× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
Truck fare increases deadlock in goods transportation in Benapole
google_news print-icon

ট্রাক ভাড়া বাড়ায় বেনাপোলে পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা

ট্রাক-ভাড়া-বাড়ায়-বেনাপোলে-পণ্য-পরিবহনে-অচলাবস্থা
বেনাপোল বন্দরে পণ্য এনে রাখা হলেও গাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির কারণে পণ্য খালাস করা যাচ্ছে না। ছবি: সংগৃহীত
আমদানিকারকরা জানান, তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ট্রাকমালিকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন। এতে ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। আগে বেনাপোল থেকে ঢাকা পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাকের ভাড়া ছিল ১৮ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২২ হাজার টাকা। এখন সে ভাড়া নেয়া হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ভাড়া অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। পাশাপাশি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের সংকটও দেখা দিয়েছে।

এভাবে পণ্য পরিবহনের ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে গিয়ে আমদানিকারক, পরিবহন এজেন্ট ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সব মিলিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে এক ধরনের অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

আমদানিকারকরা জানান, তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ট্রাকমালিকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন। এতে ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। আগে বেনাপোল থেকে ঢাকা পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাকের ভাড়া ছিল ১৮ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২২ হাজার টাকা। এখন সে ভাড়া নেয়া হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা।

এমন অবস্থায় ট্রাক সংকটে অনেকে আমদানি পণ্যের শুল্ক পরিশোধ করেও বন্দর থেকে পণ্য খালাস করতে পারছেন না বলে জানান তারা।

ঢাকার কেরানীগঞ্জের রোজ ট্রেডিং নামের আমদানিকারক ফায়জুর রহমান বলেন, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্টিং কালি ভারত থেকে আসে। তার কয়েকটি পণ্যের চালান গত সপ্তাহে বেনাপোল বন্দরে এসেছে। কাস্টমস বন্দরের সব কার্যক্রমও শেষ। সোমবার ট্রাক ভাড়া করতে গেলে ভাড়া এক লাফে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বেশি চাওয়া হয়। অতিরিক্ত ট্রাক ভাড়ার কারণে তিনি পণ্য ফ্যাক্টরিতে নিতে পারছেন না।

একই কথা জানান ঢাকার মগবাজারের মাইশা ট্রেডিং নামের আমদানিকারক নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত ট্রাক ভাড়ায় আমদানি করা কেমিক্যাল ফ্যাক্টরিতে নিলে লাভ তো দূরে থাক, আসলও উঠবে না।’

যশোরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রিপন অটোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এজাজ উদ্দিন টিপু বলেন, ‘গত মাসেও আমরা বেনাপোল থেকে যশোর পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকায় ট্রাকে করে পণ্য এনেছি। কিন্তু গতকাল থেকে সেই ট্রাক ভাড়া চাওয়া হচ্ছে ১২ হাজার টাকা। এতে লোকসানের শিকার হতে হবে। কেননা প্রতিযোগিতার বাজারে পণ্যের দাম বাড়ানো যায় না।’

বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী বলেন, ‘তেলের দাম বাড়লে তো ট্রাক ভাড়া বাড়বে। সেটি গত শনিবার থেকেই নেয়া হচ্ছে। বর্তমান বাড়তি তেলে কমপক্ষে একটি ট্রাকে ১০ হাজার টাকা তেল বেশি লাগবে। সে কারণে বেনাপোল বন্দর থেকে সারা দেশে পণ্য পরিবহনের ভাড়া বেড়েছে।’

বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি আতিকুজ্জামান সনি বলেন, ‘আগে বেনাপোল থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পণ্য পরিবহনে প্রতি ট্রাকের ভাড়া ছিল ১৮ থেকে ২৩ হাজারের মধ্যে। একই ট্রাকের ভাড়া এখন বেড়ে হয়েছে ২৮ থেকে ৩২ হাজার টাকা।

‘একইভাবে কাভার্ডভ্যানের ভাড়া ২৫ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। এত বেশি ভাড়া দেয়া সত্ত্বেও ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মিলছে না। ফলে পণ্য পরিবহন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।’

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘পরিবহন সংকটের জন্য ট্রাক ভাড়া এখন স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। কাঁচা পণ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে পণ্য খালাস করে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।’

