধিকারে ছিল।

“আমার মতে, বাজারের একই ঘরনার ফোনগুলোর মধ্যে এ বিষয়গুলোতে ‘অপো এ৫ প্রো’ই সেরা। ফোনটি পছন্দ করতে পেরে মনে হচ্ছে আমি সঠিক মোবাইলটিই বেছে নিয়েছি।”

নতুন ডিভাইসের ফিচার

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘অপো এ৫ প্রো’ বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন, যেটি আইপি৬৬, আইপি৬৮ এবং আইপি৬৯ রেটিং অর্জন করেছে। ডিভাইসটি পানি, ধুলা ও যেকোনো ধরনের শক থেকে সুরক্ষিত। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মোবাইলটির অনন্য স্থায়িত্ব।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মোবাইলটিতে সংযুক্ত আছে মিলিটারি গ্রেডের ইমপ্যাক্ট রেজিস্ট্যান্স প্রযুক্তি। পাশাপাশি ডিভাইসের মাদারবোর্ড থার্মাল কনডাকটিভিটি বৃদ্ধি করে এবং আগের জেনারেশনের স্মার্টফোনের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি সক্ষমতা প্রদান করে। মোবাইলটি এক হাজার বেন্ডিং টেস্টও উতরে গেছে। অর্থাৎ প্রতিদিনের যেকোনো পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে এটি ব্যবহার উপযোগী।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্মার্টফোনটি নান্দনিক ফটোগ্রাফির জন্য অনন্য। এতে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই সংবলিত উন্নত ফিচার। ডিভাইসটিতে এআই ইরেজার ২.০ ব্যবহার করে সহজেই ছবিতে থেকে অপ্রয়োজনীয় বস্তু মুছে ফেলা যায়। এআই রিফ্লেকশন রিমুভার ব্যবহার করে অযাচিত রিফ্লেকশন সরিয়ে দেওয়া যায়।

এ ছাড়া এআই আনব্লার ফিচার ব্লারি বা অস্পষ্ট ছবিকে আরও স্পষ্ট করে তুলতে সাহায্য করে।

দাম

অপো জানায়, দেশজুড়ে রিটেইল স্টোর এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে স্মার্টফোনটি ২৩ হাজার ৯৯০ টাকায় ৮জিবি+২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে।

বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে অপোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোতে।

আরও পড়ুন:
ঈদ ঘিরে ‘অপো’র মেগা গিফট ক্যাম্পেইন
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘অপো এ৫ প্রো’ উন্মোচন
অপো এ৫ প্রোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন মেহেদী মিরাজ
আল্ট্রা ফোনের ধারণা ঘোষণা রিয়েলমির, যুক্ত করা যাবে ডিএসএলআর লেন্স
ক্যাশব্যাক ও স্মার্টফোন জেতার সুযোগ দিচ্ছে ইনফিনিক্স

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
India came to Chittagong port from Pakistan to 4000 tonnes of rice

ভারত, পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ৪৮ হাজার টন চাল

ভারত, পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ৪৮ হাজার টন চাল ভারতের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিম শুক্রবার কাফকো সংলগ্ন জেটিতে বার্থ করে। ছবি: বাসস
পাকিস্তান থেকে আসে ২৬ হাজার ২৫০ টন এবং ভারত থেকে আসে ২২ হাজার ৫০০ টন চাল।

চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে ভারত ও পাকিস্তান থেকে চালবোঝাই আরও দুটি জাহাজ।

এক দিনের ব্যবধানে দুটি জাহাজ বন্দরে পৌঁছায়।

এবার এসেছে ৪৮ হাজার ৭৫০ টন আতপ ও সিদ্ধ চাল। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে আসে ২৬ হাজার ২৫০ টন এবং ভারত থেকে আসে ২২ হাজার ৫০০ টন চাল।

চট্টগ্রাম বন্দরের সাইলো জেটি ও কাফকো-সংলগ্ন জেটিতে এই দুই জাহাজ নোঙর করে বলে শনিবার দুপুরে নিশ্চিত করেন খাদ্য অধিদপ্তরের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা।

পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজটি শুক্রবার চট্টগ্রাম সাইলো জেটিতে বার্থিং করেছে জানিয়ে তিনি জানান, জাহাজ এমভি মারিয়ম গত ১১ মার্চ ২৬ হাজার ২৫০ টন আতপ চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে।

অন্যদিকে ১২ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রবেশ করে ভারতের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিম। জাহাজটি শুক্রবার কাফকো সংলগ্ন জেটিতে বার্থ করে।

এ জাহাজ থেকে ২২ হাজার ৫০০ টন বাসমতি নয় এমন সিদ্ধ চাল আনা হয়েছে।

পাকিস্তানের জাহাজ এমভি মারিয়মে আসা চালের নমুনা সংগ্রহ শেষে ভৌত বিশ্লেষণ সম্পন্ন হয়েছে মন্তব্য করে জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা জানান, এ চালের খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ভারত থেকে আসা জাহাজ এমভি তানাইস ড্রিমের চালগুলোর নমুনা সংগ্রহ করা শেষ হয়েছে।

