সব শেয়ারের সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস ঠিক করে দেয়ার পর টানা তিন দিন উত্থান হলো পুঁজিবাজারে। প্রথম কর্মদিবসে সূচকের, দ্বিতীয় কর্মদিবসে লেনদেন এবং তৃতীয় কর্মদিবসে একই সঙ্গে সূচক ও লেনদেনের সম্মিলিত উত্থান হলো।
আগের দুই দিন যথাক্রমে ১৫৩ ও ৩০ পয়েন্ট সুচক বাড়ার পর সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক বাড়ল ৮৫ পয়েন্ট। আর লেনদেন হাজার কোটি টাকার ঘর ছাড়িয়ে হয় ১ হাজার ১৮৩ কোটি ২৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
এই লেনদেন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলার পর তৃতীয় সর্বোচ্চ। এই যুদ্ধ শুরুর পর ১০ মে ১ হাজার ২৫৮ কোটি ৫৮ হাজার টাকা লেনদেনই সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয় তার আগের দিন ১ হাজার ২০৮ কোটি ৩১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
গত ১৬ জুলাইয়ের পর লেনদেন প্রথমবারের মতো হাজার কোটি টাকার ঘর ছাড়াল। আর
চলতি সপ্তাহের আগের তিন সপ্তাহের ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ১১ দিনই পতন হয় পুঁজিবাজারে। দরপতনের সর্বনিম্ন সীমা ২ শতাংশ ও এর আশেপাশে দর হারাতে থাকে শেয়ারগুলো।
এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবার পতন রোধে ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। বৃহস্পতিবারসহ আগের পাঁচ কর্মদিবসের ক্লোজিং প্রাইসের গড় করে সব শেয়ারের দর নির্ধারণ হয়।
সেদিন লেনদেন ছিল ৪৪১ কোটি ৭৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা। এরপর ফ্লোর প্রাইস কার্যকরে প্রথম দিন পাঁচ শ কোটির ঘর, দ্বিতীয় দিন নয় শ কোটির ঘর অতিক্রম করে। তৃতীয় দিনে তা আরও দিল লাফ।
কোনো কোম্পানির শেয়ারদর একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের নিচে নামতে পারবে না, এই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও শেয়ার কেনা শুরু করেছে।
লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দর বেড়েছে ২৯০টির। কমেছে ৩৬টির এবং আগের দামেই লেনদেন হয়েছে ৫৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটি।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অর্থবছর শেষে যে বিনিয়োগটা আসার কথা ছিল সেটা পুঁজিবাজারের অস্থিরতার কারণে আটকে ছিল। ফ্লোর প্রাইস দেয়ার কারণে কনফিডেন্স লেভেলটা বেড়েছে। নির্ধারিত দামের চেয়ে শেয়ারদর কমার সুযোগ নেই। যার কারণে যে সকল বড় বিনিয়োগকারী সাইড লাইনে ছিলেন, বাজার পর্যবেক্ষণ করছিলেন তারাও অ্যাক্টিভিটি বা বিনিয়োগ শুরু করেছে। এটিই বাজারের সূচক ও ট্রানজেকশন বাড়িয়েছে।’
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের। ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দর বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ২০১ টাকা ৭০ পয়সায়। এ নিয়ে টানা চার কর্মদিবস দর বাড়ল শেয়ারটির।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ দর বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির। চলতি বছরের ১৪ জুলাই থেকে কোম্পানির ঈর্ষণীয় দরবৃদ্ধি হয়েছে। ওই দিন ৬ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হওয়া শেয়ারটির দর বেড়ে মঙ্গলবার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১১ টাকা ৩০ পয়সায়।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে মালেক স্পিনিং। টানা তিন কর্মদিবস দর বাড়ল শেয়ারটির। প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৩৩ টাকা ৩০ পয়সায়।
গতবছরই লোকসান কাটিয়ে আয়ে ফিরে কোম্পানিটি। আগের বছরগুলোতে ধারাবাহিক মুনাফায় থাকলেও ২০২০ সালে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৬৮ পয়সা লোকসান হয়। পরের বছরই লোকসান কাটিয়ে কয়েকগুণ বেশি মুনাফা করেছে মালেক স্পিনিং।
২০২১ সালে ৩ টাকা ৩৬ পয়সা আয়ের বিপরীতে বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ পেয়েছেন ১০ শতাংশ বা শেয়ারের বিপরীতে ১ টাকা।
শীর্ষে দশে জায়গা করে নিয়েছে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, অ্যাপেক্স স্পিনিং, এনআরবিসি ব্যাংক, অ্যামবি ফার্মা, আর্গন ডেনিম ও পেপার প্রসেসিং।
দর পতনের শীর্ষ ১০
এই তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে এনভয় টেক্সটাইল। চার কর্মদিবস উত্থানের পরে মঙ্গলবার দর কমল ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৫০ টাকা ৭০ পয়সা। আজ সেটি দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৭০ পয়সায়।
এর পরেই ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ দর কমেছে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্কের। সর্বশেষ শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ৫৪ টাকা ৭০ পয়সায়।
তৃতীয় স্থানে থাকা ফিনিক্স ফাইন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর কমেছে ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইস ছিল ১০ টাকা ৯০ পয়সা, বর্তমান দর দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৭০ পয়সা।
এ ছাড়া তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে এমবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, এনসিসিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড-১, ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি, অ্যাপোলো ইস্পাত ও এমএল ডায়িং লিমিটেড।
সূচক বাড়াল যারা
সবচেয়ে বেশি ৮ দশমিক ১৩ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। কোম্পানিটির দর ৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ দর বেড়েছে।
বেক্সিমকো ফার্মার দর ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ বাড়ায় সূচক বেড়েছে ৫ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট।
ওয়ালটন হাইটেক সূচকে যোগ করেছে ৩ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট। কোম্পানির দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ।
এ ছাড়া ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মা, গ্রামীণফোন, তিতাস গ্যাস, ব্র্যাক ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক ও লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ সূচকে পয়েন্ট যোগ করেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ৩২ দশমিক ২৩ পয়েন্ট।
সূচক কমাল যারা
সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ১৬ পয়েন্ট সূচক কমেছে আইসিবির কারণে। কোম্পানিটির দর কমেছে ১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ দশমিক ১১ পয়েন্ট কমিয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি। কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ।
রেনাটার দর শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ কমার কারণে সূচক কমেছে ১ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট।
এ ছাড়া এনভয় টেক্সটাইল, বেক্সিমকো সুকুক বন্ড, স্কয়ার টেক্সটাইল, এমএল ডায়িং, জেএমআই হসপিটাল, অ্যাপোলো ইস্পাত ও বিডি থাই ফুডের দরপতনে সূচক কমেছে।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৬ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য