স্বর্ণের দাম আরও বেড়েছে। ছয় দিনের ব্যবধানে সবচেয়ে ভালো মানের মূল্যবান এই ধাতুটির দাম ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৮২ হাজার ২৪৭ টাকা করা হয়েছে।
অন্যান্য মানের স্বর্ণের দামও প্রায় একই হারে বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে নতুন দর কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় টানা তিন দফা দাম কমানোর পর গত ২৬ জুলাই প্রতি ভরি সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৩৪১ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। দুই দিনের ব্যবধানে ২৮ জুলাই আরও ২ হাজার ৭৪১ টাকা বাড়ানো হয়। বুধবার ভরিতে আরও ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
সব মিলিয়ে আট দিনের ব্যবধানে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৫ হাজার ১৩২ টাকা বাড়ল।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর বা ১০০ শতাংশ খাটি স্বর্ণ) মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাজুস।
এর আগে ১৭ জুলাই সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হয়েছিল। তার আগে ৬ জুলাই একই পরিমাণ কমানো হয়।
এরপর ২৬ জুলাই থেকে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে।
বুধবার পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৮১ হাজার ২৯৮ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
ছয় দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর কারণ জানতে চাইলে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণসংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবার আমরা দাম বাড়িয়েছি মূলত স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধির কারণে। তেজাবি স্বর্ণ আমদানি করা হয় না। এটি দেশেই পাওয়া যায়। এই স্বর্ণ একেবারে পিওর বা ১০০ শতাংশ খাঁটি। আমাদের তাঁতীবাজারের ব্যবসায়ীরা সারা দেশ থেকে পুরোনো স্বর্ণ কিনে সেগুলো মেশিনে দিয়ে খাদ বাদ দিয়ে যে স্বর্ণ আলাদা করে, সেটাকেই পিওর বা ১০০ শতাংশ খাঁটি স্বর্ণ বলে। এটাকে আমরা তেজাবি স্বর্ণ বলি।’
‘এই স্বর্ণের দামই গত কয়েক দিনে বেশ বেড়েছে। সে কারণেই আমরা দাম বাড়িয়েছি।’
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত ৮ মার্চ দেশের বাজারে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। তার চার দিন আগে ৪ মার্চ বাড়ানো হয়েছিল ভরিতে ৩ হাজার ২৬৫ টাকা।
এরপর বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমতে শুরু করায় ১৫ মার্চ দেশের বাজারে ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় বাজুস। ২১ মার্চ কমানো হয় ভরিতে আরও ১ হাজার ৫০ টাকা।
কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় ১১ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৮৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস।
এরপর আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় ২৫ এপ্রিল প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হয়। ১০ মে একই পরিমাণ কমানো হয়েছিল।
দুই দফায় ভরিতে ২ হাজার ৩৩২ টাকা কমানোর পর ১৭ মে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়ানো হয়।
চার দিনের ব্যবধানে ২১ মে সেই স্বর্ণের দাম এক ধাক্কায় ভরিতে ৪ হাজার ১৯৯ টাকা বাড়িয়ে দেয় বাজুস। অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে স্বর্ণের দাম উঠে যায় ৮২ হাজার ৪৬৬ টাকায়।
বিশ্বাজারে দাম কমায় ২৬ মে সেই স্বর্ণের দাম ভরিতে ২ হাজার ৯১৬ টাকা কমিয়ে ৭৯ হাজার ৫৪৮ টাকায় নামিয়ে আনা হয়। প্রায় দেড় মাস পর ৬ জুলাই আরও ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় বাজুস।
বাজুসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বুধবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণসংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
‘বৃহস্পতিবার থেকে এই নতুন দর কার্যকর হবে।’
