পুঁজিবাজারে প্রতিটি শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস কার্যকরের পর প্রথমবারের মতো বড় দরপতন দেখল পুঁজিবাজার। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির চাপ বাজার সামলে নিতে পারলেও দ্বিতীয় কর্মদিবসে তা পারল না।
বেশি সংখ্যক সিকিউরিটিজের দরপতনের কারণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক কমেছে ৪৫ পয়েন্ট।
টানা পতনরোধে গত ৩১ জুলাই থেকে ফ্লোর প্রাইস কার্যকর করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এ ছাড়াও দীর্ঘ দিনের অমীমাংসিত ইস্যু ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা বা এক্সপোজার লিমিট ক্রয়মূল্যে গণনা নিয়ে এক যুগের দাবিও পূরণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জনিয়েছে, এই বিনিয়োগসীমা গণনা করা হবে শেয়ারের ক্রয়মূল্যে।
এই দুই সুখবরে দারুণ এক সপ্তাহ পার করা পুঁজিবাজারে নতুন ইস্যু জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি। গত শুক্রবার ডিজেল লিটারে ৩৪ টাকা আর পেট্রল ৪৪ ও অকটেন ৪৬ টাকা বাড়ানোর পর অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
উৎকণ্ঠার মধ্যে রোববার পুঁজিবাজারে দিনভর উঠানামার পর ৮ পয়েন্টের দরপতন কিছুটা স্বস্তিই দেয়। লেনদেন টানা চার কর্মদিবসে এক হাজার কোটি টাকার বেশি থাকাটাও ছিল স্বস্তির আরেক কারণ।
ভাবা হয়েছিল তেল ইস্যুতে পুঁজিবাজারে হয়ত তেমন প্রভাব পড়বে না। তবে তা ভুল প্রমাণ হয় পরদিনই।
সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত সূচক অনেকটাই বেড়ে লেনদেন হলেও এর পরের সাড়ে তিন ঘণ্টায় পড়ে যায়। এর মধ্যে শেষ ৩৫ মিনিটের পতন ছিল বেশি। এই সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইতে সাধারণ সূচকের পতন হয় ২৭ পয়েন্ট।
আগের সপ্তাহে ৩৩১ পয়েন্ট সূচক বাড়ার পর চলতি সপ্তাহের দুই দিনে কমল ৫৩ পয়েন্ট।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে অনেকটাই। আগের দিন এক হাজার ১১৭ কোটি ৩৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হলেও সেটি কমে হয়েছে ১ হাজার ৮৩ কোটি ৪৬ লাখ ৭ হাজার টাকা।
গত ২ আগস্ট লেনদেন হাজার কোটি টাকার ঘর ছাড়ানোর পর এটিই সর্বনিম্ন লেনদেন।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির শেয়ারের যতগুলোর দাম বেড়েছে, কমেছে তার দ্বিগুণের বেশি।
১০৩টির দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে ২১১টির। আগের দামেই লেনদেন হয়েছে ৬৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের।
রোববার পুঁজিবাজারের পতনকে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নয় বরং স্বাভাবিক দর সংশোধন হিসেবে দেখছেন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টানা কয়েক দিন বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। যার কারণে আজ কিছুটা প্রফিট টেকিং হয়েছে। ফলে সূচক কমেছে, লেনদেন কিন্তু হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের বাজারে দেখা যায় ১ থেকে ২ টাকা বাড়লেই শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা গ্রহণের প্রবণতা রয়েছে। সেখানে কয়েকদিনের বৃদ্ধিতে আজ প্রফিট টেকিং খুবই স্বাভাবিক।’
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ দর বেড়েছে কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। ২৮ জুলাই থেকে দরবৃদ্ধি শুরু হয়। মাঝখানে এক দিন কমলেও পর পর দুই দিন উত্থানের মধ্য দিয়ে সোমবার সর্বশেষ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৪ টাকা ৯০ পয়সায়।
এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ দর বৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ২৮ জুলাইয়ে ২৪ টাকা ৩০ পয়সায় প্রতিটি শেয়ার লেনদেনের পর থেকেই দর বাড়ছে।
সোমবার ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়ে প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯ টাকা ২০ পয়সায়।
নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিডি থাই ফুড দর বৃদ্ধির তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কোম্পানির দর বাড়ছে ২৮ জুলাই থেকেই। ওই দিন শেয়ারের দাম ছিল ৩৪ টাকা ৫০ পয়সা।
আজ ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়ে প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪১ টাকা ১০ পয়সায়।
এ ছাড়া শীর্ষে দশে জায়গা করে নিয়েছে গোল্ডেন সান লিমিটেড, সি পার্ল বিচ, শাশা ডেনিমস, হা-ওয়েল টেক্সটাইল, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, তৌফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম ও একমি পেস্টিসাইডস।
দর পতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি দর কমেছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের। ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ দর কমে সর্বশেষ শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ১৩২ টাকা ৯০ পয়সায়।
৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ দর কমেছে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফাস ফাইন্যান্সের। ১৯ জুলাই থেকে দর বাড়ছে কোম্পানিটির। ওই দিন ৫ টাকায় লেনদেন হওয়া প্রতিটি শেয়ার সোমবার সর্বশেষ হাতবদল হয়েছে ৬ টাকা ৩০ পয়সা। রোববার ছিল ৬ টাকা ৭০ পয়সায়।
দর পতনের তৃতীয় স্থানে থাকা আরেক লোকসানি কোম্পানি ফারইস্ট ফাইন্যান্সের শেয়ারও সর্বশেষ ৬ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে দর কমেছে ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
২০ জুলাই ৫ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে দর বৃদ্ধির পরে দুই কর্মদিবস দর কমল।
এ ছাড়া তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে ঋণ কেলেঙ্কারিতে ডুবে থাকা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ইনডেক্স অ্যাগ্রো, ইসলামিক ফাইন্যান্স, রিজেন্ট টেক্সটাইল, লোকসানি ইউনিয়ন ক্যাপিটাল ও সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ।
সূচক কমাল যারা
সবচেয়ে বেশি ৬ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট সূচক কমেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর দরপতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমিয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে ২ দশমিক ৩১ শতাংশ।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ৩ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট।
এ ছাড়া আইসিবি, বেক্সিমকো ফার্মা, ওয়ালটন হাইটেক, স্কয়ার ফার্মা, গ্রামীণফোন, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ২৮ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট।
সূচক বাড়াল যারা
সবচেয়ে বেশি ১ দশমিক ০৫ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক বন্ড। বন্ডটির দর ২ দশমিক ৩ শতাংশ দর বেড়েছে।
সি পার্ল বিচের দর ৬ দশমিক ৪২ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭ পয়েন্ট।
সোনালী পেপার সূচকে যোগ করেছে শূন্য দশমিক ৫৬ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ১ দশমিক ৫ শতাংশ।
এছাড়া ইবনেসিনা, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, কপারটেক, বিডি থাই ফুড, একমি পেস্টিসাইডস ও শাশা ডেনিমস সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য