প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মতো রপ্তানি আয়েও বড় ধরনের উল্লম্ফন নিয়ে শুরু হলো নতুন অর্থবছর ২০২২-২৩।
এই অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৩৯৮ কোটি ৪৮ লাখ (প্রায় ৪ বিলিয়ন) ডলারের বিদেশি মুদ্রা দেশে এনেছেন রপ্তানিকারকরা, যা গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি এসেছে ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অস্থির বিশ্ব বাণিজ্য এবং কোরবানির ঈদের ছুটির কারণে আট-দশ দিন পোশাক কারখানাসহ অন্য সব কার্যক্রম বন্ধ থাকার পরও এই উল্লম্ফনকে দেশের অর্থনীতির জন্য ‘খুবই ভালো’ লক্ষণ হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদ ও রপ্তানিকারকরা।
তারা বলছেন, রেমিট্যান্সের পর রপ্তানি আয় বাড়ায় অর্থনীতিতে যে চাপ দেখা দিয়েছিল, তা অনেকটা কেটে যাবে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) মঙ্গলবার রপ্তানি আয়ের যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, গত ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের পুরো মাসে ৩৯৮ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার (প্রায় ৪ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি করছে বাংলাদেশ।
গত ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে আয় হয়েছিল ৩৪৭ কোটি ৩৪ লাখ (৩.৪৭ বিলিয়ন) ডলার।
লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৩৯২ কোটি (৩.৯২ বিলিয়ন) ডলার।
এ হিসাবেই প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। আর লক্ষ্যের চেয়ে বেড়েছে ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
জুলাই মাসের মোট রপ্তানি আয়ের মধ্যে ৩৩৬ কোটি ৬৯ লাখ (৩.৩৬) ডলার বা ৮৪ দশমিক ৫০ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক থেকে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ।
গত ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি করে ৫২ দশমিক শূন্য আট বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ। আগের অর্থবছরের (২০২০-২১) চেয়ে বেশি আয় হয়েছিল ৩৪ দশমিক৩৮ শতাংশ।
২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৮ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ধরেছে সরকার।
জুলাই মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১২ শতাংশের বেশি। এই মাসে ২১০ কোটি (২.১০ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা ১৪ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
আগামী দিনগুলোতেও রপ্তানি বাড়বে
দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাকশিল্প-মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ চেম্বারের বর্তমান সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নানা ধরনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে অর্থবছর শুরু করাটা অবশ্যই একটা ভালো দিক। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বাইরেও গত জুলাই মাসে কোরবানির ঈদের ছুটির কারণে ৮/১০ দিন সব পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল; চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমও বন্ধ ছিল।’
‘সেই কয়দিন আসলে কোনো রপ্তানি হয়নি। তারপরও ৪ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় দেশে এসেছে। পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে প্রায় সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার। এই সঙ্কটের সময় রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রপ্তানি আয় বাড়াটা খুবই দরকার ছিল। এর মধ্য দিয়ে রিজার্ভ বাড়বে। ডলারের বাজারে যে অস্থিরতা চলছে, সেটাও কেটে যাবে বলে আশা করছি।’
আগামী দিনগুলোতেও এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে-আশার কথা শুনিয়ে দেশের অন্যতম শীর্ষ পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ইভিন্স গ্রুপের কর্ণধার পারভেজ বলেন, ‘এ কথা ঠিক যে, যুদ্ধের কারণে আমাদের পোশাকের প্রধান বাজার ইউরোপ ও আমেরিকায় মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়ে গেছে। সে কারণে এখন সেখানকার মানুষদের খাদ্যের জন্য বেশি খরচ করতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে তারা পোশাক কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু অতিপ্রয়োজনীয় কম দামি পোশাক তাদের কিনতেই হবে। আমরা প্রচুর কম দামি পোশাক রপ্তানি করি। সে কারণে আমার মনে হয় না যে যুদ্ধের কারণে আমাদের রপ্তানিতে খুব একটা প্রভাব পড়বে।
‘এছাড়া যুদ্ধের উত্তেজনাও কমতে শুরু করেছে। চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে আমেরিকান ক্রেতারা চীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বাংলাদেশে আসছেন। ভিয়েতনাম থেকেও অনেক অর্ডার বাংলাদেশে আসছে। তাই আগামী দিনগুলোতে আমাদের রপ্তানি বাড়বে বলেই আমার কাছে মনে হচ্ছে।’