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বেনাপোল দিয়ে প্রতিদিন স্বাভাবিক সময়ে সাড়ে ৩০০ ট্রাকে পণ্য আমদানি ও আড়াই শ ট্রাকে পণ্য রপ্তানি হয়। গেল ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয়েছে ২১ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন। এসব পণ্য ট্রাক বা কাভার্ডভ্যানে পরিবহন করা হয়। তেলের দাম বাড়ায় বেনাপোল থেকে ট্রাক ভাড়া ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা বেড়েছে। এতে সমস্যায় পড়তে হবে ব্যবসায়ীদের।’

যশোর চেম্বার অফ কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘জ্বালানি তেলের সঙ্গে পরিবহনের সম্পর্ক। তেলের দাম অস্বাভাবিক বাড়ার কারণে ট্রাকের ভাড়াও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে শিল্পের ওপর চাপ পড়বে। খরচ বেড়ে যাবে, যা সবশেষ ভোক্তার ওপর গিয়ে পড়বে।’

আরও পড়ুন:
পাম্পে পাম্পে হানা, কম তেলে জরিমানা
তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ছাত্র সমাবেশে পুলিশের লাঠিপেটা
জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে শাহবাগে গণঅবস্থান
ট্যাংকলরির ধর্মঘট স্থগিত
বিশ্ববাজারে কমলে দেশেও কমবে তেলের দাম: কাদের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
In the current financial year the majority of remittances have come to Dhaka district
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশ্লেষণ

চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের সিংহভাগ এসেছে ঢাকা জেলায়

চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের সিংহভাগ এসেছে ঢাকা জেলায়
জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে প্রবাসীরা ১ হাজার ৫০৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা জেলায় ৫২৩ কোটি ও চট্টগ্রাম জেলায় ১৪২ কোটি ডলার এসেছে। এই সময়ে সিলেট জেলা ৮৭০ মিলিয়ন, কুমিল্লা ৮১০ মিলিয়ন ও নোয়াখালী ৪৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে।

প্রবাসীদের আয়ের একটি বড় অংশ‌ই আসে ঢাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখাগুলোতে। অর্থাৎ প্রবাসীদের পরিবারের বেশিরভাগই ঢাকায় থাকেন বা তাদের অধিকাংশ অ্যাকাউন্ট ঢাকার ব্যাংক শাখায়।

ইউএনবি জানায়, রেমিট্যান্সের জেলাভিত্তিক চিত্র নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিশ্লেষণে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। সিলেট তৃতীয় এবং কুমিল্লা চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।

এরপরে রয়েছে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর ও নরসিংদীর অবস্থান।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জেলাভিত্তিক প্রবাসী আয় প্রতিবেদনে গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে প্রবাসীরা ১ হাজার ৫০৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২১৬ কোটি ডলার। তার আগের মাস জানুয়ারিতে দেশে প্রবাসী আয় ছিল ২১০ কোটি ডলার।

জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়কালে ঢাকা জেলায় এসেছে ৫২৩ কোটি ডলার এবং চট্টগ্রাম জেলায় এসেছে ১৪২ কোটি ডলার।

এই সময়ে সিলেট জেলা ৮৭০ মিলিয়ন ডলার, কুমিল্লা ৮১০ মিলিয়ন ডলার এবং নোয়াখালী ৪৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ কোটি, ফেনীতে ৩৭ কোটি, মৌলভীবাজারে ৩৬ কোটি, চাঁদপুরে ৩৫ কোটি ডলার এবং নরসিংদীতে ২৫০ মিলিয়ন ডলার এসেছে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলো থেকে বেশি প্রবাসী আয় আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু এমনটা হচ্ছে না। কারণ অনেক প্রবাসী বিদেশে স্থায়ী হয়েছেন। বরং তারা (প্রবাসীরা) দেশে থাকা সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে অর্থ পাচার বাড়ছে।

আরও পড়ুন:
ঈদের আগের সপ্তাহে এসেছে সাড়ে ৪৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স
ঈদ সামনে রেখেও রেমিট্যান্স প্রবাহে নিম্নগতি
ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে ২১৬ কোটি ডলার
চলতি মাসে দিনে গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৬ কোটি ৮৫ লাখ ডলার
ফেব্রুয়ারির ১৬ দিনে এসেছে ১২,৬০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
38 and a half thousand crores allocated for the purpose of 10 percent growth in agriculture

কৃষিতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ

কৃষিতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ
‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি (২০২৩-২৪ থেকে ২০২৫-২৬)’ অনুসারে, এই বিনিয়োগ খাদ্য নিরাপত্তা ও ন্যায়সঙ্গত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে কৃষির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দেয়।

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে কৃষি খাতে গড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তিন বছরে কৃষি উন্নয়নে ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে বাংলাদেশ সরকার।

‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি (২০২৩-২৪ থেকে ২০২৫-২৬)’ অনুসারে, এই বিনিয়োগ খাদ্য নিরাপত্তা ও ন্যায়সঙ্গত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে কৃষির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দেয়। সূত্র: ইউএনবি

জিডিপিতে হ্রাস প্রবণতা সত্ত্বেও এটি বিশেষত গ্রামীণ অঞ্চলে কৃষিনির্ভর সংখ্যাগরিষ্ঠদের জীবিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য উৎপাদন ও প্রতিকূলতা মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াতে সরকারের গৃহীত কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে- উচ্চফলনশীল ও প্রতিকূলতাসহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবন, যান্ত্রিকীকরণ-সেচ সম্প্রসারণ এবং বীজ ও সারের মতো সাশ্রয়ী মূল্যের উপকরণের প্রাপ্যতা বাড়ানো।

নীতি নথিতে প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষির আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- সম্পদ সংরক্ষণের জন্য সেচের জন্য ভূপৃষ্ঠের পানির ব্যবহার বাড়ানো, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি সমাধানগুলো অন্তর্ভুক্ত করা এবং ফসল পরিচর্যার জন্য রিমোট সেন্সিং নিয়োগ করা।

সরকার একটি টেকসই ও স্বনির্ভর কৃষি কাঠামো গড়ে তুলতে ভর্তুকি, আর্থিক প্রণোদনা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই খাতকে সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উপখাত থেকেও উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। এটি কেবল জিডিপি যথাক্রমে ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং ১ দশমিক ৯১ শতাংশই বৃদ্ধি করে না, বরং জনসংখ্যার ১২ শতাংশেরও বেশি মানুষের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের উৎস হিসেবে কাজ করে এবং জীবিকার সংস্থান করে। এই ক্ষেত্রগুলোর অর্জনের মধ্যে মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের আশা করা হচ্ছে। তাছাড়া রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের জন্য এসব খাত অত্যাবশ্যক।

ভবিষ্যতে এসব খাতের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি, উন্নত ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি গ্রহণ এবং সংরক্ষণ প্রক্রিয়া উন্নত করার জন্য বিশেষ করে ছোট ইলিশের (জাটকা) জন্য উন্নয়ন প্রকল্প চালু করতে প্রস্তুত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

টেকসই কৃষির গুরুত্ব বিবেচনায় পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা আরেকটি মৌলিক ক্ষেত্র। আন্তঃসীমান্ত নদী থেকে ন্যায়সঙ্গত পানির হিস্যা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জলাশয় খনন ও উপকূলীয় বনায়ন বৃদ্ধির মাধ্যমে ভূ-উপরিস্থ পানির প্রাপ্যতা উন্নয়নের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ক্ষতির হুমকির মধ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপিতে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হ্রাসের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। সরকার এই প্রভাবগুলো হ্রাস করার বিস্তৃত কৌশলগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনাটি জলবায়ু সম্পর্কিত বাধাগুলোর বিরুদ্ধে সহনশীলতা এবং স্থিতিশীলতা বাড়ানোর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাত ও সম্প্রদায়গুলোকে সরঞ্জাম দিয়ে প্রস্তুত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এই বহুমুখী প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের কৃষি ঐতিহ্যকে কেবল সুরক্ষাই নয়, বরং এগিয়ে নিতেও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Chamber of Commerce in Thakurgaon complains of harassment to find voters

ঠাকুরগাঁওয়ে চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচনের ভোটার খুঁজে পেতে হয়রানির অভিযোগ

