সব শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস ঠিক করে দেয়ার পর টানা তিন দিন উত্থান হলো পুঁজিবাজারে। প্রথম কর্মদিবসে সূচকের, দ্বিতীয় কর্মদিবসে লেনদেন এবং তৃতীয় কর্মদিবসে একই সঙ্গে সূচক ও লেনদেনের সম্মিলিত উত্থান হলো।
আগের দুই দিন যথাক্রমে ১৫৩ ও ৩০ পয়েন্ট সুচক বাড়ার পর সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক বাড়ল ৮৫ পয়েন্ট। আর লেনদেন হাজার কোটি টাকার ঘর ছাড়িয়ে হয় ১ হাজার ১৮৩ কোটি ২৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
এই লেনদেন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলার পর তৃতীয় সর্বোচ্চ। এই যুদ্ধ শুরুর পর ১০ মে ১ হাজার ২৫৮ কোটি ৫৮ হাজার টাকা লেনদেনই সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয় তার আগের দিন ১ হাজার ২০৮ কোটি ৩১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
গত ১৬ জুলাইয়ের পর লেনদেন প্রথমবারের মতো হাজার কোটি টাকার ঘর ছাড়াল। আর
চলতি সপ্তাহের আগের তিন সপ্তাহের ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ১১ দিনই পতন হয় পুঁজিবাজারে। দরপতনের সর্বনিম্ন সীমা ২ শতাংশ ও এর আশেপাশে দর হারাতে থাকে শেয়ারগুলো।
এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবার পতন রোধে ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। বৃহস্পতিবারসহ আগের পাঁচ কর্মদিবসের ক্লোজিং প্রাইসের গড় করে সব শেয়ারের দর নির্ধারণ হয়।
সেদিন লেনদেন ছিল ৪৪১ কোটি ৭৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা। এরপর ফ্লোর প্রাইস কার্যকরে প্রথম দিন পাঁচ শ কোটির ঘর, দ্বিতীয় দিন নয় শ কোটির ঘর অতিক্রম করে। তৃতীয় দিনে তা আরও দিল লাফ।
কোনো কোম্পানির শেয়ারদর একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের নিচে নামতে পারবে না, এই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও শেয়ার কেনা শুরু করেছে।
লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দর বেড়েছে ২৯০টির। কমেছে ৩৬টির এবং আগের দামেই লেনদেন হয়েছে ৫৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটি।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অর্থবছর শেষে যে বিনিয়োগটা আসার কথা ছিল সেটা পুঁজিবাজারের অস্থিরতার কারণে আটকে ছিল। ফ্লোর প্রাইস দেয়ার কারণে কনফিডেন্স লেভেলটা বেড়েছে। নির্ধারিত দামের চেয়ে শেয়ারদর কমার সুযোগ নেই। যার কারণে যে সকল বড় বিনিয়োগকারী সাইড লাইনে ছিলেন, বাজার পর্যবেক্ষণ করছিলেন তারাও অ্যাক্টিভিটি বা বিনিয়োগ শুরু করেছে। এটিই বাজারের সূচক ও ট্রানজেকশন বাড়িয়েছে।’
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের। ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দর বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ২০১ টাকা ৭০ পয়সায়। এ নিয়ে টানা চার কর্মদিবস দর বাড়ল শেয়ারটির।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ দর বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির। চলতি বছরের ১৪ জুলাই থেকে কোম্পানির ঈর্ষণীয় দরবৃদ্ধি হয়েছে। ওই দিন ৬ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হওয়া শেয়ারটির দর বেড়ে মঙ্গলবার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১১ টাকা ৩০ পয়সায়।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে মালেক স্পিনিং। টানা তিন কর্মদিবস দর বাড়ল শেয়ারটির। প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৩৩ টাকা ৩০ পয়সায়।
গতবছরই লোকসান কাটিয়ে আয়ে ফিরে কোম্পানিটি। আগের বছরগুলোতে ধারাবাহিক মুনাফায় থাকলেও ২০২০ সালে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৬৮ পয়সা লোকসান হয়। পরের বছরই লোকসান কাটিয়ে কয়েকগুণ বেশি মুনাফা করেছে মালেক স্পিনিং।
২০২১ সালে ৩ টাকা ৩৬ পয়সা আয়ের বিপরীতে বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ পেয়েছেন ১০ শতাংশ বা শেয়ারের বিপরীতে ১ টাকা।
শীর্ষে দশে জায়গা করে নিয়েছে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, অ্যাপেক্স স্পিনিং, এনআরবিসি ব্যাংক, অ্যামবি ফার্মা, আর্গন ডেনিম ও পেপার প্রসেসিং।
দর পতনের শীর্ষ ১০
এই তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে এনভয় টেক্সটাইল। চার কর্মদিবস উত্থানের পরে মঙ্গলবার দর কমল ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৫০ টাকা ৭০ পয়সা। আজ সেটি দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৭০ পয়সায়।
এর পরেই ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ দর কমেছে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্কের। সর্বশেষ শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ৫৪ টাকা ৭০ পয়সায়।
তৃতীয় স্থানে থাকা ফিনিক্স ফাইন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর কমেছে ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইস ছিল ১০ টাকা ৯০ পয়সা, বর্তমান দর দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৭০ পয়সা।
এ ছাড়া তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে এমবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, এনসিসিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড-১, ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি, অ্যাপোলো ইস্পাত ও এমএল ডায়িং লিমিটেড।
সূচক বাড়াল যারা
সবচেয়ে বেশি ৮ দশমিক ১৩ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। কোম্পানিটির দর ৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ দর বেড়েছে।
বেক্সিমকো ফার্মার দর ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৫ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট।
ওয়ালটন হাইটেক সূচকে যোগ করেছে ৩ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ।
এ ছাড়া ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মা, গ্রামীণফোন, তিতাস গ্যাস, ব্র্যাক ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক ও লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৩২ দশমিক ২৩ পয়েন্ট।
সূচক কমাল যারা
সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ১৬ পয়েন্ট সূচক কমেছে আইসিবির কারণে। কোম্পানিটির দর কমেছে ১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ দশমিক ১১ পয়েন্ট কমিয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি। কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ।
রেনাটার দর শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ১ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট।
এ ছাড়া এনভয় টেক্সটাইল, বেক্সিমকো সুকুক বন্ড, স্কয়ার টেক্সটাইল, এমএল ডায়িং, জেএমআই হসপিটাল, অ্যাপোলো ইস্পাত ও বিডি থাই ফুডের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৬ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য