বিশ্ববাজারে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম, ২.৬৫ ভরি) স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৭৫৭ ডলার ৭২ সেন্ট। এর আগে ২৮ জুলাই রাতে যখন স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়, তখন প্রতি আউন্সের দাম ছিল ১ হাজার ৭৫০ ডলার ৬৮ সেন্ট।
মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বাড়তে বাড়তে ২ হাজার ৬০ ডলারে উঠেছিল।
১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রামে এক ভরি।
বৃহস্পতিবার থেকে সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ কিনতে লাগবে ৮২ হাজার ৩৪৭ টাকা। বুধবার পর্যন্ত এই মানের স্বর্ণ ৮১ হাজার ২৯৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বেড়েছে ১ হাজার ৫০ টাকা।
২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরিতে একই পরিমাণ বেড়ে ৭৮ হাজার ৬১৫ টাকা হয়েছে। এই ছয় দিন ৭৭ হাজার ৫৬৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে এই মানের স্বর্ণ।
১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ৯৩৩ টাকা বেড়ে হয়েছে ৬৭ হাজার ৪১৮ টাকা। বুধবার পর্যন্ত ৬৬ হাজার ৪৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
আর সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ৫২৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ৫৫ হাজার ৬৯৬ টাকা। এই কয় দিন এই মানের স্বর্ণ ৫৫ হাজার ১৭১ টাকা ভরিতে বিক্রি হয়েছে।
রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের দামেই বিক্রি হবে এই ধাতু।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সকল স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না জানানো পর্যন্ত বাজুসের বেঁধে দেয়া দামে স্বর্ণ বিক্রি করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় অবৈধভাবে ডিজেল ও পেট্রল মজুতের অপরাধে তিন ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলার কেশরগঞ্জ বাজারে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা আদায় করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদুল করিম।
তিনি বলেন, ‘গোপনে জানতে পারি, জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় মজুতদাররা অবৈধভাবে ডিজেল ও পেট্রল মজুদ করেছেন। অভিযান চালিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়। এ সময় মো. ইসমাইল, আলী হোসেন এবং ওমর ফারুকের দোকান থেকে ১২ হাজার লিটার ডিজেল ও ৩ হাজার লিটার পেট্রল জব্দ করা হয়।’
ইউএনও বলেন, ‘পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ রাখার লাইসেন্স নেই তিন ব্যবসায়ীর। পেট্রোলিয়াম আইন ভঙ্গের দায়ে তাদের ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
গত অর্থবছরে (২০২১-২২) শেয়ারবাজার, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন খাতে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করতে যে সুযোগ সরকার দিয়েছিল, তাতে খুব কমই সাড়া মিলেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড–এনবিআরের চূড়ান্ত হিসাবে দেখা গেছে, সব মিলিয়ে ২ হাজার ৩১১ জন সুযোগটি গ্রহণ করে টাকা বৈধ করেছেন। এর বিপরীতে সরকারি কোষাগারে আয়কর জমা পড়েছে ১১৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
গত ৩০ জুন কালো টাকা বৈধ করার সুযোগটি শেষ হয়ে যায়। এর মেয়াদ আর বাড়ানো হয়নি।
অপ্রদর্শিত আয় সাধারণভাবে কালো টাকা নামে পরিচিতি পেয়েছে। আর সেটি মানুষের আয়ের হিসাবে আসাকে টাকা সাদা করা বলা হয়ে থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনবিআরের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শর্ত কঠিন থাকায় করদাতারা আগ্রহ দেখাননি। ফলে প্রত্যাশিত ফলাফল আসেনি।’
এর আগের অর্থবছর ১২ হাজারের বেশি করদাতা টাকা সাদা করেন। বিপরীতে সরকার প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা আয়কর পায়। স্বাধীনতার পর ওই বছর সবচেয়ে বেশিসংখ্যক করদাতা এ সুযোগ নেন।