ঠাকুরগাঁওয়ে চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচনের ভোটার খুঁজে পেতে হয়রানির অভিযোগ ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের হলরুমে শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে আলমগীর-মুরাদ ও সুদাম প্যানেলের প্রার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা 
অল্প সময়ে নির্বাচনের তারিখ ও তফসিল পুনর্নির্ধারণের আবেদন যৌক্তিক কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আলমগীর-মুরাদ ও সুদাম প্যানেলের প্রার্থী বলেন, ‘চেম্বারের মোট ভোটারের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৩৩৮ জন। এসব ভোটারের মধ্যে অনেকে টিন সার্টিফিকেট ছাড়া রয়েছে। আইন মোতাবেক তারা ভোট দেয়ার কোনো অধিকার রাখে না।’

ঠাকুরগাঁওয়ে চেম্বার অফ কমার্সের নির্বাচনে ভোটারদের একটি অংশকে বেআইনি ও অবৈধ ভোটার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী একটি প্যানেল।

ওই প্যানেলের প্রার্থীদের দাবি, চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, সে তালিকার শত শত ভোটারের কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা শিল্পকারখানা নেই। একই এলাকায় একই নামে একাধিক ব্যবসায়ী রয়েছেন। চূড়ান্ত তালিকায় ভোটারদের কোনো ছবি না থাকায় ভোটার খুঁজে পেতে বিভিন্ন ক্ষতি ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে প্রার্থীদের।

এমন বাস্তবতায় ঠাকুরগাঁও চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচনের তিন দিন আগে নির্বাচনের তফসিল পুনর্নির্ধারণের জন্য নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদন করেছে প্যানেলটি।

ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের হলরুমে শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এমন আবেদন করেন আলমগীর-মুরাদ ও সুদাম প্যানেলের প্রার্থীরা।

হয়রানির মুখোমুখি হয়ে ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্যানেলের এক প্রার্থী বলেন, ‘আমরা ভোট বর্জন করছি না। আমরা ভোটের মাঠে রয়েছি, কিন্তু মাঠ পর্যায়ে আমরা যখন ভোটারদের কাছে যাচ্ছি, তখন আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি। আমরা ভোট চাইতে গিয়ে লক্ষ করেছি, যার কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নেই, সে চেম্বারের ভোটার হয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ পরিচ্ছন্নতা কর্মী, জুটমিলে কাজ করেন এমন ব্যক্তি। কেউ সেলুনে কাজ করেন, আবার কেউ পরিবহন শ্রমিক।

‘আমরা কোনো পেশাকে ছোট করে দেখছি না, কিন্তু শুধু টিন (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) দিয়ে তো চেম্বারের ভোটার হওয়া যায় না। নিয়মিত আয়কর পরিশোধ করতে হয়। আমাদের মনে হয়েছে এসব শত শত ভোটার বেআইনিভাবে চেম্বারের ভোটার হয়েছে। আমরা এসব ভোটার তালিকা আবারও বিবেচনার কথা বলছি, সংশোধনের কথা বলছি। সেই সাথে ভোটারদের তালিকার সঙ্গে যেন ছবি সংযুক্ত করা হয়, সেই দাবি করছি, যেন আমাদের নির্বাচনি মাঠে কোনো হয়রানির শিকার না হতে হয়।’

ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় অবৈধ ভোটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি কেন—এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে প্যানেলটির প্রার্থী বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে পহেলা জানুয়ারি-২০২৪, কিন্তু আমরা এ ভোটার তালিকা আবেদন করে পেয়েছি মার্চ মাসের দিকে। কাগজে-কলমে রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বাক্ষর করেছেন পহেলা জানুয়ারি-২০২৪।’

ওই প্রার্থীর অভিযোগ, ‘চূড়ান্ত ভোটার তালিকার ১৭ দিন পরেও ভোটার তালিকায় ভোটারের নাম সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রার্থীরা মনে করছেন, ভুয়া ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করার চেষ্টা করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।’

অল্প সময়ে নির্বাচনের তারিখ ও তফসিল পুনর্নির্ধারণের আবেদন যৌক্তিক কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আলমগীর-মুরাদ ও সুদাম প্যানেলের প্রার্থী বলেন, ‘চেম্বারের মোট ভোটারের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৩৩৮ জন। এসব ভোটারের মধ্যে অনেকে টিন সার্টিফিকেট ছাড়া রয়েছে। আইন মোতাবেক তারা ভোট দেয়ার কোনো অধিকার রাখে না।’

