ফ্লোর প্রাইস আর পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিট ইস্যুতে দারুণ একটি সপ্তাহ পার করা পুঁজিবাজারে নতুন সপ্তাহের শুরু হলো কিছুটা দরপতনের মধ্য দিয়ে।
রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ সূচক ৮ পয়েন্ট হারালেও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পরবর্তী বিষয়টি বিবেচনায় নিলে বিষয়টি স্বস্তিকরই বলা যায়।
ফ্লোর প্রাইস ও এক্সপোজার লিমিট দেয়ার আগে বৈশ্বিক বা দেশের অর্থনীতি নিয়ে চাপের বা উৎকণ্ঠার যে কোনো আশঙ্কায় পুঁজিবাজার বড় দরপতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।
শুক্রবার থেকে দেশে চার ধরনের জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে লিটারে ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা পরযন্ত বাড়ানো হয়। এতে পরিবহন ভাড়া ও সেচের খরচ বেড়ে দিয়ে এমনিতেই মূল্যস্ফীতির দিক দিয়ে চাপে থাকা অর্থনীতিতে নতুন চাপের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
লেনদেন শুরু হওয়ার ৪ মিনিটেই সূচক ২৪ পয়েন্ট কমে গিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়। তবে মিনিট পাঁচেক পরেই সেখান থেকে ৫১ পয়েন্ট বাড়ার পর শঙ্কা দূর হয়।
এরপর দিনভর সূচক একবার কিছুটা বেড়ে, একবার কমে। শেষ বেলায় কিছুটা বিক্রয় চাপে সূচক হারানেরা মধ্য দিয়ে শেষ হয় লেনদেন।
সূচকের পাশাপাশি কিছুটা কমেছে লেনদেন, তবে টানা চার কর্মদিবস তা হাজার কোটি টাকার বেশি হলো।
বেলা শেষে হাতবদল হয় ১ হাজার ১১৭ কোটি ৩৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা, যা আগের দিন ছিল ১ হাজার ১৯০ কোটি ২৬ লাখ ৫ হাজার টাকা।
নানামুখী সংকটে পতনমুখী পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে গত ২৮ জুলাই প্রতিটি শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
৩১ জুলাই থেকে বিষয়টি কার্যকরের দিন সূচকের উত্থান হয় ১৫৩ পয়েন্ট, যা বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
এদিকে দীর্ঘদিনের চাওয়া ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিট ক্রয়মূল্যে গণনার যে দাবি ছিল তা বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের সম্মতি চেয়ে বাংলাদেশে ব্যাংক ১৮ জুলাই যে চিঠি দেয় তার উত্তরে মন্ত্রণালয় একটি কৌশলী মতামত দেয়। মন্ত্রণালয় বলছে, শেয়ারের ক্রয়মূল্যকেই বাজার মূল্য হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
এই দুই নীতিগত সিদ্ধান্তের ফলে আতঙ্ক কাটিয়ে বিনিয়োগ ফিরতে শুরু করেন সব শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা। ফলে গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইসর সাধারণ সূচক বাড়ে ৩৩১ পয়েন্ট। এ ছাড়াও আগের সপ্তাহের তুলনায় লেনদেন প্রায় ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৪টির। বিপরীতে দর কমেছে ১৮৭টির এবং আগের দরেই লেনদেন হয়েছে ৬৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
লেনদেন নিয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, ‘জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বাজার পতনের যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, বলা যায় যে, সেটা হয়নি। কারণ, আতঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের যেসব ইতিবাচক সিদ্ধান্ত এবং পুঁজিবাজারবান্ধব মনোভাব মানুষ বুঝতে পেরেছে। যার কারণে কিছুটা আস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনের ক্যালকুলেশনে বাজারকে মূল্যায়ন করা যায় না। সব মিলিয়ে বাজার খারাপ নাই। আজ যতটুকু সূচক কমেছে এটা সামান্য দর সংশোধনও বলা যায়। কয়েক দিন উত্থানের পরে আজও হয়ত অনেকেই কিছু প্রফিট তুলেছে।’
সূচক কমাল যারা
সবচেয়ে বেশি ৫ দশমিক ২২ পয়েন্ট সূচক কমেছে বেক্সিমকো লিমিটেডের দর পতনে। কোম্পানিটির দর কমেছে ১ দশমিক ৮ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট কমিয়েছে বার্জার পেইন্টস। কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
ওয়ালটন হাইটেকের দর শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ৩ দশমিক ৩ পয়েন্ট।
এ ছাড়া বিকন ফার্মা, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংক, ইবিএল, ম্যারিকো ও আইএফআইসি ব্যাংকের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ২৭ দশমিক ০৯ পয়েন্ট।
সূচকে পয়েন্ট যোগ যাদের
সবচেয়ে বেশি ১২ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে গ্রামীণফোন। কোম্পানিটির দর ১ দশমিক ২৩ শতাংশ দর বেড়েছে।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর দর ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৯ দশমিক ৮ পয়েন্ট।
লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ সূচকে যোগ করেছে ৮ দশমিক ১৩ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
এ ছাড়া আইসিবি, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউনিক হোটেল, সি পার্ল, পদ্মা অয়েল, যমুনা অয়েল এবং এমজেএল বাংলাদেশ সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্টের। গত বছর লোকসান কাটিয়ে শেয়ার প্রতি ৬১ পয়সার মুনাফায় ফিরেছে কোম্পানি। ২৪ জুলাই থেকে ধারাবাহিকভাবে দর বাড়ছে শেয়ারটির। ওই দিন ৪৩ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হওয়া প্রতিটি শেয়ারের দর আজ ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়ে ৫৩ টাকা হাতবদল হয়েছে।
রংপুর ডেইরি ও ফুড প্রোডাক্টস দর বৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ২৮ জুলাইয়ে ৩৫ টাকা ২০ পয়সায় প্রতিটি শেয়ার লেনদেনের পর থেকেই দর বাড়ছে।
রোববার ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়ে প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪২ টাকা ৭০ পয়সায়।
তৃতীয় স্থানে থাকা দ্য পেনিনসুলা চিটাগংয়ের দরও ২৮ জুলাই থেকেই বাড়ছে। ওই দিন শেয়ারের দাম ছিল ২৬ টাকা ৯০ পয়সা। আজ ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়ে প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩১ টাকা ৩০ পয়সা।
এ ছাড়া শীর্ষে দশে জায়গা করে নিয়েছে প্যাসিফিক ডেনিমস, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং স্টেশন, রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, লোকসানি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানি ও ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
দর পতনের শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি দর কমেছে হা-ওয়েল টেক্সটাইলের। ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ দর কমে সর্বশেষ শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ৫৪ টাকা ৪০ পয়সায়।
৫ দশমিক ১৮ শতাংশ দর কমেছে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের। প্রতিটি শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ১৪০ টাকা ৭০ পয়সা। বৃহস্পতিবার এটি ছিল ১৪৮ টাকা ৪০ পয়সায়।
এর পরেই ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ দর কমে সর্বশেষ ২৬১ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে লোকসানি কোম্পানি সাভার রিফ্যাক্টরিজের শেয়ার।
এ ছাড়া তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, অ্যাম্বি ফার্মা, লোকসানি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি, কেপিপিএল, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ওয়াটা কেমিক্যালস ও এইচ আর টেক্সটাইল লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য