চলতি অর্থবছরে কালো টাকার সুযোগ না দিলেও দেশ থেকে পাচার করা টাকা ফেরত আনতে সুযোগ দিয়েছে সরকার। যদিও প্রকারান্তরে কালো টাকার মালিকদের সুযোগ দেয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যাদের বৈধ আয় আছে এবং টাকা বিদেশে সঞ্চিত আছে, শুধু তারাই বিশেষ এ সুবিধা পাবেন।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সব সরকারই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছে। তবে গত অর্থবছরে শেষবারের মতো সুযোগটি দেয়ার সময় শর্ত কঠিন করা হয়।
গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে একজন করদাতাকে সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ পর্যন্ত কর দিতে হয়েছে। এত বেশি কর দিয়ে টাকা বৈধ করতে অনেকেই নিরুৎসাহিত হন বলে মনে করেন এনবিআর কর্মকর্তারা।
সেবার শেয়ারবাজার, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, নগদ অর্থ, সঞ্চয়পত্র, জমি ও অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে টাকা বৈধ করার সুযোগ দেয়া হয়।
সুযোগটি গ্রহণ করার বিষয়ে শর্ত হিসেবে বলা হয়, কেউ উল্লিখিত খাতগুলোতে ২৫ শতাংশ এবং তার সঙ্গে জরিমানা হিসেবে ‘অতিরিক্ত’ ৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার ঘোষণা দিতে পারবেন। এ জন্য এনবিআর, দুদক কিংবা সরকারের অন্য গোয়েন্দা সংস্থা আয়ের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করবে না। এই হিসাবে দেখা গেছে, প্রায় ২৭ শতাংশ কর দিয়ে সুযোগটি নিতে হয়।
এর আগের অর্থবছরে কেবল ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। এ কারণে অনেকেই এগিয়ে এসেছিল।
কোন খাতে টাকা সাদা
এনবিআরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত অর্থবছরের সবচেয়ে বেশি টাকা সাদা হয়েছে নগদ অর্থ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ ও সঞ্চয়পত্রে।
এসব খাতে ২ হাজার ২৫১ জন কালো টাকা সাদা করার ঘোষণা দেন। এর বিপরীতে কর আহরণ হয় প্রায় ১১৩ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারে টাকা সাদা করেছেন কেবল ৫১ জন। এ খাত থেকে কর আদায় ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
৯ জন উদ্যোক্তা নতুন শিল্প স্থাপনে সাড়া দেন। এর বিপরীতে কর পরিশোধ করেন ৯ লাখ টাকা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কালো টাকা সাদা করার সযোগ দিয়ে সৎ করদাতাদের প্রতি অবিচার করছে সরকার। তাছাড়া এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থি।’
এনবিআরের সাবেক সদস্য আমিনুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান আইনে ভলান্টারি ডিসক্লোজার বা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে কালো টাকা বৈধ করার যে সুযোগ আছে, এটি প্রায় অকার্যকর। গতবার যে সুযোগ দেয়া হয়েছে, তা একই ধরনের। ফলে ভালো ফলাফল আসেনি।’
সুযোগ থাকছেই
বাজেটে ঘোষণা না এলেও টাকা সাদা করার সুযোগ একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। কারণ, বাজেটের বাইরে আরও তিনটি খাতে আগে থেকেই কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ রয়েছে।
১০ শতাংশ কর দিয়ে হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ করলে আয়ের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করা হবে না। রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিনিয়োগে একই সুবিধা দেয়া রয়েছে। এ ছাড়া সিটি ও পৌর করপোরেশনের মধ্যে এলাকাভেদে ফ্ল্যাটে প্রতি বর্গমিটারে নির্ধারিত কর দিয়ে টাকা বৈধ করা যায়।
স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে জরিমানা দিয়ে টাকা সাদা করার স্থায়ী সুযোগ অনেক আগে থেকে দেয়া আছে।
আরও পড়ুন:আমদানি খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় অর্থনীতিতে যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছিল, সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা পদক্ষেপে তা কমতে শুরু করেছে। ঋণপত্র খোলার হার কমে যাওয়ার পাশাপাশি নিষ্পত্তির হারও কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন বলছে, জুলাইতে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) নিষ্পত্তি হয়েছে ৬৫৮ কোটি ডলার, যা জুনের তুলনায় ১১৭ কোটি ডলার কম।