এর আগে বুধবার ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা ৩৮ হাজার ৮৮০ টন চাল বাংলাদেশে এসে পৌঁছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে ১৭ হাজার ৮০০ টন আতপ চাল এবং আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ২১ হাজার ৮০ টন সিদ্ধ চাল কেনা হয়েছে।

গত ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে আরও ৬ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানি করা হয়।

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে বাসের ধাক্কায় ভাই, বোনসহ তিনজন নিহত
বিনা মূল্যে ১০ কেজি চাল পাবে এক কোটি পরিবার
ইরানে বোমা হামলার দায় স্বীকার পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর
ভারতে বিমানের ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ, যাত্রীরা অক্ষত
পাকিস্তানে বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Eid ul Gift campaign surrounded the Eid

ঈদ ঘিরে ‘অপো’র মেগা গিফট ক্যাম্পেইন

ঈদ ঘিরে ‘অপো’র মেগা গিফট ক্যাম্পেইন অপোর ঈদ মেগা গিফট ক্যাম্পেইনের পোস্টার। ছবি: অপো
ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ক্রেতারা তাদের চাহিদা উপযোগী দারুণ সব ডিল ও অফার উপভোগ করতে পারবেন।

জনপ্রিয় বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অপো’ পবিত্র রমজান মাসে গ্রাহকদের জন্য বিশেষ ‘ঈদ মেগা গিফট ক্যাম্পেইন’ ঘোষণা করেছে।

১৩ মার্চ থেকে শুরু হয়ে সারা দেশে অপোর আউটলেটগুলোতে বিশেষ এ ক্যাম্পেইন চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত।

ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ক্রেতারা তাদের চাহিদা উপযোগী দারুণ সব ডিল ও অফার উপভোগ করতে পারবেন।

এ বছর অপো ভোক্তাদের জন্য ‘মেগা’ লটারি অফার ঘোষণা করেছে। এতে অংশ নিয়ে ক্রেতারা ১ লাখ টাকা সমমূল্যের গৃহস্থালি উপকরণ (হোম অ্যাপ্লায়েন্স), অপো প্যাড, অপো ওয়াচ অথবা ‘বাই ১, গেট ওয়ান ১’, ডিল উপভোগ করতে পারবেন।

এ ছাড়াও অপো সব ক্রেতার জন্যই বিশেষ ও নিশ্চিত উপহারের ঘোষণা দিয়েছে, যাতে করে সবাই এ আনন্দের ভাগিদার হতে পারেন। নির্দিষ্ট কিছু মডেলের স্মার্টেফোন কিনেও গ্রাহকরা উপহারের ভাগিদার হতে পারবেন। যেমন- ‘রেনো১২এফ’-এর সঙ্গে বিশেষ হুডি, ‘রেনো১৩এফ’-এর সঙ্গে বিশেষ ব্যাগ এবং নতুন বাজারে আসা ‘এ৫ প্রো’র সঙ্গে ‘অপো সুপার শিল্ড কার্ড’ পাবেন তারা।

অপো বাংলাদেশ, অথরাইজ এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, “আমাদের গ্রাহকদের সেরা সেবা দিতে অর্থাৎ কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধিতে অপো প্রতিনিয়ত অভিনবভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্টফোন উপভোগের মাধ্যমে এই ঈদে তারা অসাধারণ সব পুরস্কার জিতে নিতে পারবেন। ‘এ৫ প্রো’র উন্মোচন এবং মেগা গিফট ক্যাম্পেইনের এই ঘোষণা ভোক্তাদের রমজান উদযাপনে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে। অপোভক্তদের সঙ্গে এই বিশেষ উপলক্ষ যুক্ত করতে পেরে আমরা আনন্দিত।”

একটি অনলাইন লটারির মাধ্যমে মেগা গিফট লটারির বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে এবং তা অপো এ৩এক্স, এ৬০, রেনো সিরিজ এবং নতুন লঞ্চ হওয়া অপো এ৫ প্রোসহ বিভিন্ন ডিভাইসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

এ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ক্রেতাদের নিকটস্থ অপো আউটলেট পরিদর্শনের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

আকর্ষণীয় ঈদ অফার ও অন্যান্য তথ্য পাওয়া যাবে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh এবং ওয়েবসাইটে website https://www.oppo.com/bd/।

আরও পড়ুন:
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘অপো এ৫ প্রো’ উন্মোচন
অপো এ৫ প্রোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন মেহেদী মিরাজ
আল্ট্রা ফোনের ধারণা ঘোষণা রিয়েলমির, যুক্ত করা যাবে ডিএসএলআর লেন্স
ক্যাশব্যাক ও স্মার্টফোন জেতার সুযোগ দিচ্ছে ইনফিনিক্স
নান্দনিকতা ও সৌন্দর্যের মিশেলে আসছে ‘অপো এ ফাইভ প্রো’

মন্তব্য

p
উপরে