তিনি বলেন, ‘আগামী ১৬ এপ্রিল ভোটের নির্ধারিত দিন হওয়ায় ভোটারদের সমস্যা হবে। কারণ এর মাঝে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ও পহেলা বৈশাখ থাকায় অনেকের পারিবারিক অনুষ্ঠান থাকে, যার কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত না থাকার কথা সরাসরি জানিয়েছে।

‘তাই সব দিক বিবেচনা করে আমরা নির্বাচনি তারিখ ও তফসিল পুনর্নির্ধারণের আবেদন করছি। আমরা আবারও বলছি, আমরা ভোট বর্জন করছি না।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচনে আলমগীর-মুরাদ ও সুদাম প্যানেলের প্রার্থী, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান মিঠু ও ঠাকুরগাঁওয়ে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ ও তফসিল পুনর্নির্ধারণের জন্য আবেদন পেয়েছি।’

ভোটার তালিকা করার ক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো ত্রুটি নাই। কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর অভিযোগ দেয়ার একটা সুযোগ ছিল। সে খসড়া তালিকার বিরুদ্ধে আপিল করে আপিল নিষ্পত্তি করার একটা সময় ছিল।

‘উনারা যে অভিযোগ করছে, তা একেবারেই নির্বাচনের শেষ সময়ে। আগে এ অভিযোগ করলে অবশ্যই আমরা সেটা বিবেচনায় নিতাম। নির্ধারিত সময়ে একটি পক্ষ আপিল করেছিল এবং সে অনুযায়ী কাজও করা হয়েছে।’

নির্বাচন পেছানোর সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘ভোট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হবে। এটা আসলে পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই।’

আরও পড়ুন:
প্রার্থী যত প্রভাবশালীই হোক, শতভাগ আইন-কানুন মানতে হবে
উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা প্রভাব খাটালে তাদেরই মান ক্ষুণ্ণ হবে: ইসি হাবিব
দ্বিতীয় ধাপে ১৬১ উপজেলায় নির্বাচন ২১ মে
জুম্মার নামাজ ও ইফতারে উপজেলা নির্বাচনের প্রচার
ভোট দেখতে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাচ্ছেন সিইসি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Mill gate prices of rice varieties on sacks of rice are effective on Sunday

চালের বস্তায় ধানের জাত, মিল গেটের মূল্য লেখা কার্যকর রোববার

চালের বস্তায় ধানের জাত, মিল গেটের মূল্য লেখা কার্যকর রোববার গুদামে রাখা মিনিকেট চালের বস্তা। ফাইল ছবি
বার্তায় জানানো হয়, চালের বস্তায় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখ করতে হবে। থাকবে ওজনের তথ্যও।

চালের বস্তায় ধানের জাত ও মিল গেটের মূল্যের পাশাপাশি উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম লেখার নির্দেশনা কার্যকর হচ্ছে রোববার থেকে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও গণসংযোগ কর্মকর্তা কামাল হোসেন শনিবার এক বার্তায় বিষয়টি জানিয়েছেন।

বার্তায় জানানো হয়, চালের বস্তায় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখ করতে হবে। থাকবে ওজনের তথ্যও।

এতে বলা হয়, ‘এ বিষয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। ইতোমধ্যে নির্দেশনার কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, সকল বিভাগীয় কমিশনার, সকল জেলা প্রশাসক, সকল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সকল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।

‘খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন সই করা এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’

বার্তায় উল্লেখ করা হয়, ‘এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয়, তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চালের উৎপাদনকারী মিলমালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে।

‘চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সকল প্রকার চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন (৫০/২৫/১০/৫/১) উল্লেখ থাকতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মিল গেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে।’

বার্তায় আরও বলা হয়, ‘এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‘আইনটির ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা ৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।’

আরও পড়ুন:
মার্চে মূল্যস্ফীতি ৯.৮১ শতাংশ
সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ টাকা বাড়ল মুরগির দাম
‘ওষুধ কিনতে না পেরে’ পেটে ছুরি ঢুকিয়ে রিকশাচালকের আত্মহত্যা
গুদাম থেকে ২৫০ টন চাল সরানো খাদ্য পরিদর্শক হেফাজতে
নওগাঁয় খুচরা দোকানে সরকারি চাল