জুন মাসে এলসি নিষ্পত্তি ছিল ৭৭৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে এলসি নিষ্পত্তি কমেছে ০৯ দশমিক ২৩ শতাংশ।
বর্তমান অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমদানি কমাকে দেশের অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা। তারা বলছেন, এই মুহূর্তে এটারই খুব দরকার। আমদানি কমলে ডলারের বাজারও স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
জুলাই মাসে ৫৫৫ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে, যা জুনে ছিল ৭৯৬ কোটি ডলার। অর্থাৎ জুন থেকে জুলাই মাসে এলসি খোলা কমেছে ৩০ দশমিক ২০ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে এলসি নিষ্পত্তি হয় ৬৮৫ কোটি ডলার।
ফেব্রুয়ারিতে এলসি নিষ্পত্তি কমে ৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। ওই মাসে নিষ্পত্তি ৬৫৫ কোটি ডলার।
কিন্তু মার্চে এলসি নিষ্পত্তি বেড়ে যায় ১২ দশমিক ২ শতাংশ। এ সময় নিষ্পত্তি হয় ৭৬৭ কোটি ডলার।
এপ্রিলে ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়ে ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয় ৬৯৩ কোটি ডলার।
মে মাসে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমে হয় ৭২৫ কোটি ডলার।
অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ঋণপত্র নিষ্পত্তির হার আবার বেড়ে যায়। জুনে ঋণপত্র নিষ্পত্তি ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেড়ে হয় ৭৭৫ কোটি ডলার।
আগস্টে এ পর্যন্ত ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৯২২ কোটি ডলারের।
গত চার মাস ধরে ডলারের সংকট চলছে। কারণ, আমদানি যে হারে বেড়েছে, রপ্তানি সে হারে বাড়েনি। এর ফলে অব্যাহতভাবে বাড়ছে ডলারের দাম, আর টাকার মান কেবলই কমছে। এক মাসের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ৫ শতাংশের বেশি। আর এক বছরের ব্যবধানে কমেছে ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ।
বর্তমানে আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে এক ডলারের জন্য খরচ করতে হচ্ছে ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা। তবে সব ব্যাংকেই নগদ ডলারের দাম বেড়ে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। কোনো কোনো ব্যাংক ১০৫ থেকে ১০৮ টাকায় বিক্রি করছে। কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে গত মঙ্গলবার সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ১১২ টাকায় বেচাকেনা হয়। পরে সেখান থেকে কিছুটা কমেছে।
রিজার্ভ থেকে ডলার ছেড়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিনিয়ত দামও বাড়িয়েছে। এরপরও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না ডলারের দাম। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১১৪ কোটি ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এ কারণে দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে।
আরও পড়ুন:বিশ্বের সবচেয়ে কম দামে পেট্রল মেলে ভেনেজুয়েলায়। লিটার বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ পেন্সে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ টাকা ৯ পয়সা)। এর কারণ বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলের রিজার্ভ রয়েছে কমিউনিস্টশাসিত দেশটিতে। পাশাপাশি জ্বালানি খাতে বিপুল ভর্তুকি দিচ্ছে দেশটির সরকার।
আক্ষরিক অর্থেই ভেনেজুয়েলায় জ্বালানি তেলের দাম পানির চেয়ে কম। দেশটিতে জ্বালানি খাতে প্রচুর ভর্তুকি দেয়া হয়। তবে তেলের এই পানির দাম দেশটির অর্থনীতিতে তেমন প্রভাব রাখছে না। মাত্রাতিরিক্ত মুদ্রাস্ফীতি দেশটির মুদ্রা বলিভারকে প্রায় মূল্যহীন করে দিয়েছে।
ডলারে ভেনেজুয়েলায় এক লিটার গ্যাসোলিনের দাম লিটারপ্রতি যেখানে ০.০২২ সেন্ট, সেখানে ৩৫৫ মিলিলিটার পানির একটি বোতল কিনতে খরচ হয় ০.০৮৮ সেন্ট, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৩.৭৪ টাকা।
অন্যদিকে দুধের দাম লিটারপ্রতি ১৫৪ টাকা। আর এক পাউন্ডের একটি রুটির জন্য গুনতে হয় ১৭০ টাকা।