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক মঞ্জুর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যুদ্ধের প্রভাব রপ্তানি আয়ে পড়বে। তবে আমার মনে হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমাদের রপ্তানি খুব একটা কমবে না। কেননা, যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও দেশটির অর্থনীতিতে কোনো সংকট নেই। সে কারণে ওই দেশের লোকজন পোশাক কেনা কমিয়ে দেবে এমনটা আমার কাছে মনে হয় না।
‘তবে যুদ্ধের কারণে ইউরোপের দেশগুলো অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। সেখানে আমাদের রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তবে সুংবাদ হচ্ছে, যুদ্ধ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সেটা যদি হয়, তাহলে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না।’
নিট পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ-এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম যুদ্ধ এবং ঈদের ছুটির কারণে জুলাইয়ে রপ্তানি আয় বেশ কমে যাবে। কিন্তু তা হয়নি; মোটামুটি ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এটাকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।’
‘তবে এখানে একটি বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে, গত জুনে কিন্তু ৪ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় দেশে এসেছিল। জুলাই মাসে এসেছে ৩ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার কম।’
তিনি বলেন, ‘আশা করছি, যুদ্ধ পরিস্থিতি তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। আমাদের রপ্তানির ইতিবাচক ধারাও অব্যাহত থাকবে। বলা হচ্ছে, ইউরোপ-আমেরিকায় মূল্যস্ফীতির কারণে মানুজন পোশাক কেনা কমিয়ে দেবে। কিন্তু আমরা অতিপ্রয়োজনীয় পোশাক বেশি রপ্তানি করি। সে কারণে এ ধরনের পোশাক তাদের কিনতেই হবে।’
‘যতো সংকটই থাকুক না কেনো আমাদের প্রবৃদ্ধি হবে। হয়তো গত অর্থবছরের মতো অতো বেশি হবে না। তবে, রপ্তানি বাড়বে।’
পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৬.৬১ শতাংশ
মূলত পোশাক রপ্তানির ওপর ভর করেই জুলাই মাসে রপ্তানি বেড়েছে। ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। যা গত অর্থবছরের জুলাই মাসের চেয়ে ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেশি এসেছে ৬নদশমিক ৪৫ শতাংশ।
এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, জুলাইয়ে মোট রপ্তানি আয়ের মধ্যে ৮৪ দশমিক ৫০ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক থেকে। যার মধ্যে নিট পোশাক থেকে এসেছে ১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ। লক্ষ্যের চেয়ে বেশি এসেছে ৭ দশমিক ১৬ শতাংশ।
ওভেন পোশাক থেকে এসেছে ১দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ দশমিক ১১ শতাংশ। লক্ষ্যে চেয়ে বেশি আয় হয়েছে ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
জুলাইয়ে পোশাক খাত থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৩ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার।
এবার পাট খাতেও আশা জাগানিয়া শুরু
নতুন অর্থবছরে পাট খাতেও আশা জাগানিয়া শুরু হয়েছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে অন্য সব খাত ভালো করলেও কেবল পাট খাতেই রপ্তানি কমেছিল।
ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি থেকে ৬ কোটি ৩৯ লাখ ১০ হাজার ডলার দেশে এসেছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ।
গত অর্থবছরে পাট খাত থেকে রপ্তানি আয় আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩ শতাংশের মতো কম এসেছিল।
অন্যান্য খাত
অন্যান খাতের মধ্যে জুলাইয়ে ৬ কোটি ৩৯ লাখ ডলারের কৃষিপণ্য, ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার ডলারের হোম টেক্সটাইল, ৯ কোটি ৯৪ লাখ ১০ হাজার ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
হিমায়িত মাছ রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৩ কোটি ৬০ লাখ ৩০ হজার ডলার। ওষুধ রপ্তানি থেকে এসেছে ১ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
এছাড়া স্পেশালাইজড টেক্সটাইল রপ্তানি থেকে ১ কোটি ৬৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বাইসাইকেল ১ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার ডলার, ক্যাপ বা টুপি থেকে ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, প্লাষ্ট্রিক পণ্য থেকে ১ কোটি ৪৬ লাখ ২০ হাজার ডলার এবং হ্যান্ডিক্যাফট রপ্তানি থেকে ২৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:
টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। এতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বন্দর এলাকায়।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় গত বুধবার থেকে রোববার পর্যন্ত পাঁচদিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রাখেন বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ীরা।
সোমবার সকালে বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান আমদানি-রপ্তানি শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা পাঁচ দিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। আজ সকাল থেকে আবারও এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
‘ভারতের বিভিন্ন পণ্য বোঝাই ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তবে টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার কারণে পণ্য বোঝাই হাজার হাজার ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ওপারে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় দাঁড়িয়ে আছে। এতে করে বেনাপোল বন্দর এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।’
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূইয়া জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে পাঁচ দিন বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। আজ সকাল থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন:বিভিন্ন রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা করে ২০২৪ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন অর্থনীতিবিদ।
নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, এবার অর্থশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে ড্যারন আচেমোগলু, সাইমন জনসন ও জেমস রবিনসনকে। তারা প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে গড়ে ওঠে এবং সমৃদ্ধিতে কীভাবে প্রভাব রাখে, তা নিয়ে গবেষণা করেছেন।
সাইটে উল্লেখ করা হয়, নোবেলজয়ী তিনজন উদ্ভাবনী গবেষণা করেছেন, যাতে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলা বিষয় উঠে এসেছে।
তিনজনের গবেষণার বিষয়ে সাইটে আরও বলা হয়, সমৃদ্ধিতে প্রতিষ্ঠানের প্রভাব নিয়ে তাদের অন্তর্দৃষ্টি অনুযায়ী, গণতন্ত্র সহায়ক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ ডিম আমদানি সত্ত্বেও বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব নেই। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে দেশের বাজারে ডিমের দাম কমছে না।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ভারত থেকে আমদানি করা ডিমগুলো সাদা রঙের এবং এসব ডিম সাধারণত কিনে থাকেন বেকারি ব্যবসায়ীরা। সাধারণ ভোক্তারা বাদামি রঙের ডিম বেশি পছন্দ করেন। বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকার উপরে।
আমদানি করা পণ্য সাধারণত পাইকারি বাজারে দাম কমাতে প্রভাব রাখে। তবে এবার ডিমের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে।
রোববার যশোরের বেনাপোল ও নাভারণ বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, পাইকাররা প্রতি পিস ডিম বিক্রি করছেন ১৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে। ভারত থেকে ডিম আমদানি হলেও পাইকারি বাজারে এর কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।
সাদা ডিম ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সাদা ডিমের দাম কিছুটা কম থাকায় বেকারিতে এর চাহিদা একটু বেশি থাকে। অন্যদিকে সাধারণ ভোক্তার কাছে বাদামি রঙের ডিমের চাহিদা একটু বেশি। তাই সাদা ডিম আমদানি হলেও ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের দাম কমছে না।
বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিনয় কৃষ্ণ জানান, ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের পরিমাণ চাহিদার তুলনায় অনেক কম। সাদা ডিমের দাম কম থাকায় বেকারিতে এর চাহিদা বেশি। কিন্তু দেশে বাদামি ডিমের চাহিদা বেশি। বাদামি ডিমের ওজন ৬০ থেকে ৬৫ গ্রাম হয়ে থাকে, আর সাদা ডিমের ওজন হয় ৫০ থেকে ৫৫ গ্রাম। ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের বিক্রয় যথাযথভাবে না হলে পরবর্তী সময়ে আমদানিতে আগ্রহ কমতে পারে।
বেনাপোল ডিম ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ডিমের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে এবং চাহিদাও ভালো। তবে বাড়তি দরে ডিম কিনতে হচ্ছে, যার প্রভাব পাইকারি ও খুচরা বাজারে পড়ছে।
শার্শার নাভারণ এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল মান্নান বলেছেন, ‘ভারত থেকে ডিম আমদানি করে লাভ কী? খুচরা দোকানগুলোতে ভারত থেকে আমদানি করা ডিম পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে বাদামি রঙের ডিম ১৫ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। চাহিদাকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার।’