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Ireland Norway Spain ready to recognize Palestine

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত আয়ারল্যান্ড নরওয়ে স্পেন

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত আয়ারল্যান্ড নরওয়ে স্পেন শুক্রবার ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস (বাঁয়ে) ও স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ জনতার উদ্দেশে হাত নাড়ছেন। ছবি: আল জাজিরা।
শুক্রবার ডাবলিনে এক সংবাদ সম্মেলনে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, ‘ফিলিস্তিনকে শুধু স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণাই নয়, জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে তারা যাতে স্বীকৃতি পায়, সেজন্যও আমাদের অটুট সমর্থন থাকবে।’

স্পেনের পর আয়ারল্যান্ড ও নরওয়েও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো মানচেজের সঙ্গে বৈঠকের পর পৃথক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিন নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে দুই দেশ।

শুক্রবার আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে বৈঠকের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেন, আয়ারল্যান্ড শিগগিরই ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চায়। তবে ইউরোপের আরও দেশ যদি এ বিষয়ে রাজি থাকে, তাহলে তাদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে এ পদক্ষেপ নেয়া হবে।

আয়ারল্যান্ড সফরের আগে ওইদিন নরওয়েতে যান সানচেজ। সেখানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইয়োনাস গার স্তোরের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনিও একই ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন।

স্তোরে বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ওসলোও (নরওয়ের রাজধানী) প্রস্তুত। আরও যেসব দেশ একইরকম ভাবছে, তাদের সঙ্গে একসঙ্গে এ ঘোষণা দেয়া হবে।

এর আগে গাজা উপত্যকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বীকৃতি দেয়া প্রয়োজন। এতে ওই অঞ্চলের শান্তি স্থাপন প্রক্রিয়া সত্যিকার অর্থে গতি পাবে।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র শাসক গোষ্ঠী হামাস। ওই হামলায় অন্তত এক হাজার ১০০ বেসামরিক ইসরায়েলি নিহত হন।

ওই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় লাগাতার হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেয় দখলদার ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আগ্রাসনে ক্রমবর্ধমান মৃত্যু, অনাহার ও অবকাঠামোর ক্ষতি মিলিয়ে এই কয়েক মাসে মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে গাজা।

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত আয়ারল্যান্ড নরওয়ে স্পেন
মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে গাজা। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ইসরায়েলের এমন অমানবিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক মহল। তারই ধারাবাহিকতায় উপত্যকায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এরইমধ্যে শুধু নরওয়ে আয়ারল্যান্ড নয়, স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় ইউরোপের অনেক দেশই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

গত মাসে মাল্টা ও স্লোভেনিয়াকে সঙ্গে নিয়ে স্পেন ও আয়ারল্যান্ড ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির জন্য যৌথভাবে কাজ করার ঘোষণা দেয়। সেসময় তারা জানায়, আমরা প্রস্তত, ‘সঠিক পরিস্থিতিতে’ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

শুক্রবার সানচেজের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে হ্যারিস বলেন, ‘বিষয়টি ধীরে ধীরে আরও এগিয়ে যাচ্ছে এবং আমরা (স্বীকৃতির) ঘোষণা দেয়ার খুব কাছাকাছি রয়েছি। সবাই মিলে আমরা এর বাস্তবায়ন করব।

‘নিজ দেশের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বের দাবি ফিলিস্তিনের দীর্ঘদিনের। তারাও আয়ারল্যান্ড ও স্পেনের মতো স্বাধীন ও স্বকীয়ভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মাঝে স্থান করে নেয়ার অধিকার রাখে।’

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত আয়ারল্যান্ড নরওয়ে স্পেন
শুক্রবার ডাবলিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস। ছবি: সংগৃহীত

ওই সংবাদ সম্মেলনে সানচেজ বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের স্বীকৃতি দিতে ইচ্ছুক রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে যৌথভাবে ঘোষণা দেয়া হবে। তবে অবশ্যই ঘোষণার আগে সময়ের উপযুক্ততা বিবেচনা করে হবে।

‘শুধু স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণাই নয়, জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে তারা যাতে স্বীকৃতি পায়, সেজন্যও আমাদের অটুট সমর্থন থাকবে।’