ভেনেজুয়ালার চেয়েও কম দামে ডিজেল মেলে ইরানে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ১ টাকা ৫ পয়সা। আর গ্যাসোলিন লিটারপ্রতি ৫ টাকা ৪ পয়সা।
ভেনেজুয়েলার নাগরিকরা প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজের উদার ভর্তুকি বেশ উপভোগ করেন। তবে এ সুবিধা পান কেবল ভেনেজুয়েলার নাগরিকরা। ইরান ও সৌদি আরবের মতো তেলসমৃদ্ধ ভেনেজুয়েলাও নিজেদের নাগরিকদের জন্য জ্বালানিকে সহজলভ্য করছে।
তবে প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর ভেনেজুয়েলাকে গরিব রাষ্ট্র হিসেবেই চেনে বিশ্ব। শ্যাভেজ এবং মাদুরোর সমর্থকরা বলছেন, ভেনেজুয়েলার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় ধুঁকতে হচ্ছে তাদের। তবে সমালোচকদের দাবি, এ জন্য দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতিই দায়ী।
ভেনেজুয়েলা ফাইন্যান্স অবজারভেটরির তথ্য অনুযায়ী, তিন শতাধিক কোম্পানির ওপর সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, কর্মীদের গড় বেতন ৫ হাজার ৪৩ টাকা! পেশাদার এবং প্রযুক্তিবিদদের গড় বেতন ৯ হাজার ৫১৬ টাকা। আর একটি কোম্পানি পরিচালনার গড় ব্যয় ২০ হাজার ৫৫৫ টাকা।
তাত্ত্বিকভাবে ভেনেজুয়েলায় ১ ডলারে প্রায় ৫ বিলিয়ন গ্যালন পেট্রল কিনতে পারবেন যা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান রাজ্য এক বছর চলতে পারবে। আর আপনি ভাগ্যবান হলে আরও বেশি পাবেন।
আন্দ্রেস বেলো ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটির (ইউসিএবি) গবেষকরা ২০২০-২০২১ সালে একটি জরিপ চালায়। এতে দেখা গেছে, দেশের ২৮ মিলিয়ন বাসিন্দার মধ্যে ৭৬.৬ শতাংশ বাস করে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে। গত বছরে তা বেড়েছে ৬৭.৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন:জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে এর প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করছে একদল শিক্ষার্থী। ‘বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা’ ব্যানারে এই কর্মসূচি চলছে।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা ‘তেল ডিজেলের দাম কমাও কৃষক বাঁচাও’, ‘তেলের দাম কমিয়ে দে’ ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্লাকার্ড বহন করেন।
শিক্ষার্থীদের এই প্লাটফর্মের অন্যতম সমন্বয়ক মহিদুল ইসলাম দাউদ বলেন, ‘শনিবার রাত থেকে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রাতেও আমরা এখানে অবস্থান করেছি। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি চলবে।’
অবস্থান কর্মসূচি থেকে পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধিরও প্রতিবাদ জানানো হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম আপন বলেন, ‘স্বাধীনতার পর এভাবে এতো বিশাল অংকে কখনোই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়নি। এর প্রভাবে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ছে। পণ্য পরিবহনের ব্যয়ও বাড়ছে। তেলের এ দাম বাড়ানোকে অযৌক্তিক। এটা প্রত্যাহার করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহিম আহমেদ বলেন, জ্বালানি তেলের দাম এই দফায় প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। আমরা দেখেছি, গত বছরও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর এর প্রভাবে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে।
‘আজ প্রতিটি জিনিসের দাম নাগালের বাইরে। এ পরিস্থিতিতে এমন মাত্রায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোটা সাধারণ মানুষকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দেয়ার নামান্তর। আমরা চাই রাষ্ট্র অন্তত সেবা খাতগুলোতে ভর্তুকি বহাল রাখুক। আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না।’
শিক্ষার্থীদের এই অংশটি এর আগে শনিবার শাহবাগ মোড়ের মাঝখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। সন্ধ্যার সময় তারা শাহবাগ মোড় থেকে সরে আসেন।
আরও পড়ুন:মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে ভারতের পণ্য ট্রান্সশিপমেন্টের ট্রায়াল রানের (পরীক্ষামূলক পণ্য পরিবহন) জাহাজ।