বেনাপোলের খুচরা ডিম ব্যবসায়ী রাসেল বলেন, ‘সিন্ডিকেট ডিমের দাম নির্ধারণ করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে ডিমের বাজার চড়া। এসএমএসের মাধ্যমে সিন্ডিকেট চক্র এর দর নির্ধারণ করে, যাতে নজর দেয়া প্রয়োজন।
‘ব্যবসায়ীদের ডিম কেনা ও বিক্রিমূল্য খতিয়ে দেখতে হবে এবং পাইকারি ও খুচরা বাজারে সমানতালে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় ডিমসহ সব কিছুর দাম অনেক বেশি।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের শার্শা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত ইয়াছমিন জানান, তারা নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করছেন। ক্রয়-বিক্রয় রসিদ, মূল্য তালিকা, বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কিনা সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ডিমের দামে কোনো কারসাজি হচ্ছে কিনা তাও যাচাই করা হবে।
আরও পড়ুন:জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্য রাত থেকে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ হয় গেছে। তা চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। আর ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে নদীতে অভিযান চালাচ্ছে মৎস্য বিভাগ।
লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার একশ’ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই একশ’ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার এ সময়ে সব রকমের ইলিশ আহরণ, পরিবহন, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ ও মজুদকরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। এই জেলায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। এদের মধ্যে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৪৩ হাজার।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার জন্য নদীতে মৎস্য বিভাগ, উপজেলা-জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে নদীতে অভিযান চলছে।
‘নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। এরপরও যারা আইন অমান্য করে নদীতে যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় শনিবার মধ্য রাত থেকে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। তা চলবে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারের মুক্তি চেয়ে আকুল আবেদন জানিয়েছেন তাঁর প্রতিষ্ঠান নাসা গ্রুপের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
গণমাধ্যমে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আবেদন জানানো হয়।
নাসা গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবেদনটি নিম্নরূপ:
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের প্রতি আকুল আবেদন
জনাব,
আস্সালামু-আলাইকুম।
গত ০১ অক্টোবর ২০২৪ইং তারিখ দিবাগত রাতে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার, পিতা. মৃত আনা মিয়া মজুমদার, মাতা. মৃত মাফিয়া খাতুনকে গুলশান থেকে গ্রেফতার করা হয়, তাঁকে যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলা নং ২৮ (৮)২৪-এ গ্রেফতার দেখিয়ে পরবর্তী দিন অর্থাৎ ০২ অক্টোবর ২০২৪ইং তারিখে ৭ দিনের জন্য রিমান্ড দিয়ে ডিবি হেফাজতে প্রেরণ করা হয়। রিমান্ড শেষে তাঁর জামিনের আবেদন বাতিল করে তাঁকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। একজন ৭০ বৎসর বয়স্ক ব্যক্তি ও দেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী যিনি ক্যান্সার, থাইরয়েড, হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত। ইতোপূর্বে একাধিকবার বিদেশে তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে এবং মেডিকেল চেকআপের তারিখ ইতোমধ্যে অতিক্রান্ত হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে তার শারীরিক পরীক্ষা ও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলতে চাই যে, তিনি কখনোই কোনো ধরনের রাজনৈতিক দলের সামান্য সদস্যপদও গ্রহণ করেন নাই। এবং কোনো রাজনৈতিক দলের হয়েও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন নাই ।
জনাব মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারের নেতৃত্বে নাসা গ্রুপের জন্ম ও বিস্তৃতি লাভ করে এবং দেশে ও বিদেশে সুনাম-সুখ্যাতিসহ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে যাচ্ছে। তাঁর নিরলস এবং অনেকটাই একক পরিশ্রমের ফলে আজ কোম্পানিতে প্রত্যক্ষভাবে ৩০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী সরাসরি এবং পরোক্ষভাবে কয়েক লাখ লোকের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে।