এক পায়ে খাড়া নরওয়ে

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশ না হয়েও ইইউ দেশগুলোর সঙ্গে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ‘তাৎক্ষণিকভাবে প্রস্তুত’ নরওয়ে।

শুক্রবার শেনজেন অঞ্চলের সদস্য এ দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্তোরে বলেন, ‘তবে আমরা এর জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো দিন-তারিখ ঠিক করিনি। একই মনোভাবের সব দেশের সম্মিলিত কার্যক্রম হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়া হবে।’

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত আয়ারল্যান্ড নরওয়ে স্পেন
শুক্রবার স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইয়োনাস গার স্তোরে। ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের নভেম্বরে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে নিজেদের সংসদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে নরওয়ে।

এর আগে ১৯৯০-এর দশকের শুরুতেও একবার ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি শান্তি আলোচনার আয়োজন করে দেশটি, যা পরবর্তীতে ‘অসলো চুক্তি’তে রূপান্তরিত হয়।

অসলো চুক্তি

অসলোতে ওই আলোচনার জন্য তৎকালীন ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইসাক রবিন নোবেল শান্তি পুরষ্কার পান। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অসলো চুক্তি-১ স্বাক্ষরিত হয় এবং ১৯৯৫ সালে মিশরের তাবায় অসলো চুক্তি-২ স্বাক্ষরিত হয়।

ওই চুক্তির মাধ্যমে দুপক্ষের মধ্যে যে বোঝাপড়া হয়, তা হলো- ফিলিস্তিনিরা নিজেদের অংশের ভূখণ্ড শাসনের অধিকার পাবে এবং ইসরায়েল প্রথমে পশ্চিম তীরের জেরিকো এবং তারপর গাজা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেবে। এর পরিবর্তে, ইসরায়েলি রাষ্ট্রের বৈধতা স্বীকার করে নেবে ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থা (পিএলও)।

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত আয়ারল্যান্ড নরওয়ে স্পেন
১৯৯৩ সালে ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে অসলো শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এটি ছিল দুপক্ষের মধ্যে প্রথম শান্তি চুক্তি। ছবি: বিবিসি

কয়েক দশকের সংঘাতের অবসান ঘটায় ওই সমঝোতা চুক্তি। তখনকার প্রেক্ষাপটে একে বিরাট সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হলেও বাস্তবতা হচ্ছে- ওই চুক্তির তিন দশক পর এখন আবার সেই ‘যুদ্ধাবস্থা’ বিরাজ করছে।

২০০৭ সাল থেকে কট্টরপন্থী ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস উপত্যকার ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে পরিস্থিতির আবারও অবনতি হতে শুরু করে। হামাস অবশ্য অসলো চুক্তির সময়ই এর বিরোধিতা করেছিল।

সবশেষ ইসরাইলের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে হামাসের আকস্মিক অথচ ব্যাপক হামলার কারণে গত অক্টোবর থেকে উপত্যকায় সব ধরনের ধৈর্যের সীমা লঙ্ঘিত হয়েছে।

ইসরায়েলের হুঁশিয়ারি

গাজায় চলমান আগ্রাসনের শুরু থেকেই প্রকাশ্যে ইসরায়েলের সমালোচনা করে আসছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী। এ সপ্তাহে আইরিশ প্রধানমন্ত্রী হ্যারিসও নেতানিয়াহুর সেনা আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছেন।

তবে ইউরোপের দেশগুলোর এই কার্যক্রমের কঠোর সমালোচনা করেছে ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত আয়ারল্যান্ড নরওয়ে স্পেন
ইউরোপের দেশগুলোর ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেছে ইসরায়েল। ছবিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

এ বিষয়ে আর না এগোতে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের এ উদ্যোগ ‘সন্ত্রাসবাদের জন্য একটি পুরস্কার’ হিসেবে গণ্য হবে। সেইসঙ্গে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসা এ সংঘাত যদিও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব, তার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেবে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ ৩৩ হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন ৭৬ হাজারের অধিক।

সর্বোপরি, জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৩৯টিই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা ও বিবিসি।