রোববার সকাল ৭টার দিকে ‘এমভি রিশাদ রায়হান’ জাহাজটি মোংলা বন্দরে কাছে নোঙর করে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দীন।
তিনি বলেন, ‘গত ১ আগস্ট কলকাতা বন্দর থেকে জাহাজটি ছেড়ে আসে। এর পর রোববার সকাল ৭টার দিকে মোংলা বন্দরে পৌঁছায়।
‘আগামীকাল সোমবার সকাল ৮টার দিকে জাহাজটি মোংলা বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে এসে ভিড়বে। তারপর জাহাজের মালামাল খালাস করা হবে।’
তিনি জানান, জাহাজে দুটি কনটেইনার রয়েছে। তার মধ্যে একটিতে রয়েছে ১৬ টন লোহার পাইপ। সেগুলো খালাসের পর তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ভারতের মেঘালয়ে যাবে।
অপর কনটেইনারে রয়েছে সাড়ে ৮ টন প্রিফোম। সেগুলো খালাসের পর কুমিল্লার বিবিরবাজার সীমান্ত দিয়ে আসামে যাবে।
‘অ্যাগ্রিমেন্ট অন দ্য ইউজ অব চট্টগ্রাম অ্যান্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভমেন্ট অব গুডস টু অ্যান্ড ফ্রম ইন্ডিয়া (এসিএমপি)’ চুক্তির আওতায় এ ট্রায়াল রান অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য সরবরাহ করতে দুই দেশের মধ্যে ২০১৮ সালের অক্টোবরে চুক্তি হয়।
এরপর প্রথমবারের মতো ট্রায়াল রান হয়েছিল ২০২০ সালের জুলাইয়ে। তখন কলকাতা বন্দর থেকে পণ্যবাহী ছোট জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে স্থলপথে পণ্য আগরতলা নেয়া হয়েছিল। জাহাজে পণ্য ছিল ডাল ও রড। কিন্তু করোনা মহামারিসহ নানা জটিলতায় গত চার বছরে এ চুক্তির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
পরে ভারতের পক্ষ থেকে চারটি রুটে ট্রায়াল রানের অনুমতি চাওয়া হয়ছিল। তবে আপাতত দুটি স্থলবন্দর দিয়ে ট্রান্সশিপমেন্ট দিতে রাজি হয় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে সপ্তাহের একেক দিন একেক এলাকার শিল্পকারখানা বন্ধ রাখার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। জোনভিত্তিক কারখানা বন্ধ রেখে দৈনিক ৪৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে চাইছে সরকার।
রোববার বিদ্যুৎ ভবনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে এমন প্রস্তাব দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, অক্টোবরেই সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
বৈঠকে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিটিএমএ ও বিকেএমইএর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সপ্তাহে একেক দিন একেক এলাকার শিল্প-কলকারখানা বন্ধে সরকারের প্রস্তাব ব্যবসায়ীরা সানন্দে গ্রহণ করেছেন। এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে দেশে দিনে ৪৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘সেপ্টেম্বর থেকেই লোডশেডিং কমবে। আমরা উৎপাদন বাড়াব। গ্যাসের পরিমাণ বাড়িয়ে ব্যালেন্স করার চেষ্টা করব। অক্টোবর থেকে পুরোপুরি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দিকে যেতে পারব। তখন আর লোডশেডিং থাকবে না। সবাইকে অনুরোধ করব, একটু ধৈর্য্য ধরুন।’
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন শিল্পাঞ্চলে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। এক দিনে সব এলাকায় ছুটি না দিয়ে রেশনিংয়ের মাধ্যমে একেক দিন একেক এলাকায় ছুটি চালু করলে বিদ্যুতের কিছুটা সাশ্রয় হবে। লোডশেডিংও কিছুটা কমে আসবে। শিল্প-মালিকরা এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন।
বৈঠক শেষে এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে দিনে ৪৯০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। আমরা বলেছি যে কেবল ঢাকায় নয়, সারা দেশেই যেন এরকম ছুটি কার্যকর করা হয়।’
বিকেএমইএর সহ-সভাপতি ফজলে শামীম আহসান বলেন, ‘এক সময় যখন নিয়মিত লোডশেডিং হতো তখন এরকম ছুটির ব্যবস্থা চালু ছিল। সরকার চাচ্ছে এখন আবার সে ধরনের সূচি চালু করা হোক। তবে ডায়িং ও স্পিনিং ফ্যাক্টরিকে কিছুটা ছাড় দেয়া যায় কিনা সে বিষয়টি বিবেচনার প্রস্তাব দিয়েছি আমরা।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য