এমতাবস্থায়, জনাব মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারকে মিথ্যা, হয়রানিমূলক সাজানো মামলায় আসামি করে কারাগারে আটকে রেখে তাঁর জীবন হুমকির মধ্যে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে এবং সেই সাথে নাসা গ্রুপে যুক্ত বিপুল শ্রমিক-কর্মচারীর জীবন-জীবিকা হুমকির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে বিপুলভাবে অবদানকারী একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ীকে কারাগারে রেখে তাঁর সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ ও তদারকি ছাড়া প্রতিষ্ঠানসমূহ কোনোভাবেই পরিচালনা করা সম্ভবপর নয়। তাঁর বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় এবং দেশের শিল্প তথা ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বার্থে জনাব মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারকে এই সাজানো মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে অনতিবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি এবং আর যাতে তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো মিথ্যা ও সাজানো মামলা না দেওয়া হয় তার জন্য মহোদয়ের নিকট সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিনীত অনুরোধে
নাসা গ্রুপের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী
আরও পড়ুন:২২তম ডিএইচএল-দ্য ডেইলি স্টার বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ডসে ‘বেস্ট বিজনেস পারসন অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে সম্মানিত হয়েছেন আকিজ বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিন।
তার নেতৃত্ব, ব্যবসায়িক উদ্ভাবন এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার অসামান্য অবদানের জন্য তাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়।
সেখ বশির উদ্দিনের প্রতিষ্ঠিত ‘আকিজ বশির গ্রুপ’ বর্তমানে বহুমুখী গ্রুপ হিসেবে ১৮টি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। এর মধ্যে রয়েছে সিরামিকস, টেবিলওয়্যার, বাথওয়্যার, পাট, পার্টিক্যাল বোর্ডস, ডোরস, প্যাকেজিং, গ্লাস ও অন্যান্য।
প্রতিষ্ঠানটি তিনটি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং ২৫টিরও বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে। একই সঙ্গে ২৬ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা ও দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
দেশের অর্থনীতি ও সমাজে বিশেষ অবদান রাখা অগ্রগামী ব্যবসায়ীদের সম্মান জানায় ডিএইচএল-দ্য ডেইলি স্টার বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস।
এ বছর যে চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে সেগুলো হলো বিজনেস পারসন অফ দ্য ইয়ার, আউটস্ট্যান্ডিং উইমেন ইন বিজনেস, এন্টারপ্রাইজ অফ দ্য ইয়ার এবং বেস্ট ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন অফ দ্য ইয়ার।
আরও পড়ুন:সারাদেশে ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১’ শুরু করছে গ্লোবাল ইলেক্ট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন। ক্যাম্পেইনের এই সিজনেও ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতাদের জন্য থাকছে বিশেষ চমক।
সিজন-২১ এ ক্রেতাদের জন্য ‘ডাবল মিলিয়ন’ অফার ঘোষণা করেছে ওয়ালটন। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শো-রুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন অথবা বিএলডিসি ফ্যান কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন ২০ লাখ টাকা। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সুযোগ পাবেন ক্রেতারা।
বুধবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১’ এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা সাহা মীম। তিনি দেশব্যাপী ক্যাম্পেইনের ২১তম সিজনের উদ্বোধন করেন।
সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার এমডি মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইভা রিজওয়ানা, চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) গালীব বিন মোহাম্মদ, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অফ সেলস মো. ফিরোজ আলম, ওয়ালটনের স্ট্র্র্যাটেজিক বিজনেস ডেভলপমেন্ট বিভাগের প্রধান আরিফুল আম্বিয়া, ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) তানভীর রহমান, ফ্রিজের সিবিও তাহসিনুল হক, হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সিবিও মোস্তফা কামাল, ওয়ালটন হাই-টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিজনেস কো-অর্ডিনেটর তানভীর আঞ্জুম ও চিফ ইনফরমেশন অফিসার মফিজুর রহমান, ওয়ালটনের ডেপুটি সিএমও জোহেব আহমেদ, টিভির ডেপুটি সিবিও হাবিব ইফতেখার আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
মন্তব্য