আরও পড়ুন:
ইসরায়েলে ইরানের হামলার হুমকি বাস্তব: হোয়াইট হাউস
ইরানের হামলার শঙ্কা, শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসছেন নেতানিয়াহু
২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে ইরান
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কূটনীতিকদের সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bangladesh GDP growth likely to be 61 in current fiscal year ADB

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬.১%: এডিবি

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬.১%: এডিবি পরপর দুই অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি। ফাইল ছবি
এডিওতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বিষয়ে এডিবি বলেছে, ২০২৪ (২০২৩-২৪) অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ছয় দশমিক এক শতাংশ পর্যন্ত। ২০২৫ (২০২৪-২৫) অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আগের অর্থবছরের চেয়ে বেড়ে হতে পারে ছয় দশমিক ছয় শতাংশ।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ছয় দশমিক এক শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)।

আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংকটি তাদের এপ্রিলের এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকে (এডিও) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।

এডিওতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বিষয়ে এডিবি বলেছে, ২০২৪ (২০২৩-২৪) অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ছয় দশমিক এক শতাংশ পর্যন্ত। ২০২৫ (২০২৪-২৫) অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আগের অর্থবছরের চেয়ে বেড়ে হতে পারে ছয় দশমিক ছয় শতাংশ।

বাংলাদেশে কোনো বছরের জুলাই থেকে পরবর্তী বছরের জুন পর্যন্ত ১২ মাসকে এক অর্থবছর ধরা হয়। সে হিসাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষ হচ্ছে চলতি বছরের ৩০ জুন।

এডিওতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে চাহিদা কমে যাওয়ার পরও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সস্তা তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা দেশে তৈরি সুতা ও বস্ত্র ব্যবহার করছেন।

মূল্যস্ফীতির বিষয়ে বলা হয়, মূল্যস্ফীতি কমার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ভোগ বাড়তে পারে। অন্যদিকে ভর্তুকি কম দেয়া এবং কৃচ্ছ্রতার ব্যবস্থাগুলো অব্যাহত রাখায় সরকারি পর্যায়ে ভোগও সামান্য বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন:
৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিল আইএমএফ
চট্টগ্রামবাসীর জীবনমান উন্নয়নে এডিবির ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ
প্রবৃদ্ধি কমে ৫.৬% হতে পারে: বিশ্ব ব্যাংক
আগামী অর্থবছর বাংলাদেশের জন্য ভালো বছর হবে
রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ২৬.১ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Inflation increased by 1014 percent in March

মার্চে মূল্যস্ফীতি ৯.৮১ শতাংশ

মার্চে মূল্যস্ফীতি ৯.৮১ শতাংশ
বিবিএসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মার্চে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশে। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশে।

চলতি বছরের মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতি দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এর আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে মূলস্ফীতির এই হার ছিল ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

মঙ্গলবার সবশেষ আর্থিক পরিসংখ্যানে এই তথ্য প্রকাশ করেছে বিবিএস।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মার্চে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশে। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশে। তুলনামূলকভাবে গত ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য পণ্যের ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

গ্রামীণ অঞ্চলের তুলনায় শহরে উচ্চতর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব পড়েছে। শহর এলাকায় মুদ্রাস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং গ্রামীণ অঞ্চলে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। মার্চে শহর এলাকায় খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।

‌আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘১৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে দেশ। আর এর বড় বিরূপ প্রভাব পড়ছে সীমিত আয়ের মানুষের ওপর।’

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পলিসি সুদের হার বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু কৌশল বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশে।

তবে ড. মনসুর উল্লেখ করেছেন, বিলম্ব এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই পদক্ষেপগুলো এখনও উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রভাব দেখাতে পারেনি।

ক্রমাগত উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির হারের পেছনে একটি অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থা এবং নিয়মিত পণ্যের দাম বৃদ্ধিকে প্রাথমিকভাবে দায়ী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন অর্থনীতিবিদরা।

আরও পড়ুন:
এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ৯.২৪%
‘মূল্যস্ফীতির জন্য যুদ্ধের পাশাপাশি দুর্বল বাজার ব্যবস্থাপনা দায়ী’
চার মাস ধরে কমছে মূল্যস্ফীতি
খাবারের দাম শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি
মূল্যস্ফীতির হিসাবে স্বস্তির আভাস

মন্তব্য

p
উপরে